ধোঁয়ার নেশা পর্ব ২

#ধোয়ার-নেশা

#রোকসানা-রাহমান

পর্ব (২)

অনিকশাকে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে অন্ত্রীশা নিজের মায়ের রুমের দিকে এগুলো। নিজের রুমের দরজাটা পার হতেই কেউ একজন তার মুখ চেপে ধরেছে। অন্ত্রীশাকে দেয়ালের দিকে সরিয়ে নিয়ে এসে বললো,

“” কোনো সাউন্ড হবেনা। আমি যা করতে চাই চুপচাপ তা করতে দাও””

অন্ত্রীশার রুমের দরজা খুলা থাকায় রুমে জ্বলে থাকা লাইটের আলো বাহিরে কিছুটা এসে পড়েছে। তার মাধ্যমেই মুখ চেপে ধরা লোকটার চেহারা দেখতে পেলো অন্ত্রীশা। কিছুটা ঝাপসা হলেও তার চুমুবাবুর মুখটা সে বেশ বুঝতে পারছে। চোখের চাহনি তার মধ্যে নেই এপাশ ওপাশ ঘুরপাক খাচ্ছে। কণ্ঠে অনুনয় ছিলো নাকি ধমকানি ছিলো তা নিয়ে বেশ কনফিউজড। কেন এসেছেন উনি? তাও এতো রাতে,এই বৃষ্টিতে ভিজে! মাথার মাঝারি সাইজের চুলগুলোও ভিজে কিছুটা ল্যাপ্টে রয়েছে কপালে। মনে হচ্ছে কপালে কিছুটা চিন্তার ভাজ নাহয় অস্থিরতার ভাজ রয়েছে। কিন্তু ল্যাপ্টে যাওয়া চুলগুলোর জন্য ঠিক বুঝে উঠতে পারছেনা!

অন্ত্রীশা খানিকটা ভয় পেয়েই হাতগুলো ঘুটিয়ে নিয়েছিলো নিজের জামার আড়ালে। হালকা আকাশী কালারের জামা পড়েছিলো সে। কিন্তু পালকের মুখটা দেখেই অন্ত্রীশার ভয় কেটে গেলো। কেন কেটে গিয়েছে সে জানেনা। কিন্তু এটা বুঝতে পারছে এই মানুষটাকে দেখে ভয় পাওয়ার কোনো মানেই হয়না!

পালক অন্ত্রীশার মুখ থেকে নিজের হাতটা সরিয়ে নিলো। চোখে চোখ পড়তেই চোখটাও সরিয়ে নিয়ে অন্ত্রীশার বা হাতটা টেনে ধরে বললো,

“” তোমার চোখে মুখে ভয়ের ছাপ আশা করেছিলাম!””

অন্ত্রীশা পালকের কথার পিঠে কি বলবে বুঝতে পারলোনা। তার যে কেন ভয় পাচ্ছেনা সেটা তো সে নিজেই বুঝতে পারছেনা।

পালক নিজের পকেট থেকে একটা মেহেদির কোন বের করে অন্ত্রীশার হাতে দিতে শুরু করেছে। অন্ত্রীশা তখনো পালকের দিকেই চেয়ে ছিলো। এতো ঝাপসা আলোতে চেহারাটা ভালো করে বুঝা যাচ্ছেনা বলে খুব রাগ হচ্ছে। তার যে এই মুখটার সবকিছুকে মন ভরে দেখে নিতে ইচ্ছে করছে। হাতে হঠাৎ ঠান্ডা কিছুর উপস্থিতি পেয়ে অন্ত্রীশা নিজের হাতের দিকে তাকালো। তাকিয়ে খিলখিলিয়ে হেসে দিলো।

পালক একটা ব্রু উচু করে বললো,

“” হাসছো কেন? মেহেদী দেওয়াটা কেমন হচ্ছে সেটা বড় কথা নয় কে দিয়ে দিচ্ছে সেটা বড় কথা,বুঝেছো? আর এমন বাচ্ছাদের মতো শব্দ করে হাসছো কেন? তুমি জানোনা শব্দ করে হাসতে নেই?””

পালকের কথাই অন্ত্রীশা হাসিটাকে আটকানোর চেষ্টা করছে৷ তার কি দোষ? এভাবে ল্যাপ্টে মেহেদী দিয়ে দিলেতো হাসি পাবেই। যেটা সে পারেনা সেটা তাকে কেন করতে হবে? এমন তো নয় যে আমি বায়না ধরেছি! বাচ্চামী করছেন আপনি অথচ বলছেন আমাকে!

অন্ত্রীশার ভাবনার বিচ্ছেদ ঘটাতেই হয়তো পালক হুট করে ওর জামাতে হাত দিয়েছে। কমড়ের সাইড দিয়ে কাটার দাড় ধরেই জামার সামনের পার্টটা উচু করতেই অন্ত্রীশা ঝট করে পালকের হাত চেপে ধরে বললো,

“” কি করছেন?””

পালক নিজের হাত থেকে অন্ত্রীশার হাতটা সরাতে সরাতে বললো,

“” আমি এক কথা দুবার বলতে পছন্দ করিনা অন্ত্রীশা। আমি যা করতে চাই তা করতে দাও!””

পালকের এবারের কথাতেও অনুনয় ছিলো নাকি ধকমের সুর ছিলো তা বুঝতে পারেনি অন্ত্রীশা। তবে এটা বুঝতে পেরেছে তার হাতদুটো অবশ হয়ে আছে আর সেই হাত কিছুতেই পালককে বাধা দিতে পারবেনা,কিছুতেই না৷ কিন্তু কেন??

পালক জামাটা কুচকিয়ে উচু করে ধরতেই অন্ত্রীশা চোখ বন্ধ করে ফেললো। মনের ভেতর এক অজানা অপরাধ ফিল হচ্ছে এখনো তো তাদের বিয়ে হয়নি! এসবে সম্মতি দেওয়া কি ঠিক হচ্ছে?? অন্ত্রীশার ভাবনাগুলো দ্রুত বয়ে যাচ্ছে তবে এই অপরাধের ফিলিংসটাকেও তার কেন এতো বেশি ভালো লাগছে???

অন্ত্রীশা পেটের সাইডের দিকে আবার ঠান্ডা কিছুর ছোয়া পেয়ে চোখ মেলে ফেললো। হালকা মুচকি হেসে মনে মনে বললো,ছি! আমি এসব কি ভাবছিলাম?

“” মেহেদি শুকানোর আগে জামাটা ছাড়বেনা। এভাবেই ধরে রেখো প্লিজ!””

পালক নিচের দিকে তাকিয়ে নিজের অনুনয়ের কথাটা শেষ করেই হেটে চলে গেলো। অন্ত্রীশা জামাই হাত রেখে ভাবনায় ডুব দিলো। এই বৃষ্টিতে এতো কষ্ট করে এসেছেন আমাকে মেহেদী পড়াতে?? জাস্ট মেহেদী পড়াতে? আমার সাথে দুটো কথাও তো বলেননি। একটাবার আমার মুখটার দিকেও তাকালেননা। আমার কেন মনে হচ্ছে হুট করে রাস্তায় দেখা হয়ে গেলে আপনি আমাকে চিনবেনও না। আর সেই অচেনা মেয়ের সাথেই আপনি এমন অদ্ভুত কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু কেন?

অন্ত্রীশা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ঘুরতেই দরজায় অনিকশাকে দেখতে পেলো। এতো গভীর নয়নে সে কি দেখছে?? এবারও কি আপু সব দেখে ফেলেছে???

অন্ত্রীশা কিছুটা লজ্জা নিয়ে আবার নিজের রুমে ঢুকে যাচ্ছে। অনিকশার নজর অন্ত্রীশার পেটে। লাইটের আলোতে মেহেদীর কালচে রঙে পালক লেখাটা যেন জ্বলজ্বল করে যাচ্ছে!

“” এভাবে পেট বের করেই শুয়ে থাকবি? সামনে যে তোর বড় বোন দাড়িয়ে আছে তাতে কি তোর একটুও লজ্জাবোধ লাগছেনা? যা ধুয়ে আয়।””
“” উনিতো ধুতে বলেনি আপু!””
“” ধুতে বলেনি বলে ধুবিনা? এভাবে পেট বের করে হেটে বেড়াবি? সবাইকে দেখাবি তোর বর তোর পেটে বসে আছে?””

অন্ত্রীশা কিছুটা মন খারাপ নিয়েই ওয়াশরুমের দিকে এগিয়ে গেলো।

মেহেদী ধুয়ে পরিষ্কার করে আসতে আসতে অনিকশা ঘুমিয়ে পড়েছে। অনিকশার এই একটা অভ্যাস অন্ত্রীশাকে বেশ ভাবায়। একটা মানুষ বিছানায় শুতে শুতে কি করে ঘুমিয়ে পড়ে? সে তো পারেনা। কম করে হলেও তার ১ ঘন্টা চোখ বন্ধ করে ভুলভাল,আবিজাবি জিনিস ভাবতে ভাবতে এপাশওপাশ করতে হয় তারপর যদি ঘুমপুরুষ এসে হাজির হয়। তবে এখন তার হাবিজাবি জিনিসগুলো চুৃুমুবাবুকে ঘিরেই ঘুরপাক খায়।

অন্ত্রীশা আপুর পাশে শুতেই দরজায় নক করার শব্দ পেলো। এতো রাতে আবার কে এলো? অন্ত্রীশা কে বলে চিৎকার করতে গিয়েও থেমে গেলো। যদি পালক এসে থাকে? তাহলে তো আপুর সামনে আবার নির্লজ্জ হতে হবে।

অন্ত্রীশা নিশব্দে দরজার কাছে গিয়ে সিটকিনিতে হাত দেয়।

“” দুলাভাই,আপনি?””
“” অনি কি ঘুমিয়ে পড়েছে?””
“” হুম! ডেকে দিবো?””

অরিদ সাহেব উকি দিয়ে অনিকশাকে দেখতে দেখতে বললো,

“” না,থাক। ওর কাঁচা ঘুম ভেংগে গেলো খুব রাগ করবে।””
“” আপুকে এতো ভালোবাসেন তাহলে ঝগড়া করেন কেন?””

অন্ত্রীশার কথার উত্তর হিসেবে হালকা হেসে উঠলো অরিদ।

“” আসি,তুমি দরজাটা আটকে ঘুমিয়ে পড়ো।””

অরিদ চলে যাওয়ার জন্য ঘুরতেই অন্ত্রীশা বলে উঠলো,

“” আপুকে ছাড়া ঘুম আসবে তো?””
“” চেষ্টা করলে আসতেও পারে।””
“” আমার কাছে একটা প্রস্তাব আছে,আপনি চাইলে গ্রহন করতে পারেন।””

অরিদ বেশ বিস্ময় নিয়ে পেছনে ঘুরে দাড়ালো। এক কদম এগিয়ে এসে বললো,

“” আজকে আমার শালির মুখে কথার খই ফুটছে দেখি। কোনো বিশেষ কারন আছে নাকি?””

অন্ত্রীশা কিছুটা লজ্জা নিয়ে বললো,

“” না,তেমন কিছুনা।””
“” আচ্ছা লজ্জা পেতে হবেনা। মজা করছিলাম। তা বললেনা তো তোমার প্রস্তাবটা কি?””
“” আপনি চাইলে আমি অরিদ্রার সাথে ঘুমুতে পারি। আর আপনি..””
“” তুমি কি তোমার আপুকে দিয়ে আমাকে মার খাওয়াতে চাচ্ছো?””

অন্ত্রীশা নিজের রুম ছেড়ে বাইরে এসে দাড়িয়ে বললো,

“” ভালোবাসার মানুষের মারের মধ্যেও ভালোবাসা থাকে। আপনি এতো দিনেও বুঝেননি দুলাভাই?””
“” তুমিতো দেখছি চারদিনের মধ্যেই ভালোবাসার উপর পিএইচডি করে ফেলেছো অন্ত্রীশা। পালক কি তার পালকের যাদু করে গেলো আমার শালীর উপর?””

অন্ত্রীশা আবার লজ্জামাখা মুখে বললো,

“” অরিদ্রা একা আছে,আমি গেলাম!””
“” কিন্তু তোমার বোন যদি আমাকে বের করে দেয়?””

অন্ত্রীশা মুচকি হেসে বললো,

“” আপুকে এতো ভয় পান? আচ্ছা আপনি ভেতরে যান আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।””
“” মানে?””

অরিদকে ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বললো,

“” মাঝে মাঝে ভালোবাসায় কিছুটা জোর প্রয়োগ করতে হয়,দুলাভাই। অধিকাংশ মেয়েগুলোই চায় তার ভালোবাসার মানুষটি তাকে জোর করে ভালোবাসুক,সে আশায় ইচ্ছে করেই মুখ ফুটে ভালোবাসা চায়না!””

অরিদ বিস্ময়ভরা চোখে অন্ত্রীশার দিকে চেয়ে রয়েছে। এই দুটো বোনকে সে কিছুতেই বুঝেনা। একজন তো রাগের ক্ষেত নিয়ে বসেছে যখন তখন যা তা সবজি লাগাতে থাকে তো আরেকজন অতিরিক্ত স্বল্পভাষী। প্রয়োজন ছাড়া নিজের কথার ঝুড়ি থেকে কথা বের করেনা!

অন্ত্রীশা পুনরায় একটা মিস্টি হাসি উপহার দিলো অরিদকে। আর সাথে সাথে দরজাটা বাহির থেকে সিটকিনি লাগিয়ে দিলো যাতে তার বোন চাইলেও দুলাভাইকে বের করতে না পারে!

অরিদ মনে মনে হাজার হাজার কোটি কোটি ধন্যবাদ দিলো অন্ত্রীশাকে! অনিকশা যতই তার থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করুক কিন্তু সে যে একটা রাতও অনিকশাকে ছাড়া কাটানোর কথা চিন্তা করতে পারেনা। অরিদ অনিকশার পাশে নিশব্দে শুয়ে পড়লো। কপালে হালকা চুমু একে দিয়ে ভাবনায় ডুব দিলো।

অনার্স ১ম বর্ষের নবীনবরনেই প্রথম দেখেছিলো অনিকশাকে। যদিও তখন অরিদ লাস্ট ইয়ারের। কিন্তু একি ডিপার্টমেন্ট হওয়ায় ফ্রেন্ডের জোরাজুরিতে তাকেও যেতে হয়েছিলো। তবে সে ভার্সিটির বাইরে দাড়িয়েই ফ্রেন্ডের জন্য অপেক্ষা করছিলো আর ঠিক তখনি রিক্সা থেকে অফহোয়াইট কালারের খুবই হালকা কাজের জামা পড়া একটা মেয়েকে নামতে দেখে। চুলগুলো বেনি করে পেছনেই ছেড়ে রেখেছে,পুরোমুখটাতে মেকাপের কোনো ছিটেফুটাও নেই। নবীনবরনে সাদামাটাভাবে আসাতে অরিদ বেশ অবাকই হয়েছিলো। আর সেই অবাকই তাকে বার বার সেই মেয়েটির দিকে তাকাতে অস্থির করে তুলছিলো। তারপর থেকে টানা তিন বছর সে এই মেয়েটিকে দেখার জন্য রোজ ভার্সিটির এই গেইটের সামনে দাড়িয়ে থেকেছে। কিন্তু মুখ ফুটে কখনো বলতে পারেনি সে ভালোবাসার কথা। এই তিন বছরে অনেক পরিবর্তন এসেছিলো অনিকশার। কিন্তু পরিবর্তন আসেনি অরিদের ভালোবাসার। একদিন হুট করেই অনিকশা অরিদের সামনে এসে দাড়িয়ে বললো,

“” বিয়ে করবেন আমায়? এক্ষুনি করতে হবে!””

অনিকশার এমন কথা হজম করতে বেশ কষ্ট হয়েছিলো অরিদের। মুখ দিয়ে কোনো কথা আসেনি। মনে হয়েছিলো এই মেয়ে তার কন্ঠ দিয়ে অরিদের কন্ঠকে খেয়ে ফেলেছে। অরিদ শুধু মাথা দুলিয়ে উপর নিচু করে হ্যা বলেছিলো!

সেদিন,ঠিক তখনি অরিদ আর অনিকশার বিয়ে হয়ে গিয়েছিলো। তারপর দু পরিবার সামলিয়ে নিয়ে বেশ ভালোই চলছিলো অরিদ আর অনিকশার নতুন সংসারের। অনিকশা শুধু একটা কথাই বলতো,

“” আমাকে বেশি বেশি ভালোবাসোনা কেন? আমার যে বেশি বেশি ভালোবাসার খুব প্রয়োজন। আরেকটু বেশি ভালোবাসবে প্লিজ?””

অনিকশার এমন হুটহাট কথাই অরিদকে বেশ ভাবাতো। সে অনেকবার জানতে চেয়েছিলো হুট করে বিয়ে করার কারন কিন্তু সে সবসময় ব্যর্থ হয়েছে। দুমাস কাটতেই অনিকশা চেন্জ হতে থাকে। ছোটখাটো জিনিস নিয়ে রেগে যেতে থাকলো,সামান্য জিনিস নিয়ে তুমুল জগড়া বাধিয়ে ফেলতে থাকে। এর মধ্যেই জানতে পারে অনিকশার পেটে নতুন অতিথির আগমনের বার্তা। অরিদ ভেবেছিলো হয়তো এবার অনিকশা আবার আগের মতো অরিদের কাছে ভালোবাসা পাওয়ার আবদার করবে কিন্তু না অনিকশা দিন দিন তার থেকে দুরত্বই তৈরী করে যাচ্ছে।

অরিদের চোখ চিকচিক করছে। অনিকশাকে পেছন থেকে জড়িয়ে নিয়ে ফিসফিস করে বললো,

“” ভালোবাসি অনি,খুব বেশি ভালোবাসি!””

এক ফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো অনিকশার চোখ থেকে। সেতো ঘুমুইনি তাহলে জাগবে কোন কারনে? আজ যে তার চোখে ঘুমরা নেমে আসেনি। অরিদের ফিস ফিস কথাটা অনিকশার বুকে গিয়ে লাগলো। ভালোবাসার কথা শুনেও কি কারো চোখে পানি আসে? তাহলে তার কেন আসলো? অনিকশার ইচ্ছে হলো সেও অরিদকে জড়িয়ে নিয়ে বলতে,আরেকটু ভালোবাসোনা আমাকে,আমার যে তোমার বেশি ভালোবাসার প্রয়োজন!

অন্ত্রীশার ঘুম ভাংলো আপুর ডাকে। ঘুমঘুম চোখেই তাকিয়ে রইলো অনিকশার দিকে!

“” তোর কল এসেছে,নে ধর!””
“” আমার কল তোমার ফোনে?””

অন্ত্রীশার হাতে ফোনটা গুজে দিয়ে মেয়ের দিকে এগুলো অনিকশা।

অন্ত্রীশা ফোনের দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো স্ক্রিনে পালক নাম উঠে আছে। এতো সকালে উনি কল দিয়েছেন কেন? আমার সাথে কথা বলবেন বলে? কিন্তু এতো সকালে কি কথা বলবেন? অন্ত্রীশা চোখটা ভালো করে মুছে নিয়ে,কন্ঠটা স্বাভাবিক করে বললো,

“” হ্যালো?””
“” তোমার সাথে ইম্পর্ট্যান্ট কথা আছে। রুমে কেউ থাকলে তাকে বের করে দরজা আটকিয়ে আমাকে জানাও!””

এমন কি ইম্পর্ট্যান্ট কথা যার জন্য দরজা আটকিয়ে নিতে হবে? অন্ত্রীশা কিছুটা বিরক্ত নিয়ে আপুকে টেনে বাইরে বের করে দরজা আটকিয়ে নিলো।

“” আটকিয়েছি বলুন!””

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here