না_চাইলেও_তুমি_আমার পর্ব ১১+১২

#না_চাইলেও_তুমি_আমার💞
#লেখিকা_লায়লা_আঞ্জুমান_ইতি
#পার্ট_১১




রাগ হচ্ছে ভিশন ইচ্ছে করছে গিয়ে উনার মাথাটা ফাটিয়ে দেই ডেভিল কোথাকার। আর কিছু না বলে উনার সামনের থেকে চলে আসলাম।

ওয়াশরুমে গিয়ে মুখ ধুয়ে নিলাম, ওয়াসরুম থেকে বেড়িয়ে ক্লাস রুমের দিকে যেতে নিলাম ওমনি ডেভিলটা এসে আমার হাত ধরে একটা ক্লাস রুমে নিয়ে দরজা আটকে দিল, রেগে বলতে লাগলাম,,,,কি সমস্যা আপনার চানটা কি আমার কাছ থেকে।উনি আমার কথার কোনো উওর না দিয়ে আমার কাছে এগিয়ে আসতে লাগলো আর আমি ভয়ে পিছিয়ে যেতে লাগলাম,আমি ভয় মিশ্রিত কন্ঠে বলতে লাগলাম,,,কককক,কি হয়েছে এভাবে আআআ,,আসছেন কেন?
উনি আমার কথার কোনো উওর না দিয়ে আমার দিকে হাত বাড়াতে লাগলো,আমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললাম,উনি উনার হাতের আঙ্গুল দিয়ে আমার চোখের কাছে নিয়ে কিছু একটা মুছে দিল, আমি চোখ খুলে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম,, কি করলেন।উনি ধিরে বললেন,,
তোমার চোখের কাজল লেপটে গিয়ে ছিল।

উনাকে আর কিছু না বলে উনার সামনের থেকে চলে আসলাম।ভার্সিটি ছুটির পর গেট দিয়ে বের হয়ে গাড়িতে উঠতে যাব ওমনি পিছন থেকে কেউ ডাকলো তাকিয়ে দেখি কাব্যের মা, আমাকে দেখে মুচকি হেসে বলল,,,আম্মু কেমন আছো।
– জ্বি ভালো আপনি
– আমিও ভালো আছি।
– আপনি এখানে
– ওই কাব্যের কাছে এসে ছিলাম, তুমি জানো কাব্য কোথায়
– না আন্টি কিন্তু আপনি ক্যাম্পাসে দেখতে পারেন উনি ওখানে থাকতে পারেন
– ঠিক আছে, আচ্ছা শোনো
– বলুন
– তুমি কি আজ বিকেলে ফ্রি আছো
– হ্যা ফ্রি আছি, কেন
– আসলে আমি শপিংমল যেতাম কিন্তু একা ভালো লাগবে না তুমি যদি আমার সাথে যেতে তাহলে আমার ভালো লাগতো।
– আআ ঠিক আছে
– ওকে তাহলে রেডি থেকো বিকেলে তোমার বাড়ীতে গিয়ে তোমাকে নিয়ে যাব

উনি চলে গেলেন, উনি কত মিশুক এই ডেভিলটার বাবা মা দুজনই খুব ভালো কিন্তু এই ডেভিলটা কারও মতোই হয় নিই।বাড়ীতে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে মাকে ফোন করে বলে দিলাম যাওয়ার জন্য মাও না করল না। বিকেলে রেডি হয়ে নিলাম কিছুখন পর কাব্যের মা আসলো।এক সাথে দুজন শপিংমল গেলাম উনি কিছু শাড়ি কিনলো,তারপর এক কলাপাতা রঙের শাড়ি আমাকে দেখিয়ে বলল,,,,
– আম্মু এটা দেখো তো শাড়িটা কেমন
– হুম খুব সুন্দর
– ওকে এটা নেবো
– হুম নিতে পারেন

উনি শাড়িটা নিয়ে নিলো,তারপর আমাকে দিকে দিয়ে বলল,,,,নেও। আমি অবাক হয়ে বললাম,,,আমি নেব কেন?উনি একটু হেসে বললেন,,,,এটা তো তোমার জন্য নিয়েছি।আমি তাড়াতাড়ি করে বললাম,,,,,না না না কি বলছেন আমি এটা নিতে পারব না।উনি একটু চোখ রাঙ্গিয়ে বলল,,,বড়দের কথা শুনতে হয় জানো না যখন দিয়েছি নিতে হবে।আমি উনার দিকে তাকিয়ে বললাম,,,,না আন্টি আমি এটা নিতে পারব না।উনি বলল,,,আরে এমন করছ কেন খুশি হয়ে দিয়েছি নেও।

উনার অনেক বলার জন্য নিয়ে নিলাম তারপর উনি আমাকে বাড়িরর সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলেন আর বললেন উনার বাড়ীতে যেন মাঝে মাঝে যাই।

এভাবে কেটে গেল চার মাস, কিন্তু এই চার মাসে কাব্য একবারও আমাকে ফোন করে নিই আর কোনো এস এম এস ও করে নিই আর তো ঠিক মতো কথাও বলে না। ভিতরে ভিতরে খুব খারাপ লাগে উনি কেমন চেঞ্জ হয়ে গেছে, উনি ঠিক মতো আমার সাথে কথা বলে না এটা যে আমার কত খারাপ লাগে তা আমি উনাকে বুঝাই কিভাবে।ভার্সিটির ক্যাম্পাসে বসে আছি একা একা।আজ হিয়া আসে নিই, দিনটা কেমন জানি আজ এত মানুষ কম কেন।সামনে এক গাছের দিকে নজর যেতেই দেখি গাছের মাঝে একটা চড়ুই পাখির বাসা,ছোট ছোট তিনটা পাখির বাচ্চা, তিনটা বাচ্চাই খেলছে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে হঠাৎ একা বাচ্চা সাইডে এসে পড়ে যেতে লাগলো আমি বসা থেকে তাড়াতাড়ি উঠে দাড়ালাম, বাচ্চাটা মাটিতে পড়লো বলে এর আগেই কাব্য এসে বাচ্চাটাকে ধরে ফেলল, তারপর বাচ্চাটাকে আদর করলো আর গাছে উপরে বাসায় উঠিয়ে দিল।

আমি উনার দিকে তাকিয়ে আছি, উনি আমার দিকে একবার তাকিয়ে অন্য দিকে হাটা দিল।মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল এত কিসের এটিটিউড উনার এতটা কেন ইগনোর করছে আমাকে, আজ তো এই ডেভিলটার খবর নিয়েই ছাড়বো।

ছয় তলায় উপরে উনি হাটছেন হুট করে উনার সামনে গিয়ে উনাকে এক ধাক্কা দিয়ে ক্লাস রুমে ঢুকিয়ে দিলাম তরপর আমি ঢুকলাম, উনি ভ্রু কুচকে তাকালো তারপর বলল,,,,আরে কি হয়েছে তোমার সমস্যা কি।আমি রেগে বললাম,,,,সমস্যাটা হলো আপনি।উনি বললেন,,,,আমি কি করেছি।উবার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললাম,,,,আপনার কি হয়েছে আপনি এমন করেছন কেন? উনি সাভাবিক ভাবে বললেন,,,,,কেন এটাই তো চাইতে তুমি এখন তোমার কি হয়েছে।
– জানি না আমার কি হয়েছে কিন্তু আপনি
– বল চুপ হয়ে গেলে কেন
– আমার আগেই বুঝা দরকার ছিল সব ছেলেরা এমনি হয় একদিন একজন তো আরেক দিন অন্যজন, এখন তো আপনি রিদি আপুর পিছনে লেগেছেন
– তোমার তো কিছু যায় আসে না তো এমন করছ কেন
– আমার
– বল আবার চুপ হয়ে গেলে কেন, তোমার কাছে তো আমাদের বিয়ের কোনো মূল্য নেই তাহলে আমি যা খুশি তা করি তাতে তোমার কি

আর কিছু না বলে সামনের থেকে চলে আসতে লাগলাম,ওমনি আমাকে এক টান দিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে রেগে বলতে লাগলো,,,ভালোবাসো যখন শিকার করতে চাও না কেন?আমি ঘাবড়ে বললাম,,,,আআ আমাকে ছাড়ুন। উনি মুচকি হেসে বলল,,,,,জানি তুমিও আমাকে ভালোবাসো কিন্তু মুখে শিকার করতে চাইছো না আর তুমি নিজেই মানতে চাইছো না কিন্তু ততো দিন পযন্ত অপেক্ষা করব যত দিন পযন্ত না তুমি নিজের মুখে আমাকে না জানাও।

বলেই আমার কপালে ঠোঁট ছুড়িয়ে দিল আমি তো পুরো ফ্রিজ হয়ে গিয়েছি চোখ বন্ধ করে ফেললাম, উনি সামান্য হেসে চলে গেলেন আর আমি জায়গায় দাড়িয়ে রইলাম, ভিশন লজ্জা লাগছে কিন্তু মনের মাঝে এক প্রকারের ভালো লাগাও কাজ করছে।আর কিছু না ভেবে ক্লাস রুম থেকে বেড়িয়ে পড়লাম।

রাতে শুয়ে শুয়ে তখনকার কথা ভাবছি আর একা একা হাসছি,হঠাৎ ফোন আসলো দেখলাম কাব্যের ফোন সাথে সাথে রিসিভ করলাম,,,
– হ্যালো
– বাবা এত তাড়াতাড়ি আজ ফোন রিসিভ হলো যে
– ওওও,ওমন কিছু না আমি ভেবেছি হিয়া ফোন করেছে
– ও তাই নাকি
– জ্বি
– ওকে শোনো কাল আমার সাথে তোমাকে শপিংমল যেতে হবে
– তা কেন
– কাল মার জন্ম দিন মাকে একটা শাড়ি গিফট করব
– ও ঠিক আছে
– ওকে বায়য় সুইটহার্ট
– ওকে বায় সুইটহার্ট
– কি হলো তোমার
– কি হলো তোমার
– এই তুমি আমার সাথে মজা করছো
– এই তুমি আমার সাথে মজা করছো
– আই লাভ ইউ
– আই লাভ,,,,
– কি হলো এখন চুপ হয়ে গেলে কেন
– বায় বায় বায় বায় বায়

বলেই ফোন কেটে দিলাম।মাথা পুরো খারাপ হয়ে গেছে আমার।সকালে খাবার টেবিলে খাবার খাচ্ছি আর একা একা হাসছি মা আমার দিকে ভ্রু কুচকে কখন থেকে তাকিয়ে আছে, তারপর হুট করে বলে উঠল,,,, কি ব্যাপার তোমার আবার কি হয়েছে।আমি মার দিকে তাকিয়ে বললাম,,,আমার আবার কি হবে।মা বলল,,,না এমন পাগলের মতো একা একা হাসছো ঘটনা কি প্রেমে পড়েছো নাকি।আমি বললাম,,,, দূর কি বল মানুষ প্রেমে পড়লে কি একা একা হাসে নাকি।মা বলল,,,,তাহলে হাসছো কেন।আমি নকল হাসি দিয়ে বললাম,, এমনি ওই মজার একটা ঘটনা মনে পড়ে গিয়ে ছিলো।

মা আর কিছু বলল না, আসলেই আমার হয়েছেটা কি কয়েক দিন ধরে একা একাই হাসি, সব কিছু সুন্দর লাগে আর একজন ব্যক্তিকে দেখলেই মনের মাঝে বেক গ্রাউন মিউজিক বাজা শুরু হয় চারপাশ মনে হয় থমকে যায়, এই অনুভূতির কারণ কি কেন এমন লাগে, আসলেই কি আমি ভালোবেসে ফেলেছি, ভাবতেই কেমন অদ্ভুত লাগছে।

ভার্সিটি ছুটির পর আমি আর কাব্য দুজন এক সাথে শপিংমল এসেছি,এসেই শাড়ির দোকানে গিয়ে একটা শাড়ি নিলাম,তারপর উনি আর আমি একটা শার্টের দোকানে গেলাম, উনি শার্ট দেখছে আমি দেখছি, একটা হোয়াইট কালারের শার্ট আমার খুব পছন্দ হলো উনার দিকে ফিরে বলতে গেলাম আর উনি একটা কালো শার্ট নিয়ে এসে দেখালো, উনি আমার হাতের শার্ট দেখে বলল,,আমি এই সাদা শার্ট টাই নেব।আমিও খুশি হয়ে গেলাম তারপর দুজন থ্রি পিসের দোকানে গেলাম, আমি একটা সাদা থ্রি পিস নিয়ে পিছন ঘুরতেই দেখি উনি কালো একটা থ্রি পিস নিয়ে দাড়িয়ে আছে, উনি বলল,,,আচ্ছা তুমি সাদাটাই নেও।আমি আমার হাত থেকে সাদা টা রেখে বললাম,,,না আমি কালো টাই নেব।উনি আমার কথা শুনে একটু মুচকি হাসলো
#না_চাইলেও_তুমি_আমার💞
#লেখিকা_লায়লা_আঞ্জুমান_ইতি
#পার্ট_১২




এভাবে কিছু দিন কেটে গেল সব কিছু খুব সুন্দর, এই কিছু দিন মনে হচ্ছে এক কল্পনার রাজ্যে আমি ভাসছি যেখানে শুধু সুন্দর অনুভূতি গুলো খেলা করে, যেখানে শুধু ভালোবাসারা এক জোড় হয়, এই কল্পনার রাজ্যে প্রতি টা মুহুর্তে আমি উড়ছি, আজ কাল শুধু আয়নার সামনে বসে থাকি, নিজেকে আগের থেকে বেশী সুন্দর মনে হয়, কাব্য কে দেখলে এখন আর বিরক্ত লাগে না, প্রতিটা মুহুর্তে ওর মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলি।হ্যা আমি প্রেমে পড়েছি আমি শিকার করছি আমি ভালোবাসি শুধু আমার ডেভিলটাকে।

ভার্সিটির ক্লাস শেষ করে বাহিরে বের হচ্ছি তখনি কাব্য হিরো স্টাইলে আমার সামনে এসে ইশারায় বলল বাইকে ওঠতে, আমিও কোনো অমত না জানিয়ে উঠে বসলাম, উনি এক নদী পাড়ে বাইক থামালো, আমি বললাম,,,হঠাৎ এখানে কেন নিয়ে আসলা তুমি।

উনি কিছুখন চুপ হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল, উনার এই নিস্তব্ধতার কারণ না বুঝে বললাম,,কি হলো বল।উনি একটু হেসে বলল,,,খুব ভালো লাগছে জানো।আমি ভ্রু কুচকে বললাম,,,কেন।উনি হেসে বলল,,,এই যে তুমি আমার তুমি করে বলছো। আমি উনার কথা শুনে বললাম,,,,ও ভুলে বলে ফেলেছি।উনি বলল,,,,যদি ভুলে বলে থাক তাহলে আমি চাই এই ভুলটা তুমি সব সময় কর।উনার কথায় কি বলব বুঝে পাচ্ছি না আবার আমার ঠোঁটের কোণারে হাসির রাজ্য দখল করে নিতে চাইছে কিন্তু আমি আটকাবার চেষ্টা করছি কিন্তু না এবার ও পরাজিত আমি, মুখে ফুটে এই বেহায়া অবাদ্ধ হাসি বেড়িয়েই আসলো।

কিছুখন নদীর পাড়ে থেকে উনি আমাকে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল,আমি ভিতরে ঢুকে দেখি কাব্যর বাবা আর মা দুজনই আমাদের বাসায়, আমার মার সাথে কথা বলছে, আমি উনাদের দেখে ভিশন অবাক হলাম,উনারা আমাকে দেখে মুচকি হাসলেন। আমি গিয়ে বললাম,,,আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল – আন্টি। উনারও সালামের উওর নিল তারপর আমি যখন বললাম আপনারা এখানে উনারা মুচকি হেসে বললেন একটা কাজে এসে ছিল, তারপর উনারা চলে গেলেন, আমি নিজের রুমে চলে এলাম ভাবতে লাগলাম কি এমন কাজে আসতে পারে।আমার ভাবনার মাঝে ছেদ ঘটিয়ে মা আমার রুমে প্রবেশ করলো, মা আমাকে বলল,,,

তোর সাথে আমার কিছু কথা ছিল।আমি বললাম,,,বল। মা বলল,,,,উনারা এখানে এসে ছিল তোর কথা বলতে।আমি অবাক হয়ে বললাম,,,আমার কথা।মা বলল,,,হ্যা উনারা তোকে কাব্যের বউ করে নিয়ে যেতে চায়। মার কথা শুনে আমি ডেব ডেব করে তাকিয়ে আছি, মা আমার এমন তাকানো দেখে বলল,,,দেখ তোকে আমি জোর করব না আগেও তোর সিদ্ধান্ত এর উপর ছেড়েছি এখনো তাই করব তুই যা চাস তাই হবে।আমি মাকে বললাম,,,,,তোমার কাছে কাব্য ভাইয়াকে কেমন লাগে।মা বলল,,,আমি তো খুব পছন্দ করি তা দিয়ে কি হবে তুই কি চাস।আমি নিচের দিকে তাকিয়ে বললাম,,,তুমি যা চাও।

মা আমার কথা শুনে অবাক হয়ে তাকালো আর বলল,,,তার মানে আমি কি এটা ভাববো তুই রাজি।আমি শুধু মাথা নাড়িয়ে সাই দিলাম, মা এক আনন্দময় হাসি দিয়ে আমাকে জরিয়ে ধরলো।

এভাবে কেটে গেল কিছু দিন, ভার্সিটির মাঠে হাটছি হিয়াকে খুজছি তখনি কারও সাথে ধাক্কা খেলাম, তাকিয়ে দেখি রিদি আপু, তাড়াতাড়ি বললাম,,,,সস,সরি আপু আমি খেয়াল করি নিই।
উনি ভিশন রেগে বলল,,,,চুপ কর তুমি কতটা জেনে করেছো বা না জেনে করেছো তা আমার ঠিক মতো জানা আছে। আমি অবাক হয়ে বললাম,,আপনি এভাবে কেন কথা বলছেন আমার সাথে। উনি রেগে বললেন,,,তাহলে কিভাবে বলব তোমার জন্য আমি কাব্য হারিয়ে ফেলেছি।
– আমার জন্য মানে কি বলতে চান
– তোমাদের বিয়ের কার্ড আমি পেয়েছি, কি ব্লাক ম্যাজিক করেছো কাব্যকে যে ও আমাকে না বিয়ে করে তোমাকে করছে
– দেখুন আপু আমি মোটেও কোনো ব্লাক ম্যাজিক করি নিই আপনি বরং উনাকে গিয়েই জিজ্ঞেস করেন।

বলেই উনার সামনের থেকে চলে আসলাম, মেজাজটা পুরো খারাপ হয়ে গেল, আসলেই কি উনাদের মাঝে কোনো সম্পর্ক ছিল নাকি রিদি আপু মিথ্যে বলল,না এমন হতে পারে না কাব্য আমাকে ভালোবাসে আর আমি কাব্যকে এখন এটাই সত্যি আর অন্য কিছু না।চোখে পড়লো একটা গাছের নিচে হিয়া বসে আছে, আমাকে দেখে গাল ফুলিয়ে অন্য দিকে ঘুরে বসলো, আমি ওর সামনে গিয়ে বললাম,,,
– কি ব্যাপার আমার বেস্টুটা এমন গাল ফুলিয়ে আছে কেন
– আমি তোর সাথে কথা বলব না
– কেন
– কেন মানে, তোর এত বড় একটা কথা আমাকে জানাবার প্রয়োজন বদ্ধ করলি না
– দেখ ওইসব বলার মতো ছিল না, আমাদের যে বিয়ে হয়ে গেছে সেটা তুই জানলে চাইলেও আটকে রাখতে পারতি না কাউকে না কাউকে মুখ ফসকে বলে ফেলতি তাই তোকে জানাই নিই,প্লিজ রাগ করিস না
– ওকে আমি জানি আমার এই সমস্যা টা আছে
– হুম এবার আমার বিয়েতে আনন্দ করিস
– তা তো করবই

হিয়ার সাথে কথা বলতে বলতে হঠাৎ কাব্য চলে আসলো, হিয়া ধিরে ধিরে আমাকে বলল,,,যা তোর ডেভিল চলে এসেছে।আমি ওর কথা শুনে মুচকি হেসে ওকে বায় বলে কাব্যের কাছে গেলাম।

কাব্য আর আমি বাইক থেকে নেমেছি, ও আমাকে বলল,,,কোন রেস্টুরেন্টে এতে যাবে।আমি বললাম,,,, কোনো রেস্টুরেন্টে এতে যাব না।ও আমার কথা শুনে অবাক হয়ে বলল,,,তাহলে কোথায় যাব।আমি বললাম,,
– যাব কিন্তু কোনো রেস্টুরেন্টে এতে না, তুমি কখন বাহিরের খাবার খেয়েছো
– না তেমন খাওয়া পড়ে নিই
– আজ খেয়ে দেখো, ওই দেখো একটা লোক দাড়িয়ে আছে প্রথমে উনার কাছে গিয়ে পানি পুড়ি খাব,তারপর
– তারপর
– আগে চল পানি পুড়ি খাই তারপর দেখা যাবে
– ওকে চল

তারপর দুজন মিলে পানি পুড়ি খেতে লাগলাম, আমি ওকে বললাম,,,এই শোনো।
– বল
– কম্পিটেশন করবা
– কিসের
– পানি পুড়ি খাওয়ার
– ইম্পসিবল
– কেন
– তোমার সাথে আমি পারব না, আর এতো তাড়াতাড়ি খাচ্ছো কেন ধিরে ধিরে খাও কেউ নিয়ে যাবে না
– না আমি তাড়াতাড়ি খেতে ভালোবাসি

আঙ্কেল টা বলল,,,আজ তুমি একা যে তোমার লোগে ওই মাইয়া কই।আমি বললাম,,,হিয়া আজ আসে নিই।পাশ থেকে কাব্য বলল,,,উনি তোমাদের চেনে কিভাবে।আমি বললাম,,,আমরা প্রায় আসি এক সাথে এই জন্য চেনে।কাব্য বুঝতে পেরে চুপ হয়ে গেল, ওই আঙ্কেলটা আবার বলল,,এই পোলা কে তোমার লোগে।আমি কিছু বলার আগেই কাব্য বলে উঠল,,, হাসব্যান্ড। লোকটা কিছুখন চুপ হয়ে থেকে বলল,,তোমাগো বিয়া হইসে।কাব্য সামান্য হেসে বলল,,হ্যা।
লোকটাও খুশি হয়ে বলল,,,,,ওও ভালো থাইকো তোমরা।কাব্যও মুচকি হেসে বলল,,, দোয়া করবেন,,

চলবে,,,,

ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
চলবে,,,,,,

ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন

/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here