না_চাইলেও_তুমি_আমার পর্ব ৯+১০

#না_চাইলেও_তুমি_আমার💞
#লেখিকা_লায়লা_আঞ্জুমান_ইতি
#পার্ট_০৯




উনি মুচকি হেসে চলে গেলেন, আমিও দরজা বন্ধ করে চুপি চুপি রুমে দিকে যেতে লাগলাম ওমনি পিছন থেকে মা বলল,,,এত রাতে কোথায় গিয়ে ছিলি।বাবা রে দেখে ফেলে নিতো ইশশশ আবার একটা ঝামেলায় পড়লাম, মুখে একটা নকল হাসি টেনে বললাম,,,,মা ওই গলা শুকিয়ে আসছিল রুমে পানি ছিল না তাই পানি খেয়ে আসলাম।মা বলল,,,,,ও অনেক রাত হয়েছে গিয়ে শুয়ে পড় নইলে সকালে উঠতে পারবি না।

আমি হ্যা বলে রুমে এসে পড়লাম আজ খুব বাচা বেঁচেছি।বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম আর ডেভিলটার সাথে কাটানো সময় টুকু নিয়ে ভাবতে লাগলাম সত্য বলতে আমারও খুব ভালো লেগেছে উনার সাথে সময় কাটাতে।আমার যে কি হয়েছে এই কিছু দিন ধরে নিজেও জানি না।

পরের সন্ধ্যায় মা আমাকে তাড়া দিয়েই যাচ্ছে যাওয়ার জন্য,আমার কি আমি ধিরে ধিরে রেডি হচ্ছি,মা এসে রেগে বলতে লাগল,,,তোকে কালকেই বলেছি আর তুই কি না আমার থেকেও স্লো।

মার দিকে ফিরে শান্ত গলায় বললাম,,রিলেক্স মা আমার সময় লাগবে না।মা আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,,,,কখন তুই রেডি হবি মাএ ড্রেস নিয়ে ওয়াসরুমে যাচ্ছি পাঁচ মিনিটের মধ্যে রেডি হয়ে আয়।

বলেই মা চলে গেল।আমিও ওয়াসরুমে গিয়ে নীল রঙের থ্রি পিস টা পড়ে নিলাম,তারপর বের হয়ে চোখে একটু কাজল আর মাসকারা দিয়ে নিলাম, কানে স্টিল কালারের ঝুমকা পড়ে নিলাম,মাঝে সিতি করে চুল ছেড়ে দিলাম, এক হাতে স্টিলের চুড়ি অন্য হাতে একটা ঘড়ি ব্যস আমি রেডি।

তারপর মা আর আমি গাড়ি করে কাব্যদের বাড়ীতে গেলাম।বাড়ীরর সামনে গাড়ি যেতেই দারওয়ান গেট খুলে দিল, গাড়ি আর কিছুটা গেল, গাড়ি থেকে নেমে চার পাশ দেখতে লাগলাম,বাড়ীটা অনেক বড় আর খুব সুন্দর দেখতে, ভিতরে ঢুকতেই দেখি অনেক মানুষ আর অনেক গুলো মেয়ে এত মেকআপ করা পুরো সাদা হয়ে আছে, অবশ্য দেখতে সুন্দর দেখাচ্ছে।
চারপাশ খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে, কিছুখন পর একটা লোক আসলো এসেই মাকে বলল,,,,রুপালি কেমন আছেন। মা উনাকে দেখে সামান্য হেসে বলল,,, জ্বি ভালো স্যার আপনি।
উনি কিছুটা রেগে বলল,,,,কতবার বলেছি স্যার ডাকবেন এটা কি অফিস নাকি।মা বলল,,,ঠিক আছে ভাইজান।উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,,,,,,ও কে রুপালি।মা বলল,,,ও আমার মেয়ে ইতি।মা আমার দিকে ফিরে বললেন,,,,,আর ইতি উনি হলেন কাব্যের বাবা।

এত খনে বুঝতে পারলাম কাব্য আর উনার চেহারার মাঝে অনেক মিল,উনাকে দেখে কেউ বলবে উনার এত বড় একটা ছেলে আছে।উনি আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন,,,,
কেমন আছো মামুনী।আমি মুচকি হেসে বললাম,,,,,ভালো আপনি।উনি সামান্য হেসে বললেন,,আমিও ভালো।তারপর মার দিকে ফিরে বলল,,,,রুপালি আপনার এত মিষ্টি একটা মেয়ে আছে আমার তো জানা ছিল না। মা সামান্য হেসে বলল,,,,,আপা কোথায় আর কাব্য। উনি বললেন,,,সোনালী কাব্যের কাছে গিয়েছে চলে আসবে কিছুখন পর।

এর মাঝে সিড়ি দিয়ে কাব্য নেমে আসলো, একটা হোয়াইট কালারের শার্ট, ব্লাক কালারের পেন্ট, আর ব্লু কালারের কোর্ট, হাতে একটা কালো ঘড়ি, চুল গুলো বার বার চোখের সামনে পড়ছে, সে আবার হাত দিয়ে চুল গুলো সরিয়েও নিচ্ছে, কি যে লাগছে দেখতে, চোখ ফিরাতে ইচ্ছে করছে না আর সাথে তো আছে উনার বাকা দাঁতের হাসি।

কিছুখন পর অনুষ্ঠান শুরু হলো, হাতে জুসের গ্লাস নিয়ে চারপাশ হেটে দেখতে লাগলাম আসলেই বাড়ীটা খুব সুন্দর, হঠাৎ কারও সাথে ধাক্কা খেলাম জুসটা গিয়ে পড়লো উনার কাপড়ে তাড়াতাড়ি বলতে লাগলাম,,,,,সরি সরি সরি সরি সরি সরি আই এম রিয়েলি সরি আমি একদম ইচ্ছে করে করি নিই।ভদ্র মহিলাটা হেসে বলল,,,,থাক কোনো সমস্যা নেই রিলেক্স।
– থ্যাংকস
– তুমি কে
– আমি ইতি, আমার মা রুপালী আফরাদ, শাহিন আঙ্কেলের অফিসে কাজ করে
– ও তাহলে তুমি রুপালি আপার মেয়ে
– হ্যা
– কেমন আছো দেখা হয়ে ভালো লাগলো
– জ্বি ভালো, আপনি
– আমিও
– আপনার শাড়িটা নষ্ট হয়ে গেছে, আপনি কে
– আমি সোনালি আহমেদ কাব্যের মা।

কথাটা শুনে অবাক হয়ে গেলাম, উনি তাহলে কাব্যের মা ভদ্র মহিলা এখনও খুব সুন্দর দেখতে। আচ্ছা উনারা তো জানে না যে আমার আর উনার ছেলের বিয়ে হয়ে গেছে যখন জানবে তখন কি হবে। আমার এইসব ভাবনার ছেদ ঘটালো উনার কথা,,
– কি হলো কি ভাবছো
– না তেমন কিছু না কিন্তু আপনার শাড়ি
– থাক আমি চেঞ্জ করে আসি, তুমি চিন্তা কর না।

উনি চলে গেলেন, আমি আবার সামনের দিকে হাটতে লাগলাম,হঠাৎ এক হেঁচকা টানে আমাকে একটা রুমে নিয়ে গেল, তাকিয়ে দেখি কাব্য। রেগে বলতে লাগলাম,,,,,আপনি কি পাগল।উনি সামান্য হেসে বললেন,,,,তুমি তো জানোই যে আমি পাগল আচ্ছা এটা বল আমার বাবা মাকে তোমার কেমন লেগেছে।
– উনারা খুবই ভালো আমার ভিশন ভালো লেগেছে
– আর তোমার স্বামীর বাড়ি কেমন লেগেছে, তোমার
– হুম সুন্দর

বলেই আমার ভ্রু কুচকে গেলো,উনার দিকে তাকিয়ে দেখি উনি মুচকি হাসছে

এখন ভিশন লজ্জা লাগছে, একটু মেজাজ দেখিয়ে বললাম,,,কক,কক,কিসের স্বামীর বাড়ী আপনার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।উনি আমার কথা শুনে কিছুটা রেগে বলল,,,,কবে ঠিক হবে তুমি তোমার এই মাথার সমস্যা এতো সহজে যাবে বলে আমার মনে হয় না।উনার কথা শুনে হা হয়ে গেলাম, একটু রেগে বললাম,,,এই শুনুন।এর মাঝেআওয়াজ আসলো কাব্যের মা কাব্য ডাকতে ডাকতে রুমে আসছে, এখন কি করি এক সাথে দেখে আবার যদি কিছু মনে করে।উনার দিকে তাকিয়ে বললাম,,,,আপনার মা আসছে।উনি শান্ত ভাবে বলল,,,তো আসুক।
– আপনাকে আর আমাকে এক সাথে দেখে কি মনে করবে
– কি মনে করবে বেশী কিছু বললে বলে দেব তুমি তো আমার বউ
– আপনি আসলেই একটা পাগল আমি চাই না কোনো সিনক্রিয়েট হক

বলেই গিয়ে বিছানার পিছনে লুকিয়ে পড়লাম, আড় থেকে দেখতে পেলাম কাব্যের মা আসলো আর সাথে রিদি আপু, রিদি আপু হলো কাব্যের ক্লাস মেট আর তার ফ্রেন্ড ও খুবই সুন্দর দেখতে আর খুব স্টাইলিশ, উনাকে তো ভার্সিটি কাপানো সুন্দরী ও বলে অনেকে।আন্টি এসে কাব্যকে বলল,,,,
– কাব্য তুই এখানে কি করছিস রিদির বাবা তোর সাথে দেখা করতে চায়
– কেন আমার সাথে কি কথা বলবে
– আমাদের কোম্পানির সাথে ওদের কোম্পানির কত বড় ডিল হয়েছে ভুলে গিয়েছিস
– ঠিক আছে তুমি যাও আমি আসছি

কাব্যের মা চলে গেল, রিদি কাব্যর দিকে তাকিয়ে বলতে লাগল,,,কাব্য তোমার এই বার্থডে পার্টিটা অনেক সুন্দর হয়েছে সব কিছু খুব এক্সপেন্সিভ। কাব্য কোনো রিয়েকশন না নিয়ে বলল,,
– রিদি শোনো সব কিছু এক্সপেন্সিভ হলেই সুন্দর হয় না, পার্টিতে অনেকে এসেছে তাদের জন্য পার্টিটা আরো সুন্দর হয়ে উঠেছে।
– ও কাব্য বেবি তুমি এখন কত আদিমকালের কথা বল
– রিদি আমার মনে হয় এখন তোমার যাওয়ার দরকার
– একা কিছুটা সময় পেয়েছি একটু সাথে থাকো না, ডেডিকে আমি বলেছি তোমার কথা
– তো, আর এখন আমার তোমার সাথে সময় কাটাবার কোনো ইচ্ছে নেই সো প্লিজ
– ওকে বায়য়য়

বলেই কাব্যকে জরিয়ে ধরলো আর কাব্য সাথে সাথে নিজের থেকে ওকে সরিয়ে দিল, রিদি একটু হেসে চলে গেল, আর কাব্যের মুখে বিরক্তি স্পস্ট বোঝা যাচ্ছে। এই সব চোখের সামনে দেখে মেজাজটা সাত আসমানে উঠে গেল
#না_চাইলেও_তুমি_আমার💞
#লেখিকা_লায়লা_আঞ্জুমান_ইতি
#পার্ট_১০




এই মেয়েটা এমন কেন। আর কিছু না ভেবে বিছানার পিছন থেকে বেড়িয়ে এসে উনার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে নিক্ষেপ করলাম,উনি কিছুটা ঘাবড়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,,,,ইতি তুমি কিছু মনে কর না ও আসলে। একটু রেগে বললাম,,,ও কি যা খুশি তা করুক তাতে আমার কি। বলেই রেগে সামনের থেকে চলে আসলাম।

রাতে বিছানায় শুয়ে আছি চোখে একটুও ঘুম আসছে না শুধু ওই দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠছে, এইসব মাথায় আসতেই রাগে মনে হয় পাগল হয়ে যাচ্ছি। ফোন একেরপর এক কল দিয়েই যাচ্ছে ওই ডেভিলটা, আর একটু পর পর ই এক একটা এস এম এস আসছে, তাই ফাইনালি ফোনটা বন্ধ করে দিলাম, কেন জানি না খুব খারাপ লাগছে খুব,কেন ওই মেয়েটা উনাকে জরিয়ে ধরবে, মন চাইছে সব কিছু ভেঙ্গে ফেলি রাগ আর কন্ট্রোল করতে পারছি না।
শরীরটা খারাপ লাগছে রান্না ঘরে গেলাম কেমন যেন অস্থির লাগছে, গলা শুকিয়ে আসছে জগ থেকে পানি ঢেলে খেতে গিয়ে হাত কেপে পানির গ্লাসটা পড়ে গেল,মা এসে আমাকে দেখে বলল,,,,ইতি কি হয়েছে মা এমন করছিস কেন।মা এসেই আমার হাত ধরলো তারপর কপাল আর গাল ধরে বলল,,,তোর শরীরে এত জ্বর আসলো কিভাবে।

পরে মা রুমে নিয়ে গেল, কখন যেন ঘুমিয়ে পড়লাম সকালে উঠে দেখি মা পাশে চেয়ারে ঘুমিয়ে আছে, পাশে জলপট্টি পানির রাখার থার্মোমিটার মেডিসিনের বক্স।উঠে বসলাম শোয়া থেকে মা শব্দ পেয়ে মা জেগে, তাকিয়ে বলল,,,, উঠে গিয়েছিস কেমন লাগছে তোর এখন রেডি হো ডাক্তারের কাছে যাব।মার দিকে তাকিয়ে শান্ত হয়ে বললাম,,,,মা আমি এখন ঠিক আছি ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না।মা আমার দিকে ফিরে বলল,,,,আজ ভার্সিটি যাওয়ার দরকার নেই আর আমিও আজ অফিসে যাব না।আমি মার দিকে ফিরে বললাম,,,,
– কেন মা, আমি ঠিক আছি তুমি যাও
– বললাম না যাব না তোর শরীরটা ভালো না খালি বাড়ীতে কি করবি
– মা প্লিজ আমি ঠিক আছি চিন্তা কর না
– তোর এমন হঠাৎ জ্বর হলো কেন
– আমি কিভাবে জানি
– সত্যি করে বল কি নিয়ে চিন্তায় আছিস?
– মা কিছু না তুমি শুধু শুধু চিন্তা করছো,তুমি এখন রেস্ট নেও কাল ঠিক মতো ঘুমাও নিই
– ঠিক আছে আগে তোকে খাইয়ে নিই তারপর ঘুমাবো
– ওকে

মা চলে গেল, আমি একটু অন্য দিকে ঘুরে কালকের কথা ভাবতে লাগলাম,উনার সাথে যা খুশি তা করুক তাতে আমার কি আমি কেন এত ভাবছি আমার কেন এত কষ্ট হচ্ছে। অনেক হয়েছে আর ভাববো না এইসব নিয়ে।

কিছুখন পর মা আমাকে খাইয়ে দিল,তারপর ঔষধ খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম, হঠাৎ অনুভব হলো কেউ আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে চোখ না খুলেই হাতটা ধরে বলতে লাগলাম,,,মা তুমি রেস্ট নেও আমি ঠিক আছি,ধিরে ধিরে চোখ খুলে দেখি,,,,,,,,,,

কাব্য আমার সামনে বসে আছে, মুখে গম্ভীর ভাব চোখ দুটো লাল হয়ে আছে।
আমি উনাকে দেখে বললাম,,,,আপনি এখানে কিভাবে আসলেন।উনি বললেন,,,,আন্টি আজ অফিসে যায় নিই উনার কাছে একটা ফাইল দেওয়ার ছিল তাই দিতে এসে ছিলাম।আমার হুট করে কাল রাতের কথা মনে পড়ে গেল আর সাথে সাথে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল, রেগে বলতে লাগলাম,,,,,তাহলে আপনি আমার রুমে কি করছেন যান এখান থেকে।উনি একটু রেগে বলল,,,যাব না কি করবে বেশী কথা বললে এখনি সবাইকে আমাদের বিয়ের কথা জানিয়ে দেব।

এই একটা বিষয় নিয়ে এই ডেভিলটা আমাকে খুব জ্বালায়, এর ভয়ে কিছুই করতে পারি না।আর কিছু না বলে চুপ হয়ে রইলাম, উনি কিছুটা শান্ত হয়ে বলল,,,, ইতি প্লিজ আমার কথা শোনো কাল রাতে রিদি।আমি উনাকে আর কিছু বলতে দিলাম না, আমি নিজেই বলতে লাগলাম,,
কি বলতে চান আপনি রিদি আপুর কথা, তাহলে শুনুন উনি আপনাকে জরিয়ে ধরলো বা যা খুশি তা করুক তাতে আমার কিছু যায় আসে না।উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,,,,তাই তোমার কিছু যায় আসে না। আমিও শক্ত হয়ে বললাম,,,না আমার কিছু যায় আসে না।

উনি আর কিছু না বলে উঠে চলে গেলন,আমি অন্য দিকে তাকালাম।কিছুখন পর মা এসে বলল,,কিরে কাব্য চলে গেছে।আমিও মাথা নাড়িয়ে সম্মত দিলাম।মা আর কিছু না বলে চলে গেল।আমিও কিছুখন চুপ রইলাম।

পরের দিন ভার্সিটিতে, ক্লাস শেষ করে আমি আর হিয়া ক্যান্টিনে বসে কফি খাচ্ছি, হঠাৎ কোথা থেকে আমাদের সামনের টেবিলে কাব্য আর উনার বন্ধুরা এসে বসে পড়লো, এইটুকু ঠিক ছিল কিন্তু কিছুখন পর ওখানে রিদি আসলো, এসে কাব্যের পাশের চেয়ারে বসে পড়লো পাড়লে তো কাব্যের কোলে বসে পড়তো।আর এই টুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকে নিই একের পর এক ন্যাকামী করেই চলেছে কাব্যের সাথে।বিরক্তিকর জাস্ট বিরক্তকর আর সহ্য না করে সামনের থেকে উঠে চলে আসতে গেলাম ওমনি কাব্য ডেকে উঠলো,,,, এই মেয়ে শোনো।
– আমাকে বলছেন
– হ্যা তোমাকেই বলছি
– বলুন
– নাম কি তোমার আর কিসে পড়ো

ইশশশ ন্যাকামী দেখলে শরীর জ্বলে যায় আমাকে মনে হয় চেনেই না যতসব। উনি আবার ধমকে বলে উঠলেন,,,
– কি হলো কিছু বলেছি তোমাকে
– হ্যা আমার নাম ইতি আফরাদ আর আমি এইবার অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি।
– ওকে যাও আমাদের সবার জন্য কোক নিয়ে আসো।
– আমি
– কেন কোনো সমস্যা আছে নাকি
– না আমি এনে দিচ্ছি

এই ডেভিলটা তো আস্ত একটা ফাজিল,রেগে আছে দেখে আমার সাথে এমন ব্যবহার করছে, তো কি হয়েছে আমিও দেখিয়ে দেব উনার এই রাগে আমার কিছু হবে না।গিয়ে সবার জন্য কোক নিয়ে আসলাম তারপর এক এক জনকে দিয়ে দিলাম,দেওয়া শেষ হতেই পিছনে ফিরে চলে যেতে লাগলাম,ওমনি আবার ডাক দিল কাব্য।পিছনে ঘুরে বললাম কি হয়েছে, উনি বললেন,,,,আমার কোকের বোতলটা খুলে দেও।

উনার এমন কথা শুনে রাগে হচ্ছে ভিশন, তাও বুঝতে দিলাম না গিয়ে বোতলটা খুলতে গিয়ে কোক পড়লো কাব্যের শার্টে, ইশশ এখন কি হবে নির্ঘাত আরও রেগে গেছে।পাশ থেকে রিদি উঠে বলতে লাগল,,,এই মেয়ে ঠিক মতো কিছু করতে পার না।বলেই কাব্যের দিকে ফিরে বলতে লাগল,,,কাব্য বেবি ইউ আর ওকে।কাব্যও শান্ত হয়ে বলল,,,ইয়া আই এম ওকে।আমি বলতে লাগলাম,,,সরি আমি ইচ্ছে করে করি নিই।উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,,,,ওকে যাও তুমি।আমি তো খুশি হয়ে গেলাম যা বাবা তাহলে বেচে গেলাম, খুশি হয়ে বললাম,,,,থ্যাংকস।

পাশের থেকে রিদি আপু বলে উঠল,,,,, কাব্য তুমি ওকে কিছু বলবে না। কাব্য বলে উঠলেন,,, রিলেক্স রিদি। আমিও তাড়াতাড়ি চলে যাওয়ার জন্য পিছনে ঘুরে যেতে লাগলাম,,ওমনি আবার পিছন থেকে ডাকলো পিছনে ঘুরতেই কাব্য আমার মুখে কোক ফিক্কে দিল, আমি চোখ দুটি বন্ধ করে নিলাম, ধিরে ধিরে চোখ খুলে দেখি সবাই আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে শুধু কাব্য ছাড়া আমি অবাক হয়ে উনার দিকে তাকালাম, উনি এবার শক্ত চোখে তাকিয়ে বলল,,,নাউ ইউ ক্যান গো,,,

চলবে,,,,,,

ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
চলবে,,,,,,,

ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here