না_চাইলেও_তুমি_আমার পর্ব ৫+৬

#না_চাইলেও_তুমি_আমার
#লেখিকা_লায়লা_আঞ্জুমান_ইতি
#পার্ট_০৫




দেখতে দেখতে শপিংমল পৌছে গেলাম।গাড়ি থেকে নেমেই এক দৌড় দিলাম ভিতরে।পিছনে মা আর কাব্য আসছেন।মা আমার কাছে এসে বলল,তুই দুতলায় যা ওখানে শাড়ির দোকান আর আমি এই দিকে চশমার দোকানে যাচ্ছি চশমা নিয়েই তোর কাছে যাব।তারপর মা কাব্যর উদ্দেশ্যে বলল,তুমি কি নেবে বাবা। ওনি সামান্য হেসে বলল,, আমি শার্ট কেনবো। মা বলল,ও তা তো দুতলায় তাহলে তোমরা এক সাথে যাও।ওনি সামান্য হেসে বলল, ঠিক আছে আপনি চিন্তা করবেন না।

মা চলে গেল,ওনি আমার দিকে ফিরে বললেন,চল ওপরে যাই।আমি ওনাকে কিছু না বলে ডোন্ট কেয়ার একটা ভাব নিয়ে সামনে হাটা দিলাম ওনি দৌড়ে এসে আমার সাথে হাটা শুরু করলো।দুজন মিলে দুতলায় গেলাম,ওনি শার্ট এর দোকানে গেল আর আমি শাড়িরর দোকানে
শাড়ি দেখে মাথা ঘুরে গেল এত সুন্দর সুন্দর শাড়ি যদি আমার কাছে আলাদিনের জ্বীন থাকতো তাকে বলে দোকান সহ বাড়ীতে নিয়ে যেতাম।চার পাশ হেটে হেটে শাড়ি দেখতে লাগলাম, আমার চোখ পড়লো একটা সাদা শাড়ির দিকে সম্পূর্ণ শাড়ি সাদা রং দিয়ে মড়ানো তারপাশেই একটা কালো শাড়ি ওটাও সুন্দর। ভাবতে লাগলাম কোনটা নেবো, আমার আবার সাদা রং টা খুব প্রিয় তাই সীদ্ধান্ত নিলাম সাদাটাই নেব।হুট করে এখানে কাব্য এসে বলতে লাগল,,,কি দ্বিধায় আছো কোনটা নেবে আমি সাহায্য করছি তুমি এই কালো শাড়িটা নেও তোমার গায়ের শ্যামলা রঙে এই কালারটা বেশ মানাবে।আমি একটা বিরক্তিকর হাসি দিয়ে বললাম,না আমি সাদাটা নেব আর এটা যদি আপনার এতই পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে আপনি এটা পড়ে বসে থাকুন আপনার এই ফর্সা রঙে বেশ মানাবে।ওনি আমার দিকে রেগে তাকিয়ে বলল,,,তুমি এত অপ্রয়োজনীয় কথা বেশী বল কেন মাথায় সমস্যা আছে গাধী একটা।ওনার মুখে এইসব শুনে হা হয়ে গেলাম ইচ্ছে করছে এই দোকানটা তুলে ওনার মাথায় একটা বাড়ি দিয়ে ওনার মাথার সমস্যা দূর করে দেই ডেভিল কোথাকার।

এর মাঝে এখানে মা চলে আসলো এসে বলল,,,,কি হয়েছে। কাব্য মার দিকে ফিরে বলল,আন্টি দেখুন এই কালো শাড়িটা কেমন।মা শাড়িটা দেখে বলল,,,খুব সুন্দর শাড়ি তো।কাব্য আবার বলল,,,আন্টি আমি বলছি ইতিকে এই শাড়িটা নিতে কিন্তু ও রাজী হচ্ছে না।
মা আমার দিকে ফিরে বলল,,,নেয় এইটাই নেয় তোকে খুব মানাবে। আমি স্পষ্ট কন্ঠে জানিয়ে দিলাম আমি এইটা নেব না কিন্তু এই ডেভিলটা নিয়েই ছাড়লো।

শপিং শেষ করে বাড়ী ফেরার উদ্দেশ্যে আমরা বের হলাম শপিংমল থেকে।শপিং শেষ করে বাড়ী ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা ছাড়িয়ে গেল।অনেক খন ধরে ট্রাফিক এতে আটকে আছি বাহিরে ঝড় হাওয়া বইছে।তাই এত ট্রাফিক কিছু খনের মাঝেই ঝড় শুরু যেমন বাতাস তেমন বৃষ্টি সাথে তেমন বজ্র পাত, অনেক কষ্টে বাড়ী পযন্ত পৌছালাম, মা কাব্যকে বলল,, ঝড় না থামা পযন্ত আমাদের এখানেই থাকতে,ওনি প্রথমে রাজি হলেন না পরে মার অনেক বলাতে রাজি হয়ে গেল।

বাহিরে প্রচুর ঝড়, মা রান্না ঘরে রান্না করছে, ডেভিলটা বসে বসে মোবাইল টিপছে আর আমি আমার রুমে কালো শাড়িটা দেখছি, শাড়িটা গায়ে দিয়ে আয়নার সামনে দাড়িয়ে এপাশ ওপাশ হয়ে নিজেকে দেখে যাচ্ছি বেশ ভালোই লাগছে, ওনার পছন্দ খারাপ না শাড়িটা বেশ মানিয়েছে আমাকে। হুট করে কারেন্ট চলে গেল পুরো রুম অন্ধকার, এতটাই অন্ধকার নিজেকেও দেখতে পাচ্ছি না,ভয়ে শরীরের লোম দাড়িয়ে গেছে হুট করে মাথায় হরর মুভির এক একটা সিন মাথায় ঘুরতে লাগলো এতে যেন শরীর হিম হয়ে আসছে।মাথায় আসলো ফোন বিছানায়, না দেখেই হাত বাড়াতে লাগলাম বিছানার দিকে,হুট করে বাহিরে বজ্র পাতের আলোতে বিছানায় দেখলাম কে যেন শুয়ে আছে এখন আর মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না, হুট করে ওই আমার হাত টান দিয়ে বিছানায় ফেলে দিল যেই চিৎকার করতে যাব ওমনি মুখ চেপে ধরলো, আর ধির কন্ঠে বলতে লাগল,,, আস্তে আমি কোনো ভূত না।আর বুঝার বাকি নেই কে, আমার মুখ থেকে ওনার হাত সরিয়ে দিলাম।

রেগে বলতে লাগলাম,,আপনি আমাকে মারতে চান নাকি কখন আসলেন।ওনি বলতে লাগল,,কারেন্ট যাওয়ার পর আন্টি বলল তোমাকে নিয়ে যেতে তুমি নাকি আবার অন্ধকার খুব ভয় পাও।আমি অবাক হয়ে বললাম,,,আমাকে ডাকতে এসেছিলেন যখন না ডেকে চোরের মতো বিছানায় শুয়ে ছিলেন কেন? ওনি আমার কথায় সামান্য হেসে বলল,,,আর কেন তোমাকে ভয় দেখাতে।এই লোকটা এমন কেন ডেভিল তো ডেভিলের মতোই হবে। এসব মনে মনে বকতে লাগলাম ওনি হুট করে বলে উঠল,,, বাহিরে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই নাকি আমার সাথে এভাবে থাকতে তোমার ভালো লাগছে অবশ্য তুমি যদি আমার বুকে এভাবে থাকতে চাও আমার কোনো অসুবিধা নেই।ওনার কথা শুনে খেয়াল করতেই দেখলাম আমি এতখন ওনার বুকের ওপর আছি আর এক মিনিট ও না দেরি করে তাড়াতাড়ি উঠে পড়লাম।

ওনি সামান্য হেসে বলল,,,চল। আর কিছু না বলে ওনার সাথে যেতে লাগলাম চারপাশ অন্ধকার, শরীর ঝমঝম করছে ওনি মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে সামনে যাচ্ছে, ওনি আমার সামনে। আমি ওনাকে ডাক দিলাম,, শশশ,শুনুন। ওনি পিছনে ঘুরে বলল,,কি হয়েছে। আমি বললাম,,আপনি আমার সাথে সাথে হাটুন পিছনে আমার ভয় করছে।আমার কথা শুনে সামান্য হেসে পিছনে এসে আমার হাত ধরে যেতে লাগল,ড্রইং রুমে গেলাম,, গিয়ে দেখি মা মোমবাতি জ্বালাচ্ছে, আমরা সামনে যেতেই বলল,,,,কারেন্ট কখন আসবে ঠিক নেই আমি রান্না করেছি চল খাবার সেরে ফেলি।ওনি বলে উঠল,, হুম মোমবাতির আলোতে খেতে ভালো লাগবে।

খাওয়া দাওয়া শেষ করতে করতে কারেন্ট চলে আসলো। খাবার শেষ করে মা আর ওনি কিছুখন কথা বলল তারপর ওনি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হতে গেল। মা ওমনি বলে উঠল,,, কাব্য ইতি এদিকে আয় দেখ নিউস এতে কি দেখাচ্ছে। ঝড়ের কারণে একটা বড় গাছ ভেঙ্গে রাস্তায় পড়েছে তাই গাড়ি চলাচল করতে পারছে না।মা বলে উঠল,,, কাব্য এটা তো তোমার বাড়ী ফিরার রাস্তা তুমি তো যেতে পারবে না।কাব্য বলে উঠলেন,, দেখি কিভাবে যেতে পারি।মা বলল,
তুমি আজ রাত এখানে থেকে যাও আমি তোমার বাড়ীতে ফোন করি।ওনি বলল,,,না না আমি চলে যেতে পারব। আমি সাথে তাল মিলিয়ে বলতে লাগলাম,, হ্যা হ্যা মা উনি চলে যেতে পারবেন।
মা বলল,,,কি বলছিস দেখ নিউস এতে কি দেখাচ্ছে এখনো গাছ উঠাতে পারে নিই কখন পারবে ঠিক নেই আর কত ট্রাফিক। সারা রাত ওকে গাড়িতে কাটাতে হবে।

শেষ মেষ এই ডেভিলটা এখানে থেকেই গেল।উনার থাকার জন্য আমার রুমটা দিল,মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল।এসেই আমার রুমটা দখল করল আর আমি ঘুমাবো মার সাথে।ঘড়িতে সময় ১০ টা বেজে ১৬ মিনিট তিনজন তিন কাপ চা নিয়ে বসে বসে গল্প করছি,তো আমার মনে একটা প্রশ্ন ছিল অনেক দিন ধরে ভার্সিটিতে প্রথম দিন যেতেই এই ডেভিলটা আমার নাম জানলো কিভাবে আর আমাকে চেনে কিভাবে, সুযোগ পেয়ে বললাম,,আচ্ছা কাব্য ভাইয়া কাল খাবার টেবিলে আপনি আমাকে দেখে কিভাবে চিনলেন।ওনি বলল,,,,আন্টি যেই দিন প্রথম অফিসে যায় ওই দিন আন্টির সাথে আমার পরিচয় হয়, আমি আর আন্টি কথা বলছিলাম তখন হুট করে আন্টি ওয়াসরুমে যায় তারপর আন্টির ফোনে একটা এস এম এস আসে লাইট জ্বলতেই সামনে আন্টি আর তোমার ছবি ছিল,পরে আন্টি যখন আসে আমি ওনাকে জিজ্ঞেস করি আপনার পাশে এই মেয়েটা কে ওনি তারপর বললেন, তখন তোমাকে কোন ভার্সিটিতে ভর্তি করাবে আন্টি চিন্তায় ছিল, তাই আমি যেখানে পড়ি তার নাম বললাম আন্টি বাড়ীর কাছে ভার্সিটি হওয়ায় রাজী হয়ে গেল।

উনার এত বড় রচনা শুনে বুঝতে পারলাম তার মানে উনি আগের থেকেই আমাকে চেনে, আর জেনে শুনে এত বিরক্ত করত আমাকে। বাহ কি অভিনেতা মার সামনে কত ভালো ছেলের রোল করছে।
#না_চাইলেও_তুমি_আমার💞
#লেখিকা_লায়লা_আঞ্জুমান_ইতি
#পার্ট_০৬




মাঝ রাতে ভারি বজ্রপাতে চোখ খুলে গেলো,শোয়া থেকে উঠে বসে পড়লাম মা পাশে কি সুন্দর ঘুমিয়ে আছে কিন্তু আমার তো আর ভয়ে চোখ বন্ধ হচ্ছে না গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে, পাশের টেবিল থেকে পানি খেতে গিয়ে দেখি গ্লাসে পানি নেই,উঠে রুম থেকে বাহিরে গেলাম,
পানির একটা বোতল নিয়ে রুমে ফেরার সময় দেখতে পেলাম আমার রুমের লাইট এখনো
জ্বলছে দরজাটাও খোলা,গিয়ে একটু উঁকি দিলাম কিন্তু চোখে কিছুই পড়ছে না আর
উনাকেও দেখলাম না, তাই আর না দাড়ি আবার ঘুরে যেই মার রুমের দিকে ফিরলাম, তখনি এক টানে আমাকে রুমের ভিতরে নিয়ে নিল।

আর কে আমার ডেভিলটা,,, কি হয়েছে আপনার এমন ভাবে ভিতরে টেনে আনলেন কেন? উনি একটা ভাব নিয়ে বলল,,,,তুমি এখানে কেন এত রাতে আমার কথা মনে পড়ছিল নাকি।বলেই মুচকি হাসলো উনার এই হাসিটা আমার একদম ভালো লাগে না রেগে বললাম,,,,আপনার কথা তো আমার দুঃস্বপ্নেও মনে পড়ে না।উনি একটা ব্যাপক ভাব নিয়ে বলল,,,আজ আমার শশুর বাড়ীতে প্রথম রাত সবই ঠিক আছে শুধু এই রুমে আমার সাথে তোমারও থাকার দরকার ছিল।আমি বললাম,,,ফালতু কথা বন্ধ করুন আপনার জন্যই ভালো হবে আর মাকে আপনি কোনো ব্লাক ম্যাজিক করেছেন নাকি উনি শুধু আপনার প্রশংসাই করতে থাকে।

উনি আমার দিকে ফিররে বললেন,,,,আমি যেমন তাই তো বলে আমি সবার কাছেই ভালো ছেলে কিন্তু একমাত্র তোমার কাছে আমি ডেভিল। আমি আতকে উঠলাম উনি কিভাবে জানে যে আমি উনাকে ডেভিল ভাবি।উনি আমার টেবিলের কাছে গিয়ে একটা কালো ডায়েরী আমাকে দেখিয়ে বলল,,,এই ডায়রীতে এখন পযন্ত তোমার সব সরণীও দিনের কথা লেখা আছে তোমার ভার্সিটির প্রথম দিন প্রথম ক্রাশ এবং আমাদের বিয়ের কথাও আমার কথাটা বেশী লেখা।

এখন খুব রাগ হচ্ছে সাথে খুব লজ্জা ও লাগছে হ্যা প্রথম দিন দেখে আমার উনাকে ভালো লেগে ছিল কিন্তু তারপরের থেকে উনি যেই আচরণ করতো তা থেকে আমি বিরক্ত হয়ে উনার নাম ডেভিল রেখে দেই।উনি হঠাৎ বলে উঠলেন,,,,,কি ভাবছো আচ্ছা তোমার তো ডেভিল মার্কা হিরো গুলোকে খুব ভালো লাগে।আমি রেগে বললাম,,, এখন আর ভালো লাগে না।উনি ভ্রু কুচকে বললেন,,,কেন? আমি রেগে বলতে লাগলাম,,,কারণ ডেভিল হিরো গুলোকে গল্পে মুভিতেই মানায় রিয়েল লাইফে এটা কতটা ভয়ঙ্কর তা আমার বুঝা হয়ে গেছে আর আপনি তো দেখি আমার কল্পনা থেকেও বেশী খারাপ না বলে অন্যেরে ডায়েরী পড়া শুরু করে দিয়েছেন। উনি একটা ভাব নিয়ে বললেন,,আমি তো অন্যের ডায়রী পড়ি নিই আমি আমার বউয়ের ডায়রী পড়েছি।

উনাকে আর কিছু না বলে উনার সামনের থেকে চলে আসলাম,এই লোকটা এত বেহায়া কেন?
আর ভালো লাগে না। গিয়ে মার পাশে শুয়ে পড়লাম।সকালে চোখ খুলে দেখি সকাল ৬ টা বেজে ৩৪ মিনিট আবার চোখ দুটো বন্ধ করে নিলাম,একটু পর মা এসে আবার ডাকাডাকি শুরু করলো,আর না ঘুমিয়ে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রান্না ঘরে গেলাম গিয়ে বললাম,,,,মা চা দেও তো এত কিছু কি করছো।মা আমার কথার উওরে বলল,,,দেখছিস না রান্না করছি কাল তো ছেলেটাকে তেমন কিছুই খেতে দিতে পারলাম না।ইশশশ কি ছেলেটা না এর কর্মকাণ্ড তুমি জানলে বিশাল মাপের একটা ধাক্কা খাবে এইসব ভাবতে ভাবতে মা বলে উঠল,,, এই নেয় তোর চা আর এই চা টা কাব্যকে দিয়ে আয় ও হয় তো উঠে গেছে আর না উঠলে ধিরে ধিরে জাগিয়ে দিস ওকে আবার ওর বাড়ীও ফিরতে হবে।

আর কিছু না বলে চা নিয়ে রুমে গেলাম গিয়ে দেখি মহারাজ মনের শান্তিতে ঘুমের রাজ্যে দোলনা খাচ্ছে, উনার ঘুমন্ত মুখটা যেন একদম একটা ছোট বাচ্চার মতো লাগছে খুবই কিউট।
ইশশ আমার নজর তো দেখি খারাপ হয়ে গেছে এভাবে কেউ কোনো ছেলের দিকে তাকিয়ে থাকে, আর কিছু না ভেবে ডাক দিতে লাগলাম,,, এই যে শুনুন উঠুন সকাল হয়েছে, উনি ধিরে ধিরে চোখ খুলে ভ্রু কুচকে আবার ঘুমিয়ে পড়লেন,

ওমনি মাথায় আবার দুষ্টুমি বুদ্ধি ঘুরপাক খেতে লাগল উনার হাতের একটা আঙ্গুল নিয়ে চায়ের কাপে ডুবিয়ে দিলাম ওমনি লাফিয়ে উঠে পড়লো,আমার তো হাসতে হাসতে খুন হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা, কিন্তু উনার কোনো রিয়াকশন নেই আমার দিকে ডেব ডেব করে তাকিয়ে আছে, আমি হাসতে হাসতে বললাম,,

ও হ্যালো চা কি বেশী গরম ছিল যে আপনার কোনো রিয়াকশনই নেই।বলেই আবার হাসতে লাগলাম উনি কিছুখন চুপ থেকে তারপর বলল,,,ওমন ভাবে হাসবে না আমার সামনে খবরদার।উনার কথা শুনে আমার ভ্রু কুচকে গেল আমি আবার কি করলাম একটু রাগ দেখিয়ে বললাম,,,কেন আমার হাসি কি এতই খারাপ নাকি যে আর হাসবো না।উনি আমার দিকে ফিরে একটা মুড দেখিয়ে বলল,,,না হাসবে না। আমি রেগে বললাম,,,,,শুনবো না আপনার কথা। বলেই দাঁত গুলো শেষবারের মতো দেখিয়ে চলে আসলাম।

চলবে,,,,,,,,
ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
চলবে,,,,,,,

ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here