না_চাইলেও_তুমি_আমার পর্ব ৩+৪

#না_চাইলেও_তুমি_আমার💞
#লেখিকা_লায়লা_আঞ্জুমান_ইতি
#পর্ব_০৩




কাব্য আমার সামনে এসে বলল,কি হলো থেমে গেলে কেন কর যা করছিলে।আমি শান্ত ভাবে বললাম,আমি এমন কি করছিলাম। কাব্য ভ্রু কুচকে বলল,দেখলাম তো বাচ্চাদের মতো পাতা উড়িয়ে খুশিতে লাফাচ্ছিলে।একটু রেগে বললাম, তাতে আপনার কি আর আমাকে বাচ্চা বলবেন না এখন বলুন কি করতে হবে। সে অন্য দিকে তাকিয়ে আমাকে বলল,কিছু না। আমি ভ্রু কুচকে বললাম,মানে তাহলে এত খন এখানে অপেক্ষা করিয়ে রেখেছিলেন কেন। সে একটু ভাব নিয়ে বলল,এমনি আমার ইচ্ছে ছিল।

এবার রাগ হচ্ছে কি অদ্ভুত মানুষ ওনার ইচ্ছে করেছে তাই আমাকে আটকিয়ে রেখেছে। আমার দিকে তাকিয়ে বলল,কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছো কেন আই নো আই এম গুড লুকিং নজর লাগাতে চাও নাকি।ওনার কথা শুনে রাগে এখন শরীরটা জ্বলছে তাও কোনো ভাবে রাগটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি।ওনি এবার বলল,চল তোমাকে তোমার বাড়ী পৌছে দিয়ে আসি।আমি রেগে বললাম,নো থ্যাংকস আমি পারব যেতে। ওনি আমাকে চোখ রাঙ্গিয়ে বলল,আমি তোমার ইচ্ছের কথা জিজ্ঞেস করি নিই আমি যা বলেছি তাই হবে চুপচাপ লক্ষী মেয়ের মতো চল আমার সাথে।বলেই হাটা দিল,আমিও আর কিছু না বলে ওনার সাথে গেলাম।

ওনি আমাকে বাড়ীরর সামনে নামিয়ে দিয়ে বলল,যাও। আমি আর কিছু না বলে গাড়ির দরজা খুলে চলে যেতে লাগলাম, পিছন থেকে বলল,কিছু বলবে না মানে বাড়ী পযন্ত দিয়ে গেলাম।তখনি মাথায় দুষ্টুমি বুদ্ধি ঘুরপাক খেতে লাগল ওনাকে রাগানোর জন্য বেগ থেকে ৫১ টাকা বের করে ওনার হাতে দিয়ে হাসি দিয়ে বললাম,, এই নিন এটা আপনার পরিশ্রমের পারিশ্রমিক ৫০টাকা ভাড়া আর ১ টাকা দিয়ে একটা চকলেট কিনে খাবেন খুশি হয়ে এক টাকা বেশী দিয়েছি বায়য়য়।বলেই ওনার সামনের থেকে চলে আসলাম, বাড়ীর গেটে ঢুকতে ঢুকতে একবার পিছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখি সে এখন চুপ হয়ে আছে বেচারা কিছু বুঝে উঠতে পারছে না, প্রচন্ড হাসি পাচ্ছে ওনার এমন মুখ দেখে।

রাতের দিকে আমি আর মা বসে বসে খাবার খাচ্ছি, তখনি মোবাইল বেজে উঠলো তাকিয়ে দেখি ডেভিলটার ফোনে মার সামনে কিভাবে কথা বলব তাই উঠে নিজের রুমে যেতে লাগলাম মা পিছন থেকে বলল,,কোথায় যাচ্ছিস খাবার ফেলে।মুখে একটা নকল হাসি দিয়ে বললাম,মা আমি একটু কথা বলে আসি হিয়া ফোন করেছে।

বলেই রুমে ঢুকে রুমের দরজা আটকে দিলাম ফোন রিসিভ করে বললাম,কি সমস্যা আপনার কেন ফোন করেছন।ওপাশ থেকে বলল,এখনি বাড়ী থেকে নিচে নেমে আসো।কথা শুনে আমার ভ্রু কুচকে গেল আবার মুডটা নষ্ট হয়ে গেল রেগে বললাম, আপনি আবার বাড়ীর সামনে আর পেয়েছেনটা কি আপনি যা বলবেন তাই চলবে। ওপাশ থেকে বলল,ওকে তোমাকে কষ্ট করতে হবে আমি আসছি।বলেই ফোন কেটে দিল আমি অবাক হয়ে বললাম এই মানুষটা এত অদ্ভুত কেন একটু সাভাবিক মানুষের মতো হলে কি কোনো ক্ষতি হয়ে যেতো, হা কি বলল আমি আসছি ভিতরে ওই সাহস আছে ওই ডেভিলটার,বলেই রুমের দরজা খুলে খাবার টেবিলের সামনে গিয়ে ওখানকার পরিবেশ হতভম্ব হয়ে গেলাম কি দেখছি এইসব ওনি টেবিলে বসে আছে আর মাও ওনাকে মুখে তুলে খাইয়ে দিচ্ছে, চোখ মনে হয় বিশ্বাসই করতে চাইছে না,খাবার খেতে খেতে ওনি একবার আমার দিকে তাকালো নিজের দিকে খেয়াল করতেই চোখে পড়লো আমি ওড়না ছাড়াই বাহিরে চলে এসেছি এক দৌড়ে রুমে গিয়ে ওড়না পড়ে নিলাম ঠিক করলাম এখন আর রুম থেকে বেরই হবো না।কিন্তু মার ডাকাডাকিতে এবার ওনার সামনে যেতেই হলো।

ওনি আমাকে দেখে এমন ভাব নিলো মনে হয় আমাকে চেনেই না,ওনি মার উদ্দেশ্যে বলল,আন্টি ও। বলার আগেই মা বলে উঠল,, হ্যা ও ইতি আমার মেয়ে। পরে মা আমার দিকে তাকিয়ে বলল,ইতি ও কাব্য তোদের ইউনিভার্সিটিতে পড়ে তোর সিনিয়র। আমিও একটা না চেনার ভাব নিলাম হেসে বললাম,ও,,,।ওনি মুচকি হেসে বলল,,কেমন আছো তোমার সাথে পরিচয় হয়ে ভালো লাগলো।আমি নকল হাসি দিয়ে বললাম,আমারও ভা,,ভালো লাগলো।

ওনাকে এগিয়ে দিতে গেট পযন্ত গেলাম ওনার সাথে আমি রেগে বলতে লাগলাম,আপনি তো সাংঘাতিক ভয়ঙ্কর মানুষ এভাবে বাড়ীতে ঢুকে পড়লেন আর মা বা আপনাকে চেনে কিভাবে। ওনি আমার কিছুটা কাছে এসে বলল,রিলেক্স সুইটহার্ট এত চাপ নিয়ো না। বলেই চোখ মেরে চলে গেল।আমি তো পুরো বেকুব হয়ে গেছি আর দেরি না করে মার রুমে দৌড় দিলাম।সব কিছু না জানা পযন্ত আর শান্তি পাচ্ছি না।

মার কাছে বসে বলতে লাগলাম,,মা এই ছেলেটা ।মা বলল,,ওর কথাই বলে ছিলাম তোকে ভুলে গিয়েছিস এখানে ট্রান্সফার হয়ে যখন আসি ওদের কোম্পানিতেই আমি কাজ করি ওর বাবা খুবই ভালো মানুষ আর ও খুবই ভালো ছেলে, প্রায় অনেক ইম্পর্ট্যান্ট মিটিং এতে আসে কাজের ব্যাপারেও বেশ ভালো। আমি বিরক্ত হয়ে বললাম,, আমি কীভাবে বুঝবো তুমি ভালো ছেলের কথা বলে ছিলে কিন্তু ভালো ছেলের নাম বল নিই কখনো আর এটাও বল নিই যে ওনি আমার ভার্সিটিতেই পড়ে।

মা আমার দিকে ফিরে বলল,হ্যা তোকে তো ওর নামই বলি নিই ওর নাম কাব্য আহমেদ।মার কথা শুনে ধিরে ধিরে বললাম আমি জানি, মা আমাকে ঝাকা দিয়ে বলল,কিরে কি ভাবছিস।
মার দিকে তাকিয়ে বললাম কিছু না। মা আবার শুরু করে দিল প্রশংসার ঝুড়ি ওই ডেভিলটার প্রশংসা ঠিক হজম করতে পারছি না তাই উঠে নিজের রুমে চলে গেলাম।বিছানায় আধশোয় হয়ে ভাবতে লাগলাম এইসব নিয়ে হুট করে এস এম এস এর আওয়াজ তাকিয়ে দেখি ডেভিলটার এস এম এস, লেখা আছে “জানি তুমি আমার কথা ভাবছো কিন্তু রাত জাগা ভালো না ঘুমিয়ে পড়ো” আমি এস এম এস টা পড়ে অবাক হয়ে বললাম উনি জানলো কিভাবে আমি উনার কথা ভাবছি, এই সব ভাবতে ভাবতে দ্বিতীয় এস এম এস আসলো লেখা আছে ” আমি কীভাবে জানলাম তা না ভেবে ঘুমাও শুভ রাএী আমার গাধী বউ” লাস্টের গাধী বউ লেখাটা দেখে মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। দূর অদ্ভুত মানুষ একদম।
#না_চাইলেও_তুমি_আমার💞
#লেখিকা_লায়লা_আঞ্জুমান_ইতি
#পার্ট_০৪




সকালের সূর্যের হলুদ কমলা রঙের আলো যখন জানালার কাচঁ ভেদ করে আমার মুখে পড়লো চোখ গুলো লাফিয়ে উঠলো আমতা আমতা চোখে খুলে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সকাল ১০ টা বেজে ৩৬ মিনিট বাজে মা আর ডাক দেয় নিই আজ তো ছুটির দিন,কিন্তু জানালার পর্দা কেউ মেলে দিয়েছে, পাশে চোখ পড়তেই দেখি ধোঁয়া ওঠা এক কাপ চা আর বুঝার বাকি নেই মাই করেছে, ছুটির দিন ওনার এই একটা পদ্ধতি আমাকে ওঠানোর।শরীরের অলসতা যেন শেষই হচ্ছে না কিন্তু চা দেখে তাড়াতাড়ি উঠে বসলাম বিশাল মাপের চা খোর আমি। তাড়াতাড়ি ওয়াসরুমে গেলাম ফ্রেশ হয় চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে বারান্দার দরজা খুলে বারান্দায় গেলাম।

চেয়ারে বসে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছি সময়টার সাথে মিশে গেলাম।আকাশে সূর্যের আলো, সামনের বড় আম গাছে ছোট ছোট আম ধরেছে গাছের মাঝখানের শিকড়ে একটা চড়ুই পাখির বাসা, বারান্দা টা দুতলায় হওয়ায় বেশ ভালো দেখতে পারছি, পাখির বাসাটায় একটা বাচ্চা ফুটেছে আর পাশে আরও দুইটা ডিম রয়েছে,পাখির বাচ্চাটা চিৎকার করছে কিছুখন পর ওখানে একটা পাখি এসে নিজের মুখ থেকে বাচ্চাটার মুখে কি যেন তুলে দিল।এসব দেখে বেশ সুন্দর লাগছে। আমার বারান্দায় ফুলের টপে একটা নীল প্রজাপতি বসেছে কত সুন্দর দেখাচ্ছে
আসলেই এই প্রকৃতি কতটা সুন্দর করে আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন কোনো তুলনা হয় না ওনার সৃষ্টির।

কিছুখন বসে রইলাম বারান্দায় তারপর মা এসে আমাকে নিয়ে গেল খাবার খাওয়ার জন্য।সকালের নাস্তা সেরে মা আমার রুমে আসলো একটা হেয়ার অয়েল এর বোতল নিয়ে।তারপর আমার চুল গুলোতে তেল দিয়ে দিতে লাগলো। তেল দিতে দিতে বলল,জানিস প্রতিবার ছুটির দিনে তোর বাবা আমার মাথায় তেল দিয়ে তো।কথাটা শুনে বেশ উৎসাহিত হয়ে বললাম, সত্যি তখন আমি কোথায় ছিলাম। মা সামান্য হেসে বলল, তখন তুই পেটে ছিলি।
আমি কথাটা শুনে হেসে দিলাম,তারপর মার হাত থামিয়ে হেয়ার অয়েলটা নিয়ে মার খোপা খুলে লাগিয়ে দিতে লাগলাম, মা হেসে বলল,,আরে কি করছিস।আমি বললাম,,তেল দিয়ে দিচ্ছি আগে বাবা দিতো এখন রোজ ছুটির দিনে আমি তোমার চুলে দিয়ে দেব।মা সামান্য হাসলো, আমি মার মাথায় তেল দিয়ে দিতে লাগলাম।

দুপুরে খাবার খেতে খেতে মাকে রাজি করালাম শপিং এতে যাওয়ার জন্য।বিকাল হতেই মাকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম শপিংমলের উদ্দেশ্যে, দাড়িয়ে আছি রাস্তায় দুজন রিকশা নেব। আজ আবার ড্রাইভার কাকু ছুটি নিয়েছে ওনার কোন বোনের বিয়ে।এত খন দাড়িয়ে থেকেও কোনো রিকশা পাচ্ছি না,আজ তো মনে হয় রিকশা চালকরা শপিংমল না যাওয়ার শপথ নিয়েছে। মা অনেক খন দাড়িয়ে থেকে বিরক্ত হয়ে বলল,ইতি আজ যাওয়ার দরকার নেই সামনের সপ্তাহে আমরা যাব। মার কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল,মুখটা ছোট করে বললাম,না আমি আজই যাব কত প্লেন করেছি একটা শাড়ি কিনবো। মা আমার দিকে তাকিয়ে বলল,দেখছিস তো কেউ যেতে চাইছে না।এর মাঝে একটা গাড়ি থামলো আমাদের সামনে গাড়ির জানালাটা খুলে কাব্য মাথা বের করে বলল,আন্টি এখানে এভাবে দাড়িয়ে আছেন কেন? মা ওনার দিকে তাকিয়ে হেসে বলল,আসলে আমি আর ইতি ঠিক করে ছিলাম শপিংমল যাব কিন্তু কোনো রিকশাই যেতে চাচ্ছে না আর কামালও আজ কাজে আসে নিই।কাব্য মার দিকে তাকিয়ে বলল, আমিও শপিংমল যাচ্ছি কিছু কেনার ছিল চলুন এক সাথেই যাই।মা বলল না থাক তোমার কষ্ট হবে ।

কাব্য সামান্য হেসে বলল,না আমার কোনো কষ্ট হবে না আপনারা সাথে গেল আমার ভালো লাগবে।মা এবার রাজি হয়ে বলল,ঠিক আছে তাহলে এক সাথেই যাই।উনাদের এত সুন্দর মনের ভাব বিনিময় আমার ভালো লাগছে না আমার তো এই ডেভিলটাকে দেখে সব ইচ্ছেই মরে গেছে শপিংমল এতে যাওয়ার তাই হুট করে বলে উঠলাম,, মা আমি যাব না। মা অবাক হয়ে বলল,,,কেন তুই তো একটু আগে যাওয়ার জন্য লাফাচ্ছিলি চল বেশী কথা বলবি না।মার দিকে তাকিয়ে বললাম,, না আমি যাব না।পরে মা দিল এক ধমক আর কিছু না বলে উঠে পড়লাম।

ওনি সামনে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে আর আমি আর মা পিছনের সিটে বসা,হুট করে গাড়ি থেমে গেল তাকিয়ে দেখি ট্রাফিক, অনেক গাড়ি থেমে আছে। গাড়িতে বসে আছি প্রায় আট মিনিট কিন্তু ট্রাফিক শেষ হওয়ার নামই নেই খুব বিরক্ত লাগছে।হঠাৎ গাড়ির জানালায় টক্কা পড়লো তাকিয়ে দেখি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, জানালাটা খুললাম ওনারা টাকা চাইলো মা বেগ থেকে টাকা বের করে দিতে গেল ওমনি কাব্য বলে উঠল, আন্টি আপনার দেওয়ার দরকার নেই আমি দিয়ে দিচ্ছি ওনাদের ।মা বলল, না না আমি দিচ্ছি।উনি মার আর একটা কথাও না শুনে উনাদের টাকা দিয়ে দিলেন, উনারাও খুশি হয়ে এত গুলো দোয়া করে দিল কাব্যকে উনি বেশ খুশি হয়ে তাকিয়ে আছে উনাদের দিকে।

হুট করে উনাদের মাঝে একজন বলে উঠল মার উদ্দেশ্যে, আপনাদের ড্রাইভার টা খুব ভালো ছেলে ভালো থাকবেন সবাই।মা কিছু বলার আগেই উনারা চলে গেলেন, কাব্য চুপ হয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে হয় তো রাগ হয়েছে।আমার তো বেশ মজা লাগছে মুখ চেপে হাসি বন্ধ করার চেষ্টা করলাম কিন্তু না আমি ব্যর্থ দাঁত বের করে খিলখিলিয়ে হেসে উঠলাম আর এত হাসছি যে হাসি থামার নামই নেই এই দিক দিয়ে মা আমার দিকে রেগে তাকালো।মার রাগান্বিত চোখ দেখে চুপ হয়ে গেলাম মার ওনার দিকে তাকিয়ে বললে,কাব্য বাবা তুমি কিছু মনে কর না আর আমার এই মেয়েটা ওর তো মাথায় সমস্যা আছে তাই ওমন ভাবে হাসছে। এমন কথা শুনে আমার ভ্রু গুলো কুচকে গেলো।উনি মনে হয় কথাটা শুনে বেশ আনন্দ পেয়েছে। সামনের থেকে আমাদের দিকে ঘুরে বলল,না আন্টি আমি কিছু মনে করি নিই আপনারা পিছনে বসা আর আমি ড্রাইভ করছি সবাই ড্রাইভার ভাববে এটা সাভাবিক।মা বলল,ও ঠিক বলেছে ইতি তুই ওর পাশের সিটে গিয়ে বস আমি তো শাড়ি পড়া ওখানে গিয়ে বসতে সমস্যা হবে।মাকে আর কিছু না বলে সামনে গিয়ে বসলাম উনি আমার দিকে একটু মুচকি হেসে তাকালো, আমি বিরক্তি নিয়ে বাহিরের দিকে তাকালাম।

চলবে,,,,,,,,,,
ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
চলবে,,,,,
ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here