আহিয়ার হাত ধরে নিজের প্রেমিক মুগ্ধকে রিং পড়ানো অবস্থায় ক্যামেরাবন্দিতে দেখে রুদ্ধশ্বাস হয়ে যায় অধরার।নিজের চক্ষু দৃষ্টিকেই অবিশ্বাস্য লাগছে তবুও মুগ্ধকে এ অবস্থায় মেনে নিতে পারছে না সে।কত নির্মল প্রেমাসক্তি দেখিয়েছিলো মানুষটা।এই প্রেমাসক্তিতে তাকেও ডুবিয়ে এখন এভাবে অন্যের সান্নিধ্যে গেলো!ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিনের ন্যায় মুগ্ধর সাথে কথোপকথনের উদ্দেশ্যে ডাটা অন করেছিলো সে।কিন্তু আকষ্মিকভাবে অন্য একটা একাউন্ট থেকে মুগ্ধ ও আহিয়ার এমন মিষ্টি মুহুর্তের ক্যামেরাবন্দি পাঠানো হয় তাকে।সাথে একটা মেসেজ জ্বলজ্বল করছে,
“তোমার আবডালে তারা আসল প্রেমিক যুগল।যাদের পরিনতিও হয়ে গিয়েছে।তুমি তো তার অভিনয়ে গড়া পুতুল, স্বপ্নে রয়েছো বিভোর মাত্র।ঘুম থেকে ওঠ।জেগে দেখো সব বুঝতে পারবে।”
পিকচারগুলোতে আরও একবার গভীর পর্যবেক্ষণ চালায় অধরা।আহিয়া শাড়ী পরে বেশ সাজুগুজু করেছে।আর মুগ্ধ রয়েছে ফরম্যাল লুকে।তার মানে সব পূর্ব পরিকল্পিত ছিলো।আহত হয় অধরা।চোখের কার্নিশ বেয়ে গড়াতে থাকে নোনাজল।প্রেমের বিচ্ছেদের যন্ত্রনায় নিষ্পেষিত হয় তার বক্ষ।মুগ্ধকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করেছিলো সে।তিলে তিলে ভালোবাসায় প্রাসাদ সাজিয়েছিলো তার জন্য।তাদের প্রণয়ের বছরপূর্তি উপলক্ষে কতশত পরিকল্পনার পাহাড় জমিয়েছিলো সে।উত্তেজনায় রাতের কিয়দ্বংশ নির্ঘুম কেটেছে।আজ মুগ্ধকে সারপ্রাইজ দিবে বলে কতো আয়োজন ছিলো তার।অথচ সে যখন মুগ্ধর প্রেমে অলীক স্বপ্নে নিবদ্ধ মুগ্ধ তখন অন্য কাওকে নিয়ে প্রেমপুষ্প ফুটাতে ব্যস্ত।বড় সারপ্রাইজটা নিজেই পেয়ে বসল।ভাবতেই রাগে গা ঘিন ঘিন করে অধরার।যদি মনে এটাই পোষন করে থাকে তবে তাকে এতোটা আশা দিয়েছিলো কেন তাকে?আর কেনোই বা তাকে প্রেমের জালে ফেলে এখন ধোকা দিলো?এর উত্তর দিতে হবে মুগ্ধকে।
“আমি এর উত্তরটা তোমার কাছে নিয়েই ছাড়বো মুগ্ধ।আমার অনুভুতি নিয়ে তুমি এভাবে ছিনিমিনি খেলেতে পারো না।এর জবাব তুমি দিবে।”
মনে মনে বিড়বিড় করে অধরা।কিছুই জানে না এমন অভিব্যক্তি নিয়ে পরিকল্পনা মতো হাতে বানানো ভালোবাসামিস্রিত কেক ও বক্সে পায়েস ভরে নিয়ে যায় মুগ্ধর সাথে দেখা করতে।পায়েস মুগ্ধর জন্য ভীষণ লোভনীয় খাবার।একারণে কাল কতটা আবেগ মিশিয়ে এটা তৈরি করেছিলো অধরা তা শুধু সে নিজেই জানে।এটার স্বাদ ও পরিমিত মিষ্টতা বাড়াতে ইউটিউবে অসংখ্য ভিডিও দেখেছে সে।আজ চড়ম অবজ্ঞা নিয়ে সেই শ্রমসাধ্য খাবারটিই বয়ে নিয়ে পাবলিক পার্কের সিমেন্ট বাধানো নির্দিষ্ট স্থানে বসে আছে অধরা।কোন বিলম্ব ছাড়াই মুগ্ধও হাজির হয় মিনিট পাঁচেক পর।আজ তার মুখ শ্রী জুড়ে অন্যরকম আভা ছড়ানো।এটা প্রাপ্তির নাকি বিচ্ছেদের অনলের আভা বোঝা মুশকিল।এই মুখটি দেখে বুকের মাঝে কষ্টরা দলা পাকিয়ে আসে অধরার।চিৎকার তুলে বলতে ইচ্ছে করে,
“এখনো এমন অভিনয় করছো কেন?আমি সব জেনে গিয়েছি।”
কিম্তু অধর গলিয়ে বছরপূর্তির শুভেচ্ছা জানায়।সযত্নে পায়েসের বক্স বের করে জোরপূর্বক কয়েক চামচ মুগ্ধর মুখপুরে ঢুকিয়ে দেয়।ভালোবাাসার বেড়াজালে গড়া সম্পর্কে অপর ব্যক্তির অতি যত্নে তুলে দেওয়া পায়েসটা অতি কষ্টে গলাধঃকরণ করে মুগ্ধ।অতিরিক্ত লবনের ছোয়ায় খাওয়ার অনুপযুক্ত পায়েস হজম করতে চাইলেও মুখের প্রতিক্রিয়া বদলে যায়।তা দেখে স্মিত হাসে অধরা।আহ্লাদী কন্ঠে বলে,
“এই প্রথম তোমার জন্য রান্না করলাম।মিস্টতা বৃদ্ধিতে ভুলে চিনি ভেবে অনেকটা লবন দিয়েছিলাম।খুব কি বাজে হয়েছে?”
মুগ্ধও স্বায় মেলায় তাতে।
“প্রেয়সীর রান্না করা তিক্ত জিনিসও প্রেমিকের কাছে অমৃত লাগে।আমার তো পুরোটাই শেষ করতে ইচ্ছে করছে।”
“তবে সমস্যা কি।পুরোটা খাও।আমি মুগ্ধ হয়ে দেখবো।”
নিশ্চুপ থাকে মুগ্ধ।নিজের অধরে উচ্চারিত বুলি যে তাকে এমন ফাঁদে ফেলবে ভাবতে পারেনি।অধরে অনিচ্ছাকৃত হাসি ঝুলিয়ে নাক মুখ কুচকে পুরোটা পায়েস খায় সে।তবেই ক্ষান্ত হয় অধরা।মুখে রহস্যময়ী হাসি ঝুলিয়ে কেকটা কাটতে আহ্বান জানায় মুগ্ধকে।প্রতিউত্তরে মূর্তিবৎ স্থির দাঁড়িয়ে রয় মুগ্ধ।মেয়েটির এই মায়া জড়ানো মুখ দেখে ভয় হয় তার।কতটা ভালোবাসা জড়ানো এই মুখে তা শুধু নিজেই জানে।সে কিভাবে কালকের এঙ্গেজমেন্টের কথা বলে সম্পর্কের বিচ্ছেদের প্রার্থনা করবে মেয়েটির কাছে ভেবে পায় না।উপরন্তু মেয়েটি ভীষন প্রতিবাদি।কিছুটা আমতা আমতা করে সে বলে,
“তোমাকে কিছু বলতে চাই অধো।”
“নির্দ্বিধায় বলতে পারো।”
“যদি অপ্রত্যাশিত কোন ঘটনার বেড়াজালে আটকে পড়ি তখন তুমি কি করবে?”
মুগ্ধর কথার অর্থ স্পষ্ট হয় অধরার কাছে।কিন্তু মুগ্ধর ভাষ্যতে বিষয়টা কেমন এটা জানতেই বলে,
“ভাগ্যকে মেনে নিব।কিন্তু হটাৎ এসব বলছো কেন তুমি?কি হয়েছে তোমার?”
অধরার উত্তরে কিছুটা সাহস সঞ্চয় হয় মুগ্ধর অন্তরে।এবার কোন ভণিতা ছাড়া সে বলে,
“আমাদের সম্পর্কের মাঝে পরিবার নামক বাধা দাঁড়িয়ে পড়েছে অধো।আব্বু-আম্মু এ সম্পর্ক চায় না।তোমার রাগ-জিদ সম্পর্কে সাম হাউ অবগত হয়েছে আম্মু।এখনো তোমার সাথে আবদ্ধ থাকলে আমাকে ত্যাজ্য করে দিবে বলে দিয়েছে।”
“তবে কি মুক্তি চাইছো?”
“হয়তো এটাই আমাদের নিয়তি।বছর না ঘুরতেই যে আমাদের প্রণয়নের বিচ্ছেদ হবে বুঝতে পারি নি আমি।”
“আচ্ছা।ভালো থেকো।”
নিস্কম্প দৃষ্টি মেলে অধরা।কিছুটা অনুশোচনার সুর তুলে মুগ্ধ আচমকা জড়িয়ে ধরে অধরাকে।এতো সহজে মেয়েটা মেনে নিবে কল্পনা করেনি সে।এখন অধরার মন গলানো কিছু বুলি শেনাতে উদ্যত হয় সে।কম্পিত কন্ঠে বলে,
“কাল আমাকে জোড়পূর্বক আহিয়ার সাথে এঙ্গেজমেন্ট করিয়ে দেওয়া হয়েছে।বিশ্বাস কর আমার কোন সম্মতি ছিলো না তাতে।একমাত্র সন্তান হওয়ায় তাদের ফেলতে পারি নি আমি।কিন্তু আমি কখনো ওকে তোমার জায়গা দিতে পারব না।আমাদের সম্পর্কের পরিণতি না হলেও আমি কখনো ভুলব না তোমাকে।তোমাকে নিয়ে জমানো আমার সকল অনুভুতি হৃদয়ের মনিকোঠায় সযত্নে লুকানো থাকবে।ভালোবাসি ভীষণ।”
তাচ্ছিল্যের হাসি দেয় অধরা।মুগ্ধের এ পুরোটাকে তার নিকট অভিনয় অনুভুত হয়।তাকে টলাতে পারে না চুল পরিমানও।কত নিখুঁত অভিনয় জানে ছেলেটা ভেবে অবাক হয় অধরা।সুক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়েও এই অভিনয়টা ধরতে পারতো না সে।আজ সত্যিটা জানে বলে এই অভিনয় পড়তে সক্ষম হয়।আরও কিছু আবেগি বুলি শুনিয়ে যায় মুগ্ধ।বিরক্তিরা ভর করে অধরার মাঝে।এই অভিনয় সে আর নিতে পারে না।স্বজোড়ে ধাক্কা দিয়ে সড়িয়ে দেয় মুগ্ধকে।ঠাস করে একটা থা’প্পড় মেরে বলে,
“আমি তো তোর উপযুক্ত না।তবে আমাকে নিয়ে তোর কি অনুভুতি থাকবে।তোর তো পাবলিকিয়ান ব্রিলিয়ান্ট কাউকেই লাগবে।তাদের সাথেই এসব অভিনয় করিস।”
হটাৎ অধরার রুপ বদলে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায় মুগ্ধ।ওষ্ঠ ফাঁকা করে কিছু বলতে যাবে তখন পুরো ক্রিমসহ কেক দিয়ে মুগ্ধর মুখে ছুড়ে মারে।ক্রিম লেগে বিভৎস চেহারা হয় মুগ্ধর।নিজের সকল রাগ ক্ষোভ মিটিয়ে হনহন করে বাসায় আসে অধরা।যেই পায়েসটা মুগ্ধকে খাইয়েছে তাতে পেট খারাপ হবে নিশ্চিত।সকালে যাওয়ার সময় তাতে হাফ কৌটা লবন মিশিয়ে দিয়েছে সে।তার প্রতারণার প্রতিবাদস্বরুপ এর বেশি কিছুই করা সম্ভব নয় অধরার কাছে।কিন্তু অধরা জানবেও না ছেলেটি আসলেই তার সাথে প্রতারণা করেছে নাকি পরিস্থিতি দু-জনের সাথে প্রতারণা করেছে।
বাসায় ঢুকে কান্নায় বুক ভাসায় সে।তখন উপরে যতোই কঠোর থাকুক ভিতরে একদম দূর্বল ছিলো সে।তার প্রতি মুগ্ধর পুরোটা অভিনয় থাকলেও তার তো কোন অভিনয় ছিলো না।সে তো সত্যি ভালোবেসেছিলো মুগ্ধকে।কিন্তু বিনিময়ে প্রতারনা ছাড়া অন্য কিছু পেলো না।মনের কষ্ট বিসর্জন দিতে ঘন্টা খানেক কান্না করে সে।অতপর ঘুমিয়ে পড়ে সে।ঘুম থেকে জাগ্রত হলে মায়ের কথা মনে পড়ে।নিজের চাপাকষ্টগুলো মায়ের শরীরের ঘ্রান পেলে নিমিষেই উধাও হয়ে যায়।মায়ের সান্নিধ্য পেতে অনেক খুঁজে রান্নাঘরে তার অস্তিত্ব মেলে।তাকেই উচু স্বরে বকে যাচ্ছেন মাজেদা বেগম,
“নবাবজাদী এতো লবন কোথায় ঢেলেছিস?একবেলা রান্না করতে এতে লবনের ডিব্বা শেষ করেছে।মুখে যে তিতায় ভরা তিতা জিনিসই তো খাবি।….”
এসবকে পাত্তা না দিয়ে পিছন থেকে মাকে জড়িয়ে ধরে অধরা।ততক্ষণাৎ ছিটকে সড়ে যায় মাজেদা বেগম।পিছন ঘুরে হাত উঁচু করেই আবার নামিয়ে নেয়।মেয়ের চোখ ফোলা ভাব তাকে কিছুটা কোমল করে হয়তো।দুপুর থেকে মেয়ের অশ্রু বিসর্জনের চিহ্ন চোখ এড়ায়নি তার।অন্যসময় হলে এতোটা লবন নষ্ট করার জন্য ঠাঠিয়ে থা’প্পড় খেতে হত অধরাকে।অপচয় সে দুই চোখে সহ্য করতে পারে না।মুখদিয়ে বের করে আদুরে বুলি,
“কি হয়েছে তোর?”
প্রতিউত্তরে চোখে আরও এক পশলা বৃষ্টি ঝড়িয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে সে।মাজেদা বেগমও অতি সন্তর্পণে আগলে নেয় মেয়েকে।কারণ অজানা হলেও মেয়ের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ দেখতে পায় সে।
_________
ধীরে ধীরে সময় গড়াতে থাকে।কিন্তু অধরার দহনে বিন্দুমাত্র ভাটা পড়ে না।মুগ্ধর শোক কাটিয়ে উঠতে অক্ষম হয় সে।প্রতিরাতে চলে অশ্রু বিসর্জন।শরীর রোগা হয়ে যায় অধরার।জীবনের প্রথম প্রনয়ের প্রতারনায় পুরোটা বদলে যায় সে।রাগ,জেদ সবটা ক্ষয়ে বদলে যায়।জীবন চলার তাগিদে এখন দিন পারি করে সে।চোখের সামনে নিজের মেয়েটিকে এভাবে নিঃস্ব হয়ে যেতে দেখে চিন্তিত হয় শহিদুল ইসলাম।মেয়ের ডায়েরিতে লেখা দুটি বাক্য তার হৃদয়ে নাড়া দিয়ে ওঠে।বুঝতে সক্ষম হয় পুরো ঘটনা।কতটা হাহাকার করে তার মেয়ে লিখেছে-
“একদিন,দুইদিন,তিনদিন এভাবে বহুদিন কেটে যাবে তোমার তৃষ্ণায়।তুমি সেটা না খুঁজেই কৃষ্ণচুড়া গুজবে অন্যের খোঁপায়!”
মেয়েকে শুধিয়ে মুগ্ধের বিষয়টা নিশ্চিত হয়ে নিজেই নতজানু হয় মুগ্ধের কাছে।কিন্তু তার মা-বাবার উপরে অপারগ এটা জানায় সে।বুকফা’টা কষ্ট হয়তো তারও হয়।কিন্তু বহিঃপ্রকাশ শূন্য রয়।তিলে তিলে তাকে বড় করা মা বাবার কাছে এই আবেগকে বিসর্জন দেয় সে।এভাবে তে কত প্রনয়নেরই বিচ্ছেদ হয় আজকাল।অধরাকে বিয়ে দিয়ে দিতে অনুরোধ করে শহিদুল ইসলামের থেকে বিদায় নেয় মুগ্ধ।শহিদুল ইসলামও ভাবেন হয়তো এতে মেয়ে নতুন জীবন পেতে পারে।ব্যস্ত হয়ে পড়েন মেয়ের বিয়ে নিয়ে।ঘটকের পর ঘটকের কাছে তলব পাঠান।এসবের পুরোটাই অজানা রয় অধরার কাছে।
__________
আকাশের রক্তিমতা ধুসর মেঘে পুঞ্জীভূত হতেই আষাঢ় হয়ে ঝরে পড়ে তারা।ঝড়ো হাওয়ায় গাছপালা বেঁকে যায় ছন্দ তুলে।নিমিষেই জনমানবশূন্য হয়ে যায় পুরো এলাকা।বৃষ্টির বেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় রিকশাওয়ালারাও আশ্রয় নিয়েছে নিরাপদস্থলে।তারা পরিবেশের এই বিরুপ অবস্থায় দ্বিগুন ভাড়াতেও বের হতে নারাজ।সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে।অগত্যা ছাতা মাথায় দিয়ে এমন অবস্থায় রাস্তায় হাঁটা দেয় অধরা।ছাতার ক্ষুদ্র ছায়াতলে মাথা রেহাই পেলেও দেহের নিম্নাংশ ভিজে একাকার হয়ে যায়।লেকসমাগম না থাকায় এটাতে বিব্রত হয় না অধরা।আপন গতিতে রাস্তা মাড়ায় সে।বাড়ি পৌঁছে লেকজনে পূর্ণ দেখে বিষ্মিত হয় সে।তাকে দেখতে এসেছে।অনিচ্ছা সত্বেও মায়ের আদেশানুযায়ী শাড়ী পড়ে পাত্রপক্ষের সামনে উপস্থিত হয়।পাত্র হিসেবে উপস্থিত ছেলেটিকে দেখে আশ্চর্যান্বিত হয়ে যায় সে।অপর ব্যক্তিটির অবস্থাও একই।দু’জনেই মুখ ফসকে বলে,
“আপনি?”
চলবে
#নিভৃতে_প্রিয়া
#সুচনা_পর্ব
#লেখিকা_নূরজাহান_ফাতেমা