নিশীথচিত্র পর্ব ৩

‘নিশীথচিত্র'(৩)
ইসরাত আয়রা ইচ্ছে

রাতের খাবার খাওয়ার সময় রিনি বেশ চুপচাপ করেই খাচ্ছে।বাবা মায়ের চোখের অাড়ালে যা ই করুক না কেন বাবা মাকে ভয় পায় সে।ভয় পাওয়াই উচিত।তাই তাদের সামনে নিজেকে সামলে চলার যথেষ্ট চেষ্টা করে। মুনির হোসেন হটাৎ রিনির কথা শুরু করলেন।

— “জানো দিহান মেয়েটা একদমই লেখাপড়া করতে চায় না। পড়ালেখার এই অবস্থা তাই দেখে মানবিক শাখায় দিলাম। তাও অর্ধবার্ষিকীতে তেত্রিশ পেয়ে পাশ করেছে ম্যাথে। এই তেত্রিশই ভরসা বুঝলে।বড়জোর একবার ৪০ পেয়েছিলো। আর ক্লাস সিক্স থেকে প্রত্যেকবার ৩৫/৩৪ আর নয়তো ফেল।ভাবা যায় কিছু এই মেয়েকে নিয়ে বলো?

সামনে মেধাবী ছেলেমেয়ে দেখলে বেশির ভাগ বাবা মায়েরই এরূপ আফসোস উপচে পরে যেমনটা মুনির হোসেনের হচ্ছে।কিন্তু নিজের সম্পর্কে এরকম সুক্ষ্ম বর্ণনা রিনির মোটেও পছন্দ হলো না।এতোই অপছন্দ হলো যে কাশতে কাশতে গলায় ভাত আটকে গেলো। পানি খেয়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আনার যথেষ্ট চেষ্টা করছে,,,

এরমধ্যেই দিহান বিজ্ঞ মহাশয়ের মতো বলে

–“জি কাকা আজকালকার বাচ্চারা পড়তেই চায় না।পড়ার মধ্যে মনে হয় ভুত লুকিয়ে থাকে তাই ওরা বই ধরে না, এমন এক ভাব।আসলে কি জানেন কাকা? সবটা অভিনয়। পড়া হচ্ছে একটা আর্ট একটা অন্যরকম বন্ধু আমাদের।বইয়ের সাথে একবার সম্পর্ক গড়তে পারলেই ভালো ফলাফল আশা করা সম্ভব।”

মুনির বেশ হতাশ গলায় বললো,
–” তা কি আর বুঝি না!!কি যে করা যায় মারলেও যদি কাজ হতো তাহলে আগেই হতো। হবে না ওকে দিয়ে কিচ্ছু।”

— “আরে কাকা কি বলেন মার ই তো একমাত্র অস্র যে কিনা সব পারে।একবার মারলে তো ভয় পাবে না।বার বার মারতে হবে।”
বলেই দিহান ভূবনভুলানো হাসে।কিন্তু রিনির কাছে সেটা নিতান্তই শয়তানি হাসি হিসেবে গণ্য হলো।
রিনির মুখ দেখে মনে হচ্ছে” শালা পাই তোকে, এমন অবস্থা বানিয়ে ছাড়বো নিজেই নিজেকে চিনবি না”

মুনির হোসেন দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন

–” না বাবা কাজ হয় না।মেয়ে বড় হলে কি গায় হাত দেয়া যায়?দুইটা মাত্র মেয়ে একটার এই অবস্থা ছিলো তাই এসএসসি দিতেই বিয়ে দিয়ে দিছি।ও এখন ভালোই সুখে আছে। রিনিকেও বিয়ে দেব এসএসসি এক্সামের পরের দিন দেখে নিও।যদি এরকম লেখাপড়া করে”

রিনির এই বিয়ে শব্দটা শুনলেই মেজাজ খারাপ হয়। মিনে চাচ্ছে টেবিল ছেড়ে উঠে পরে।কিন্তু না তা করা যাবে না।

রিনির মা বেশ উৎসুক গলায় বলে ওঠে

— “আমি তো বলি এখনিই বিয়ে দিয়ে দাও। ওর পড়াশুনার দরকার নেই।” এরপর আফসোস করে বলে,”আল্লাহ একটাও ছেলে দিলো না এই কপালে। মেয়েরা কোনোদিন ছেলেদের দায়িত্ব পালন করতে পারে??? তুমি আর আশায় থেকো না রিনির বাবা।তার থেকে রিনির বিয়ে দিয়ে দি।আমার কাছে ভালো বিয়ের প্রস্তাবও আছে।”

মুনির হোসেন রেহানার এসব কথার সাথে মশলা হিসেবে কাজ করছে দিহানের রাক্ষসের মতো হাসি আর মাথা নাড়িয়ে সম্মতি ।নাহ চেহারা খারাপ না তবুও রিনির কাছে মনে হচ্ছে কোনো এক দৈত্য বড় বড় দাত গুলো বের করে হাহ.হাহ. হাহ. করে দানবীয় রুপে হাসছে যা রিনি গায়ে কাটার মতো বাধছে ।রিনি মনে মনে শপথ করে ফেললো সে আজ থেকেই পড়াশুনা শুরু করবে।অনেক পড়াশুনা করবে। পরক্ষণেই মনে হলো পড়ার টেবিল চেয়ারে সুপার গ্লু লাগিয়েও কি এক ঘন্টা থাকা সম্ভব? পৃথিবীতে এতো সুন্দর জায়গা থাকতে সে কেন পড়ার টেবিলে বসবে?নেভার, বসবো না কোনোদিন না।যে যা বলে বলুক। পঁচাতে পঁচাতে গন্ধ বের করে ফেলুক তবুও পড়াশুনার মতো জঘন্যতর জিনিসের সাথে সম্পর্ক তৈরি করবে না রিনি।

_______________

পরের দিন সকালে দিহান নামাজ আদায় করেই নিজের ব্যাগ বস্তা নিয়ে বাইরের দুইরুমের টিনের ঘরটায় চলে এলো। এখানে থাকতে তার মোটেই সমস্যা হবে না।পাকা ঘর রঙিন টিন তার থেকে বড় কথা নিজের মতো করে থাকতে পারবে। শুধু খাবার সময় টুকু ওই ঘরে যেয়ে খেয়ে আসতে হবে। পড়ার জন্য একটা পারফেক্ট পরিবেশ হয়েছে।ম্যাচে থাকলে হয়তো পড়ার জন্য এতো সুন্দর পরিবেশ পাওয়া যেত না।সব কিছুর জন্য শুকরিয়া আদায় করে সামনের রুমের জানালাটা খুলে দেয়।খুলে দিতেই যেটা চোখে পরে সেটা হলো সরু দুটো পা ব্যালকুনির রেলিং ভেদ করে বাইরে এসে ঝুলছে। মানুষটা কে তা বুঝতে আর দেরি হয় নি দিহানের।দোতলা থেকে রিনি চিল্লিয়ে বললো

— “গুড মর্নিং। ”

— “সকাল সকাল ঐ নলার মতো পা দুটো দেখেই আমার মর্নিং টা ব্যাড হয়ে গেছে। ”

— “এরপর থেকে প্রতিদিন দেখতে হবে।”

দিহান ভাবাবিষ্ট চেহারায় বলে,
— “কেন?”

— “কারণ এটা আমার রুম।”রিনি খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে।

খাপছাড়া মেজাজে বললো
— “তোর রুম আমার রুমের সোজাসোজিই হতে হলো?”

রিনি এ কথা তেমন আমলে নেয় না।
— “কি জানি বাদ দে। কি করছিস?”

— “তোকে থাপড়াচ্ছি বেয়াদব মেয়ে। বড়দের রেস্পেক্ট করতেও শিখিস নি।কাল বলেছি না আপনি করে বলতে?”

— “আমার দাড়া ওসব আসে না।নয়টায় খেতে আসিস মা বলতে বলেছিলো।তাই বললাম…. কি করবি তোর ব্যাপার। ”

আহান শব্দ করে জানলাটা অফ করে দেয়।অতো সুন্দর একটা মেয়ে থ্রি পিচ পরবে লম্বা চুলগুলো সুন্দর করে আচড়ে পরিপাটি হয়ে থাকবে তা না গায়ে ওড়না টাও দিচ্ছে না। থ্রি কোয়াটার প্যান্ট আর ঢোলাঢোলা গেঞ্জি। দিহানের জেদ হলো মনে মনে বললো “এই মেয়েকে এক্কেবারে সোজা করে ফেলবো আমি” পরক্ষনেই মনে হলো “আমি কেন সোজা করবো কি হয় আমার?তবুও কেন জানি না মনে হয় এই মেয়ের চলাফেরা এরকম না হলেও পারতো।তার ভালো লাগতো ”

দিহান নিজের রুম সুন্দর ভাবে গুছিয়ে নিলো।পরিপাটি থাকতেই পছন্দ করে সে।দুই রুমে দুটো খাট আগেই রাখা ছিলো তাই আর নিজের কিনতে হয় নি।খাবার টেবিল ছাড়া দুএকবার রিনিকে দেখা গিয়েছে ব্যালকুনিতে ছাদে আর বিকাল বেলা আসপাশের বাচ্চাদের নিয়ে ক্রিকেট ফুটবল খেলতে।

ক্রিকেট খেলতে দেখে দিহান বেড়িয়ে আসে নিজের ঘর থেকে।পরন্ত বিকেলে গোধুলি বেকার উষ্ণ আর্দ্রতায় হারাতে।তখন ব্যাটিং এ ছিলো রিনি।চোখের পলকেই কি হলো দিহান কিছুই বুঝতে পারলো না।কিন্তু তার বিশেষ স্থানে যে বেশ গতিতে বলটা লেগেছে তা বেশ আন্দাজ করতে পেরেছে।বেশ জোরেসরে মাগো বলে চিল্লিয়ে ওঠে। চারপাশে থমথমে পরিবেশ। একটু পরেই বাচ্চাগুলো দৌড়ে পালালো। রিনিও দৌড়ানোর জন্য পা বাড়িয়েও থেমে গেলো। দিহানের অসহায়ত্ব নিয়ে ভাবলো।মনে মনে বললো”যা হয় হোক। এই অবস্থায় ফেলে যাবে না সে এই নিরীহ বালকটিকে।”

ভীতসন্ত্রস্ত পা দুটি দিহানের দিকে এগিয়ে এলো।দিহান তখন ঘাসের উপর শুয়ে পরেছে।ব্যাথায় চারপাশের মানুষ আছে তাও ভুলে গেছিলো দিহান।রিনির ডাকে মাগো বাবাগো বলে চিল্লানি থেমে গেলো।খুব তাড়াতাড়ি করে উঠে বসলো মাথা চুলকে উঠে দাড়ায়।কিন্তু ভালো ভাবে হাটতে পারছে না।দাঁত কিরমির করে হাটার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । এমন অবস্থায় একটা মেয়ের সামনে লজ্জাও লাগছে।।রিনিও লজ্জায় কিছু বলতে পারছে না।একবার সাহস করে বলে ওঠে

— “বেশি ব্যাথা পেয়েছিস?আমি দেখি নি বিশ্বাস কর।টুপিটা খুলে দিহানের দিকে বাতাস করতে করতে বললো “ঘেমে গেছিস বাতাস করে দি?”

দিহান কিছু বলছে না পিছনে ফিরেও তাকাচ্ছে না। বেয়াক্কল মেয়েটার জন্য এখন চিল্লাতেও পারছে না।দিহানের মনে হচ্ছে ছ্যাকায় কি ব্যাথা, দুনিয়ায় এই ব্যাথার থেকে বেশি ব্যাথা আর কছুতেই নেই।আর শয়তান মেয়ে কিনা বাতাস করে দেবে বলছে?

দিহান ঘরে ঢুকতে রিনিও দিহানের পিছু পিছু ঘরের মধ্যে গেলো। আবার বললো

— “ব্যাথা পেয়েছিস বেশি?”

এবার দিহান রিনির গালে সশব্দে একটা থাপ্পড় লাগায়।দাঁত কামড়ে বলে “তোকে ব্যাথার পরিমাণ বোঝাতে গেলে তো তোকে……..”

দিহান থেমে দুইবার শ্বাস নেয়। আবার বলে
” এরপর থেকে আমাকে তুই করে বললে তোর অন্য পাশের দাঁত কয়টাও নাড়িয়ে দেব।আসার পর থেকে লেগেই আছে।একটু তো শান্তি দে।আমি ব্যাথা পেয়েছি কিনা জানতে হবে না।তুই গেলেই আমার ব্যাথা কমে যাবে।এলাম মাত্র তিন কি চার দিন। এর মধ্যেই তোর জ্বালাতনে ঘর ছাড়ার পালা আমার”

আরও বেশ কিছু কথা শুনিয়ে দিলো দিহান।

রিনির কান্নার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আর একটু পরে যে এই শব্দ আরও জোরে হবে তা দিহান বেশ বুঝতে পারছে তেমনই কান্নার সুর।আবারও ধমক দিয়ে হাত টেনে বাইরে বের করে দরজা আটকে দিলো।নিজের পরাণ যায় যায় আর এই মেয়ে কিনা আমার ভবিষ্যৎ নষ্ট করে এসেছে ব্যাথা পেয়েছি কিনা জানতে।দিহানের এই মুহূর্তে ইচ্ছা হচ্ছে চিল্লিয়ে কান্না করতে।এমন সমস্যা যে তাও পারবে না।যতই হোক মানসম্মানের বিষয়।

______________

রেডি হয়ে বেলা দশটায় ভার্সিটি চলে যায়।ব্যস্ত রাস্তায় সেও সবার মতোই ব্যস্ত মানুষ হয়ে পরে।কপালে চিনচিনে ঘাম নিয়ে ভার্সিটিতে প্রবেশ করে। ঢাকা ইউনিভার্সিটির ম্যাথ ডিপার্টমপন্টের স্টুডেন্ট দিহান।কিছুদিনের মধ্যেই দিহানের বেশ কিছু বন্ধু হয়ে গেলো।দিহান ক্লাস না থাকলে নিজের ঘরেই পড়ে। ঐ দিনের থাপ্পড় খাওয়ার পর রিনি একবারও আর কথা বলে নি দিহানের সাথে।খাবার টেবিল ছাড়া দেখাও যায় না।খাবারের জন্য দিহানকে ডাকতে বললে একটা ঘন্টি এনে টুনটুন করে বাজায়।এতেই দিহান বুঝতে পারে খেতে ডাকছে। প্রথম দিন বুঝতে বেশ বেগ পেতে হয়ে ছিলো দিহানের।এমনই একদিন খাবার টেবিলে বসে দিহান মনির হোসেনের উদ্দ্যেশ্যে বলে

–” কাকা একটা টিউশনি পেয়েছি।বাসায় গিয়ে পড়াতে হবে। মাসে ছয় হাজার টাকা দিবে।পড়ানো ভালো হলে আরও দুই হাজার বেড়েও যেতে পারে।”
দিহান যে এতে খুব খুশি হয়েছে তা ওর কথা বলার ধরনেই স্পষ্ট।

মনির হোসেন বলে
— “ভালো সংবাদ । তোমার মতো মেধাবী স্টুডেন্টদের জন্য স্টুডেন্ট লাইফে এটাই বেস্ট অপারচুনিটি।কিন্তু কয়দিন পর থেকে শুরু করতে আসলে দশ পনেরো দিন মাত্র।”

— “না কাকা ঠিক আছে।সুযোগ টা ছাড়তে চাচ্ছি না।সপ্তাহে তিন দিন সন্ধ্যায়। আমার খুব একটা কষ্ট হবে না মানিয়ে নিতে পারবো। ”

সব কিছু শুনে রেহানার মাথায় কিছু কথা ঘুরপাক খেলো।মনে মনে ভাবলো,”এই ছেলেকে আমাদের বাসায় বিনা টাকায় খাওয়াবো কেন তাহলে!”
রেহানা ঝটপট করে বললো ” দিহান তো ম্যাথের স্টুডেন্ট। আর রিনিটাও তেমন পারে না এই বিষয় টা। ম্যাথ আর বিজ্ঞানটা তো দিহানের কাছে পড়তে দিতে পারি আমরা তাই না?”

মনির হোসেন কথা না বাড়িয়ে বললেন

–” এই নিয়ে আমরা পরে কথা বলবো রেহানা।”

দিহান ভাবছে এরকম কিছু সত্যি হলে মন্দ হয় না।অন্তত বিনা পয়সায় খাচ্ছি এমন নাম আসবে না।

আর রিনির কি হলো সে জানে না তার মন থেকে না ও আসছে না হ্যা ও আসছে না।কেমন দোটানায় অাটকে গেছে।কিন্তু তার উত্তর সরাসরি না আসা উচিত ছিলো তা আসছে না বিধায় ভীষন কষ্ট হচ্ছে রিনির। কেন না আসছে না?এই উজবুকের জন্য তার ভিতরের সব কিছু কেমন পাল্টে যায়। উত্তর যা দিতে চায় তার উল্টো উত্তর মুখ থেকে বের হয়।আসলে রিনি কার কথা শুনে? মনের নাকি মাথার?মানুষকে বেশির ভাগ সময় মনই নিয়ন্ত্রণে রাখে।

______________

রাতের বেলা রেহানার সাথে মনিরের এক চোট লেগে গেলো । মনিরের কথা “ছেলেটার কাছে পড়তে দিলে কিভাবে বলবে যে বিনা টাকায় পড়াতে হবে রিনিকে?”

রেহানা তারপর বেশ কিছুক্ষণ ভেবে বললো
“এক মাস তো পড়ুক দেখুক কেমন পড়ায়।টাকা দেওয়া লাগলে আর পড়াবোনা। যাই হোক একমাস তো দেখি।টাকা নিলেই বুঝবো ছেলেটার বোধ বুদ্ধি বিবেক কেমন?”
রেহানার কথা বাজিয়ে দেখবে তবু বিনে পয়সায় অন্য ধ্বংস করাবে না। লাগলে অন্য ব্যবস্থা নিবে।সেই ধাচের মহিলা রেহানা।

মুনির বউয়ের সাথে পারে না।কিছুটা ভেবে বলে
— “আচ্ছা তাই ই হোক তাহলে।দেখি মেয়েটার কোনো উপকার হয় কিনা।”

______________

পরের দিন সকাল ৬ টা ৫৫ বরাবর দরজা বারবার টোকা দেওয়ার শব্দে দিহান চোখ কচলাতে কচলাতেই দরজা খুলে দিলো।তৎক্ষণাৎ বাশ গলা মার্কা রিনির চিল্লানিতে তার চোখের ঘুম উড়ে গেলো।

— “এই তোর লুঙ্গি খুলে গেল ধর ধর।”

দিহান ধরফরিয়ে ওঠে। লুঙ্গির দিকে তাকিয়ে দেখে সত্যিই লুঙ্গিটা লাস্ট স্টেজে অবস্থান করছে।লুঙ্গি ধরে রাখে কিছুটা ললজ্জাবোধ করে। দরজার আড়ালে এসে ঠিক করে নেয় সে।

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here