নীল দিগন্তে পর্ব ১৯

#নীল_দিগন্তে
পর্ব- ১৯
লেখা- নীলাদ্রি নীরা

রাত্রি পরপর চারটি চিঠি লিখলো। রাত্রির রোজকার কাজ হলো সারাদিন সংঘটন সামলানো, অরিনকে সামলানো। সন্ধ্যায় হিসাবনিকাশ করা, ডেলিভারি কমপ্লিট করা। আর গভীর রাতে চিঠি লিখা। তবে প্রতিদিন লিখে না। যেদিন ঘুম আসতে চায় না সেদিনই ও চিঠি লিখে। বেশিরভাগই ঠিকানাহীন। তবে আজকে ঠিকানায় পৌছাবে। রাত্রি চারটা চিঠিই হাতে নিলো। চারজনকে লিখা চারটে চিঠি। তিনটা চিঠি রেখে একটায় চোখ বুলালো সে। এই চিঠি পুষ্পর উদ্দেশ্যে লিখা। চিঠিটা এরকম,

পুষ্প আপু
আমি তোকে কখনো আপু ডাকিনি। আজকেই ডাকলাম হেহেহে। তুই কি জানিস তুই যে খুবই গাধী? জানিস না। আরে পাগল কি জানে সে পাগল? শোন একটা কথা, আমার ধারণা দিনদিন আমি তোর মতো হয়ে যাচ্ছি। কিভাবে জানিস? পত্রিকার নিউজে ছাপা হয়েছে, অবশেষে ধরা পড়লেন রাঘব বোয়াল খ্যাত ভূমি কর্মকর্তা নাসির হোসেন। আবার সেই নিউজেও বলা হয়েছে, “জানা যায় সেই ভূমি কর্মকর্তার মেয়ে অবৈধ কন্যাশিশুর জন্ম দিয়েছেন”। জানিস নিউজটা দেখে আমার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ার অবস্থা। আমার মেয়ে অরিন কোনো অবৈধ সন্তান না। সৌরভ স্টিল আমার হাজবেন্ড! আমি কি করলাম জানিস রিপোর্টারের নামটা দেখলাম। তার নাম সৌরভ। অবাক হচ্ছিস? শোন, আমি অবাক হইনি কারণ সময়ই পাইনি। তবে গায়ে আগুন লাগার ফিলিংস হচ্ছিল। সোজা সৌরভের অফিসে গিয়ে ওর শার্টের কলার চেপে ধরে যা মুখে আসলো বলে দিলাম। পেয়েছে টা কি সে? যা ইচ্ছে বলবে! আমি তার বিবাহিত বউ। চাইলেই তার লাইফের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারি। তো একটা হট্টগোল বেঁধে গেল সেখানে। পরে জানলাম সৌরভ ওই রিপোর্ট করেইনি। করবে কিভাবে? ও তো টিভি নিউজের রিপোর্ট করে। আর যেটা আমি পড়েছি সেটা একটা পত্রিকার নিউজ। রিপোর্টারের নামটাও আমি খেয়াল করিনি। নাম ছিল সৌরভ সরকার। আর সৌরভের নাম হচ্ছে সৌরভ সিদ্দিকী। কত বড় ছাগলী হয়েছি দেখেছিস পুষ্প? তোর কি মনে হচ্ছে না এই কাজটা তোর সাথেই যায়? রাত্রির সাথে না। মনে হচ্ছে কি?
শোন বড় মামী বলেছিল তুই নাকি খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিয়েছিস? আমিও মামীকে বলে দিয়েছি যে ছাগল কি ভাত খায় নাকি মামী! তার জন্য দরকার ফ্রেশ ঘাস! পারলে ড্রাইভারকে দিয়ে কোথাও থেকে ঘাস খুজে নিয়ে আসো। বাসি হলে আবার খাবে না দেখো। ফেশ মানে ফ্রেশ!
বাই দ্যা ওয়ে, রাজীব ভাইয়ার সাথে নাকি তোর কি একটা ঝামেলা হয়েছে? ভালোই তো হয়েছে। তোর সাথে কি সংসার করা যায়? তুই হইলি একটা সেন্টিখোর মেয়ে। ভালো জিনিস তোর হজম হয় না। সুখে থাকতে তোদের ভুতে কিলায়। সেজন্য নিজে নিজে ঝামেলা বাঁধাস। শোন একটা সিক্রেট! তোর সাথে নাকি আলিফের ডলাডলি সম্পর্ক ছিল? তোরা নাকি পুতুপুতু প্রেম করে বেড়াতি? আরও অনেকের সাথে নাকি তোর অ্যাফেয়ার ছিল? আরেকটি কথা যা হলো তোকে নাকি সৌরভ ভালোবাসতো তাই তোকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে প্রপোজ করেছে? ছিঃ ছিঃ পুষ্প তুই এত নীচ? ছিহ! বোন ভাবতেও ঘেন্না লাগছে রে…
এটা তোর বান্ধবী রুমা সৌরভকে বলেছিলো যেদিন সৌরভ আমার আর ওর কথা তোকে জানায় সেদিন। তুই চলে আসার পর রুমা এসব সৌরভকে বলেছে। সে সৌরভকে সাবধানও করেছে যে তোর মতো মেয়ে থেকে যেন সে দূরে থাকে। তুই অনেক লাকি রে পুষ্প, যে রুমার মতো বান্ধবী পেয়েছিস। শোন তুই ওর পা ধুয়া পানি একটা বোতলে ভরে নিয়ে আসবি। তারপর তিনবেলা ঘাস খাওয়ার পর পানিটা খাবি। বুঝেছিস?
বাই দ্যা ওয়ে, তোর সংঘঠনটা আমি দেখছি বলে ভাবিস না যে আমি তোর সংঘঠন ছিনিয়ে নিয়েছি। সংঘঠনের বাহিরেও একটা সংসার আছে তোর সেটা আগে বাঁচা। পরে কেঁদেও কুল পাবিনা। আর তোর বন্ধু বান্ধবী দুজন তো আছেই। ওরাও আমার সাথে কাজ করছে।

ইতি
তোর অসভ্য ছোট বোন
রাত্রি

রাত্রি চিঠিটা খামে ভরে ঠিকানা লিখলো। তারপর দ্বিতীয় চিঠিটায় চোখ বুলালো। এই চিঠিটা সৌরভের কাছে লিখা।

সৌরভ,
তুমি কি জানো তোমাকে আমি নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি? হয়তো জানো না। তুমি শুধু জানো যে আমি তোমাকে ভালোবাসি। ভালোবাসার কি কোনো কোয়ান্টিটি আদৌ হয় সৌরভ? জানো তো, সবাই বলে অরিন নাকি দেখতে ঠিক তোমার মতো। তোমার চোখের কার্বন কপি ওর চোখ। জানো! ও কখনো মা ডাকতে পারে না। ও ডাকে বাব্বা বা বা বা। এই একটা কথা শুনলেই কেন যে আমার ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে যায় তুমি কি তা বলতে পারবে? পারবে না হয়তো।
তুমি যে মাঝেমাঝেই আমার অনুপস্থিতিতে এখানে এসে অরিনকে দেখে যাও। তা আমি জানি। আমি খুব রাগ দেখালেও মাঝেমধ্যে মনে হয় অরিন কেন বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হবে? কেন? ও কি কোনো দোষ করেছে যে ও শাস্তি পাবে? কিন্তু আসলে পেতে হয় ঠিকই। দেখো না, আমার মা কি কোনো পাপ করেছে বলো? অথচ মা স্ট্রোক করে আইসিইউতে ভর্তি। নাইনটি পার্সেন্ট কোমায় আছে মা। লাইফ সাপোর্টেও চলে যেতে পারেন। বাবা পাপ করেছে তার শাস্তি মা, আমি এবং এই নিষ্পাপ শিশুটা পাচ্ছে। কেনো বলতে পারো? এত সাফার কর‍তে কি আমরা চেয়েছিলাম? আমি জানি আমি চাইলে হয়তো তোমার কাছে চলে যেতে পারি। সুখে সংসার করার ভান করে থাকতে পারি। তবে কি সেটা আবেগের দাম বেশি হবে না? বিবেক আমার কি বলে সেটাও তো ভাবতে হবে।
তুমি সবসময় আমাকে একটা কথা বলতে যে আবেগ দিয়ে নাকি জীবন চলে না। ঠিকই বলেছো কিন্তু তুমি নিজে সেটা মানতে পারছো না। কেনো নিজের জীবনটা গুছিয়ে নিতে পারছো না বলো? ধরে নাও না রাত্রি সৌরভের চ্যাপ্টারটা যাস্ট একটা বাজে চ্যাপ্টার। মুছে ফেলো না সব! আমি জানি তুমি বহুবছর পরেও মুছতে পারবে না।
আচ্ছা ডিভোর্স লেটারটা পেয়ে কি তুমি খুব রাগ করবে? মেরে ফেলবে আমাকে? প্লিজ কিল মি। আমার সত্যি আর এই জীবনটা সহ্য হচ্ছে না। প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তির পাল্লা এতটা ভারী হয়েছে যে আমি চাইলেও ভেসে থাকতে পারছিনা। অপ্রাপ্তিরা প্রতিনিয়ত ডোবাচ্ছে আমায়। তবুও ভেসে থাকতে হচ্ছে অরিনের মুখ চেয়ে। এই একটাই তো বেঁচে থাকার কারণ।
জানো সৌরভ আমি আর আগের মতো গান গাইতে পারি না শুধু দুটো লাইন ছাড়া। শুনতে চাও সেটা কি? বলছি শোন,

আমি তোমারও বিরহে রহিব বিলীন
তোমাতে করিব বাস
দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী
দীর্ঘ বরষ, মাস….

ইতি
তোমার কেউ না

রাত্রি এই চিঠিটা খামে ভরে ড্রয়ারে রাখলো। এটা সে পাঠাবে না। এটা ড্রয়ারেই থেকে যাবে অনন্তকাল। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে রাত্রি তৃতীয় চিঠিটাতে চোখ বুলালো। কোন সম্বোধন লেখা নেই এমন একটা সম্বোধনহীন চিঠি। যেটা এরকম,

আসসালামুআলাইকুম। আংকেল আপনাকে এই চিঠিটা লিখার কারণ দুটো। এক. আমাকে আপনি সময় দিয়েছিলেন। এবং পরবর্তীতে আমি বলেছিলাম আমার সময় দরকার আরও। আমার ভাবা হয়নি। এই কথাটা আমি মিথ্যে বলেছিলাম আংকেল। আমি সেইদিনই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যেদিন আপনাদের বাসায় দ্বিতীয় এবং শেষবারের মতো যাই।
দুই. আপনার পুত্র সৌরভকে বলে দিবেন সে যেন আমার বাসায় না আসে। আমার মেয়ে তার কেউ না। আমি তাকে ডিভোর্স লেটার অচিরেই পাঠিয়ে দিব। হয়তো এই পত্র যখন আপনি পাবেন তখন সেও ডিভোর্স লেটারটা পাবে। আপনার কাছে আমার একটাই রিকুয়েস্ট সৌরভকে সামলান। ওর বিয়ের ব্যবস্থা করে হলেও এই দিকে আসা ওর আটকান প্লিজ। আমি চাই না সৌরভরে ছায়াও যেন আমার এবং আমার সন্তানের ভবিষ্যত এ পরে।
আংকেল একটা গল্প শুনবেন? আমার ছোট মামীর গল্প। যেটা খুব কম মানুষ জানে। মামীর নাম জাহানারা খাতুন। মামীর বিয়ের আগে একজনের সাথে সম্পর্ক ছিল। যার নাম শওকত সিদ্দিকী। সম্পর্ক কিসের সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন? তো একদিন মামী তার ভালোবাসার মানুষটার সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করলেন কারণ মামীর আব্বা উনার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছিলেন। মামী সেই ভালোবাসার মানুষের সাথে পনেরোদিনের মতো ছিলেন। একদম টোনাটুনির সংসারের মতো। তখন হলো একটা বিপত্তি। উনার সেই ভালোবাসার মানুষটার বাবা এসে তাকে পেটাতে পেটাতে বাড়ি নিয়ে গেলেন। মামী পায়ে পড়েছিলেন তাও তাকে উনারা গ্রহণ করলেন না। কারণ উনাদের পরিবার রক্ষনশীল এবং সুনামধন্য পরিবার। কাজেই মামীকে কোনো ভাবেই গ্রহন করা যাবে না। মামীর সেই ভালোবাসার মানুষ তার বাবার হাত ধরে মামীকে ছেড়ে চলে গেলেন। একা একা মামী কোথায় যাবেন কি করবেন তার কোনো কূল খুজে পেলেন না। বাড়িতে ফিরলে হয়তো উনার আব্বা উনাকে মেরে ফেলতে পারেন এই ভয়ে বাড়িতে যেতে চান নি। তবুও মামী ভয়ে ভয়েই বাড়ি গেলেন কারণ উনার যাওয়ার আর কোনো যায়গাও ছিলো না। মামীকে উনার আব্বা ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন। ঘরেই ঢুকতে দেন নি। কারণ উনাদের বনেদী ঘরের এমন কীর্তি শুনলে সবাই ছি ছি করবে। ছোট ছোট বোন গুলোর আর বিয়েও দিতে পারবেন না। মামীর আম্মা লুকিয়ে উনাকে উনার এক খালার বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেন। মামী উনার খালার বাড়ি গিয়ে থাকার কিছুদিন পর হয়ে পড়লেন অসুস্থ। পাগলের মতো কি বিলাপ করতেন কে জানে! তারপর মামীর আব্বা মামীকে নিজের বাড়ি এনে কবিরাজি করালেন। কিন্তু ফলাফল শূন্য। মামী পুরো একবছর অসুস্থ ছিলেন। তবে বছর ঘুরার পর মামী কিছুটা সুস্থ্য হতেই মামীর আব্বা পুনরায় তাকে বিয়ে দিলেন মিনহাজুর রহমান নামের এক ইনস্পেকটর এর কাছে। উনার সেই বর্তমান স্বামী করত উনাকে সন্দেহ। যত দিন গেলো তত সম্পর্কটাও নড়বড়ে হতে লাগলো। একদিন সব ছেড়ে মামীর বর্তমান স্বামীও সংসার ত্যাগ করলেন। তারপরের ঘটনাটা নাহয় অজানাই থাক।
আপনি কি কিছু মনে করতে পারছেন আংকেল? মনে না পড়লে থাক মনে করবেন না। অতীত যত দূরে রাখা যায় ততই মঙ্গল।

ইতি
রাত্রি

রাত্রি চিঠিটা ছিড়ে ফেললো। এই চিঠিটা পাঠানোর কোনো মানে হয় না। মামীকে দিব্যি কেটে বলেছে সে কেউ এই ঘটনা জানবে না। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার কোনো প্রশ্নই আসেনা। রাত্রি আবারও আগের চিঠির মতোই হুবহু লিখলো তবে মামীর গল্পটা বাদ দিলো। খামে ভরে প্রাপকের ঠিকানায় লিখলো
প্রাপক,
শওকত সিদ্দিকী
……………….
………………..
উত্তরা, ঢাকা।

চতুর্থ চিঠিটা আর দেখলো না রাত্রি। ড্রয়ারে এটাও রেখে দিলো। অরিন জেগে গিয়েছে। ঠোঁট ভেঙে কান্না করছে মেয়েটা। রাত্রি অরিনকে কোলে নিয়ে চিঠি দুইটা ব্যাগে ভরে রাখলো। কাল সকালেই পোস্ট অফিসে যেয়ে পোস্ট করে আসবে। সাথে ডিভোর্স লেটারটাও।

….
পুষ্পর এক্সাম শেষ হলো একটায়। এক্সাম হল থেকে বের হয়েই পুষ্প সায়েদাবাদের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। নানুর বাড়িতে যাবে মাকে ফিরিয়ে আনতে। পুষ্প ওর নানুর বাড়িতে খুব কম গিয়েছে হয়তো হাতে গুনা তিন কি চার বার। পুষ্পর বারবার একটাই শঙ্কা হচ্ছে মা ফিরবে না আর। এবার তো বলেই গিয়েছেন কেউ যেন ওনাকে আনতে না যায়। এর আগে কখনোই মা নানুবাড়িতে যায় নি। ওকে ওর মামারাই কোনো উৎসবে এসে নিয়ে যেতেন। পুষ্প একা কখনো যায় নি। শেষ বার গিয়েছে ইন্টারে পড়ার সময়। বড় মামার মেয়ের বিয়ে ছিল। সেইবার ওকে নিয়ে গিয়েছিল রাজীব। রাজীবের কথা মনে হতেই পুষ্পর মনটা খারাপ হয়ে গেল। সে খুব করে চাইছে রাজীবের কথা মনে না করতে। অথচ এখন শুধু মাথায় রাজীবই ঘুরছে। মানুষ যা চায় সবসময় তার উল্টোটা হয় কেন? আশ্চর্য! ওই সময়েই একটা আশ্চর্যজনক ব্যাপার ঘটলো। রাস্তার অপর পাশে নিহারিকা নামের সেই হিরোইন প্রাইভেট কারে বসা। গাড়ির কালো গ্লাস নামানো। হিরোইন বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছেন। হয়তো কারো অপেক্ষা করছেন। পুষ্প কিছু না ভেবেই রাস্তা পার হলো। গাড়িটার কাছে যেতেই গাড়ি সা করে চলে গেল। পুষ্প দৌড়াচ্ছে আর ডাকছে,
-” এই হেলো! এক্সকিউজ মি! নিহারিকা আপুউউউউউ হেএএএইইই! দাড়াআআনন! হেএএএইইই”
গাড়ির গতি বাড়ছে। পুষ্পও দৌড়াচ্ছেই। একসময় গাড়িটা হারিয়ে গেল। পুষ্প হতাশ হয়ে দাড়িয়ে হাঁফাতে লাগল। একটুর জন্য রাহাত ভাইয়াকে হারিয়ে ফেলল! ধ্যাত! পুষ্প ভুলে গেলো ওর কোথায় যাওয়ার কথা ছিল। রিকশায় উঠে পড়লো সে। রিকশাওয়ালা পানের পিক ফেলে বলল,
-” আপা কই যাবেন?”
-” মিরপুর ২ নাম্বার”
-” যামু না। নামেন।”
পুষ্প বিরক্ত হয়ে নেমে গেল। মনে মনে বলল, কেনো রে ভাই ওই খানে গেলে কি আপনার রিকশা ভেঙে যাবে নাকি আশ্চর্য! আবারও বাসের জন্য অপেক্ষা করছে সে।

চলবে….

(আর একটা পর্ব বাকি হেহে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here