পথে হলো দেরি পর্ব ১১

#পথে_হলো_দেরি
#নুশরাত_জেরিন
#পর্বঃ১১

,
,
হলুদ শাড়িতে ইরাকে মোহনীয় লাগে।
আগে কখনো ইরাকে শাড়ি পরিহিত দেখেনি শৌখিন।সে সবসময় সেলোয়ার-কামিজ পরে থাকে।
শৌখিন অবাক নয়নে দেখে।ইরাকে অন্যরকম দেখতে লাগে।কেমন বউ বউ আভাস পায়।
আগে কখনো এভাবে দেখা হয়নি হয়তো।
শৌখিন চোখ নামাতে চেয়েও পারেনা।চোখদুটো অবাধ্যতা শুরু করে।
ঘুরেফিরে কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে সে ইরাকে আঁড়চোখে দেখে।
আশপাশ দিয়ে নানা বাহানায় ঘুরঘুর করে।
শাড়িতে পূর্ণ যুবতী লাগে দেখতে।তবে চুলগুলো বেধে রাখায় মন খারাপ হয় শৌখিনের।ভাবে মেয়েটাকে চুল খোলা রাখলে বেশি মানাতো।আর চুলে যদি গুঁজতো কয়েকটা বুনো ফুল?
শৌখিন মনের ক্যানভাসে ইরার খোলা চুলের ছবি আঁকে।
ভাবতে ভাবতে ইরার কাধ বরাবর নজর পরে।
কালো তিলটা দেখে বুক কেপে ওঠে।
একটুখানি ছুয়ে দেওয়ার আশায় ভেতরটা শুকিয়ে ওঠে।
পরক্ষনেই মেজাজ গরম হয়।
ইরা পিঠ খোলা রেখেছে কেনো?চুল কেনো খোঁপা করেছে?
তিলটা সবাইকে দেখানোর জন্য?
আশেপাশে ঘুরে একবার তাকায় শৌখিন।
এখানে উপস্থিত প্রায় প্রত্যেকটা ছেলের নজরই ইরার দিকে।
তার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে সব।
শৌখিনের গা জ্বলে ওঠে।
রাগে ফুঁসতে ফুসতে সে ইরার দিকে এগোয়।
পথে রিফাত শৌখিনকে দেখে পিঠ চাপড়ে ওঠে।
বলে,

—এমন হনুমানের মতো মুখ করে কোথায়,যাচ্ছিস?

শৌখিন থমথমে মুখে জবাব দেয়,

—কোথাও না।

কথার মাঝেই রিফাতের নজর পরে ইরার দিকে।
ততক্ষণে ইরা কাছে এসে দাড়িয়েছে।
রিফাত বলে ওঠে,

—এটা কে রে?ইরা নাকি?
তোমাকে তো আজ খুব সুন্দর লাগছে।

ইরা হঠাৎ কথা বলায় চমকে ওঠে।সে মুলত আজ ভয়ে ভয়ে আছে।
গায়ে হলুদের জন্য শাম্মির শশুড় বাড়ি থেকে লোকজন এসেছে।তারমধ্যে মুগ্ধও আছে।
ছেলেটা বদের হাড্ডি।
সবসময় ইরার সাথে অসভ্যতামো করে।এখানেও যদি এমনটা করে বসে?
তখন ইরা কি করবে?একে তো শাম্মির গায়ে হলুদে এতো মেহমান বাড়িতে,তারউপর মুগ্ধ শাম্মির শশুড়বাড়ির লোক।তাকে কিছু বলতেও তো পারবেনা ইরা।
তারচেয়ে বরং লুকিয়ে লুকিয়েই থাকা যাক।
রিফাতের কথায় ইরা জোরপূর্বক হাসি হাসে।কেউ প্রশংসা করলে ইরার ভালো লাগেনা।
কেমন অসস্তি হয় তার।

রিফাত ইরার উত্তরের অপেক্ষা করেও উত্তর পায়না।সে একটু হেসে আবার বলে,

—সিরিয়াসলি বলছি ইরা,তুমি এতো সুন্দর? আগে কখনো বুঝিনি তো।
নাকি ঠিকমতো দেখিইনি তোমার দিকে?

ইরার উত্তর দিতে হয়না।তার আগেই শৌখিন বলে,

—দেখবিই বা কেনো?বোন হয় তোর।বোনের দিকে ওতো ঠিক মতো দেখতে হয়না।

রিফাত মাথা চুলকে হাসে।
বলে,

—পৃথিবীর সব মেয়েরে বোন বানালে বউ কাকে বানাবো?

শৌখিন রাগে কটমট করে।রিফাতের গলা টিপে মেরে ফেলার এক অদম্য ইচ্ছা তার মনে চাড়া দেয়।
রাগে চোখ লাল করে সে তাকায়।
রিফাত চোখ বড়বড় করে ।হঠাৎ শৌখিনের রাগার কারন তার বোধগম্য হয়না।
সে ভীতু গলায় বলে,

—কি হয়ছে ভাই?তোরে এমন দেখাচ্ছে কেন?
তুই কি আমার উপর রেগে আছিস?

শৌখিন আরও রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।
রিফাত সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পালায়।
পরিস্থিতি তার কাছে গরম গরম লাগছে।

ইরার পাশে দাড়িয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে শৌখিন ফিসফিস করে।বলে,

—চুল খোল।

ইরা অবাক হয় খুব।কথা নেই বার্তা নেই শৌখিন হঠাৎ এমন কথা বলছে কেনো?ইরা একটু সরে দাড়িয়ে অবাক নয়নে তাকায়।বলে,

—কিহ?

শৌখিন বিরক্ত চোখে তাকায়।মেয়েটা কেনো বুঝছেনা চুল খুললে তার পিঠের তিলটা ঢাকা পরবে,তাহলে তো আর অন্য কেউ দেখতে পাবেনা।
তার রাগ হয়।মেয়েটা এতোটা কেয়ারলেস কেনো কে জানে?
সে রাগে ফোঁস ফোঁস করতে করতে বলে,

—কানে কম শুনিস?

–কানে কম শুনবো কেনো?

—তাহলে কি বললাম শুনতে পাসনি?

—কি?

—চুলের খোঁপা খুলতে বলেছি।

ইরা বারকয়েক চোখ পিটপিট করে।
শৌখিনের ব্যবহার তার মাথার উপর দিয়ে যায়।কিছুদিন যাবত ধরেই ইরা লক্ষ করেছে,শৌখিন তার সাথে অদ্ভুত ব্যবহার করে।কেমন যেনো অন্যরকম ব্যবহার।
কিন্তু কেনো করে?বেশ তো আছে সে তার প্রেমিকাকে নিয়ে।
কয়েকদিন পর বিয়ে করবে তারা,সবকিছুর প্লানও করা শেষ।তাহলে ইরার সাথে এমন ব্যবহারের মানে কি?
ইরা কি তার কোন কাজের মাঝে যায়?সে তো নিজের মতো থাকে।
নিজের কষ্টগুলো নিজের ভেতর পুষে রাখে।
ইরা শৌখিনের কথার পাত্তা দেয়না।
সে একবার তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে অন্যদিকে হাটা শুরু করে।
শৌখিন অবাক হয়ে তাকায়।তার কথার গুরুত্ব না দিয়ে ইরা এভাবে চলে যেতে পারে সে ভাবতেও পারেনি।
ইরার যাওয়ার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে।
অবাকের ভাবটা কাটতেই রাগে ফেটে পরে।
চোখ দিয়ে আগুনের ফুলকি বেরোয় যেনো।

💮💮💮💮

মিতালী শাড়ি পরে হাটতে পারেনা।কেমন জরিয়ে আসে তার।তবুও সে আজ শাড়ি পরেছে।
শৌখিনের মুগ্ধ দৃষ্টির কারন হতে চায় সে।শৌখিন শাড়ি পরা পছন্দ করে।
এর আগেও শৌখিনের জন্য একবার শাড়ি পরেছিলো মিতালি।এবার দিয়ে দ্বিতীয় বার পরেছে সে।
তবে শৌখিনের দেখা এখনো মেলেনি।
কোথায় যে গেছেনা ছেলেটা।
মিতালী বারবার এদিকওদিক তাকায়।
শৌখিনকে খোঁজে।
যার জন্য এতো কষ্ট করে শাড়ি পরা সেই যদি না দেখে,তাহলে কষ্টটাই যে বৃথা।
হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা লাগায় মিতালী ছিটকে নিচে পরে।
হাতের কনুইতে ব্যাথা পায়।
হাত দিয়ে আরেকহাতের কনুই চেপে ধরে।
চোখমুখ কুঁচকে সামনে তাকায়।
দেখে সামনের মানুষটাও ব্যাথা পেয়েছে।
কিন্তু পরে যায়নি।
মিতালির মাথা তার বুক বরাবর লাগায় সে বুকে ব্যাথা পেয়েছে।
বুক ডলতে ডলতে সেও মিতালির দিকে তাকায়।
চোখাচোখি হতেই সে থমকায়।
মিতালীর চোখ সুন্দর। শ্যামলা গড়নের মেয়ে হলেও যেকোন ছেলে একদেখায় প্রথমেই তার চোখের প্রেমে পরে।
শৌখিনও পরেছিলো।
যেনো কোন শিল্পীর হাতে আকা হরিণী চোখ।
তবু মুগ্ধতার রেশ কাটে কিছু সময়ের ব্যবধানেই।
মিতালি রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে উঠে দাড়ায়।দু-হাত ঝেরে নিজের শাড়ি ঝারে।
কাঠ কাঠ গলায় বলে,

—দেখে চলতে পারেননা?

মুগ্ধর মুগ্ধতার রেশ কাটে।সে নিজের ওপরই চমকায়।যে ছেলে সবসময় মেয়েদের শরীরের ভাজে নজর বুলিয়ে এসেছে সে কিনা আজ কারো চোখে মুগ্ধতা ভরা দৃষ্টি নিয়ে তাকাচ্ছে?
মিতালীর কথায় সে হেসে ওঠে।দুষ্টুমী মাখা হাসি ফুটিয়ে বলে,

—আমি তো ঠিকই দেখতে পাই।তবে আরেকজন যদি না দেখতে পায়,ইচ্ছে করে গায়ে এসে পরে।তাহলে আমার কি করার আছে?

মিতালি ধপ করে রেগে ওঠে।একপ্রকার তেড়ে এসে বলে,

—কি আমি দেখতে পাইনা?আমি ইচ্ছে করে গায়ে এসে পরি?

—সেকথা আমি কখন বললাম?

—বলেননি?

মুগ্ধ ইনোসেন্ট ফেস বানায়।বলে,

—আমি কি আপনাকে সরাসরি বলেছি?বলুন?

মিতালি চুপ হয়।তবে পরক্ষনেই আবার তেতে উঠে।বলে,

—সরাসরি বলেননি,কিন্তু আমাকে মিন করেই তো বলেছেন।

মুগ্ধ আবার হাসে।
তার হাসিতে স্পষ্ট দুষ্টুমী দেখা যায়।বলে,

—মিন করবো না তো কি করবো?নাম তো আর জানিনা।নাম জানলে না হয় নাম ধরে বলতাম।
বাই দা ওয়ে,আপনার নামটা কি?

পাশ থেকে মুগ্ধর কাজিন হো হো করে হেসে ওঠে।মুগ্ধর পিঠ চাপড়ে বলে,

—তুই কোনদিন শুধরাবিনা।এখানে এসেই এসব করছিস?

আরেকজন পাশে এসে দাড়ায়।বলে,

—সাবধান মামু,ইনি তোর সিনিয়র।

মুগ্ধ মিতালীর চোখে চোখ রাখে।একটু মাথা ঝুকিয়ে বলে,

—সিনিয়র বেয়াইন নাকি?

মিতালি অগ্নি দৃষ্টিতে তাকায়।

সেদিকে দেখে মুগ্ধ আবার হাসে।
শরীর দুলিয়ে হো হো করে হাসে।
তবে বুকে হয়তো কোথায় কিছু একটা দোলা দেয়।অজেনা কোন অনুভূতি রং ছড়ায়।
,
#পথে_হলো_দেরি
#নুশরাত_জেরিন
#Extra_part
,

,
ইরা নিজের রুমে এসে দাড়ায়।সে মুগ্ধকে দেখেছে একটু আগে।
তার নজরে না পরার জন্য ইরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
বলা তো যায়না কখন সে কি করে বসে।
ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে চুলের খোপা খোলার চেষ্টা করে।
শৌখিন তখন বলেছিলো খুলতে।
কেনো বলেছিলো কে জানে।
খোপা খুলতে গিয়েও খোলেনা ইরা।হাত সরিয়ে আনে।
সে শৌখিনের কথা কেনো শুনবে?কে হয় শৌখিন?ইরাকে তো বোন বানিয়ে দিয়েছে।
তার কথা কেনো শুনবে ইরা।
তার কথা শোনার মানুষ তো আছেই,মিতালি আছেনা?
ভেতরে ভেতরে চাপা অভিমান হয় ইরার।
সে আয়নায় নিজের প্রতিবিম্বর দিকে তাকায়।
গলার চেনটা গলায় লেগে কেমন চুলকানি হয়।
এ চেনটা রেহেনা বেগম দিয়েছে তাকে।ইরা নিতে চায়নি।
সে যেহেতু এ বাড়ির বউ না,শৌখিন নিজেই মানেনা সেহেতু এসব সর্নালংকারও সে নেবেনা।
নেওয়া উচিত ও না।এ সব কিছুর উপর অধিকার মিতালীর।সেই তো কিছুদিন পর শৌখিনের বউ হয়ে আসবে।
রেহেনা বেগমকে তো আর মিতালীর কথা বলা যায়না।
ইরা শুধু বলেছিলো,সে বউ হিসেবে কোন গহনা নিতে পারবেনা।
যেখানে স্বামীই তাকে বউ হিসেবে মানেনা।
তখন রেহেনা বেগম বলেছিলেন,তিনি এ চেনটা তার ছেলের বউকে নয় ভাইয়ের মেয়েকে দিচ্ছেন।
একথা বলার পর আর বারন করা যায়না।
বাধ্য হয়েই চেনটা পরতে হয়েছে ইরাকে।
কিন্তু এখন চেনের পেছনের হুকটা গলায় লেগে কেমন কুটকুট করছে।
ইরা পেছনে দুহাত দিয়ে চেনটা খোলার চেষ্টা করে।
উপরে হাত তোলায় কোমড় উন্মুক্ত হয়।
দরজায় খট করে শব্দ হওয়ায় ইরা আয়নার মধ্য দিয়ে সেদিকে চোখ রাখে।
শৌখিন কেবলমাত্রই রুমে প্রবেশ করেছিলো।
তবে ইরা উন্মুক্ত কোমড়ের ঝলকানিতে তার চোখ ধাধিয়ে ওঠে।বুক কাপে শতগুণ হারে।
দিকবিদিকভুলে সে হা করে তাকিয়ে থাকে।বারকয়েক শুকনো ঢোক গেলে।
ইরা শৌখিনের নজর অনুসরণ করে নিজের কোমড়ের দিকে তাকায়।
ফট করে হাত নিচে নামিয়ে কাপড় টেনে ধরে।
মাথা নিচু করে সোজা হয়ে দাড়িয়ে পরে।
শৌখিনের হুশ ফেরে।
সেও চোখ সরিয়ে মাথা চুলকায়।

ইরা বলে ওঠে,

—আপনি হঠাৎ এঘরে?

শৌখিন চোখ তোলে।সে যেকারণে এসেছে সেকথা ভুলতে বসেছিলো প্রায়।
সে নিজেকে ঠিক করে।
বলে,

–আমাকে ইগনোর করে তখন চলে এসেছিলি কেনো?

—কখন?

শৌখিন চোখ গরম করে।
বলে,
—কখন মানে?ঐযে তখন আমি বললাম চুলের খোপা খুলতে,আর তুই আমার কথা না শুনেই চলে এলি?

ইরা মুখ ঘোরায়।আয়নার দিকে মুখ ঘুরিয়ে চেন খোলায় মন দেয়।বলে,

—তো?

শৌখিনের রাগ চুড়ান্ত হয়।এতো ভাব?এতোটা সাহস বেড়েছে ইরার?
সে ক্রুদ্ধ হয়ে তেড়ে আসে।

—তো মানে?খুব সাহস বেড়েছে তোর তাইনা?

ইরা ভয়ে দু কদম পিছিয়ে যায়।যতই বাইরে সাহসীকতার সাথে কথা বলুক না কেনো,আসলে সে তো ভীতু।ভীতুর ডিম একটা।
শৌখিনকে সে ভয় পায়।যমের মতো।
তবুও বুকে সাহস সন্ঞ্চার করে।
বলে,

—এতে সাহস বাড়ার কি আছে।
আপনি কিছু বললেই যে আমায় শুনতে হবে এর তো কোন মানে নেই।

—আলবাত আছে।
আমি কিছু বললে তোকে শুনতেই হবে।

ইরা শৌখিনের মুখোমুখি এসে দাড়ায়।চোখে চোখ রাখে।
বলে,
—কেনো?কেনো শুনবো আমি আপনার কথা?কে হন আপনি আমার?

শৌখিন হতভম্ব হয়।সে ইরার কাছে এমন কথা আশা করেনি।
তাছাড়া সত্যি তো,কেনো শুনবে ইরা তার কথা?কে হয় ইরা তার?
কিন্তু ইরার ভালোর জন্যই তো শৌখিন চুল খুলতে বলছে নাকি?
সব ছেলেরা যে হা করে গিলে খাচ্ছে তাকে।
শৌখিন নিজের পক্ষে যুক্তি দাড় করায়।
কোন দুর্বলতা থেকে নয়,স্বাভাবিক ভাবেই সে ইরাকে অন্য ছেলেদের খারাপ নজর থেকে বাচানোর জন্যই এমন বলছে।তাছাড়া কিচ্ছু না।উহু,কিছুই না।
যুক্তিটা কেমন নড়বড়ে লাগে তার কাছে।
তবুও সে বলে ওঠে,

—আরে তোর ভালোর জন্যই তো বলছি নাকি?

ইরা সন্দিহান চোখে বলে,

—আমার ভালো?চুল খুললে আমার কি ভালো হবে শুনি?

—চুল খোপা রাখায় পিঠের তিলটা যে দেখা যাচ্ছে সে খেয়াল আছে তোর?সব ছেলেরা তো হা করে তাকিয়ে আছে।
সবার হার্টবিট বাড়িয়ে ছেড়েছিস তুই।

—সবার?

—হ্যা সবারই তো।

ইরা আরো খানিকটা এগোয়।কোমল স্বরে বলে,

—আপনারও?

শৌখিন হ্যা বলতে গিয়েও থেমে যায়।
ইরার চোখে চোখ রাখে।
ছলছল নয়নে ইরাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে তার ভেতরটা নাড়া দিয়ে ওঠে।
তাড়াতাড়ি চোখ নামিয়ে সে দরজা দিয়ে বের হয়।

,

,
চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here