পবিত্রতার_ছোঁয়া পর্ব ২

গল্পের নাম :#পবিএতার ছোঁয়া
পর্ব :2
লেখিকা :#জাবিন মাছুরা [ছদ্মনাম]
||

কিছুখন আমি কারো কোনো আওয়াজ পেলাম না। কিন্তু হঠাৎ দরজা খুলে গেল। খুলার পর আমি যা দেখলাম তা দেখার জন্য আমি একদম প্রস্তুত ছিলাম না। আমি অবাক সাথে গালে ব্যথা অনুভব করলাম ।আপ,,,
||||
ঠ্সসসস

আমি :স্যার আপনি?আমি কিছু বলার আগেই, স্যার আমাকে থাপ্পড় মারল। আমি তো অবাকের শেষের পর্যায়ে যে, স্যার থাপ্পড় মারল কখন তা আমি বুঝতে পারি নি।

তাহসিন : এই মেয়ে, দরজা খুলছিলে না কেন? বল। [রেগে গিয়ে]

আমি:……… চুপ।

তাহসিন :কথা বলছ না কেন। বেশি সাহস হয়ে গেছে না তোমার,,আনছার মি? [আমার দুই বাহু চেপে]

স্যারের এমন ব্যাবহার আমি চুপ থাকতে না পেরে জোর জোরে কেঁদে ওঠলাম।

তাহসিন মিহুর কান্না দেখা চুপ হয়ে গেল। তাহসিনের রাগ পানির মতো ঠান্ডা হয়ে গেল।

তাহসিন :এই মিহু কান্না করো কেন?[ নরম শুরে]

আমি:আমি তার কথায় আরো জোরে কান্না করে দিলাম।

তাহসিন :এই মেয়ে চুপ। আর যদি কান্না করতে দেখি তাহলে আমি কি করব, আমি জানি না। চুপ করো। [হালকা রেগে]

আমি :আমি এবার চুপ হয়ে গেলাম।দেখলাম আপু খাবার নিয়ে হাজির।

তাহসিন : শাদিয়া খাবার দে। আর তুই এই ঘর থেকে চলে যা।

শাদিয়া :ঠিক আছে ।

তাহসিন :মিহু নেও প্লেট টা ধরো?

আমি:না স্যার আমি খাব না।

তাহসিন :দেখ আমি কিন্তু বেশি কথা বলতে পছন্দ করি না। নেও খাবার গুলো খেয়ে নেও। আমি এখানে দাড়িয়ে থাকব, যত খন পর্যন্ত তুমি না খাবে আমি যাব না।

আমি ভয়ে ভয়ে স্যারের হাত থেকে খাবার নিয়ে খেতে শুরু করলাম। কারন আমার অনেক খিদে পেয়েছে।

তাহসিন :এই তো গুড গাল।

আমার খাবার শেষ হওয়ার পর স্যার প্লেট নিয়ে চলে গেলেন আর বললেন,

তাহসিন : উচ্চতর গনিত বই বের কর।

আমি :আল্লাহ এতো আমাকে পাগল করার চেষ্টায় আছে। [মনে মনে]

মিহু :ঠিক আছে ।[ভয়ে]

।।
কিছুখন পর স্যার আমার রূমে আসলেন।বললেন,,

তাহসিন :তুমি তো আগের সপ্তাহে আমার ক্লাস মিস দিছ। কলকে কিন্তু আমার ক্লাস মনে আছে।

আমি :হুম।

তাহসিন :কলকে গনিত পরীক্ষা। আমি ক্লাসে সাজিসোন দিয়েছি। পেয়েছ?

আমি :না।

তাহসিন :তা পাবে কীভাবে, তোমার তো পড়ায় মনোযোগ থাকে না।

আমি :নিচের দিকে তাকিয়ে। [চুপ করে আছি]

তাহসিন :কালকের পরীক্ষা যদি খারাপ হয় রে মিহু,, তোমার কপালে কষ্ট আছে কিন্তু।

আমি :এখনো চুপ।

তাহসিন :আর শোন বিয়ের কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল। হুম।

আমি :চুপ।

তাহসিন :কখনো আমার বউয়ের অধিকার দেখাতে আসবে না। ছাত্রীর মতো থাকবে।

স্যারের কথা শুনে আমার কেমন যেন একটু খারাপ লাগলো। তাহলে কেন সে আমাকে বিয়ে করল। তাও আমি বললাম,

আমি : জি স্যার।[#জাবিন মাছুরা, লেখিকা]

তাহসিন :কাল থেকে আমি তোমাকে বাসার পড়াতে আসব। তাহলে আমি এখন আসি। কালকে পরীক্ষা এখন ঘুমিয়ে পরো। সকালে ওঠে অঙ্ক করবে। আর কলকে যেন কোচিং এ যাওয়া লেট না হয়। ওকে?

আমি :হুম।

তাহসিন :তাহলে আসি। একদম কান্না করবে না।

আমি :মাথা দুদিকে নাড়ালাম।
|||||

স্যার চলে যাওয়ার পর মা বাবা আমার ঘরে এসেছিল কিন্তু আপু কাউকে কথা বলতে দেই নি। আমার মাথায় এখন পরীক্ষার কথা ঘুরপাক খাচ্ছে, আর কলকে থেকে স্যার বাসায় পড়তে আসবে। ওওও নো।লেখিকা:[#জাবিন_মাছুরা]

|||
সকালে,

আমিঘুম থেকে উঠে দেখি, আটটা বাজার আর পনেরো মিনিট বাকি আছে।

আমি :মা”মা, আমাকে ডাক নি কেন?

মা :মিহু তুই আমাদের মাফ করে দিয়েছিস।

আমি :আমি এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে চাই না। আমার দেরি হয়ে গেল আমি কোচিং এ গেলাম।

মা কিছুই বললো না ছলছল নয়নে আমার দিকে তাকিয়ে রইল।
||||

আমি বাসা থেকে বের হয়ে, রাস্তায় কুকুরের মতো দৌড়াছি। আমার তো অনেক ভয় লাগছে, যদি তাহসিন স্যার ক্লাসে ঢুকে পড়ে। সিরি দিয়ে কোচিং এ উঠতে যেয়ে হাপিয়ে গেলাম। ক্লাসের সামনে এসে দেখলাম স্যার ক্লাসে ঢুকে পড়েছে। আল্লাহ এখন কী হবে আমার?

চলবে,,,,

[এ্যাসাইনমেনটের জন্য ছোট করে লিখেছি। গঠন মূলক মন্তব্য করবেন প্লিজ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here