পবিত্র সম্পর্ক পর্ব ১৫+১৬

#পবিত্র_সম্পর্ক
লেখক : রিদন রায়হান
পর্ব : ১৫



সর্ট টপস এবং জিন্স পরা মেয়েটির কোমরে হাত রেখে হাঁটছে ফাহিম। ওর সাথে মেয়েটিও হাঁটছে। দুজনের ঢলাঢলি দেখে আশেপাশের সকলে তাকিয়ে আছে। রায়হান পিছু পিছু হাঁটছে ওদের। জুয়েলারি সপ হতে বেরিয়েই! ফাহিম মেয়েটাকে দাঁড় করিয়ে পার্কিং এ থাকা গাড়িটা আনতে চলে গেল। ফাহিমের চলে যেতেই মেয়েটির ভ্যানিটি ব্যাগ হতে মোবাইল বের করে কাকে যেন ফোন দিল? ওপাশ থেকে ফোন রিসিভ করতেই মেয়েটা বলে উঠল,

—-“সরি বাবু। আমি মোবাইল সাইলেন করে রেখেছিলাম আসলে একটু বাইরে এসেছিলাম তো তাই। রাগ করো না জান, প্লিজ।”

ওপাশ থেকে ওই ব্যাক্তি কি যেন বলল তা শুনতে পেল না রায়হান তবে মোবাইলের ওইপাশে ব্যাক্তির কথা শুনে মেয়েটার মুখের রং পাল্টে গেল। কিছুটা ভয় পেয়ে বলল,

—“জান বিশ্বাস করো, যে ছেলেটার সাথে আমামাকে তুমি গাড়িতে দেখেছিলে সেটা আমার চাচাতো ভাই ছিল।”

রায়হান এবার বুঝতে পারল, ওপাশে থাকা লেকটি একজন ছেলে এবং ছেলেটি মেয়েটির বয়ফ্রেন্ড।

—“আরে ওকে তুমি চিনবে কি করে। ও তো জাপানে ছিল এত বছর।”

রায়হান মেয়েটার কথা অবাক হলো। মনে মনে ভাবলো, “চাচাতো ভাই এর সাথে এত ঢলাঢলি?”

মেয়েটা কথা শেষ করে ফেন রাখতেই পিছন থেকে ফাহিম বলে উঠল,
—“হাই বেবি কার সাথে কথা বলছিলে।”
—“বাবু আম্মু ফোন করেছিল। সেই কখন বেরিয়েছি তো তাই চিন্তিত আমাকে নিয়ে।”
—“চলো তাহলে।”
—“হ্যাঁ,বাবু চলো।”

ফাহিম মেয়েটিকে নিয়ে বেরিয়ে গেল গাড়ি করে। রায়হান পিছু নিলো ওদের। পিছু নিতে নিতে রায়হান একটা হোটেলের সামনে এসে পৌছাল। ভিতরে ঢুকে গেল ওরা হোটেলের। রায়হান কিছুক্ষণ অপেক্ষা করল তখনি রাস্তার ওপাশ একজন ব্যাক্তিকে মাক্স বিক্রি করতে দেখল। মাক্স পরে নিলে কেউ চিনতে পারবে না ভেবে একটা পনের টাকা দিয়ে মাক্স কিনে সেটা পরে নিল।

তারপর হোটেলের ভিতর ঢুকে গেল। ঠান্ডা আছে এমন ভাব করতে লাগল, কাশতে লাগল যাতে আশেপাশের লোকজন ভাবে ওর ঠান্ডা লেগেছে বলে মাক্স পরেছে।
হোটেলের ভিতর তো ঢুকলো কিন্ত বেশ চিন্তায় পরে গেল এত বড় একটা হোটেলের কোন রুমে আছে ফাহিম আর ওই মেয়েটি তা কি করে জানবে?
“হৃদয় ফাহিমের কি নাম যেন বলেছিল সেইদিন ? পুরো নামটা যেন কি?”— ভাবতেই মনে পরল ফাহিমের নামের সাথা টাইটেলটা ছিল,
–“প্রধান, ফাহিম প্রধান।”

দু’একটা কাশি দিয়প জিগ্যাস করলল,
—“আচ্ছা ফাহিম প্রধান কোন রুমে আছে?”
—“এই নামে এখানে কেউই এই হোটেলে নেই স্যার।”

রায়হান কিছু ভেবে না পেয়ে মোবাইল বের করে ফেইসবুকে ঢুকে “ফাহিম প্রধান” নামটা সার্চ করতে প্রথমেই ফাহিমের আইডিটা ভেসে উঠল। রায়হান সেখান থেকে একটা ছবি বের করে লোকটিকে দেখিয়ে বলল,

—“এই যে ওর ছবি?”
—“ওহ এটা তো মাহিম স্যার। আপনি কিসের ফাহিম বলছেন বলে ঠিক চিনতে পারিনি। মাফ করবেন।”
—“সমস্যা নেই। কোন রুমে আছে?”
—“জ্বী, রুম নাম্বার ১০৭ ”
—“ধন্যবাদ ”
বলে রায়হান লিফ্টে না গিয়ে সিড়ি বেয়ে উপরে চলে গেল। ‘১০৭’ নাম্বার রুমে যেতেই দেখল দরজা ভিতর থেকে লক করা। ঠিক তখনি পাশের রুম ১০৬ থেকে একজন লোক বেরিয়ে চলে গেল দরজা লক না করেই। রায়হান বাইরে থেকে দেখে এসেছে এখানে এক রুমের বারান্দা থেকে আরেক রুমের বারান্দায় জাম্প করে যাওয়া যাবে। রায়হান মনে ভাবলো, “কোন মতে যদি এই রুমের যাওয়া যায় তবে নিশ্চিত এই রুমের বারান্দা হতে ওই রুমে যাওয় যাবে।”

রিক্স নিয়ে ঢুকে গেল ১০৬ নাম্বার রুমে। রায়হানকে মাক্স পরা অবস্থায় দেখে একটা বৃদ্ধ মহিলা প্রচন্ড রকমের ভয় পেয়ে গেলেন। আমতা আমতা করে জিগ্যাস করলেন,

—“কে…কে…কে…তু…তু…তুমি?”

রায়হান কাশি দিয়ে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করল ওর ঠান্ডা লেগেছে। গলা ভাঙ্গে বলল,

—“ওহ সরি হানি। আসলে আমি ভুল করে ‘106’ কে ‘109’ ভেবে ঢুকে গেছি এই রুমে।”
—“আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম তুমি মাক্স পরা আছো দেখে। কোল্ড হয়েছে বুঝি?”

“ইয়েস।” — বলে পাশে থাকা সোফাতে বসে পড়ল রায়হান।
— “তোমার শরীর তো দেখি খুব খারাপ। দাঁড়াও আমি আমার ছেলেকে তোমার জন্য ম্যাডিসিন আনতে বলে দেই। সে আমার জন্যও মেডিসিন আনতেই ফার্মেসিতে গেছে।”
—“নো থ্যাংক্স।”
—“বসো তুমি। আমি ভিতর থেকে মোবাইলটা নিয়ে আসি।”

কথাটা বলেই বৃদ্ধ মহিলাটা মোবাইল আনতে তার রুমে চলে গেল। সেই সুযোগে রায়হান টি’টেবিল এর উপর ফেলের ঝুরির ফলের সাথে থাকা ফল কাঁটার ধাঁরালো চাকুটা নিয়ে দ্রুত বারান্দায় চলে গেল। বারান্দায় যেতেই মনে মনে বৃদ্ধ মহিলাটির কছা ক্ষামা চাইল মিথ্যা অভিনয় করার করনে। তারপর রুম নাম্বার ‘১০৬’ এর বারান্দা হতে রুম নাম্বার ‘১০৭’ এর বারান্দায় জাম্প করল। জাম্পর করতেই বারান্দার গ্রিল হতে হাত ফসকে রায়হান নিচে পরে যাচ্ছিল। কোন মতে উঠে আসে রুম নাম্বার ‘১০৭’ এর বারান্দায়।

হাত-পা কাপছে রাহয়ানের আর একটু হলেই তো নিচে পরে যেত। রায়হান আল্লাহর কছে শোকর আদায় করল, ওকে বাঁচানোর জন্য।


বৃদ্ধ মহিলা ডাইনিং রুমে এসে রায়হানে না দেখতে পেয়ে অপ্রস্তুত হয়ে গেল। ভাবলো,
“ছেলেটা কোথায় গেল? শরীর খারাপ দেখে বললাম বসতে মেডিসিন নিয়ে আসবে আমার ছেলে তাও চলে গেল অদ্ভুত।”ভাবতে ভাবতেই তিনি সদর দরজা লাগিয়ে দিলেন।


রায়হান বারান্দার ভেজানো দরজাটা ফাঁকে ভিতরে তাকাতেই ফাহিম আর সেই মেয়েটিকে অশ্লীল কর্মরত অবস্থায় দেখে চোখ সরিয়ে নিল। ভাবলো, “কতটা খারাপ একটা মানুষ হতে পারে। রাতে মেয়ে ধর্ষণ করছে আর দিনে মিথ্য প্রেমের জালে মেয়েদেরকে ফাসিয়ে এসব অশ্লীল কাজকর্ম করছে। ছিঃ….. আর মেয়েটি মেয়েটিও তো সেই একি নিজের বয়ফ্রেন্ডকে মিথ্যা বলে, ছেলেটিকে ধোকা দিয়ে ফহিমের সাথে হারাম কাজে মেতে উঠেছে। এইসব কিছু মেয়েদের জন্য আজ বেশিরভাগ ছেলেদের চোখে মেয়েরা খারাপ, জঘন্য। ”

সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নেমে এল। ফাহিম আর মেয়েটি এখনো গভির নিদ্রায়। রায়হানের টার্গেট সুধু ফাহিম, মেয়েটির কোন ক্ষতি করতে চায় না তাই রুমের ভিতরে ঢোকেনি এতক্ষণ। রায়হান মেয়েটির চলে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। মেয়েটি চলে গেলেই ফাহিমের কাহিনী শেষ করে দিবে চিরতরে।

“সাদিয়াকে হঠাৎ করে হৃদয়ের সাথে বাড়ি পাঠিয়ে দিলাম খুব মন খারাপ করে আছে হয়তো। ওর জন্য ঠিকঠাক কিছু কিনতেও পারলাম না, এই ফাহিমের জন্য।” — রায়হান এই সব ভাবছিল তখনি ভতরের রুমে করো মোবাইল ফোন বেজে উঠল। মেয়েটি ফোন রিসিভ করে বলল,
—“হ্যাঁ। আমি একটু আনিকার বাসায় আছি এখুনি বাসায় আসছি।”

মেয়েটির কথা শেষ হতেই ফাহিমের কন্ঠশোর ভেসে আসল। বলল,
—তুমি কি এখন বাসায় চলে যাবে?”
—“হ্যাঁ। রাত বেশি হয়ে যাচ্ছে আমার এখন বাসায় যাওয়া দরকার।”
—“ভেবেছিলাম আজকের রাতটা তুমি আর আমি স্পেন্ড করবো এক সাথে কাটাবো।”
—“আরেকদিন বাবু। আমি চলি।

বলে জামা-কাপড় পরে তৌরি হয়ে মেয়েটি চলে গেল। ফাহিম শরীরে কাঁথা জরিয়ে আধশোয়া হয়ে, খাটের সাথে হেলান দিয়ে বসল। কর্নার টেবিল হতে সিগারেটের পেকেটে হাত দিতেই এক কোপে আঙুগ চারটা ফেলে দিল রায়হান। ফাহিম বিকট এক চিৎকার করে উঠল। রায়হান ওকে টেনে খাট থেকে নামিয়ে মুখের মধ্যে নাক বরাবর স্বজোরে ঘুষি মারতে লাগল। এত দ্রত সবকিছু হয়ে যাওয়ার ফাহিম কিছুই করতে পারল না। নাকের প্রচন্ড ব্যাথায়, আঙুলের ব্যাথায় ফাহিম কাতরাতে লাগল।
রায়হান বিছানার চাদর ছিঁড়ে সেই ছিঁড়া কাপর দিয়ে ওর মুখ, হাত, পা বেঁধে ফেলল। যাতে করে ও চিৎকার করতে বা নড়াচরা করতে না পারে। গলা থেকে পা পর্যন্ত চাকু দিয়ে আঁচর দিতে লাগল। এভাবে সারা শরীরে চাকু দিয়ে আঁচর কাটতে লাগল ফাহিমের। ফাহিমের শরীরের চামড়ার ভিতর সাদা মাংসগুলো রাক্তে লাল হয়ে যেতে লাগল। কেঁচা কেঁচা শরীরে লবন বা মরিচ জাতিয় কিছু দিলে বেশ কষ্ট পেত ভেবে বাথ্রুমে চলে গেল রায়হান। লিকুইড জাতীয় সাবান, শ্যাম্পু নিয়ে এসে তা ফাহিমের শরিরের উপর ঢেলে দিল। ছটফট করতে লাগল ফাহিম। বাঁধা অবস্থায় থাকা শরীরটা রুমের এই কোন হতে ওই কোন গড়াগড়ি খাচ্ছিল। মুখ দিয়ে গোঙ্গানোর মত শব্দ বের করছিল। মুখের বাঁধন না থাকলে হয়তো চিৎকার করে পুরো হোটেল কাঁপিয়ে তুলতো।

রায়হান টিভি ছেড়ে গানের চ্যানেলে Zing এ দিয়ি সাউন্ড বক্সের সাউন্ড ফুল করে দিল। তারপর ফাহিমের কাছে এসে ফ্লোরে বসল। দেখল ফাহিম কেমন লাফাচ্ছে। ফাহিমের শরীরটা থেকে যেন আত্মাটা চলে যেতে চাইছে এই কষ্ট, জ্বলুনি সহ্য করতে না পেরে। রায়হান ফাহিমের মাথাটা ফ্লোরের চাথে চেপে ধরল। মাথাটা একটু উচিয়ে আবার ফ্লোরের সাথে বারি মারতেই ফাহিমের মাথা ফেটে রক্ত বের হতে লাগল। সাদা ফ্লোর রক্তে লাল হয়ে যেতে লাগল। রায়হান ফাহিমের আরেকটা হাত, যে হাতের আঙুলগুলো কাঁটেনি সেই হাতটা ফ্লোরের সাথে চেপে ধরল। বলল,
—“এই হাত দিয়েই সাদিয়াকে ধরেছিলি তাই না?”

জিগ্যাস করেই হাতের আঙ্গুল গুলো একটা একটা লরে কেঁটে ফেলতে লাগল। মুখের বাঁধন থাকা স্বত্তেও ফাহিমের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে। তা শুনে রায়হান বলল,
—“সাদিয়াও সেইদিন এভাবে চিৎকার করেছিল তাই না। তখন ওর চিৎকার কেউ শুনতে পায়নি বন্দি হয়ে ছিল গাড়ির গ্লাসের ভিতর। আজ ঠিক তেমনি তোর চিৎকার কেউ শুনতে পাচ্ছে না। এই সাউন্ড বক্সের গানের শব্দে মিশে যাচ্ছে।”

রায়হান এবার ফাহিমের মুখের বাঁধন খুলে দিল। মৃত্যুর আগে ওর শেষ কথাটা শোনার জন্যে। মুখের বাঁধণ ছাড়া পেয়েই ফাহিম আকুতি-মিনতি করতে লাগল রায়হান যেন ওকে ছেড়ে দেয়।
তা শুনেই রায়হানের রাগ কয়েক হাজার গুণ বেরে যায়। বলে,
—“সাদিয়াও সেইদিন বলেছিল ওকে ছেড়ে দিতে। তোরা কি ছেড়ে দিয়েছিলি? ওর মিনতি কি তোরা শুনেছিলি?

বলে ফাহিমের পেটে চাকু চালান করে দেয়। পেট কেঁটে নাড়িভুড়ি সহ কেটে যায় তবুও রায়হান চকু চালিয়ে যাচ্ছে। রক্তে পুরো রুমের ফ্লোর রঙিন হয়ে যাচ্ছে। রক্তের স্রোত যেন কিছুতেই থামছে না ফাহিমের। মুখ দিয়ে দু’তিন বার অদ্ভুত এক শব্দ করে নিস্তেজ হয়ে পরে ফাহিমের দেহ। রায়হান উঠে দাঁড়িয়ে হাতে থাকা চাকুটা ফাহিমের মুখ বরাবর ছুড়ে মারতেই কপালে গেথে যায় চাকুটা। তারপর ফাহিমের শার্ট-পেন্ট নিয়ে চলে যায় ওয়াশরুমে, রক্তে মাখা জামা-কাপড় চেন্জ করতে। তখনি বাইরে কিছু মানুষের কথাবার্তার আওয়াজ শোনা যায়। এজন লোক বলে ওঠে, “ওইতো ম্যানেজার সাহেব চলে আসছে। লক খুলে ভিতরে ঢুকলেই বোঝা যাবে ভিতরে কি হচ্ছে।”

রায়হান ওয়াশরুম থেকে এসব শুনে কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। ঠিক তখনি রুমের দরজা খুলে বেশ কিছু লোক ভিতরে প্রবেশ করে।

চলবে……

[ #পবিত্র_সম্পর্ক
লেখক : রিদন রায়হান
পর্ব : ১৬

লোকগুলা ডাইনিংরুম পেরিয়ে রুমে আসতে আসতে রায়হান ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে বারান্দার চলে যায়। লোকগুলো ভিতরে ঢুকে এমন নৃশংস খুন দেখে ভয় পেয়ে যায়। ফ্লোরে ফাহিমের রক্ত থেকে এখনো গরম হাওয়া বাষ্পিত হচ্ছে। তা দেখে সবাই বুঝতে পারে খুনটা এখনই হয়েছে, তারা যে আর্তনাদ শুনেছিল তা ফাহিমের।

রায়হান বারান্দা থেকে পাইপ বেয়ে নিচে নেমে হোটেলের পিছনের রাস্তা দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে।
হোটেলের পিছনের রাস্তাটা একদম নির্জন। লোকজন খুব কমই চলাচল করে এই রাস্তাটা দিয়ে। দূর থেকে দূর রায়হান কোন মানুষই দেখতে পেল না গাড়ি তো দূরের কথা তাই কোন উপায়ান্ত না পেয়ে হাঁটতে লাগল । হাটতে হটতে রায়হান ভাবতে লাগল সাদিয়া বলেছিল, রাতে রিক্সায় করে ঢাকা শহরর ঘুরার মজাই আলাদা। আশেপাশের দোকান-পার্টের আলোয় পুরো রাস্তা আলোকিত হয়ে থাকবে তার তার মধ্য দুজন রিক্সা বসে তা অনুভব করবে।
এসব ভেবেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল, মনটা খারাপ হয়ে গেল তবে ফাহিমকে উচিত শিক্ষা দিতে পেরেছে ভেবে মুহূর্তেই খারাপ লাগাটা চলে গেল। কিছুদূর হেঁটে মেন রোডের সামনে যেতেই একটা বাচ্চা শিশুকে কুড়ি দু’এক গ্যাসবেলুন বিক্রি করতে দেখল। তখনি মনে পড়ল। সাদিয়া বলে ছিল সপিং করে বাসায় যাওয়ার সময় ওকে গ্যাস বেলুন কিনে দিতে।
—“ধুর একটুও খেয়াল গ্যাস বেলুনের কথা। যাই কিছু গ্যাস বেলুন কিনে নেই।”

বলেই রাস্তার অপর প্রান্তে যাওয়ার সময় একটা গাড়ি ওকে ধাক্কা মেরে দিচ্ছিল। একটুর জন্য বেঁচে গেছে। রায়হান একটু এগিয়ে গিয়ে গারিটার গ্লাসে হাত দিয়ে জোরে বারি মারতেই ড্রাইভার গ্লাস নামিয়ে দিল। রায়হান লোকটার কলার চেপে ধরতেই দেখল ড্রাইভারের পাশের সিটে ওদের বাড়ির দারোয়ান বসা। দারোয়ান রায়হানকে দেখেই যেন ভয়ে কাপতে লাগল। তিনি গাড়ি থেকে নেমে এসে রায়হানের সামনে হাত জোর করে বলল,
—“দাদাবাবু বিশ্বাস করেন ওইদিনে ঘটনাটা জন্য আমি দায়ি নই। আমাকে জোর করা হয়েছিল ওদের বাসায় ঢুকতে দিতে। আমারর বৌ প্রেগন্যান্ট ওর খুব পেইন হচ্ছে, তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে না নিয়ে গেলে অঘটন ঘটে যাতে পারে আমাকে যেতে দিন। আমি কথা দিচ্ছি কাল আপনার সাথে দেখা করবো।

—“ঠিক আছে। তাড়াতাড়ি যাও। ড্রাইভার সাভধানে নিয়ে যাবেন।

রায়হানের কথা শুনে দাড়োয়ান এক শস্তির নিশ্বাস ফেলল। পিছন ফিরে গাড়িতে উঠার আগেই তার স্ত্রী প্রসব যন্ত্রনায় এক বিকট চিৎকার করে উঠল। দারোয়ানের বুক কেপে উঠল ভয়ে। গাড়িতে উঠে স্ত্রীর হাতে হাত রেখে বলল,
—“আরেকটু কষ্ট করো আমি তোমার কিছু হতে দিব না। এইতো আমরা হাসপাতালে এসে গেছি আর একটু।”

এই বলে দারোয়ান স্ত্রীকে শান্তনা দিচ্ছে আর তা শুনে রায়হানের এক অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করল। সাদিয়ার কথা মনে পড়ে গেল মুহূর্তেই। কিছুদিন আগে সাদিয়াকেও এইভাবে শান্তনা দিতে হয়েছিল।

রায়হান সাদিয়ার কথা ভাবারত অবস্থায় দারোয়ান ড্রাইভারকে বলে উঠল, “ভাই চলেন। ”

দারোয়ানের কথায় ধ্যেন ভাঙ্গলো রায়হানের। ড্রাইভার গাড়ি চাবি স্টার্ট দিতেই রায়হান কিছু একটা ভেবে বলে উঠল, “দাঁড়াও” বলে দারোয়ানের কাছে
গিয়ে বললো, ” টাকা আছে তো তোমার কাছে? ”

— ” হুম আছে। ”
— ” সত্যি বলছো তো? ”
— ” না মানে আছে কিছু। তা দিয়েই হয়ে যাবে হয়তো। ”
— “হয়তো ? যদি না হয় তখন কি করবে? ”

বলে ড্রাইভারের দিকে চোখ গরম করে তাকালো রায়হান। ড্রাইভার চোখ নামিয়ে নিল। রায়হান পকেট থেকে মানি ব্যাগ বের করে সেখান থেকে এক হাজার টাকা রেখে বাকি সাত হাজার টাকা দারোয়ানের হাতে গুঁজে দিল। দারোয়ানের রায়হানের প্রতি কৃতজ্ঞতার চোখ দিয়ে পানি চলে আসল। রায়হান ইশারায় দারোয়ানকে শান্তনা দিয়ে ড্রাইভারকে গাড়ি চালাতে বলল। ড্রাইভার চলে গেল তখনি রায়হানে বেলুন হাতে নিয়ে কৃষ্নচুরা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটার কথা মনে পরল। সেদিকে তাকাতেই দেখল একটি লোক ছেলেটার কাধ ধরে ঝাঁকাচ্ছে আর বকছে। রায়হান তাড়াহুড়া করে সেদিকে যাওয়ার সময় লোকটার কথাগুলো কানে আসল। লোকটা বলছে,
—“কে কইছে তরে রাইত বাজে নয়টা এখনো বেলুন নিয়া দাঁড়ায় থাকতে ? জানোস কই কই না তরে খুঁজছি। বাড়িত আয় তর হাড্ডিডি ভাৎমু আইজ।”
ছোট্ট ছেলেটি এবার কেঁদে দিল। বলল,
—” বাবা আইজ একটা বেলুনও বেঁচতে পারি নাই। এতগুলা বেলুন তো রাইতে রাইতে নষ্ট হইয়া যাইবো? বেঁচতে পারি নাই হেল্লেইগা যদি তুৃি বহো তাই বাড়িত যাই নাই। ”
—“ওই তরে কে কইছে হ্যাঁ। তরে বুকমু কে? তুই কি আর ইচ্ছা কইরা বেছছ নাই নাকি? বাড়িত চল তর মায় তর লইগ্গা রান্দা বসাইয়ে গিয়া খাবি। ”

রায়হান লোকটার প্রতি রাগান্নিত হলো কিন্তু সব কথা শুনে রাগটা যেন চলেই গেল। রায়হান লোকটার কাছে গিয়েই বলল,

—“এইটুকো ছোট বাচ্চাকে দিয়ে বেলুন বিক্রি করাচ্ছেন? ওর তো এখন স্কুলে পড়ার বয়স। ”
—” কি করমু কন আপনাগো মত তো আমরা গরিভরা না। আমরা বেশিরভাগ দিনে কি রাইতেও না খাইয়া ঘুমাই। ”

—“কি কাজ করেন আপনি?”

—” আমি হেরম কোন কাজ করিনা। একজন ফরিওয়ালা। ”

রায়হান লোকটার কথা শুনে আট-পাঁচ না ভেবেই পকেট থেকে একটা কার্ড বের করে লোকটার হাতে দিয়ে বলল,
—“এইটা আমার কার্ড। কাল এই ঠিকানায় চলে আসবেন সেখানে আমার অফিস। আপনাকে ছোট খাটো একটা কাজ তো দিতেই পারবো। আশা করি তা দিয়ে আপনাদের সংসার খুব ভালো ভাবেই চলবে। ”

লোকটা অচেনা ব্যক্তিটির মুখে এরুপ কথা শুনে বেশ অবাক হলো। এমন মহৎ ব্যক্তি সমাজে কমই হয়। কিন্তু সাথে সাথেই আগের কিছু কথা মনে পরে গেল। রায়হানের মত অনেকেই এমন চাকুরি দিবে বলেছিল কিন্তু পরে আর দেয় নি সুধু ঘুরিয়েছে ‘আজ নয় কাল’ এসব বলে।

রায়হান ছোট্ট বাচ্চাটির চুলে হত দিয়ে এলোমেলো চুলগুলো আরো এলোমেলো করে দিয়ে বলল,
—” বেলুন গুলা যদি আমি কিনতে চাই বিক্রি করবে আমার কাছে? ”

ছেলেটি হ্যা সুচক মাথা নারল। রায়হান মানি ব্যাগ থেকে বেঁচে থাকা এক হাজার টাকা দিয়ে ছেলেটির হাত থেকে কুড়ি দু’এক কিনে নিল। তারপর ছলেটিকে বলল,

—” তুমি কি স্কুলে পড়তে চাও? ”

ছেলেটি একবার রায়হানের দিকে আরেক বার তার বাবার দিকে তাকাল। বাবা ইশারায় “হ্যাঁ” বলতে বলাতে ছেলেটি আবারো হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ল। রায়হান ছেলেটির গাল টেনে দিয়ে বলল,
—“কালকে বাবার সাথে আমার অফিসে চলে এসে তোমাকে একটা
ভালো স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিব। আর আপনি চিন্তা করবেন না ওর স্কুলেরর যাবতীয় খরচ আমার। আসি আসসালামু আলাইকুম ”

বলে রায়হান বেলুন নিয়ে হাটতে সুরু করল।
কিছুদূর যেতেই একটা সি এন জি পেয়ে গেল। রায়হান সি এন জি তে উঠতে যাবে তখনি মনে পরল পক্যেটে তো কোন টাকা নেই। তাই উঠে গিয়েও উঠল না। তাছাড়া ওদের বাসা এখান থেকে বেশি দূরে নয় তাই হেটে যাবারই সিদ্ধান্ত নিল।

বাসার কাছাকাছি পৌছাতেই এক পায়ের জুতা ছিড়ে গেল রায়হানের। তাই জুতা জোরা রাস্তায় ফেলেই হাটতে লাগল। পিচ ঢালাইয়ের রাস্তায় পায়ে যেন কাঁটা ফুটছে এমন মনে হচ্ছে রায়হানের। নির্ঘাত বাসয় গিয়ে উঠলে পা খুব ব্যথা করবে। রাতে ঘুমাতেও পারবে না হয়ত।

বাসায় পৌছেই রায়হান দেখে সাদিয়া সপিং এ যাওয়ার সময় যে বোরকা পরে গিয়েছি সেটা পরে ডাইনিং টিবিলের উপর মাথা রেখে একটা চেয়ারে বসে আছে। সুধু হিজাপটা খুলেছে মাত্র। সবাই খুব চিন্তিত মুখ নিয়ে রায়হানের দিকে তাকিয়ে আছে। রায়হান বেশ অবাক হলো। রায়হানকে হৃদয় ইশারায় সব বললে বলে জানালো। তার পরপরই বলে উঠল

—“দেখেছেন ভাবি বলেছিলাম বলেছিলাম না ভাইয়া ঠিক চলে আসবে। কি এখন মিলল তো। আপনি সুধু সুধু চিন্তা করছিলেন।”
—” রায়হান বাবা তুই হঠাৎ হৃদয়কে সপিংমলে ডেকে পাঠিয়ে কোথায় তাড়াহুড়া করে চলে গিয়েছিল বউমা বললো। তোকে নাকি খুব চিন্তিতও দেখাচ্ছিল? কোথায় গিয়েছিলি তখন?”(রেহানা বেগম)
—“আরেহ কোথাও না মা। একটু জরুরী কাজ ছিল।”
—“কি এমন জরুরী কাজ ছিল শুনি?”(আমজাদ চৌধুরি)
—“অফিসের কাজ বাবা। তোমরা এখনো জেগে আছ কেন? ডিনার করেছ?”
—“জেগে থাকবোই বা না কেন? তুই যে চিন্তায় ফেলেছিলি। “(রেহানা বেগম)
—“হ্যা করেছি ডিনার। “(আমজাদ চৌধুরি)
—“তাহলে গিয়ে শুয়ে পরো তোমরা দুজন। আমি খুব ট্রায়েড আজ ডিনার সেড়েই ঘুমাতে যাব।”

“আচ্ছা” বেলেই তারা দুজন চলে গেল। রায়হান সাদিয়াকে বললো,
—“কি হলো কিছু বলছো না যে? রাগ করে আছো আমার উপর? এত সামান্য বিষয়ে এত চিন্তা করার কি দররকার ছিল।”

সাদিয়া ঝলমলে চোখ নিয়ে একবার রায়হানের দিকে তাকালো। তারপর কিছু না বলে নিজের রুমে চলে গেল। রায়হানের মনে হলো যেন আর একটু হলেই হয়তো চোখ থেকে পানি গরিয়ে পরত।
রায়হান সাদিয়ার কাছে যেতে নিবে তখনি হৃদয় রায়হানের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলল,

—“ভাইয়া তুমি ফাহিম প্রধানের পিছু নিয়েছিলে তাই না? আমি সেখানে ফাহিম প্রধানকে দেখেছিল আর তুমি যে আমার সাথে কথা বলার সময়ও তার দিকে নজর রাখছিলি সেটাও দেখেছি। এখন বললো কোন খোঁজ কি পেলে? আর তুমি তো এই শার্ট-পেন্ট পড়া ছিলা না এগুলা….?”
—“তোকে পরে সব বলবে এখন তোর ভাবীর রাগ ভাঙ্গাই। যাই….”
—” হা হা হা, আচ্ছা যাও। ”

রায়হান রুমে ঢুকেই দেখে সাদিয়া ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বের হয়েছে মাত্র। রায়হান ওর কাছে যেতেই সাদিয়া এমন ভাব করলো যেন রায়হানকে ও দেখেইনি। রায়হান মুচকি হেসে বলল,
—“এখনো রাগ করে আছ? সাদিয়া? তখন বললাম তো খুব জরুরী একটা কাজ ছিল তাই যেতে হয়েছিল তখন। সরি।”
—“আমি কি আপনার কছে কৈফিয়ত চেয়েছি? চাইনি তো। তাহলে কেন কৈফিয়ত দিচ্ছেন। ”
—“আমার কি
ন্তু বুকে ব্যাথা হচ্ছে। ”

সাদিয়া বুঝতে পারল ওর কড়া কথাগুলোর কারনে রায়হান খুব কষ্ট পাচ্ছে তাও বলল,
—“আপনি হার্টের রুগি? জানা ছিল না তো। ”

সাদিয়ার কথায় এবার রায়হান হেসে দিল। বলল,
—“চলো….!”
—“কোথায়? আমি দুপুর থেকে কিছু খাইনি এখন কোথাও যেতে পারব না।”
—“আমিও তো সেই সকালে নাস্তা করেছি। তোমার মতই না খেয়েই আছি আমিও। এবার চলো।”
—“কোথায়? ”
—“ছাদে। ”
—“এখন আর ছাদে?”
—“হুম চলো ”

বলেই রায়হান সাদিয়য়ার হাত ধরে টানতে টানতে ওকে ছাদে নিয়ে গেল। ছাদে উঠেই সাদিয়া দোলনার সাথে দু’কুড়ি বিভিন্ন রঙের বেলুন দেখে খুশিতে লাফিয়ে উঠল। রায়হান ওর মুঁচকি হাসির মাঝে নিজের হাসি খুঁজে পেল যেন। সাদিয়া একবার রায়হানের দিকে তাকিয়ে মুঁচকি হেঁসে গ্যাস বলুন গুলোর কাছে চলে গেল। দোলনা থেকে দড়ির বাধন খুলে বলুনগুলো নিজের হাতে নিয়ে নিল সাদিয়া। একের পর এক বেলুন আকাশে উড়িয়ে দিতে লাগল। রায়হান দোলনায় বসে সাদিয়ার অদ্ভুত এসব কাজকর্ম দেখতে লাগল। সাদিয়া রায়হানের পাশে এসে দোলনায় বসে বলল,
—“ছোটবেলায় আমার মাও না আমার জন্য এত এত বেলুন কিনে নিয়ে আসত। আমি সারাদিন বেলুনগুলো নিয়ে খালতাম। যখনি রাত হতো মা বাবাকে আর আমাকে নিয়ে ছাদে আসত। তারপর আমরা তিনজন মিলে আকাশে গ্যাস বলুন উড়াতাম। আজ আবার আগের কথা মনে পড়ে গেল।”
—“তুমি তোমার মাকে অনেক মিস করো তাই না? ”
—“হুম।”

বলেই সাদিয়া হতে থাকা বাকি বলুনগুলো একসাথে আকাশে উড়িয়ে দিল। রায়হান বলে উঠল,
— “একসাথে ছেড়ে দিলে যে?”
—“একসাথে উড়তে দেখলে খুব ভালে লাগে।”
—“আগে জানলে সব ছেড়ে তোমার জন্য ফেরিওয়ালা হয়ে যেতাম। তাহলে রোজ তোমার এই হাসিখুশি মুখটা দেখতে পেতাম। ”
—“তাহলে ফেরিওয়ালাই হয়ে যান।”

বলে রায়হানের বুকে আলতো ধাক্কা দিয়ে ছাদের কিনারায় চলে যায় সাদিয়া। ছদের রেলিং দু’হাতে ধরে শীতল বাতাস আনুভব করতে থাকে। রায়হান পিছন থেকে এসে রেলিং এ থাকা সাদিয়ার দুই হাতের উপর নিজের দুহাত রেখে সাদিয়াকে জরিয়ে ধরে।
রায়হানের হঠাৎ এরুপ কাজে সাদিয়া চমকে যায়। রায়হানের নিশ্বাস ওর ঘারের উপর এসে পরছে আর সাদিয়া কেমন কেঁপে কেঁপে উঠছে। রায়হান সাদিয়ার ঘাড়ে ওর থুতনি রাখতেই ওর খোঁচা খোঁচা দাড়ি সাদিয়াকে নাড়া দিয়ে উঠায়। রায়হান বলে উঠে,

—“আজ কেন যেন খুব চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে ‘ভালোবাসি খুব খুব খুব ভালেবাসি সাদিয়া তোমাকে।”

বেলেই রায়হান কেমন কেঁপে উঠল। সাদিয়া রায়হানের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলল,
—“আমার খুব খিদে পেয়েছে।”
—“আমারও যে খুব।”

সাদিয়া ভ্রু-কুচকে রায়হানের দিকে তাকাল।



দারোয়ান সকাল সকাল রায়হানের বাসায় মিষ্টি নিয়ে হাজির হলো। ছেলে হয়েছে তার, সে বাবা হয়েছে কাল তাই প্রথমই রায়হানকে মিষ্টি মুখ করাতে চলে এসেছে। সাদিয়া দারোয়ানকে বসিয়ে রেখে তার জন্য কিছু খাবার আনতে যায় তখনি দারোয়ানের সাথে রায়হানের অনেক কথা হয় তখনি দারোয়ান বলে,
—“ওইদিন ফাহিম সাথে আরো দুজন যারা মিম দিদিমণিকে কিডন্যাপ করতে চেয়েছিল তাদের মধ্যে আমি একজন চিনি নাম ‘মুন্না’

চলবে…….

[বিদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন। আর দুই দিন পর লিখলাম ভালো হয়েছে কি না জানি না😐]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here