#পরানের_দুলাভাই
———*****—
রাইটারঃ সেলিনা আক্তার শাহারা””””
-____★❤❤
পর্বঃ- ১ম
ধুর কোন ঘাটের মরারে, এখনও দুলাভাই টা আসছেনা ওনার জন্য সেই কখন থেকে বাসর ঘরে বসে আছি , ওফ অসজ্য একটা লোক,
কি বুঝতে পারছেন না, বুঝিয়ে দিই,
আমি নিতু আজ আমার বিয়ে হয়েছে, হবু দুলাভাই এর সাথে, আমার বড় বোন মিতু আর দুলাভাই মানে মুগ্ধ, একে অপর কে ভালোবাসতো,তিন বছর এর রিলেশন ছিলো তাদের, তারা বিয়ে পর্যন্ত এগিয়ে ছিলো শত বাধা এসেছিলো তবু তারা হাল ছারেনি, ১ বছর অপেক্ষার পর দুই পরিবারের মত নিয়েই বিয়ের আয়জন করা হয়েছিলে,
বর যাত্রি চলে এসেছে ওফ কত্ত আনন্দ টাই না লাগছিলো, আমি মিতু আপুর চেয়ে ২ বছর এর ছোট, সেই সূত্রে মুগ্ধ আমার দুলাভাই হয়, গেট আটকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছিলা, হাত ধুইয়ে ছিলাম, ইস কত্ত আনন্দে কাটাছি সব বেয়াইদের সাথে হাসি মসকরা, দুলাভাইটাও কম যায় না সয়তানিতে ১ নম্বর, ওনার দুস্টু দুস্টু কথা,
খাওয়া দাওয়া শেরে, কাজী বিয়ে পড়াতে বসে,
তখন আপুর রুম থেকে, আল্লাহ গো বলেই আওয়াজ আসে।
সবাই দৌড় দেই কি হল কি হল বাড়িতে সোরগোল পরে গেলো, গিয়ে দেখি মা নিচে বসে কেদেই যাচ্ছে, হাতে একটা চিঠি মার কাছ থেকে মুগ্ধ মানে দুলাভাই হাত থেকে নিয়ে পরতে থাকে, তা পরে দুলাভাই ধপ করে বসে যায়,
চোখ দিয়ে শুধু পানি ঝরছে কোন কথাই বলছেনা, তখনই মুগ্ধের এক দুলাভাই চিঠিটা পরতে থাকে”””
লিখা ছিলো
মা- বাবা আমায় ক্ষমা করো আমি এখন বিয়ে করতে পারব না, আমি বড় একটা চান্স পেয়েছি তোমরাতো জানোই আমার ফটোগ্রাফির শখ ছিলো, আমার তুলা কিছু ছবি একটা ওকেশন থেকে দেখে আমায় অফার দিয়েছে তার এসিস্টেন হিসেবে,
আমি আমার সপ্ন কে কাছে পেয়ে হারাতে চাইনা,
মুগ্ধ আমায় তুমি ক্ষমা করো,
তোমায় সামনা সামনি বলার আমার সাহস হয় নি তাই পালিয়ে এসেছি, তুমি দেখো আমার থেকেও ভালো মেয়ে তুমি পাবে।
ইতি মিতু।
চিঠি পরার শেষে বারিতে তরগোল লেগে গেলো বিরাট বর, এমন কি দু পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও,
আমার বাবা এক জন সাধারন টিচার,
তাই ঝামেলা পছন্দ নয়, অনেক মেহমান এসেছে তাদের এবং আমাদের, মানসন্মান নিয়ে টানাটানি,
মুগ্ধের দুবোন সবার বিয়ে হয়ে গেছে, তাদের স্বামীরা পুরা আগুন হয়ে আছে, আর বলছে বৌ না নিয়ে গেলে মানসন্মান থাকবেনা তাদের,
বহু কথা কাটাকাটির পর তাদের এক দুলাভাই বললো মিতু নেই তাহলে নিতুকে দিন,এটাই সমাধান নয়তো আপনাদের আমরা জেলের ঘানি টানাবো বলে দিলাম,
মুগ্ধ এখনও চুপ করে আছে সে যেনো এ জগতেই নেই কত সপ্ন ছিলো চোখে শুধুতাই ভাসছে,
বাবা মানসন্মানের কথা ভেবে রাজি হয়,
মুগ্ধ ও আর তার বাবা দুলাভাই দের কথা ফেলতে পারেনি, তারাতো সব মেনে নিয়েছিলো আমার জোরে তা তো আর হল না এখন এটা অন্তত তাদের ইচ্ছায় হক ( মুগ্ধ) গল্পের আসল লেখিকা সেলিনা আক্তার শাহারা তাই চুর থেকে সাবধান।
আমিও লক্ষী মেয়ের মত বাবার কথায় রাজী হয়ে জাই, কিন্তু আমার চাচাতো ভাই জাইন বিয়েতে মত দেয় না, সে শুধু চোখলাল করে কথা বলছে চাচার সাথে এক পর্যায়ে চাচা ওকে চর মারে,
জাইন বাড়ি থেকে চলে যায়, আমি জানি জাইন আমায় পছন্দ করে,,, আমিও তো জাইন ভাইকে….. বলেই চোখ দুটো ভিজে গেছে নিতুর,
আপুর একটা ডিসিশন এ কত গুলা জীবন নস্ট হওয়ার পথে, জানিনা মুগ্ধ দুলাভাই এর সাথে আমার ভবিসৎত কি,
সব চিন্তা ঝেরে বিয়েটা হয়,
বিদাই এর সময় বাবার চোখে শুধু লজ্জাই ছিলো, উনি ভাবছে আমার প্রতি অন্যায় করেছেন বাবা হয়ে
,
গারিতে উঠে বসে আছি মুগ্ধ অন্য দিকে চেয়ে আছে সামনে তার দুই দুলাভাই এক জন গাড়ি চালাচ্ছে অপর জন তার পাশেই বসে ছিলো সারা রাস্তা কেউ কোন কথা বলে নি।
বাড়ি এসে দেখি অনেক বড় বাড়ি ঘরটাও সুন্দর করে সাজানো, মুগ্ধের মা সব ফোনে শুনেছেন,
আর আমার কাছে এসে বললেন,
এ দুজন তোমার ননদ আর ওরা তাদের স্বামী, তোমার শশুর কে তো চিনই,
উনি আমার ফুলে সাজানো একটা রুম এ নিয়ে যায় , সাথে দুই ননদও ছিলো,
খাটে বসিয়ে আমার শাশুরি মানে মুগ্ধের মা বললো,
মা শুনো যা হয়েছে ভুলে যাও সামনে দেখো, আল্লাহ যা করে সবার ভালোর জন্যই করেন,
সব বাদ দিয়ে মুগ্ধ টাকে আপন করে নাও সে অনেক ভেংগে পরেছে,
আমি চাই তোমরা দুজন সুখি হও বলেই দুফুটা চোখের পানি ছেরে চলে গেলো, আর দুই ননদ শুধু মিস্টি হাসি দিয়ে চলে গেলো।
বাস্তব এ আসা যাক—-
সেই থেকে বসে আছি দুলাভাই এর জন্য,
রাত ১ টা ওনি মানে দুলাভাই ধ্যাত এখনত আর দুলাভাই নয় জিব্বায় কামর দিয়ে ( নিতু)
মুগ্ধ রুমে এসে দেখো নিতু জেগে আছে,
সে ধিরে পায়ে নিতুর কাছে বসে বললো—
—–
চলবে কি???
কেমন হল জানাবেন।
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।