পরানের দুলাভাই পর্ব -০২

#পরানের_দুলাভাই
#সেলিনা_আক্তার_শাহারা,
পর্ব-২
——-😍
রাত প্রায় ১ টা এমন সময় মুগ্ধ রুমে ঢুকে, তার পর ধিরে পায়ে নিতুর কাছে বসে,
আর শান্ত গলাই বলে,

সব জেনেও কিসের আশায় জেগে আছো নিতু,
তুমি কোন আশা বেধে রাখোনিতো?? ( মুগ্ধ)

নিতু ভাবছে আসলেইতো কেন সে জেগে আছে, নাহ তার তো জেগে থাকার কথা না তাহলে কেন মুগ্ধর জন্য জেগে আছে??

নিতু চুপ দেখে মুগ্ধ আবার বললো নিতু তোমার সবই জানা আমি তোমার বোন কে বড্ড ভালোবাসতাম, সে এমন করবে আমি এখন বিশ্বাস করিনা,
বহু কষ্টের পর আমি আমার বাড়িতে সবাইকে রাজি করিয়েছিলাম, আমার সুখের কথা ভেবে সবাই মেনেও নিয়েছিলো মিতু কে,
কিন্তু সে সব নছ নছ করে দিয়ে চলে গেলো,

এত কিছুর পর আমার দুলাভাইরা অনেক রেগে গিয়েছিলো, বোনদের ছোট হতে হবে তাদের স্বামীর কাছে তাই, সব ভেবে তোমায় বিয়ে করেছি,
তোমার কোন অজত্ন হবেনা নিতু।

নিতু মনে মনে খুব কষ্টও পাচ্ছে যত হক মুগ্ধ এখন তার স্বামী তার মুখে অন্য কাউকে ভালোবাসে কথা টা শুনে খুব কষ্ট হচ্ছে নিতুর, হক না সে নিজের বোনই তার পর ও সে এখন তার স্বামী।

মুগ্ধের ডাকে তার হুস হয়,
মুগ্ধ আবার বলতে লাগলো, তোমার বেন যে জায়গাটা দখল করে আছে তা আমি কাউকে দিতে পারবনা, তবে তুমি চাইলে নিজের একটু জায়গা করে নিতে পারো,তুমি খুব বুদ্ধিমতী নিতু তাই সব তোমায় বুঝিয়ে বলতে হবে না মনে হয়,

নিতু শুধু ” হুম ” বলে সম্মতী দিলো।

অনের রাত হল শুয়ে পরো, ( মুগ্ধ)
নিতু একটা বালিস নিয়ে নিচে শুতে গেলো,

মুগ্ধ বলে উঠল আরে নিচে যাচ্ছো কেন,
তোমায় মেনে নেইনি ঠিকই কিন্তু মানব না তা তো বলিনি( মুগ্ধ)

নিতু চেয়ে রয়েছে মুগ্ধর দিকে অবাক হয়ে,
চুল গোলো এলোমেলো ঘামা ঘামা মুখটা ফর্সা চেহারায় যেনো নূর ভাসছে,
কানের বালিটা খুব আকর্ষন করছে, নিতু এক মনে চেয়ে আছে।

এর মাঝে মুগ্ধ আবার বলে উঠল কি হল দারিয়ে আছো কেন?
বিছানাটা খুব বড় নিতু এসে শুয়ে পরো,
বলেই মুগ্ধ এক পাশে শুয়ে আছে কপালে হাত দিয়ে,

নিতুও কথা আর না বলে চুপ করে বিছানার এক কোনায় শুয়ে পরে,
সে বুঝতে পারলে মুগ্ধ কান্না করছে নিশব্দে।
শুয়ার পর অনায়সে ঘুম চলে আসে নিতুর, আসবেই না কেন সে আজ খুব ক্লান্ত,

অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠে যায় মুগ্ধ উঠে নিতুকে দেখে এলো মেলো হয়ে শুয়ে আছে,
কাপর ঠিক ঠাক নেই,
তাই মুগ্ধ একটা চাদর ওর শরিলে দিয়ে দিলো,
অনেক ক্ষন নিতুর দিয়ে চেয়ে রইলো তার পর উঠে, ফ্রেস হয়ে জগিং এ চলে গেলো,
এটা মুগ্ধের রোজ কারে অভ্যাস জগিং এ না গেলে তার দিনই ভালো কাটেনা।

৮ টার দিকে নিতুর ঘুম ভাংগে তাও তার শাশুরির ডাকে, নিতু হুরমুরিয়ে উঠে দেখে তার শাশুরি তাকে ডাকছে, সে উঠে বসতেই তার চাদর টা শরিল থেকে শরে যায়,
আর পরনের কাপর গুলা এলো মেলো দেখে তার শাশুরি খুব খুসিই হয়,
কিছু না বলেই নিতুর কপালে একটা চুমু দিয়ে বলে, আমার ছেলে টাকে কষ্ট দিস না রে সে খুব ভালো,
নিতু তার শাশুরির এত খুসি হওয়ার কারন টাই খুজে পেলো না বুকার মত সব শুনছে।

তার পর তার শাশুরি বললো আমি তুমি বলতে পারব না তকে আমার তিন ছেলে মেয়ে সবাইকে তুই বলি তকেও বলব কেমন,
নিতু হেসে বললো আচ্ছা আন্টি,

আন্টি শব্দ শুনে নিতুর শাশুরি বললো কিহ (রেগে) আন্টিকে??
আমাকে মা বলবি বুঝলি।

ওকে আম্মু হালকা হেসে ( নিতু)

হুম এই তো লক্ষী মেয়ে, যা গোসল করে আয়।

শাশুরির মুখে গোসল এর কথাটা শুনে নিতু লজ্জা পায় আর ভাবতে থাকে “” ওহ তো রাতে এমন কিছুই হয়নি, তার পর খেয়াল করে তার কাপর ঠিক নেই, এবার সে বুঝতে পেরেছে তার শাশুরির খুসি হওয়ার কারন টা,
কিন্তু নিতু শাড়ি পরে কখন ঘুমায় নি তাই এলো মেলো হয়ে গেছে।

নিতু এবার বললো হুম আম্মু আসছি, বুড়ো মানুষ গোলাকে সত্যি বলে কষ্ট দিয়ে লাভ নেই , বলেই নিতু উঠে ওয়াস রুমে ডুকে যায়,
তার শাশুরির চলে যায় রুম থেকে,
কিছু ক্ষন পর মুগ্ধ আসে এসেই তার জোস চাই,
আজ কাজের লোক নয় তার মা জোস নিয়ে দারিয়ে আছে, মুগ্ধ জুতার ফিতা খুলতে খুলতে বললো মা তুমি কেন কষ্ট করতে গেলে ফুলি কই( ফুলি কাজের মেয়ে)

মুগ্ধের মা বললো কেন আনতে নেই নাকি।
না মা তা হবে কেন দাও বলেই গ্লাসটা নিয়ে খেয়ে নেয় মুগ্ধ, খাওয়া পর তার মা তার পাশে বসে তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে, আজ আমি খুব খুসিরে মুগ্ধ খুব খুসি, শুন এবার জলদি দাদী হওয়ার খবর টা শুনতে চাই বুঝলি বলেই চুমু দিয়ে চলে গেলো,
তার মায়ের কোন কথাই সে বুঝতে পারলোনা মুগ্ধ
,
এদিকে নিতুও ফ্রেস হয়ে এসেছে সে হালকা নিল রং এর শারি পরেছে, পরতে বললে ভুল হবে পেচিয়েছে সেতো শাড়ি পরতে পারেনা,

এর মধ্যে মুগ্ধ রুমে ঢুকে, আর দেখে নিতু দারিয়ে আছে চুল থেকে পানি পরে ফ্লুর ভিজে শেষ,
তার উপর শাড়ি পরেছে নাকি নিজেকে প্যাকেট করেছে তাই ভাবছে,
সব ভাবনা ফেলে মুগ্ধ বললো গুড মর্নিং
নিতু মুগ্ধকে দেখে বললো গুড মর্নিং দুলাভাই।

দুলাই ডাক শুনে সে হেসে দেয় বললো আমি তোমার দুলাভাই হই??( মুগ্ধ)
নিতু জিব্বাহয় কামর দিয়ে বললো আসলে মানে ইয়ে,

থাক থাক বুঝেছি আর বলতে হবে না, আর এগুলাকি চুল মুছোনি, শাড়ির কি অবস্থা হুম( মুগ্ধ)

আসলে আমি শাড়ি কখন ও পরিনি আজই প্রথম,
আর চুল তো পিছনে তা কিভাবে মুছবো রোজ তো মা মুছে দিতো। করুন স্বরে(নিতু)

মুগ্ধ একটা হালকা হাসি দিয়ে বললো এসো আমার কাছে মুছে দেই,
নিতু কাছে আসার বদলে এক হাত পিছিয়ে বললো নাহ নাহ লাগবেনা আমি পারব,

মুগ্ধ নিতুর কাছে গিয়ে বললো পারার নমুনা দেখেছি, আর শুনো আমি তোমার থেকে অনেক বড় বড় দের কথা শুনতে হয়,
তোমার না সামনে HSC পরিক্ষা???

হ্যা( নিতু)
পড়াশুনা করতে হবে ঠিক মত বুঝলা।
নিতু মাথা নাড়িয়ে সায় দেয়।

মুগ্ধ এক মনে নিতুর চুল মুছে দিচ্ছে শাড়িও পরিয়েছে বহু কষ্টে, কারন যত বার শরিলে হাত দিতে গেছে নিতু দূরে সরে জায় এক পর্যায়ে নিতুকে ধমক দিয়ে দার করায়,
নিতু ব্লাউজ ও ছায়া পরে দারিয়ে আছে লজ্জা নিজের মুখ দুই হাতে ঢেকে রেখেছে,

মুগ্ধ দেখছে আর হাসছে কান্ড দেখে,
শাড়ি পরিয়ে মুগ্ধ হা হয়ে তাকিয়ে আছে নিতুর দিকে নিতু এখন ও মুখ ঢেকে আছে,,
মুগ্ধ হাত সরাতে গেলেই মা রুমে ডুকে যায় আর বলে ”””” কি রে হল তর””
হ্যা আম্মু( নিতু)

হুম আয় একটু বাহিরে ( মা)

মুগ্ধ ও ফ্রেস হয়ে অফিস এর জন্য রেডি হয়,
বাদামি রং এর শার্ট ও সাদা পেন্ট চুল গুলা সুন্দর করে পাইক করেছে, শার্টের হাতা আধ বলা করে।

সবাই খাবার টেবিলে বসেছে নিতু সবাই কে সার্ফ করছে কিন্তু মুগ্ধের প্লেটে দিতে গেলেই তার হাত কাপে, কিছুটা পরে যায় সবজি ,
নিতু তারাতারি বলে উঠে সরি দুলাভাই সরি দুলাভাই নাম টা শুনে সবাই ফিক করে হেসে দেয় ,
আর মুগ্ধের বোন বলে উঠে ওরে দুলাভাই এর শালি রে এটা তোমার দুলাভাই হয় না এটা তোমার পার্সনাল স্বামী তোমার বোন এর নয়,
বোন শব্দ টা উঠতেই মুগ্ধ খাওয়া বন্ধ হয়ে যায় সে না খেয়েই উঠে অফিস চলে যায়,
সবাই অবশ্য কারন টা বেস বুজতে পারে,গল্পের আসল লেখিকা সেলিনা আক্তার শাহারাতাই চুর থেকে সাবধান মেন পেজ পেতে ঐ নামে ক্লিক করুন।

মুগ্ধরে মা এবার রেগে বললো ঐ কনিকা তর মুখটা বড় চলেরে কনিকা মুগ্ধের বোন আরেকটার নাম অনিকা , দুই জনই মুগ্ধের বড়,

এবার অনিকা বলে উঠে দেখো নিতু তোমার পরানের দুলাভাই কে আচল এ বাধো,
নয়তো বাধন ছারা হয়ে জাবে, আমার ভাইটা খুব শান্ত স্বাভাবের,
বলেই অনিকা ও কনিকা উঠে যায়,
অনিকা আর কনিকা তার স্বামিদের নিয়ে এখানেই থাকে অনেক বড় ব্যাবসা মুগ্ধদের মুগ্ধের বাবা ও দুই দুলাভাই সব সামলায় সাথে মুগ্ধও তো আছেই।

এবার নিতুও রুমে চলে যায়, তার ভালো লাগছিলনা তাই ছাদে চলে যায় ছাদ টা খুব সুন্দর করে ডেকরেট করেছে,
দোলনাও আছে সে অনেক ক্ষন দোলনায় ঝুলে এক সময় ঘুমিয়েই যায়,,,,,—–

চলবে কি???

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here