পরানের দুলাভাই পর্ব -০৫

# 🕵#পরানের_দুলাভাই””🕵
#সেলিনা_আক্তার_শাহারা”
#পর্ব-৫
———-**——-
নিতু এবার বেস ঘাবরে গেছে মুগ্ধের কান্ডে,
সে কিছু বলতেও পারছেনা, আসলে মুগ্ধকে সরাতেও চায়না সে,
কিছুনা বলেই নিতু মুচকি হাসি দিয়ে শুয়ে থাকে, মুগ্ধও কখন ঘুমিয়ে গেছে, দুজন ই ঘুমাচ্ছে,
আর এ দিকে দরজা টা লক করতে ভুলে গেছে নিতু, নিতু কখনই দরজা লক করে না কারন সে ভয় পেতো তাই সে অভ্যাস টা এখন ও রয়েই গেছে তার,
দরজা টা আসতে আসতে ভেদ করে কেউ তাদের দেখছে, তার চোখ লাল হয়ে আছে,

আবার দরজাটা লাগিয়ে চুপ করে চলেও গেছে,
বিকেল নিতুর ঘুম ভেংগে গেছে, সে একটা হামি দিয়ে ঘড়ির দিকে চেয়ে বোকা হয়ে রয়েছে, প্রায় সন্ধা হয়ে এল বলে,লেখিকা সেলিনা আক্তার শাহারা।
ইস দুলাভাইতো জায়গাটা ঘুরে দেখতে চেয়েছিলো, ধ্যাত কি মরার মত ঘুমালাম, ভাবতে ভাবতেই নিতুর চোখ গুলো মুগ্ধের উপর পরে,
মুগ্ধ উপুর হয়ে শুয়ে আছে নিতুর শাড়ির আচল টা মুগ্ধের নিচে,

মুগ্ধকে কত মায়াবি লাগছে, তার ঘুম ভাংগানোর ইচ্ছা নেই নিতুর কিন্তু আচলটার কি করি,
নিতু আসতে আসতে আচলটা মুগ্ধের নিচ থেকে নিয়ে ওয়াস রুমে ঢুকে জায়,
চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে চলে আসে বাহিরে,
বাহিরে এসে দেখে নিতুর বান্ধবি রিনি এসেছে, নিতুকে দেখেই রিনি বলে উঠলো, আহা রে ঘুম ভাংলো তাহলে তর সেই বিকেল ৪ টা থেকে বসে আছি তোর এক ঝলক দেখার জন্য,

নিতু এক গাল হাসি দিয়ে রিনিকে ঝরিয়ে ধরে আর বলে আসলে চোখ টা কখন লেগে গিয়েছে বুঝতে পারিনি।

থাক থাক শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা তর করতে হবেনা, সবই বুঝি ২ রাত ঘুমুতে না পারলে এমনই হয় বলেই রিনি মুখ চেপে হাসছে।

নিতু কিছুটা লজ্জা নিয়ে বললো তর মুখে কিছুই আটকায় না নাকি।
আচ্ছা বাদ দে তর বর কে তো দেখা পরিচিত হই নাকি ( রিনি)
হ্যা চল আমার রুমে দুলাভাই ওখানেই আছে ( নিতু)
রিনি এবার হাসতে হাসতে বললো চল তর দুলাভাই এর কাছেই চল।
নিতু চোখ গরম করতেই রিনি মুখ চেপে হাসতে থাকে,

রিনি সব জানে মিতু আর মুগ্ধের ব্যাপার এ বিয়েতে সে উপস্থিত ও ছিলো,★
নিতু আর রিনি তার রুম এর দিকে পা বাড়ায়, দরজা খুলে দেখে মুগ্ধ উঠে গেছে, আধশুয়া হয়ে আছে,

নিতু কিছু বলার আগেই রিনি বলে উঠলো,,হ্যালো দুলাভাই কি কেমন কাটছে দিন আর রাত শুনি!!!!

মুগ্ধ একটু হাসি দিয়ে বললো hlw ভালো আছো তুমি?
হ্যা আমায় চিনেন ( রিনি)
না চিনিনা তবে আন্দাজ করতে পারছি তুমি নিতুর বান্ধবি রাইট??? ( মুগ্ধ)
আরেহ দুলাভাইতো আমার সেই রকমের জিনিয়াস( রিনি এবার মুগ্ধের কাছে ঘেসে বসে)

ভাবলাম আজ আপনায় নিয়ে ঘুরবো কি ঘুম দিলেন সব প্লেব্ন ধেস্তে গেলো ( রিনি মুখ বাকিয়ে)
মুগ্ধ হেসে বললো আমায়তো কেউ ডাকে নি, আমিতো কাউকে বলেছিলাম ঘুরতে বের হব।
কেউ মনে হয় আমার কথার দাম দেয় নি( মুগ্ধ)
নিতু বেস বুজতে পারছে মুগ্ধ তাকেই কথা গুলা বলছে,

নিতু কিছু বলতে যাবে তার আগেই রিনি মুগ্ধের হাত ধরে বলতে থাকে ওক্কে মেরি পেয়ারি দুলাভাই আজ না হয় নাই হল কাল ঠিকই আমি আপনাকে নিয়ে বের হব আর সব ঘুরে ঘুরে দেখাবো,

নিতু শুধু চুপ হয়ে রিনির কান্ড দেখছে আর জ্বলছে,
আমি একবার ওনাকে টার্চ করিনি হাতও ধরিনি আর এই বেহাইয়া রিনি টা কি ভাবে অন্যের স্বামীর সাথে ঘেসে বসে আছে,( বির বির করে নিতু বলছে)
দুলাভাইটাও যা এত ঘেসে উনারই বা কেন বসতে হবে শুনি।
মুগ্ধ এবার বললো ওকে শালিকা কালকের প্রগ্রাম তাহলে ফিক্স,
হুম দুলাভাই ( রিনি)
গল্পের আসল লেখিকা সেলিনা আক্তার শাহারা।
নিতু এবার দাতেঁ দাতঁ কির মির করে বলে উঠলো,
রিনি সন্ধা হয়ে গেলো তুই একাতো পরে যেতে পারবিনা হুম যা আজ বাড়িযা তর মা নয়তো দেখলি লাঠি নিয়ে এখানেই চলে আসবে।
নিতুর কথায় রিনি মুখটা গোমরা করে বলে হুম ঠিক।
আচ্ছা দুলাভাই আজ আসি কাল কথা হবে বলেই রিনি উঠে চলে যেতে নেয়।
মুগ্ধ বেস বুঝতে পারছে নিতুর রেগে জাওয়ার কারন,
তাই তাকে আরেকটু রাগানোর জন্য মুগ্ধ চট করে রিনির হাতটা ধরে বলে আরে দেরি হয় হোক আমি তোমায় পৌছে দিব তোমার মা কে বলে দিব বসো এখানে,
আর নিতু তো এবার রেগে গদ গদ,
মুগ্ধ তার হাসি চেপে রেখে রিনিকে বলে তুমি একটু গল্প করো, নয়তো আমি বুর হই কেউ তো আমার সাথে বসে গল্পও করতে চায় না বা আসতে ও চায় না,
নিতু বুজতে পারছে মুগ্ধ কেন আর কাকে ইসারা করে বলছে।
নিতু আর কোন কথা না বলে রুম থেকে বেরিয়া জায়,
এবার মুগ্ধের মুখে এক চিতল হাসি টা লেগে আছে।
নিতু এসে হলে টিভি দেখছে দেখছে বললে ভুল হবে শুধু রিমুট দিয়ে একের পর এক চ্যানেল পালটাচ্ছে, আর রিনিও মুগ্ধ কে হাজার টা গালি দিচ্ছে।

কিছুক্ষন পর রিনি গল্প করে চলে যায়, কিন্তু নিতু আর রুমে যায় না,
মুগ্ধ এবার রুম থেকে বের হয়ে নিতুর কান্ড দেখে ভিতর ভিতর হেসেই চলছে।
গল্পের আসল লেখিকা সেলিনা আক্তার শাহারা।
এর মধ্যে নিতুর মা মুগ্ধকে এসে বললো চলো বাবা বসি তোমার সাথে তো কথাই হল না,
সোফায় মুগ্ধ বসতেই নিতু হন হন করে রুমে চলে যায়,
নিতুর কান্ডে নিতুর মা বললে বাবা তুমি রাগ করোনা,

আমরা যা করেছি তোমার সাথে তা ক্ষমার যোগ্য নয়, মিতুটা কেন এমব করলো তা শুধু সেই জানে,
কিন্তু আমার নিতুটা খুব চাপা স্বভাব এর।
সে মুখ ফোটে কাউকে কিছুই বলেনা, তোমার সাথে বিয়ে টা ঠিক করে দিলাম তাও সে কিছু বলে নি, বাবা তুমি আমাদের ক্ষমা করো,
আমার নিতু কে মেনে নাও জীবনে আগে বেরিয়ে যাও,
নিতুর মার কথা গুলে এক মনে শুনছে মুগ্ধ,
আর বললো মা আপনি চিন্তা করবেন না নিতুর কোন অযত্নই হবে না কথা দিলাম ( মুগ্ধ)

নিতুর মা মুগ্ধের কথায় কিছুটা মন হালকা হয়ে গেলো।
রাতে খাবার সেরে রুমে চলে এলো মুগ্ধ,
নিতু সোফায় বসে বসে মোবাইল টিপছে,
নিতু খাবারও খায়নি বসে শুধু ভাত নেড়েই গেছে।

মুগ্ধ বিছানায় বসে নিতুকে ডাক দেয়।

নিতু!! ( মুগ্ধ)
হুম ( নিতু)

মুগ্ধের এমন মধুর করে ডাকায় নিতুর রাগ পানি হয়ে গেলো।

নিতু এখানে এসো তো নিতু ধিরে ধিরে মুগ্ধের কাছে যায়, আর মুগ্ধ নিতুকে তার পাশে বসিয়ে মাথা নিতুর কোলে রেখে দেয়,
আর বলতে থাকে নিতু তোমায় কিছু কথা বলার ছিলো শুনবে??( মুগ্ধ)

হ্যা বলুন( নিতু)
এবার মুগ্ধ উঠে বসে আর নিতুর দিকে চেয়ে বলতে থাকে,

তোমার বোন যা করেছে আমি তার শাস্তি তোমায় দিব না, আমি মিতুকে ভুলে তোমায় আকরে ধরে বাচতে চাই নিতু শুধু তোমায় আকরে ধরে,
মিতু যদি মারা যেতো তাহলে হয়তো আমি পাগল হয়ে যেতাম আর তার জায়গা অন্য কাউকে দেওয়ার কথা চিন্তাও করতাম না।
কিন্তু মিতু তা করে নি সে আমায় ভালোই বাসে নি তার সপ্ন আমায় বলতে পারতো আমি বাধা দিতাম না, সে আমায় বিশ্বাস করে নি, এত টুকু জানানোর ও দরকার মনে করে নি, আর সেই বেবাফার জন্য আমি তোমার আমার দুজন এর এবং দু জন এর পরিবারকে কাদাতে চাই না,

নিতু আমি বাচতে চাই নতুন করে আমায় বাচাও তুমি, আমার ভিতরে সব ছাই হয়ে যাচ্ছে তুমি আমায় বাচাও প্লিজ নিতু প্লিজ!!!!!!

নিতুর চোখ শুধু পানি বেয়ে পরছে সে কোন কথাই বলছে না,
নিতু কি বলবে সে ভেবে পাচ্ছে না,
কিছুক্ষন পর আবার মুগ্ধ বলে, কি নিতু নিবে আমায় আপন করে চলবে কি বাকি জীবন টা আমার সাথে??

বলে না বলে।
নিতু এবার মুগ্ধকে জরিয়ে ধরেছে মুগ্ধও তাকে আকরে রেখেছো ২ বাহু ডুরে।

কেও কথা বলছেনা, মুগ্ধ নিতুর কপালে চুমু দিয়ে নিতুকে টেনে এনে বুকের মাজ খানে তার ধাক ধাক শব্দ শুনাচ্ছে।

নিতু চুপ করে শুনছে শুধু,
নিতু মাথা তুলে মুগ্ধের দিকে তাকি য়ে আছে মায়া ভরা চোখে,

মুগ্ধ চেয়ে আছে নেশা চোখে নিতুর দিকে,
নিতু আর মগ্ধের চোখ এর দিকে তাকাতেই পারছেনা তার কেমন লজ্জায় লাল হয়ে গেছে,

এবার মুগ্ধ নিতুকে এক টানে মুখের কাছে এনে ঠোট দুটো স্লাইস করে যাচ্ছে,

নিতুও তার ডাকে সার দিয়েছে সে আকরে রাখতে চাইছে মুগ্ধ কে, মুগ্ধ বুঝতে পেরে ঠোটে ঠোট মিলিয়ে দেয় আর পরশ আবেসে তাকে আকরে ধরে রেখেছে—–

চলবে??

ভুল ত্রুটি মাফ করবেন।

কেমন হল আপনার মনত্ব্য জানবেন,
আগে কি হতে পারে তার আইডিয়াও দিতে পারেন।

ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here