পরানের দুলাভাই পর্ব -০৬

#পরানের দুলাভাই🕵
# সেলিনা আক্তার শাহারা “”””
পর্ব –৬
————-***———-
খুব সকালে ঘুম ভাংগে নিতুর আজান হচ্ছে,
ঘুম থেকে উঠে কালকের কথা মনে হতেই মনে মনে হাসতে থাকে, আর বলে হ্যা এটাই আমার সংসার এখন আমাকে এগিয়ে যেতে হবে দুলাভাই এর সাথে তাল মিলিয়ে,সে এত এগিয়েছে আমারও সায় দেয়া উচিত।

দুলাভাই ডেকে আবার জিব্বাহয় কামর দিয়ে হাসতে থাকে,
কোন মত নিজেকে গুটিয়ে গোসল সেরে নেয় নিতু শরিল এ অসংখ্য দাগ কেটেছে তার দুলাভাই,ভাবতেই তার শরিল কাটা দিয়ে উঠে,

রুমে এসে মুগ্ধের পাশে চুপ করে বসে রইলো,
নিতুর চোখ যায় মুগ্ধের বুকের লোম গুলোর উপর,
এই লোম গুলো যেনো তার উইক পয়েন্ট হয়ে দারিয়েছে, নিতু আর নিজেকে সামাল দিতে পারলোনা সে আবার মুগ্ধের বুকের উপর শুয়ে ঘুমিয়ে পরে,

সকাল প্রায় ৮ টা মুগ্ধের ঘুম ভাংগে,
উঠে দেখে নিতু তাকে জরিয়ে ধরে বেভুর এ ঘুমোচ্ছে,
তাই নিতুকে আর ডাক দেয়নি মুগ্ধ,
সে ফ্রেস হয়ে ড্রইং রুমে যায়, গিয়ে দেখে নিতুর বাবা চা খাচ্ছে আর পেপার পরছে,
মুগ্ধকে দেখে নিতুর বাবা এক চিতল হাসি দিয়ে বললো এসো বাবা বসো,
কইগো নিতুর মা তোমায় জামাই বাবাকে চা দাও, (নিতুর বাবা)

না বাবা সকালে আমি চা খাইনা আমিত জুস খাই
( মুগ্ধ)
জুস বলার সাথে সাথেই তার সামনে জুস হাজির, মুগ্ধ হাসি দিয়ে জুসটা হাতে নিয়ে জুস কে আনলো তাকাতেই দেখে নিতু,,,

মুগ্ধ নিতুর দিকে তাকিয়ে চট করে চোখ নামিয়ে নেয়।
চুপচাপ জুস টা খেয়ে একটু পর নাস্তাটাও সেরে নেয়,
এসে দেখে নিতু বারান্দায় দারিয়ে আছে, মুগ্ধ কেমন যেনো আজ লজ্জা পাচ্ছে কাল রাতের কথা ভেবে।
সে ধিরে ধিরে নিতুর পিছনে দারায়, আর নিতু বলেই আস্তে করে পরম আবেশে ডাক দেয়,
নিতু পিছন ফিরতেই মুগ্ধের ঠোট এর সাথে ঠোট লেগে যায়,

নিতুও লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে,
কি যেনো ভেবে আবার সাথে সাথেই মুগ্ধের চোখে চোখ রাখে, আর বলে, সবাই তো আমার নাম ধরেই ডাকে কিন্তু আপনার নাম ডাকার ধরন টা অন্য রকম, বলেই মুগ্ধের চোখ এর দিকে তাকিয়ে আছে ( নিতু)

মুগ্ধ হালকা হেসে বললো কেমন ধরন শুনি.

যেনো পাগল করা নেশা মন কারা-ডাক — বলেই চলে যেতে নেয় নিতু।
এর আগেই মুগ্ধ নিতুর হাত টেনে ধরে নিতুকে নিজের কাছে মিশিয়ে নেয়, আর বলে তাতো হবেই তোমায় দেখলেই নেশা লাগে আমার বলেই হেসে দেয়,
আর নিতু মাথা নিচু করে আছে লজ্জায়,
মুগ্ধ নিতুর থুতনিতে হাত দিয়ে নিতুর মুখ টা উপরে তুলে বলে এখন ও লজ্জা পাও আমায়,
এত লজ্জা কিসের আমিতো কাল সব “” বলা শেষ করার আগেই নিতু মুগ্ধের মুখ চেপে ধরে, আর বলে আপনার লজ্জা বলতে কি কিছুই নেই,
নিলজ্জ লোক।

নিলজ্জ না হলে কি কালকের ভালোবাসাটা পেতাম শুনি, তাও যখন তোমার এর লজ্জা দারাও এখনই লজ্জাটা দূর করে দেই বলেই নিতুকে কোলে তুলে বিছানায় নেয়, নিতু মুগ্ধের কলার চেপে ধরে।

মুগ্ধ নিতুর কাছে এসেছে এক দম কাছে নিতু চোখ খিচে বন্ধ করে রেখেছে,
মুগ্ধ এবার নিতুর ঠোট দুটো নিজের আয়ত্বে করে নেয়,,
একটু পরই দরজায় ঠক ঠক,
উফ কি অসজ্য এই সময়ে কে এমন রোমান্স এর মাঝে ডাকছে ধ্যাত ( মুগ্ধ)
নিতু একটু দুষ্টু হাসি দেয় নিজেকে ঠিক করে দরজা খুলতেই রিনি হুট করেই এসে মুগ্ধের বগলে বসে পরে, এবার নিতুর রাগ ৭০’ ডিগ্রি উপরে উঠে গেলো,

কিছু বলতেও পারছেনা,
রিনি এবার মুগ্ধকে বলে দুলাভাই চলুন না একটু ঘুরে আসি,
না এখন বাহিরে গরম রৌদও খুব তাই বিকেলে যাবো প্রমিস( মুগ্ধ)
নিতু এবার বললো তুই কলেজ এ যাস নি??
না আজ বন্ধ তাই ( রিনি)
মুগ্ধ এবার নিতুকে বলে তুমি বাড়ি গিয়েই আবার পড়াশুনা স্টার্ট দিবে বই নিয়ে নিও সাথে,
আর কলেজ এ জাওয়ার এত দরকার নেই বাড়িতে পড়বে পরিক্ষার সময় কলেজ যাবে গট ইট,
নিতু মাথা নারিয়ে সায় দেয়,

রিনি এবার বলে উঠে আহরে দুলাভাই ভয় পাবেন না আপনার মিসেস উরাল দিবেনা,
যদিও দিতে চায় তার আগে পাখাটা কেটে দিন খাচায় বন্দি রাখুন বলেই হেসে দেয়,

মুগ্ধও মুখটা কেমন করে নিতুর দিকে তাকায়,
নিতু মুগ্ধের মুখ দেখে মনের ভাষা পরতে পারছে,
মুগ্ধ ভয় পাচ্ছে জদি নিতুও ওকে ছেরে চলে যায় সেই ভয় তাকে গ্রাস করছে,
রিনি বিকেলে আসবে বলে চলে যায়,

মুগ্ধ তার পর থেকেই তার মুখটা ভার আর কোন কথা বলে নি চুপ করেই ছিলো সারা দিন,
বিকেল এ রিনি আসে তারা সবাই ঘুরতে যায়,
নিতু আর রিনি মুগ্ধকে সব চিনাচ্ছে কোথায় খেলতো, কোথায় যেতো সব আর হাসছে,
তার পর কিছুক্ষন হাটার পর ফোচকার দোকান দেখে নিতু আর রিনি এক চিৎকার দিয়ে উঠে

ফোচকাআআআআআআআআআআ বলেই।
মুগ্ধের কান ফেটে জাওয়ার মত,
দুজনই দৌরে জায় দোকান এর কাছে মুগ্ধও যায়,
মুগ্ধ সবাইকে ফুচকা দিতে বলে ,
মুগ্ধ একটা মুখে দিয়েই আর খেলোনা তার বাহিরের জিনিস তেমন পছন্দ না,
মুগ্ধ কি যেনো দোকানদার কে বলে, আর নিতুকে বলে আমি একটু আসছি বলেই চলে গেলো।

দুজন পেট পুরে খেলো, কিন্তু মুগ্ধ আসার নাম নেই,
এবার ফোচকা উয়ালা বললো,,””””আমার টেকা দেন “”
এবার তো মহা বিপদ নিতু তো টাকা তো দূরের কথা পার্স টাও আনেনি ভেবেছে মুগ্ধ আছে সাথে পার্স দিয়ে কি হবে,
রিনিও টাকা আনেনি এদিকে টাকার জন্য ফোচকা উয়ালা পাগল করছে,
এবার নিতু কেঁদেই দিবে মনে হয়,
রিনির অবস্থাও করুন,

টেকা নাই আবার ফোচকা খাইলেন কে আমার ( ফোচকা ওয়ালা)

নিতু কান্না স্টার্ট দেওয়ার আগেই মুগ্ধ চলে আসে,

আর দোকানদার কে বলে ব্যাস ব্যাস আর অভিনয় করতে হবেনা,
রিনি আর নিতু এবার বুঝতে পারে এটা মুগ্ধ প্লেন করেই করেছে, এবার নিতু মুগ্ধকে কিলাতে থাকে বুকের মাঝে ,
রিনি শুধু বোকার মত দারিয়ে আছে কি হচ্ছে তা দেখছে,
মুগ্ধ নিতুর হাত চেপে বলে আরে আরে করছোটা কি হুম বাড়ি গিয়ে যত মন চায় মেরো, এখানে মারলে আমার ইজ্জত থাকবেনা সবাই বলবে বৌ এর হাতে মার খাচ্ছে,
নিতু এবার হেসে দেয়,
দোকানদার কে টাকা দিয়ে বেরিয়ে পরে আবার,, কিছু টাকা বকশিস দেয় দোকানদারকে এত সুন্দর অভিনয় করলো বেচারা।
কিছু দূর জাওয়ার পর নিতু জাইন দের বাড়ি দেখিয়ে বলে,
দুলাভাই এটা জাইন ভাইয়া মানে বড় জেঠুীর বাড়ি বলেই মুখটা মলিন করে নেয়,
মুগ্ধ কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছে, নিতুর হাত ধরে বললো দেখেছি চলো এবার দুজন এ সামনে এগিয়ে যাই,। নিতু মুগ্ধের কথার মানে টাই বুঝলোনা,
এভাবেই কাটলো সে দিন,
পরের দিন সকালে নিতুর বাবা মার কাছ থেকে বিদাই নিয়ে বাড়ি চলে এলো তারা,

বাড়ির তে এসে অনেকক্ষন কলিং বেল চাপছে কেউ দরজা খুলছেনা,
নিতু এবার অস্থির হয়ে মুগ্ধের কাধে মাথা রেখে দারিয়ে আছে, মুগ্ধও নিতুকে এক হাত পিঠে দিয়ে দারিয়ে আছে,
কিছুক্ষন পর দরজা খুললো অনিকা,
খুলে তাদের কে এভাবে দেখে অনেক খুশি হয়, পিছন থেকে কনিকাও দেখে বলে উঠলো বাহ বাহ কেয়া বাত হে,
এবার দুজনই একটু লজ্জা পেয়ে দুজন কে ছেরে দারায়,
রুমে ঢুকেই নিতু বিছানায় হেলে পরে মুগ্ধ ফ্রেস হয়ে নিতুকে ফ্রেস হতে বলছে,
কিন্তু নিতু উঠতে নারাজ তাই মুগ্ধ নিতুকে কোলে করে ওয়াস রুমে নিয়ে দার করিয়ে চলে আসে,
নিতুও বাধ্য মেয়ের মত ফ্রেস হয়ে আসে,

এসে দেখে মুগ্ধ নেই,
তাই রুম থেকে বের হতে যাবে তখনই অনিকা আসে আর নিতুকে মাথায় হাত বুলিয়ে বলে
বোন আমার আমার ভাইটাকে আগলে রাখিস,
তুই ছারা সে বাচঁবেনা একবার টিকে আছে বার বার টিকবেনা, বলেই চোখ ভিজিয়ে চলে গেলে,
নিতুও বুঝতে পেরেছ অনিকা আপু কি বলতে চেয়েছে।

বাহির এ গিয়ে শাশুরি আর ননদ দের হেল্প করলো রান্নায়, দুপুর হয়ে গেলে মুগ্ধ বাড়ি আসেনি,
তাই নিতু মুগ্ধকে কল দেয়, তার কাছে নাম্বার না থাকায় শাশুরির কাছ থেকে নাম্বার নেয়।
মুগ্ধ তার বন্ধুদের সাথে আছে রাতে ফিরবে বলেই কল কেটে দেয়,
কিন্তু নিতুর মন টা ভালে না,
কারন মুগ্ধ কে খুব মিস করছে সারা দিন বারান্দায় বসে কাটায় নিতু কখন যেনো ঘুমিয়ে গেলো,

রাতে কারো স্পর্শে নিতুর ঘুম ভাংগে+——

চলবে গো???

( ভুল ত্রুটি মাফ করবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here