পরানের দুলাভাই পর্ব -০৭

🕵#পরানের_দুলাভাই”🕵
#সেলিনা_আক্তার_শাহারা”
পর্ব -৭-
———-***——
নিতুর ঘুম ভাংগে কারো স্পর্শে,
হুরমুরিয়ে উঠে দেখে মুগ্ধ তার পাশে তার মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।
নিতু চট করে উঠে বলে আপনি কখন এলেন
আসলে আমার চোখ লেগে গিয়েছিলো( চোখ কচলাতে কচলাতে নিতু)
হুম তা তো দেখতেই পাচ্ছি তা এই অসময় ঘুমালে তা রুমেও তো ঘুমাতে পারতে নাকি, বিছানা বলে একটা জিনিস আছে ওটায় মানুষ সাধারনত ঘুমায়( মুগ্ধ টিচ করা হাসি দিয়ে)

নিতুও বুজতে পারছে মুগ্ধ মজা নিচ্ছে এখানে শুয়ার জন্য।

তাই বললো আরেহ আমার কি দুষ আমিতো আর ইচ্ছা করে শুইনি, এসেছিলাম একটু বারান্দায়,
আপনিতো রাতে ঘুমোতে দেন নি তাই চোখ লেগে গেছে( বলেই নিতু নিজের জিব্বায় নিজেই কামর দিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে আল্লাহ কি বললাম)

মুগ্ধ শুধু চুপ তাকিয়ে আছে, নিতুও টিপ টিপ করে দেখছে,
হুট করেই মুগ্ধ নিতুকে কোলে নিয়ে রুমে বিছানায় নামিয়ে দেয় নিতু অবাক হয়ে শুধু মুগ্ধকে দেখছে আর ভাবছে, এই লোকটা কি সত্যি আমার, মানে আমার নিজের কেন এত টান লেগে গেছে এ কয় দিনে কেন?? মনে মনে ভাবছে নিতু।

নিতুর ধ্যান ভাংগে মুগ্ধের তুরিয়ে,
তুরি দিয়ে মুগ্ধ বলে হ্যালো মেডাম কোথায় হারিয়ে যাও মাঝে মাঝে মনে হয় আমার কাছে থেকেও তুমি নেই,

নিতু এবার চোখ নামিয়ে নেয়,
মুগ্ধ সাথে সাথে নিতুর কোলে মাথা রাখে দেয়,
আর বলে নিতু তুমি কি চিন্তা করছো, মানে আমাকে নিয়ে কোন সন্দেহ হয়??
না না এমনি ভাবি তা কি ভাবো শুনি ( মুগ্ধ)

নাহ তেমন কিছুনা( নিতু)
নিতু তোমার পরিক্ষা ঘনিয়ে আসছে, তাই পড়াশুনাটা কিন্তু ভালোভাবে করবে হুম।( মুগ্ধ)
নিতু হুম বলে মুগ্ধের মাথায় হাত দিয়ে আলতো করে বিলি কাটছে,
মুগ্ধ পরম আবেশে চোখ বুজে নিয়েছে কারন এটা তার কাছে সবচেয়ে আনন্দ ময় সময় কান তার বৌ তাকে আদর করছে,

কিন্তু সময়টা উপভোগ করার আগেই ডাক পরে যায় ডিনার এর জন্য,
এই কি গো দরজ্জা খুলা রেখেই হুম ( কনিকা)
কনিকার কথায় মুগ্ধ লজ্জা পেয়ে জায় বড় বোন বলে কথা, তাই সে নিচে চলে গেলো,
নিতুও লজ্জায় লাল,
কনিকা হেসে আবার বললো আরেএ এত লজ্জা পাওয়ার কি আছে শুনি, চলো নিচে খেয়ে দেয়ে রুমে এসে দরজা টা বন্ধ করে যা খুশি করো বলেই হো হো করে হেসে চলে জায়।
নিতু একটু লজ্জা মাখা হয়ে নিচে জায়,
গিয়ে দেখে সবাই উপস্থিত,
খাবার শেষে যে যার রুমে চলে যায়,
নিতু যেতে নিলে মুগ্ধের মা তাকে দুধ হাতে দিয়ে চুমু দেয় আর বলে এটা পুরোটা খাবে হুম,
তুমি তো কিছুই খাওনা এটুকু তে তোমার পেট কিভাবে ভরে শুনি, বেসি করে খাবে তাতে আমার বংশধর ও পুষ্ট হবে।

নিতু হা হয়ে আছে ওনার কথায়।
নিতু একটা হাসি দিয়ে চলে আসে রুমে।
ওমা রুমে দেখি দুলাভাই নেই গেলো কই।
হয়তো ওয়াসরুমে, ভেবেই নিতু দুধ এর গ্লাস টেবিল রেখে দেয়,
এর মধ্যেই মুগ্ধ বের হয়, বের হয়ে দেখে নিতু বসে চুল আচরাচ্ছে,

মুগ্ধ একটা হাসি দিয়ে নিতুকে কোলে করে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে নিজেও ওর উপর শুয়ে পরে,
এই না না প্লিজ আমি ঘুমোবো ( নিতু)

মুগ্ধ বড় বড় করে নিতুর দিকে চেয়ে বলে ওমা আমি কি করলাম, ঘুমানোর জন্যই তো বিছানায় আনলাম, তা তুমি যখন অন্য কিছু চাইছো, তাহলে আমার দিতে বাধা নেই চোখ টিপ দিয়ে।

নিতু এবার মুগ্ধকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বলে কিছু চাই না ঘুমোন তো,

মুগ্ধ নিতুর কথা কানে না নিয়ে নিতুকে কাছে টেনে ওর ঠোট দখলে নেয়,
নিতু বাধা দেয় নি কারন নিতুও তো মুগ্ধকে কাছে পেতে চায় তারা ধিরে ধিরে এক অজানা সুখে ডুব দেয়,

সকলে

মুগ্ধ উঠে ফ্রেস হয়ে ল্যাপটপ এ কাজ করছে,
নিতুও এবার উঠে হামি দিয়ে দেখে পরনে কাপর বলতে চুল পরিমান নেই, তাই কোন মতে চাদর দিয়ে নিজেকে ঢেকে কাপর খুজতে থাকে,
ওমা কাপর কই এখানেই তো ছিলো।

মুগ্ধ আরচোখে নিতুকেই দেখছে আর মিট মিট করে হাসছে, কারন কাপর গুলো তো সেই সরিয়ে রেখেছে,
নিতু এবার মুগ্ধকে ডাক দিয়ে বলে, দুলাভাই মানে আমার ঐ মানে।

আরে কি বলতে চাও খুলে বলো,
আমিতো মনো বিজ্ঞানি নই যে তোমার ইয়ে মানের বুঝবো,( মুগ্ধ কোন রকম হাসি চেপে রেখে)

না মানে আসলে আমার কা প র পাচ্ছি না। ( লজ্জা মাখা মুখ করে)

মুগ্ধ এবার তার পিছন থেকে শাড়িটা দেখিয়ে বলে এসে নিয়ে যাও, বলেই চোখ টিপ দেয়।
নিতু এবার বেস বুঝতে পেরেছ এটা মুগ্ধের চাল আমাকে এভাবে!!!!!

কি হল নাও ( মুগ্ধ)
মানে কি আমি আনবনা আপনি বাহিরে যান কাপর লাগবে না আমার( নিতু)

কেন লজ্জা পাচ্ছো বুঝি এর লজ্জার কি আছে শুনি, তোমার কোন কিছুই আমার দেখার বাকি নেই, তোমার নাভির একটু নিচের তিল ২ টা পিঠে একটা,
আর আরেক টা হল !!! মুগ্ধের পুরোটা বলার আগেই নিতু লজ্জায় নিজেকে চাদর এ জরিয়ে ওয়াসরুমে দৌর দেয় কিন্তু দিলেই কি দরজা টা আর লাগাতে পারলনা, তার আগেই মুগ্ধ এসে দরজা ধরে ফেলে।

এবার নিতুকে ধাক্কা দিয়ে ওয়াসরুমে ঢুকিয়ে নিজেও ঢুকে যায়, আর নিতুর কানে ফিস ফিস করে বলে আজ তোমার লজ্জা আমি শেষ করছি,
এত লজ্জা কই থেকে আসে তা দেখবো আর দারাও তোমার কোথায় কি আছে এবার তো শুনে নাও বলেই শাওয়ার অন করে দেয়, মুগ্ধ)

নিতু চোখ যে সেই বুজেছে এখন খুলেনি, এবার ধিরে ধিরে নিতুকে কাছে টেনে আবার সয়তানি জুরে দেয়, ( মুগ্ধ)

বেস কিছুক্ষন পর দুজনই বের হয়, নিতু বের হয়ে মুগ্ধকে ভেংচি দিয়ে বলে লুচু কোথাকার রাতেও শান্তি নেই দিনেও অসভ্য লোক, ( নিতু)

মুগ্ধ কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিতু দৌরে নিচে চলে গেলো,,
মুগ্ধ মনে মনে বললো যাও না যাও কত ক্ষন দূরে থাকবে শুনি ধরাতো দিতেই হবে জানেমন,
বলেই হেসে দেয়।
আর অফিস এর জন্য রেডি হয়ে যায়।

নাস্তা সেরে অফিস এ চলে যাওয়ার আগে নিতুকে কোমড় এ চিমটি কেটে দৌড়ে বেরিয়ে পরে।

এভাবেই তাদের ২ মাস কেটে গেলো,
২ মাসে তারা খুব আরে ঘনিষ্ট হয়ে উঠেছে।
কিন্তু এত কাছে মুগ্ধকে পেয়েও কেন জানি তার অজানা এর অশান্তি মনে লেগেই থাকে মুগ্ধকে নিয়ে, যগি মুগ্ধ আমায় ছেরে চলে যায়।
এই শুধু চিন্তায় নিতিকে তিলে তিলে খাচ্ছে।

নিতুর পরিক্ষাও ঘনিয়ে এসেছে,
মুগ্ধের মত স্বামি এমন পরিবার আর কি চাই নিতুর।
কিন্তু বলেনা সবার কপালে সুখ সয় না, সেই লিষ্টে নিতুর নামটা ও তো আছে।

চলবে।।।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here