পাথরের_বুকে_ফুল🍁 part_23

পাথরের_বুকে_ফুল🍁
part_23
#writer_hafsa_alam🍂🍂

:
:
:
ওয়াসেনাত বেসামাল ভাবে দৌড়ে চলেছে। সে তার সর্ব শক্তি দিয়ে দৌরাতে চেষ্টা করছে।।হঠাৎ কারো পিঠের সাথে ধাক্কা লেগে পরে যায়।অরিএান তার এক ক্লাইন্ডের সাথে কথা বলছিল হঠাৎ ধাক্কা লাগায় তার হাতের সপ্ট ড্রিংস তার সামনের ব্যক্তির গায়ে পরে।ব্যাপারটায় সে কিন্চিত বিরক্ত নিয়ে পিছনে হাকাতেই সে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পরে। সে স্বপ্নেও ভাবতে পারে নি ওয়াসেনাতকে কখনো এভাবে দেখবে।ওয়াসেনাতের চোখ মুখ লাল হয়ে ফুলে আছে।নীলাভ চোখজোড়া দিয়ে বাধা বিহিন পানি পরেই চলেছে।চোখের কাজল লেপ্টে গেছে।চেহারায় ভয় আতঙ্ক ভর করেছে।তবে এসবের চাইতেও অরিএান এটা দেখে স্তব্ধ ওয়াসেনাতের ওড়নাটা নেই শুধু হেজাব আছে তাও অনেকটাই এলোমেলো আর তার জামার দুইপাশের হাতা ছিঁড়া যার ফলে তার ধবধবে সাদা হাতজোড়া দৃশ্য মান।অরিএান বাকরুদ্দ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এটা দেখে ওয়াসেনাতের দুইগালে এবং হাতের বাহুতে চারটি আঙ্গুলের চাপ পরে লাল হয়ে আছে।দেখেই বুঝা যাচ্ছে কেউ জোড় করে চেপে ধরেছে।অরিএানের পৃথিবী মনে হয় এখানেই থমকে গেছে।তার আশে পাশের কিছুই তার মাথায় আসছে না।সে এক দৃষ্টিতে ওয়াসেনাতের দিকে তাকিয়ে আছে।ওয়াসেনাতের হাত পা এবং মাথার কপাল থেকে চুয়ে চুয়ে রক্ত পরছে।অরিএান এগুলো দেখে কিছু বলার ভাষাই হারিয়ে পেলেছে।
:
:
:
রিমন মাএই অরিএানকে নিচে ডাকতে এসেছে। অরিএান ওয়াসেনাতকে খুঁজতেই উপরে এসেছিল আর এসেই কিছু ক্লাইন্ডকে দেখে তাদের সাথে কথা বলতে শুরু করে।ওয়াসেনাত নিজের অশ্রু সিক্ত চোখে অরিএানকে দেখেই তার ফেটে যাওয়া রক্তে জড়িত ঠোঁট জোড়ায় হাসি ফুটে উঠে।এটা কোনো সাধারন হাসি না এটা হল হাজারও হতাশার মাঝে এক ফোটা আশার আলোর মত হাসি।ওয়াসেনাত খুড়া পায়ে দাড়াতে গিয়েও একবার পরে যায়।কিন্তু অরিএান এখনও স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে আছে।তার চোখের পাতাও পরছেনা।ওয়াসেনাত বহু কষ্টে অরিএানের ব্লেজার ধরে উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে নিজের ভাঙ্গা গলায় কান্নাজড়িত কন্ঠে বলে উঠে…………..
__অরিএান…. অরিএান.. ওই.. ওই..ও.লোক আমার সাথে (আর বলতে পারলো না।তার গলা আটকে এলো। আর কোন শব্দ বের করার আগেই পিছন থেকে এক লোক চেঁচিয়ে বলে উঠে………………..
__হেই অরিএান সি ইজ মাই প্রোডাক্ট।গীব মি দিস লেডি?(মুখে বিচ্ছড়ি হাসি দিয়ে)
:
:
:
অরিএান এবারও কিছু বলো না।সে এখনও ওয়াসেনাতের দিকে তাকিয়ে আছে।ওয়াসেনাতের চোখে হতাশা দেখা দিচ্ছে। তার নীলাভ চোখ লাল হয়ে আছে। চোখের পানি গড়িয়ে পরছে।ওয়াসেনাত আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারল না। সে ধিরে ধিরে ডুলে পরতে লাগে।রিমন ওয়াসেনাতের হাতের দিকে তাকাতেই চোখ বুজে নেয়।সাথে সাথে তার চোখ দিয়ে এক ফোটা পানি গরিয়ে পরলো।এই এত মায়াবী মেয়ের সাথে কিভাবে এমন হল সে ভেবে পাচ্ছে না।এই মেয়েটিকে সে নিজের বোনের দরজা দিয়েছে।প্রথম দিন থেকেই এর ইনফরমেশন বের করতে গিয়েই সে এই মেয়ের মায়ায় জড়িয়েছে তবে সে মায়ায় পবিত্রা আছে।কারন সে একে ভাবি না।বোন বানাতে চায় যদিও সে ভাবে বলে হয়ে উঠে নি।তবে আজ বলবে বলেই ঠিক করেছে।কিন্তু এটা কি হল..পরক্ষনেই সে তার গায়ের ব্লেজারটা খুলেই ওয়াসেনাতের গায়ে জড়িয়ে দেয়।ওয়াসেনাত ভিজা চোখে একবার রিমনের দিকে তাকায়। ওয়াসেনাত পরতে পরতে এবার বলে উঠে……….
__অ..অরি..অরিএান
:
:
ওয়াসেনাতের মুখে এমন করুন ভাবে নিজের নাম শুনেই অরিএান দীর্ঘশ্বাস নিয়েই চোখ বুজে অন্যদিকে একবার ঘুরে আবার ওয়াসেনাতের কোমড় জড়িয়ে তাকে যত্নের সাথে নিচে রাখে সাথে নিজেও হাটুগেড়ে বসে পরে।ওয়াসেনাত অরিএানের দিকে তাকাতে অরিএান বলে উঠে……..
__ওভাবে তাকাবেনা প্লিজ। দম আটকে আসে।(বলে অন্যদিকে ফিরে চোখ বুজে শ্বাস নেয়)
:
:
ওয়াসেনাত তার কাপাঁ হাতটা একবার তুলতেই অরিএানের কলিজাটা ছিড়ে যায় যায় অবস্থা। এই হাতেই তো ওয়াসেনাত আজ নীল রং এর কাঁচের চুড়িয়ে পরে ছিল।যেগুলি ভেঙে এখন ওয়াসেনাতের হাতে ডুকে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। অরিএানের মনে হচ্ছে তার কলিজা ছিঁড়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তার যে এখন কেমন লাগছে সে নিজেই বুঝতে পারছে না।
:
:
কিছু ঘন্টা আগের ঘটনা……………………………..🍁
:
ওয়াসেনাতরা রেডি হয়ে নিচে নামতেই রিমিরা ফুল ফ্যামিলি এসে হাজির।ওয়াসেনাতের বাবার সাথে রিমির বাবার ভালো বন্ধুত্ব আছে।আর আজ তারা এক সাথেই যাবে বলে ঠিক করে। রিমির বাবা বলেছে ওয়াসেনাতের বাবার সাথে কিছু কথা আছে।যেতে যেতে বলবে।ওয়াসেনাতের বাবা মা, ফুফু রিমির বাবা মার সাথে এক গাড়িতে যায়।আর অরুপের গাড়িতে ওয়াসেনাত, তার ভাইয়েরা, রিমি আর লামিয়া যায়।অরুপের চেহারা আজ চকচক করছে।ওয়াসেনাতকে দেখে তার হুশ উড়ে যায় যায় অবস্থা। কিন্তু রিমির মনটা আজ খুব খারাপ।কারন সে বুঝতে পারছে না কার পক্ষে যাবে নিজের ভাইয়ের না কি অরিএানের।আজ তার বাবা মা ওয়াসেনাতের সাথে অরুপের বিয়ের কথা বলবে।অরুপ নিজের বাবাকে বলেছে ওয়াসেনাতকে তার পছন্দ। তাদেরও ওয়াসেনাতকে পছন্দ তাই তারাও রাজি হয়ে যায়।
:
:
:
ওয়াসেনাতের বাবা আজ খুব খুশি।তিনি অরুপকে আগে থেকেই পছন্দ করে।আর নিজের কলিজার টুকরা মেয়েকে অরুপের মত ভাল ছেলের হাতে তুলে দিতে পারলে সে নিশ্চিন্ত হবে।অরুপের বাবা বিয়ের কথা বলতেই তিনি রাজি হয়ে যা।তার মনে ভয় হচ্ছে ইহানের জন্য সাথে অরিএানকেও সুবিধার মনে হচ্ছে না।অরিএানকে তার অনেক পছন্দ কিন্তু অরিএান তো আর তার মেয়েকে বিয়ে করবে না।হয় তো এক রাতের সোজ্জা বানাবে।যদিও তিনি শুনেছে অরিএান বদলে গেছে।তবুও নিজের মেয়েকে নিয়ে তিনি ঝুঁকি নিতে চায় না।তার কাছে অরুপই বেস্ট চয়েজ।অন্যদিকে ওয়াসেনাতের ফুফু জ্বলে যাচ্ছে এটা শুনে ওয়াসেনাতের অরুপের মত সুদর্শন এবং বড় লোক ঘরে বিয়ে হবে।
:
:
:
ওয়াসেনাত আর রিমিরা একসাথে অরিএানের বাড়ির ভিতরে ডুকে।এই প্রথম অরিএান তার বাড়িতে পার্টি দিয়েছে।বাড়িটা অসাধারণ ভাবে কাচাঁ দিয়ে তৈরি। ওয়াসেনাত তার বাবাকে দেখছে।হঠাৎ বাবার মুখের এমন হাসি দেখে সে অবাক হয়ে তাকিয়ে মাকে জিগ্যেস করে……
__মা বাবা আজ এত খুশি কেন?
__অরুপকে তোর কেমন লাগে রে??
__আশ্চর্য তো আমার প্রশ্নের উওর না দিয়ে আমাকে এমন অদ্ভুত প্রশ্ন কেন করছ?
__বল না?
__কেম লাগে এটা আবার কেমন কথা?ও তো পারফেক্ট একটা ছেলে।এতে ভালো খারাপের কি আছে?সব দিকেই সে একশতে একশ।সো এভাবে বলার মানে কি?
__আলহামদুলিল্লাহ। তোর বাবারও ওকে খুব ভাল লাগে।ওদেরও তোকে খুব পছন্দ। তাই তোদের বিয়ে নিয়ে কথা বলেছে।আমরাও রাজি তুইও রাজি।আর সমস্য নেই।
:
:
ওয়াসেনাতের মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল।মগেরমুলুক নাকি?যত সব পাইজলামি। সে ঠিক করে তার বাবার সাথে এ ব্যাপারে পরে কথা বলবে।আবার নিজের বাবার হাসি খুশি মুখ দেখেই তার মুখে কালো মেঘ ভর করে।সে ভাবছে কিভাবে বাবাকে বলবে??তাহলে কি অরিএানকে ভুলে যাবে?কিন্তু অরিএানকে তো সে মেনেই নেই নি তবে কেন তার কথাই আগে মাথায় এলো?ওয়াসেনাত আকাশ কুসুম চিন্তা বাদ দিয়ে ভিতরে ডুকে পরে।ভিতরের অর্গানাইজেশন দেখে ওয়াসেনাত অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখছে আজ সব নীল আর সাদার কমিউনিকেশনে করা হয়েছে।সব লাইটিংও নীল সাদার মিক্স।সব কিছুই কত সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।ওয়াসেনাতের চোখ কেন যেন অরিএানকে খুঁজছে। ওয়াসেনাত এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে কারো সাথে ধাক্কা লাগে। ওয়াসেনাত.. সরি বলে তাকাতেই তার মেজাজ গরম। ইহান হা করে তার দিকে তাকিয়ে আছে।ইহান নামের এই ছেলেটাকে তার মোটেও পছন্দ না।তার মহান কারন ওয়াসেনাতকে টাকা অফার করেছে।তার উপর একে তার বাবা মোটেও পছন্দ করেনা।ওয়াসেনাত পাশ কাটিয়ে যেতে যাইলেই ইহান বলে উঠে……..
__তোমাকে আজ অপ্সরীর মত লাগছে।মনে হচ্ছে নীল পরী নেমে এসেছে।
__আপনার মনে হওয়া নিজের কাছে রাখেন।যতসব আজগোবি কথা।
__ওয়াসেনাত আমি সত্যি তোমাকে খুব ভালোবাসি।প্লিজ একটা সুযোগ দেও।আমি কোনো কমপ্লিন দেওয়ার সুযোগ দিব না।আমি জীবনে প্রথম তোমাকেই ভালোবেসেছি।আর তুমি এটা কেন বুঝতে চাইছ না?
__দেখেন আপনি ভালোবাসলেই আমাকেও বাসতে হবে এমন তো কথাও লেখা নেই?সো লিব মে প্লিজ (বিরক্তি নিয়ে কথাগুলো বলে সে দ্রুত হাটা দেয়)
:
:
:
অরুপ ওয়াসেনাতের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।আর নানা রকমের কথা বলে চলেছে।ওয়াসেনাতের সে দিকে তেমন মনযোগ নেই।সে অরিএানকে এদিক ওদিক খুঁজেই চলেছে।ওয়াসেনাত নিজেই নিজের মনকে বুঝাচ্ছে আবার নিজেই বিচলিত হচ্ছে।
:
:
সব প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অরিএান দরজা দিয়ে প্রবেশ করতেই সবাই হুমরি খেয়ে তাকে দেখতে লাগে।এত মানুষের মাঝে ওয়াসেনাত অরিএানকে দেখতেও পাচ্ছেনা। এটা ভেবেই তার মনটা খারাপ হয়ে যায়।সে ভাবে অরিএান কত বড় মাপের মানুষ সে কি সত্যি তাকে ভালোবাসে?কিন্তু এটাতো হতে পারে না।সে অত স্টাইলিশ বা অত বড় লোকের মেয়েও না।সে অরিএানের সামান্য একটা ব্রান্স ম্যানেজারের মেয়ে। সে কেন তাকেই পছন্দ করবে?তার উপর ওয়াসেনাত তাকে যা নয় তাই বলে অপমান করেছে।তার মনে হচ্ছে অরিএানের ভালোবাসাটা আসলে মোহ যা কিছু দিন পরেই কেটে যাবে।তার পরেও কেন যেন তার মন আবার বলছে অরিএান তাকে সত্যি ভালোবাসে।ওয়াসেনাত অনেক টাইম ধরে লাপা লাপি ঝাপা ঝাপি করেও অরিএানকে তেমন দেখতে পায় নি।তাই হতাশ হয়েই একটা কোনায় বসে পরে।
ওয়াসেনাত নিচের দিকে তাকিয়ে ছিল হঠাৎ একটা পরিচিত কন্ঠে ঝট করে মাথা তুলে তাকিয়ে হা…………
__কি জানেমান অনেক তো লাপা লাপি ঝাপা ঝাপি করলে এবার জুস খাও শুধু শুধু এনার্জি ওয়েস্ট করেছ তোমার অরিএান তোমার কাছেই আসবে। এত কষ্ট করতে হবে না।নেও।(হাতের গ্লাস এগিয়ে দিতে দিতে)
:
:
ওয়াসেনাত এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।সাদা শার্ট, নীল ব্লেজার, নীল পেন্ট তার উপর চুলগুলো উড়ে এসে চোখের উপড়ের সানগ্লাসে পরছে।এত সুন্দর কি কোন ছেলে হতে পারে?কোই তার এই ছোটো জীবনে তো সে আর কাউকে এমন সুন্দর দেখে নি।সাদা শরীরে নীল রংটা একদম খাপ খেয়ে আছে।আর ঠোঁটজোড়া তো লাল হয়ে আছে।ওয়াসেনাতের একটু ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে। তার মনে হয় অরিএান লিপস্টিক দেয়।এই মনে হওয়াটা কতটা সঠিক সেটা জানার জন্যেই ছুঁয়ে দেখতের ইচ্ছে জাগে। ইশশশ কি সব ভাবছে সে। তার নিজের কার্যকলাপে সে নিজেই হতবাক। ।ওয়াসেনাত এত দিন একটা জিনিস খেয়াল করে নি অরিএানের খোঁচা খোঁচা দাড়ি হয়েছে।ইশশশ কি সুন্দর লাগছে লোকটাকে ভাবতেই ওয়াসেনাতের ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে। অরিএানও তার ফেইড়িপরীকে দেখছে কিন্তু ওয়াসেনাতের চোখের ভাষা পড়ার চেষ্টা করে সে এটা বুঝতে পেছে এই নীলাভ কাজল রাঙা চোখে তার জায়গা আছে।শুধু একটু খানি না অনেক খানিই হয়েছে।ওয়াসেনাতকে আজ তার কাছে নীল ফেইড়িপরীই লাগছে।সম্পূর্ন নীলে ডাকা তার নীলাভ চোখের অধিকারি পরী।হাতের কাঁচের চুড়িগুলো দেখে তার ইচ্ছে করছে এদের খুলে নিজের হাতে নিজের কিনা ওই দিনের চুড়িগুলো পোরিয়ে দিতে।অরিএান গলা খাক দিয়ে অবারও বলে উঠে…….
__হয়েছে আমাকে পর্যবেক্ষন করা?হলে এটা নেও।
:
:
অরিএানের কথা শুনে ওয়াসেনাত লজ্জায় লাল হয়ে উঠে।ওয়াসেনাতের এমন চেহারা দেখেই একবার সে সেন্সলেস হয়েছিল যার কারনে সে আর দেখতে পায় নি এমন লজ্জা রাঙা চেহারা।কিন্তু এবার আর এমন হবে না।তাই অরিএান এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। হঠাৎ অরিএানকে কেউ ধাক্কা দেয় যার কারনে জুস ওয়াসেনাতের জামায় পরে।অরিএান বলে উঠে…….
__সরি সরি ওয়াসু
__আরে কিছু হবে না। ওয়াসরুম কোন দিকে?
__দাড়াও লাড়াকে বলি।হেই লাড়া (হাত দিয়ে ইশারা করে সামনের মহিলাকে ডেকে উঠে)
__ইয়েস স্যার (মহিলা এগিয়ে এসে)
__ওকে ওয়াসরুমে নিয়ে যাও
__ওকে স্যার
__আমিই জেতাম তোমার সাথে। আসলে ওই দিকে তোমার ফ্যামিলির সাথে এখনও দেখা করি নি।তাই
__আরে সমস্যা নেই।আমি ওনার সাথেই চলে যাবো।
__লাড়া ওর সাথেই থাকবে। এক মিনিটের জন্যেও একা ছাড়বে না।
__ওকে স্যার।
:
:
:
ওয়াসেনাত লাড়ার সাথে উপরে ওয়াসরুমে চলে যায়।আর অরিএান সবার সাথে কথা বলতে থাকে।ওয়াসেনাতের বাবা মার সাথেই সে বেশি কথা বলে।অরিএানের দাদার একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকায় তিনি একটু দেড়িতে আসবে বলে।
:
:
:
ওয়াসেনাত ওয়াসরুমে ডুকে পরে।লাড়া বাহিরে দাড়িয়ে আছে।তাকে কড়া ভাবেই বলা হয়েছে ওয়াসেনাতের দিকে নিজর রাখতে তাই সে দাঁড়িয়ে আছে।কিন্তু ব্যাপারটা তার কাছে বিরক্তির। তার একটাই কথা হঠাৎ স্যার এই মেয়ের জন্যে এত যত্নবান কেন হচ্ছে??শুধু শুধু তাকে পার্টি ইন্জয় করতে দিচ্ছে না।সে মনে মনে ভাবে স্যার তো আর দেখবে না।ও এই মেয়ের পিছনে পিছনে আছে কি না?আর এই মেয়েও কচি খুকি না সো সে নিজের মত চলে যেতেই পারে।তাই সে চলে যায়।
:
:
:
ওয়াসেনাত নিজের জামা পরিষ্কার করে যেই পিছনে ফিরবে তার আগেই একটা লোক তার হাতের বাহু শক্ত করে ধোরে তার ঘাড়ে মাথা রাখতে যায়।ওয়াসেনাত সাথে সাথে সরে যেতেই তার জামার হাতাগুলো ছিঁড়ে যায়।ওয়াসেনাত নিজের ওড়না দিয়ে সাথে সাথে ডেকে নিতে যাবে তার আগেই লোকটি তার ওড়না টেনে ধরে।ওয়াসেনাত চিৎকার করে বলে উঠে……
__কে আপনি আর এমন করছেন কেন?মিস.লাড়া আপনি কোথাই?লাড়া লাড়া
__আরে চিৎকার করছ কেন?ইউ নো ইউ আর সো সেক্সি গার্ল। সো হট।আই জাস্ট লাইক ইউ।পার্টিতে আসার পর থেকেই তোমার উপড়ে আমার নজর ছিল কিন্তু একা পাচ্ছিলাম না।আর দেখ তুমি নিজেই আমার সুবিধা করে দিলে।(ওয়াসেনাতের হাত চেপে ধরতেই তার চুড়ি ভেঙে তার হাতে ডুকে পড়ে।ওয়াসেনাত চিৎকার করে হেল্প চাচ্ছে কিন্তু পাচ্ছে না।সে হাত জোড় করে বলে উঠে…….
__প্লিজ যেতে দিন।আমি আপনার কি ক্ষতি করেছি?আমার সাথে কেন এমন করছেন? প্লিজ লিভ মি(চিৎকার করে হাত ছাড়ানোর চষ্টা করতে করতে)
__কচি খুকি নাকি বুঝ না কেন এমন করছি?বেশি চিৎকার চেঁচামেচি করবে না?(থাপ্পড় দিয়ে মুখ চেপে ধরে)
:
:
ওয়াসেনাত এবার নিজের সব শক্তি দিয়ে ধাক্কা দিয়ে যাওয়ার সময় পরে গিয়ে মাথা আর পায়ে অনেক ব্যথা পায় সাথে দরজার সাথে লেগে কেটেও যায়।তাই রক্ত ক্ষরণ হতে শুরু করে। নিজেকে অনেক কষ্টে বাঁচিয়ে দৌড়াতে থাকে আর বাকিটা সবার জানা…………………………….🍂
:
:
#চলবে………🍁
ভুলগুলো মহান আল্লাহর দেওয়া মহান গুন ক্ষমার চোখে দেখবেন।আর প্লিজ কেউ কথা দিয়ে পিটা পিটি করিয়েন না।ওয়াসেনাতরে কাঁদানের জন্যে সরি।অপেক্ষা করেন কান্নার পরেই কিন্তু হাসি।আর আমি কালকে নিচে একটা লেখা দিলাম এটার জন্যে সবাই যেভাবে আমারে নিয়া পরছে।আল্লাহ আমিতো শেষ।🙄আর দেরিতে দেওয়ার জন্যে প্রচণ্ড ভাবে দুঃখীত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here