পাথরের_বুকে_ফুল🍁 part_6

পাথরের_বুকে_ফুল🍁
part_6
#writter_Hafsa_alam🍂🍂

:
:
:
ওয়াসেনাত খুবই বিরক্তি নিয়ে অরিএানের দিকে তাকিয়ে আছে।কিন্তু ব্যাটা শয়তান অরিএানের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই।সে তার নিজের মত গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। তার ভাব দেখে মনে হবে তার আশেপাশের কোনো ব্যক্তি তো দূর কোনো প্রানিও নেই।ওয়াসেনাত কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তার হাতে থাকা আইসক্রিমটা খাওয়া শুরু করে।ওয়াসেনাত খুব মনোযোগ দিয়ে আইসক্রিম খাচ্ছে। ব্যাপারটা কেনো যেনো অরিএানের মোটেও পছন্দ হয় নাই তাই সে ওয়াসেনাতের হাতের আইসক্রিমটা ঠাসসসস করে নিয়ে ঠুসসসসস করে জানালা দিয়ে ফেলে দেয়।ওয়াসেনাত অরিএানের এতক্ষণের কাজগুলো মেনে নিলেও এবার আর পাড়ে নায়।আইসক্রিমের সাথে নো কম্পোমাইজ 😡😡।তাই সে চিৎকার করে বলে উঠে……………..

__এই আপনার সমস্যা কি??হুট করে এসে কোলে তুলে নিলেন। আবার কোথায় যেনো নিয়ে যাচ্ছেন। আবার কথাও বলতে দিচ্ছেন না আর এখন তো আপনি সব সীমা অতিক্রম করে ফেলেছেন। আমার আইসক্রিম 😭😭😭কি ক্ষতিকরেছে আমার আইসক্রিম আপনি কেনো ফেলে দিলেন।কি সুন্দর করে বলছিলও আমাকে খাও আমাকে খাও।খাইতে কই পাড়লাম আপনার জন্যে।কেনো ফেলছেন বলেন কেনো?? কেনো???why???how??😭😭(অরিএানের হাতের উপড় দিয়ে তার কলার ধরে ঝাকাতে ঝাকাতে বলে উঠে)
:
:
:
অরিএান কেবলাকান্তের মত হা করে তাকিয়ে আছে।তার কাছে নিজেকে এখন অরিএান খান না আবুল আবুল মনে হচ্ছে। আসলে এমনটা মনে হবারই কথা।যে অরিএান খানের ভয়ে সবাই কাঁপাকাঁপি করে যার কলার ধরা তো দুর তাকিয়ে ভালো করে কথাও বলে না।সেই অরিএান খানের কলার ধরে রিতিমত ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে এই মেয়ে কথা বলছে।তাও আবার সামান্য আইসক্রিমের জন্য 😲ব্যাপারটা আসলেই আবুলের মত তাকিয়ে থাকার মত।অরিএান ওয়াসেনাতের দিকে তাকাতেই তার চোখের সামনে কিছুক্ষণ আগের ঘটনা ভেসে উঠে সাথে সাথে তার সবুজ চোখ জোড়া রক্তাক্ত লাল রং ধারন করে।
:
:
:
কিছুক্ষণ আগের ঘটনা…………
:
:
ওয়াসেনাত তার ক্লাস শেষ করে বাহিরে এসে রিকশা খুঁজতে শুরু করে হঠাৎ তার সামনে একটা গাড়ি এসে দাড়ায় প্রথমে অবাক হলেও গাড়ির ভিতর থেকে বাহিরে আসা মানুষটিকে দেখে নিজেকে সামলিয়ে নেয়।অরুপ ওয়াসেনাতের সামনে এসে দাড়ায়।আর বলে উঠে…………..
__তুমি এখানে কেনো??(আসলে অরুপ যানে ওয়াসেনাত এখানে কেনো এসেছে।সে তো ওয়াসেনাতকে বাসায় পৌছে দিতে এসেছে। তারপরও না জানার ভান করছে।কারন ওয়াসেনাত এটা জানলে কখনও যাবে না।তাই এই নাটক😂😁😁)

__আমার ক্লাস ছিল।কিন্তু আপনি এখানে কেনো??

__এখানে একটা কাজে এসেছিলাম।আর তোমাকে দেখে দাঁড়ালাম। চলো তোমাকে বাসায় দিয়ে আসি।

__না না লাগবে না।আমি যেতে পাড়বো।

__আমার সাথেও formalities করবা।

জবাবে ওয়াসেনাত হাসলো।কারন সে যানে এই লোক এখন তাকে না নিয়ে যাবে না তাই যাওয়াই ভালো।গাড়িতে উঠতে যাবে তার আগেই ওয়াসেনাতের চোখ সামনে থাকা আইসক্রিম পার্লারের উপড় আটকে যায়।সাথে সাথে নাচতে নাচতে সেখানে চলে যায়।তার সাথে অরুপও। অরুপ মনে মনে খুশি হয় কারন আইসক্রিমের বাহানায় সে আরও কিছু সময় ওয়াসেনাতের সাথে থাকতে পাড়বে।ওয়াসেনাত দুইটা আইসক্রিম নিজের জন্যে নিয়ে নেয়।অরুপ তার দিকে তাকিয়ে আছে।যা দেখে সে বলে উঠে…….
__sorry আইসক্রিমের সাথে নো কম্পোমাইজ 😁😁

__তুমি খাও আমি নিয়ে খাচ্ছি তোমাকে কম্পোমাইজ করতেও হবে না😄😄
:
:
:
ওয়াসেনাত আপন মনে আইসক্রিম খাচ্ছে । তাকে দেখলে যে কেউ বলবে সে মহান কোনো কাজ করছে।খাওয়ার সাথে সে বকবক করেই চলেছে নিজে নিজে বলছে আর খিলখিল করে হাসছে।আর অরুপ তো মুগ্ধনয়নে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। আর ভাবছে আসেই মেয়েটা সাধারনের মাঝে অসাধারন।
:
:
অরিএানও ওয়াসেনাতের সাথে দেখা করতে এসেছিল। কিন্তু তাকে না পেয়ে ফিড়ে যাচ্ছিলো।গাড়িতে উঠেই সে ওয়াসেনাত আর অরুপকে হাসতে হাসতে আইসক্রিম খেতে দেখে আর সাথে সাথে তার মেজাজ গরম হয়ে যায়।অরুপ আইসক্রিমের বিল দিতে গিয়েছি আর এর মাঝেই অরিএান ওয়াসেনাতকে কোলে করে নিয়ে আসে।(বাকিটা সবার যানা)
////////////////////!!
:
:
__এই যে আমি আপনাকে বলছি আমার আইসক্রিম কেনো ফেলেছেন???কেনো??গাড়ি থামান আমি নামবো।আরে সমস্যাটা কি আপনার😠😠
:
:
:
এরি মাঝে অরুপ কল দিয়ে বসে ওয়াসেনাত ওকে বলে সে এক গুরুত্বপূর্ণ কাজে এসেছে।
ওয়াসেনাত একের পর এক প্রশ্ন করেই চলেছে কিন্তু অরিএান একটারও জবাব দিচ্ছে না।কারন সে যানে এখন সে কিছু বললে তার জমানো রাগটাও বাহিরে চলে আসবে যা সে ওয়াসেনাতকে দেখাতে চাচ্ছে না।সে নিজেও বুঝতে পাড়ছেনা কেনো তার এত রাগ হচ্ছে??কেনো সে ওয়াসেনাতের পাশে অরুপকে দেখলেই তার এত রাগ হয়।কেনো সে ওয়াসেনাতের পাশে কোনো ছেলেকেই ভাবতে পারে না কেনো??কেনো এমন হচ্ছে?? কিছুই তার মাথায় ডুকছে না।হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে সে বলে উঠে…………

__ওয়াসেনাত আমার সাথে আইসক্রিম খাবে।(আকুতি ভরা চোখে)

__আপনি কি এই কারনে আমার আইসক্রিম ফেলে দিলেন??(অবাক হয়ে প্রশ্ন করে😳)

__তোমাকে আমি এটা জিগ্যেস করিনি😡😡যা করেছি তার উওর দেও😡

__না খাবো না(মুখ ঘুরিয়ে)

__ঠিক আছে না খেতে চাইলে আর কি করার আছে।আমি ভেবেছি একটা আইসক্রিমের বদলে আরও অনেক গুলো খাওয়াবো।এখন কেউ না খেতে চাইলে তো আর জোড় করা যায় না।(ড্রইবিং করতে করতে)

__ okখাবো।(শালা দাড়া আজ তোকে ফকির বানাই ছাড়মু) মনে মনে।

__সত্যি।

__হুম
:
:
:
অরিএান মনে মনে অনেক খুশি হয়।গাড়িটা একটা ছোটো আইসক্রিমের দোকানের সামনে আসতেই ওয়াসেনাত চিৎকার করে বলে উঠে……

__আমি এখানে খাবো।গাড়ি থামান।

__এখানে??কেমন যেনো জায়গাটা আমরা আরো ভালো জায়গায় খাবো এখানে না।

__এই আপনার কথার মানে কি??এই জায়গাটা ভালো না??একদম লাট সাহেবের মত কথা বলবেন না। আমি এখানেই খাবো।নামেন
:
:
অরিএান বেচারা না চাইতেও এখানে নামতে হল।সে কখনো এমন জায়গায় খাওয়াতো দূর দাড়ায়ও নাই। সে নাকমুখ ছিটকে দোকানের সামনে দাড়ায়।কেমন যেনো লাগছে তার কাছে।আর ওয়াসেনাত সে তো দারুন মজায় আছে। রাস্তার পাশে কিছু পথচারি শিশু ছিল তাদের সাথে কিছু টোকাই ছেলেমেয়ে ছিল তাদের দেখেই মুলত ওয়াসেনাত এখানে খাবে বলেছে।সে অরিএানকে দাড়াতে বলে ওই ছেলেমেয়ে গুলোকে ডেকে আনে। আর বলে………..

__এরাও খাবে। এদেরও আইসক্রিম খাওয়াতে হবে রাজি থাকলে বলেন।

__আবশ্যই। এই এদের সবাইকে আইসক্রিম দেও??(দোকানদারকে উদ্যেশে বলে উঠে)
:
:
বাচ্চাগুলো তো দারুন খুশি।ওয়াসেনাত তাদের সাথে কথা বলছে।আর মাঝে মাঝে তাদের কথা শুনে খিলখিল করে হেসে উঠছে।অরিএান এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।সে যানে বাচ্চাগুলোকে খাওয়ানোর মাধ্যমে ওয়াসেনাত তার আইসক্রিম ফেলার শাস্তি দিচ্ছে। অরিএান এটা ভেবে অবাক হয় কারো মাথা থেকে কি করে এত সুন্দর শাস্তির পদ্ধতি আসতে পাড়ে।ব্যাপারটা অবাক হওয়ার মত।একে একে সবাইকে আইসক্রিম দেওয়া হল।সবাই তো খুব খুশি।এই গরমে এই বাচ্চাগুলোও খুব গরম লাগছিল।তারা ওয়াসেনাতকে বললে………….

__ধন্যবাদ আপু(জড়িয়ে ধরে)

__আমাকে না ওই ভাইয়াকে দেও।সেইত তোমাদেরকে আইসক্রিম দিয়েছে আমি না(আঙুল দিয়ে ইশারা করে)
:
:
:
বাচ্চাগুলো দৌড়ে অরিএানকে জড়িয়ে ধরে।অরিএান ব্যাপারটায় অনেক অবাক হয়।তবুও ওদের জড়িয়ে ধড়ে। বাচ্চাগুলো অরিএানকে বলে উঠে……..
__অনেক ধন্যবাদা ভাইয়া।
:
:
জবাবে অরিএান তাদের মাথায় হাত বুলায়।সে ভাবছে যে অরিএান হালকা ধুলোতেও গাড়ি থেকে নামে না সে এই ধুলো জড়িত কাপড় পড়া বাচ্চাদেকে জড়িয়ে ধরেছে।তবে সে অবাক হচ্ছে তার কেমন যেনো এক শান্তি শান্তি লাগছে।যা তার জীবনে সে আগে কখনো ফিল করে নায়।ওয়াসেনাত বাচ্চাগুলোর গালে চুমু খায়।তারপর তাদের বিদায় দেয়।অরিএান অবাক হয়ে ওয়াসেনাতকে দেখছে।বাচ্চাগুলোর ধুলো মাখা গালে কি সুন্দর নির্বিকার ভাবে চুমু খেয়েছে।হঠাৎ একটা বাচ্চা এসে ওয়াসেনাতের জামা টেনে বলে উঠে……
__আপু বেলুন নিবেন
:
:
ওয়াসেনাত কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তার হাতের চারটা আইসক্রিম থেকে একটা ছেলেটার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে………

__এটা নেও।আর আমি বেলুন নিবো।
:
:
বাচ্চা ছেলেটা এক গাল হেসে আইসক্রিমটা নিয়ে নেয়।আর ওয়াসেনাত তার ব্যাগ থেকে দুইটি একহাজার টাকার নোট বাচ্চাটার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে………
__আমাকে সব গুলো বেলুন দেও।
__কিন্তু আপু আমার কাছে এত টাকার বেলুন তো নাই।

__যা আছে সব দেও।আর বাকিটা তোমার উপহার।আমাকে এত সুন্দর একটা হাসি উপহার দেওয়ার জন্যে।
:
:
বাচ্চাটা খুশিতে কেঁদে দেয়।ওয়াসেনাত বুঝতে পেরেছে টাকাটা বাচ্চাটার খুব প্রয়োজন।সে একটু আগে যখন সবাইকে ডাকতে গিয়েছিল তখন শুনেছে ছেলেটা কাকে যেনো বলছে তার মা অসুস্থ। ছেলেটা এবার ওয়াসেনাতকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠে…….

__ধন্যবাদ আপু।অনেক অনেক ধন্যবাদ। এবার মাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো।
:
:
ওয়াসেনাত ছেলেটার চোখ মুছে দিয়ে চুমু খায় কপালে। তারপর বলে উঠে……..
__হুম। নিয়ে যেও। আমি দোয়া করি তোমার মা যাতে তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়।আর হে তোমার মাকে বলিও আমার মার জন্যে দোয়া করতে।সাথে তুমিও করিও।মায়ের খেয়াল রেখও।(মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)

__করবো আপু অনেক দোয়া করবো সাথে তোমার জন্যেও করবো।এবার আসি।(বেলুন গুলো দিতে দিতে)

__আচ্ছা।
:
:
বেলুন গুলো নিয়ে ওয়াসেনাত এবার অরিএানের পাশে দাড়ায়।অরিএান এখনও হাবার মত তাকিয়ে আছে।সে আর অবাক হতে পাড়ছে না।মেয়েটা আসলেই অসাধারণের উপড়ে কিছু থাকলে ও সেটা। অরিএান সবটা দেখেছে।আর এখন সে ভাবছে।ওয়াসেনাতের ধাক্কায় তার হুশ আসে।ওয়াসেনাত বলে উঠে……..
__আমার সাথে যাবেন।ওই মাঠে(হাত দিয়ে রাস্তার পাশের মাঠে ইশারা করে)

__ওই মাঠে কেনো(একটু অবাক হয়ে)

__আমার একটা শখ আছে।আইসক্রিম খাবো আর বেলুন হাতে রাস্তার পাশে থাকা দিগন্তজুড়া মাঠে কিছু সময় কাটাবো।দেখেন আইসক্রিমও আছে সাথে বেলুনও আর ওই যে মাঠ।তাই বলছিলাম।আসলে আপনি আমার সাথে আছেন তো তাই জিগ্যেস করেছি। আপনি না যেতে চাইলে নাই।আমি যাবো।(বলেই বেলুনগুলো হাতের কবজিতে বেধে নেয়)

__আমি যাবো।দাড়াও বিল দিয়ে আসি।
__কেমন লেগেছে শাস্তি আমার আইসক্রিম ফেলার হুমমম।(ভ্রু নাচিয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে)

__আমার লাইফের বেস্ট অসাধারণ শাস্তি। (বলেই বিল দিতে চলে গেল)
:
:
ওয়াসেনাত এবার হাবার মত দাড়িয়ে আছে।আসলে ভাবছে শাস্তি কেমনে বেস্ট আবার অসাধারণ হতে পাড়ে।🤔🤔ব্যাপারটা আসলেই ভাব বার বিষয়।
:
:
অরিএান বিল দিতে গিয়ে পড়ছে মহা বিপদে কারন তার কাছে ক্যাশ টাকা নেই। আছে সব কার্ড। আর দোকানের ছিড়ি দেখেই বুঝা যায় এখানে কার্ড দিয়ে কচুটাও হবে না।তাই না পাড়তে নিজের দামি ১লাখ টাকার ঘড়ি দোকানদারকে দিয়ে দেয়।দোকানদার তো মহা খুশি। বিল দিয়ে মানে ঘড়ি দিয়ে অবার ওয়াসেনাতের কাছে এসে বলে……….
__চলোও
__যাবো। আগে আপনার ব্লেজার খোলেন।
__কেনো??(অবাক হয়ে)
__আমি বলেছি তাই। না খুললে আপনাকে আমার সাথে নিবো না।
__ok খুলছি।(খুলতে খুলতে)
__এবার শার্টের ইন খুলেন।
__আবার ইন কেনো??
__আপনি বেশি কথা বলেন।যা বলছি তা করেন না হলে ক………
__ok ok খুলছি(ইন খুলতে খুলতে)
__এবার ব্লেজারটা গাড়িতে রেখে আসেন।
:
অরিএান তাই করলো।আবার এসে ওয়াসেনাতের কাছে দাঁড়ালো।ওয়াসেনাত আবার বলে উঠে…….
__এবার হাতা ভাজঁ করেন।
:
অরিএান হাতা ভাজ করে ফেলে।এবার ওয়াসেনাত একটু উঁচু হয়ে অরিএানের গোছালো তর্কি স্টাইলের চুল গুলো এলো মেলো করে দিলো।দিয়ে বলে উঠে……….

__wowwwwআপনারে যা জোসসসস লাগতাছে।কি বলমু।এবার চলেন।
:
:
অরিএান হাবার মত ওয়াসেনাতের সাথে হাটতে শুরু করে।আসলেই অরিএানকে জোসসসস লাগছে।সাদা শার্ট সাথে কালো পেন্ট তার উপড় ওয়াসেনাতের করিয়ে দেওয়া স্টাইলে অসাধারণ লাগছে।তাদের দেখে এক অসাধারণ প্রেমি জুটি লাগছে।ওয়াসেনাতের এক হাতে দুটি আইসক্রিম আর অন্য হাতে একটা যেটা সে কিছুক্ষণ পরপর তার ঠোঁট জোড়া দিয়ে চুষে চুষে খাচ্ছে। তার উপড় হাতের কবজিতে বাধা বেলুন গুলো উড়ছে। জাস্ট এক কথায় অপূর্ব।
:
:
:
মাদৌলি বাসায় গিয়ে সব ভাঙ্গাচুর শুরু করে।তার মাথা খুব গরম হয়ে আছে।বাড়ির কাজের লোকেরা তার কাছে যেতে ভয় পাচ্ছে।তাকে কেউ আটকাতে পাড়ছে না।এক প্রকার তান্ডব চলছে।
:
:
:
ওয়াসেনাত আর অরিএান দিগন্তজুড়া মাঠে বসে আছে। চারিপাশে সবুজের সমারহ।অরিএান এই প্রথম এভাবে বসে আছে।খোলা আকাশের নিচে ঘাসের উপড়ে।ব্যাপারটা তার কাছে খুব অদ্ভুত মনে হচ্ছে। তবে ওয়াসেনাতকে পাশে পেয়ে তার সব অদ্ভুত লাগা অসম্ভব ভালো লাগায় রুপ নিয়েছে।অরিএান এক নজরে ওয়াসেনাতের দিকে তাকিয়ে আছে। সূর্যের এক ফালি রোদ এসে পড়ছে ওয়াসেনাতের মুখে।গাল গুলোতে লাল লাল অভার সমারোহ। নাকটা টুকটুকে লাল হয়ে আছে।হিজাবের উপড়ের হলুদ কাঠগোলাপটি রোদের আলোয় চিকচিক করছে।এত সুন্দর মেয়ে অরিএান তার জীবন দশায় আর দেখে নাই।যেমন তার নাম তেমন তার গুন।আসলেই সে”” সৌন্দর্যে মণ্ডিত””।
:
:
অরিএানের ইচ্ছে করছে আইসক্রিম হতে।যদি সে আইসক্রিম হতে পাড়তো।তবে তো সে বার বার ওয়াসেনাতের নরম কোমল লাল টুকটুকে ঠোঁট জোড়া ছুঁয়ে দিতে পাড়তো।তার ভিষন ভাবে ওয়াসেনাতের লাল লাল অভার গালে চুমু খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। হঠাৎ ওয়াসেনাতের প্রশ্নে অরিএান ভাবনার জগৎ থেকে ফিরে আসে।ওয়াসেনাত বলে উঠে…………

__এই আপনার নাম টা কি??আজ দুই দিন হয়েছে আপনার সাথে দেখা হয়েছে অথচ আমি আপনার নাম টাই যানি না।আমি কি আবাল………
:
:
অরিএান কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না……………
:
:
:
:
💞চলবে…….

ভুল গুলো আল্লাহর দেওয়া মহান গুন ক্ষমার চোখে দেখবেন🌹🌹

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here