পুরোনো ডাকবাক্স পর্ব -১২

#পুরোনো_ডাকবাক্স
#তানিয়া_মাহি(নীরু)
#পর্ব_১২

নওরীন তিনটা শাড়ি পছন্দ করলে আরসাল তাকে তিনটা শাড়িই কিনে দেয়। কিন্তু সে একবারও আলিজাকে নিজের কোন শাড়ি পছন্দ হয়েছে কি না জানতে চায় না। নওরীন যখন দেখলো চলে যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে কিন্তু আরসাল এখনও আলিজাকে জিজ্ঞেস করে নি যে আলিজার কোনটা পছন্দ হলো কি না সে এবার আলিজার দিকে তাকিয়ে দেখে বেচারি মন খারাপ করে রয়েছে।

” বউমনি তুমি পছন্দ করছো না কেন? দেখো তোমার কোনটা ভালো লাগে।

” তুমিও শাড়ি নিবে?

” না আমি শাড়ি নেব না, আমার আছে তো।

” কি বলছো আমি নিচ্ছি আর তুমি নিবে না?

” তুই নিলেই কেন তার নিতে হবে?

আরসালের কথা শুনে আলিজা অবাক চোখে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। আরসালই তাকে শাড়ি নেওয়ার জন্য জোর করবে, তা না করে সে নিজেই এসব বলছে! আলিজার মন খারাপ হয়ে যায় আরসালের ব্যবহারে। সে আর ওখানে দাঁড়াতে চায় না। তিনজন বাসার দিকে রওয়ানা দেয়। আরসালের ওপর তার ভীষণ রাগ হয়, আলিজার মুখের অবস্থা দেখে নওরীনের মন খারাপ হয়ে যায়।

*****
দুপুরে গোসল দিয়ে এসে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল ঠিক করছিল আলিজা। আরসাল বিছানায় শুয়ে ফোন ঘাটছিল এমন সময় তিথির কল আসে। তিথির কল দেখেই যেন আরসালের রাগ হয়ে যায় এই মেয়েকে সে কতই না ভালোবেসেছিল কালকের ঘটনার পর আর এক ফোটা ভালোবাসা অবশিষ্ট নেই সেটাও নয় তবে আগের মত সম্মান আর নেই। যে মেয়ে এরকম একটা নোংরা খেলা খেলতে পারে সে অন্তত ভালোবাসা পাবার যোগ্য না। তার প্রতি ভালোবাসা আছে সাথে ঘৃণাও। ভালোবাসা এখনও আছে আর সেটা ধীরে ধীরে শেষ ও হয়ে যাবে। আরসাল তাড়াতাড়ি কল কেটে মেসেঞ্জারে চলে যায়।

” তুমি জানো আমি এই দিনটা বাড়িতে থাকি, এই একটা দিন অন্তত পরিবারের সাথে থাকতে দাও।

” পরিবার মানে তুমি ওই মেয়ের সাথে আছো তাই না? আমাকে ঠকাচ্ছো তুমি আরসাল।

” ফোন দিয়েছো এই আজেবাজে কথাগুলো বলার জন্য?

” ওহ আমার কথা এখন আজেবাজে?

” তাছাড়া কি, এগুলো কি ধরনের কথা?

” বউ নিয়ে ব্যস্ত আছো তার সাথে ফ*ষ্টি*ন*ষ্টি করতে তাই না?

” বউ থাকলেই সবাই এসব করে না সবসময় মাইন্ড ঠিক করো। আর তোমার যদি এটা মনে হয় তাহলেই তাই করছি।

” আমার কথা আজেবাজে লাগে তোমার কাছে এখন আমার মাইন্ডও খারাপ!

” তোমার মাইন্ড খারাপ না কি কি করছি বউয়ের সাথে শুনবে? বলি…..

” আরসাল! এবার কিন্তু বেশি বেশি করে ফেলছো। আমি ভালো মনে তোমার সাথে কথা বলার জন্য কল দিয়েছিলাম। আমার তো মনে হচ্ছে বউ তোমাকে ব*’শ করে ফেলেছে। ওই শয়*’তান মেয়েকে আমি ছাড়ব না। ওর জন্য তুমি আজ আমার সাথে এমন ব্যবহার করতে পারছো!

” তিথি, একদম ওকে নিয়ে বাজে কথা বলবে না। তোমার এই আচরণে তো মনে হচ্ছে আমি তোমাকে ঠকাচ্ছি না,,, আমি ঠকাচ্ছি ওই মেয়েটাকে। যে কিনা আমার ঘরে থেকে সবসময় আমার সেবা করে যাচ্ছে বাসার সবার মন রেখে চলছে, কোন কাজ করলে আমি তার সাথে ভালো ব্যবহার করব সেটা করছে। দোষ আমার আমি মানুষ চিনতে ভুল করেছি।

” আরসাল!

” কথা বাড়িও না আর, নইলে দেখা যাবে এমন অনেক কথাই বলে ফেলব যা তোমার ভালো লাগবে না।

” আমি জাস্ট অবাক হয়ে যাচ্ছি তোমার ব্যবহারে।

” আর অবাক করতে চাইছি না তোমাকে।

” তুমি আদৌ আমাকে ভালোবাসো তো?

” এমন কোন প্রশ্ন করো না যেটার উত্তর শুনলে তুমি কষ্ট পাও।

” মানে আজকে কল দেওয়ার কারণে কি এখন বলবে তুমি আমাকে ভালোও বাসো না আরসাল?

” সেটাও বলতে পারছি না।

” তোমার মেসেজগুলো আমাকে কষ্ট দিচ্ছে আরসাল।

” কষ্ট পেও না, পরে কথা হবে।

” প্লিজ দেখা করতে পারবে? খুব মিস করছি তোমায়।

” না আজ দেখা করতে পারব না।

আরসাল মেসেঞ্জার থেকে বেরিয়ে আসে। ততক্ষণে খেয়াল করে আলিজা রুমে নেই। সে আবার এখন কোথায় গেল! আরসাল বাহিরে বেরিয়ে দেখে আলিজা আর তার বাবা ড্রয়িংরুমে বসে কথা বলছে। ওখানে কি যাওয়া ঠিক হবে সেটাই ভাবছে সে। কিছু একটা ভেবে সামনের দিকে না গিয়ে আবার রুমে ফিরে যায়।

*****
” আম্মি আপনাকে ডাকছে।” কথাটি শুনেই মাথা উঁচু করে তাকায় আরসাল। এতক্ষণ সে বসে বসে তিথি আর তার আরেকটা প্রেমিকের মেসেজ, ভয়েস, ছবি দেখছিল। আলিজা রুমে আসতেই ফোনটা রেখে দেয়।

” আম্মি কেন আমাকে ডাকবে এখন?

” জানিনা কোন দরকার হয় তো ।

” তুমি কি এতক্ষণ ওখানেই ছিলে?

” হ্যাঁ আমি ওখানেই ছিলাম এখানে থেকে কি করব আপনি তো ফোন ঘাটছিলেন।

” একটু কাজ ছিল ফোনে তাই ফোন ঘাঁটছিলাম।

” আপনার সব সময় কাজ থাকে, আজকে ছুটির দিন তবু আপনি আপনার ফ্যামিলিকে কোন সময়ই দেন না। আপনি জানেন আপনার ফ্যামিলি আপনাকে কতটা মিস করে? সপ্তাহের ছয় দিন তো কলেজে সময় দেন, একটা দিন তো অন্তত বাবা মা বোনকে দিবেন।

” আর বউয়ের লাগবে না?

” আমি যে আপনার বউ এটা মানেন জেনে ভালো লাগলো।

” প্লিজ আলিজা এভাবে বলো না।

” মাঝে মাঝে অনেক কথা বলে ফেলতে ইচ্ছে করে আরসাল। আপনার ব্যবহার, আপনার সম্পর্কে যতটা জানি তা মনে হলে খারাপ লাগে। আমিও কষ্ট পাই আমি যে মানুষ এটা আপনি ভুলেই গিয়েছেন।

” তোমাকে আসলে সরি বললেও কম হয়ে যাবে। আমার করা ভুলের জন্য আমি তোমার কাছে ক্ষমা চেয়ে ক্ষমা নাও পেতে পারি। তবে একটা জিনিস বুঝে গিয়েছি আমি মানুষ চিনতে পারিনা নইলে তিন বছর সময় যার পিছনে ব্যয় করলাম সে কিভাবে……..

” প্লিজ আরসাল এসব বলা বন্ধ করুন। আপনি হয়তো জানেন না আমি আপনার ব্যাপারে সব জানি আর তাই এ কথাগুলো দ্বিতীয়বার আমার শুনতে ইচ্ছে করছে না। কিছু কিছু কথা হয়তো একবার দুইবার কেন বারবার শোনা যায় কিন্তু এমন কিছু কথা আছে শোনার শক্তি আর থাকে না। আপনার এই কথাটা আমার আর শুনতে ইচ্ছে করে না যেহেতু আমি আপনার ব্যাপারে জেনে গিয়েছি।

” আমিও বুঝেছি তুমি হয়তো কোন না কোনভাবে আমার বিষয় জেনে গিয়েছো।

” হ্যাঁ জেনে গিয়েছি আপনার ব্যাপারে। আপনার ভালোবাসার কথা আর একটা বার উচ্চারণ করবেন না আমার সামনে। আমার ভাল লাগেনা শুনতে, কি বলুন তো পৃথিবী আমাকে এত ঠকিয়েছে, এখনও ঠকে যাচ্ছি এটা শুনতে ভীষণ খারাপ লাগে। আপনি বলেছিলেন আপনার বাবা জোর করে বিয়ে দেওয়ায় আপনি শুধু এই বিয়েতে রাজি না। আপনি যদি আপনার এই প্রেমের কথা আমাকে বিয়ের আগে একটাবার জানাতেন কোন না কোন ভাবে তাহলে দেখতেন এই বিয়েটা কোন ভাবেই হতো না । তবে বিয়ের পর তো আর আমাদের কম সময় কেটে গেল না, বেশ কিছুদিন সময় কেটে গিয়েছে আর এই বেশ কিছুদিন আমরা দুজন একদিনও আলাদা কোথাও থাকি নি৷ হয়তো খুব অল্প সময় আপনি আমার সাথে থেকেছেন তো। হয়তো আমি আপনার স্পর্শ এখনো পাইনি, একটা রুমে একটা ছাদের নিচে তো থেকেছি কিন্তু আমাদের মধ্যে স্বামী স্ত্রীর কোন সম্পর্ক নেই তবুও কেন জানি না মনে হয় আমি আপনাকে ভালোবাসি।

” আমাকে একবার সুযোগ দেওয়া যায় না আলিজা? আমি আর মানুষ চিনতে ভুল করতে চাই না। আমি অতীত আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইনা আমি নতুন করে তোমার সাথে বাঁচতে চাই।

” আমিও চাই আমার ভালোবাসার মানুষ আমাকে ভালোবাসুক। আমার প্রিয় মানুষটি বাহিরের কোন মেয়ের কাছে আঘাত পেয়ে আবার আমার কাছে ফিরে এসেছে এটা ভাবতেই সব অন্ধকার অন্ধকার লাগে।

” তবে তুমি বলতে চাইছো আমার ওই একটা ভুলের জন্য সারাজীবন পস্তাতে হবে? তুমি একজনকে ভালোবাসো, অন্ধের মত বিশ্বাস করো আর তোমার বাবা তোমাকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিলো তখন কি তুমি তোমার ভালোবাসা এত সহজে ভুলে যেতে পারবে? সেই ভালোবাসা থেকে সরে আসতে একটা আঘাতের প্রয়োজন আর সেটা আমি পেয়ে গিয়েছি। তবে এখন নিজেকে যেমন দোষী লাগছে তোমার জন্য ঠিক তেমনই অসহায় ও লাগছে। পরিস্থিতি বুঝিয়ে দিচ্ছে আমার করা একটা ভুলের জন্য আমি ভালো থাকার অধিকার হারিয়েছি।

” ছাড়ুন এসব কথা, আম্মি আপনাকে ডাকছে চলুন। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

” আমি আশা করছি না।

” এখন কি আপনি চাইছেন আমি আবার আপনার পিছনে ভালোবাসি ভালোবাসি বলে দৌঁড়িয়ে সময় নষ্ট করি?

” না, আমি কিছুই চাই না।

কথাটা বলে আরশাল আলিজাকে রেখেই রুম থেকে বের হয়ে তার মায়ের রুমে যায়।

মিসেস মোহনা বসেই ছিলেন, ছেলেকে আসতে দেখে পাশে বসতে বললেন। আরসাল ও গিয়ে তার মায়ের পাশে গিয়ে বসে।

” ডাকছিলে কেন আম্মি?

” তোর বাবা তো দলের কাজে একটু বাহিরে গিয়েছে উনি বাসায় আসলেই আমাদের সবাইকে বেরিয়ে পরতে হবে। তোর সাজু ফুপুর মেয়ের বিয়ে যেটা বড় ওটার।

” সবাইকে যেতে হবে?

” হ্যাঁ সবাইকে।

” আমার তো কলেজ থেকে ছুটি দেবে না এখন। বিয়ে কবে?

” সামনে শুক্রবার।

” এতদিন আগে গিয়ে কি করবে?

” গ্রামে যাওয়া হয় না কতদিন ভেবে দেখেছো তুমি?

” ঠিক আছে তোমরা তাহলে যাও আমি বৃহস্পতিবার যাব।

” ছুটি কি নেওয়া যাবে না?

” এক সপ্তাহ কম না আম্মি, এতদিনের ছুটি কখনও দেবে না।

” আলিজা তাহলে কি করবে তোমার সাথে যাবে নাকি আমাদের সাথে?

” আলিজা তোমাদের সাথেই যাক আমার জন্য শুধু শুধু বেচারি আনন্দ করতে পারবে না। নওরীনের সাথে থাকলে আর তুমি থাকবে ওখানে ওর ভালো লাগবে। তোমরা যাও আমি বৃহস্পতিবার চলে যাব।

” আচ্ছা তাহলে আলিজাকে ব্যাগ গুছিয়ে নিতে বল গিয়ে।

” ঠিক আছে।

আরসাল বেরিয়ে নিজের রুমের দিকে অগ্রসর হয়। রুমে গিয়ে দেখে আলিজা রুমে নেই। নিশ্চিত এই মেয়ে নওরীনের রুমে চলে গিয়েছে। একটু ধীরস্থিরভাবে নিজের রুমে বসে থাকতে পারে না সে! নওরীন যে তাকে কি জা*’দু করেছে একমাত্র আল্লাহ জানে। নিজেই একা একা বকবক করতে করতে নওরীনকে কল দেয়। কয়েক সেকেন্ডের দূরত্বে থেকে ভাইয়ের নম্বর থেকে কল পেয়ে অবাক হয় নওরীন। আলিজার দিকে ভ্রু কুচকে তাকায়।

“তোমার বর কোথায়?

” কে তোমার ভাইয়া?

” তোমার আরও কোন বর আছে?

” আরে ধুর, সে তো আম্মির রুমে।

” কল দিলো যে!

” কি জানি দেখো কি বলে..

” ঠিক আছে।

নওরীন আর কথা না বারিয়ে কল রিসিভ করে।

” ভাইয়া রুমে থেকে কল দিচ্ছো নাকি?

” আলিজা কোথায়?

” আমার রুমে, কেন?

” পাঠিয়ে দে, আর তুই আম্মির রুমে যা আম্মি ডাকছে তোকে।

” ঠিক আছে।

ফোন রেখেই আলিজার দিকে তাকিয়ে, ” যাও তোমার বর স্মরণ করেছে তোমায়” বলেই হেসে ফেলে নওরীন।

” গিয়ে একটু ভালো করেই কথা বলি বেচারার সাথে।তোমার কথা শুনে তখন অনেক কথা শুনিয়ে দিয়েছি।

” একটু কথা না শোনালে তোমার যে কঠিনভাব আছে সেটা সে বুঝবে না। আমার ভাই খুব সহজ সরল। খুব সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে নেয় তাই তো বারবার ঠকে যায়। এখন যাও রুমে যাও….

” আচ্ছা থাকো তাহলে।

****
আলিজা রুমে ঢুকে দেখে আরসাল বিছানায় শুয়ে ফোন ঘাটছে। মাথার পাশে আবার তার সবুজ শাড়িটা রাখা। আলিজার মনে পড়ে একদিন তার শাশুড়ী আরসালকে রাগ দেখিয়ে শাড়ি কিনে নিয়ে আসতে বললে রাতে একসাথে নয়টা শাড়ি নিয়ে এসেছিল আলিজার জন্য। কিন্তু শাড়ি এখন ওখানে কেন সেটাই ভাববার বিষয়। আরসালের দিকে এগিয়ে গিয়ে কোমরের দুইপাশে হাত দিয়ে দাঁড়ায়।

” কি সমস্যা, এভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেন?(আরসাল)

” আপনি শাড়ি এখানে রেখেছেন কেন?

” এটা পরে রেডি হও তাড়াতাড়ি।

” কেন?

” মেলায় যাব।

” মেলায় যাবেন আপনি, আমি কেন রেডি হব?

” কারণ তুমিও যাবে আমার সাথে।

” আমি কেন?

” বউকে নিয়ে মেলায় ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছে হয়েছে তাই।

” আর কি কি ইচ্ছে হয়?

” আপাতত এটাই অন্যগুলো পরে বলব। যাও রেডি হও তাড়াতাড়ি। এসে আবার তোমার ব্যাগ গুছিয়ে নিতে হবে।

” ব্যাগ আবার কেন গুছিয়ে নেব?

” গ্রামে আমার ফুপুর মেয়ের বিয়ে ওখানে সবাই যাবে। বাহিরে থেকে এসে রাতেই রওয়ানা দিতে হবে তোমাদের।

” আপনি যাবেন না?

” না।

” কেন?

” কলেজ আছে না? তোমরা যাও।

” আপনি একা বাসায় থাকবেন?

” হ্যাঁ।

” আপনি না গেলে আমিও যাব না ওখানে।

” আমি বৃহস্পতিবার যাব, তোমরা আজকে যাবে।

” এতদিন পর আসবেন!

” হ্যাঁ, যাও যাও রেডি হও।

” ভালো করে বলেন।

” কিভাবে ভালো করে বলব?

” বলেন, যাও রেডি হয়ে নাও আমরা দুজন আজ একটু বের হব।

” যাও রেডি হয়ে নাও আমরা দুজন আজ একটু বের হব।

” ঠিক আছে।

চলবে……
পাঠকের প্রতি রিকুয়েষ্ট থাকবে সবাই লাইক রিয়েক্ট দিয়ে যাবেন। আজকে সবার কমেন্ট চাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here