পূর্ণশশী পর্ব ৬

#পূর্ণশশী
(৬)
#ফারহানা_আক্তার_রুপকথা
______________________

পৃথিবীতে যা কিছু হয় বা ঘটে তার পেছনে সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই কোন না কোন কারণ রাখেন। আল্লাহ তা’আলা এই যে অংশকে আমার থেকে আলাদা করেছেন তার পেছনে ও নিশ্চয়ই কোন কারণ রেখেছেন যা আমি এখনও বুঝে উঠতে পারছি না। আচ্ছা তবে কি পূর্ণ আমার জীবনে আছে তার পেছনে ও কি কোন কারণ আছে? উফ, আমি কেন ওর কথা ভাবছি অসহ্যকর ব্যক্তি একটা। এই ফালতু ছেলের কথা ভেবে আমি কেন ঘুম নষ্ট করছি আমার ও তো ঠিকই নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। হুহ, আমি ও ঘুমাই বলেই ঘরের লাইট অফ করে শুয়ে পড়লাম আর পূণ আজ ও কিছু কাগজপত্র নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেছে।

সকাল সকাল চিল্লাচিল্লিতে ঘুমটা ভাঙলো। কি আজব বাড়ি রে বাবাহ, এত সকালেই কেউ চেঁচায় এমন করে। কিন্তু কে চেঁচাচ্ছে দেখার জন্য হাই তুলতে তুলতে ঘর থেকে বের হতেই চক্ষু চড়কগাছ। পূর্ণের ফুপু ব্যাগ, বস্তা নিয়ে ড্রয়িংরুমে সোফায় বসে আছেন। পাশেই আমার শ্বশুড়মশাই মুখ ভার করে বসে আছেন। রানু আন্টি ফুপুর সামনেই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। দাঁড়িয়ে আছে পূর্ণ,অংশ আর মৌশিও৷

‘লও আইছে তোমাগো নবাবনন্দিনি৷ এবার কও ভাই তুমি কি কইবা। তোমার বউ এট্টু ইজ্জত দেয় কুনু মতন অংশের বউ ও দেয় কিন্তু তোমার ছুডু পোলার বউ আমারে দুইডা চক্ষে দেখবার পারে না৷ কাইল চা খাইতাম চাইছি দেইখা কত্তাডি কথা হুনাইয়া দিলো ‘। আমাকে দেখেই ফুপু ন্যাকা কান্না জুড়ে দিয়েছে আর এসব প্রলাপ বকছে। আর এতে সবার দৃষ্টি আমার দিকে। শ্বশুর মশাই তো সেই লেভেলের রেগে গেছেন তার বোনের অভিযোগ শুনে। কিন্তু আমি তো সহজ সরল বান্দা নই পূর্ণ আর মৌশির মত। ফুপুর কথা শেষ হতেই তেড়ে গেলাম তাদের সামনে। সকাল সকাল ঘুমের মায়রে বাপ করে বুড়ি আমার নামে নালিশ করে। বের করছি নালিশ,,

‘ কি কি করছি ফুপু আবার বলেন তো ‘ চোখ মুখ কুঁচকে ফুপুর কাছে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করতেই ফুপু এবার বললেন ‘দেখছো ভাই তোমাগো সামনেই কেমন কইরা আহে মাইয়া’। ফুপু আরো আহ্লাদী সুরে তার ভাইকে বলছেন৷ শ্বশুর মশাই এবার রেগে গেলেন ‘ এই মেয়ে সমস্যা কি তোমার?নিজের মত করে বিয়ে করে চলে এসেছো কেউ কিছু বলেনি বলে কি যা তা করে বেড়াবে? আমার বাড়িতে থেকে আমার বোনকেই তুমি কথা শোনাও কোন সাহসে? বাড়াবাড়ি করলে এ বাড়ি থেকে বের করে দিতে আমি এক মিনিট ও ভাববো না। কথাটা মনে রেখো আর এই মুহুর্তে আমার বোনের কাছে ক্ষমা চাও ‘।

‘কিহ ‘?

‘কি আবার কি? যা বলছি তা করো। আর পূর্ণ তোমার বউকে বলে দিও এটা তার বাবার বাড়ি নয় এখানে দ্বিতীয়বার এমন বেয়াদবি করলে এর ফল ভালো হবে না’। শেষের কথাটা শ্বশুর মশাই পূর্ণের দিকে তাকিয়ে বললেন। কিন্তু পূর্ণ মুখ খুলল না তবে অংশ কিছু বলতে যাচ্ছিলো বুঝতে পেরে আমিই আগে মুখ খুললাম ‘ এই যে শ্বশুড় আব্বা শুনুন প্রথমত বিয়ে করে মেয়েরা বাবার বাড়ি থেকে একাই আসে দু’চার জন আরো নিয়ে আসে না সংসার করতে। আর দ্বিতীয়ত, আমি যতদূর জানি অংশ বলেছিলো বাড়িটা আপনার নয় উত্তরাধিকার সূত্রে আপনার বাবার কাছ থেকে পেয়েছেন যা পরবর্তী কালে আপনার ছেলেরা পাবে’। এ পর্যায়ে আমার কথা শুনে সবাই অংশের দিকে তাকিয়ে আছে আর অংশ কটমট করে আমার দিকে। পূর্ণ একবার একবার করে নিশ্চয়ই সবাইকে দেখছে কিন্তু এখানে আমার ভাববার মত কিছু নেই আমার কথা শেষ হয়নি তাই আবারও বলতে লাগলাম ‘ আর তৃতীয়ত, ফুপু কে আমি চা দেইনি কথা সত্যি তবে উনি পুরো কথা বলেন নি উনি চা চাইছিলেন আমি বলছি ফুপু আপনাকে দুধ গরম করে দেই চা পাবেন না। আপনার নাকি কিছুদিন ধরে হাঁটুতে ব্যাথা হয় আবার নাকি রাতে ঘুম ও হয় না তাই চা নয় আপনি দুধ, খেজুর আর কিশমিশ খাবেন। কিন্তু উনি তো কথাটাকে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বললেন’। আমি কথাগুলো বলার পরও আরো কিছুক্ষণ তর্ক চলল পূর্ণ চুপচাপ আমার দিকে অপলক তাকিয়ে আছে আর ঠোঁটে মুচকি হাসি। কিন্তু অংশ প্রচন্ড রেগে আছে ঠিক আগের মতোই। আমার উপর রাগ করার অধিকার যে তার নেই সেটা হয়তো ও ভুলেই গেছে আর এই সুযোগে মনটা বলছে এই রাগের শেষ দেখতে। আমি আরো করলাম তর্ক তার বাবার সাথে ফুপু অবশ্য চুপ হয়ে আছে অনেকক্ষণ ধরেই। কিন্তু এবার আর অংশ সহ্য করতে পারলো না আমার বেয়াদবি তার বাবার সাথে একের পর এক তর্ক করেই চলছি৷ শেষ পর্যন্ত তাই হলো যা আমি চেয়েছি। অংশ রাগ দমাতে না পেরে আমার সামনে এসে ঠাস করে কষে এক থাপ্পড় বসিয়ে দিলো আমার গালে। পূর্ণ পেছন থেকে টেনে ধরলো অংশকে। উপস্থিত সবাই হকচকিয়ে উঠলো রানু আন্টি আর মৌশি ভয় পেয়ে গেছে৷ কিন্তু ফুপুর ঠোঁটে ইষৎ হাঁসির আভাস। পূর্ণের বাবাও কিছুটা অস্বস্তি বোধ করলেন হয়তো তিনি এমন কিছু চান নি। আমার চোখে জল ছলছল করছে কিন্তু গড়িয়ে পড়ছে না আর আমি পরতে দেবো ও না। কিন্তু পূর্ণের গলার স্বর শুনে চোখের জল সরে রাগ ভর করলো।

‘শশীকে থাপ্পড় মারলে কেন ভাইয়া ‘। অংশ জবাব দিলো না পূর্ণ আবার ও বলল ‘আমার স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার কোন অধিকার নেই তোমার ‘।

ফালতু হাবা হাশমত মিনমিন করে বলে আমার বউকে মারা অধিকার নেই হুহ। তোর মত অকর্মা ভেড়াকে যে কেন বিয়ে করতে গেলাম। মন তো চাচ্ছে তোর গলা টিপে এখানেই মেরে ফেলি। তোর জায়গায় অংশ হলে তো এতক্ষণে তোর দু’টো দাঁতই ফেলে দিতো৷ রাগটা ও করতে জানে না এই ভেড়া। কি আশ্চর্য ব্যাপার এই পরিস্থিতিতে ও আমার মনে আসছে অংশ কি করতো কি করতে পারে৷তাকে আমি ঘৃণা করি জাস্ট ঘৃণা। মনের ভেতর রাগ, ক্ষোভ প্রতিশোধ দিনকে দিন বেড়েই চলছে অংশের উপর।

আজ ছুটির দিন বলে সবাই বাড়িতে। ফুপু আর ফিরে যান নি তবে মুখ ও বন্ধ রাখেন নি৷ কিছু না কিছু বলেই চলছে কখনো মৌশিকে কখনো রানু আন্টিকে৷ আমি সকালে সেই যে ঘরে এসেছি আর বের হইনি৷ সকালে পূর্ণ নাস্তা নিয়ে এসেছে খাই নি৷ দুপুরে ও খেতে ডেকেছে তখন ও খাই নি। সারাদিন চুপচাপ বিছানায় পড়ে ছিলাম। পূর্ণ অনেকবার এসেছে ঘরে কিন্তু খাওয়ার জন্য ডাকা ছাড়া সে আর কোন কথা বলেনি আমার সাথে৷ তবে আঁড়চোখে বহুবার আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো আমি টের পেয়েছি৷ সন্ধ্যার একটু আগে পূর্ণ কোন কাজে বাড়ির বাইরে গিয়েছে৷ মৌশি ও বিকেলে বাবার বাড়ি গিয়েছে। আজ হয়তো ফিরবে না। রানু আন্টি ফুপুর ঘরে আছেন মাগরিবের নামায পরে বসেছেন সেখানে৷ গল্প করছে ফুপু হয়তো অনেকটা সময় এভাবেই চলবে। আমি বিছানা ছেড়ে ওয়াশরুমে গেলাম পেটে খিদের চাপ টের পাচ্ছি । মুখহাত ধুয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়াতেই টুং করে একটা আওয়াজ হলো৷ আমার মেসেঞ্জারে একটা মেসেজ এসেছে। পূর্ণের দেওয়া মোবাইলটা দিয়ে মেসেঞ্জারে ঢুকেছিলাম কাল। ওয়াইফাই কানেক্টে করে দিয়েছিলো পূর্ণ । তাই মেসেজটা আসা মাত্রই পেয়ে গেলাম। হাত মুখ মুছে আলমারি থেকে একটা ড্রেস নিয়ে চেঞ্জ করে আসলাম আপাতত পেটের খিদে মেটানোর উপায় খুঁজতে হবে। পূর্ণ অবশ্য বলেছিলো ঘরেই বাক্স ভার্তি বিস্কিটের প্যাকেট আর ড্রাই কেক আছে। কিন্তু কোথায় সেটাই বলে নি। তাই মন দিয়ে সেটাই খুঁজে চলছি। ইতোমধ্যে আরো কয়েকটা মেসেজ আসার শব্দ পেলাম। সেদিকে পাত্তা না দিয়ে বিস্কিটের সন্ধান করছি। অবশেষে পেয়ে ও গেলাম খাটের নিচে। এই ক্যাবলাকান্ত বিস্কিটের বাক্স খাটের নিচে কেন লুকিয়ে রেখেছিলো? এতে কি কোন গুপ্তধন আছে নাকি? থাক ওসব পরে ভাবলে ও চলবে আগে দেখি কি কি আছে বলেই বাক্সের মুখ খুলতেই আমার খিদের মধ্যে বালি পরলো। হাহ্ এত্তো পরিশ্রম করছি এই লেক্সাস বিস্কিট খেতে? আমি কি ডায়াবেটিস এর রোগী! মেজাজ চরম পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হলো। বিস্কিটের বাক্সটা উঠিয়ে আছাড় মারতে যাবো তখনি মেসেঞ্জারে কল এলো। বাক্সটা বিছানার উপর রেখেই মোবাইল নিলাম। অংশ কল করছে আমায়? গত তিন মাসে ও নিজ থেকে আমায় একটা টেক্সট ও করে নি আর আজ কল? ধরবো না আমি। আমার গালে থাপ্পড় মেরেছে সে, আমি বেয়াদব বলেছে৷ অথচ কোন একদিন এই বেয়াদব মেয়েটার জন্যই সে রাতের পর রাত, দিনের পর দিন পাগলের মত ঘুরেছে কলেজ, ক্যাম্পাস এমনকি আমার বাড়ির গেইটের সামনে। দেওয়াল বেয়ে পিঠে ব্যাথা পেয়েছে কতোবার আমার সাথে দেখা করতে। শুধু আমারই জন্য৷ আজ সময়ের ব্যবধানে সেই মেয়েকে সে বেয়াদব বলে আখ্যা দেয়, থাপ্পড় ও মারে। কথা গুলো ভাবতেই আমার গাল বেয়ে তপ্ত অশ্রু গড়িয়ে পড়লো৷ কল পরপর কয়েকবার বাজার পর রিসিভ করলাম।

‘ছাঁদে আসো’। কেমন যেন ধরে আসা গলায় বলল অংশ। আমি চেষ্টা করেও পারলাম না মুখ থেকে কোন কথা বের করতে। চুপ করে আছি তাই অংশ আবার ও বলল,

‘প্লিজ শশী একটু আসো প্লিজ পাঁচটা মিনিটের জন্য হলেও আসো’।অংশের কন্ঠ বুকের ভেতর কোথাও একটা তীরের মত বিঁধলো। অংশ কি কাঁদছে!

ঘর থেকে বের হয়ে একবার ফুপুর ঘরের সামনে গেলাম। এখনও গল্প চলছে তাদের তাই সেখান থেকে বের হয়ে সদর দরজায় যেতেই দেখলাম দরজাটা খোলা। এ বাড়ির সিঁড়ি বাইরের দিকে তাই ঘরের মেইন ডোর দিয়েই ছাঁদে যেতে হয়। আমি আগে কখনও যাইনি কিন্তু এ বাড়ির পুরো ইন্সট্রাকশনই মোটামুটি জানা আমার। অংশ গত তিন বছরে তার বাড়ির প্রায় সব কিছু সম্পর্কেই কথা বলেছিলো তাই। আমি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেলাম। এক তলা বাড়িটির ছাঁদ একদম লম্বাটে৷ বাড়িটা অবশ্য লম্বাটে নয় এল সিস্টেম বাড়িটা অনেকটা স্কুলের মত কিন্তু এ বাড়ির ছাঁদ লম্বাটে কারণ এল এর বাঁকা অংশের ঘর গুলোর ছাঁদ পাকা নয়। সেখানে টিনের ছাঁদ৷ ওই টিনের ছাঁদের ঘরগুলো অবশ্য অব্যবহৃত থাকে । ছাঁদে উঠেই থমকে গেলাম আমি। রেলিং ঘেঁষে অংশ দাঁড়িয়ে আছে, আঙ্গুলের ফাঁকে আজ ও জ্বলন্ত সিগারেট তার । তার একটু সামনে একটা সাদা বাক্স অনেকটা বিরিয়ানি বক্সের মত৷ আমি এসেছি টের পেয়েই অংশ সিগারেটটা নিচে পায়ের কাছে ফেলে পা দিয়ে মাড়িয়ে দিলো৷

‘থ্যাংক ইউ শশী’ বলেই অংশ একটু এগিয়ে এলো এগিয়ে গেলাম আমিও। একদম মুখোমুখি আমরা। ছাঁদে আলাদা কোন বাতি নেই আকাশের চাঁদটা আজ আগের থেকেও ভরাট। আলো ও বেশ আজ কালকের থেকে বেশি৷ চাঁদের শুভ্র আলোয় সাদা টি শার্ট পড়া অংশকে আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি৷ খুব কাছ থেকে এতোটা স্পষ্টভাবে আজ ঠিক তিন মাস পর দেখছি আমি ওকে। তিন মাস আগে দেখেছিলাম এমন করেই। না না, এমন করে নয় এর চেয়ে ও গভীর ভাবে। তাকে আলিঙ্গন করে কেঁদেছিলাম সেদিন শুধু তাকে হারিয়ে ফেলেছি বলে। কতো আকুলি বিকুলি করে বলেছিলাম ‘ অংশ বলো তুমি যা বলছো সব মিথ্যে তুমি বিয়ে করোনি। কিন্তু নাহ, সেদিন অংশ আমাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে চলে এসেছিলো। আর আজ ও ঠিক ততোটাই কাছে পার্থক্য শুধু এইটুকু, আমি তার বুকে পড়ে আজ কাঁদতে পারবো না৷ আমার বিবেক বলছে আমার এখানে আসাই উচিত হয়নি। বেহায়া মন বলছে আজ ও আবার জড়িয়ে ধরতে তাকে নিজের সকল কান্না এই বুকেই বিসর্জন দিতে৷

‘শশী’ আবারও ডাকলো অংশ আমায় আমার হাতটা ধরে৷ আমি তার মুখের দিকে তাকিয়ে অবাক হচ্ছি তার ফর্সা চোখ মুখ রক্তরঙা হয়ে আছে যেন একটু স্পর্শ করলেই চামড়া ফেটে রক্ত গড়িয়ে পড়বে৷

‘আমার বুকে কষ্টের একটা নদী তৈরি হয়ে গেছে শশী। তুমি কি সেই নদীর একটা অংশ নিবে? আমি বড্ড অসহায় হয়ে পড়ছি দিন দিন একটু কি আমার কষ্টের নদীতে সাতার কাটবে ‘?

কি করুণ শোনালো অংশের গলা। ভালোবাসা এত বিষাদময় কেন? কোন কষ্টের নদী হয়েছে তার বুকে? সেই নদীর নামটা কি আমার নামে না কি মৌশির? ভাগ আমায় দিতে চাচ্ছে অংশ তবে কি সেই কষ্টের নদী আমার নামেই? মনে মনে কত কিছুই ভাবছি আমি অথচ আমার ভালোবাসার মানুষটা আমার দিকে তাকিয়ে আছে সহায় সম্বলহীন মানুষের মত। আচ্ছা অংশ কি আমায় বলবে ‘ শশী আমি পারবো না তোমায় ছেড়ে থাকতে। চলো আমরা আবার আগের মত হয়ে যাই’।

আজ ও রাতে পূর্ণ নিজের সব দরকারি জিনিস নিয়ে চলে গেল অন্যরুমে। প্রত্যেক দিন মনে কৌতুহল হয় ও অন্যরুমে কেন যায়। কিন্তু আজ আর হলো না বরং আজ খুব করে চাইছিলাম কখন সে চলে যাবে রুম ছেড়ে আমি দরজা বন্ধ করে দেবো। একা থাকতে চাই একদম একা। একা থাকলেই করা সম্ভব যা আমি চাই। পূর্ণ যেতেই দরজা বন্ধ করে আমার পার্সটা খুলে চেক করলাম। নাহ আমার দরকারি জিনিসটাই নেই এতে৷ আবার দরজা খুলে ড্রয়িংরুমে গিয়ে কর্ণার শো কেস থেকে ছোট্ট বক্সটা বের করে নিজের ঘরে নিয়ে এলাম।

চলবে

(ভুল-ত্রুটি গুলো ক্ষমা করবেন। আর গল্পটা কেমন লাগছে ছোট্ট করে মন্তব্য ও করে যাবেন। আপনাদের নাইস,নেক্সট কমেন্ট গুলো খুবই কষ্টদায়ক 😞)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here