প্রণয়ের ত্রিভুবন পর্ব ১০ ও শেষ পর্ব

#প্রণয়ের_ত্রিভুবন
#সুপ্তি_আনাম
পর্বঃ ১০ (অন্তিম)

বাসায় ওয়্যারড্রব এর সবখানে হাতড়িয়ে চলছে এহমার। তার ওয়ালেটটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সে তখন থেকেই খুজছে। চুড়ি যায় নি তো আবার? একবার ড্রয়ারটা খুলে পরখ করে নিচ্ছে। বলা যায় না থাকতেও পারে। নাহ নেই। ড্রয়ারটার ডানদিকে দৃশ্যমান হতেই লক্ষ্য করে কিছু একটা পড়ে আছে সেখানে। কৌতূহলবসত উঠিয়ে হাতে নেয় সেটা। এবার যা দেখলো তা দেখার জন্য কোনোভাবেই প্রস্তুত ছিলো না এহমার। এটাতো প্রেসন্যান্সির কিট! আরও অবাক করা বিষয় হলো, এখানে দুটো দাগ গভীরভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যার বিশুদ্ধ মানে প্রেগ্ন্যাসি পজিটিভ! দরদর করে ঘামতে শুরু করে এহমার। এটা কি শুভ্রিলার? কিন্তু তার সাথে তো এহমারের সেরকম কোনো সম্পর্ক হয়নি, তাহলে?
রগ চড়ে গেলো তার। চটপট সেটা নিয়ে ছুটে গেলো শুভ্রিলার কাছে। শুভ্রিলাকে দেখলো সোফাটায় খুব সাবধানভাবে বসে আছে। ম্যাগাজিনের পাতা উল্টোতে উল্টোতে কফির মগটায় চুমুক দিতে মগ্ন। জোরে হুংকার ছেড়ে দেয় এহমার।

–‘শুভ্রিলাআআআ……’
–‘এই মেয়ে তুমি প্রেগন্যান্ট কিভাবে হলে? ‘

এহমারের এমন গলা ফাটানো চিৎকার শুনে আৎকে ওঠে শুভ্রিলা। ওমনি একটু কফি ছাৎ করে টি-টেবিলে পড়ে যায়। এহমার সত্যিটা জেনে গিয়েছে শুনে একরাশ ভয় ঘিরে ফেলে তাকে। বিষম খেয়ে যায় সে্। এহমারের দিকে তাকাতেই দেখে থরথর করে কাঁপছে এহমার । ডান হাতে রয়েছে প্রেগন্যান্সির স্টিপটা । যেখানে স্পষ্টভাবে দুটি লাল দাগ দৃশ্যমান। তার এমন বিধ্বংসী রূপ দেখে আরো ভয় পেয়ে যায় শুভ্রিলা। মনে মনে ভাবে এ সময়ে রাগ করলে চলবে না, মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে । স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা চালায় শুভ্রিলা।

–‘আ__আসলে এহমার আমি তোমাকে আগেই জানাতে চেয়েছিলাম। পরে ভাবলাম সারপ্রাইজ দেবো…! ‘
কোনো রকম আড়ষ্টতার সাথে কথাগুলো বলে থেমে যায় শুভ্রিলা। মুখটায় মলিনতার ছাপ স্পষ্টরূপে বিদ্যমান। তার কথায় সর্বাঙ্গে যেনো কাঁটা ফুটে ওঠে এহমারের। বারংবার নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা ব্যর্থ করছে।

–‘লাইক সিরিয়াসলি শুভ্রু? তুমি কি বোঝাতে চাচ্ছো, তোমার গর্ভে থাকা সন্তানের বাবা আমি? ছিহঃ এতো সুন্দর করে দোষটা আমার চাপিয়ে দিতে বিন্দুমাত্র গলায় আটকালো না? ভালোবেসে বিয়ে আমাদের। তোমাকে নিজের প্রাণ মানি প্রাণ। আজ বিয়ের দু-দুটি বছর হয়ে যাচ্ছে তোমার সাথে সেরকম রিলেশান তো দূরের কথা টাচ্ও করিনি। তুমি বিয়ের পর বলতে তোমার স্পেস চাই, স্পেস চাই। আমি ভালোবেসে নিভৃতে তা দিয়েছি। তোমার উপর এখনো কোনো পুরুষত্বের অধিকার ফলাই নি। তবে তুমি? সত্যি শুভ্রু তোমার থেকে এতোটা জঘন্যরকম কিছু কোনোদিনই এসপেক্ট করিনি আমি!’

এহমারের চোখগুলো রক্তিম লাল বর্ণ ধারণ করেছে। মাথার নিউরনগুলোর চলাচল রীতিমতো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চোখের কার্নিশে পানি এসে জড়ো হয়ে গিয়েছে। আজ অব্দি কোনোদিনই এতোটা রেগে শুভ্রিলার সাথে কথা বলেনি সে। মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবেসে গিয়েছে৷ কিন্তু ফলস্বরূপ তাকে কি ধোঁকা পেতে হলো? ঘৃণায় গা টা ঘিনঘিন করে উঠে তার। আজ এসব এহমার নিতে পারছে না কেনো যেনো। তার বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছে এসব ব্যাপার। মূর্তির মতো দাড়িয়ে আছে শুভ্রিলা। কি বলবে বুঝতে পারছে না। ভেতরে জমে থাকা চাপা কষ্টগুলো আজ যেনো নিমিষেই মাথা চারা দিয়ে উঠছে।

ফট করে অন্য রুমে রুমে চলে যায় এহমার। শুভ্রিলার সামনে অন্তত কাঁদতে পারবে না সে। এহমার রুমে গেলে তার পিছুপিছু শুভ্রিলাও তাকে অনুসরণ করে। এহমার যেয়ে দরজা লাগাতে ধরলেই দরজাটা দুহাত দিয়ে ধরে রয় শুভ্রিলা। কাঁদছে শুভ্রিলাও! এক পর্যায়ে এহমারকে হালকা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে শুভ্রিলা। এহমারকে ধরে জোড়ে জোড়ে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে সেও! এহমার যেনো কিছুটা হতভম্ব বনে যায়। এবার এহমার খানিকটা শান্ত হয়। বুঝতে পারে, শুভ্রিলার সম্পর্কে কিছু না জেনেই চিল্লাচিল্লি করছে সে। নরম কন্ঠে বলে,

–‘দেখো শুভ্রিলা কিচ্ছু লুকোবে না, সব সত্যি সত্যি বলবে। আমি কিছু করবো না তোমাকে।খালি আমাকে সত্যিটা বলো’

এহমারের কথা শুনে যেনো আর জোড়ে কান্না পেয়ে যায় শুভ্রিলার। কথাগুলো বারংবার গলার মধ্যেই দলা পাকিয়ে যাচ্ছে। তাকে ছেড়ে উঠে যায় এহমার। কিছু বাদেই এক গ্লাস জল এনে তার হাতে ধরিয়ে দেয়। থমথমে গলায় শুভ্রিলার দিকে কঠোর দৃষ্টিরোপ করে বলে,

–‘এখন ন্যাকামি না করে চটপট পানি খেয়ে গলা ভিজিয়ে নাও দ্যান সব খুলে বলো ফাস্ট!’
এহমার যেনো কঠোর হুকুমজারি করে শুভ্রিলার উপর। শুভ্রিলা কিছুটা ভয় পেয়ে জল পান করে। অতঃপর কিছুক্ষণ স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক গলায় এহমারকে বলতে থাকে পুরো ঘটনা—

“ আমি তোমার সাথে এরকম করতে চাইনি এহমার। আমার কলেজ লাইফ থেকেই একটা ফ্রেন্ড ছিলো। নাম সাফওয়ান….

শুভ্রিলার মুখে অন্য ছেলের নাম শুনে দাঁত কটমট করে তাকায় এহমার। জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে বলে, ‘তারপর?’

“ সাফওয়ানের সাথে আমার অনেক ভালো সম্পর্ক ছিলো, একদম বেস্টফ্রেন্ডের মতো। ছেলেটা আমাকে কেয়ার করতো খুব। এরপর আমরা দু’জন আলাদা ভার্সিটিতে ভর্তি হই। ব্যাস আর কোনো যোগাযোগ ছিলো না আমাদের। তারপর তোমার সাথে এ্যাফেয়ার হলো, বিয়ে হলো। কিন্তু জানো বিয়ের পর হুট করে একদিন দেখি ফেইসবুকে ও আমাকে রিকুয়েষ্ট পাঠিয়েছে। আমিও খুশির ঠেলায় এক্সেপ্ট করে নিই। এরপর আমাদের কথা হতো। তুমি অফিসে থাকো সারাদিন। এদিকে বাড়িতে আমিও একা৷ আমি খুব লোনলি ফিল করতাম। বাট ওর সাথে কথা বললে, আমার মনটা অটোমেটিকলি ভালো হয়ে যেতো। তোমাকে জানাইনি, যদি তুমি রাগ করে তাকে ব্লক দিতে বলো! এরপর ও একদিন আমার বাসায় আসতে চাইলো। এখন আমি কি আপত্তি করতে পারি? ওই যে কিছুদিন আগে ও এসেছিলো, তোমার সেদিন মিটিং ছিলো বলেছিলে না? ওই দিন। আমি ওর জন্য অনেক পদের রান্নাও করি। ও খুলনা থেকে আসে বাসায়। দুপুরে ওর খাওয়া দাওয়া সেরে এখানেই ঘুমুনোর ব্যবস্থা করে দেই। এরপর ও ঘুমিয়েছে দেখে আমিও ঘুমাতে যাই। এরপর আর কি হয়েছে জানিনা! তবে, আমার মনে হয়েছিলো আমার ঘুমের ঘোরে ও আমার গায়ে ইঞ্জেকশন পুশ করে দেয়। যারফলে কিছুক্ষণের জন্য আমি সেন্সলেস হয়ে পড়ে রই। এরপরই……

কথা শেষ না করেই আবারও কান্না জুড়ে দেয় শুভ্রিলা। তাকে আরেকটু জল খাওয়িয়ে দিয়ে এহমার বলে, ‘তারপর?’

শুভ্রিলা আবারও কাঠকাঠ গলায় বলতে শুরু করে,

–‘আমি যখন সেন্স ফিরে পাই আমার পুরো শরীর কেমন ব্যাথা করছিলো। নড়ার সাহসটুকু ছিলো না আমার মাঝে। আমি দেখলাম তখনই আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুল ঠিক করছিলো সাফওয়ান।
আমাকে দেখে কেমন শক্ খেয়ে গেলো। আমি তখনও কিছু বুঝিনি। পরে সে যাওয়ার পর বুঝতে পারি আমার সাথে কিছু একটা হয়েছে!’

শেষের কথাটা ভাঙা ভাঙা কন্ঠে বলে শুভ্রিলা, আবার বলে,

–‘কিছুদিন পর আমার শরীর খুব একটা ভালো যাচ্ছিলো না, এরপর আমি একদিন বমি করি। সন্দেহ হয় আমার। তুৃমি যখন অফিসে যাও, তখন একজন গাইনির কাছে যাই। তিনি আমাকে প্র্যাগনেন্সি টেস্ট করাতে বলেন। এরপর আমি বাসায় এসে দেখি আমি কনসিভ্ করেছি! আমার মনে হলো যেনো আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। কলিজার পানি তৎক্ষনাৎ শুকিয়ে গেলো। দিশেহারা হয়ে ফোন দিলাম সাফওয়ানকে। কিন্তু সে আর ফোন ধরলো না। আমাকে টেক্সটে কি পাঠালো জানো? দিয়েছে, ‘আমি কাতারের একটা মেয়ের সাথে রিলেশানশিপে আছি!’ আর কিছু দিলো না! পাগলের মতো ফোন করলাম, ধরলো না। আমার মাথাটাও যেনো শূন্য হয়ে গেলো। কি করবো বুঝছিলাম না। এদিকে তোমার ভয়, তোমাকে বললে তুৃমি হয়তো রাগে ফেটে পড়বা! আর হ্যা, আমি বিয়ের পর স্পেস চেয়েছি। চেয়েছি আমি স্পেস। কারণ, আমি আরো সময় নিতে চাচ্ছিলাম! কিন্তু বলো এহমার, আমি কি এতো বড় দোষের শাস্তি এই বাচ্চাকে দেবো? আমি নিশ্চই একটা নিষ্পাপ বাচ্চাকে নষ্ট করে ফেলতে পারি না!

তলপেটে আলতো করে হাত রেখে কাঁদতে কাঁদতে বলে শুভ্রিলা। শুভ্রিলার কথা কর্ণধারে বাড়ি খেতেই স্তব্ধ প্রায় এহমার। যেনো ভাষাই হারিয়ে ফেলেছে সে!
–‘রাখবে না?’
কাঁপা কাঁপা কন্ঠে শুভ্রিলা এহমারকে জিজ্ঞেস করে ঘোর আগ্রহে চেয়ে থাকে তার পানে।

এবার মুখে বোল ফোটে এহমারের। নিদারুণ ভাবে বলতে থাকে,

–‘এতো কিছু হয়ে গেলো, তুমি আমাকে জানানোর জন্য একটুও আগ্রহ প্রকাশ করলে না? আর আমার পারমিশন ছাড়া, অন্য একটা পুরুষের সাথে তুমি দিব্যি আলাপ চালিয়ে গেলে? তবে, কেনো বিয়ে করলে আমাকে? ‘

থমথমে গলায় প্রশ্ন করে এহমার। ভেতরেটা দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে যেনো। তবে, আর কাঁদতে চাচ্ছে না যেনো। মুখটা কেমন ফ্যাকাশে বর্ণ ধারণ করেছে।

শুভ্রিলা শুধু একঘেয়ে কেঁদেই চলছে। একসময় কাদতেকাঁদতে কাঁদতে এসে এহমারকে জড়িয়ে ধরে বলে,

–‘সব দোষ আমার এহমার। তুমি এরজন্য আমাকে যা শাস্তি দিতে চাও তা আমি মেনে নিবো, আই সোয়েয়ার। বাট একটা রিকোয়েস্ট থাকবে…

কান্নার গলা আরও তীব্রতর হয় শুভ্রিলার। রক্তিম চোখে তার দিকে তাকায় এহমার। কাঠ হয়ে বলে,
‘ বলো! ‘

—‘আমি গর্ভের সন্তানটা নষ্ট করতে চাই না এহমার। সে নিষ্পাপ! আমি তাকে নিতে চাই এহমার নিতে চাই!’
আবারও কেঁদে গড়াগড়ি খেতে শুরু করে শুভ্রিলা। এহমার না চাইছে বুঝতে আর না পারছে বলতে!
.
.

শুভ্রিলা বেডের পাশে বসে অপেক্ষার প্রহর গুণছে। এহমার এ বিষয়ে সময় নিচ্ছে। তার মন মানছে না শুভ্রিলার গর্ভে অন্য কারো সন্তান। আবার সন্তানের কথা চিন্তা করে নষ্টও করা যাচ্ছে না। শুভ্রিলার দিকে চেয়ে নাও করতে পারছে না। তার দিকে তাকাতেই এহমারের পরিলক্ষিত হয় শুভ্রিলার মলিন-অস্থির চাহনি। এহমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও সম্মতিসূচক ভাবে মাথা দোলায়। শুভ্রিলার ম্লান মুখে পড়ে হাসির ছিটেফোঁটা। ফট করে বেডের পাশে এসে এহমারকে জড়িয়ে ধরে কান্না জুড়ে দেয়। এহমারেরও চোখের কার্নিশ বেয়ে দুফোটা অশ্রুজল গড়িয়ে পড়ে। এক সময় রাগেরা এসে হানা দেয় এহমারের মনে। রাগে গজগজ করতে করতে বলে,

–‘ওই সাফওয়ান যেখানেই থাকুক, ওকে আমি খুঁজে বেড় করবোই। ওর ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত আমি দম নিবো না। দরকার হলে ওর নামে আরো কয়েকটা কেস্ দিয়ে ওকে একদম ফাঁসিয়ে দিবো। আমিও দেখবে কিভাবে এহমারের কাছ থেকে সাফওয়ান পরিত্রাণ পায়!’

–‘আজ আমি বুঝে গিয়েছি এহমার তুমি শুধু ভালোবাসাময় নয়, একজন সুপুরুষও! আমি সত্যি তোমাকে পেয়ে ধন্য। তথাপি, আজ আমি তোমাকে ওয়াদা করছি ~ এরপর কোনো পরপুরুষের সাথে আমি যোগাযোগ রাখবো না। আমি সাফওয়ানের সাথেও রাখতাম না। যদি জানতাম ও ডাবল ফেইসের মানুষ! যাহোক পাস্ট কে তো আর বদলানো যাবে না। এখন ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আমি সিন্সিয়ার থাকবো। তোমার থেকে কিছু লুকোবো না।’
ফিচেল কন্ঠে কথাগুলো বলে দম ছাড়লো শুভ্রিলা। এহমার তাকে জড়িয়ে ধরে কানে কানে বলল,

–‘এটাও আমাদের বাচ্চা শুভ্রু। ভবিষ্যতে আমাদের আরও বাচ্চা হবে। সবাইকে একই স্নেহে লালন করবো। ঠিক আছে? ‘

এহমারের ফিসফিসালো কন্ঠ কর্ণকুহরে বাড়ি খেতেই তার প্রতি আবার নতুন করে ভালোবাসা ফিরে পায় শুভ্রিলা। গায়ের লোমগুলো দাড়িয়ে যায়। চোখে পানি টলমল করছে তার সাথে এহমারেরও। এহমারের সন্নিকটে যেয়ে কানের কাছে ঠোঁট আলতো করে লাগিয়ে অপপ্রতিভভাবে বলে,

–‘ঠিক আছে এহমু!’
‘এহমু’ নামটা শুনে একটু অবাক হয় এহমার। নামটা অদ্ভুদ তবে, হাজার হলেও তার প্রণয়িনীর দেওয়া নাম সুন্দর না হয়ে যাবে কই?

————- সমাপ্ত ❀

[ সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, এই কয়দিন সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। গল্পে আরো কিছু রহস্য দিতে চেয়েছিলাম তবে, সময়ের অভাবে আর লেখা পসিবল হচ্ছে না। তাই শর্টকাটেই অন্তিম টানলাম। আশাকরি আমার সমস্যাটি বুঝবেন। পরিশেষে আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে একটি মন্তব্য করে যাওয়ার। আর এর পরের গল্প আমার পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দেওয়া শুরু করবো। সবার জন্য অবিরাম ভালোবাসা। আসসালামু আলাইকুম 🤍]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here