প্রথম প্রেম পর্ব ২১+২২

#প্রথম_প্রেম
২১ তম পর্ব।

উর্মি তার কাজিনের সাথে হেঁটে হেঁটে ক্যাম্পাস ঘুরছে, এবং সে বলে রেখেছে, ক্যান্টিনের আশে পাশে কোথাও থাকে যেন শাওন।

শাওন ঘাসের মধ্যে বসে আছে, তার আজকে দেখা করার ও ইচ্ছে ছিল না, মিথ্যা কথা বলে, চুরি করে দেখা করা শাওনের একদম পছন্দ নয়। তাছাড়া উর্মি বলেছে শাওনের নাকি দেখা করার ব্যাপারে উদাসীন। কিন্তু উর্মি এটা জানেনা যে, তাকে এক পলক দেখার জন্য প্রখর রোদে সে কত লুকিয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছে। এখনো তার ইচ্ছে করে উর্মির পাশে বসে গল্প করতে, কিন্তু তার পরিবারে অশান্তি হবে, তাই সব সময় এড়িয়ে চলে, এটা কবে বুঝবে উর্মি!

শাওনের ফোনে ম্যাসেজ আসলো, উর্মির ম্যাসেজ

শাওন, প্লিজ আপুর সামনে আমি তোমাকে আবির ভাই বলবো, তুমি কিচ্ছু বলো না। আসল নাম বললে ঝামেলা হবে, আর তোমার পিছনে আছে, আস্তে আস্তে হেটে আসো। রাগ কর না প্লিজ।
উর্মি।

শাওনের ঠিক এই বিষয়েই আপত্তি। তবুও সে সব মেনে নেয়, কারণ তার মন শুধু উর্মিকে চায়, তাকেই ভালবাসে।

উর্মি তার সামনেই আসতেই উর্মি বললো আরে! আবীর ভাইয়া কেমন আছেন? এখানে কি? কত্ত বছর পর দেখা! কেমন আছেন?
– কোন টার উত্তর দিব?
– ওহ রিয়া আপু উনি হচ্ছেন আমাদের কোয়ার্টারের ভাইয়া, আংকেল রাজশাহী ট্রান্সফার হওয়ায় তারা কোয়ার্টার ছেড়ে দিয়েছিলেন। আর আবীর ভাইয়া ইনি আমার আপু, রিয়া আপু। এই ভার্সিটি তে মাস্টার্স পড়েন!
– ওহ।

আবীর ভাইয়া তো আর কি খবর কেমন চলছে দিন কাল? বলুন তো? আহা! ভালো লাগছে কত্ত দিন পর দেখা।
– হ্যা
– চলুন, আপনার এলাকায় এসেছি, ঘুরে ঘুরে দেখি।
– আগে, চলো কফি সপে বসি, আপু চলেন।

– উর্মি, আরেকদিন কফি সপে বসবো, আজ বাদ দেয়।
– না আপু, দেখা যখন হয়েছে, একটু গল্প করি
– বাদ দেয় না। দেরী হয়ে যাচ্ছে
– আরে, চলো তো!

শাওন কফি শপে ঢুকার পর, সে কফি অর্ডার করলো। তারা দুজন কোল্ড কফি খাবে, কিন্তু রিয়া হট কফি অর্ডার করেছে। এখানে সেল্ফ সার্ভিস, হট কফি আগে চলে আসায়, রিয়া কাউন্টারের দিকে কফি আনতে গেল।

উর্মি তখনই শাওনের হাত ধরে বলছে, কেমন আছ তুমি?
– ভালো আছি। তুমি?
– তুমি সামনে থাকলে, আমি খুব খুব ভালো থাকি। এখন চিঠি দাও। আর তোমার টা নাও।
– হ্যা, এই নাও। আর আমি কফি খেয়েই চলে যাবো।
– কেন?
– পরে ঝামেলা হবে, তাই বেশীক্ষণ থাকা ঠিক হবেনাহ!
– তুমি একদম রোমান্টিক না, আমি শুধু তোমাকে এক নজর দেখার জন্য রাজশাহী এসেছি, তুমি বুঝো?
– আমি হাজার বার এক কথাই বলবো শাওন তোমার হয়ে গিয়েছে। সুতরাং তোমারই থাকবে। অস্থির হওয়ার কিছু নাই।
– আর আমি?
– তুমি তো আমার, শুধুই আমার। ধীর হও বোকা মেয়ে।আর, রিয়া আপু চলে আসবে এখন!
– এতো ভয় পাও কেন?
– কারণ তোমার বাসায় অশান্তি হলে, তুমি কষ্ট পাবে!
– জানো, সাইয়ারার বিএফ কি করছে?
– কি?
– দুজন মিলে কক্সবাজার ডেটে চলে গিয়েছে।
– আমি বিয়ের পর বউ নিয়ে যাবো। আচ্ছা রিয়া আপু অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আছেন। আমি গিয়ে নিয়ে আসি।
– প্লিজ, আমি তোমার সাথে কথা বলার জন্য এসেছি।

ঠিক তখন রিয়া এসে বললেন, ওরা বললো আরো ৫ মিনিটে কোল্ডকফি দুটি হয়ে যাবে। তাই দাঁড়িয়ে এক সাথে নিয়ে এলাম।
– কেন আপু কষ্ট করলেন? আমাদের ডাকতেন।
– আরে, কি কষ্ট! কি যে বলেন!

শাওন কফি শপ থেকে বিদায় নিয়ে রিকশা উঠেছে, হাতে উর্মির দেওয়া চিঠি। শাওনের এই চিঠি পড়তে যে, কি আনন্দ লাগে!

প্রিয়,
শাওন জানো, ইদানীং প্রিয় এর পরে তোমার নাম লিখতে ইচ্ছে করেনা, ইচ্ছে করে লিখতে প্রিয় বর। আর ইতি তোমার বউ। কিন্তু তুমি রাগ করবে তাই লিখিনা। তুমি জানো, আমার এখন শুধু মনে হয়, কবে আমরা এক হবো? আমি কিন্তু বিয়ের পরের দিন তোমার সাথে নীল রঙের রাজশাহী সিল্ক পড়ে রিকশা দিয়ে পুরো শহর ঘুরবো! আর তুমি নীল রাজশাহী সিল্ক কিনে নিও কিন্তু! তোমার বউ কে তুমি একদম ভালবাসো না!
ইতি,
না, লিখবো না, কিচ্ছু।

শাওন এই চিঠি পরে হাসছে, কবে যে বুঝনে এই পাগলী মেয়েটা সে যে সারাক্ষণ তার কথা ভেবেই পার করে দেয়। রিকশা ওয়ালাকে শাওন বললো কাকা, এখানে ভালো রাজশাহী সিল্ক কোথায় পাওয়া যায় রংটা নীল হবে!
– নীল কালা জানিনা, তয় সামনেই মার্কেট। যাবেন?
– হ্যা যান।

রিয়া বাসায় ঢুকার আগে বললেন কিরে এতো পিচ্চিকালেই প্রেম নাকি? কবে থেকে চলছে?
– কি যে বলো আপু! কার সাথে প্রেম করবো?
– আবীর।।
– কি যে বলো! উনার সাথে প্রেম করবো কেন?
– তাহলে এতো কুটকুট করে কি কথা বলছিলি চুপিচুপি।
– আপু, উনারা অনেক দিন কোহার্টারে থেকেছেন। তাই অনেক পুরোনো কথা…
– আচ্ছা, শাক দিয়ে মাছ ডাকা লাগবেনা। যা, ফ্রেশ হয়ে আয়, যা!

উর্মি বেসিনের কল ছেড়ে মুখে পানি দিয়ে ভাবছে, রিয়া আপু কি সব বুঝেছেন? নাকি এমনি এসব বলছেন? তিনি কি আম্মুকে জানাবেন? কি হবে তখন? আম্ম যদি আবীর ভাইয়াকে কল দেন তখন! উর্মির চিন্তায় হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে……
#প্রথম_প্রেম
২২ তম পর্ব

রুনা খানম বার বার দরজা ধাক্কা দিচ্ছেন, আর বলছেন, এই উর্মি এতোক্ষণ ওয়াশ রুমে কি করছিস? জলদি বের হ!
– হ্যা, আম্মু।

উর্মির ভেতর কেঁপে উঠছে, নিশ্চয়ই আপু সব বলে দিয়েছেন! রুনা খানম আবার ডাকছেন, উর্মি?
– আম্মু, ১ মিনিট।

উর্মি দরজা খুলতেই, রুনা খানম মেয়েকে জড়িয়ে ধরে চুমু দিচ্ছেন, আর বলছেন আমার সোনা মনি! আমি আজ খুব খুশি খুব!

উর্মি বুঝতে পারছেনা, কি হয়েছে। আবার জিজ্ঞেস ও করতে পারছেনা ভয়ে। এটা কি বকা দেওয়ার আগের প্রিপারেশণ হয়তো।

উর্মির খালা বললেন এই রুনা আগে মেয়েকে সুখবর জানা, ও তো বুঝতেই পারছেনা।
– হ্যা, আমি খুশিতে ভুলেই গিয়েছি। উর্মি, তুই বুয়েটে চান্স পেয়েছিস!

উর্মির তখন কি অনুভূতি দেখাবে, বুঝতে পারছেনা। উর্মি মাকে জড়িয়ে ধরে হাসতে হাসতে কাঁদছে, এটা যে কি পরিমাণ আনন্দের খবর এটা কাউকে বুঝানো যাবেনা। এক মিনিট আগেও সে কল্পনা করতে পারেনি, এমন আনন্দের খবর তার আসবে।

উর্মির বাবা ফোন দিয়েছেন উর্মির ফোনে,
– আম্মু, আজ আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী বাবা, আমার মা, তুই কি চাস? বল?

উর্মির মনে হচ্ছে বলতে বাবা, আমি শাওন কে চাই। কিন্তু এটা এখন বললে সব আনন্দ নষ্ট হয়ে যাবে, থাক! উর্মি বললো বাবা, আমার কিছুই চাইনা! তুমি দোয়া কর। আর আজ নয় আরেকদিন চাইবো, তখন দিবে।
– অবশ্যই দিব। আমি ফ্লাইটের টিকেট কেটে এখনই রাজশাহী আসছি, তোদের নিয়ে ফ্লাইটে কক্সবাজার যাবো।
– বাবা, সত্যি?
– হ্যা, সত্যি।

উর্মি বাবার সাথে কথা বলেই শাওন কে কল দিল,
হ্যালো।
– আমি বুয়েটে চান্স পেয়েছি।
– সত্যি?
– জি, আপনার বউ বুয়েটিয়ান।
– কনগ্রেচুলেশন। খুব খুব খুশি হয়েছি। তোমার জন্য শাড়ি কিনতে এসেছি।
– নীল শাড়ি?
– হ্যা।
– বিয়ে কবে করবে?
– কেন?
– এটা বিয়ের দ্বিতীয় দিন পরার কথা!
– বউ তো হয়েছো সেই কবে, এখন শুধু ঘরে তুলবো।
– তাড়াতাড়ি জনাব। আমি অপেক্ষা করছি….আর মাকে জানাবে, ছোট আপুকেও।
– আচ্ছা।
– আর মায়ের নাম্বার দিও, আমি সালাম দিব।
– হুম।
– ঢাকায় যাবে কবে?
– ঢাকা নয় কক্সবাজার, বাবা আসছে, ফ্লাইটে কক্সবাজারে যাচ্ছি।
– বাহ, খুব ভালো।
– এখন রাখছি, আর তুমি যত্ন করে রাখবে আমার শাড়ি।
– আবারও অভিনন্দন, খুব খুশি হয়েছি।
– আমি জানি। আজকের দিন ও কি একবার ভালবাসি বলা যায়না। এস.এম.এস করলে লিখ, মুখে বলা যায়না?
– অবশ্যই যায়, আমি আমার উর্মিমালাকে, আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালবাসি।
– আমিও, রাখছি।

শাওন বিভিন্ন দোকান দেখছে, শাড়ী পছন্দ হচ্ছে, কিন্তু একবার পছন্দ হয়, তখন পকেট সায় দেয়না, আবার পকেট সায় দিলে পছন্দ হচ্ছেনা। কিন্তু শাওন তার উর্মির জন্য সবচেয়ে সুন্দর নীল শাড়ি কিনতে চায়।

খাবার টেবিলে বসে, রুবা বললো খালামনি, আবীর কে? তোমাদের কোয়ার্টারে,?
– তুই আবীর কে চিনিস কেমনে? অবশ্য চিনতে পারিস! কারণ ওরা কিছুদিন রাজশাহী ছিল।
– এখন?
– আবীর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স করেছে। গতবছর আইবিএ তে ভর্তি হয়েছে৷ এম.বি.এ করার জন্য।
– ওর পুরো ফ্যামিলি শিফট হয়েছে নাকি?
– হ্যা, ওর ছোট বোন কে ডেফোডিলে ভর্তি করিয়েছে। তাছাড়া ওর বাবার ও ট্রান্সফার হয়েছে।গতকাল ভাবীর সাথে কথা হয়েছে, ফুল ফ্যামিলি সাজেক গিয়েছে ঘুরতে। এখন তুই বল চিনিস কেমনে?
– এমনি, একবার দেখেছিলাম তোমার বাসায়।
– কি রে! আবীর কে পছন্দ? খুব ব্রিলিয়ান্ট ছেলে।
– তোমার মেয়ে কে বিয়ে দাও?
– ওর বিয়ের বয়স হয়েছে নাকি?রুবা, তোর খালু কল দিয়েছে, আমি কল রিসিভ করি।
– আচ্ছা, কথা বলো।

রুবা উর্মিকে নিয়ে ছাদে গেল। বললো উর্মি আজ তোর খুব খুশির দিন। তাই, খালাকে বলিনি কিছু! আচ্ছা এই ছেলের নাম কি?
– আবীর।
– মিথ্যা কেন বলছিস? তুই যার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিস, তাকে দেখে একবার ও মনে হয়নি, সে কোন বড় কর্মকর্তার ছেলে। তাকে দেখে নিতান্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত মনে হয়েছে। এখন বল, উনি কে?
– তুমি কেন ঝামেলা করছো? উনার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
– তাহলে হাত ধরেছিস কেন? আমি দেখেছি উর্মি।
– সব যখন দেখেছো, তবে তো বলতেই হবে, উনার নাম শাওন।আমি উনাকে ভালবাসি।
– কি করে?
– বেসরকারি চাকরি করে। বছর খানেক আগে, মাস্টার্স করেছে।
– তার পরিচয়?
– সে আব্বুর কলিগের ভাই।
– তুই উনার পিছনে পড়েছিস কেন? উনার বয়স কত? তোর সাথে যায়? দেখলেই তো ভালো লাগেনা। এখন তুই বুয়েটে যাবি, কত রাজপুত্র পাবি! এসব বাদ দিয়ে, নতুন যাত্রা শুরু কর। তুই এখন মোহে ডুবে আছিস।
– আপু চার বছরের সম্পর্ক মোহের জন্য হয়না।
– আরে, পড়েছিস তো সব গার্লস স্কুল আর কলেজে, তাই ছেলে দেখিস নি, কম্বাইন্ডে পড়বি, তখন দেখবি।
– আচ্ছা, দেখবো। এখন যাই,বাবা আসছেন।
– খালু ফ্লাইটে কক্সবাজার যাবে, তোদের নিয়ে। আর এই ছেলে বিয়ে করলে, লোকাল বাসে যাবি।

উর্মির মেজাজ এতো খারাপ লাগছে, উনি কেন এতো কথা বলছেন! আশ্চর্য মহিলা। অতিরিক্ত কথা বলে। উর্মি বললো আপু বাদ দাও, আমি নিচে যাচ্ছি।

উর্মির বাবা পরেরদিন সকালের ফ্লাইটের টিকেট কেটেছেন। রাতে এসে অনেক শপিং করে দিয়েছেন মা-মেয়েকে। উদয়ের ও বেশ কিছু শপিং হয়েছে। রাতে লাগেজ গুছিয়ে শুয়েছে সবাই। খুব খুশি আজ তোফায়েল সাহেব।

উর্মি সবাই ঘুমানোর পর, বারান্দায় গিয়ে শাওন কে কল দিল।
হ্যালো।
– জি ইঞ্জিনিয়ার ম্যাডাম। বলুন।
– কি যে বলো তুমি। মাকে জানিয়েছিলে?
– হ্যা। মা বলছেন বাবা আমার ইঞ্জিনিয়ার বউ তোমার হয়ে থাকবে তো?
– কেন থাকবেনা? আমি কি তোমাকে কম ভালবাসি? কেন এই কথা মনে হলো?
– এমনি বলছে, ভাবছে যদি তার ছেলে কষ্ট পায়। উর্মি যে তার ছেলের প্রাণ!
– আমি সব সময়ের জন্য তোমার।
– মন খারাপ নাকি?
– না।
– তাহলে এরকম করে কেন কথা বলছো?
– আরে, রুবা আপু ধরে ফেলেছে আমাদের বিষয়। যত্তসব উল্টাপাল্টা কথা।
– কি? আমি গরীব, হ্যান্ডসাম নই এসব?
– আরে! যে যাই বলুক, আমি তো জানি সব।
– বাদ দাও,কাল ফ্লাইট কখন?
– সকালে।
– বাপের ঘরে বিমানে যাতায়াত করে নাও। আমি কি পারবো আর বিমানে নিয়ে ঘুরতে! গরীবের বউ হবে।
– আমি কি বলেছি যে, আমাকে বিমান দিয়ে নিয়ে ঘুরতে হবে, এখন রাখ। আজ আর কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছেনা, আমার কাছে তুমি কি, সেটা বাইরের কেউ বুঝেনা, তুমিও বুঝলে না।

শাওন কিছু বলার আগেই উর্মি ফোন রেখেদিল। শাওন মনে মনে ভাবছে, এমন একটা খুশির দিনে রুবা আপু মেয়েটাকে কেন কষ্ট দিলেন। কিন্তু রুবা আপুর কথা গুলি তো সত্য! উর্মি বুয়েট পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার হবে, কত উজ্জ্বল ভবিষ্যত। তখন কি তাকে মেনে নিবে? যদিওতার বিসিএস না হয়, তখন! ভাবতেই গলা শুকিয়ে আসছে।

বুয়েটে গিয়ে কি উর্মি তাকে ভুলে যাবে! শাওন আবার ভাবছে, ধুর কি ভাবা হচ্ছে এসব। উর্মি সব সময়ই তার থাকবে শুধুই তার, তবুও খুব ভয় হয়….

চলবে…

আন্নামা চৌধুরী
০৬.০৯.২০২১
চলবে…

আন্নান্স চৌধুরী।
০১.০৯.২০২১

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here