প্রথম প্রেম পর্ব ২৩+২৪

#প্রথম_প্রেম
২৩ তম পর্ব।

উর্মি তিন দিন পরে আজ কক্সবাজার থেকে ঢাজায় এসেছে। খুবই আনন্দ হয়েছে এই তিন দিন। কিন্তু শরীর খুবই ক্লান্ত হয়ে আছে। মনে হচ্ছে টানা দুদিন ঘুমালে শরীর ঠিক লাগবে। নানু এসেছেন কিছুক্ষণ আগে, বিশাল বড় ফুলের তোড়া নিয়ে, তিনিও খুব খুশি।

উর্মির এখন শুয়ে শুয়ে শাওনের কথা ভাবতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু এই সময় সে খুব ব্যস্ত থাকে। শাওন কে দেখতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে!

উর্মি শাওন কে এস.এম.এস দিল, লিখলো,

আচ্ছা মিস্টার, কবে আমি আর তুমি দুজনে এক সাথে ডাইনিং টেবিলে বসে খাবো? কবে আমি তোমার টিফিন রেডি করে দিব? আর কবে ভর দুপুরে ফোন দিয়ে বলবো এই, লাঞ্চের খাবার কেমন হয়েছে বললে না? কবে সেই দিন? আমার খুব দেখতে ইচ্ছে করছে! প্লিজ তাড়াতাড়ি বিয়ে কর, প্লিজ!

উর্মি ম্যাসেজ শুধু সেন্ড করেছে, তখন শাওনের ভাবী মুন্নি এসেছেন। এসে বলছেন কি উর্মি কেমন আছ?
– জি ভালো আছি।
– অভিনন্দন তোমাকে!
– থ্যাংক ইউ।

মুন্নি আর উর্মির সাথে তেমন কোন কথা বললেন, না। তিনি রুনা খানম কে বললেন ভাবী আপনার ভাগ্যই ভালো, যেমন সুন্দরী মেয়ে, তেমন তার রেজাল্ট। আপনার উর্মির জন্য তো ছেলেরা লাইন দিবে!
– দোয়া করবেন, যেন মেয়েটা ভালো ভাবে পাশ করে।
– অবশ্যই। উর্মি আমাদের মেয়ের মতো।

উর্মি জানে, এই মহিলা ইচ্ছে করে, এসব কথা শুনিয়ে বলে। এটা তার অভ্যাস। উর্মি কানে হেড ফোন লাগিয়ে রেডিও শুনছে।

শাওন এর মধ্যে ফিরতি এস.এম.এস দিয়েছে

বউরানী,
আপনি তো আমারই বউ। আর কার? একটু ধৈর্য্য ধরেন। কাজ করছি, লাঞ্চ করে কল দিব।

উর্মি এস.এম.এস পরে হাসছে, কেন জানে শাওন বউ বললে খুব শিহরণ লাগে। যদিও মুখে তেমন বলেনা, কিন্তু এস.এম.এস দিলে মাঝে মাঝে বউ বলে।

সাইয়ারার বুয়েটে হয়নি, তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে। উর্মি ভর্তির কাজে ভার্সিটিতে এসেছে। তাই সাইয়ারা ও এসেছে সাথে, দুজনে টিএসসি তে বসে চা খাচ্ছে।
সাইয়ারা বললো আমাদের সাথে যে অনিক ছিল, তোর মনে আছে?
– কোচিং যে বার বার ফিরে ফিরে দেখতো, ওর তো আরেকটা নাম ও ছিল।
– সেটা মনে নেই।
– ওর ও বুয়েটে চান্স হয়েছে, জানিস মেডিকেলে ও শেষের দিকে হলেও চান্স হয়েছে।
– তাহলে, বেশ ব্রিলিয়ান্ট।
– সবুজ আমাকে কল দিয়ে বলছে, তোমার বান্দবী কি কিছু বুঝেনা? ওর জন্য যে অনিক পাগল?
– তুই বললি না, যে উর্মি বুকড, ও আরেকজনের বউ।
– বউ?
– হ্যা, আমি শাওনের বউ।
– হুম, শাওন ভাই তোকে জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসে, আজকাল কার অধিকাংশ ছেলেরা চ্যাটিং, ড্যাটিং আর টাইম পাসিং এর জন্য সম্পর্কে জড়ায়। আমি দুই জন কে পছন্দ করলাম, অথচ তারা সবাই আমার সাথে সময় পার করেছে মাত্র!
– বাদ দেয়, তোর সাজান অন দ্যা ওয়ে, এজন্য দেরী হচ্ছে।
– হতে পারে! ম্যাকানিকাল নিল কেন?
– না, আমার পছন্দ। আর্কিটেক্ট পাবো না, তাই এটাই নিলাম।
– এই সাবজেক্ট তো এখন শেষের দিকের সাবজেক্ট।
– থাক, আমার এটাই পছন্দ।
– আচ্ছা, চল, একটু রিকশা দিয়ে ঘুরি।
– চল।

উর্মির আজ ওরিয়েন্টেশন ক্লাস করেছে, ক্লাস শেষে উর্মি করিডরে দাঁড়িয়ে আছে, সব অপরিচিত লাগছে। কিছুদিন সময় লাগবে, হয়তো পরিচিত হতে।

তখনই অনিক এসে দাঁড়ালো, কেমন আছ উর্মি?
– হুম। ভালো, তুমি?
– ভালো আছি।
– কোন সাবজেক্ট এ ভর্তি হয়েছ?
– সেটা এমনি দেখতে পারবে, এখন আসি।

উর্মির এই ছেলের চাহুনি একদম ভালো লাগেনা, যেন সে উর্মির প্রতি আসক্ত, এমনি করে তাকায়। তবে, এই ছেলে নব্বইতম হয়েছে, প্রথম দিকের সাবজেক্টে থাকবে, এটা একটা শান্তি। মাঝে মাঝে ক্যাম্পাসে দেখা হবে, এটাই শুধু বিরক্ত লাগছে।

বাসায় ফিরতেই রুনা খানম মেয়েকে আমের জুস বানিয়ে দিয়ে পাশে বসলেন। কি রে প্রোগ্রাম কেমন হয়েছে?
– ভালো।
– আজ, মনে হচ্ছিল, তুই কত বড় হয়ে গিয়েছিস, একা একা ভার্সিটি তে চলে যাস!
– আম্মু, তুমি কি এখনো আমাকে নিয়ে যেতে চাও! কি আশ্চর্য!
– যেদিন মা হবি, সে দিন বুঝবি! কত চিন্তা হয়, ছেলে-মেয়ে বাইরে গেলে। শোন তোর রুবা আপুর বাসায় আজ দাওয়াত করেছে, ছেলের জন্মদিন।
– তুমি যাও প্লিজ! আমার ভালো লাগছেনা।
– তোকে কত আদর করে রুবা।
– আম্মু, আমি ওনার দেবরের বউ হতে চাইনা। আমি ডাক্তার পছন্দ করিনা। কখনো এই প্রসঙ্গে তুললে বলে দিবা।
– সচিব বাবার দুই ছেলে, রুবার মতো মেয়ে জা হবে সমস্যা কি?
– আই এম নট ইন্টারেস্টেড, এটাই সমস্যা। এখন আমি আসি, টায়ার্ড লাগছে।

তোর চয়েজ সব সময়ই আজেবাজে। ভালো কিছু তোর ভাল লাগেনা।

এরমধ্যে উর্মির ফোন বাজছে, প্রচন্ড মেজাজ খারাপ, ইচ্ছে হচ্ছেনা ফোন ধরতে, কিন্তু ফোন সাইয়ারার তাই ধরতে হলো।
হ্যালো।
– দোস্ত, ব্রেকিং নিউজ আছে।
– কি?
– অনিক তোর জন্য মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয়েছে।
– কেন? ছাগল নাকি? ও তো ইজিলি প্রথম দিকের সাবজেক্ট চয়েজ করতে পারতো।
– আশিক, দিওয়ানা।
– মানে?
– তোর জন্য, ভর্তি হয়েছে।
– মানে কি? আমি আর্কিটেক্ট পাবো না, সেজন্য আমি এটা পছন্দ করেছি।
– গাধা, ও তোকে পছন্দ করে, তাই মা-বাবার সাথে ঝগড়া করে ভর্তি হয়েছে।
– তোকে এতো খবর দেয় কে?
– সবুজ!
– সবুজ কি তোর প্রেমিক। তুই বলে দিবি, উর্মির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। যেন ভুলেও আমার দিকে না তাকায়।
– হুম
– আজকেই, শাওন কে বলছি ঢাকায় আসতে, আমি সবার সাথে আমার জামাইয়ের পরিচয় করিয়ে দিব।
– এখন, মাথা ঠান্ডা রাখ, আর শাওন ভাইকে বলিস না, বেচারা চিন্তা করবে!
– না, আমি ওকে বলবোই।

এখন ঘড়িতে সাড়ে তিন টা বাজে, শাওন এখন ব্যস্ত, কিন্তু এখনই কল দিয়ে আসতে বলতে ইচ্ছে করছে। অনিক, তুই কি জানিস, আমি আমার শাওন ছাড়া কাউকে নিয়ে ভাবিনা। উর্মি মোবাইল হাতে নিয়ে অপেক্ষা করছে, চারটায় শাওন ফ্রি হয় তখনই কল দিবে। উর্মি রুমের এই পাশ থেকে ওই পাশে হাঁটছে, আর ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছ, কখন চারটা বাজবে৷ সে চারটা বাজার অপেক্ষা করছে….
#প্রথম_প্রেম
২৪তম পর্ব।

উর্মি চারটা বাজার অপেক্ষা করছে, ঠিক তখন ফোন বেজে উঠলো। উর্মি তাকিয়ে দেখলো শাওনের ফোন।
উর্মি সাথে সাথেই রিসিভ করলো।
হ্যালো।
– রিং হওয়ার সাথে সাথেই রিসিভ। কেমন আছ?
– ভালো আছি। তুমি কাল ঢাকা আসো।
– কাল সোমবার, কাল কিভাবে আসবো? হঠাৎ।
– তুমি কি? আমি কে তোমার? তিন মাসে একবার দেখা নাই, সারাদিনে দশ মিনিট কথা হয়না। এটা কি ধরনের সম্পর্ক? আমাকে কি ভালো লাগেনা?
– হয়েছে কি আগে বলো? তোমার আমার সময় হলেই তো দুজন কথা বলি। আর এখন দুইজন দুই শহরে৷ দেখা করা এজন্য হয়না।
– তুমি জানো কি হয়েছে?
– বলো, জানতে চাই। কি হয়েছে?
– কোচিং যে ছেলেটা আমার দিকে তাকাতো, সে বুয়েটে ভর্তি হয়েছে।
– সমস্যা কি?
– সে নব্বইতম হয়েও, মেকানিকালে ভর্তি হয়েছে। কারণ আমি পড়ি তাই।
– এখানে আমি কোন সমস্যা দেখিনা, তুমি যদি কাউকে পাত্তা না দাও, তাহলেই হলো।
– তুমি কি বলতে চাও? আমি পাত্তা দেই।
– তা বলিনি, বলেছি দিওনা।
– তুমি কাল সকালে ঢাকা আসবা, আমি সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিব, এবং বলবো হি ইজ মাই বয় ফ্রেন্ড।
– আমি বুঝতে পারছিনা, তোমার কোন কথা। আর আজ ছুটি নিতে পারবো কিনা জানিনা।
– শাওন, যদি কাল না আসো। তাহলে, কি করবো জানিনা।
– তুমি এখনো অনেক পিচ্চি রয়ে গিয়েছ, পাগলামি কর কেন?
– আমার এখন আর কথা বলতে ইচ্ছে করছেনা, কাল সকালে ক্যাম্পাসে দেখা হবে। আমি অপেক্ষায় থাকবো।
– উর্মি!
– রাখলাম।

উর্মি ফোন কেটে ভাবছে, এই ভাবে ফোন রাখা ঠিক হয়নি। কিন্তু এভাবে রাগ না করলে শাওন আসবেনা। কারন, সে নতুন চাকরিতে ছুটি নিতেই ভয় পায়। ছেলেটার কথা শুনে শাওন এতো স্বাভাবিক কেমনে থাকে?

উর্মি ভাবছে, শাওন কাল আসবে তো!

শাওন, অফিসে বসে চিন্তা করছে কি করবে? এই পাগল মেয়ে এমন করে কেন? সে কি কখনো বুঝেনা, যে তার নতুন চাকরি।

বস ঠিক পাঁচ টায় বেড়িয়ে যাবেন। শাওন কি ছুটির কথা বলবে? তাছাড়া বাড়ীতে যাওয়া দরকার মা প্রতিদিন একবার করে বলেন। কিন্তু বাড়ীতে যেতে হলে সব মিলিয়ে তিন/চার দিনের ছুটি দরকার। ঢাকা গেলে অবশ্যই মাকে না দেখলে মাও কষ্ট পাবেন, তাছাড়া নিজের ও খুব কষ্ট হবে। এখন প্রেমিকার সাথে দেখা করার জন্য কি আর ছুটি চাওয়া যায়? কি বলবে এটা ভেবে ভেবে স্যারের রুমে গেল শাওন।

অনেক চিন্তা করে, শাওন বসের সামনে গিয়ে বললো স্যার, একটা কথা ছিল?
– বলেন?
– স্যার, আমার আর্জেন্ট ছুটি দরকার, জরুরি কাজ পরেছে।
– কি জরুরি কাজ?
– স্যার, আম্মা অসুস্থ।
– শাওন সাহেব, গত মাসে আমার মেয়েটা ক্লিনিকে ছিল, ছুটি চেয়েছিলাম, হেড অফিস থেকে ছুটি পাশ হতে হতে আমার মেয়েটা ভালো হয়ে বাসায় ফিরেছে। সব আপনার ভাবী করেছেন।
– স্যার,
– আমি মায়ের ব্যাপারে খুবই উদার, তবে আপনি অবশ্যই বুধবার অফিস করবেন।
– স্যার, বৃহস্পতিবার আসি?
– নো, বুধবারেই জয়েন করবেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বলবেন, পরে ফোন দিয়ে বলবেন, স্যার রবিবারে আসি।
– স্যার, বলবো না।
– আমার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। আপনি বুধবারে অফিসে থাকবেন, বেস্ট অব লাক। আমি যাচ্ছি, আমার একটা কাজ আছে।
– জি স্যার।
– আর হ্যা, আপনি এখনি বেড়িয়ে যান, সাতটার বাস ধরতে পারবেন।
– জি স্যার।

শাওন অফিস থেকে বেড়িয়ে, রুমে এসেছে, এসেই তাড়াহুড়ো করে ব্যাগ গুছিয়েছে। এখনো এক ঘন্টা বাকি আছে বাসের, আসার সময় টিকেট কেটে এসেছে। বাস কাউন্টার তার রুম থেকে তিন/চার মিনিটের দুরুত্বে!

শাওন গোসল করলো, প্লেট নিয়ে ডিম ভুনা কড়াইতে ছিল, তাড়াতাড়ি খেয়ে, রেডি হয়ে, আধশোয়া অবস্থায় শুয়ে থাকলো। তখনই উর্মির এস.এম.এস।

শাওন,
তুমি কাল আসবে, আমি সবাইকে বলেছি আমার বয়ফ্রেন্ড কে দেখাবো। নো কল, নো এস.এম.এস। কাল বুয়েট ক্যাম্পাসে দেখা হবে।

শাওন ভাবছে, এই মেয়ে কবে বড় হবে? সারাজীবন কি এভাবেই পাগল পাগল থাকবে? তার ভালবাসায় কোন খাদ নেই সত্য, কিন্তু এভাবেই অবুঝ রবে চিরকাল? তাছাড়া বয় ফ্রেন্ড শব্দ টা শাওনের একদন পছন্দ না। এই শব্দ টা অতি আধুনিক, এক মেয়ের একাধিক বয় ফ্রেন্ড থাকে। কিন্তু উর্মির জীবনে শাওন একজন, সে তার ভালবাসার মানুষ, বয় ফ্রেন্ড না!

শাওন বাসে বসেছে একদম শেষের দিকে, ক্লান্তিতে দুই চোখ বুজে আসছে। সারাদিনের অফিসের পর, এমন লম্বা জার্নিতে প্রচন্ড ঘুম আসে।

শাওন ঘুম ঘুম চোখে ভাবছে, তার উর্মি কি সারাজীবন তার থাকবে? কে এই ছেলে? যে উর্মির জন্য এমন করছে? উর্মি কি বদলে যাবে? মন বার বার বলছে না, উর্মি শুধু শাওনের। শুধু ভয় হয় বড় বেশি!

শাওন রাজীব কে কল দিল, কারণ বাস ঢাকায় যেতে যেতে রাত দেড়টা / দুইটা হয়ে যাবে। তখন রাজীবের বাসায় উঠতে হবে।

হ্যালো,
রাজিব? কোথায় তুই?.
– ডেটিং এ আসছি।
– তুই তে সারাজীবন ডেটিং মারলি।
– তোর মতো কি বাচ্চাদের সাথে প্রেম করবো নাকি?
– আরে, বেটা আমার উর্মি এখন বুয়েটে পড়ে।
– বন্ধু সাবধানে থাইকো, বুয়েট উঠে দেখবা তোরে ভুলেই গিয়েছে।
– না, কখনোই না। আমি দোস্ত ঢাকা আসছি। এখন বাসে।
– নেমে কল দিস, আমি নুমান ভাইয়ের বাইক দিয়ে নিতে আসবো।
– ওকে বন্ধু রাখি।

শাওন ফোন কাটতেই দেখে শিরিনের ফোন,
আসসালামু আলাইকুম আপু,
– ওয়ালাইকুম আসসালাম।এই, তুই উর্মির সাথে এমন করিস কেন?
– কি করছি?
– তুই নাকি দেখা করিস না, ঘুরাতে যাস না?
– আপা, শোন এই সব ন্যাকামি প্রেম আমি করিনা। আমি ওকে ভালবাসি, তাতে কোন সমস্যা নাই। তাছাড়া ওর আম্মু কত মাইর দিছে আগে। এজন্যই দেখা করিনি। আর এখন তুই বল, কত দূরে থাকি।
– বয়স কম, এজন্য আবেগ বেশি।
– তোমারে ফোন দিয়েছে নাকি?
– হ্যা। আচ্ছা ওকে আবার বকাবকি করিস না, বাচ্চা মেয়ে। তুই কোথায়?
– আমি ঢাকা আসছি আপা। বাড়ী ও যাবো।
– ওর সাথে দেখা করিস।
– হ্যা করবো।
– আচ্ছা, সাবধানে আসিস। পরে কথা বলি, এখন রাখছি।

শাওন ভাবছে এই পাগল কি করে? আপাকে এগুলি কেউ ফোন দিয়ে বলে?

উর্মির কিছুই ভালো লাগছেনা, শুধু বার বার মনে হচ্ছে শাওন আসবে তো? ফোন দিলেই বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে না করবে। অযুহাতে হয়তো যুক্তিসঙ্গত থাকবে, না তবুও তাকে আসতেই হবে। কারণ তার জীবনে শাওন ছাড়া কেউ নেই, এটা প্রথমেই সবার জেনে নেওয়াই ভালো।

শাওন আবার ভাবছে, উর্মি বোধহয় আপন ভেবেই আপাকে বলে দিয়েছে। মেয়েটার মন অনেক নরম।

শাওনের এতোক্ষণ ঘুম আসছিল, এখন শুধু আগামী কাল সকালের কথাই ভাবছে, কি করবে তার পাগল অবুঝ বউ টি। আবার এও ভাবছে উর্মি বউ হবে তো, হয়তো হবে। কত প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে শাওনের…
চলবে…

আন্নামা চৌধুরী
১৩.০৯.২০২১
চলবে…
আন্নামা চৌধুরী।
০৯.০৯.২০২১

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here