প্রাণহন্ত্রী পর্ব -০৮

#প্রানহন্ত্রী (৮)
কয়েক দিন পর ই দীপ্তির পরীক্ষা। আজকাল স্কুল থেকে প্রচন্ড চাপ দেওয়া হচ্ছে। সাধারন অজপাড়া গ্রাম কে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ই তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়া। দীপ্তি ও যেন পড়াশোনা কে আগলে ধরেছে। যদি ও কিছু দিনের জন্য ভেঙে পরেছিলো। তবে এখন মোটামুটি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করছে মেয়েটি। পড়াশোনা নিয়ে এতোটা ব্যস্ত সময় কখনো কাঁটে নি ওর। অবশ্য রুমানার এক দিকে বেশ সুবিধাই হয়েছে। পরীক্ষার কেন্দ্র এই এলাকাতেই। কুশলের সাথে পরামর্শ করা যাবে খুব সহজেই। খুব দ্রুত এগিয়ে আসছে জমিদারের মৃ/ত্যু দিন। পৈশাচিক হাসে রুমানা।

ব্যাগ গুছিয়ে স্কুলে যায় দীপ্তি। পুরো পড়া কমপ্লিট হয় নি এখনো। বই নিয়ে পড়তে পড়তে হেঁটে যায় দীপ্তি। এমনিতেই মাতব্বরের চাপে স্কুলে বেশ ভেজাল যাচ্ছে ওর। তাছাড়া স্কুলে কারো সাথে ভালো সম্পর্ক নেই। নেই বললে অবশ্য ভুল হবে দীপ্তি কে কেউ দেখতেই পারে না। এর দুটি কারন অধিক সুন্দরী ও পড়াশোনায় মেধাবী।

হঠাৎ কারো গাঁয়ের সাথে ধাক্কা লেগে পরে যায় দীপ্তি। তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বলে ” আশ্চর্য! ”

” দুঃখিত। ”

বই উঠিয়ে কণ্ঠধারী উক্ত মানবের দিকে নেত্রপল্লব মেলে তাকায় দীপ্তি। প্রেমিক পুরুষকে দেখতে পেয়ে চোখ যেন থমকে যায়। এই তো চিত্রের সেই পুরুষ। আদৌ কি এটা বাস্তব?

” হ্যালো। ”

হতচকিয়ে উঠে দীপ্তি। দুটো ঢোক গিলে সরু চোখে তাকায়। কুশলের থেকে যেন চোখ সরেই না। হেসে হাত বাড়িয়ে দেয় কুশল। বলে ” আমি কুশল। তুমি? ”

তৎক্ষনাৎ উত্তর করে না দীপ্তি। হঠাৎ করেই দীপ্তির হাত ধরে কুশল। আকাশে বিদ্যুত চমকানোর মতোই চমকে যায় দীপ্তি। কুশলের হাসি মাখা মুখের সাথে প্রগাঢ় দৃষ্টি তে লজ্জা পায় সে। মাথা নুইয়ে ফেলে। অবাক হয় কুশল। বলে ” তোমার নাম? ”

” দীপ্তি। ”

” ওয়াও। স্কুলে যাচ্ছিলে? ”

” হ্যাঁ। ”

দুষ্টু বুদ্ধি চাপে কুশলের মাথায়। কিছুটা এগিয়ে আসে দীপ্তির কাছে। দুই বিনুনি তে আচমকা টান মে’রে চলে যায়। প্রচন্ড অবাক হয়ে তাকায় দীপ্তি। একটু আগের ঘটনার সাথে কখোনোই পরিচিত নয় সে। কেন যেন রাগ হয়। প্রিয় পুরুষকে গা/লি দিতে ও ভুল হয় না ওর। তারপর ই এগিয়ে যায় নিজ পথে। মাঝ পথে এসে থমকে যায় দীপ্তির পা। হঠাৎ ই মনে হয় কুশল কি বাস্তব নাকি ভ্রম?

সমস্ত কিছু ফেলে ছুটে আসে দীপ্তি। কুশলের সাথে যেখানে দেখা হয়েছিলো ঠিক সেখানেই আসে। তবে কাউ কেই দেখতে পায় না। দু চোখ ঘুরপাক খায় বারংবার। মন থেকে চায় সে সুদর্শন পুরুষটি আবার তার সামনে আসুক। আর সে দু নয়নে দেখুক তার প্রেমিক পুরুষ কে। তবে সে ইচ্ছে যে পূরন হয় না। থমথমে মুখে এগিয়ে যায় দীপ্তি। প্রশ্ন একটাই কুশল নামের কেউ কি আছে নাকি নেই?

স্কুলের বেল পরে গেছে। সে জন্য কান ধরে দাঁড় করানো হয় দীপ্তিকে। এই প্রথম কান ধরতে হলো তাকে। তবে তাতে যেন কোনো রকম বিরক্ত নেই ওর মুখে। সে মত্ত তার প্রেমিক পুরুষকে নিয়ে। প্রিয় মানুষটি আদৌ কি এসেছিলো তার কাছে?
জমিদার মহল থেকে কি করেই বা আসবে ছেলেটা! উত্তর খুঁজে পায় না দীপ্তি। স্যারের বে/তাঘা/তে ধ্যান ফিরে মেয়েটার। ডান হাতের কব্জি তে হাত বুলাতে বুলাতে বলে ” জি স্যার। ”

” একেই তো লেট করে এসেছো। এখন এতো বার ডাকলাম কোনো উত্তর নেই। এটা কি রকম মশকড়া হচ্ছে। ”

” স্যরি স্যার। ”

” নেহাত ই তুমি নাম করা স্টুডেন্ট। না হলে তোমাকে আমার ক্লাসে এলাউ করতাম না। যাও সিটে গিয়ে বসো। ”

সম্মতি পেয়ে ছুটে যায় দীপ্তি। ক্লাসের অধিক সংখ্যক মেয়ে ওকে নিয়ে হাসাহাসি শুরু করেছে। সেসবে পাত্তা দেয় না ওহ। ক্লাস শেষে বেরিয়ে আসে। সন্ধ্যার পূর্বে বাড়ি যেতে হবে। ক্লাস শেষে ফের ক্লাস করা যেন বাঁচা ম/রা এক করে দিয়েছে।
.

দুখানা তলোয়ার নিয়ে হাজির হয়েছে কুশল। বেশ যত্নে তৈরি করেছে এসব। অবশ্য এটা তাঁর পিতার তৈরি তলোয়ার। তবে আফসোস একটাই, এই তলোয়ারের ব্যবহার ঘটে নি। নিজেকে রক্ষা করতে এই তলোয়ার কোনো রকম সাহায্য করে নি।
বরং দু/ষ্কৃতীর হাতে প্রান দিতে হয়েছে। পিতার প্রিয় তলোয়ারে হাত বুলায় কুশল। ধারালো অ/স্ত্র স্পর্শ করায় কুশলের হাতের কিছু অংশ কেঁ/টে যায়। অর্থাৎ র/ক্ত বের হয় না তবে উপরের অংশ কেঁ/টে যায়। একটু একটু জ্বালা অনুভব হয়। তবে সে জ্বালা এক যুগের জমিয়ে রাখা জ্বালার কাছে কিছুই নয়।

” খাবার টা খেয়ে নাও। ”

” খাইয়ে দাও মামুনি। ”

” আমার অনেক কাজ আছে বাবা। ”

” তাহলে পরে খাইয়ে দাও। ”

” অদ্ভুত তুমি। এখনো ছোট বেলার মতো করছো। আগের মতোই তেজী আর এক কথার মানুষ। ”

বিগলিত হাসে কুশল। রুমানার হাতে খাবার খায়। ছোট থেকেই অভ্যাস রুমানার হাতে খাবার খাওয়া। যদি ও এক যুগ ধরে সে অভ্যাস হয়ে গেছে পরিত্যক্ত। খাবার চিবুতে চিবুতে কুশল বলে ” তোমার মেয়েটা আসলেই ভীতু। ”

” কি করে বুঝলে?”

” আজ দেখা হয়েছিলো। তবে জানো সে আমার উপর কিছুটা রেগে ও গেছে। ”

” কেন? ”

” বিনুনি ধরে টান দিয়েছিলাম যে। ”

কুশলের কথায় হাসে রুমানা। খাবার খাওয়ানো শেষে বলে ” মেয়েটার পরীক্ষা শুরু হতে আর কয়েক দিন মাত্র। ”

” হুম। মাঝেই পূর্ণিমা। সেদিন ই আমরা কাজ খতম করবো। ”

” তুমি যা বলবে। ”

” তবে জানো তোমার মেয়েটা আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়েছিল। ”

” আরে তুমি আবার দীপ্তিকে নিয়ে পরলে যে। ”

” আসলে হয়েছে কি তোমার মেয়েকে দেখে ছোট খাটো হার্ট ব্রেক হয়ে গেছে। ”

তৎক্ষনাৎ বুঝতে পারে না রুমানা। যখন বুঝতে পারে ঠিক তখনি কানে ভেসে আসে দীপ্তির কণ্ঠ। লুকিয়ে পরে কুশল। কথার প্যাঁচে দীপ্তির আসার কথা ভুলেই গিয়েছিলো দুজনে। দীপ্তি বলে ” এমন দেখাচ্ছে কেন তোমায়। হাতে পানি ই বা কেন আম্মা? ”

” আসলে হয়েছে কি খাবার খাচ্ছিলাম। ”

” শরীর খারাপ হয়েছে তোমার? ”

” না না আমি ঠিক আছি। তুই হাত মুখ ধুয়ে বোস।”

রুমানার আচারণ সুবিধার নয়। কিছুটা পালিয়ে বাঁচার মতোই। ক্লাসের কথা মনে হতেই বইয়ের উপর ঝাঁপিয়ে পরে দীপ্তি। মনে মনে মনস্থির করে আজকের সমস্ত পড়া শেষ করেই উঠবে।

মিষ্টি এক শব্দ কানে আসতেই পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে। এতো সুন্দর মিষ্টি সুর কখনো শোনা হয় নি। গিটারের শব্দ যেন বুকে তীর গেঁথে দেওয়ার মতোই। সুরের উৎপত্তি খুঁজতে খুঁজতে বাগানে চলে আসে ওহ। বিশাল বাগান জুড়ে বড় বড় গাছ। সাথে রয়েছে জঙ্গলের এক বিশাল স্তর। পোঁকা মাঁকড় সব কিছু ভুলে ছুটে যায় দীপ্তি। তবে মূল উৎপত্তি খুঁজে পায় না। হঠাৎ করেই হ্যাঁচকা টানে দু পা পিছিয়ে যায় দীপ্তি। একদম কুশলের বুকে গিয়ে ঠেকে ওর পিঠ। ভয়ার্ত কন্ঠে বলে
” কে? ”

” আমি, কুশল। ”

” সুদর্শন পুরুষ আপনি। ”

মুখ দিয়ে অনাকাঙিক্ষত শব্দ উচ্চারন করে ফেলে মেয়েটা। কিছুটা নুইয়ে যায়। কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিস ফিস করে বলে ” সুদর্শন পুরুষ। বাহ বেশ ভালো তো , তোমার নাম কি দিবো বলো। ”

” আমি , না মানে। ”

তুঁতলে যায় দীপ্তি। মেয়েটার অস্বস্তি বেশ উপভোগ করছে ছেলেটা। দাঁত কামড়ে হাসে সে। দীপ্তির হাত ছেড়ে দিয়ে কিছুটা কাছে চলে আসে। ভারী নিঃশ্বাস বুকে এসে বিঁধে। ঝমঝম শব্দ কানে লাগে। ভ্রু কুঁচকে ফেলে দীপ্তি। হাসে কুশল। নিচু হয়ে দীপ্তির পা স্পর্শ করে। বজ্র বিস্ফোরিত হলে যেমন ঝটকা লাগে তদ্রুপ ঝটকা লাগে দীপ্তির। বিস্ময়ে নিয়ে বলে ” কি করছেন কি? ”

” হুসস কথা নয়। ”

পায়ে বেশ যত্ন নিয়ে পায়েল পরিয়ে দেয় কুশল। সাথে চুমু খায় দীপ্তির পায়ে। কুশলের উষ্ণ ঠোঁটের স্পর্শে লজ্জা পায় মেয়েটা। সব কেমন অদ্ভুত লাগে। এই অনুভূতি অপরিচিত , বড্ড অপরিচিত। বেমানান অনভূতির সাথে না পেরে উঠে চোখ বন্ধ করে নেয়। তৎক্ষনাৎ তাকে ফাঁকি দিয়ে ফের চলে যায় কুশল।
.

গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন দীপ্তি ও রুমানা। ঠিক তখনি কানে আসে কিছু মানুষের পায়ের শব্দ। সজাগ হয়ে যান রুমানা। মাথায় ঘোমটা টেনে দিয়ে হাতে লাঠি নিয়ে বের হোন। এই অসময়ে কুশল তো আসবে না। তাহলে কি কোনো দুর্বৃত্ত! কে সেই দুর্বৃত্ত, বুকের মধ্যে চাঁপা ভয় কাজ করে। আলমারি থেকে তলোয়ার বের করে সে। বহু দিন পর তলোয়ার স্পর্শ করেছেন তিনি। ধীর পায়ে দরজার কাছে এসে দাঁড়ায়। অনেক গুলো পায়ের শব্দ কানে আসে। সর্তক হোন তিনি। এক পলক দেখে দীপ্তি কে। এভাবে থাকলে দীপ্তির ঘুম ভেঙে যাবে। ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে বের হয় রুমানা। উঠানের পাশে এসে শব্দ করে। কয়েক জন লোক সে দিকে লক্ষ্য করে। সাথে সাথে অনেক গুলো টচ জ্বলে উঠে। রুমানার চোখে মুখে আতঙ্ক। নিজের জন্য নয় বরং মেয়ের জন্য। যখন পাশ থেকে জমিদার আনন্দ কে দেখতে পায় তৎক্ষনাৎ মাথা ফাঁকা হয়ে যায়। জমিদার আনন্দর এক মাত্র লক্ষ্য সে। তবু দীপ্তির জন্য ভয় হয়। এখানে থাকলে নিশ্চিত দীপ্তির ক্ষতি হয়ে যাবে। কুশল কে জানাতে হবে সফ। উঠান থেকে ছুটে বেরিয়ে যায় রুমানা। গ্রামের শেষ মাথাতেই কুশলের বর্তমান স্থল। সেই দিকেই ছুটেন রুমানা। যেমন ভাবে ছুটেছিল এক যুগ পূর্বে। তবে সেদিন নিজেকে রক্ষা করে নেয় রুমানা। আজ পারে না। কুশলের বাসার কাছে আসতেই ধরা পরে যায়। নুরি পাথর ছুঁড়ে মা/রে কুশলের বাসাতে। চেঁচিয়ে বলে ” আমার দীপ্তি কে আমানত হিসেবে দিলাম তোমায়। ওকে দেখে রেখো। ”

আর কথা বলতে পারে না রুমানা। তাঁর পূর্বেই বেঁধে ফেলা হয় ওনাকে। নিয়ে যাওয়া হয় নতুন রঙমহলে। পুরনো রঙ মহলটা পুরিয়ে দিয়েছেন রুমানা। দু চোখ ফেঁটে অশ্রু গড়ায়। বারো বছর আগের মতো আজ ও ভয় হয়। তবে নিজের জন্য নয় দীপ্তির জন্য। জমিদার আনন্দ পাঠান তাঁর হিং/স্র চাহনিতে দেখে রুমানা কে। গা গুলিয়ে আসে ওনার। আনন্দ বলে ” কোথায় যাবে মালিনী। এক যুগ এক যুগ ধরে এতো কাছে ছিলে তুমি। আর আমি তোমায় পুরো পৃথিবী খুঁজে বেরিয়েছি। ”

কথা বলতে পারে না রুমানা। কারন তাঁর মুখ বাঁধা। ইশারায় বাঁধন খুলে দিতে বলে। মুখের বাঁধন খুলে দিতেই এক দলা থু থু ছিটিয়ে দেয় রুমানা। আজ যেন সমস্ত ভ/য় কে হার মানিয়ে ছাড়বে। ক্রমশ হয়ে উঠেছে প্রা/ণহন্ত্রী। আনন্দের পৈশাচিক হাসি যেন পুরো রঙ মহল কে মোহিত করে। বলে ” তোমাকে পাওয়ার জন্য আমি পুরো পৃথিবীকে এলোমেলো করে দিবো রুমানা সুন্দরী। নামের পরিবর্তন ঘটিয়েছো তুমি। আমার রঙমহলের নতুন ও প্রথম সদস্য তুমি। ”

” তোর ইচ্ছে পূরন হবে না জা/নোয়ার। ”

তাচ্ছিল্য হাসে আনন্দ। ধীর পায়ে এগিয়ে আসে। মনে মনে দোয়া পাঠ করে রুমানা। চেঁচিয়ে বলে” সতী নারীর সম্মান কে রক্ষা করার জন্য করা আ/ত্মহ/ত্যা যদি হয় পাপ , তবে সেই পাপ আমি গ্রহন করলাম। ”

কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই নিজের গলায় ছুড়ি বসিয়ে দেয় রুমানা। চোখে মুখে অস্পষ্ট হাসি। নিজ সম্মান রক্ষার্থে বেছে নিলো আ/ত্মহ/ত্যা। যা নিজ চোখে দেখলো কুশল আর দীপ্তি। মাত্র এসেছে তাঁরা। কয়েক মুহুর্তের মধ্যে হারিয়ে গেলো রুমানা। দীপ্তি যেন নিজের মাঝে নেই। সে জ্ঞান হারায়। দীপ্তিকে কোলে তুলে নেয় কুশল। সিক্ত নয়নে চলে আসে বড় সড়কে। এখানে থাকা সম্ভব নয় আর। চিৎকার করে কুশল বলে” হে আল্লাহ কি পাপ ছিলো আমাদের। কেন আমার মামুনিকে বেছে নিতে হলো আ/ত্মহ/ত্যা। কেন শাস্তি দিতে পারলাম না নর/পশুটা কে। কেন পারলাম না একটু আগে পৌছাতে। ”

দীপ্তিকে নিয়ে রাস্তায় বসে পরে কুশল। চিৎকার করে কাঁদে। এক যুগ পূর্বে কুশলকে আমানত হিসেবে পেয়েছিলো রুমানা। আজ সেই রুমানা দীপ্তিকে আমানত হিসেবে দিয়ে গেল। অদ্ভুত লীলা খেলা চলছে। এ জীবন ব্যর্থ , নারীর সম্মান বাঁচানোর জন্য আ/ত্মহ/ত্যা গ্রহন করলো রুমানা।

আকাশের দিকে মুখ করে তাকায় কুশল। ক্রন্দনরত অবস্থায় চিৎকার করে বলে ” আ/ত্মহ/ত্যা যদি হয় পাপ , তবে এমন আ/ত্মহ/ত্যা হোক বহু বার। ”

চলবে….
কলমে ~ ফাতেমা তুজ

ছবি : সংগৃহীত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here