প্রেমাধিকার পর্ব ৯

#প্রেমাধিকার💝[ The_Egoistic_Love ]
#Written By: Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr [ Mêhèr ]
Part: 09…….

রাজ: ওকে….. সাদ…

সাদ: yes sir…

রাজ: আমি আরিয়ার বাবার সাথে দেখা করতে চাই।

সাদ: ওনাকে আসতে বলব।

রাজ: নাহহহ আমি নিজে যাব….

সাদ: ওকে…..
,
,
,
,

,
,
,
,

, রাজ আরিয়ার বাবার অফিসে যায়। রাজ আরিয়ার বাবার কেবিনে ঢুকে যায়।

আরিয়ার বাবা: আপনি…..

রাজ: আমি….

বাবা: বিখ্যাত বিজনেসম্যান রাজ আহমেদ।

রাজ: আপনি আমাকে চিনেন….

বাবা: আপনাকে কে না চিনে… তা আমার কাছে কি মনে করে। কোনো দরকার ছিল।

রাজ: হুমম…

বাবা: বলুন কি চাইছেন। আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

রাজ: তেমন কিছু না আমি আপনার মেয়ে আরিয়াকে বিয়ে করতে চাই…..

বাবা: What….. [ চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে ]

রাজ: yes…. আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করে নিজের ওয়াইফ বানাতে চাই। এখন আপনি কি বলেন। আপনার মেয়ে তাই আপনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলাম।

বাবা: দেখুন আমি আমার মেয়েকে প্রচন্ড ভালোবাসি। ওর চাওয়া পাওয়া জেদ আমি কখনো অপুর্ন রাখিনি….

রাজ: আপনার কি মনে হয় আপনার মেয়ে আমার কাছে কোন কিছুর অভাবে থাকবে। ওর চাওয়া আমি পুরন করতে পারব না।

বাবা: সে কথা নয়। আপনার সাথে বিয়ে হলে হয়ত আমার চেয়ে বেশি খুশি কেউ হবে না।

রাজ: তাহলে…

বাবা: আপনি আমার মেয়েকে ভালো করে চেনেন না। ও খুব জেদি যা বলে তাই করে। আমি আমার মেয়েকে বিয়ের জন্য জোর করতে পারিনা।

রাজ: আপনি কি ইশাদের কথা বলতে চাচ্ছেন…. যার সাথে আপনার মেয়ের সম্পর্ক আছে…..

বাবা: আপনি জানেন….. [ বেশ অবাক হয়ে ]

রাজ: জানি। আর সেটা কোনো ফ্যাক্ট না। এখন এসব কমন….

বাবা: আমি বিয়ে দিতে চাইলেও আরিয়া রাজি হবে না। আর আরিয়ার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে আমার পক্ষে কিছু করা পসিবল না।

রাজ: আপনার কিছু করতে হবে না। শুধু মাত্র আরিয়াকে বিয়ের কথা বলবেন বাকিটা আমি বুঝে নেব।

বাবা: ঠিক আছে।

রাজ: আর বাকিটা…… [ বাকা হেশে ] আজ তাহলে উঠি…..

বাবা: কিছু না খে……

রাজ: তার জন্য অনেক সময় আছে সেটা নাহয় অন্যকোনোদিন……

বাবা: ওকে……

তারপর রাজ সাদকে নিয়ে চলে যায়।

বাবা: এখন কি করব। রাজকে না করলে ও কাউকে ছাড়বে না। আর আরিয়ার উপর জোর করলে ও তো কেয়ামত বাধিয়ে দেব………
,
,
,
,
,
,

,
,
,
,
,
,
,
,
,

রাজের কাছ থেকে বেড়িয়ে ইশাদ পাড়ার একটা দোকানে গিয়ে বসে চা খেতে থাকে। আর রাজের বলা তখনকার কথা আর আরিয়ার বিহেভের কথা ভাবতে থাকে……

ইশাদ: আরিয়া আমার কাছ থেকে এসব কথা কেন লুকালো। রাজ এমন কি বা করল যাতে কাল আরিয়া এতটা ভয় পেয়ে গেছে। রাজ আহমেদকে যেভাবে ডেস্পারেট হতে দেখলাম তাতে ওনি বেশ সিরিয়াস। বড্ড ভুল হয়ে গেছে রাজের সাথে ডিল করতে রাজি হয়ে…… [ ইশাদ চা টা শেষ করে একটা লাঠি নিয়ে মাটির মধ্যে বাড়ি মারতে থাকে। ও নিজের উদ্দেগটাকে সামলাতে চাইছে…… ]

তখনি সামনে কাউকে দেখতে পায়….

ইশাদ: আরিয়া তুই এখানে…..

আরিয়া কথা না বলে ইশাদের হাত ধরে হাটা দেয়। তারপর ওকে গাড়িতে বসিয়ে একটা লেকের কাছে নিয়ে যায়। ইশাদ নিজের মত লাঠি ভাঙতে ব্যস্ত…….

আরিয়া: কি হয়েছে তোর সকাল থেকে ফোন করছি ধরছিস না কেন???

ইশাদ:…..

আরিয়া: কিরে কথা বলছিস না যে??? এখন কি আমার সাথে কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে??

ইশাদ: তুই নিজের কোন কথাটা আমাকে বলিস…..

আরিয়া: মানে…..

ইশাদ: মানে রাজ আহমেদ তোকে বিয়ে করতে চায় তুই কি আমাকে বলেছিস….

আরিয়া: তুই কিভাবে… [ ওর বুকে একটা মোচর মারে ইশাদের কথা শুনে ]

ইশাদ: রাজ আহমেদ নিজে আমাকে ডাকিয়েছিল। আর আমি ওনার মুখ থেকে এসব শুনেছি। কিন্তু তুই আমাকে এসব বলার প্রয়োজন মনে করিস নি।

আরিয়া:…….

ইশাদ: কেন বল??? নিজেকে তুই কি ভাবিস?? নাকি এটা ভাবিস ইশাদের কোন সামর্থ্য নেই তোকে রক্ষা করার৷

আরিয়া ইশাদকে জড়িয়ে ধরে।

আরিয়া: এইজন্য বলিনি আমার রাগ তুই সামলাস কিন্তু তোর রাগ আমি কিভাবে…..

ইশাদ: ছাড় আমাকে…..

আরিয়া: পারলে ছাড়া…. ( ভেংচি কেটে)

ইশাদ: যা না যা তোর ওই রাজকে বিয়ে কর। আমাকে কেন মারছিস….

আরিয়া: কি বললি???😡😡😡

ইশাদ: হুমম😇😇

আরিয়া: যেটা বলতে এসেছি সেটা শোন। আমি তোকে বিয়ে করব এই সপ্তাহে…..

ইশাদ: পাগল নাকি তোকে বিয়ে করে খাওয়াব কি???

আরিয়া রেগে ইশাদের শার্টের কলার ধরে….

আরিয়া: আমাকে দেখে কি তোর রাক্ষসী মনে হয় যে খাওয়াতে পারবি না। নাকি তুলে একটা আছাড় মারব।

ইশাদ: তোর মত জিরো ফিগারের মেয়ে আমাকে তুলে আছাড় দেবে। 🤣🤣🤣আরে আমার ওয়েটের অর্ধেক হয়ে দেখা।

আরিয়া: আমাকে বিয়ে করবি কিনা বল???

ইশাদ: বলছি তো খাওয়াব কি???

আরিয়া: আমাকে খাওয়াতে হবে না। আমি তোকে খাওয়াব।

ইশাদ: ছিহহহ সেটা খারাপ দেখায়। আমি রোজকার করেই তোকে খাওয়াব।

আরিয়া: তারমানে বিয়ে করবি না তাইত…

ইশাদ: 😎😎😎

আরিয়া: ঠিক আছে আমি তাহলে ওই রাজকেই বিয়ে করব। তুই বসে বসে রোজকার করার উপায় ভাব….. 😡😡😡

ইশাদ: [ এইরে বেশি হয়ে গেল ] আরিয়া…

আরিয়া: ছাড় আমাকে…. আমি ওই রাজ আহমেদকেই….

ইশাদ সজোরে আরিয়াকে টেনে নিজের কাছে এনে আরিয়ার কোমর জড়িয়ে ধরে…

ইশাদ: রাজকে বিয়ে করবি তাহলে আমার কি হবে….

আরিয়া: ওইযে রোজকার….

ইশাদ: তুই না থাকলে খাওয়াব কাকে….??

আরিয়া: একটা বিয়ে করে নিস।।। তারপর ওইটাকে খাওয়াস……

ইশাদ: সত্যি তো…..

আরিয়া: তোকেও খুন করব আর যাকে বিয়ে করবি তাকেও…..

ইশাদ: ওকে তাহলে আর কি??? আমার মরার শখ নেই….

আরিয়াকে ছেড়ে মাটিতে হাটু গুজে বসে পরে। তারপর একটা বেলি ফুল বের করে আরিয়াকে বলে….

ইশাদ: will you Mary me….বিয়ে করবি আমাকে….

আরিয়া বেলি ফুল দেখে অবাক হয়। কেউ বেলি দিয়ে প্রপোজ করে।

ইশাদ: সরি আসলে হাতের কাছে এটাই পেয়েছি তাই পার্কের গাছ থেকে ছিড়ে এনেছি। আর বাজেটের মধ্যে এটাই ছিল তো🙄🙄🙄

এইটা শুনে আরিয়া ফিক করে হেশে দেয়। কারন আরিয়া জানে ইচ্ছে করেই ইশাদ এটা করেছে কারন বেলি আরিয়ার ফেভারিট ফুল বেলি….

ইশাদ: কিরে বিয়ে বিয়ে কিরে লাফালাফি করেছিস এখন কি হলো….

আরিয়া ফুলটা হাতে নিয়ে বলল।

আরিয়া: যদি আমি না করে দেই……

ইশাদ: সেই কথা ভুল করেও ভাবিস না। তাহলে কিন্তু…..

আরিয়া: তাহলে….

ইশাদ: সন্নাসী হয়ে হিমালয় চলে যাব।

আরিয়া: আর যেতে হবে না।

ইশাদ গিয়ে আরিয়াকে জড়িয়ে ধরে….

ইশাদ: এমন কথা আর বলিস না।

আরিয়া: [ রাজ তোকে কিছু বললে এর শাস্তি ওনাকে পেতে হবে। ]

ইশাদ: আচ্ছা ঠিক আছে কোথায় যাবি।

আরিয়া: নাহহ বাসায় যাব…..

ইশাদ: চল তোকে এগিয়ে দিয়ে আসি….

আরিয়া: আমি নিজেই পারি পারব। [ বলে চলে আসে ]

,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
আরিয়া বাসায় ওর বাবার কাছে যায়। এতক্ষনে ওর বাবা চলে এসেছে।

আরিয়া: তোমার সাথে কিছু কথা ছিল….

বাবা: বলো।

আরিয়া: আমি……

বাবা: তোমাকেও আমার কিছু বলার আছে…..

আরিয়া: কিহহহ…

বাবা: তুমি নিশ্চয়ই রাজ আহমেদকে চেন।

আরিয়া: হুমম কিন্তু কেন?? আর ওনার কথাই বা আমাকে বলছ কেন???

বাবা: উনি তোমার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে….

আরিয়া: What……

বাবা: আমি তোমার উপর জোর করিনি আর করব না। কিন্তু আমি ইশাদকে তোমার জন্য মেনে নিব না আরিয়া।

আরিয়া: আপনি যদি মনে করেন এতকিছুর পর আমি ইশাদকে ছেড়ে দেব সেটা আপনার ভুল এমনটা হবে না।

বাবা: আরিয়া তুমি কিন্তু লিমিট ক্রস করছ..

আরিয়া: আমি ইশাদকেই বিয়ে করব তাও এই সপ্তাহের মধ্যে……

বাবা: আরিয়া….

আরিয়া: আর আপনি যদি রাজি না হন তাহলে নিজের মেয়ের লাশ দেখবেন। কারন আপনার মেয়ের প্রান যারা দান করেছে তাদের প্রান রক্ষা করাও আমার দায়িত্ব……

বাবা: আরিয়া তুমি….

আরিয়া: আপনি রাজি কিনা.।।।।😡😡

বাবা: আরিয়া…..

আরিয়া কোনো কথা না বলে একটা ছুড়ি নিয়ে নিজের রুমে ছুটে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। আরিয়ার বাবা আরিয়াকে খুব ভালো করেই চেনে। যা বলেছে তাই করবে….

বাবা: আরিয়া দরজা খোল….

আরিয়া: আপনি রাজি কিনা😡😡

বাবা: আরিয়া…..

আরিয়া: আপনি রাজি কিনা…. [ খুব জোরে চিল্লিয়ে ]

বাবা কোনো উপায় পায় না। তাই বাধ্য হয়েই বলে.।।।।

বাবা: তুই যা বলবি তাই হবে। এবার ত বেড়িয়ে আয়……

আরিয়া: সত্যি বলছেন….

বাবা: হুমম…..

আরিয়া দরজা খুলতেই ওর বাবা ওকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়।

বাবা: সন্তানের জন্য সব বাবা মাকে হার স্বীকার করতে হয় তুই যেদিন মা হবি সেদিন বুঝতে পারবি। তুই যদি ইশাদের কাছে ভালো থাকিস তাহলেই হবে৷।। ইশাদকে খবর দে…..

আরিয়া: [ ইশাদকে তো বলবই তার আগে আমার মি. রাজের সাথে কথা বলতে হবে। ওনাকে আমার বিয়ের দাওয়াত আমি নিজের হাতে দেব। ওনি আমার ইগোতে হার্ট করেছে এবার ওনি দেখবে আরিয়া কখনো কারো ধার ধারে না। সে যা চায় যেভাবে চায় সেটাই হয়…….. ]
,
,
,
,
,

,
,
,
,
,
,
,
,

,
,[ বাকিটা পরের পর্বে জানবেন ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here