প্রেমাসক্তি পর্ব ১৬

#প্রেমাসক্তি
#পর্ব__১৬
#অদ্রিতা_জান্নাত

★★★
তিন মাস পর

★★★
একটা নির্জন রাস্তা দিয়ে বাড়ির পথে হেঁটে যাচ্ছে ইশিতা ৷ চুপচাপ নিচের দিকে তাকিয়ে ধীরে ধীরে হাঁটছে ও ৷ আজ ওর এক্সামের শেষ দিন ছিল ৷ এক্সাম দিয়েই বাড়ি ফিরছে ৷ বাড়ি ফিরার কোনো ইচ্ছাই নেই ওর কিন্তু ফিরতে হবে ৷ গত তিন মাস আরমান চৌধুরি ওকে চোখে চোখে রেখেছে সবসময় ৷ আজ ইশিতা সময়ের আগে তাড়াতাড়ি করে পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে গেছে ৷ ওর বাড়ি থেকে এখনো গাড়ি আসে নি ৷ ও এটাই চেয়েছিল ৷ কিছু মূহুর্ত খোলা আকাশের নিচে একা কাটাবে বলে ৷

হঠাৎ করেই হাতের ফোনটা বেজে উঠলো ৷ কিছুটা চমকে উঠলাম আমি ৷ ফোনটা সামনে এনে দেখি ইশানের নাম্বার ৷ কিছুটা অবাকও হলাম ৷ গত তিন মাসে আমাদের একবারও দেখা হয় নি ৷ ফোনেও বেশি কথা হয় নি ৷ মাসে ১ বার কি ২ বার ৷ আমি ফোন করি না ওকে ৷ ইশানও করে না ৷ মাঝেমাঝে কল করলে ধরেও না ৷ ওর থেকে নিজেকে দূরে রেখেছি এই তিন মাস ৷ তবে সেই দূরত্বটা সুখের ছিল না ৷ প্রত্যেকটা দিন, রাত কীভাবে কেটেছে তা শুধু আমিই জানি ৷

তিন মাস আগের ফুপ্পির বলা কথা গুলো আমি সব ইশানকে বলেছি ৷ ওর সঙ্গে কথা বলতে এখন আমার বিবেকে বাঁধে ৷ কথা না বললেও কষ্ট হয় অনেক ৷ চোখের কোনের পানিটা মুছে মোবাইলটা গুটিয়ে নিয়ে হাঁটতে লাগলাম ৷ আবার বেজে উঠলো ফোনটা ৷ নিজেকে স্বাভাবিক করে ফোনটা রিসিভ করে বললাম,,,,, “হ্যালো!”

ওপাশ থেকে ভেসে এলো,,,,,,,

—- ইশিতা? এই বাড়িতে একবার আসবে প্লিজ?

গলাটা ইশানের মতো লাগলো না আমার কাছে ৷ তাই বললাম,,,,,,,,,

ইশিতা : কে আপনি? ইশান কোথায়?

—- আমি রোহান চিনতে পেরেছো?

ইশিতা : ওহ সরি বুঝতে পারি নি ৷ ইশান কোথায়?

—- ইশান অনেক অসুস্থ ৷ কারো কথা শুনছে না ৷ তোমার নাম বিড়বিড় করছে ৷ আসবে প্লিজ? একটু ওকে খাইয়ে দিয়েই চলে যাও ৷ না খেলে ওষুধ খাবে কি করে বলো?

ইশিতা : কি হয়েছে ইশানের?

—- জ্বর ৷ ইশিতা একটু এই বাড়িতে আসবে প্লিজ ৷

ইশিতা : সমস্যা নেই ভাইয়া ৷ আমি আসছি এখনি ৷ চিন্তা করবেন না ৷

—- আচ্ছা তাড়াতাড়ি এসো প্লিজ ৷

ইশিতা : হুম ৷

বলেই ফোনটা রেখে দিলাম ৷ সামনের দিকে তাকিয়ে বড় করে একটা শ্বাস নিলাম ৷ এতো দিন পর আবার ওই বাড়িতে যাবো আমি? ইশানকে দেখতে পাবো? এসব কথা ভাবলেই চোখ ভিজে আসছে ৷ একটু সামনে এগিয়ে একটা রিক্সা নিয়ে ইশানের বাড়ির উদ্দেশ্যে যেতে লাগলাম ৷ বাপি জানলে কি করবে আমি নিজেও জানি না ৷ তবে একটা আঁচও আমি আমার ইশানের উপর লাগতে দিব না ৷

কিছুক্ষন পর পৌঁছে গেলাম ৷ রিক্সার ভাড়া মিটিয়ে বাড়ির ভিতরের দিকে এগিয়ে গেলাম ৷ এই বাড়ির ভিতরে যেতে ইচ্ছা করছে না আমার ৷ ফুপ্পির বলা কথাগুলো মাথায় বাজছে বারবার ৷ কি করে যাবো ভিতরে আমি? জোরে একটা দম নিয়ে বাড়ির গেইট পেরিয়ে ভিতরের দিকে এগিয়ে গেলাম ৷ কলিংবেল বাজাতেই রোহান ভাইয়া এসে দরজা খুলে দিয়ে ভিতরে যেতে বললো আমায় ৷ আমি চারপাশে তাকিয়ে ভিতরে চলে গেলাম ৷ ইশানের বাবা সোফায় বসে পেপার পরছিলেন ৷ আমাকে দেখে রাগি সুরে বললেন,,,,,,,,,,

—- তুমি এই বাড়িতে কেন এসেছো?

আমি কিছু বলবো তার আগেই রোহান ভাইয়া বলতে লাগলেন,,,,,,,

—- আমি বলেছি ৷ ইশান অসুস্থ ৷ ওকে একটু দেখেই চলে যাবে ৷ পাপা প্লিজ না করো না ৷ ইশিতা উপরে ইশানের রুমে যাও তুমি ৷

আমি মাথা নাড়িয়ে উপরে চলে এলাম ৷ ইশানের রুমের দরজা হালকা ধাক্কা দিতেই খুলে গেল ৷ পুরো রুম অন্ধকার ৷ ভিতরে এগিয়ে গেলাম ৷ রুমের লাইট অন করে ইশানের দিকে তাকালাম ৷ এই তিন মাসে অনেকটা বদলে গেছে ও ৷ চোখ জোড়ার নিচে কালি পরে গেছে ৷ মুখের দাঁড়িগুলোও বেশ বড় হয়ে গেছে ৷ মাথার চুল পুরো এলোমেলো ৷ রুমের চারদিকে তাকিয়ে দেখি পুরো রুমটাও এলোমেলো ৷ জানালা দরজা সব বন্ধ ৷ আলো বাতাসের কোনো চিহ্নও নেই ৷ এগিয়ে গিয়ে রুমের সব জানালাগুলো এক এক করে খুলে দিলাম ৷ ঘুরে এসে ইশানের সাইডে বসলাম ৷ গায়ে হাত দিতেই দেখি গা অনেক গরম ৷ পাশে থেকে পানির বাটিতে কাপড় ভিজিয়ে ইশানের কপালে দিলাম ৷

কপালে ঠান্ডা স্পর্শ পেতেই ইশান চোখ মেলে তাকালো ৷ উপরে তাকাতেই ইশিতার মুখ দেখে ওর মুখে হাসি ফুটে উঠলো ৷ ইশানের কপালের উপর থেকে ইশিতার হাত নিয়ে ওর হাত ধরে বললো,,,,,,,

ইশান : ততুমি এসেছো? সত্যি?

ইশিতা অন্য দিকে তাকিয়ে কান্নাটা আটকানোর চেষ্টা করলো ৷ ইশান ইশিতার কোলে মাথা রেখে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো ৷ কেঁপে উঠলো ইশিতা ৷ একটু চোখ বন্ধ করে আবার খুলে বললো,,,,,,

ইশিতা : ছাড়ো ৷ কেউ এসে পরবে ৷ ঠিক মতো শোও ৷

ইশান মাথা নাড়িয়ে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো ইশিতাকে ৷ ওর পেটে মুখ গুজে বললো,,,,,,,,,

ইশান : চুল গুলো একটু টেনে দাও না প্লিজ ৷

ইশিতা : ইশান সরো তুমি ৷ জ্বর এসেছে তোমার ৷ এখন কেন এরকম করছো? ছাড়ো প্লিজ ৷

ইশান : না ৷ একটু চুপ করো তুমি আর যেটা বলছি সেটা করো ৷

ইশিতা ইশানের মাথায় হাত দিয়ে ওর চুল গুলো হালকা করে টেনে দিতে লাগলো ৷ আর ওর দিকে তাকিয়ে রইলো ৷ এভাবেই কেটে গেল ঘন্টা খানিকের মতো সময় ৷ ইশান এখনো একই ভাবে শুয়ে আছে ৷ ইশিতাও দেখছে ওকে ৷ হঠাৎ চোখ গেল ঘড়ির দিকে ৷ ০৪ টা বাজে এখন ৷ বাড়িতে হয়তো এখন সবাই জেনে গেছে ইশিতা ভার্সিটি নেই ৷ হয়তো সবাই মনে করছে পালিয়ে গেছে ৷ তবে সেটা তো সত্যি না ৷

ইশানের মাথা তুলে বালিশে ঠিক ভাবে শুইয়ে দিলো ৷ এই কয়দিনে শুকিয়ে গেছে ও ৷ তবুও ইশিতার কাছে ওকে মারাত্মক সুন্দর লাগছে ৷ গায়ের চাদরটা টেনে দিয়ে ইশানের কপালে গভীর ভাবে ঠোঁট ছোঁয়ালো ৷ হালকা একটু হেসে খাট থেকে নামতে গেলে ইশান ইশিতার হাত ধরে বিছানার সঙ্গে চেপে ধরলো ওকে ৷ ইশিতা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো ৷ জ্বরের ঘোরে এতোটা শক্তিও বা পেল কই? নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে বলতে লাগলো,,,,,,,,,

ইশিতা : ইশান হচ্ছে টা কি? ছাড়ো আমাকে ৷

ইশান : যেও না প্লিজ ৷ ওখান থেকে তো চলে এসেছো ৷ আর যেতে হবে না প্লিজ ৷ এই খানেই থাকো ৷ আমার কাছে থাকো প্লিজ ৷

ইশিতা : পাগলামো করো না ৷ তুমি তো জানো সব ৷ বাড়ি যেতে হবে আমাকে ৷ নাহলে আরো সমস্যা হবে ৷ ইশান ছাড়ো ৷

ইশান ইশিতার কথায় পাত্তা না দিয়ে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ওর গলায় মুখ গুজে দিল ৷ ইশিতা চোখ বন্ধ করে বললো,,,,,,,,,

ইশিতা : ইশান প্লিজ ছাড়ো ৷ ভালো লাগছে না আমার ৷ সরো তুমি ৷ ইশান…

ইশান : হুশশ.. বেশি কথা বলো তুমি ৷ একটু চুপ করে থাকো ৷

ইশিতা আর কিছু বললো না চুপ করে রইল ৷ বেশ কিছুক্ষন পর দরজায় নক পরলে ইশিতা জোর করে ওর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিল ৷ দরজা খুললে একটা মেয়ে ওকে একটা খাবারের প্লেট দিয়ে চলে গেল ৷ ইশিতা প্লেটটা হাতে নিয়ে ইশানের পাশে বসে বললো,,,,,,,,,

ইশিতা : খেয়ে ওষুধ খেয়ে নেও ৷ তারপর যেতে হবে আমাকে ৷

ইশান করুন চোখে তাকালো ইশিতার দিকে ৷ ইশিতা সেটা দেখেও না দেখার ভান করে রইলো ৷ ইশানকে বেডের সাথে হেলান দিয়ে বসিয়ে ভাত মেখে ওর মুখের সামনে ধরলো ৷ ইশান মুখ ফিরিয়ে নিল ৷ ইশিতা ইশানের মুখ ওর দিকে ঘুরিয়ে বললো,,,,,,,,,,

ইশিতা : খাও প্লিজ ৷

ইশান : তাহলে তুমি থাকবে এখানে?

ইশিতা : বাচ্চাদের মতো আবদার করো না ৷ এমনিতেই ভালো লাগছে না আমার ৷ সেখানে তুমি আর এরকম করো না প্লিজ ৷

ইশান অসহায় চোখে তাকিয়ে রইলো ৷ ইশিতা জোর করে ওর মুখে খাবার ঢুকিয়ে বললো,,,,,,,,,

ইশিতা : সবটা শেষ করবা ৷ নিজের কি অবস্থা করেছো দেখেছো? বেশি সাহস হয়ে গিয়েছে না? বলেছিলাম না? কোনো অসুখ বাঁধাবে না ৷ ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করবা ৷ নিজের খেয়াল রাখবা ৷ সেখানে এসব কি ইশান?

ইশান : তুমি আছো না? আমার খেয়াল রাখার জন্য?

ইশিতা : না নেই আমি ৷ সব সময় আমি তোমার পাশে থাকবো তেমন কোনো কথা নেই ৷ বিয়ে করলে তোমার বউ তোমার খেয়াল রাখবে ৷ তার আগে তোমাকেই তো নিজের খেয়াল রাখতে হবে ৷

ইশান ইশিতার হাত ধরে ওর কাছে টেনে এনে বললো,,,,,,,,

ইশান : সেই বউটা তো তুমিই ৷

ইশিতা ইশানকে সরিয়ে ওর মুখে খাবার তুলে দিয়ে আবার বললো,,,,,,,

ইশিতা : আজ আমার এক্সাম শেষ হলো ৷ বাপি হয়তো আর দেরি করবে না ৷ যা করার তাড়াতাড়ি করবে ৷

ইশান : কি করবে? (ভ্রু কুচকে)

ইশিতা : বিয়ের জন্য ছেলে দেখবে ৷

ইশান কিছু বলতে যাবে তার আগেই ইশিতা ওর মুখে খাবার ঢুকিয়ে বললো,,,,,,

ইশিতা : কোনো কথা বলবা না এই ব্যাপারে ৷ চুপচাপ খাবার শেষ করো ৷

খাবার খাইয়ে ইশানকে ওষুধ খাইয়ে দিলাম ৷ ওকে শুইয়ে দিয়ে ওর গাঁয়ে চাদরটা টেনে দিয়ে বললাম,,,,,,,

ইশিতা : এরকম আরেকবার করলে খবর আছে একদম ৷ নিজের খেয়াল রেখো ৷ যেতে হবে আমাকে ৷

এই বলে উঠতে গেলে ইশান অামার হাত ধরে বললো,,,,

ইশান : ইশুপাখি যেও না প্লিজ ৷

নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে টেবিল থেকে ব্যাগটা নিয়ে বললাম,,,,,,,,,

ইশিতা : ভাগ্যে থাকলে আবার আসবো ৷ এর বেশি থাকলে তোমার বাবা রেগে যাবে আমার উপর ৷ যেতে হবে আমাকে ৷

বলেই ইশিতা রুম থেকে বেরিয়ে গেল ৷ ইশান ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল ৷

______________________

বাড়ির গেইট পেরিয়ে বাড়ির ভিতরে গেলাম ৷ সামনে আগাতেই পেছন থেকে বাপি বলে উঠলো,,,,,,,,

—- কোথায় ছিলে?

আমি তার কথার উত্তর না দিয়ে সামনে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই বাপি আমার সামনে এসে বললো,,,,,,,

—- কথা কানে যাচ্ছে না? জিজ্ঞেস করেছি আমি তোমাকে ৷

ইশিতা : আপনাকে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নই আমি ৷ পালিয়ে যাওয়ার হলে অনেক আগেই যেতাম ৷ আজ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ফিরে আসতাম না আমি ৷ এতোটুকু বিশ্বাস তো করতেই পারেন ৷

—- কোথায় গিয়েছিলে?

ইশিতা : you don’t need to know that.

—- ইশিতা? অতিরিক্ত সাহস হয়েছে না তোমার?

ইশিতা : ইয়েস…কেনই বা হবে না? বলতে পারেন? আপনার সাহস থাকলে আমার কেন থাকতে পারবে না? আপনার মেয়ে আমি ৷ তাই একটু হলেও সাহস আছে আমার ৷ ভাববেন না আপনার মেয়ে দেখে গর্বিত আমি ৷ আসলে আমি লজ্জিত আপনার জন্য ৷ আই জাস্ট হেট ইউ ৷ নিজের স্বার্থের জন্য নিজের পরিবারকেও ছাড়েন নি আপনি ৷ আপনাকে নিজের বাবার পরিচয় দিতেও নিজের ইগো তে লাগে আমার ৷ ঘৃণা করি আমি আপনাকে ৷ ঘৃণা হয় আমার নিজের প্রতি ৷ শুধু মাত্র আপনার জন্য ৷

বলেই তাকে সামনে থেকে সরিয়ে উপরে চলে গেল ইশিতা ৷ ইশিতার বাবা ওর দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে রইলো ৷ এই তিন মাস ধরে ইশিতা ওর বাবাকে নানা ভাবে কথা শুনেয়েছে ৷ তবে হয়তো এতে তার কিছু যায় আসে না ৷ তিন মাস আগে থেকেই ও ওর বাবাকে নিজের বাবার জায়গা থেকে মুছে ফেলেছে ৷ এক বারও তাকে বাপি বলে ডাকে নি ৷ আপনি আপনি করে তার সাথে কথা বলেছে ৷

আমি ফ্রেশ হয়ে এসে বিছানায় বসলাম ৷ রাত ০৭ টা বাজে ৷ বেশ ক্লান্ত লাগছে নিজেকে ৷ বিছানায় শুতে যাবো তখনি দরজায় নক পরলো ৷ উঠে গিয়ে দরজা খুলে দিয়ে বললাম,,,,,,,,

ইশিতা : কি হয়েছে? একটু রেস্ট নিতে দিবা তো!

আম্মু রুমের ভিতরে এসে বললো,,,,,,,,,

—- শাড়িটা পরে নে এখন ৷

ইশিতা : আজব? আমার ভালো লাগছে না এখন ৷ পারবো না আমি ৷ যাও তো ৷

—- ইশিতা তোকে দেখতে এসেছে ৷

ইশিতা : কিইই??

—- হ্যাঁ তোর বাবা এটা এখন পরতে বলেছে ৷ নাহলে অশান্তি শুরু করবে জানিস তো ৷

ইশিতা : দেখতে এসেছে মানে কি? আজই তো শেষ হলো এক্সাম ৷ আর অাজই??

বলে ধপ করে বিছানায় বসে পরলাম ৷ চোখের পানিতে চারপাশটা ঝাপসা হয়ে আসছে ৷ আম্মু আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,,,,,,,,

—- বুঝতে পারছি আমি মা ৷ কিন্তু কিছু করার নেই ৷ হয়তো আগেই তোর বাবা ছেলে দেখে রেখেছিল ৷ এখন কিছু করিস না ৷ রেডি হয়ে নে ৷ দেখতে আসলেই তো আর বিয়ে হয়ে যায় না ৷ তাই না?””

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here