প্রেমের রঙ পর্ব -০৫

#প্রেমের_রঙ
#পর্ব_০৫
#মোহনা_হক

‘রাতের অন্ধকার পুরো চারদিকে ছেয়ে গিয়েছে। পদ্ম ক্রমশ কান্না করছে। ইজহান শত কথা বলার পরেও পদ্ম কাঁদছে। ইজহান পদ্মকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে বললো।’

“হয়েছে আমার পুরো শার্ট ভিজিয়ে দিয়েছো তুমি। এতো কান্না করার কি আছে? আমি তো বলেছি বলবো না।”

“ওনি যদি কখনো সত্যিটা জেনে যান, তখন কি হবে?”

“আমি না বললে কিভাবে জানবে হু? এখন যাও ঘুমাও অবশ্য যে কান্না করেছো ভালো ঘুম হবে।”

‘পদ্ম ভ্রু কুচকে বললো-‘
“কাঁদলে বুঝি ভালো ঘুম হয়?”

‘ইজহান পদ্মের নাকটা টেনে দিয়ে বললো-‘
“জ্বী ম্যাডাম।”

” আমি আগে জানতাম না!”

‘ইজহান চোখটা রাঙিয়ে হালকা ধমকের সুরে বললো-‘
“এখন তো জেনেছো, যাও ঘুমাও। বেশি কথা বলা পছন্দ করিনা।”

‘পদ্ম ভয়ে ঘুমাতে চলে গেলো। একটু ভালো ভাবে বললেও তো হয়। এভাবে ধমক না দিলেও পারতো। যখন রাত ১টা তখন ইজহান ঘুমাতে আসে। সে এতোক্ষণ বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলো। ইজহান অনেক রাত করেই ঘুমায় তার অভ্যাস এটা। পদ্ম ওদিক ফিরে ঘুমাচ্ছে। ইজহান পদ্মের পাশে দাঁড়িয়ে পদ্মের ঘুমন্ত মুখ দেখছিলো। ঘুমালে একদম অপ্সরাদের মতো লাগে। মুখটা লাল হয়ে আছে কেনো জানি। পদ্মকে দেখে সেও শুয়ে পড়লো। কাল থেকে আবার হসপিটালে যেতে হবে।’

‘সকাল ৬:৩০’
‘পদ্ম ঘুম থেকে উঠেছে। পাশে তাকিয়ে দেখলো ইজহান ঘুমিয়ে আছে। যদিও ইজহান বেডের ওই পাশে শুয়েছে। পদ্ম ইজহানকে দেখে মুচকি হাসলো।তারপর সে ফ্রেশ হতে চলে গেলো। ফ্রেশ হয়ে এসেও দেখে ইজহান এখনো ঘুমাচ্ছে। পদ্ম চলে গেলো রান্নাঘরে। কিছুক্ষণ বাদে মুনিরা শেখ আসলেন। পদ্ম তখন সবজি কেটে রেখেছিলো। তিনি এসে পদ্মকে সাহায্য করলো। যদিও পদ্ম রান্না করতে পারে। গ্রামে থাকাকালীন সেই ঘরের সব কাজ গুলো করতো। আর তার মা রান্না করতো,সে মায়ের পাশে বসে থাকতো সে থেকে শিখে গিয়েছে রান্নাবান্না। মুনিরা শেখ পদ্মকে রুটি বানাতে দিলো। পদ্ম ঠিক গোল করে রুটি বানিয়েছে। মুনিরা শেখ খুব খুশি হলেন।’

“পদ্ম তুমি তো খুব সুন্দর রুটি বানাতে পারো।”

‘পদ্ম হেসে উত্তর দিলো।’
“আমি প্রতিদিন মাকে রুটি বানিয়ে দিতাম।”

“আচ্ছা বুঝেছি। ইজহান উঠেছে?”

“না তখন দেখেছি ওনি ঘুমাচ্ছেন।”

“ওহ আচ্ছা।”

‘মুনিরা শেখ নিজেই রান্না করছেন আর পদ্ম দাঁড়িয়ে আছে। যদিও সে বলছিলো রান্না করার কথা কিন্তু মুনিরা শেখ বলেছেন তিনিই রান্না করবেন। তাই পদ্ম আর বেশি জোর করেনি।’

“কাল রাতে ইজহানের বাবা কল দিয়েছিলো বলেছে ইজনিয়া নাকি হোস্টেলে চলে যাবে আমাকে বাসায় যেতে,কিন্তু তোমাকে একা রেখে কিভাবে যাই বলোতো!”

‘মুনিরা শেখের কথা শুনে পদ্মের মনটা খারাপ হয়ে গেলো। মুনিরা শেখ চলে গেলে সে তো একা হয়ে যাবে।’

” মা আপনি চলে গেলো তো আমি একদম একা হয়ে যাবো।”

“হ্যাঁ সেটাই তো এইজন্যই আমি যেতে চাচ্ছিনা। আর ইজহানের বাবা তো বললো আমাকে কয়েকদিন থাকতে এখন কাল আবার কল দিয়ে বলে বাসায় যেতে।তিনি একবার এক কথা বলেন।”

“আমি কিভাবে একা থাকবো।”
‘মনমরা হয়ে কথাটি বললো পদ্ম’

“আমি ইজহানের সাথে কথা বলবো। দেখি ও কি বলে!”

‘ইজহান একেবারে হসপিটালে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে গেলো। রুম থেকে বের হয়ে দেখলো পদ্ম ডাইনিং এ একটা একটা করে খাবার এনে রাখছে। পদ্মের এসব কার্যকলাপ দেখে ইজহান মুচকি হাসলো। মেয়েটাকে গিন্নীদের মতো লাগছে। ইজহান সোফায় বসলো। তখনই শানায়া মেসেজ দিলো ইজহানের মেসেঞ্জারে। শানায়া মেসেজে লিখেছিলো ‘সে এখন ইজহানের বাসায় আসছে।’ মেসেজটা দেখে শানায়ার প্রতি রাগ হলো। কি দরকার এখন আসার? আবার বাসায় পদ্মও আছে। পদ্মকে এখন কোনোমতেই দেখানো যাবেনা। ইজহান রান্নাঘরে এসে মুনিরা শেখের কাছে গেলো। পদ্মকে দেখলো সে তার মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে আছে।’

” পদ্ম একটু রুমে যাও তো।”

‘পদ্ম মাথা তুলে ইজহানের দিকে তাকায়। ইজহানের কথামতো সে রুমে চলে যায় কোনো রকম প্রশ্ন ছাড়াই। পদ্ম চলে যাওয়ার পর ইজহান তার মাকে বললো-‘

“মা বাসায় শানায়া আসবে। আমি চাই শানায়া যেনো পদ্মকে না দেখে। আমরা হসপিটালের সবাই কিছুদিন পর গেট টুগেদার এ যাবো তখন পদ্মকে নিবো আমার সাথে। এখন কোনোমতেই পদ্মকে শানায়ার সামনে নেওয়া যাবেনা।”

‘ মুনিরা শেখ শানায়াকে চিনে। কারণ বহুবার শানায়া ইজহানের সাথে তাদের বাসায় এসেছে। মেয়েটাকে কখনো মুনিরা শেখের পছন্দ ছিলো না।’

“পদ্ম ওর সামনে গেলে কি হবে? আর পদ্ম কি দেখতে খারাপ নাকি যে একেবারে ওর সামনে নেওয়া যাবেনা?”

“তা বলিনি মা৷ এখন একটু ঝামেলা হবে দেখালে।”

“আচ্ছা বুঝেছি তো এখন কি করতে চাস?”

“পদ্মকে আমার রুমে রাখবো যতক্ষণ না পর্যন্ত শানায়া বাসায় থাকবে।”

“পদ্মকে কি বলবি?”

“কিছু একটা বুঝিয়ে বলতে পারবো সমস্যা নেই। তুমি একটু এদিকটা ম্যানেজ করলেই হবে।”

“আচ্ছা ঠিক আছে। আর ইজহান শুন তোর বাবা বললো আমাকে বাসায় যেতে ইজনিয়া হোস্টেলে চলে যাবে।”

‘ইজহান কথাটা বাদ দেওয়ার জন্য বললো-‘
“আপাতত এখন বাবাকে বলো এখানে এসে থাকতে। আমি কথা বলবো রাতে এসে। তুমি বাবাকে কল করে বলবা আজ এই বাসায় আসতে। দেখি কি করা যায়। এ বিষয়ে পরে কথা বলবো। আমি পদ্মের কাছে যাই একটু।”

“আচ্ছা।”

‘ইজহান রুমে আসলো। পদ্ম বেডে বসে তার পা দু’টোকে নাচাচ্ছে। পদ্ম বাহিরে তাকিয়ে আছে ইজহানকে খেয়াল করেনি। ইজহান পদ্মের সামনে এসে দাঁড়ালো আর পদ্ম তৎক্ষনাত তা পা দু’টোকে নাচানো বন্ধ করে দিলো।’

” পদ্ম বাসায় একজন গেস্ট আসবে তুমি ভুলেও এই রুমের বাহিরে পা রাখবে না। সে চলে যাওয়ার পর তুমি পুরো ফ্ল্যাট ঘুরতে থেকো। আমি কিছু বলবো না।”

‘পদ্ম মাথা নাড়ালো। অর্থাৎ সে বাহিরে যাবেনা। ইজহান হেসে পদ্মের মাথায় হাত দিয়ে চুলগুলো এলোমেলো করে দিলো। তারপর ইজহান রুম থেকে বের হয়ে আসলো। কিছুক্ষণ বাদে শানায়া আসলো ইজহানের বাসায়। মুনিরা শেখকে দেখে জড়িয়ে ধরলো। কখনো এটা করেনি সে আজ করেছে। মুনিরা শেখ বেশ অবাক হলেন সাথে ইজহান ও। ইজহান ভেবেই নিয়েছে মনেহয় হঠাৎ ভুতে ধরেছে শানায়াকে।’
‘শানায়া মুনিরা শেখকে ছেড়ে জিগ্যেস করলো-‘

” কেমন আছেন আন্টি?”

‘মুনিরা শেখ সৌজন্যবোধক হাসি দিয়ে বললেন-‘
” ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?”

“এইতো ভালো। আন্টি কি এখন এই বাসায়ই থাকেন নাকি?”

“না আমি এসেছি বেড়াতে বলতে গেলে। ইজহান তো বাসায় একা থাকে তাই মাঝে মাঝে বেড়িয়ে যাই আরকি।”

” আঙ্কেল আর ইজনিয়া আসেনি?”

” ইজহানের বাবা আসবে আজ। আর ইজনিয়া হোস্টেলে চলে গিয়েছে।”

‘শানায়া আরও অনেক কথা জিগ্যেস করলো। মুনিরা শেখ শানায়াকে বললো নাস্তা করার জন্য। শানায়া নাস্তা করে এসেছে তাও আবার বসছে ইজহানের সাথে নাস্তা করতে। খাওয়ার সময় শানায়া মুনিরা শেখের সাথে কথা বলেই চলেছিলো। ইজহান যে কি পরিমাণে বিরক্ত হয়েছে। মন চাচ্ছিলো বাসা থেকে বের করে দিতে। এতো বেশি কথা বলে কিভাবে মানুষ। ইজহানের খাবার শেষ কিন্তু শানায়ার খাবারও শেষ হয়নি কথাও শেষ হয়নি। ইজহান শানায়া কে বললো।’

” আপনি কি আজ হসপিটালে যাবেন না? এতো কথা না বলে তাড়াতাড়ি চলুন।”

‘ইজহানের কথা শুনে শানায়া লজ্জা পেলো।’
” চলুন।”

‘অতঃপর ইজহান আর শানায়া একসাথে চলে গেলো হসপিটালে। ওরা চলে যাওয়ার পর মুনিরা শেখ পদ্মকে নিয়ে নাস্তা করতে বসলেন।তিনিও খাননি পদ্মকে কে ছাড়া। পদ্ম মুনিরা শেখকে বললো-‘

“মা কে এসেছিলো?”

“ইজহান যে হসপিটালে চাকরি করে ওখানকার এক ডাক্তার এসেছিলো। ইজহানের কলিগ হয়।”

” ওহ আচ্ছা। মা ওনি কি মেয়ে ছিলো।”

” হ্যাঁ কেনো বলোতো?”

“না মানে আমি ওনার কন্ঠ শুনে বুঝেছি মেয়ে।”

” ওহ ইজহান বলেছে তোমাকে ওদের একটা গেট টুগেদার হবে তখন ওখানে নিয়ে যাবে আর সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে।”

‘ পদ্ম মাথা নাড়ালো। নাস্তা শেষ করার পর মুনিরা শেখ দুপুরের রান্না করতে গেলেন। পদ্মও তার পিছনে ছুটলো। মুনিরা শেখের এটা খুব ভালো লাগে। মেয়েটা একেবারে তার মেয়ের মতোই। ইজনিয়াও বাসায় আসলে মুনিরা শেখের পিছন পিছন থাকে। এখন পদ্মও সেরকম করছে।’

‘দুপুরে হুমায়ুন শেখ বাসায় আসলো। তিনজন একসাথে দুপুরের খাবারটা খেলেন। হুমায়ুন শেখ আর মুনিরা শেখ রেস্ট করছেন। পদ্মের ভালো লাগছেনা তাই পদ্ম রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে গেলো।’
‘বিকেলে পদ্মের ঘুম ভেঙেছে। ঘুম থেকে উঠে এখন তার ভালো লাগছে না একা একা। গ্রামে এই সময় পদ্ম আর পুষ্প দু’বোন মাঠে হাটতো। নদীর পাড়ে গিয়ে বসতো। পদ্মের কিছু বান্ধুবিও ছিলো। তারাও তাদের সাথে যোগ দিতো। পদ্ম বসে বসে সেসব কথা ভাবলো। ইশশ দিনগুলো কি সুন্দর ছিলো। ঢাকা শহরে সবকিছু রোবটের মতো লাগে তার। একা একা কি করবে পদ্ম তাই বসে বসে এসব ভাবছে। এক পর্যায়ে পদ্ম খুব বিরক্ত হয়ে গেলো বসে থাকতে থাকতে। তাই সে পুরো রুম পায়চারী করছে। হেঁটেও শান্তি লাগছেনা। কি যে অসহ্যকর পরিস্থিতি। এরকম করতে করতে মাগরিবের আজান দিয়ে দিলো। আজান দেওয়াতে পদ্ম খুব খুশি হয়ে গেলো। অবশেষে সন্ধ্যা হলো। পদ্ম তাড়াতাড়ি নামাজ পড়ে সোফায় বসেছে। কিছু সময় বাদে হুমায়ুন শেখ ও মুনিরা শেখ আসলো। তাদের দেখে তো পদ্ম আরও খুশি হয়ে গিয়েছে।সারা সন্ধ্যায় তারা তিনজন একসাথে আড্ডা দিলো। পদ্মের খুব ভালো লাগছিলো সময়টা।’

‘রাত ৯:২৬
‘ইজহান বাসায় আসলো। ইজহান ফ্রেশ হয়ে এসে পদ্মের পাশে বসেছিলো সোফায়। মাথাটা সোফায় হেলিয়ে দিলো। খুব ক্লান্ত লাগছে তার। মাথাটা একপাশে ঘুরিয়ে দেখে নিলো পদ্মকে। পদ্ম হুমায়ুন শেখের কথা শুনে হাসছে। হুমায়ুন শেখ ইজহানকে বললো-‘

“বলেছিলাম সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে বাবার সুএ ধরে খুব সহজে চাকরি পেয়ে যেতে। এখন সারাদিন কা’ম’লা খাটো।”

‘ইজহান সেই অবস্থায় থেকেই হুমায়ুন শেখকে উত্তর দিলো-‘
“কা’ম’লা খাটতে কোথায় দেখেছো? একজন মেডিক্যাল অফিসারকে তুমি এসব বলছো?”

‘হুমায়ুন শেখ ভ্রু কুচকে ইজহানের দিকে তাকিয়ে বললো-‘
“মেডিক্যাল অফিসার হয়েছো তো কি হয়েছে আমাদের মতো সেনাবাহিনীদের লোকদের কতো সম্মান তুমি জানো!”

“বাদ দাও কতো কিছু যে করেছো তুমি জীবনে সব চোখের সামনে দেখেছি। তুমি নাকি মাকে নিয়ে চলে যাবা?”

‘হুমায়ুন শেখ উত্তর দিলেন-‘
“হ্যাঁ ইজনিয়া হোস্টেলে চলে গিয়েছে আমি কি একা একা থাকবো নাকি?”

“তো আমার বউ কি একা একা থাকবে নাকি?”

‘ইজহানের কথা শুনে পদ্ম লজ্জা পেলো। কি বলছেন ওনি বাবার সামনে। এখানে তো বসে থাকা মুশকিল হয়ে যাবে মনেহচ্ছে।’

“পদ্মের জন্যই তো আমি তোমার মাকে নিতে পারছি না। ও তো একা একা থাকতে পারবেনা।”

“আমি ভেবেছি পদ্মের মা আর ওর বোনকে বলবো কিছুদিন থেকে যেতে। তারপর অভ্যাস হয়ে গেলে একাই থাকতে পারবে।”

‘হুমায়ুন শেখ আর মুনিরা শেখ সম্মতি জানালেন ইজহানের কথায়। ইজহানের কথা শুনে পদ্ম খুব খুশি হলো। তার মা আর বোন আসলে অন্তত তার আর একা একা লাগবে না।’
‘রাতের খাবার খেয়ে ইজহান পদ্ম রুমে আসলো। ইজহান বেডে বসলো। পদ্মও বসলো কিন্তু দূরে। পদ্ম ইজহানের উদ্দেশ্যে বললো-‘

“ধন্যবাদ আপনাকে।”

‘ইজহান ধন্যবাদের কারণ বুঝেনি। তাই পদ্মকে প্রশ্ন করলো-‘
“ধন্যবাদ কেনো?”

“ওইযে তখন বললেন আমার মা আর বোনকে আমার কাছে এসে থাকতে। এটার জন্যই।”

‘ইজহান মুখ কালো করে বললো-‘
“ওহ আচ্ছা।”

‘ইজহানের কথা শুনে পদ্ম সন্তুষ্ট নয়। ইজহান হটাৎ মুখ কালো করে ফেললো কেনো?’
“কি হয়েছে আপনার?”

“তুমি দূরে বসে ধন্যবাদ দিয়েছো আমি সেটা গ্রহণ করেনি।”

‘পদ্ম ঘাবড়ে গেলো। ইজহান তার ধন্যবাদ গ্রহণ করেনি মানে!’

‘ইজহান আবারও বললো-‘
“কাছে এসে আমার পাশে বসে ধন্যবাদ দিলে গ্রহণ করবো।”

‘পদ্ম তাই করলো।ইজহানের পাশে বসলো। ইজহান উঠে গিয়ে ড্রয়ার থেকে কিছু চকলেট আর একটা বেলী ফুলের মালা পদ্মের হাতে দিলো। পদ্ম যে অনেক খুশি হয়েছে সেটা তার মুখ দেখেই বোঝা গেলো। ইজহান পদ্মের হাতে বেলী ফুলের মালা পড়িয়ে দিলো। পদ্ম ইজহানের হাত ধরে বললো-‘

“আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।”

‘ইজহান হেসে দিলো। পদ্ম ইজহানের যে হাতটি ধরেছে,পদ্মের ওই হাতের উল্টো পিঠে তার ওষ্ঠ ছুঁইয়ে দিলো।’

#চলবে…

[আসসালামু আলাইকুম।কাল আমি বলেছিলাম পদ্ম আর ইজহানের মাঝে শানায়ার আগমন ঘটলে কেমন হবে। 100 এর মধ্যে 95% মানুষ চায় না শানায়ার আগমন। আমি তবুও ইজহান আর পদ্মের মাঝে শানায়াকে আনবো। না হবে ইজহানের সাথে পদ্মের ভুলবোঝাবুঝি না হবে কোনো ঝগড়া। তাদের দু’জনের ভালোবাসা দৃঢ় করার জন্যই শানায়াকে তাদের মাঝে আনবো। কেউ আমার সাথে রাগ করবেন না। আপনাদের হতাশ করবো না আমি কথা দিচ্ছি। আর পদ্ম যে একটু একটু করে সংসারী হয়ে উঠছে খেয়াল করেছেন আপনারা?আমার ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। শব্দসংখা ১৬৩৮]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here