প্রেমের রঙ পর্ব -২১

#প্রেমের_রঙ
#পর্ব_২১
#মোহনা_হক

“ভাবি তোমার শরীরে এসব কিসের দাগ?”

‘ইজনিয়ার কথা শুনে পদ্ম খুব লজ্জা পেলো। আজ ইনহানের জন্য তাকে এসব কারণে লজ্জা পেতে হচ্ছে। পদ্ম মাথা তুলে ইজনিয়ার দিকে তাকালো। ইজনিয়া দাঁত কতগুলো দেখিয়ে হাসছে। পদ্ম বুঝছে তার সাথে মজা নেওয়া হচ্ছে। তাই বলে একেবারে শ্বাশুড়ির সামনে? মুনিরা শেখ ও পদ্মকে দেখলো। তিনিও মিটিমিটি হাসছে। কি এক রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি। পদ্ম কি করবে বুঝছে না। আজই ইজহান কে বলতে হবে এমন যেনো আর কখনো না করে। তার এতো বেশিই ভালোবাসা পদ্মের প্রতি যে এখন সবার সামনে বেঘোরে লজ্জা পেতে হচ্ছে।’

“মা আমি হসপিটালে যাচ্ছি।”

‘ইজহান রেডি হয়ে হসপিটালে যাচ্ছে। ইজহান পদ্মের দিকে তাকালো। পদ্ম রাগ দেখিয়ে মুখটা ফিরিয়ে নিলো। ইজহান এটার মানে বুঝলো না আবার কি হয়েছে যে একেবারে তাকে দেখে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তবে ইজহান কিছুই বললো না।’

“আচ্ছা সাবধানে যাস বাবা।”

‘ইজহান মুচকি হেসে বেড়িয়ে গেলো হসপিটালের উদ্দেশ্যে। পদ্মকে কিছু বললো না যাওয়ার সময় এইজন্য সে শুকরিয়া আদায় করছে কারণ নাহলে ইজনিয়া আপু সবার সামনে তাকে লজ্জা দিবে। পদ্ম যতোই রাগ করুক তবুও ইজহানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।’

‘পদ্ম তার শ্বাশুড়ির সাথে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রান্না করছে। আর দু’জন মিলে একেবারে রান্নাঘর কে গল্পঘর বানিয়ে দিলো। এখন আর পদ্মের কোনো রকম অস্বস্থি, বা লজ্জা পাওয়া কিছু কাজ করে না। মুনিরা শেখ যে তার শ্বাশুড়ি সেটা পদ্ম মাঝে মাঝে ভুলে যায়। একদম তার মায়ের মতোই আদর করে।

‘পদ্ম সব কাজ শেষ করে রুমে এসেছে। গোসল করে আয়নার সামনে বসেছে। পদ্ম আয়নার সামনে বসে বসে নিজে নিজে হাসছে। কাল রাতে কি না হলো। স্মৃতিচারণ করতেই শিউরে উঠলো সে। ইজহানের বেহায়া রুপটা দেখে নিলো কাল। পদ্ম হেসেই যাচ্ছে থামাথামির কোনো নাম নেই। কেউ যদি হঠাৎ এসে দেখে তাহলে নিশ্চিত বলবে পদ্ম পাগল হয়ে গিয়েছে। এক সময় তার হাসিটা বন্ধ হয়ে গেলো।’

‘বিকেল ৪টা।’
‘পদ্মের আর মন চাচ্ছে না রুমে একা থাকতে। সেই যে খেয়ে এসে শুয়েছিলো। এখনো শুয়েই আছে। তার মূলত ঘুম আসছিলো না তাই শুয়ে শুয়ে ভবিষ্যৎ নিতে চিন্তা করতে থাকলো। আবার অতীতের কিছু কথাও স্মরণ করলো। এসব করতে করতে ৪টা বেজে গিয়েছে। এখন আর ভালো লাগছে না। তাই ইজনিয়ার রুমে গেলো। ইজনিয়া পায়ের উপর পা তুলে ফোন দেখছে।’

‘পদ্ম দরজায় টোকা দিলো। ইজনিয়া ঠিকঠাক হয়ে বসেছে। গলা উঁচু করে বললো ভিতরে আসতে। পদ্ম গুটিসুটি পায়ে ভিতরে ঢুকলো।’

“ওহ ভাবি তুমি এসেছো? আমি আরও ভাবলাম কে না কে এসেছে!”

“জ্বী আপু একা একা ভালো লাগছিলো না তাই এসেছি। তুমি কি কোনো কাজ করছো নাহলে চলে যাবো।”

‘ইজনিয়া সাথে সাথে উত্তর দিলো।’
“আরে না না বসো আমারও একা ভালো লাগছিলো না তাই ফোন দেখছিলাম। তুমি এসেছো ভালোই হয়েছে। এখন একটু বসে বসে গল্প করতে পারবো।”

‘পদ্ম হাসলো। ইজনিয়া আবারও বললো-‘

“তোমার সাথে তো এখন ভাইয়ার সম্পর্ক খুব ভালো তাই না?”

‘পদ্ম লজ্জা পেলো। মুখে কিছু বললো না।’

“তুমি না বললেও আমি বুঝেছি। কাল কি ভাইয়া খুব আদর করেছিলো?”

‘ইজনিয়া হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ। আর এইদিকে পদ্ম তব্দা খেয়ে বসে আছে। এসেছিলো গল্প করতে এখন দেখি লজ্জা দিচ্ছে। এখানে বসে থাকা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।’

“আপু তোমার এসব কথা শুনে আমার কান গরম হয়ে যাচ্ছে। আমি তো গল্প করতে এসেছিলাম। এখন দেখছি লজ্জা দিচ্ছো।”

‘ইজনিয়া পদ্মের চিবুক ধরে বললো-‘

“ওরে আমার ভাইয়ের লজ্জাবতী সখিনা।”

‘পদ্ম মাথাটা নিচু করে রইলো। ইজনিয়া আর এসব নিয়ে কোনো কথা বললো না কারণ তার ভাবির মুখ যে পরিমাণে ব্লাশ হচ্ছে। একটু পর তো লজ্জায় অজ্ঞান হয়ে যাবে। তখন তার ভাইয়ের দৌড়ানি খাওয়া লাগবে। পদ্ম আর ইজনিয়া একটা লম্বা সময় ধরে আলাপ জুড়ে দিলো। পদ্ম তো বরাবরের মতোই বেশি কথা বলা মানুষদের পছন্দ করে। আর ইজনিয়া হলে তো কোনো কথাই নেই। পদ্ম মাঝেমধ্যে বুঝতে পারে না এটা কি আসলেই তার শ্বশুড় বাড়ি কিনা? কারণ এই শ্বশুড় বাড়ি নিয়ে অনেক বাজে ধারণা তার ছিলো। তার ফুফাতো বোন কে তার শ্বশুড় বাড়ির মানুষগুলো খুব শারীরিক মানসিক ভাবে অত্যাচার করতো। শেষ পর্যন্ত ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে। সেই থেকে পদ্ম বিয়ে আর শ্বশুড় বাড়ি এ দুটো’ জিনিস কে ভয় পেতো। তবে শেখ পরিবার কে দেখে তার ধারণা পাল্টে গিয়েছে। তারা অমায়িক মনের মানুষ।’

‘ সে কখন মুনিরা শেখ পদ্মকে বললেন ইজহান এসেছে সে জেনো রুমে যায়। কিন্তু পদ্ম যায়নি বসে বসে এখনো কথা বলছে। ইজহান তার মায়ের থেকে শুনেছিল পদ্ম ইজনিয়ার রুমে। পদ্ম জানে ইজহান এসেছে তাও রুমে আসছে না। এখন আর বরের জন্য মায়া মমতা কিছু নেই। ইজহান একা বসে দুঃখ প্রকাশ করছে। তার কপালে জুটেছে একটা।’

“পদ্ম রুমে আসো।”

‘ব্যস পদ্মের কথা বন্ধ হয়ে গেলো। পিছন ফিরে দেখে ইজহান দরজার সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর ইজনিয়া সে তো দাঁত কতগুলো দেখিয়ে হাসছে।’

“আসছো না কেনো? আর কতোবার বলতে হবে তোমায়?”

‘পদ্ম মৃদু কেঁপে উঠলো ইজহানের ধমকে। ইজনিয়া ইশারা করলো যাওয়া জন্য। পদ্ম উঠে ইজহানের কাছে গেলো। ইজহান পদ্মের হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে গেলো। মেয়েটির উপর যতই রাগ থাকুক না কেনো তার মায়াবী চেহারা দেখলে সব রাগ চলে যায়।’

“শুনো পদ্ম এতো রাগ করা ভালো নয়। আর স্বামীর সাথে রাগ করা তো আরও ভালো নয়। গুনাহ হয় বুঝেছো। আমি বুঝি না সারাদিন তোমার এতো রাগ কোথায় থেকে আসে? আমি তো কোনো দোষ করিনি কেনো রাগ দেখাচ্ছো বলো তো? একটুও দাম দাও না আমাকে তুমি।”

‘ইজহান পদ্মকে শুইয়ে দিলো। অতঃপর পদ্মের বক্ষে মাথা রাখলো। ইজহানের মনে হলো একটু মানসিক শান্তির প্রয়োজন। তাই কাজটা করলো। আর পদ্ম সে অবাক হয়ে শুয়ে আছে। কিছু বলতে যাবে তখনই ইজহান পদ্মের মুখে হাত দিলো।’

“কথা বলো না। আমার একটু শান্তি প্রয়োজন। আমি শুয়ে থাকি। আর সমস্যা হলে বলো আমি সরে যাবো।”

‘পদ্ম আর কিছু বলতে পারলো না। চুপচাপ শুয়ে রইলো। ইজহান কে আর কিছু বলতে মন চাইলো না। কিভাবে নরম কন্ঠে বললো-‘ আমার একটু শান্তি প্রয়োজন’। পদ্ম চুপচাপ ইজহানের চুলগুলো তে বিলি কেটে দিচ্ছে।’

(*)

‘সময় চলমান। জীবনের একটা জিনিস কখনো ধরে রাখা যায় না সেটা হচ্ছে সময়। সে তো নিজ গতিতে চলতেই থাকে। সময়ের সাথে সাথে মানুষ পরিবর্তন হয়, তাদের মন পরিবর্তন হয়, সম্পর্ক ও পরিবর্তন হয়। ঠিক তেমনটিই হচ্ছে ইজহান আর পদ্মের সম্পর্কে। আগের তুলনায় তাদের সম্পর্কের বেশ উন্নতিও হয়েছে।’

‘পদ্ম কে ইজহান তার ফ্ল্যাটে নিয়ে এসেছে কারণ ইজহান এখান থেকেই হসপিটালে যায়। পথটা কাছে হয় তার জন্য। ইজহান হসপিটালে চলে গিয়েছে তার আগের সময়ে। পদ্ম কাজ করছে একা একা। এখন আর একা থাকতে ভয় লাগে না আরও ভালোই লাগে। দুপুরে ইজহান বাসায় এসে লাঞ্চ করে। কোনোদিন এর ব্যতিক্রম হয় নি। বাসায় এসে ইজহান শুধু পদ্মকে জ্বালাবে। এটা তার নিত্য দিনের কাজ। পদ্ম গোসল করে একদম ফিটফাট হয়ে বসে আছে। কিছুক্ষণ পর হয়তো ইজহান আসবে। প্রতিদিন এক সময়ে আসার চেষ্টা করে আজ ভিষণ দেরি হচ্ছে।’

‘পদ্ম অপেক্ষা করতে করতে ৩:৫৫ বেজে গেলো এখনো ইজহান আসছে না কেনো সেটাই বুঝছে না। এখন তো দুপুরের খাবার বিকেলের নাস্তা হয়ে যাবে।
পদ্ম এবার দেরি সহ্য করতে না পেরে ইজহান কে কল করলো।’

‘অনেক্ষণ যাবত রিং হচ্ছে কিন্তু ইজহান রিসিভ করছে না। এক পর্যায়ে পদ্মের রাগ উঠে গেলো। অবশেষে ইজহান কল রিসিভ করলো।’

“ওহ পদ্মফুল কল দিয়েছো? দেখিনি তো?”

‘পদ্মের চোখ থেকে নোনাপানি গড়িয়ে পড়ছে। এতোক্ষন না খেয়ে বসে ছিলো এখন এটা বলছে। পদ্ম রাগে ক্ষোভে ফোনটা কেটে দিলো। ইজহান বুঝেছে পদ্মের এই রাগের রহস্য। কিছু দরকারী কাজ থাকাতে আজ সময় মতো যেতে পারেনি। নিশ্চয়ই মেয়েটা না খেয়ে বসেছিলো তার জন্য। ইজহান নিজে নিজেই বলছে ‘অবশ্যই রাগ করা উচিৎ’। মনে মনে অনেক অনুশোচনা হলো তার।’

‘রাত ৭টায় ইজহান সব কাজ শেষ করে বাসায় এসেছে। চেয়েও তাড়াতাড়ি আসতে পারে নি কাজগুলোর জন্য। ক্রলিং বেল চাপতেই পদ্ম দরজাটা খুলে। ইজহান চশমার আড়ালে পদ্মকে এক পলক দেখে নিলো। মেয়েটার মুখটা শুকনো শুকনো লাগছে। এখনো কি না খেয়ে আছে নাকি? ইজহান নিজের শার্টটাও চেঞ্জ করলো না। শুধু হাতটা ধুয়ে পদ্মের জন্য খাবার নিলো। হয়তো পদ্ম এখনো না খেয়ে আছে। নিজের পাপ কে মোছানোর জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছে।’

‘ইজহান প্লেট সামনে নিয়ে বসে আছে। দীর্ঘ আধ ঘন্টা যাবত এক প্রকার যুদ্ধ করছে খাবার নিয়ে। কিন্তু পদ্ম মুখেই নিচ্ছে না। পদ্মের প্রতি রাগ হলেও সেগুলো চোখ বুজে হজম করে নিচ্ছে।’

“খাও না পদ্মফুল। এতো রাগ করার কি আছে? আমি বলেছি তো আমার কাজ ছিলো তাই আসতে পারিনি। পদ্ম না খেলে অসুস্থ হয়ে পড়বে তো।”

‘পদ্ম মুখ ফিরিয়ে নিলো। অর্থাৎ সে খাবে না।’

“খাবো না আমি। অসুস্থ হলে আপনার কি? আপনার তো আমার প্রতি কোনো রকম ভালোবাসা নেই। তাহলে এমন কেনো করছেন? আমি খাবো না খাবো না।”

‘ইজহানের মুখটা ছোট হয়ে এলো। খাবো না খাবো না কথাটা শতবার বলা হয়ে গিয়েছে যেনো ইজহান কানে শুনতে পায়নি। ইজহানের মন চাচ্ছিলো পদ্মকে টেনে এক থাপ্পড় দিতে কিন্তু সে এটা করেনি। পদ্ম এমনিতেই তখন কষ্ট পেয়েছে এখন থাপ্পড় দিলে তো কথাই বন্ধ করে দিবে মনেহয়।’

“উহুম তুমি অসুস্থ হলে আমি কাকে আদর করবো বলো। এমন নিষ্ঠুরতম কথাবার্তা বলো না পদ্ম। আমি তো তোমাকে খুব ভালোবাসি আমার পদ্মফুল। খেয়ে নাও এমন রাগ করতে নেই।”

‘পদ্ম চোখ রাঙালো ইজহান কে। ইজহান মোটেও ভয় পায়নি উল্টো হাসি পেয়েছিলো। দাঁতে দাঁত চেপে হাসি আটকে রাখলো।’

“এভাবে চোখ রাঙিও না পদ্ম আমি খুব ভয় পেয়েছি।”

‘পদ্ম মুখ ভেঙ্গালে। সব নাটক করছে সে কি কিছু বুঝছে না নাকি?’

“হয়েছে এবার সরুন এখান থেকে। আমার আর ভালো লাগছে না এসব।”

“আচ্ছা শুনো তাহলে মেধা প্রেগন্যান্ট তাই ওর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আর আজ পেশেন্টের খুব চাপ ছিলো তাই আসতে পারিনি। এই পর্যন্ত কতোবার সরি বলেছি পদ্ম। একবারও কি মাফ করা যায় না? আমার সরিগুলো কি গ্রহণযোগ্য হবে না?”

‘মেধা প্রেগন্যান্ট শুনে পদ্মের চোখ চিকচিক করছে খুশিতে। এখন তো তার নাচতে মন চাচ্ছে। ইশশ মেধা আপু তো একবারও বলেনি তাকে। যাই হোক সে তো শুনেছে এই খুশি কোথায় রাখবে? পদ্মের এমন মনে হচ্ছে যেনো তার নিজের বাচ্চা হবে। পদ্ম খুশি হয়ে ইজহানের হাত ধরলো।’

“সত্যিই মেধা আপু প্রেগন্যান্ট?”

‘ইজহান স্বাভাবিক কন্ঠে বললো-‘
“জ্বী ম্যাডাম।”

‘পদ্ম ইজহানের হাতে থাকা প্লেটের দিকে তাকালো। পরক্ষণেই আবার বললো-‘

“আমি ভাত খাবো কিন্তু কথা হচ্ছে আমাকে মেধা আপুর কাছে নিয়ে যেতে হবে। আমি আপুর সাথে দেখা করবো। যদি আপনি রাজি থাকুন তো খাবো নাহলে আপনি আজ আমাকে সারাদিন চেষ্টা করলেও খাওয়াতে পারবেন না।”

‘ইজহান রাজি হলো পদ্মের কথায়। পদ্ম খেয়েদেয়ে এখন রেডি হচ্ছে। ইজহান নিঃশব্দে পদ্মের কান্ডকারখানা দেখছে। এক দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এলো ভিতর থেকে। এই পিচ্চি মেয়েকে সারাজীবন সহ্য করতে হবে তার।’
‘ইজহান পদ্ম মেধার বাসায় আসলো। পদ্ম তো মেধাকে পেয়ে খুব খুশি। মেধাকে ছেড়ে আসতে মন চাচ্ছিলো না কিন্তু ইজহান তাকে নিয়ে চলে এসেছে। কারণ মেধার বাসায় এমনিও অনেক মেহমান ছিলো অন্য সময় হলে রেখে আসতো পদ্মকে কিন্তু আজ সম্ভব না।’

“ল্যাপটপে এতো কি দেখছেন আপনি?”

‘ইজহান আধশোয়া হয়ে ল্যাপটপে কিছু মেডিসিন নিয়ে রিসার্চ করছিলো। তার পাশেই পদ্ম শুয়ে আছে। ঘুম আসছিলো না। তাই ইজহানের দিকে তাকিয়ে আছে। সে তো ল্যাপটপে ডুবে আছে। আশেপাশে যে কিছু হচ্ছে বলতেও পারবে না বোধহয়।’

“কাজ করছি। তুমি ঘুমাও।”

“কি কাজ করছেন? আপনার কাজ তো শুধু রোগী দেখা তাহলে এটায় কি করছেন?”

‘ইজহান উত্তর দিলো না। পদ্ম উঠে বসেছে। পদ্ম ইজহানের থেকে ল্যাপটপ নিয়ে আসলো।’

‘ইজহান গলা উঁচু করে বললো-‘
“আরে কি করছো এটা দাও।”

‘পদ্ম কিছু না বলে ল্যাপটপটা সরিয়ে ইজহানের গলা জড়িয়ে ধরলো।’

“আমার একটা বাবু লাগবে ডাক্তার সাহেব। মেধা আপুর মতো আমাকেও একটা বাবু এনে দিন।”

#চলবে…

[আসসালামু আলাইকুম। পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন। আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। শব্দসংখ্যা ১৭৩৭]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here