প্রেমের রঙ পর্ব -০৮

#প্রেমের_রঙ
#পর্ব_০৮
#মোহনা_হক

‘ইজহান পদ্মকে নিয়ে মেধার কাছে এসেছে। মেধা যে হসপিটালে চাকরি করে ওইখানে। তাদের আর সিরিয়াল দেওয়া লাগেনি, মেধার কেবিনে ইজহান আর পদ্ম বসে আছে। মেধা পদ্মকে কিছু টেস্ট দিলো। পদ্ম তো ভয়ে ভয়ে শেষ। টেস্টগুলো যখন করছিলো তখন ইজহান সাথেই ছিলো। নরমালি এসব টেস্ট প্রত্যেক কে দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো সমস্যা নেই পদ্মের রিপোর্ট দেখার পর বুঝেছে। কিন্তু শরীর দুর্বল তাই স্যালাইন দেওয়া লাগবে।’

‘ইজহান কে মেধা বললো-‘
“তুই কি স্যালাইন এখানে দিবি নাকি তোর বাসায়?”

“বাসায়ই দিবো সমস্যা নেই এরপর সব কিছু আমিই হ্যান্ডেল করতে পারবো।”

“আচ্ছা তাহলে তো ভালোই। ঠিক আছে শুন পদ্মের মা গ্রামে চলে যাওয়ার পর ওকে আমার বাসায় দিয়ে যাবি।”

‘ইজহান এই কথাটা কে পাত্তা দিলো না বেশি।’
“সেটা পরে দেখা যাবে।”

‘মেধা রেগে গেলো।’
“বড্ড বেশি বাড়াবাড়ি করিস কিন্তু তুই। তোর বউকে কি কেউ নিয়ে যাবে?”

“আরে দিয়ে আসবো তোর বাসায়। এখন চুপ কর।”

‘ইজহান পদ্মকে নিয়ে বেড়িয়ে গেলো হসপিটাল থেকে। পদ্মের খুব বেশি খারাপ লাগছে। গাড়িতে উঠতেই পদ্ম সিটে মাথা হেলিয়ে দিলো। পদ্মের সব সময় অসুখ হয় না আবার হলে ছাড়ে না এমন অবস্থা এখন।’

‘ইজহান পদ্মের হাত ধরে জিগ্যেস করলো-‘
“তোমার বেশি খারাপ লাগছে?”

‘পদ্ম মাথা নাড়লো। মনেহচ্ছে কথা বলার শক্তি নাই।বাসায় এসে কোনোমতে ফ্রেশ হয়ে শুয়েছে। পদ্মের মা রুবিনা খাতুন পদ্মের জন্য খাবার নিয়ে এসেছে। তিনি নিজ হাতে পদ্মকে খাইয়ে দিয়েছে। ইজহান স্যালাইন নিয়ে আসলো। পদ্মের সাথে অনেক জোরজবরদস্তি করে লাগালো। পদ্মের কথা হচ্ছে সে এসব দিবে না তার ভয় লাগে। সারারাত স্যালাইন দেওয়ার পর পদ্ম মোটামুটি এখন আগের থেকে অনেক ভালো।’

(-)

‘প্রায় ৯দিন পর পদ্ম এখন পুরোপুরি সুস্থ। পদ্মের মা আর বোন চলে গিয়েছে। পুষ্প যাওয়ার আগেও ইজহানকে লজ্জা দিয়ে গেলো। তার ইচ্ছে ছিলো তার দুলাভাই তাকে ঘুরাবে প্রথমবার ঢাকা শহরে এসেছে কিন্তু তিনি তো ঘুরালেন না। মনে মনে যে কতো বকেছে ইজহানকে পুষ্প।এখন পদ্ম বাসায় একা একা থাকতে পারে। মুলত তার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।মাঝে মাঝে ইজহান পদ্মকে মেধার বাসায় দিয়ে আসে। মেধা পদ্মকে একদম তার ছোট বোনের মতো আদর করে। পদ্মও মেধা অনেক সম্মান করে। আর ইজহানের সাথেও তার ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এই ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠার পিছনে মেধা অবদান বেশি কারণ সেই পদ্মকে বোঝায়, বলে ,উপদেশ দেয় কিভাবে কি করতে হবে। পদ্মের অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পুরোটা জার্নিতে ইজহান তার পাশে ছিলো। নিজের সবটুকু দিয়ে পদ্মকে সুস্থ করেছে।’

‘সকাল ৭টা।’
‘পদ্ম উঠে গিয়েছে ঘুম থেকে। সকালের নাস্তা বানাচ্ছে। ইজহান তার পাশে পদ্মকে না পেয়ে সেও উঠে গেলো। এই মেয়েটার এই এক সমস্যা কে বলে এতো সকালে উঠে নাস্তা বানাতে। সকাল সকাল ইজহান পদ্মকে মনে মনে বকা দিয়ে ফ্রেশ হতে গেলো। ইজহান ফ্রেশ হয়ে এসে পদ্মের কাছে আসলো। পরোটা বানাচ্ছে সে। ইজহান পদ্মের পিছনে দাঁড়ালো।’

“তোমাকে কে বলে এতো তাড়াতাড়ি উঠতে?”

“কেনো নাস্তা বানানো লাগবে না? যদি নাস্তা না বানাই তাহলে কি না খেয়ে হসপিটালে যাবেন?”

“তাই বলে তো এতো তাড়াতাড়ি উঠার ও কোনো দরকার নেই তাইনা!”

‘পদ্ম আর কিছু বললো না, সে নিজের মতো কাজ করছে। পদ্ম কথা বলছেনা দেখে ইজহান পদ্মকে তার দিকে ফিরিয়ে বললো-‘
“কথা বলছো না কেনো?”

“তাড়াতাড়ি উঠেছি তো কি হয়েছে?”

“না এটা হবে না যতোক্ষণ আমি ঘুমিয়ে থাকবো ততক্ষণ তুমিও ঘুমাবে। পরেরবার আমি যেনো ঘুম থেকে উঠলে তোমায় পাই।”

“আচ্ছা ঠিক আছে।”

‘তারপর ইজহান তৈরি হয়ে গেলো হসপিটালে যাওয়ার জন্য। ইজহান আর পদ্ম একসাথে নাস্তা করে ইজহান হসপিটালে চলে গেলো। ইদানীং ইজহান বেশ ফাঁকি দিচ্ছে। মনেহয় যখন সে হসপিটালে যাবে তখন তার খুব আলসেমি লাগ্র। তবে নিজের পেশাকে অবজ্ঞা করার অভ্যাস নেই তার।’

(*)

ইজহান যখন তার কেবিনে বসে বসে ফোন চাপছিলো তখন শানায়া আসে। শানায়া বোধহয় দিন দিন ভালো হচ্ছে ইজহানের মনেহয়। কারণ সে ইজহানকে সরি বলেছে। আর সেইসব নিয়ে কথা বলেনা আজ-কাল। শানায়া ইজহানকে দেখে মুচকি হাসি দিলো।’

“কেমন আছেন?”

“ভালো।”

“আপনি কি এখনো আমার সাথে কথা বলতে আনইজি ফিল করছেন?”

“না। আপনার আনইজি ফিল করা দরকার মনেহয়।”

“কেনো কেনো?”

“কারণ আপনি একটা অপরিচিত পুরুষ মানুষের সাথে কথা বলতে এসেছেন।”

‘শানায়া বুঝলো ইজহান তাকে অপমান করছে। তাও মুখটা বন্ধ করে রাখলো। সবগুলো অপমানে শোধ তুলবে সে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।’
“আমরা তো অনেক আগে থেকেই পরিচিত তাইনা?”

‘ইজহানের কোনো হেলদোল নেই। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে শানায়ার দিকে তাকিয়ে আছে।’
“পরিচিত হয়েও অপরিচিত একটা কথা আছে না? ঠিক সেরকমই।”

‘শানায়ার কষ্ট হচ্ছে কিন্তু ইজহানকে কিছু বলতে পারছে না মন চাচ্ছে ইজহানকে কতোগুলো কথা শোনাতে।’
“গেট টুগেদার নিয়ে কি প্ল্যান আপনার?”

“চমক আসছে সবার জন্য।”

“কিসের চমক?”

“সেটা পরেই দেখতে পাবেন।”

“তাহলে আমি উঠি।”
‘এই বলে শানায়া চলে গেলো। ইজহান বসে বসে হাসছে আনমনে। সারপ্রাইজটা সুন্দর হবে। বিশেষ করে শানায়ার কাছে ভালো লাগবে সারপ্রাইজটা। কবে আসবে সেই দিন।’

(*)

‘পদ্মকে ইজহান একটা মোবাইল কিনে দিয়েছে। যখন ইজহান একটু ফ্রি হয় তখনই পদ্মকে কল দেয়। বিষয়টা পদ্মের বেশ ভালো লাগে। পদ্ম মোবাইলটা সব সময় তার কাছেই রাখে। কারণ ইজহান ঘনঘন কল দেয়। ইজহানের একটা টেনশন থাকে পদ্ম বাসায় কি করছে বাসায় একা একা,তাই কল দিতে থাকে।’
‘পদ্ম এখন দুপুরের রান্না করছে। নিজের কাজটা নিজেই করতে পারে সে। রান্না শেষ করে গোসল করতে ঢুকলো। ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখলো ইজহান কল দিয়েছে। পদ্ম তাড়াতাড়ি আবার কল ব্যাক করলো। সাথে সাথে ইজহান কল রিসিভ করলো।’

‘ইজহান রেগে গিয়েছে কারণ সে কল দিয়েছিলো আর পদ্ম ধরেনি কেনো তখন। সে তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলো।’
“তখন যে কল দিলাম ধরোনি কেনো?”

‘ইজহানের গম্ভীর কন্ঠ শুনে পদ্ম ভয় পেলো।’
“আমি গোসল করতে গিয়েছিলাম।”

“এতো দেরী কেনো হু? বাসায় তো একা থাকো তাও দেরী করে গোসল করতে যাও তোমার এসব কাজ বিরক্ত লাগে ভিষণ।”

‘ইজহানের কথা শুনে পদ্ম মুখটা কুচকে ফেললো-‘
“আর করবো না দেরী করে গোসল সত্যিই।”

“আচ্ছা বাদ দাও খেয়েছো?”

“না খাইনি এখনো,আপনি খেয়েছেন?”

“জ্বী ম্যাডাম খেয়েছি। খাবার খেয়ে নিও।”

“আচ্ছা।”

‘ইজহান শান্ত গলায় বললো-‘
“আজ শাড়ি পরে রেডি হয়ে থেকো।”

‘পদ্ম অবাক হলো।’
“কেনো?

” তোমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হবো।”

“আপনি তো আসেন রাত ১০টায় তখন কি কেউ ঘুরতে বের হয়?”

“আমি সন্ধ্যায় আসবো।”

‘ইজহান আজ তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হবে সন্ধ্যায়। পদ্মও তাই করলো, সে সুন্দর করে শাড়ি পড়ে তৈরি হয়ে গেলো। তবে কুচি ঠিক করে হয়নি। কেমন জানি লাগছে তাকে। আয়নার সামনে গিয়ে শতবার দেখে ফেলেছে বোধহয় নিজেকে। চোখে একটু হালকা কাজল দিলো। চুলগুলো খোপা করলো,সামনে দিয়ে দু’পাশের কিছু চুল বের করলো। যেনো একটু সুন্দর লাগে। ঠোঁটে হালকা করে লাল কালারের লিপস্টিক দিয়েছে বেশি লিপস্টিক দেওয়া সে পছন্দ করে না। মুলত এটা তার ভালোই লাগে না। এখন পদ্ম সম্পুর্ণ রেডি।’

‘কিছুক্ষণের মধ্যে ইজহান আসলো। পদ্মকে দেখে তার ভিতরটা হঠাৎ কেঁপে উঠলো। পিচ্চি একটা মেয়েকে শাড়ি পড়লে এতো সুন্দর লাগে কেনো। ইজহান হেসে দিলো পদ্মকে দেখে। পদ্মকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত দেখে নিলো,কুচিটা ঠিক হয়নি এটা খেয়াল করেছে ইজহান। নিচে বসে কুচিটা ঠিক করে দিলো পদ্মের। পদ্ম মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে ইজহানের দিকে। কুচি ঠিক করা শেষ হলে ইজহান উঠে দাঁড়ালো।’

‘ইজহান তার হাত পদ্মের গাল স্পর্শ করে বললো-‘
“খুব সুন্দর লাগছে মিসেস শেখ।”

‘পদ্ম হাসলো ইজহানের কথা শুনে। ইজহান পদ্মের হাসি দেখে বললো-‘
“হাসলে তো আরও ভালো লাগে দেখতে।”

‘পদ্ম চোখটা ছোট ছোট করে বললো-‘
“এখানেই কি দাঁড়িয়ে থাকবেন নাকি?”

“না না সেসব চিন্তা নেই আজ,চলো আমার সাথে।”

‘তারপর ইজহান আর পদ্ম বেড়িয়ে আসলো। ইজহান তার গাড়ি করে পদ্মকে নিয়ে একটা সুন্দর জায়গায় আসলো। যেখানে পাশেই নদী আছে। আর নদীর ঘাটে অনেক মানুষ। সবাই সবার ভালোবাসার মানুষ, পরিবার নিয়ে এসেছে। পদ্মের ভয় লাগছে কারণ সে এতো মানুষ কখনো দেখেনি। ভয়ে ইজহানের হাত চেপে ধরেছে।’

‘ইজহান পদ্মের কাধ জড়িয়ে ধরে বললো-‘
“আমি তো আছি,সমস্যা নেই।”

‘তারপর তারা বেশ কিছুক্ষণ ওই নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। একজন যেনো আরেকজনের মনের ভাবটা বুঝতে পারছে। এই সময়টা পদ্মের বেশ ভালো লাগলো। ইজহানের কাধে মাথা দিয়ে পরিবেশটা উপভোগ করছে পদ্ম। তার যে খুব ভালো লাগছে আজকে। মনে হচ্ছে সে প্রান ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছে। এতোদিন নিজেকে বন্দী মনে হতো। কখনো বাহিরে যাওয়ার কথা মুখ ফুটে ইজহান কে বলেনি। আর ইজহান তো মহা ব্যস্ত থাকে। মহাশয় বাসায়ই আসে রাত ৯টা বা ১০টার পর,সে আবার কখন পদ্মকে নিয়ে ঘুরতে যাবে।’

‘বাসায় আসার সময় রাস্তায় একজন ঝালমুড়ি ওয়ালাকে দেখে পদ্ম গাড়ি থামাতে বললো। ও যখন স্কুলে যেতো ওদের স্কুলের সামনে এমন ঝালমুড়ি ওয়ালা ছিলো। পদ্ম প্রতিদিন ঝালমুড়ি খেতো।ঝালমুড়ি হচ্ছে তার প্রিয় একটা খাবার। ইজহান পদ্মকে এসব রাস্তার খাবার খাবে দেখে কিছু বললো না, কারণ একদিনই তো খাবে। পদ্ম ঝালমুড়ি নিয়ে গাড়িতে উঠে পড়লো। ইজহান একটা রেস্টুরেন্টের সামনে গাড়ি থামালো।’

‘পদ্ম ঝালমুড়ি খেতে খেতে বললো-‘
“এখানে থামালেন কেনো?”

“এখান থেকেই ডিনার করে যাবো বাসায়।”

‘পদ্ম খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে বললো-‘
“আমি যে রান্না করেছি ওগুলোর কি হবে?”

“পরে খাওয়া যাবে। এখন নামো বেশি দেরি হলে রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।”

‘পদ্ম আর ইজহান ডিনার করে বাসায় চলে আসলো। ইজহান ফ্রেশ হয়ে এসেছে। যখন পদ্ম ফ্রেশ হতে যাবে তখনই ইজহান বললো-‘
“শাড়ি চেঞ্জ করো না।”

‘পদ্ম মাথা নাড়ালো। ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে দেখলো লাইট অফ হয়ে আছে। কিন্তু বারান্দায় সেই ড্রিম লাইটের মতো লাইটটা জ্বলছে কিন্তু। ইজহান সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে। পদ্মও সেখানে গেলো। ইজহান পদ্মের উপস্থিতি বুঝতে পারলো।’

“আজ যে তোমাকে ঘুরিয়ে আনলাম কিছু তো বললে না?”

‘পদ্ম বুঝলো না ইজহান কি বললো-‘
“মানে কি বলবো আমি?”

“একটা ধন্যবাদ ও তো দিলেনা।”
‘ইজহান মুখটা সামনে রেখে কথা বললো।’

“ধন্যবাদ ডাক্তার সাহেব।”

‘ইজহান পদ্মের মুখের দিকে তাকালো। পদ্ম কখনো ডাক্তার সাহেব বলেনি কিন্তু আজ বলেছে।’
“হঠাৎ!”

“কি?”

“ডাক্তার সাহেব বললে যে?”

“ভালোবেসে বলেছি।”

‘ইজহান যেনো সাত আসমান থেকে টপকে পড়েছে। এই পদ্ম এসব কি বলছে।’

“ভালোবাসো কবে থেকে?”

“বিয়ের আগে থেকে।”

‘ইজহান বুঝেছে এই পদ্ম তার সাথে মজা করছে,তাই সেও পদ্মের সাথে মজা শুরু করলো।’
“বিয়ের আগে দেখেছো আমাকে?”

‘পদ্ম হেসে বললো-‘
“হ্যাঁ দেখেছি।”

‘ইজহান গ্রিলের সাথে ঠেস দিয়ে আছে। পদ্মের সামনে ঝুঁকে বললো-‘
“ঠিক আছে তুমিই তো বললে আমাকে ভালোবেসে ডাক্তার সাহেব বলেছো। আমার তো ভালোবেসে তোমাকে কিছু দেওয়া উচিৎ তাইনা!”

‘পদ্ম মাথা নাড়ালো। ইজহান পদ্মের মুখের সামনে তার মুখটা এনে, তার ওষ্ঠ পদ্মের ওষ্ঠে ছুঁয়ে দিলো। আবার তৎক্ষণাত নিজেকে সরিয়ে আনলো। পদ্ম হতভম্ব হয়ে আছে। ইজহান পদ্মের উদ্দেশ্যে বললো-‘
“বিষয়টা একদম স্বাভাবিক ভাবে নিবে।”

#চলবে…

[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here