প্রেম পাগলামি পর্ব ৩৪+৩৫+শেষ

#প্রেম_পাগলামি
#নিহীন_রুবাইয়াত
#পর্ব:৩৪

–আসি বললেই তো যাওয়া হবে না…(আমি ওনার হাত ধরে ফেলি উনি অবাক হয়ে আমার দিকে তাকায়)
–কিছু বলবে কি??
–হুম
–ওহ বলো..
–ভালোবাসি আপনায়।
–কি??
–হুম অনেক ভালোবাসি,জানি না কবে এতো ভালোবেসে ফেলেছি তবে সত্যিই ভালোবাসি।
–…….(আমার কথা গুলো অবাক হয়ে শুনছেন)
–কথা বলছেন না যে??
–তুমি কি সত্যিই কথাগুলো বলছো নিহীন?
–মিথ্যা বলার কি কোন কারন আছে??
–আ আ আমার কেন জানি না বিশ্বাস হচ্ছে না।তুমি আমাকে ভালোবাসো?মানে সত্যিই ভালোবাসো?(ওনার চোখেমুখে হাসি আর অপেক্ষা দেখতে পারছি আমার হ্যা ভালোবাসি কথাটা শোনার।আমিও আর ঘুরালাম না,এমনিতেই অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে)
–হ্যা সত্যিই।

উনি যেন আবার খুশিতে লাফিয়ে উঠলেন।ইয়েস ইয়েস করে কিছুক্ষন উরুধুরা নাঁচলেন,ওনার এই ডান্স দেখে আমি হেসে ফেললাম।আমার হাসি দেখে উনি লজ্জা পেলেন কিন্তু তা সাময়িক।
–নিহীন নিহীন তুমি জানো না আজ আমি কতোটা হ্যাপি।ফাইনালি তুমিও আমাকে ভালোবাসো।আমার যে কতোটা ভালো লাগছে।
–……..(আমি হাসছি এখনো)

উনি ও অনেক আনন্দ করছেন কিন্তু হটাত ওনার মুখের হাসি ম্লান হয়ে গেলো।উনি মুখ সরিয়ে নিলেন।

–কি হয়েছে??
–………………
–এই যে মিস্টার অসভ্য বলেন কি হয়েছে??
–আজ যা হলো এটা ঠিক হয়নি নিহীন।আমি সবার চোখে নিচে নেমে গেছি।তার থেকে বড় কথা আমি নিজের কাছেই ছোট হয়ে গেলাম।(ওনার কথা শুনে বেশ খারাপ লাগলো)
–আপনার এতে কোন দোষ নেই আর এটা তো ভুল বুঝাবুঝি ছিলো।প্লিজ আপনি এসব আর মনে রাখবেন না প্লিজ প্লিইইজ।আর সবাই তো নিজেদের ভুল্টা বুঝতে পেরেছে তাই আর ওসব ভেবে নিজের মন খারাপ করবেন না(উনি আমার দিকে আড়চোখে তাকায় তারপর মুচকি হাসেন)
–ঠিক আছে।তুমি যখন বলছো তখন আমি আর ভাববো না।কিন্তু ওই আদিলকে তো আমি ছাড়বো না।ওর সাহস হয় কি করে তোমার সাথে মিসবিহেভ করার।
–আপনি আবার বেশি ঝামেলা করতে যাবেন না।ওই লোকটা অনেক খারাপ।
–আমি এইকক্ষেত্রে চুপ থাকতে পারি না।ওর মতো ছেলেদের কারনেই দেশে মেয়েদেরকে এতো অন্যায় সহ্য করতে হচ্ছে,দিনের পর দিন খারাপ নজরের স্বীকার হচ্ছে তারা।এদের তো কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দেয়া উচিত।তাহলেই দেশটা যদি একটু ভালো থাকে,মা বোনেরা চিন্তামুক্তভাবে বাড়ির বাইরে বের হতে পারে।
–হ্যা সেটাও ঠিক বলেছেন।

আমরা দুজন এরপর দেশের সমস্ত মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করলাম।এদিকে রাত ও অনেক হয়ে গেছে,আমার বেশ ঘুম ঘুম পাচ্ছে।
–নিচে যাবেন না??
–এখনি??
–হুম
–আর কিছুক্ষন থাকা যায় না??
–আচ্ছা(ঘুম আসছে তাও বললাম না।)
–চলো বসে কথা বলি

আমরা দুজন চিলেকোঠার দেয়ালের গা ঘেষে বসে আছি।মাঝে এক হাত মতো দূরত্ব।চাঁদের আলোই মাঝে মাঝে চোখাচোখি হচ্ছে আমাদের,বেশ লজ্জা লাগছে।নীরবতা কাটিয়ে উনি এবার বললেন,,
–আচ্ছা নিহীন তুমি আমায় কতোটা ভালোবাসো??
–ভালোবাসা আবার পরিমাপ করা যায় নাকি??
–না তা যায় না কিন্তু হয় না একটা ব্যাপার মানে ভালোবাসার প্রকাশ।
–উউউম জানি না আমি।(বাচ্চামি করে)
–কেন??
–জানি না কেন।আচ্ছা আপনি আমাকে কতোটা ভালোবাসেন??(বাচ্চাদের মতো অবুঝ স্বরে)
–আমি??
–না তো কি ওবাইদুল কাদের??
(আমার মুখে ওবাইদুল কাদেরের কথা শুনে উনি খুব হাসলেন।এমন ভাবে হাসছেন যেন আমি কি না কি বলেছি)
–হাসছেন কেন?হাসি থামান আর বলেন।
–আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে।হাহাহাহহহ…
–এখনো হাসছেন?
–সরি সরি….
উনি হাসি থামিয়ে একদম চুপ হয়ে গেলেন।আমি অধীর আগ্রহে ওনার মুখের দিকে চেয়ে আছি।উনি আকাশের দিকে তাকিয়ে,ঠিক আকাশ না চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন,,

আমি তোমাকে ভালোবাসি মানে,
অভিমান কিংবা দূরত্বের দিনেও ভালোবাসি।
আমি তোমাকে ভালোবাসি মানে,
অন্যপাশ ফিরে শুয়ে থাকলেও ভালোবাসি।

আমি তোমাকে ভালোবাসি মানে,
প্রচন্ড রাগ কিংবা তুমুল ঝগড়াতেও ভালোবাসি।
আমি তোমাকে ভালোবাসি মানে,
কথা না হওয়া সময় জুড়েও ভালোবাসি।

আমি তোমাকে ভালোবাসি মানে,
আমার জীবনের প্রতিটি সাফল্য আর ক্ষতির মাঝেও ভালোবাসি।
আমি তোমাকে ভালোবাসি মানে,
আমার হাসির মাঝে লুকিয়ে থাকা বেদনাতেও তোমাকে ভালোবাসি।

আমি তোমাকে ভালোবাসি মানে,
রাগ করে কল কেটে দিলেও ভালোবাসি।
আমি তোমাকে ভালোবাসি মানে,
তুমি না থাকলেও ভালোবাসি।

আমি তোমাকে ভালোবাসি মানে,
দুই,দশ কিংবা দুইশো বছর পরও ভালোবাসি।
আমি তোমাকে ভালোবাসি মানে,
কখনো ভালোবাসি না বললেও ভালোবাসি।
(শেষ লাইনটা উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন)

ওনার কথাগুলো শুনে আমি যেন বরফের মতো জমে গেছি।উনি যে এমনভাবেও কিছু বলতে পারেন আমার জানা ছিলো না।
–কি হয়েছে নিহীপাখি তুমি ওভাবে তাকিয়ে আছো কেন??(ওনার কথাই চোখ সরিয়ে নিই)
–না না কিছু না।
(আমি এবার হায় তুললাম)
–তোমার কি ঘুম আসছে?
–না মানে।
–আচ্ছা ঘুমাও।
–না না সমস্যা নেই।
–আরে না তুমি ঘুমাও।আমি কিছু মনে করবো না।
(ওনার কথা মতো ঘুমানোর জন্য আমি রুমে যাওয়ার জন্যে উঠে দাড়ালাম কিন্তু উনি আমার হাত ধরে বসিয়ে দিলেন)
–কি হলো উঠে কয় যাচ্ছো?
–কেন ঘুমাতে?
–ঘুমানোর পারমিশন দিয়েছি কিন্তু রুমে যাওয়ার না(আমি অবাক হয়ে তাকালাম)।এখানেই ঘুমাবে তুমি।আমার কোলে মাথা রেখে।

উনি আমার মাথা ওনার কোলের ওপর নিয়ে আমার চুলে বিলি কাটছে আর আমি গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম।সকালের উদীয়মান সূর্যের আলো চোখে পড়তেই ঘুম ভেঙে গেলো,আশে পাশে তাকালাম কেবল রোদ ওঠা শুরু করেছে।উপর দিকে চোখ পড়তেই ওনার মুখ দেখতে পারলাম।খুবি স্নিগ্ধ লাগছে মুখটা,ওনার সিল্কি চুলগুলো কপাল বেয়ে মেলে আছে।আমি কিছুক্ষন ওনার দিকে তাকিয়ে রইলাম তারপর আস্তে করে উঠে ওনার কপালে বেয়ে পড়া চুলগুলো সরিয়ে দিলাম।উনি একটু নড়ে উঠলেন তারপর আবার গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলেন।এরি মাঝে নিচে আওয়াজ পেলাম,বেশ জোরে জোরে কথা হচ্ছে আমি ভয় পেয়ে যায় আর নিচে দৌড় দিই ওনাকে ডাকতে যেও ডাকলাম না।নিচে এসেই দেখি সৌরভ ভাইয়া আর আমার ভাইয়া ফোনে কার সাথে কথা বলছে।আপুর কাছে জানতে পারলাম আদিলকে নাকি পুলিশ শহরের কোথাও খুজে পাচ্ছে না।সৌরভ ভাইয়া আর আমার ভাইয়া ঠিক করলো ওরা নিজেরাই যাবে খুজতে।
–সৌরভ আর বসে থাকতে পারছি না,পুলিশ যা করার করবে কিন্তু আমাদের ও খুজতে হবে ওই শয়তানটাকে ওর সাহস হয় কি করে আমার বোনের সাথে…..ওরে তো আমি।
–শান্ত হ নিশান।চল খুজি কিন্তু সৌভিক কোথায়??
–হ্যা তাই তো সৌভিক কোথায়??(ওনার মা বলে ওঠে)
–রুমেও তো নেই ভাই(শাওন বলে)

সবাই ওনাকে আশেপাশে খোজে কিন্তু পাইনা।আমিও বলতে পারছি না উনি ছাদে।সবাই কোথাও না পেয়ে চিন্তাই পড়ে।চিন্তা দেখে আমি এবার শাওনকে সাইডে ডেকে বলি উনি ছাদে আছে।শাওন প্রথমে অবাক হলেও পরে মুচকি একটা হাসি দিয়ে ছাদে চলে যায়।মিনিট পাঁচেক পর দুজন ছাদ থেকে নেমে আসে।ওনাকে ছাদ থেকে নামতে দেখে তো সবাই অবাক।উনি বাহানা দিয়ে বলে ভোরে ভালো লাগছিলো না তাই ছাদে গিছিলো আর পরে ওখানেই ঘুমিয়ে পড়েছে।ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করে ভাইয়া,সৌরভ ভাইয়া আর উনি বের হয় আদিলকে খোজার জন্যে।

চলবে………..#প্রেম_পাগলামি
#নিহীন_রুবাইয়াত
#পর্ব:৩৫(অন্তিম পর্ব)

সকাল গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলো,ওনাদের কোন খবর নেই।আদিলকে পাওয়া গেলো কিনা সেটাও জানি না।একবার কি কল করে দেখবো?ওনাকে কল দেবো নাকি ভাইয়াকে।ভাইয়াকেই দিলাম অবশেষে।
–ভাইয়া
–নিহী,সোনা আমরা এখনো খুজছি ওই শয়তানটাকে তুই চিন্তা করিস না।রাখি রে খুব ব্যস্ত আছি।
–ভাইয়..(কথাটা শুনলো না কেটে দিলো)

সন্ধ্যা হয়ে গেছে,সৌরভ ভাইয়ার বাবা মা ওনাদের বাসায় চলে গেছে।আমরাই আছি এখন বাসায়।মাগরিবের নামাজ পড়ে বিছানায় শুয়ে আছি।খুব চিন্তা হচ্ছে ওরা কি খুজে পেলো আদিলকে।আদিল কি পাবে তার যোগ্য শাস্তি??এমন সময়ই কল আসলো আমার মোবাইলে।নাম্বারটা তো ওনার আমি সাথে সাথে রিসিভ করি।
–হ্যালো(আমি খুবি মরিয়া হয়ে হ্যালো বলি)
–চিন্তা করো না নিহীপাখি সব ঠিক হয়ে যাবে??
–আপনি কিভাবে জানলেন আমি…
–আমি তোমার মনের কথা পড়তে পারি নিহীন।তুমি কি কিছু খেয়েছো সন্ধ্যায়??
–না
–দুপুরে খেয়েছিলে তো??
–আ আ আম মানে….
–খাওনি তাই তো?
–হুম আসলে…
–যাও খেয়ে নাও।না খেয়ে থাকতে হয় না নিহীন
–আপনি খেয়েছিলেন তো??
–হ্যা আমি…
(উনি থেমে গেলেন আমি হ্যালো হ্যালো করার পরো কোন কথা নেই)
–হ্যালো..কি হলো কথা বলছেন না কেন??
–এই দাড়া…
ফোন কেটে গেলো।আমি কল দিলাম কিন্তু বন্ধ,আমি বেশ কয়েকবার কল দিলাম কিন্তু বারবার বন্ধ,এদিকে ভাইয়া আর সৌরভ ভাইয়াও কল রিসিভ করছে না।১ ঘন্টা পর আর থাকতে না পেরে আপুর কাছে গেলাম ও কিছু জানে কিনা।আপুর কাছে পৌছাতেই আপুর ফোনে কল আসলো।
–হ্যা শাওন..
–শাওন কল করেছে??দেখি…(আপুর হাত থেকে ফোন কেড়ে নিই)
–হ্যালো শাওন ওনারা…
–তাড়াতাড়ি হসপিটালে আসো নিহীন ভাই…(শাওনের কোন কথা আর আমি শুনিনি হসপিটাল এর কথা শুনেই আমার হাত থেকে ফোন পড়ে যেতে যায় আপু কোনরকমে ধরেছে)
–নিহী কি হয়েছে তোর??

আপুর কথা না শুনেই আমি ছুটলাম।ওড়না টা মাথায় দিয়ে রাস্তায় বের হয়ে গেছি আমার পিছু পিছু বাবা আর আপুও চলে এসেছে।রাস্তায় এসে আমি অটো থামাতে বলছি কিন্তু কোন অটোই থামছে না পরে দেখি বাবা গাড়ি নিয়ে এসেছে।বাবাকে দেখে গাড়িতে উঠে বসলাম।
–বাবা..
–হসপিটালেই যাচ্ছি মা..

২৭ মিনিট পর হসপিটালে পৌছালাম।হসপিটালে পৌছাতেই শাওনকে দেখলাম।আমি দৌড়ে শাওনের কাছে যায়।
–শাওন উ উনি কোথায়??
–ভাই তো উপরে…(আমি আর কোন কথায় শুনলাম ছুটে গেলাম তিন তলায়)

তিন তলায় এসেই ভাইয়াকে দেখতে পাই একটা কেবিনের সামনে।আমি ভাইয়ার সাথে কোন কথা না বলেই কেবিনে ঢুকে যায় দেখি বেডে একজন শুয়ে আছে আর তার সমস্ত শরীর ব্যান্ডেজ করা।আমি ওনার কাছে গিয়ে কেঁদে ফেলি,,
–কি হয়েছে আপনার এটা কিভাবে হলো??কথা বলছেন না কেন??উঠুন প্লিজ কথা বলুন আমার সাথে…
–নিহীন…(পিছনে ফিরেই দেখি উনি দাড়িয়ে কপালে একটু ব্যান্ডেজ।ওনাকে দেখে আমি তো অবাক।উনি তো আমার সামনে দাড়িয়ে তাহলে এটা কে?)
–আপ আপনি?
–হ্যা নিহীন আমি কিন্তু তুমি এভাবে কাঁদছ কেন??
–আপনি এটা হলে শুয়ে আছে কে??
–ওটা আদিল।আর আমার কিছু হয়নি নিহীন
(একবার আদিলের দিকে তাকিয়ে ওনার দিকে তাকালাম।ওনাকে সুস্থ দেখে আমি ছুটে ওনার কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরি।ওনাকে জাড়িয়ে ধরে অনেক কাদি।উনি আমার চোখের পানি মুছে দেই।)

দুই পরিবারের লোকি হসপিটালে আসে।আদিলকে উনি এতো মেরেছে যে ওর অবস্থা অনেক খারাপ।ওর যখন জ্ঞান ফেরে তখন পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ইভটিজিং ও খুন করতে যাওয়ার অপরাধে।রাতে ওনাদের বাসায় যায় আমরা সবাই।ড্রয়িং রুমে বসে আছি।
–বিপদ সব গেলো এবার ভালোই ভালোই সৌরভ আর নিলুফার বিয়েটা দিয়ে দিতে হবে।কি বলেন বেয়ায়??
–জি বেয়ায় আর দেরি করবো না।

সবাই ওদের বিয়ে নিয়ে আলোচনা শুরু করে কিন্তু কেউ আমাদের ব্যাপারে কথাই বললো না।আমাদের যে বিয়ে হয়েছে যেন কারো খেয়ালি নেই।তখন সৌরভ ভাইয়া বলে উঠলো,
–বাবা সৌভিক আর নিহীনের ও তো বিয়ে হয়েছে।।
(সৌরভ ভাইয়ার কথায় সবার যেন মনে পড়লো।কিছুক্ষন চুপ থাকার পর সৌরভ ভাইয়ার বাবা বলে,
–আমরা ভুল করেই বিয়েটা দিয়েছি।সব ভুল যখন মিটে গেছে তখন আর বিয়েটা রেখে কি হবে??
–হোয়াট??নোওও(সৌভিক বলে ওঠে)
(ওনার রিয়াকশনে সবাই ওনার দিকে তাকাই)
–কি হলো সৌভিক?তুমি ওমন করলে কেন??
–বাবা মানে আসলে মানে
–কি মানে মানে ক্লিয়ারলি বলো,
–ভাইয়া তুই বল
–সৌরভ কেন বলবে??তুমি বলো
–বাবা বাদ দাও না আমিই বলি,,বাবা সৌভিক নিহীনকে অনেক ভালোবাসে,আজ থেকে না দুই বছর আগে থেকে।
–কি?
–হ্যা বাবা
–সৌরভ যা বলছে সেটা কি সত্যি সৌভিক?? (উনি কিছুক্ষন চুপ থেকে মাথা নাড়ায় হ্যা সূচক)
–ও না হয় নিহীনকে ভালোবাসে কিন্তু নিহীন কি ওকে ভালোবাসে??(ওনার বাবা আমার দিকে তাকায়)
–তুমি কি সৌভিককে ভালোবাসো নিহীন??(আমার বাবা জিজ্ঞেস করে??
–………..
–কি হলো কথা বলছো না যে??(আমি আবারো চুপ,এবার বাবা ধমক দিয়ে ওঠে)কথা বলো
–হ্যা বাবা বাসি।

সবাই চুপ করে যায়।আমি আর উনি একে অপররের দিকে তাকাই,দুজনেই ভয় পেয়ে আছি,কি হবে এবার??বেশকিছুক্ষন পর বাবা বললো,,
–নিশানের মা দুই মেয়ের বিদায় একসাথে করলে খুব কষ্ট হবে কি??

[–বেয়ান কষ্ট পেলেও কিন্তু আমি আমার ঘরের দুই লক্ষীকে একসাথে আনবো?
–হ্যা বেয়ান(ওনার মা-বাবা বলে ওঠে)]

–না না এ তো আমার মেয়েদের সৌভাগ্য যে এতো ভালো পরিবার পাবে।

সবাই হেসে ওঠে।আমি আর উনিই বোকার মতো দাড়িয়ে থাকি।আমাদের দেখে শাওন বলে,
–তোমরা কি এখনো অন্য জগতে আছো??তোমাদেএ বিয়ে হবে আবার..হাহাহহহহহ..

শাওনের কথা শুনে আমাদের দুজনের মনে যেন লাড্ডু ফুটছে।কথামতো একসপ্তাহ পর আমাদের দুই বোনের বিয়ে হয়ে যায়।শুরু হয় এক নতুন পথ চলা…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here