প্রেয়সীর শব্দপ্রেম পর্ব -০৫

#প্রেয়সীর_শব্দপ্রেম
#ফারজানা_মুমু
[৫]

ঝুমঝুমি ধ’র্ষি’তা হয়। আপন চাচাতো বোনের স্বামী দ্বারা ধ’র্ষি’তা হয় ঝুমঝুমি। গলা ফাটিয়ে চিৎকার করেও সেদিন নিজেকে বাঁচাতে পারেনি-ও। পরেরদিন ঝুমঝুমির এরূপ অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে যায় সকলে। ঝুমঝুমির বড় চাচা মেয়ের সংসার বাঁচানোর জন্য দোষারোপ করে ছোট্ট ঝুমিকে। কান্না করে আঙ্গুল তুলেছিল বড়ভাই সমতুল্য দুলাভাইয়ের উপরে কিন্তু ওর কথার মূল্য কেউ দেয়নি। কুৎসা রটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল ঝুমঝুমি-সহ ও মাকে-বোনকে। সেদিন নিজের চরিত্রের পাশাপাশি মায়ের চরিত্র নিয়েও কথা বলেছিল চাচীরা। তারপর উপায় না পেয়ে ভাইয়ের কাছে আশ্রয় চায় জেসমিন বেগম। মন থেকে না চাইলেও বিবেকের কাছে হেরে গিয়ে বোন ও ভাগ্নিদের বাসায় থাকতে দেয় মেঘের বাবা। সেদিনের পর থেকে আপনজনদের প্রতি পুরোপুরি বিশ্বাস উঠে যায় ঝুমঝুমির। নিজেকে তৈরি করে নতুনরূপে। মা-বোনের দায়িত্ব পালন সেদিন থেকেই শুরু হয় ওর। তবে রাবেয়া খাতুন অনেকবারই বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল কিন্তু পারেনি। না পারার কারণ মেঘ। ঝুমঝুমিকে বিয়ে করার জেদ ধরে বসেছিল মেঘ। রাবেয়া খাতুন ধ’র্ষি’তা মেয়েকে প্রথমে মানতে না চাইলেও একমাত্র ছেলের জন্য মানতে রাজি হয়।
-” বৃষ্টির পানিতে চোখের পানি লুকাতে চাচ্ছো তেজপাতা? তোমার কাছ থেকে কান্না আশা করা যায়না। ঝুমঝুমি নামের মেয়েটির সাথে আবেগ,আহ্লাদী,চোখের নোনাজল,নিভু নিভু দৃষ্টি মানা যায় না। জানো, আমার দেখা অন্যরকম রমণী তুমি।

অতীতের কালো ডায়েরী থেকে বেরিয়ে আসলো ঝুমঝুমি। পাশে দাঁড়িয়ে আছে আষাঢ়। দুহাত বুকে ভাঁজ করে শান্ত চোখজোড়া উঠানামা করছে। দুজনে পুরো ভিজে জবজবে। নড়ে-চড়ে ঘাড় ঘুরিয়ে বান্ধবীদের খুঁজতে ব্যাস্ত ঝুমঝুমি। ওরা দুজন খানিক দূরে হাতে-হাত মিলিয়ে নাচছে। ঝুমঝুমির দৃষ্টিতে দৃষ্টি মিলিয়ে আষাঢ় তাকালো সেদিকে। বলল, আমার বন্ধুরা মাতাল হয়ে উরাধুরা নেচে এখন ঘুমাচ্ছে। তোমার বান্ধবীরাও কী মাতাল?

গরম চোখে তাকাল ঝুমঝুমি। ধমক দিয়ে বলল, বাজে কথা বন্ধ করুন। নিজেদের মতো অন্যদের ভাবতে যাবেন না। আপনি নিজে কি সন্ন্যাসী? বন্ধুরা রুমে মাতলামি করছে আপনি করছেন বাইরে। আন্টি যে কি দেখে যাতালোক বাসা ভাড়া দিচ্ছে বুঝিনা। আগামীকাল এনিয়ে কথা বলব আন্টির সাথে।

ঝুমঝুমির কথায় চুল পরিমাণ ভয় পেলনা আষাঢ়। গালে হাত রেখে বলল, ওহ তাই। আচ্ছা আমাকে সাথে নিয়ে যেও দুজনে মিলেমিশে বিচার জানাবো।

মন মেজাজ চরম পর্যায়ে খারাপ এখন আবার আষাঢ়ের লেবেল ছাড়া কথাবার্তা। পা বাড়িয়ে যেতে নিবে তখনই আষাঢ়ের শব্দ ভেসে আসলো, সবসময় এমনটা থেকো তেজপাতা। তোমাকে এভাবেই ভালো লাগে। চোখেমুখে প্রচণ্ড রাগ,বিরক্তি মুখশ্রী, কথা এড়িয়ে চলা,মাঝে-মধ্যে সহজ কথার মধ্য সঠিক জবাব দেওয়া,সূক্ষ্ম বুদ্ধি খাটিয়ে নিজেকে সামলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা; তোমাকে এগুলেতেই মানায়, কান্না নয়। তুমি তো ভীতু নও সাহসী নারী তুমি। ভেঙে পড়া যাবে না, যেকোনো পরিস্থিতে নিজেকে তৈরি করবে কঠিন নারী। আমি চাই আমার জীবনে প্রথম এবং শেষ কঠিন নারী তুমি হও। দরকার হলে খু’ন করবে তবুও কান্না করবে না। আমি পাশে থাকবো।

পুরো শরীর কেঁপে উঠল ঝুমঝুমির। খু’ন শব্দটি বারবার কানে বাজছে। পুরো শরীর না চাইতেও কাঁপুনি দিয়ে উঠল। একবার পিছু ফিরে আষাঢ়কে দেখে আমতা-আমতা করে বলল, খু’ন করব?

ফিচেল হাসলো আষাঢ়। ঠোঁটের কোণায় দুষ্টুমি হাসি খেল। বলল, খু’ন করতে বলেছি বলে আমায় খু’ন করার মতলব আটলে নাকি? তাহলে কিন্তু আমায় পাশে পাবে না।

ঝুমঝুমির হঠাৎ যেন কী হলো। মনে হলো পুরো শরীর ওর দখলে নেই। গায়েবী কেউ ওর শরীর পরিচালনা করছে। না চাইতেও আষাঢ়ের কাছে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কলার চেপে ধরে বলল, আমি খু’ন করব। মনের ভিতরের ক্ষোভ,যন্ত্রণা ধ্বংস করার জন্য আমার র’ক্তে’র প্রয়োজন। তরতাজা লাল র’ক্ত। আমার শরীরের আ’ঘা’তে’র চিহ্নগুলো মুছে গেছে কিন্তু মনের আ’ঘা’ত এখনও অক্ষত। সেই আ’ঘা’ত দূর করার জন্য আমার খু’ন করতে হবে।

বলতে-বলতে আষাঢ়ের গায়ে লুটিয়ে পড়ল ঝুমঝুমি। আষাঢ় বুঝল না ঝুমঝুমি তাকে কি বলেছে এতক্ষণ। সে তো মজা করে খু’নে’র কথা বলেছে কিন্তু এ মেয়ে তো অলরেডি খু’ন করার পরিকল্পনা সেরে ফেলেছে। সন্দিহান নজরে অজ্ঞান ঝুমঝুমিকে ভালো করে দেখল আষাঢ়। মনেমনে ভাবলো, তোমার সম্পর্কে তাহলে আরো অনেককিছু অজানা আমার তেজপাতা। বিস্তারিত সব জানতে হবে।

তৃষ্ণা-নীরাকে ডাকলো আষাঢ়। ঝুমঝুমিকে আষাঢ়ের কোলে দেখে দুজনই চমকে উঠল। অবাক হয়ে বলল, কি হয়েছে ঝুমের?
-” জানি না হঠাৎ দেখি অজ্ঞান হয়ে গেছে। বাসায় চল আমি ও’কে নিয়ে আসছি।

দাঁড়াল না কেউ। দ্রুত হেঁটে নিজেদের রুমে চলে গেল। ঝুমঝুমিকে বাসার ফ্লোরে শুইয়ে দিয়ে আষাঢ় ওদের রুমে চতুর্দিক দৃষ্টি বুলালো। ফাঁকা রুম প্রায়। খাটের পরিবর্তে চকি, টেবিল ও তিনটি আরএফএল এর চেয়ার, ছোট্ট আলনা। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়া রুমটি প্রায় বেশ অর্ধেক ফাঁকা। গোপনে দীর্ঘনিশ্বাস ছাড়লো আষাঢ়। মায়াময় রমণীর পানে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলল, সব অনুভূতি হয়না প্রকাশিত।
থাক না কিছুটা ব্যক্তিগত।

_____________

মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ভোর হতে না হতেই সচল হলো। সূর্যের তেজ ছড়িয়ে পড়ল ধরণীজুড়ে। তিমির অমাবস্যা ছন্নছাড়া বৃষ্টির পরিবর্তনে সকালে তেজস্রি সূর্য। আরমোড়ে ঘুম ভাঙ্গলো ঝুমঝুমির। ঘড়ির কাঁটায় তখন নয়টা চল্লিশ মিনিট। ফজরের নামায কাযা হলো। দুপাশে তৃষ্ণা-নীরাকে দেখতে না পেয়ে হাঁক ছাড়ল। রান্নাঘর থেকে ছুটে আসলো দুজন।
-” ডাকছিস কেন?
-” আমায় ডাকলি না কেন? ফজরের নামাজ পড়েছিস তোরা? বলে তো মনে হয় না।
-” আমরা নামাজ আদায় করেছি। তুই ঘুমাচ্ছিস তাই ডাকিনি।

ক্ষেপে উঠল ঝুমঝুমি। বলল, কেন? ঘুমালে ডাকা যায়না?

নীরা বলল, রাতে অজ্ঞান হয়ে পড়ছিলি চেহারায় ক্লান্তিভাব তাই ডাকতে ইচ্ছে হলো না।

তরকারি পুড়ে যাওয়া ঘ্রাণ নাকে ঠেকল দুজনে দৌড়ে চলে গেলে সেখানে। ঝুমঝুমি ফ্রেশ হয়ে ফোনটা হাতে নিতে যাবে তখনই মায়ের ফোন আসলো। রিসিভ করে কথা বলতেই ওর মা কেঁদে উঠল, তাড়াতাড়ি বাসায় আয় মা। ঝর্ণার খুব জ্বর,মাথা ব্যাথা।

এক মুহুর্ত সময় নষ্ট করলো না ঝুমঝুমি। বান্ধবীদের বলে ছুটল মামার বাসায়। কতবার নিষেধ করেছে বৃষ্টিতে না ভিজতে কিন্তু ঝর্ণা কথা শুনে না। অসময়ে জ্বর নিমন্ত্রণ করে এনেছে। ছোট বোনের প্রতি, রাগ, ভালোবাসা,মায়া, দুর্বলতা ক্রমে-ক্রমে বেড়ে চলেছে।

___________

জলপট্টি দেওয়ার ফলে ঝর্ণার শারীরিক অবস্থা আগের থেকে ভালো। ডক্টরের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর মেডিসিন দিয়েছে অনেকগুলো। ঝর্ণা মেডিসিনের ঘ্রাণ সহ্য করতে পারে না বমি করে দেয়। মুখ ভার করে বড় বোনের উদ্দেশ্য বলে, আমি এমনিতেই ভালো হয়ে যেতাম ডক্টর দেখালে কেন? ছি কি বিশ্রী ঘ্রাণ ইয়াক থু-থু।

রাগী দৃষ্টিতে তাকাল ঝুমঝুমি। বোনের রাগান্বিত দৃষ্টিতে ভয় পেয়ে চুপসে গেল। ঝর্ণার মাথায় হাত বুলিয়ে মায়ের উদ্দেশ্য বলল ঝুমঝুমি, আমি যাই মা। এখান থেকে সোজা টিউশনিতে যেতে হবে।
-” সকাল থেকে কিছু খেলিনা। আমি ভাত আনছি খেয়ে যা।

মাকে নিষেধ করল ঝুমঝুমি। হেসে বলল, তোমার ভাইয়ের সংসারের ভাত আমার পেটে হজম হবেনা মা। যখন সুখে ছিলাম তখন আমরা ছিলাম রাজকন্যা কিন্তু দুঃখের সময় বোঝা । বাদ দেও যাই আমি।

রাবেয়া খাতুন এদিক দিয়ে যাচ্ছিলেন ঝুমঝুমির কঠিন কথা শুনে থেমে গেলেন। রুমের ভিতরে ঢুকে টিটকারী মে’রে বললেন, ন’ষ্টা মেয়ের আবার মানসম্মান। বাপের বাড়িতে ঠাঁই মিলেনি, চাচারা লা’ত্থি মে’রে বিদায় করেছে ন’ষ্টা’মি করার জন্য। মেঘের বাপ সহজ-সরল তাই থাকতে দিছে। আমাদের অন্ন খাচ্ছিস আবার আমাদেরই বদনাম করছিস। আমার ছেলেটা একদম বাপের মত হইছে তানাহলে এই ন’ষ্টা মেয়েকে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়।

ধৈর্য নিয়ে কথাগুলো গিললো ঝুমঝুমি। চোখজোড়া বন্ধ করতেই আষাঢ়ের বলা কথাগুলো কানে বাজলো মুহূর্তেই চোখজোড়া সজাগ হলো। রক্তিম চোখে মামীকে দেখে বলল, আমি ন’ষ্টা নই মামী, ন’ষ্টা হলো এই সমাজ। দোষ-গুণ বিবেচনা না করে মেয়েদের চরিত্রে কালি লাগানো আমাদের সমাজের বিচার। ধ’র্ষি’তা মেয়েদের অপবাদ না দিয়ে ধ’র্ষ’ক’দে’র মৃ’ত্যু’দ’ণ্ড কার্যকর করা উচিৎ। একজন মেয়ে নিজ থেকে গিয়ে বলে না আমার ধ’র্ষ’ণ করুন বরং একজন পুরুষ তার পুরুষত্ব অন্যায় ভাবে ব্যাবহার করে আমাদের মত মেয়েদের সম্মান নষ্ট করে। ধ’র্ষি’তা হয়েছি বলে মানসম্মান থাকবে না কেন? তবে যদি বলো লাজ-লজ্জা নেই তাহলে সেটা মানা যায়। লাজলজ্জা থাকলে কবেই এখান থেকে চলে যেতাম। তোমার ছেলেকে বলবে বারবার অপমান করার পরেও আমায় বিয়ে করতে চায় কেন? নাকি পুরুষত্বে সমস্যা আছে। ডক্টর দেখাতে বলো।

এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে চলে যায় ঝুমঝুমি। রাবেয়া খাতুন হাসফাঁস করতে থাকেন ঝুমঝুমির কথা শুনে। কপাল থাপ্পড়ে বলেন, আমার ছেলেকে এই কালনাগিনী বশ করেছে। কবিরাজের কাছে যেতে হবে। কালনাগিনী ছো’ব’ল মা’রা’র আগেই আমার ছেলেটাকে ভালো করতে হবে।

_____________

রাস্তায় একমনে হেঁটে চলেছে ঝুমঝুমি। মনের ভিতরে আ’ঘা’ত দাউদাউ করে জ্বলে-পুড়ে দগ্ধ হচ্ছে। সহজেই তো বলল ওর মানসম্মান আছে সত্যি বলে আদতে কী ওর মানসম্মান আছে? যদি থাকতো তাহলে এত লাঞ্ছনা,অপমান,তিরস্কার, গঞ্জনা,অবহেলা,ঘৃনা,অপবাদ মাথায় নিয়ে বেঁচে থাকতে পারতো? অন্য কোনো মেয়ে হলে এতদিনে সু’ই’সা’ই’ড করে বসত। মাঝে-মধ্যে ওর বাঁচতে ইচ্ছে করে না,একদমই না কিন্তু মা ও বোনের কথা ভেবে বাঁচতে হচ্ছে। বিষাদের ছায়া মাথায় নিয়েও সমাজের সাথে তর্কাতর্কি করে ওর বাঁচতে হচ্ছে। নিতে পারছে না আর,শান্তির দরকার খুব। কল্পনায় ব্যাস্ত ঝুমঝুমি তখনই ঝড়ের গতিতে কেউ একজন ধাক্কা দিয়ে সাইডে সরালো। ঝুমঝুমির খেয়াল হলো সে ভাবতে-ভাবতে মাঝ রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল। কে বাঁচিয়েছে দেখার জন্য সামনে তাকাতেই আষাঢ়কে দেখতে পেল, রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর পানে।
-” এই মেয়ে সমস্যা কি তোমার? দেখেশুনে হাঁটতে পারো না? চোখ কোথায়,মন কোথায়? গতরাত থেকে দেখছি তুমি আপসেট হয়ে আছো। কী হয়েছে তোমার?
-” আপনাকে বলতে আমি বাধ্য নই।

ঝুমঝুমির দৃঢ় বাক্য। আষাঢ় সময় নিয়ে নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল,ওকে বলতে হবে না। বাসায় যাবে?
-” না কালিপাড়া মোড়ে যাব।
-” বাইকে বসো নিয়ে যাচ্ছি।
-” আমি হেঁটে যেতে পারব।
-” দেখলাম তো কত হেঁটে যাচ্ছিলে। একটুর জন্য হেঁটে-হেঁটে উপরে চলে যাচ্ছিলে। উঠো না হলে তোমাকে মাঝরাস্তায় নিয়ে যাব গাড়ি আসবে খুব সহজেই দুজনে টাটা বাইবাই হয়ে যাব।

ঝুমঝুমি এদিক-ওদিক তাকালো দূরে মেঘকে আসতে দেখে আষাঢ়ের বাইকে উঠে বসল। তাড়া দিয়ে বলল,
-” তাড়াতাড়ি চলুন আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।

চোখ ছোট-ছোট করে বলল আষাঢ়, একটি আগেই তো বললে হেঁটে যেতে পারবে এখন আবার তাড়াতাড়ি। বুঝিনা বাপু মেয়েদের মন আল্লাহ কী দিয়ে বানাইছে। মন তো নয় যেন আকাশের রঙ।

বাইক ছাড়ল আষাঢ়। ঝুমঝুমি চুপচাপ বসে রইল। ক্ষুধার জ্বালায় পেট ব্যাথা করছে। বাইক থেকে নেমে আগে কিছু একটা মুখে দিবে।

##চলবে,

[গল্পটি বুঝতে আপনাদের অসুবিধে হচ্ছে? মেঘকে বিয়ে না করার কারণ আপনজনদের প্রতি অবিশ্বাস। গল্পটি না বুঝার কারণ আমি খোঁজে পাচ্ছি না।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here