#ফেমাস_বর🙈
#পার্ট_৩
#লেখিকা_রামিসা_মালিয়াত_তমা
খালুর কোনো শার্টই তো আমার হচ্ছেনা রে তমু।(আদনান বলে উঠল)
তমা-তো আমি কী করব?এমন হাতির মতো বডি বানাইসেন কেন?
আদনান-কী আমার বডি তোর হাতির মতন লাগে?লিসেন পিচ্চি,তোর কোনো ধারনাও নাই আমার এই বডির জন্য আমার উপর কত হাজার হাজার মেয়েরা ক্রাশ খায়।লাইক ফর মাই সিক্স প্যাক,হাজার হাজার মেয়েরা আমার জন্য পাগল।
আদনানের কথা শুনে তমা অনেক লজ্জ্বা পেল।
তমা-আস্তাগফিরুল্লাহ,নাউজুবিল্লাহ!এই লোক এইসব কী বলে?এই লোকের কী কোনো লজ্জ্বা-শরম নাই?আমারে উনার সিক্স-প্যাক নিয়ে বলতেসে,আল্লাহ!এই লোকের কী হবে!(মনে মনে)
এদিকে তমার লজ্জ্বা পাওয়া দেখে আদনানের খুব মজা লাগছে।বেচারী শ্যামলা ঠিকই মানে উজ্জ্বল শ্যামলা কিন্তু লজ্জ্বা পেয়ে বেচারীর মুখ যে লাল বর্ণ হয়ে গেছে তা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।
আদনান-আহা,এভাবে লজ্জ্বা পাইসনা তমু,নিজেকে কন্ট্রোল করতে খুবই কষ্ট হয় রে।তোর এই গাল দুটো কে নিজের করে নিতে যে বড্ড ইচ্ছে করছে।বড্ড!
কিন্তু এখন আমি তা করবনা,সময় আসুক তোর থেকে সবকিছু সুদে আসলে উসুল করব!(মনে মনে)
হা করে দাঁড়ায় না থেকে টি-শার্ট খোঁজ।তারাতারি,কর।কতক্ষন এই ভেজা টি-শার্ট পরে থাকব শুনি?😒
তমার যে হাত পুঁড়ে গেছে সেটা এখনো কেউ দেখেনি।হাতের ব্যাথা নিয়েই তমা টি-শার্ট খুঁজছে।বেচারি দাঁতে দাঁত চেপে ব্যাথা সহ্য করছে।
তমা-এই যে একটা পেয়েছি,দেখেন তো এটা আপনার হয় কিনা।(একটা গেন্জি ধরে বলল)
আদনান-হুম,এটা মনে হচ্ছে হবে দে তো পরে দেখি।
এই বলে আদনান যেই শার্টটা খুলতে নিবে সাথে সাথে তমা চিৎকার দিতে গেলে আদনান মুখ ধরে ফেলল।তমাকে পিছন থেকে এক হাত দিয়ে ধরে ওর মুখ ধরে বলল,
আদনান-চুপ,একদম চুপ।চিৎকার করতেসিশ কেন?এখানে চিৎকার করার কী আছে?
আদনানের এতো কাছে এসে তমার দম আটকে যাওয়ার মতন অবস্হা।তার উপর তমার খুব অসস্তিও লাগছে।
আদনানের প্রত্যেকটা নি:শ্বাস তমার মুখে পরছে।তমা যেন আদনানের প্রত্যেকটা নি:শ্বাস উপভোগ করতে পারছে।
তমা-আআদদনা…(কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে উঠল)
কিন্তু আদনান থামিয়ে দিল।
আদনান-হুস,কোনো কথা হবেনা।একদম চুপ!(নেশা ভরা কন্ঠে বলে উঠল)🤤
এদিকে তমার খানিকটা ভয়ও লাগছে।তাদেরকে এই ভাবে কেউ দেখলে যে কেউ ভুল বুঝবে।আর যদি দিনা দেখে তাহলে তো পুরা গুষ্টি রে জানায় ছাড়বে।
খানিক পর আদনানের হুস আসল আর হুস আসার সাথে সাথে তমাকে ছেড়ে দিল।আদনান একটু বিব্রতিকর অবস্হায় পরল।তাই পরিস্থিতি বদলানোর জন্য তমাকে বলল,
আদনান-তমু,যা তো একটা টাওয়েল এনে দে।গায়ে কফি পরাতে কেমন যেন লাগছে।একেবারে শাওয়ারই নিয়ে ফেলি।
তমা মাথা নেড়ে টাওয়াল আনতে চলে গেল।আর আদনান ভাবতে লাগল যে আজ যদি তার ঠিক সময় হুস না আসতো তাহলে সে যে কী করে ফেলতো তা সে নিজেও জানেনা।এরই মধ্যে তমা টাওয়াল হাতে ঘরে ঢুকল।এসবকিছু দেখে তমার তার হাতের ব্যাথার দিকে কোনো খেয়াল নেই।
তমা-নিন আদনান ভাই ধরুন।(টাওয়াল এগিয়ে দিয়ে বলল)
এই বলে যেই তমা ঘর থেকে বের হতে নিবে সাথে সাথে আদনান তমার হাত চেপে ধরল।তমার হাতে এমনিতেই ফোস্কা পরা ছিল,চাপ দেওয়ার ফলে হাত থেকে রক্ত গড়িয়ে পরল।তমা ব্যাথায় আহ করে উঠল।এদিকে রক্ত দেখে আদনান তমাকে তারাতারি করে বিছানায় বসাল।তমার অবস্থা দেখে আদনান পাগলের মতন করতে লাগল।
আদনান-কীভাবে হইসে এটা?(শান্ত গলায় বলল)
ব্যাথার চোটে তমার চোখ দিয়ে দু ফোটা পানি পরল।
তমা-আরে তেমন কিছুনা ভাইয়া!(চোখ মুছে বলল)
এই বলে হাত দুটো সরিয়ে নিতে চাইলে আদনান আস্তে করে ধরে ফেলল।
আদনান-আমি জিজ্ঞেস করেছি কীভাবে হয়েছে।এন্সার মি!(ধমক দিয়ে বলল)
তমা-আপনার সাথে ধাক্কা খেয়ে হাতে কফি পরে গিয়েছিল।(ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলে উঠল)
আদনান বুঝল যে তমা এতক্ষন দাঁতে দাঁত চেপে ব্যাথা সহ্য করছিল।আদনানের খুবই রাগ উঠল।এই মেয়ের কী হবে? (তমা খুবই চাপা স্বভাবের।মুখ ফুটে কখনো কিছু বলবেনা)
আদনান কোনোমতে রাগ সামলে বলে উঠল,
আদনান-এখানে চুপ করে বসে থাক।আমি আসতেসি।
তমা কিছু বলতে যেয়েও বলতে পারলনা।তার আগেই আদনান ঘর থেকে বের হয়ে গেল।আর তমা আদনানের যাওয়ার দিকে চেয়ে রইল………………………….
(কালকের পর্ব বিশাল বড় করে দিব,এতো বড় যে আপনারা ভাবতেও পারবেননা😁)
চলবে,,,,,,,,,