“ফেমাস_বর🙈 পর্ব_৪

#ফেমাস_বর🙈
#পর্ব_৪
#লেখিকা_রামিসা_মালিয়াত_তমা
তোর মাথায় যে আসলে কিছুই নাই গোবর ছাড়া সেটা তুই আজকেই পরিমাণ করলি।অসভ্য একটা।হাত যে তোর পুড়ে গেসে সেটা কী আমাকে বলা যাইতোনা?বললে কী তোরে খেয়ে ফেলতাম?(আদনান শান্ত গলায় বলল)

তমা-আমি ভাবসিলাম আপনাকে টি-শার্টটা দিয়েই ঔষধ লাগায় ফেলব আর তাছাড়া আমার কাছে ব্যাপারটা তেমন সিরিয়াস মনে হয় নাই,তাই…(ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলতে লাগল)

আদনানের তমার কান্না দেখে খুবই মায়া হলো।ইশ না জানি মেয়েটা কত ব্যাথা সহ্য করে কাজ করছিল।

আদনান-হইসে আপনাকে আর ইতিহাস ব্য্যখা করতে হবেনা।এই যে ঔষুধ লাগিয়ে দিলাম এখন চুপচাপ গিয়ে শুয়ে থাকবি।একদম তিরিং বিরিং করবিনা।(হাতে ব্যান্ডেজ লাগাতে লাগাতে বলল)

তমা-আরে তেমন কিছু হয়নি আদনান ভাই,হাত ছাড়েন!আমি যাই আপনার জন্য কফি বানায় আনি।তখন তো কফিটা খাইতেই পারলেন না।

আদনান-এই খবরদার,যদি এক বার রান্না ঘরের দিকে পা বারাইসিস তো তোর কিন্তু খবর আসে।আমি দিনাকে বলতেসি কফি দিতে।তুই গিয়ে এখন চুপচাপ রেস্ট নিবি।এন্ড আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু হেয়ার এনিথিং এল্স এবাউট দ্যাট।গট ইট?

তমা-দিনা আপুর হাতের কফি?তাইলে আজকে আদনান ভাইয়ের আর কফি খাওয়া হবেনা,কারণ দিনা আপুর কফি তো কফি না।মিল্কশেইক।আর আদনান ভাই যে স্ট্রং ব্ল্যাক কফি খায়।আজকে দিনা আপু বাঁশ খাবে।😣
(মনে মনে)

তমা আর কিছু বলতে যেয়েও পারলনা।কারণ,তমা জানে আদনানের সিরিয়াস মোমেন্টেও শান্ত গলায় কথা বলার মানে হচ্ছে সে খুব রেগে আছে।তাই এখন যদি তমা কিছু বলতে যায় তাহলে আদনানের হাতে চড় খাওয়া থেকে তমাকে আর কেউ বাঁচাতে পারবেনা।

আদনান-চল আমার সাথে।তোরে ঘরে শুয়ায় দিয়ে এসে তারপর আমার অন্য কাজ।কাম উইথ মি।

তমাও বাধ্য মেয়ের মতো আদনানের পিছে পিছে গেল।নিজের ঘরে এসে চুপচাপ শুয়ে পরল।

আদনান-তুই রেস্ট নে!আমি গেলাম।পরে কথা হবে।

তমা-পরে কথা কীভাবে হবে?আপনারা কী আজকে থাকবেন নাকি?

আদনান-হুম,দিনারা যতদিন থাকবে ততদিন আম্মুও(তমার মামি)থাকবে।আমি শুধু আজকের রাতটা থাকব।

তমা-ওহ,ওকে।

এদিকে দিনা তো আদনানের চোখে তমাকে কীভাবে খারাপ বানানো যায় সেই চিন্তাই করছে।

আদনান-দিনা একটু শুনো তো।

হঠাৎ কারোর আওয়াজ শুনে দিনা একটু চমকে উঠল।কিন্তু পিছনে ঘুরে আদনানকে দেখে সাথে সাথে খুশি হয়ে গেল।

দিনা-আরে জান্টুস,তুমি বাইরে দাঁড়ায় কথা বলতেসো কেন?ভিতরে এসে বলো কী লাগবে!😃

আদনানের মেজাজ এমনিতেই গরম ছিল।তারউপর এই জান্টুস শুনে আরো গরম হয়ে গেলো।কিন্তু আদনানের এখন এক কাপ কফি খুবই দরকার।তাই সে কিছু না বলে শুধু কফির কথা বলে শাওয়ার নিতে চলে গেল।

দিনা-এই সুযোগ,আমার হাতের কফি খাইয়েই আদনানের মনে জায়গা করে নিব।😎

দিনা রান্নাঘরে কফি বানাতে চলে গেল।নরমাল দুধ,চিনি দিয়ে কফি বানিয়ে আদনানের কাছে গেল।আদনান শাওয়ার নিয়ে মাথা মুছতে মুছতে বের হচ্ছিল।আদনানের চুল দিয়ে টপটপ করে পানি পরছে।আদনানকে এই অবস্হায় দেখে দিনা বলল,

দিনা-ওয়াও,জান্টুস!ইউ আর লুকিং সো হট।

আদনান-শ্যাট আপ!এধরণের চিপ কথাবার্তা আর আমার সামনে বলবানা।কফি আনসো?😒

দিনা-হ্যাঁ,এই যে নাও।খেয়ে বলো তো কেমন হয়েছে।(কফি এগিয়ে য়ে দিয়ে)

আদনান হাত বাড়িয়ে কফিটা নিল।কফিতে চুমুক দেওয়ার সাথে সাথে আদনান মুখ থেকে কফি ফেলে দিল।

আদনান-হোয়াট দ্যা ফা*।এটা কী বানাইসো?এয়াক!দুধ,চিনির কফি?তাও যদি সেটাও হইতো।এটা তো পুরা মিস্কশেক হয়ে গেসে।এয়াক!আর আমিও তো স্টুপিড নাইলে কিনা এই মেয়ের কাসে কফি চাইসি।

দিনা-কেন জান্টুস ?ভালে হয়নি কফি?

আদনান আর কিছু না বলে উঠে চলে গেল।আর দিনা হাবার মত বসে রইল।

চলবে,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here