“বন্ধুর বোন যখন বউ পর্ব – ৮&শেষ

গল্প – বন্ধুর বোন যখন বউ
লেখক – মুসাফির
পর্ব – ৮
আমি – ওকে ঠিক আছে আমি আম্মু আব্বুকে আসতে বলি।
শাহিন – হ্যা তাই কর…
তারপর আমি আব্বু আম্মুকে ফোন করে চলে আসতে বললাম বিকেলেই চলে আসলো।
আম্মু – কি হয়েছে এতো তাড়াতাড়ি আসতে বললি যে…??
আমি – আমি কিছু বলতে পারবো না শাহিন এর কাছে শুনো কি হয়েছে..
আম্মু – কেন তুই বললে কি হবে…??
আমি – আমি বলতে পারবো না..
আম্মু – আচ্ছা তোর বলতে হবে না। শাহিন বাবা বলতো কি হয়েছে..???
শাহিন – আসলে আন্টি তামজিদ আমার বোন নীলা কে ভালোবাসে আর নীলা তামজিদ কে। তাই ওরা বিয়ে করতে চাই…
আম্মু – শাহিন যা যা বলেছে সব সত্যি..???
আমি – মা মা….মানে হয়েছি কি মা…
আম্মু – চুপ মানে বাদ দিয়ে বল সত্যি নাকি..???
আমি – হ্যা…
আম্মু – আগে আমাদের বললি না কেন…??
আমি – ভয় পেয়ে…
আম্মু – কেন..??
আমি – যদি কিছু বলো..
আম্মু – যা বাপের মতো ভিতু হয়েছে। ঠিক আছে তা আমার বউ মা কে আমি দেখবো না..??
আমি – হ্যা অবশ্য ও তো এই বাসায় আছে…
শাহিন – জি আন্টি আজকেই আসছি।

তারপর বিয়ের তারিখ টা ঠিক হয়ে গেলো। আমার নীলার বিয়েটা হবে ২৩ই নভেম্বর ২০১৮। তাই বন্ধুরা আপনাদের সবার দাওয়াত রইলো কেউ আসলে কিন্তু রাগ করবো তাই কেউ আসবেন না

দেখতে বিয়ের দিনটাও চলে আসলো। আমাদের বিয়েটা হয়ে গেছে আজকে আমাদের বাসর রাত। কিন্তু আমি খুব ভয় এ আছি কারন টা হচ্ছে নীলার সাথে কয়েক দিন ধরে কথা বলি না না জানি আজকে কি করবে।

তারপর ভয়ে ভয়ে রুমে প্রবেশ করলাম দেখি বউ আমার ঘুমটা দিয়ে বসে আছে। আমি কাছে গিয়ে খাটে বসতে তখনি নীলা বলে উঠলো
নীলা – খবর দার খাটে বসবে না…??
আমি – আমি আমার খাটে বসতে পারবো না….??
নীলা – আজকে থেকে সব কিছু আমার তুই এই রুমে ও থাকতে পারবি না যা বেড়িয়ে যা….
আমি – আমি প্লিজ এমন করো না আমি এখন যদি রুম থেকে বেড়িয়ে যায়
মানসম্মান আর থাকবে না প্লিজ….?
নীলা – তাতে আমার কি..??
আমি – তুমার কি মানে আমি তুমার স্বামী..?
নীলা – যা ফুট তোকে আমি স্বামী মানি না যা আমার ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুমাবো তুই যা মন চাই কর যা।
আমি – ঠিক আছে।

রুমের এক কুনে এক প্যাকেট সিগারেট লুকিয়ে রাখা ছিলো সেটা বের করে নিয়ে বেলকানিতে চলে আসলাম। হায় রে হায় কপাল আমার প্রেম করে বিয়ে করলাম তাও বউ বলে স্বামী হিসেবে আমি না।
আমার মাথায় একটা শয়তানি বুদ্ধি এসে গেল মেয়েরা তো তার ভালোবাসার মানুষ কে অন্য মেয়ের সাথে সহ্য করতে পারে না হ্যা চেষ্টা করে দেখি
আবার রুমে চলে গেলাম
আমি – ওই নীলা আমি যাচ্ছি রাতে আর আসবো না হয়তো সকালে আসবো…??
নীলা – তুই জাহান্নামে যা..
আমি – হা হা হা জাহান্নামে কেন যাবো আরেক প্রেমিকার কাছে যাবো ওকে আমি আসি।

দেখি লাফ দিয়ে উঠে আমার সামনে
নীলা – তুই কোথায় যাবি বললি…??
আমি – প্রেমিকার কাছে
নীলা – তাহলে আমি কে…??
আমি – তুই তো আমার কেউ না। আহা ওই মেয়েটা আমাকে কত ভালোবাসে
নীলা – তারমানে আমি ভালোবাসি না এটাই তো বলতে চাও ( চোখে পানি এসে হাজির যে কোন সময় বৃস্টি টা নামতে পারে…)
আমি – আমি জানি না তোবে আজকে যা করলে মনে হয় কখনো আমাকে তুমি ভালোবাসো নাই..
নীলা – না সত্যি আমি তুমাকে আমি অনেক ভালোবাসি প্লিজ তুমি অন্য কারো সাথে কিছু করবে না।
আমি – কেন করবো না..??
নীলা – কারন তুমার বউ আছে
আমি – থাকলে আমার কি আমার বউ তো আর আমাকে স্বামী হিসেবে মানে না..
নীলা – কে বলছে মানে না???
আমি – সে নিজেই বলছে
নীলা – তুমার বউ তুমাকে স্বামী হিসেবে মানে আর ভালো ও বাসে ওকে
আমি – আমি জানি সব মিথ্যা কথা
নীলা – এখন কি ভালোবাসার প্রমাণ দিতে হবে নাকি…??
আমি – হ্যা দিতে হবে
নীলা – ওকে চোক বন্ধ করো
আমি – কেন.???
নীলা – ভালোবাসার প্রমাণ দেবো
আমি – ওকে

তারপর আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম
নীলা – খবর দার চোকগ খুলবে না বলছি
আমি – ওকে

তারপর আমি আমার ঠোটে কারো স্পর্শ পেলাম ভালোবাসার স্পর্শ। যে স্পর্শে হারিয়ে গেলাম অনেক গবিরে।
প্রায় ২-৩ তিন মিনিট পর ছাড়লো।আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হাফিয়ে গেছি।
নীলা – এবার প্রমাণ পাইছো
আমি – হ্যা পাইছি।আমার ঘুম পাচ্ছে নীলা ওকে চল ঘুমাই
নীলা – আমাকে কলে কিরে নিতে হবে..
আমি – আমি কিহহহ আমি পারবো না তুই যে মোটু আল্লাহ আমি মরে যাবো
নীলা – কিহহ আমি মোটু..??
আমি – হ্যা তাই তো..
নীলা – উঅওঅঅঅঅঅঅ
আমি – আরে কাদে কেন…??
নীলা – তুই আমাকে মোটু বললি কেন…
আমি – না না তুমি মোটু না আমি মোটু আমার দাদা নানা সব মোটু
নীলা – তাহলে আমাকে কোলে তূলে নে
আমি – না নিলে হয় না বুঝি
নীলা – উঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅ
আমি – ওকে ওকে নিতেছি

ও মাগো কি ওজন মনে হচ্ছে ১০০ কেজি আটার বস্তা
নীলাকে খাটে সুয়ে দিলাম নীলা আমাকে টান দিয়ে খাটে ফেলে দিয়ে নতুন ইতিহাস তৈরি করলো।
এটা আপনাদের না জানলেও চলবে। গল্প শেষ এবার আপনারা আসতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here