” বন্ধুর বোন যখন বউ part – ৫

গল্প – বন্ধুর বোন যখন বউ
লেখক – মুসাফির
part – ৫

আমি – কিন্তু আমি না হয় নীলার জীবন থেকে সরে জাবো কিন্তু নীলা কি পারবে আমাকে ভুলতে…???
শাহিন – তোরা যখন কথা বলছিলি আমি তখন দেখেই বুঝতে পারছি নীলাও তোকে অনেক ভালোবাসে।
আমি – হ্যা আমি কিভাবে এই ভালোবাসার সাথে ধোঁকাবাজি করবো…??
শাহিন – তুই সুধু নীলাকে এই কয়েক দিন অবহেলা করবি কোন কথা বলবি না। ও কোন কথা বলতে চাইলেও তুই কথা বলবি না
আমি – ঠিক আছে তুই যা বলবি তাই হবে কিন্তু দোস্ত জীবনে কোন দিনো নীলাকে ভুলতে পারবো না…😖😖😖
শাহিন – দেখ তুই যদি নীলার জীবন থেকে না সরে যাস তাহলে আমি ও অনেক কষ্ট পাবো
আমি – ঠিক আছে আমি ভুলার চেষ্টা করবো।
শাহিন – তোদের যাদি বিয়ে হয় তখন যদি তুই নীলাকে কষ্ট দেস সেই কষ্ট টা আমি সহ্য করতে পারবো না তখন হয়তো তোর সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা একটু হলেও নষ্ট হবে।

আমি চাই না আমাদের এই সম্পর্কটা নষ্ট হোক

আমি – আমি ও চাই।

শাহিন – তোর মতো বন্ধু পেয়ে আমি গর্বিত। আয় আমার বুকে আয়।
আমি শহিন কে জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগলাম।

শহিন আমাকে অনেক শান্তনা দিলো।
আমি – দোস্ত আমাকে একটু একা থাকতে দিবি.?
শাহিন – কেন…?
আমি – না এমনি ভালো লাগছে না…
শহিন – ওকে। আর হ্যা আমি তোকে যা বলছি এই কথা গুলা নীলাকে বলবি না ওকে।
আমি – ওকে
শাহিন চলে গেল।
ও চলে যাওয়ার পর মুখে বালিশ চাপা ইচ্ছে মতো হাওমাও করে কান্না করতে লাগলাম। জানি ছেলেদের কাঁদতে নেই তবুও না কাঁদলে এই কষ্টটা হালকা হবে না।
তারপর ডাইরিতে কিছু লিখলাম লেখা গুলা এই রকম হলো
প্রিয় নীলা
আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি মাজ রাস্তায় এসে ফিরে যাওয়ার জন্য।

আমি চাই না এই সম্পর্ক টা থাকুক। আমি তোমাকে ভালোবাসি না এতো দিন সুধু অভিনয় করেছি।

তুমার জন্য একটুও ভালোবাসা ছিলো না আমার মনে। সব টাই ছিলো অভিনয়।

তাই আমাকে তুমি ভুলে যাও। যত তাড়াতাড়ি ভুলতে পারবে তোত তুমার জন্য ভালো।
খুদা হাফেজ ভালো থেকে সুখে থাকো।।।
ইতি- চিটার তামজিদ

এই লিখতে গিয়ে এতোটা কষ্ট লাগছে জীবনে কোন দিন এতো কষ্ট কখনো পাইনি।

কিছুক্ষন রুমে একা থাকার পর আমি বাহিরে আসলাম।
বাহির হয়ে গোসল করে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমের টেবলেট খেয়ে ঘুমালাম যাতে নীলার সাথে বিকেলবেলা না যেতে হয়।
তারপর কি হয়েছে আমি জানি না প্রায় রাত ২-৩টার দিকে ঘুম ভাংগলো। আবার ঘুমিয়ে গেলাম।
সকালে ঘুম থেকে ৭ টায় উঠলাম আজকে দেখি নীলাও আগে উঠে গেছে।
কিন্তু নীলার চোখের দিকে তাকিয়ে আমি ভয় পেয়ে গেলাম।।
কারণ ওর চোখ একদম লাল হয়ে আছে হয়তো সারা রাত ঘুমাইনি অথবা রাতে অনেক কান্না করছে নীলা আমার দিকে তাকাতেই আমি অন্য দিকে চেয়ে চলে আসলাম।
আবার রুমে আসতেই নীলা আমার কলার ধরে বললো
নীলা – ওই তোর কি কথা ছিলো তুই ঘুম পারবি নাকি আমার সাথে ঘুরতে বের হবি…?
আমি – ঘুরতে বের হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু আমার ঘুম আসছে তাই ঘুমাইছি..
নীলা – ও আমার থেকে তোর ঘুব বেশি প্রয়োজন হলো তাই না..??
আমি – হ্যা বেশি প্রয়োজন হয়ছে তাই তাই তো ঘুমিয়ে ছিলাম।
নীলা – ভালো ওকে ঘুমা বেশি করে ঘুমা তুই আর আমার সাথে কথা বলবি না।
আমি – আমার যখন ঘুম পাবে তখন ঘুমাবো।
নীলা – তুই জানস কালকে সারা একটু ও ঘুম পারিনি সারা রাত কান্না করেছি…
আমি – আজব আমি বলেছি নাকি কান্না করতে..??
নীলা – ওও তাই তো আমি কেন কান্না করেছি আর কান্না করবো না।
বলেই চলে গেলো। সারাদিন আর নীলার সাথে দেখা হলো না।
রাতে ও অনেক রাত করে আমি আর শাহিন বাসায় আসলাম সকাল হলেই ঈদ।
রাতে এসে খাবার খেলাম নীলা বার বার আমার সামনে দিয়ে ঘোরাফেরা করতে লাগলো।
হয়তো কিছু বলবে আমি ওর দিকে তাকালাম না। তারপর রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে উঠে আবারো কালকের মতো এক রকমি আজকেও নীলার চোখ লাল মনে হচ্ছে চোখে রক্ত জমে আছে….
শাহিন – ওই নীলা এই দিকে আয় তো..??
নীলা – হ্যা ভাইয়া বল….?
শাহিন – তোর চোখে কি হয়েছে এমন লাল হয়েছে কেন..??
নীলা – না কিছুনা ( আমার দিকে চেয়ে বললো)
শাহিন – সত্যি কথা বল কি হয়েছে.??
নীলা – আরে আমি বললাম তো কিছু হয়নি।।।
আমি বুঝেও না বুঝার ভান করে রইলাম।
আমি আর শাহিন গোসল করে বেড়ি হয়ে গেলাম। নীলা বার বার আমার সামনে দিয়ে ঘোরাফেরা করতে লাগলো আমি কিছু বললাম না যেই আমি একা রুমে আসলাম ও আমার সাথে এসে আমার কলার চেপে ধরে বললো…
নীলা – তুই কি ভেবেছিস কেন আমাকে এভাবে এড়িয়ে চলস কিছু বলস না। আমি কিছু বলতে চাই সেটা বুঝেও না বুঝার ভান করে থাকস কেন কেন..??

আমি – সব সময় কি তুমার কথা শুনতে হবে নাকি..?
নীলা – তুমি আমাকে ভালোবাসো না..????
আমি -……….
নীলা – কি হলো চুপ কেন…
আমি………….
নীলা – আমি কিছু জিজ্ঞাসা করেছি..???
আমি – না বাসি না ভালো হয়েছে এবার…..
নীলা – অভাক হয়ে করুণ দৃস্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো।
তারপর ঠাসসসসস করে ২ টা থাপ্পড় দিয়ে চলে গেল।
তারপর ঈদ এর নামাজ পরে
মিথ্যা কথা বললাম
আমি – শাহিন বাসা থেকে ফোন দিছিলো আব্বার শরীর খুব অসুস্থ হয়ে পরেছে আজকেই আমাকে ঢাকা যেতে হবে।
শাহিন- আজকেই মানে.????
আমি – হ্যা আজকেই মানে আজকেই..
শাহিন – আজকে কিভাবে যাবি তুই..??
আমি – আমি জানি না আমকে আজকে যেভাবেই হক যেতে হবে…?
শাহিন – ঠিক আছে আমি তোর সাথে যাবো….
আমি – না তোর যেতে হবে না…
শাহিন – তুই একা কিভাবে জাবি..
আমি – আমি এখনো ছোট না তাই হারিয়ে যাবো আমি চলে যেতে পারবো..

চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here