“বন্ধুর বোন যখন বউ part -3

গল্প – বন্ধুর বোন যখন বউ
part -3
লেখক – মুসাফির
আমি – আমার মনে হয় সে আমাকে ভালোবাসে না ধোকা দিছে আমাকে 😨😨😨
নীলা – ওই আমার বান্ধুবী ধোঁকাবাজ না ওকে
আমি – একশবার ধোঁকাবাজ আমাকে আগে তো বলেছিলো দেখা করলে এই টা করবে ওই টা করবে আর এখন আমার সামনেই আসে না…
নীলা – সামনে আসে নাই তারমানে এই নই যে ভালোবাসে না
আমি – ভুলটা আমারি এই রকম বরিশাল্লা মেয়ের পরেছি…
নীলা – এখন কিন্তু রাগ উঠলে খবর আছে যে নিজের গালফ্রেন্ড কে সামনে দেখেও চিনতে পারে তার মুখে আবার বড় বড় কথা।
আমি -আমি দেখছি মানে….??
নীলা – কিছুনা আমি যায়
আমি – ওই একটা কথা
নীলা – হ্যা বলেন..?
আমি নীলার হাতে একটা শাড়ী চুড়ি আরো অনেক কিছু আরকি মেয়েদের সাজুগুজু করার জিনিষ দিলাম।
আমি – এই গুলা তানজিল কে দিয়ে দিবে
নীলা – যদি কিছু মনে না করেন তাহলে একটা কথা বলি..??
আমি – হ্যা
নীলা – এই গুলা তানজিল কে দেবো না..
আমি – কেন..??
নীলা – আমার ভালো লাগছে আমি নিয়ে নিলাম ওকে
আমি – মানে কি আমি এই গুলা তানজিল এর জন্য আনছি তুমি কেন নিবে…?
নীলা – মন চাইছে তাই
আমি – আমি এই গুলা ফিরিয়ে দাও আমি তুমাকে কালকেই কিনে দেবো
নীলা – নাহহ আমার এই গুলাই লাগবে
আমি – আমি প্লিজ নীলা – এমন করো না
নীলা – সরেন তো কাঁদলেও কোন লাভ হবে না আমি দেবো না ওকে
এই কথা নীলা চলে যেতে লাগলো। ওমনি শাহিন আসলো শাহিন – কিরে নীলা এই গুলা..??
নীলা – ভাইয়া এই গুলা তামজিদ ভাইয়া আমাকে গিফট করছে
শাহিন – ওও ওই হালা এই গুলা কখন কিনলি আমাকে তো বললি না..
আমি – না এই গুলা ও

আর কিছু বলতে পারলাম নীলা আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো সত্যি কথা বললে মনে হয় আমাকে একদম খেয়ে ফেলবে।
ও চলে গেল শাহিন রুম থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে তানজিল ফোন দিলো
আমি – হ্যালো
তানজিল – কি কর
আমি – কিছুনা তুমি.??
তানজিল – কিছুনা। এই কালকের পরের দিন তো ঈদ তাহলে আমাকে কোন গিফট দিবে না…??
আমি – এনেছিলাম কিন্তু তুমার বান্ধুবি নিয়ে নিছে..
তানজিল – আমার বান্ধুবি নিয়ে নিছে মানে..??
আমি – তুমার বান্ধুবী একা ডাকাত সব কিছু ছিন্নতাই করে নিয়ে নিছে..
তানজিল – ওই একদম আমার বান্ধুবীর নামে উল্টাপাল্টা কথা বলবে না বলে দিলাম
আমি – ও ডাকাতি করেছে আর আমি সেটা বললেই দোষ তাই.না.
তানজিল – আমি জানি তুমি এই গুলা ইচ্ছে করেই দিয়েছো নীলা আমাকে সব কিছু বলেছে আমি – কিহহহ ও বলেছে আমি সব কিছু আমি নিজে নীলাকে দিছি..??
তানজিল – হ্যা বলছে। আসলে তুই আমাকে ভালোবাসোস না সুদু উপরে উপরে ফাপর দেস

আমি মোবাইল এ কথা বলতে বলতে বাহিরে বের হয়ে নীলার রুম এর সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম আমার মোবাইল এ যে কথা গুলা আচ্ছিলো এই কথা নীলার রুমে হচ্ছে। আমি ভালো করে শুনে তো পুরাই টাস্কি তারমানে নীলাই হচ্ছে তানজিল

আমি – হ্যা ভালোবাসি না তুমার সাথে আর কোন কথা নাই ওকে বাই।
বলেই ফোন কাট।
আমি তারমানে নীলা আমার কাছে তার নাম মিথ্যা বলেছে।
আমি আবার রুমে চলে গেলাম। তাই তো বলি এই মেয়েটা আমার সাথে এমন করে কেন আরেক বার আসো চান্দু কি করি দেখো বলতে বলতেই হাজির..
নীলা – ওই আপনি তানজিল কে কি বলেছেন যে কান্না করতেছে…
আমি – ওও তাই নাকি তানজিল কান্না করতেছে বুঝি…?
নীলা – ও আমাকে ফোন করে অনেক কান্নাকাটি করলো..?
আমি – এখন ফোন দাও তো তানজিল কে..
নীলা – কেন..??
আমি – তানজিল এর কান্না শুনবো
নীলা – মেজাজ গরম করবেন তাড়াতাড়ি ওর রাগ ভাংগান তা না হলে খরব আছে বলে দিলাম আমি – তাই বুঝি….?
নীলা – হ্যা
আমি – ঠিক আছে আদর করে রাগ ভাংগাই তাহলে

বলেই নীলা নামের তানজিল কে জরিয়ে ধরলাম

নীলার মুখ শুকিয়ে গেলো
নীলা – ওই আমাকে আপনি জরিয়ে ধরেছেন কেন ছাড়েন…
আমি – রাগ কমেছে..?
নীলা – রাগ আমার হয়নি তানজিল এর হয়েছে
আমি – এতোদিন লুকিয়ে থাকার মানে কি…?
নীলা – লুকিয়ে থাকার মানে কি সব বলছেন আপনি
আমি – তানজিল কে..?
নীলা – আমার ফ্রেন্ড
আমি – তুমি কে
নীলা – আমি নীলা
আমি – ও ঠিক আছে তানজিল কে ফোন দেই

বলেই ফোন দিলাম নীলার ফোন বেজে উঠলো।

আরে আরে এটা তো আমার নাম্বার আমি তানজিল কে ফোন দিলাম তুমার টাই গেলো কেন। মনে হয় ভুল হয়েছে আবার দেই
আবারো নিলার ফোন বেজে উঠলো।
নীলা লজ্জাই মাথা নিচে দিয়ে তাকিয়ে রইলো

আমি – উফফ কম্পানি এতো ভুল করে কেন ভুলে শুদু তুমার টাই ফোন যায়।
তানজিল – চুপ কুত্তা নিজের গালফ্রেন্ড কে চিনতে পারছ না…
আমি – এমন কেন করলে আমার সাথে।
নীলা – আসলে একটু মজা করতে চাইছিলাম তুমার সাথে
আমি – যা তুমার সাথে কোন কথা নাই
নীলা – ওকে সরি আমার ভুল হয়েছে আর কখনো এমন ভুল হবে না
আমি – ওকে মনে থাকে যেন।
নীলা – ওকে কালকে শপিং এ যাবো ভাইয়ার সাথে তুমি ও যাবে আমাদের সাথে..
আমি – ওকে
নীলা – চল এবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়

ওকে তারপর খাওয়া শেষ করে আমি রুমে চলে আসলাম। আমার মাজে কেমন জানি একটা চিন্তা ভাবনা আসলো আমি যা করতেছি তা কি ঠিক হচ্ছে ও তো আমার বন্ধুর বোন আমার নিজের বোনের মতো।

শাহিন এর কথাই আমার ভাবানার দেওয়াল ভাঙলো
শাহিন – কিরে কি ভাবতেছিস
আমি – কিছুনা। বল
শাহিন – দেখেছিস আমার বোন কত চঞ্চল আর দুষ্টু
আমি – হ্যা অনেক চঞ্চল
শাহিন – ওর জন্য একটা ভালো ছেলে খোজ তুই ওর বিয়ে দিয়ে দেবো

কথাটা শুনেই আবার মন খারাপ হয়ে গেল।। আমি চুপ হয়ে গেলাম।

শাহিন – আরে কিছু বলস না কেন..

আমি – কি করে তোকে বলি আমি যে তোর বোন কে অনেক বেশি ভালোবাসি আর তুই তার জন্য ছেলে খুঁজতে বলছিস আমার পক্ষে সম্ভব না ( মনে মনে বললাম)
শাহিন – আচ্ছা তুই মনে মনে কি এতো ভাবস বল তো সব সময় দেখি তুই গবির চিন্তায়
আমি – না তেমন কিছুনা

এমন সময় নীলা রুমে আসলো
নীলা – ভাইয়া আমার তুমার সাথে কিছু কথা ছিলো..
শাহিন – বল
নীলা – ভাইয়া ওই রাজ নামের ছেলেটা আছে না..
শাহিন – হ্যা কি কররেছে ও…?
নীলা – আমাকে ফোন করে কি সব বলতেছে আমাকে নাকি ভালোবাসে আর মাজে মাজেই ফোন দিয়ে ডিস্টার্ব করে
শাহিন – ওকে আমি দেখতেছি তুই যা।
নীলা চলে গেল

চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here