বিধুর রজনী পর্ব -০২

#বিধুর_রজনী
#পলি_আনান
[পর্ব সংখ্যা ২]
_________________
” ওহে শুনেছি শেহজাদীর বিয়ে ভেঙ্গেছে।এবার এই অত্যাচারী সম্রাটারের নাক কা’টা গেলো তবে।”

” ভুল শুনেছেন আপনি,শেহজাদীর বিয়ে শেহজাদী নিজে ভেঙ্গেছেন।শুনেছি বরের নাকি দোষ আছে।”

” দোষ!কি দোষ?নিশ্চই চরিত্রের দোষ।”

” তা জানি না বাপু।”

দু’জন বৃদ্ধার কথার মাঝে এগিয়ে এলো একজন দ্বাররক্ষক।

” এই আপনারা বসে বসে আলাপ না করে দ্রুত খেয়ে বিদায় হন।সম্রাটের নির্দেশ আছে কয়েক ঘণ্টার মাঝে প্রাসাদ খালি চাই।”

দ্বাররক্ষক ফের অন্যদের তাড়া দিলেন।আজ শেহজাদী আরওয়ার বিবাহ উপলক্ষ্যে রাজ্যের প্রত্যকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়।প্রাসাদের ঈশান কোণে গ্রামের দরিদ্র সদস্যদের ভোজনের আয়োজন চলছিল কিন্তু শেহজাদীর বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ সম্রাট আব্বাস।তাই যত দ্রুত সম্ভব ভোজনের আয়োজন বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

শেহজাদী আরওয়ার বিয়ে ভে/ঙ্গে যাওয়া নিয়ে দাস-দাসী,পেয়াদা,দ্বাররক্ষক সবারি ইশারা ইঙ্গিতে আলোচনা সমালোচনা চলছে।অপরদিকে ক্ষুদ্ধ সম্রাট কক্ষের দ্বার দিয়ে নিজেকে বন্দী রেখেছেন।সবার ব্যস্ততার মাঝে আজ প্রাসাদ অরক্ষিত।রাজমহলের ভেতর একটা পিপড়ার চলাচল যেখানে সবার নজরে আসে সেখানে আজ এক আগন্তুক মহলের চারিদিকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অথচ সেদিকে কারো ইয়াত্তা নেই।

দিনমণি’র সমাপ্তি জানিয়ে মেদিনীতে নেমে এলো ঘোর অন্ধকার।এক ফালি চাঁদ যেন আকাশের বুকে আজ ফিকে হাসছে।তার সঙ্গ দিয়েছে নক্ষত্রেরা।তারা হাসছে কেন?নিশ্চই শেহজাদীর বিয়ে ভাঙ্গায়?অত্যাচারী, ব-র্বর শেহজাদীর জীবনে কলঙ্ক লেপ্টেছে এই বলেই কি হাসছে চাঁদ তারারা?ওই যে সুন্দর চাঁদ! তার গায়েও কিন্তু দাগ আছে সে কথা আর কে বোঝে।শেহজাদী আরওয়ার বিষণ্ণ মনে আবার রাগের সঞ্চার হলো।জানলার পর্দা টেনে দ্রুত পালঙ্কে গিয়ে বসলেন।টিমটিমে আলোয় চিকচিক করছে তার অশ্রু,এই অশ্রু কি উদয় নগরীর রাজপুত্র মেসবাহ’র জন্য খসছে?না একদমি নয় বরং সম্রাট আব্বাসের লোভের বলি কি না এবার নিজের কন্যাকে হতে হলো তা ভেবেই বার বার দূর্বল হয়ে পড়ছেন শেহজাদী আরওয়া।বেচারির দুঃখ ঘুচিয়ে চোখে নেমে এলো তার রাজ্যর ঘুম। ক্লান্ত শরীর খুব দ্রুত এলিয়ে দিল পালঙ্কে।এবার বুঝি মন শান্তি পাবে সাময়িক দুঃখ ভুলার কার্যকরি ঔষধ ঘুম।এই দিক থেকে বলা চলে ঘুম আমাদের জীবনের জন্য নেয়ামত সরূপ।

৩.
শেহজাদী আরওয়ার ছোট ভ্রাতা শাহজাদা ইদ্রীস রাশীদ নিজ কক্ষে প্রবেশ করতেই ভ্রু কুচকে নিলেন।কিছুটা হেরফের লাগছে তার কাছে।টিমটিমে আলোতে সর্তক দৃষ্টিতে চোখ বুলিয়ে নিলেন একবার।পা সচল করে এগিয়ে গেলেন কয়েক কদম।তৎক্ষণাৎ অনুভব হলো পেছনে কেউ আছে!হ্যা টিমটিম আলোতে মেঝেতে আগন্তুকের ছাঁয়া পড়েছে।ইদ্রীস নিজেকে সংযত করলেন কয়েকবার ঢোক গিলে ধীরে সুস্থে পাঞ্জাবির পকেট থেকে ছোট্ট চাকু বের করে মেঝেতে তাকালেন দৃষ্টি তার ছাঁয়ার দিকে আবদ্ধ।সেই আগন্তুকের হাতে তরবারির ছাঁয়ার দেখা মিলছে।আত্ম রক্ষার্থে তৎক্ষণাৎ ঘুরে তাকালেন ইদ্রীস, হস্তে থাকা ছোট্ট চাকু আগন্তুকের বক্ষঃস্থলে আঘাত করার আগেই থেমে গেল তার ক্ষিপ্র হস্ত।আগন্তুকের পানে শাহজাদা ইদ্রীদ তাকালেন অবাক হয়ে।

” তাসবীর তুমি!”

” এই বলবান রাজপুরুষের হাতে অল্পের জন্য আমার জান যায়নি।আল্লাহর দরবারে হাজার শুকরিয়া।”

মাথা দুলিয়ে হাসলেন শাহজাদা ইদ্রীস।তবে মনে থাকা আতঙ্ক এখনো কাটেনি তার।অস্থিরতায় কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের দেখা মিলছে।শাহজাদা ইদ্রীস সময় ব্যয় না করে অতি শীঘ্রই পাজরে জড়িয়ে ধরলেন আগন্তুক ওরফে তাসবীর’কে।তাসবীর হাসিমুখে কিয়ৎক্ষণ যাবৎ জড়িয়ে রাখলেন ইদ্রীসকে।

” বন্ধু তাসবীর কখন এসেছো তুমি?”

” মধ্যাহ্নের শেষ ভাগে।”

“এখন রাত্রি’র এতটা সময় তুমি কোথায় ছিলে?কেউ তোমায় দেখে ফেলেনি তো?”

” একদমি না।অরক্ষিত প্রাসাদে সারাটা অপরাহ্ণ, সাঁঝের বেলা কাটিয়েছি কেউ দেখেনি।আজকে যদি কোন আততায়ী হাম-লা করতো তবে বেশ বেগ পেতে হতো না তাদের।এভাবে যদি রাজকার্য চলে তবে ধ্বংস তোমাদের নিকটে।”

তাসবীরের কথায় হাসলেন ইদ্রীস।কথা ঘুরিয়ে দিলেন মুহূর্তে।

” আজ বোনের বিয়ের আয়োজন ছিল।ভেবেছিলাম তোমায় নেমনতন্ন করবো কিন্তু তোমার মতো যাযাবরের ঠিক-ঠিকানা আমি আর কোথায় পাবো!”

” তুমি আমার খোঁজ না পেলেও আমি তোমার খোঁজ রাখি বন্ধু, তাই তো চলে এলাম।আমি এবার বেশ কয়েকদিন থাকবো।”

” আল্লার ওয়াস্তে নিজের জীবন বাঁচাতে চাইলে এখানে থাকতে যেও না।কেউ দেখে ফেললে কিংবা ভাইজান জানলে ফ্যাসাদ হবে।মুহূর্তে তোমার গর্দান নিতেও দ্বিধা করবেন না।”

” চিন্তা ছেড়ে দাও।তোমার বর্ব-র সম্রাট পিতা এবং ভাই আমার কিছু করতে পারবে না কারণ আমি তাদের সামনেই পড়বো না।”

” রাতের খাবার খেয়েছো?”

” না,এবার অন্তত কিছু খাওয়ারের ব্যবস্থা করো।”

” হুম আসছি আমি।”

শাহজাদা ইদ্রীস চাকুটা পুণরায় পকেটে রেখে বেরিয়ে গেলেন রুম থেকে।তাসবীর আরাম কেদারায় বসে দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়লেন শরীরটা বড্ড ক্লান্ত তার।

একবার দস্যুদের হাতে বন্দী হন শাহজাদা ইদ্রীস।তার জীবনের সেই সংকট পূর্ণ সময়ে এগিয়ে এসেছিল এক অচেনা যুবক যার নাম তাসবীর।তারপর থেকেই তাসবীরের সঙ্গে বন্ধুত্ব ইদ্রীসের।একে অপরের প্রতি অগাধ বিশ্বাস এবং আস্থার এই বন্ধুত্বের সময়টা কেটেছে বছর খানেক।তাসবীরের পরিচয় বলতে সঠিক কিছুই জানেন না ইদ্রীস।অবশ্য জানবেন কী করে যার জীবন কাটে যাবাবরের ন্যায় একূল ওকূল তার আবার ঠিকানা।

৪.
রাতের মধ্যভাগে গভীর ঘুম’টা অকস্মাৎ ছুটে গেল তাসবীরের।চোখ মুখ কুচকে পেছনে তাকাতে নজরে এলো পাশে থাকা ইদ্রীসকে।চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা বলিষ্ঠ রাজপুত্রটিকে দেখে খানিকটা হাসলেন তাসবীর।অহংকারী,দাম্ভিক পরিবারের মাঝে এই মানুষটা বড্ড অমায়িক।সামান্য একজন মানব’কে কি না রাজ পালঙ্কে স্বয়ং তার পাশে শুতে দিয়েছে।
তাসবীর পালঙ্ক ছেড়ে জানলার কাছটায় দাঁড়ালেন।একটা প্যাঁচার ডাক বেশ কানে লাগছে তার।আকাশে মিটে মিটে জ্বলছে তারা, এক ফালি চাঁদ যেন আধাঁর আকাশটার সৌন্দর্স বহু গুনে বাড়িয়ে দিয়েছে।
তাসবীর জানলা বেয়ে ঝাপ দিয়ে কায়দা করে নিচে নেমে যান।প্যাঁচার ডাক অনুসরণ করে এগিয়ে গেলেন পূর্বদিকের বাগানে।না এবার মনে হচ্ছে উত্তরদিকে প্যাঁচার ডাক শোনা যাচ্ছে।তাসবীর আবার এগিয়ে গেলেন উত্তরদিকে, তবে এবারো বিফল এবার তার কানে আসছে দক্ষিণ দিক থেকে প্যাঁচার ডাক।আবার দক্ষিণ দিকে মোড় ঘুরালো সে কিন্তু বেশি দূর যেতে পারলো না আর, তাসবীরের কানে এলো মিহি স্বরের কান্নার আওয়াজ।তাসবীর আশেপাশে নজর বুলিয়ে প্রাসাদের দেয়াল বেয়ে অগ্রসর হলো।লাফিয়ে ঝাপিয়ে জানলায় উঠে সরিয়ে দিলেন জানলায় থাকা পাতলা পর্দা।প্রদীপের টিমটিমে আলোয় নজরে এলো পালঙ্কে শুয়ে থাকা শেহজাদীর দিকে।

জানলা বেয়ে দ্রুত কক্ষে প্রবেশ করলেন তাসবীর, শব্দহীন ছোট ছোট পা ফেলে এগিয়ে গেলেন পালঙ্কের কাছে।শেহজাদী আরওয়া ঘুমের ঘোরে কাঁদছে।চোখের আশপাশটা ভিজে একাকার।তিনি কি স্বপ্ন দেখছেন?কোন দুঃখের স্বপ্ন?শেহজাদীর বিধুর মুখখানী দেখে তাসবীর আর লোভ সামলাতে পারলেন না।একটি প্রদীপ হাতে তুলে বসলেন পালঙ্কে পর্যবেক্ষণ চোখে শেহজাদীকে দেখে তার বাম হস্ত ঠেকলো বক্ষঃস্থলে।মুখ দিয়ে অপনাআপনি বেরিয়ে এলো,

” মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ! এ আমি কি দেখছি।নিষ্পাপ এই মুখকমলের অধিকারী নাকি ব-র্ব-র,নি/ষ্ঠু/র!”

তাসবীর দ্রুত নিজেকে সংযত করলেন।প্রদীপ হাত থেকে রেখে পালঙ্ক ছেড়ে জানলার কাছে দাড়ালেন।ঘোর তার এখনো কাটছে না।মনে মনে কিছু ভেবে আবার হাসলেন,

” মাকাল ফল বলা চলে।বাইরে যতটা সুন্দর ভেতরে হয়তো ততটায় কুৎসিত।না এ হয় না মেয়ে তুমি মায়ের জাত, তুমি কোমল,নির্মল,নাজুক।”

নিজের কথায় নিজেই হেসে ফেললেন তাসবীর।মনে মনে প্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন যেন এই রজনী দীর্ঘ হয়।তিনি শেহজাদীর বিধুর মুখখানী দেখতে চান অনন্ত সময়।কিন্তু তা আর হলো কই, পেছনে ঘুরতেই গলায় লাগলো ধারালো তরবারি।মাথা ঘুরাতেই খানিকটা চামড়া ছিলে কয়েক ফোঁটা র/ক্ত গড়িয়ে পড়লো।মুহূর্তে শঙ্কিত হয়ে পড়েন তাসবীর।আগন্তুকের শঙ্কিত মুখটা দেখে কুটিল হাসলেন শেহজাদী।

” কে আপনি?শেহজাদী আরওয়ার কক্ষে প্রবেশ করলেন কী করে?”

” তরবারি সরিয়ে ফেলুন শেহজাদী তবেই আপনি উত্তর পাবেন।”

” আমি কারো হুকুম মানতে বাধ্য নই।এক্ষুনি উত্তর দিন আমার কক্ষে কি করে এসেছেন?কত বড় সাহস আপনার শেহজাদীর কক্ষে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ!”

তাসবীর ভীত চোখে তাকালো শেহজাদীর মুখপানে।এই মুহূর্তে হেরফের হলে বেচারার জীবনের সমাপ্তি এখানেই ঘোষণা হবে।

” মুর্খ মানব কথা বলছিস না কেন?এই তরবারি’র সাহায্য গর্দান নিতে দু’বার ভাববো না আমি।”

” আমি জিন্নাত জাতির সদস্য শেহজাদী।”

” জিন্নাত জাতি!”

” হ্যা আমি জিন্নাত জাতির সদস্য এসেছি আপনার দুঃখ ঘুচাতে।”

“দুঃখ!আমার আবার কিসের দুঃখ?”

“আপনি মিথ্যাও বলেন শেহজাদী?এই যে আপনার চোখের কোনে পানি ঘুমের মাঝে কাঁদছিলেন তখনি আমি এসেছি।”

দু’আঙুল চোখের কোনে নিয়ে ঘাবড়ে গেলেন শেহজাদী আরওয়া।ধীরে ধীরে তার হাতে থাকা তরবারি আলগা হয়ে এলো।এতে মনে মনে কিঞ্চিৎ হাসলেন তাসবীর।

” আমাকে অবজ্ঞা করবেন না শেহজাদী এতে আপনারি লোকসান।”

” আপনাকে আমি বিশ্বাস করবো কী করে?”

“এই রাতটার সুযোগ দিন।আপনার উচাটন মন শান্ত করে দেব যদি আমার কথা আমি রাখতে পারি তবেই আবার ফিরবো।যদি না পারি তবে আর কোন দিন আপনার সামনে আসবো না কথা দিলাম।”

শেহজাদী আরওয়া খানিকটা বিশ্বাস করলেন তাসবীর’কে।জিন্নাত জাতির কথা তিনি আগেও শুনেছেন।জ্বিন’রা নাকি মানুষের সম্মুখে আসে হয়তো ভাগ্যক্রমে তিনিও দেখা পেলেন এই জ্বিনের।

” বেশ আমি বিশ্বাস করলাম আপনাকে যদি আপনার দাবি মিথ্যা হয় তবে রাজ্যর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন আমার তরবারির মাধ্যেমেই আপনার শিরশ্ছেদ হবে।”

” যথা আজ্ঞা।আমি প্রস্তুত শেহজাদীর হাতে আমার জীবনের সমাপ্তি জানাতে।”

তাসবীর মেঝেতে বসে পালঙ্কে হেলান দিলেন।শেহজাদীর দিকে তাকিয়ে নরম স্বরে বলেন,

” আপনি শুয়ে পড়ুন শেহজাদী আপনাকে কবিতা শোনাবো।”

” কবিতা শোনাতে এসেছেন বুঝি?আমাদের সভাকবি বেশ ভালো কবিতা জানে।এই মাঝরাতে আপনার অহেতুক কাব্য কবিতা শুনতে চাই না।”

শেহজাদীর তাচ্ছিল্য হাসিতে তাসবীর মাথা দুলালো।
” আমার থেকেও অন্তত ভালো কবিতা তিনি বলতে পারবেন না।আমি বিশ্বাস করি আমার কবিতা আপনার পছন্দ হবেই।”

তাসবীরের দৃঢ় স্বর শেহজাদী আরওয়ার মন নরম করলো।শেহজাদী পালঙ্কে বসলেন তার মাঝেই তাসবীর কবিতা আবৃতি করতে লাগলেন।তাসবীরের বচন ভঙ্গি অবাক করেছে শেহজাদী আরওয়াকে।তিনি যেন ঘোরে তলিয়ে গেছেন।মনে মনে বেশ কয়েবার বলেন ‘মারহাবা’ ‘মারহাবা’।খানিকটা সময় অতিক্রম করতেই ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেলেন আরওয়া।তা দেখে হাসলেন তাসবীর।তিনি শেহজাদীর ডান হাতটা ছুঁয়ে বক্ষঃস্থলে ঠেকালেন মনে মনে কিছু আওড়ালেন।খুব দ্রুত জানলা বেয়ে বেরিয়ে গেলেন কক্ষ ছেড়ে।প্যাঁচার ডাক এখনো ক্রমাগত তার কানে আসছে, তাসবীর মনে মনে প্যাঁচাকে উদ্দেশ্য করে একটি কবিতা রচনা করলেন।

” রজনীর রহস্যে ঘেরা নিশাচর তোমার ডাক।আর তোমায় খুঁজতে খুঁজতে পেয়েছি মনোগ্রাহী’র লাগ!”
#চলবে_____

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here