বিবর্ণ সিঁদুর পর্ব ১৫

বিবর্ণ সিঁদুর
পর্ব-১৫
Taniya Sheikh

সৌমিত্রকে অনেক্ষণ ধরে দেখছে জামিল। এই একবছরে দুই তিনবারই দেখা হয়েছে ওদের। মুঠোফোনে কথা হলেও নিতান্তই কম। সৌমিত্র অনেকটা বদলে গেছে। তাগড়া শরীর হয়েছে জীর্ণশীর্ণ, আভিজাত্য মাখা মুখটা হয়েছে মলিন । সৌমিত্র দাড়ি রাখত না,অথচ আজ মুখভর্তি কাঁচাপাকা অবিন্যস্ত দাঁড়ি। বয়স যেন একবছরেই টপকেছে পাঁচটা বছরে। কথা এমনিতেও সে কমই বলত ইদানীং একেবারেই বলতে না পারলে বাঁচে। এখানে এসেছে ওরা ঘন্টা খানেক হলো। কথাবার্তা কেমন আছে? কী করছে? এইটুকুই হয়েছে। বন্ধুর করুন চেহারা দেখে আজ কোনো কথায় খুঁজে পেল না জামিল। শুধু চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞেস করল,

” একি অবস্থা করেছিস শরীরের? কী হয়েছে তোর, সোম?”

জবাবে একচিলতে কাষ্ঠহাসি হেঁসে বলল,

” ও কিছু না।”

চার কাপ কফি শেষ করে বসে আছে দুজন নীরবে। জামিল একসময় অধৈর্য্য হয়ে পড়ে, কিছুটা বিরক্তিও প্রকাশ পায় এই অযাচিত নীরবতায়।সৌমিত্র কথা না বললেও জামিল তাকে হাসিয়ে, খুঁচিয়ে ঠিকই কথা বলাতো। এমন নিরস আড্ডা তাদের এযাবতকালে হয়নি। আজ জামিল কেন কথা খুঁজে পাচ্ছে না? কেন তার মন আগের মতো উৎফুল্ল নয়? আগে সৌমিত্রের ভেতরে যাই ছিল, বাহ্যিকভাবে যে স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু আজ সে ভেতরের সাথে সাথে বাহ্যিকভাবে ভেঙে পড়েছে। সমস্ত মুখমণ্ডলে তার কী এক অসহ্য যন্ত্রনা স্পষ্ট। বন্ধুর এই অবস্থা জামিলের কন্ঠরোধ করতেই যথেষ্ট ছিল। তথাপি সে বহুক্ষণের নীরবতা ভেঙে বলল,

” রজনী ভালো আছে। আমাদের এলাকার একটা কলেজে এবার ইন্টারে ভর্তি হয়েছে। ভালোই চলছে পড়ালেখা।”

কথাটা শুনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে সৌমিত্র। মুখে কিছুটা প্রসন্নতার দেখা মিললেও সেটা লুকাতে চেষ্টা করল। জামিলের চোখের দিকে তাকিয়ে চট করে দৃষ্টি সরিয়ে অপ্রস্তুত গলায় বলল,

” আমি তো কিছু জিজ্ঞেস করিনি তোকে?”

” জিজ্ঞেস না করলে কি বলা নিষেধ?”

” হ্যাঁ, নিষেধ। যা জিজ্ঞেস করব না তা বলবি না। চলি।” হঠাৎ রেগে গেল সৌমিত্র। চেয়ার ছেড়ে দাঁড়াতেই জামিল বলল,

” এক মিনিট, সোম।”

” জামিল, আবার যদি একই কথা বলতে চাস, তবে ক্ষমা কর আমাকে। ভালো থাকিস।”

সৌমিত্র রেস্টুরেন্টের বিল দিয়ে চলে আসে গাড়ির কাছে। গাড়ির দরজায় হাত দিতেই পেছনে দাঁড়ানো জামিল গলা চড়িয়ে বলে,

” তো ঠিক আছে। তোর যদি এভাবে পালিয়ে বাঁচতে ইচ্ছা করে তবে তাই কর। তুই ই একদিন বলেছিলি কোন বিখ্যাত ব্যক্তি বলেছেন- কাপুরুষ অসংখ্যবার মরে আর বীর একবারই মরে। তো সেসব কথাগুলো কি শুধু মানুষকে জ্ঞান দেওয়ার জন্যই ছিল, সোম?”

দু’চোখ লাল হয়ে ওঠে কান্না রুখতে গিয়ে। প্রচন্ড জ্বালা হচ্ছে। এ জ্বালা কিছুই নয় মনের জ্বালার কাছে। সৌমিত্র নিজেকে সামলে নিলেও তার চোখ অনেক কিছুই ব্যক্ত করে। বন্ধুর দিকে গম্ভীরমুখে ঘুরে বলে,

” আমি মোটেও পালাচ্ছি না।”

জামিল হুঙ্কার দিয়ে সৌমিত্রের কলার চেপে ধরে,

” মিথ্যা বলছিস তুই। হ্যাঁ, মিথ্যা বলছিস। মানুষ মিথ্যা বললেও তাদের চোখ মিথ্যা বলে না। আর কতো শাস্তি দিবি নিজেকে? ঐ নির্দোষ মেয়েটাকে? যা না, গিয়ে মায়াকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলে যা। বেচারী রজনী তবুও তো সান্ত্বনা পাবে সে বিধবা। এমন লজ্জায়, লাঞ্ছনায় তাকে তিল তিল করে লাশ হয়ে বেঁচে থাকতে হবে না। এতোটা পাষান, নিষ্ঠুর কী করে হলি তুই? কী করে?”

সৌমিত্র জবাব দেয় না। ছলছল চোখে মুখ ঘুরিয়ে নির্বাক দাঁড়িয়ে আছে সে। জামিল আশেপাশে মানুষের ফিসফাস শুনে নিজেকে সামলে সরে দাঁড়ায়। মানুষের জটলা দিকে ক্রুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে ঝাঁঝিয়ে ওঠে,

” নাটক হচ্ছে এখানে?” মানুষের জটলা ভেঙে যায়। যেতে যেতে কয়েকজন ওদের কটুকথা বলতে কুন্ঠিত হয় না। জামিল সেকথা কানে না তুলে সৌমিত্রের দিকে ক্ষুব্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,

” আমি ঐ মেয়েকে আর বাসায় রাখব না। বাসা থেকে বের করে দেব। যার দায়িত্ব সেই যখন পায়ে ঠেলেছে আমার দায় কিসের? ভেবেছিলাম তুই নিজের ভুল বুঝতে পারবি কিন্তু না, তুই তো আভিজাত্যের অহংকারে অন্ধ হয়ে গেছিস। মনে জমানো সো কল্ড প্রতিহিংসায় একটা নির্দোষ মেয়ের জীবন নষ্ট করতেও তোর সামান্য বাঁধেনি। আমারও বাঁধবে না এবার থেকে। রাস্তায় নামিয়ে দেব। ছিঁড়ে খাক শেয়াল, কুকুর। এটাই তো চেয়েছিলি তাই না?”

” জামিল,স্টপ ইট। জাস্ট স্টপ ইট।”

” বাহ, আঙুল আর গলার জোর দেখিয়ে শাসানো হচ্ছে দেখছি। সত্যিটি শুনলে সবার গায়ে ফোস্কা পড়ে। কিন্তু সত্যি তো সত্যিই,দোস্ত। তুই চেয়েছিলি মেয়েটাকে বাজারে নামাতে। তুই চেয়েছিলি ও,,,”

সৌমিত্র মুষ্টিবদ্ধ হাতটা জামিলের চোয়াল বরাবর মারে। মারের আঘাতে ছিটকে নিচে পড়ে যায়। সৌমিত্র চিৎকার করে বলে,

” তোকে চুপ করতে বলেছি, জামি। এতো জঘন্য কথা কী করে বলতে পারছিস তুই? হ্যাঁ, দিয়েছি কষ্ট আমি রজনীকে। নিজের থেকে দূর করতে চেয়েছি কিন্তু ওর খারাপ হোক কোনোদিনই চাইনি। তুই কী করে এসব বললি আমাকে? তুই কী জানিস? কিছুই জানিস না। এই এক বছরের একটা দিনও আমি ওকে ভুলতে পারিনি। ভুলব,ভুলব করে ভালোবেসে ফেলেছি। হ্যাঁ, ভালোবেসেছি ওকে আমি। অনেক বেশি ভালোবেসেছি। তুই ই বল ভালোবাসার মানুষের ক্ষতি কে চায়? তুই জানিস না, আমার প্রতিটা সেকেন্ড, মিনিট,ঘন্টা ওকে পাগলের মতো চায়। কিন্তু আমার সাথে ওর যে সুখ হবে না কোনোদিন। আমি আমার জীবনটা শেষ করে ফেলেছি। প্রতিদিন চোখ বন্ধ করার সময় ভাবি এই বুঝি শেষ দেখা আলো। এই বুঝি শেষ বার নিচ্ছি শ্বাস। আমি ইচ্ছা করে দূরে রাখছি না ওকে বিশ্বাস কর,জামি। ওকে ভালোবাসি বলেই চাইছি ওর জীবনে ভালো কেউ আসুক। ওর সুন্দর জীবনকে আমার অসুন্দর, ভগ্ন জীবনের সাথে মেলাতে চাইনা। আমি আজ হোক কাল হোক চলে যাব। এই সামান্য সময়ের জন্য ওকে আমি আপন করে ওর জীবনটা নষ্ট করতে পারিনা। আমাকে ক্ষমা করিস তোরা।”

সৌমিত্র গাড়িতে বসে। সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে অবশেষে দু’ফোটা জল গড়িয়ে পড়ল সৌমিত্রের চোখ দিয়ে। জামিল উঠে দাঁড়িয়েছে। সৌমিত্র ওর দিকে তাকিয়ে দু’হাত কড়জোর করে গাড়ি স্টার্ট দেয়। গাড়ি দৃষ্টিসীমার বাইরে যাওয়ার পরও জামিল নড়েচড়ে না। বন্ধুর মারে যে ব্যথা পেয়েছে তারচেয়ে সহস্র গুণ ব্যথা সৌমিত্রের অশ্রুসিক্ত দু’চোখ দেখে হচ্ছে।

কিছু মানুষ দূর্বলচিত্তের হয়৷ এরা সবসময়,সবকিছুতেই দ্বিধাদন্দ্বে ভোগে। নিজে থেকে কোনো ডিসিশন নিতে পারে না। সবকিছুর মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণেও এরা পরনির্ভর হয়। আমাদের গল্পের নায়িকা রজনীও তেমন। তার এক মন বলছে তন্ময়ের ডাকে সাড়া দেই, আরেক মন বলছে না, এতো পাপ। আবার ভাবছে পাপ কোথায়? সম্পর্ক তো সৌমিত্র চুকিয়ে দিয়েছে চিরতরে। সে তো ফিরবে না। এভাবে কচুরিপানার মতো ভাসমান জীবনের ভার কতোকাল বইতে পারব? একদিন না একদিন কারো না কারো হাত ধরতেই হবে তবে আজই নয় কেন? এসব সাত পাঁচ ভেবে মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে রজনীর।

তন্ময়ের গান শুনে রজনী ছাড়া কাউকে খুব বেশি বিস্মিত হতে দেখা গেল না। পূজোর সিজনে এরাই তন্ময়কে অনুরোধ করত একটা গান শোনানোর জন্য। কারণ এই সময়টাতে তার মেজাজ বেশ ভালোই থাকত। এবার ব্যতিক্রম থাকায় কেউ সাহস করে বলেনি। আজ যখন স্বেচ্ছায় এসে তন্ময় গান ধরল সামান্য বিস্মিত হলো সবাই। তবে কার সাধ্য তন্ময়কে কিছু জিজ্ঞেস করবে? “বড়’দা তুমি অসাধারণ গাও।” একথাও বলার জো যে কারো নেই। সুতরাং গান শেষে যে যার মতো গল্পে ব্যস্ত। রজনী যেখানে দাঁড়িয়েছিল সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে। গানের প্রথমে তন্ময়ের দিকে ফিরলেও বেশিক্ষণ সেভাবে থাকতে পারেনি। ও চোখে চোখ রাখা যে দায়। তন্ময় একপ্লেট পকোড়া, একগ্লাস সেভেন আপ হাতে এগিয়ে গেল সেদিকে।

” মিতুল।”

” তুই আমার সাথে কথা বলবি না, হারামি। তোর সাথে সাত জনমের ব্রেকাপ,ব্রেকাপ।”

মিতুল এক পা এগোতেই হাত ধরে কাছে টেনে আনে সুদীপ্ত। তুর্জয় ঠোঁট টিপে হাসলেও অনিমার ঠোঁটে হাসি ফুটল না। তুর্জয় বলল,

“ওদের হয়তো প্রাইভেসী দরকার। চলো নিচে যাই।”

অনিমা অনিচ্ছাস্বত্বেও তুর্জয়ের কথা মেনে নেয়। ওরা যেতেই মিতুল অদূরে দাঁড়ানো দাদার দিকে তাকিয়ে আর্ত গলায় বলে,

” ছাড়ো দাদা দেখে ফেলবে৷”

” দেখুক।”

মিতুল রাগত চোখে তাকাতেই সুদীপ্ত মুখ নামিয়ে আনে। মিতুল ভয়ে ভয়ে তাকায় সামনে। বড়’দা দেখে ফেললে ওর হাড্ডি মাংস আলাদা করে ফেলবে,অথচ এই বেকুবটার হুশই হচ্ছে না। সুযোগ বুঝে নিজেকে ছাড়িয়ে ছুটে নিচে নেমে যায় মিতুল। সুদীপ্ত ঠোঁট কামড়ে অদূরে ঘুরে দাঁড়ান দুজনের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে নিচে নামে।

রজনীর পাশে দাঁড়িয়ে প্লেট আর গ্লাসটা রেলিংএর উপর রাখে তন্ময়। দুজনের কেউ কথা বলল না। এভাবে দশ মিনিট অতিবাহিত হয়। তন্ময় দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ঘুরে বসে রেলিংএর উপর। রজনীর অবনত মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে বলে,

” আমাকে কি ক্ষমা করা যায় না, রাই।”

রজনীর শরীর হঠাৎ কেঁপে কেঁপে ওঠে। তন্ময় ঝুঁকে হাতটা মুখের নিচে রাখতেই কয়েক ফোটা জল পড়ে। কী অন্যায়! আর কী ন্যায়? সবই ভুলে যায় সেই মুহূর্তে সে। একহাতে রজনীকে বুকে সাথে ধরে অন্যহাতে মাথাটা জড়িয়ে ধরেছে। রজনী হতবিহ্বল হয়ে গেল। তন্ময়ের বুক থেকে সরতে চেয়ে সরছে না। খারাপ লাগার কথা তার তবুও কেন যেন খারাপ লাগছে না। চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে তন্ময়ের দু’হাতের বাঁধনে।

রাত ক্রমশ ঘন হলো চারিদিকে। ওরা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে ছাদের রেলিং ঘেঁষে। তন্ময় সেভেন আপের গ্লাসটা এগিয়ে দিতেই কাঁপা হাতে সেটা নিল রজনী। এক চুমক খেয়ে পাশে রাখতেই তন্ময় উঠিয়ে নেয়। রজনী না তাকিয়ে বুঝতে পারে ঠিক একই স্থানে ঠোঁট লাগিয়ে চুমুক দিয়েছে সে। লজ্জায় মুখ লাল হয়ে ওঠে সাথে সাথে। তাই দেখে তন্ময় হেঁসে বলল,

” একদিন এটাই হবে। আজ থেকেই প্রাকটিস শুরু করলাম।”

” নাও তো হতে পারে।” রজনীর কথা শুনে তন্ময়ের মুখটা মলিন হয়ে যায়। সে বিমর্ষ স্বরে বলে,

” তুমি চাইলেই হবে। তুমি কি চাও না?”

রজনী চোখ তুলে একবার তাকিয়ে চোখ নামিয়ে বলে,

” আমি জানি না।”

” একথা বলো না, রাই। তুমি না জানলে যে, আমার বাঁচামরা এক সমান। বলো তুমি চাও আমাকে? বলো,রাই?”

রজনীর হাতটা ধরতেই রজনী হাত ছাড়িয়ে নেয়। বলে,

” আমি কিছু বুঝতে পারছি না, স্যার। কোনো সিদ্ধান্তও নিতে পারছি না। যার নিজের কোনো ঠিকানা নেই সে কী করে অন্যকে আশা দেবে বলুন? আমাকে আপনি ভুলে যান।”

” ভুলতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারলাম কই, বলো? আচ্ছা শোনো, তোমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে না। আমিই কথা বলব তাঁদের সাথে।”

” কিন্তু!”

” কোনো কিন্তু নয়। আমার একটা জব হলেই আমি আমাদের বিষয়টা বড়দের জানাব। ততদিনে শুধু হাতটা ধরার অনুমতি অন্তত দাও।”

তন্ময় হাত বাড়ানোর পরও রজনী হাত দেয় না। তন্ময় মুচকি হেঁসে হাত নামিয়ে বলে,

” আচ্ছা ঠিক আছে, আমার জলদি নেই।”

কিছুক্ষণ আবার নীরবতা নামে। তন্ময় আড়চোখে রজনীর আধোবদন দেখে মুচকি হেঁসে বলে,

” আজ আকাশে চাঁদ কেন ওঠেনি জানো?”

রজনী আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখে সত্যিই চাঁদের দেখা নেই। লাজুক চোখে তন্ময়ের দিকে তাকাতেই তন্ময় বলে,

” এই চাঁদকে দেখে লজ্জা পেয়েছে বলে।”

রজনীর ঠোঁটে মুচকি হাসি ফুটতেই তন্ময় মুখটা এগিয়ে চাপাস্বরে বলে,

” যাক, কাওকে তো হাসাতে পারলাম। পৃথিবীর একটাই চাঁদ তেমনি আমারও তুমি একজনই, রাই। পৃথিবীর কোনোকিছুই কারণ ছাড়া হয়না। তোমাকে ভালোবেসেছি অকারণে একথাও ভুল। নিশ্চয়ই কারন আছে। কী কারন তা হয়তো জানি না, তবে যাই হোক আমার তোমাকেই চাই। আমার যা বলার আমি বলেছি বাকিটা তোমার হাতে। তুমিই পারো মারতে, তুমিই পারো বাঁচাতে।”

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here