বিষাক্ত বাঁধন পর্ব -৩০+৩১

#বিষাক্ত_বাঁধন
#অনামিকা_জাহান_জাফরিন
#পর্ব_৩০

স্তব্ধ হয়ে মেঝেতে বসে আছে তাসিন। পুরো বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোথাও পায় নি তাহিয়া কে।অফিস শেষে আসার সময় অফিসের দারোয়ান বলেছিল তাহিয়া এসেছিল অফিসে আর তাসিন কোন রেস্টুরেন্ট এ গিয়েছিল সেটাও নাকি জেনে ওই দিকে গিয়েছিল।

তাসিন বাড়িতে ওর মায়ের কাছে কল করেও জানতে পেরেছে যে তাহিয়া যায় নি সেখানেও।

তাহিয়ার কলেজে কল করলে তারা বলে ছুটি হওয়ার পর পরই তাহিয়া চলে গিয়েছিল।

সব কিছু খুঁজেও কোথাও তাহিয়াকে পায় নি তাসিন।মোবাইল এ কল করলে সেটা বন্ধ বলছে বারবার ।কোথায় যেতে পারে ও?এসব যখন ভাবছিল হঠাৎ তুসির কথা মাথায় আসে আচ্ছা ও তুসির কাছে যায় নি তো।তারা তো খুব ভালো বন্ধু। কিন্তু ও এভাবে তো আর যেতে পারবে না তুসির বাড়ি আরিয়ান এর অনুমতি ছাড়া।

আরিয়ান কে কল করল তাসিন আরিয়ান কল রিসিভ করলে বলল,ভাই তাহিয়াকে পাওয়া যাচ্ছে না ,,
আরিয়ান বলে তাতে তোর কি তোর তো এখন গার্লফ্রেন্ড চলে এসেছে এঞ্জয় কর।

তাসিন অবাক হয়ে বলল,কি বলতেছো ভাই। ও আমার এক্স গার্লেফ্রন্ড। আর তা ছাড়া আমার মনে কোনো ফিলিংস নেই ওর জন্য।

আরিয়ান বলে ,তাহিয়া তুসির কাছে আছে আর দুইদিন পর দেখবি এখন রাখ ফোন।

কিন্তু ভ,,ভাই,,,,,,তাসিন এর বলায মাঝেই কল কেটে দেয় আরিয়ান।
তাসিন এটা ভেবে নিশ্চিত হলো যে তাহিয়া তুসির বাড়ি আছে।কিন্তু দুদিন পর দেখবো এর মানে কী বুঝলোনা তাসিন।

ঘড়ি তে তাকিয়ে দেখে আটটা বিশ মিনিট।আজ তাড়াতাড়ি এসেছিল ভেবেছিল তাহিয়ার সাথে ডিনার করবে কিন্তু ও তো নেই।ওকে একবার জানিয়ে গেলে কি হতো ?ও কি বারণ করত নাকি?ও ফ্রেশ হতে চলে যায়।

🌸🌸🌸

দুদিন পর,,,,

আজ তুসির বিয়ের দিন পার্লার থেকে কয়েকজন মহিলা এসে ওকে সাজাচ্ছে তুসি পুতুলের মতো বসে আছে।আত্মীয় স্বজন কয়েকজন কে দাওয়াত দিয়েছে আর আশপাশের মানুষকে ও আশরাফ এর বিজনেস পার্টনারদের এছাড়া আর তেমন কাওকে বলেনি।

সব মেহমান চলে এসেছে কিছুক্ষণ পর বর ও চলে আসবে।তুসিকে রেডি করাচ্ছে দ্রুত করে।

সিপাত আর ওর বাবা, মা ও চলে এসেছে ইতোমধ্যে। তবে পাড়া-প্রতিবেশীরা কানাকানি করছে নিজেদের মধ্যে।

এক মহিলা বলছে:আরে এই মেয়ে কয়েক দিন আগে পালিয়ে ছিল না কোন নাগরের সাথে এখন দেখ বাপে আবার ধরে এনে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। বুঝলি বাপের টাকা থাকলে সব দোষ ঢেকে যায়।

আরেক জন বলছে:হ্যাঁ রে,কি চরিত্র হীনা মেয়ে রে বাবা।দেখে তো মনে হয় ভাজা মাছটা ওল্টে খেতে পারে না।এই মেয়ে দু’মাসের মতো বাড়ির বাইরে ছিল ।প্রেমিক এর হাত ধরে পালিয়েছে নিশ্চয়ই তা ছাড়া আর কি। যে ছেলে আজ বিয়ে করতে আসবে তার কপাল পুড়বে তারা কি জানে এই মেয়ের কার্যকলাপ ?না কী না জানিয়ে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে বাবায়।

আরেকজন বলল, আরে জ্ন্লে কি এই মেয়ে কে কেও বিয়ে করতে রাজি হবে নাকিরে।বাপে তো বিয়ে দিতে পারলেই বাঁচে।

এসব বলে ওরা হেসে উঠল।

এমন সময় কিছু পড়ার আওয়াজ শুনে সৃসেব মহিলারা চমকে উঠল,

তাকিয়ে দেখলো বরের বাবা।
সিপাত এর বাবার হাত থেকে মোবাইল পড়ে গিয়েছে আর সেটার ই আওয়াজ হয়েছে।ওনি সব শুনেছে এতক্ষণ যাবত তাদের কথা।একটা কল এসেছিল সেটি ধরতে এই সাইডে আসা আর তারপর সব ঘটনাই শুনেছেন উনি।

ওনি বলল,আপনারা কি বলছেন এসব?
এক মহিলা বলল,যেটা সত্যি সেটাই বললাম ।কেন আপনার বন্ধু বলেনি এসব অবশ্য বললে কি আর বিয়ে দিতেন আপনার ছেলেকে তার মেয়ের সাথে তাই বলেনা।

সিপাত এর বাবা রাগে গজগজ করতে করতে সিপাত এর কাছে এসে জোরে জোরে বলে, চল এখান থেকে।কোনো বিয়ে হবে না ।

সিপাত চমকে তাকায়।ও স্টেজে বসা ছিল।আশরাফ আওয়াজ শুনে দ্রুত সেখানে এসে জানতে চায় কি হয়েছে?
সিপাত এর বাবা চিৎকার করে বলে,আমার কাছে জানতে চাইছিস কি হয়েছে?সেটা তো তোর থেকৃ জানা দরকার।বল কেন এমন করলি?আমার সাথে এত বড় প্রতারণা কেন করেছিস।নিজের চরিত্রহীনা কলঙ্কিত মেয়ে কে আমার ছেলের কাছে বিয়ে দিয়ে আমার ছেলের জীবন টা নষ্ট করতে চাইছিস কেন?বল কেন?

আশরাফ কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, আমার কথা শু,,,,
সিপাত এর বাবা রেগে ওকে থামিয়ে দিয়ে বলল, কি শুনবো আমি আর একমুহূর্ত ও এখানে থাকবোনা চলো সবাই।এই বিয়ে হবে না ।আমার ছেলে কেন কেউ তোর মেয়ে কে বিয়ে করবে না।
চলো সবাই।

সিপাত সাহস সঞ্চয় করে কিছু বলতে গেলে ওর বাবা থামিয়ে দিয়ে বলে তুই যদি আমার সন্তান হয়ে থাকিস তাহলে আমার কথার ওপরে কোনো কথা বলবিনা এখন।আর এই মেয়ে কে বিয়ে করলে আমাদের সাথে তোর কোনো সম্পর্ক নেই।
বাধ্য হয়ে সিপাত ওর বাবার পেছন পেছন চলে যায়। বর পক্ষের সবাই তাদের সাথে চলে যায়। রুকসানা আচলে মুখ গুজে কেঁদে উঠে। আশরাফ এর ও চোখে জল।এত মানুষের সামনে এইভাবে অপমান মানতে পারছেননা উনি।এতক্ষণে তুসি ওপরে বসেও সব শুনেছে।এত জোরে জোরে সব বলছিল সিপাত এর বাবা তাই সব শুনেছে ও।
নাহ মুখে কোনো আওয়াজ নেই তুসির। শুধু চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে অবিরাম ভাবে।

আশরাফ এর সামনে আরিয়ান এসে বলে শান্ত হোন আংকেল। একটু একা জায়গায় চলুন আপনার সাথে আমার কথা আছে।
আরিয়ান কে ইনভাইট করা হয়েছে সে আর রাজ তাসিন এসেছে।
আশরাফ আর আরিয়ান গেল একটা রুমে দরজা আটকে দিল রুমের। প্রায় আধা ঘন্টা পর ফিরে এলো দুজন।আশরাফ কাজি কে সব রেডি করতে বললেন। বিয়ে আজ হবে তার মেয়ের শুধু বর পাল্টেছে এইটাই কথা।

রাজ তাসিন অবাক হয়ে একে অন্যেকে বলল,কি ব্যাপার বলতো কি কথা হলো ওদেয মধ্যে এতক্ষণ?
তাসিন বলে তুই যেখানে আমি ও সেখানে আমি কি করে বলবো?

তুসির কাছে আশরাফ এসে বললো ,কোনো চিন্তা কোরোনা মা।কারো কথা শুনার দরকার নেই।বিয়ে আজ হবে তোমার।

তুসি বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলে,বাবা এটা কি খুব দরকারি?

আশরাফ বলল, এটা ছাড়া এই মুহূর্তে আর কোনো উপায় নেই।

তুসি আর কিছু বলে না।

বিয়ে শুরু হয় তুসি আর বাইরে আসেনি ও রুমের ভেতরে ছিল ।সে জানেও না কার সাথে হচ্ছে বিয়ে আর জানতে চায় ও না।ওর সাথে আর কি কি হবে সেটা ও দেখতে চায়। হুজুর সহ কয়েকজন লোক কি কি যেন বলে ওকে কবুল বলতে বলল,ও নির্দ্বিধায় বলে দিল আর টলমলে চোখের পানি নিয়ে কাগজে সাইন করল। যার জন্য পাশে লেখা বরের নাম স্পষ্ট দেখতে পেল না

তাসিন তাহিয়ার সাথে বার বার কথা বলার চেষ্টা করলেও তাহিয়া ওর থেকে পালিয়ে বেড়িয়েছে।
তাসিন দাতে দাত চেপে বলল,এখন না তোমাকে পরে দেখে নেব।
#বিষাক্ত_বাঁধন
#অনামিকা_জাহান_জাফরিন ।
#পর্ব_৩১

ভাগ্য কখন কাকে কোথায় নিয়ে যায় সেটা বলা মুশকিল।এই যেমন এখন তুসি আরিয়ান এর বিছানায় বসে আছে।প্রায় দুইমাস আগে এই বিছানায় কতশত রাত কাটিয়েছে অথচ ভাগ্য ওকে আবার এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।

ও স্বপ্নেও কখনো ভাবে নি দ্বিতীয় বার আবার এই জায়গায় আসবে ও।সবই উপর ওয়ালার খেলা।
কোথাকার জল কোথায় গিয়ে গড়াবে সব তার ইচ্ছা।

আরিয়ান যে ওর বর সেটা বিদায় পর্বের সময় বুঝতে পেরেছে ও।আশরাফ আরিয়ান এর হাতে তুসির হাত তুলে দিয়ে ওর খেয়াল রাখতে বলল।সাথে আরো অনেক কিছু বলল তুসিতো কান্নাই করে যাচ্ছে মাকে জড়িয়ে ধরে।রুকসানা ও একমাত্র আদরের মেয়ে কে জড়িয়ে কাঁদছে। তবে ওর মনে আর ও একটা কারণে কষ্ট। মনে মনে বলল ,আমাকে ক্ষমা করে দিস বাবা।আমি আমার ওয়াদা রাখতে পারিনি।

গাড়ি তে আর কোনো কথা বলেনি।আরিয়ান ও বলেনি তবে তুসির দিকে আড়চোখে তাকিয়েছে অনেকবার ।তুসির কোনো দিকে খেয়াল নেই একানাগারে কেঁদেই পার করছে।

বর্তমানে,,,

তুসি আরিয়ান এর রুমে বসে আছে রাত প্রায় বারোটা।ওকে রিমা জেগে থাকতে বলেছে বার বার ।

রিমা অনেক অবাক হয়েছে তুসি এইভাবে বিয়ে করে আনাতে।তারপরও ওকে বলেছে বসে আরিয়ান এর জন্য অপেক্ষা করতে তার আগে যেন না ঘুমায়।

তুসির এসব ভাবনার মাঝে আরিয়ান রুমে ঢুকলো খাবার এর প্লেট নিয়ে। তুসি সেদিকে এক পলক তাকিয়ে সাথে সাথে চোখ ফিরিয়ে নিল আর কিছুই বললনা।আরিয়ান কিছুটা বিভ্রান্তি তে পড়ে গেল।কীভাবে কথা শুরু করবে সেটা বুঝতে পারছেনা।কিছুক্ষণ পাইচারি করে তুসির পাশে বসে গলা কেশে বলে ওঠে খাবার খাওনি কেন?হা করো।

তুসি হা করছেনা কিছুই বলছেনা।আরিয়ান পরের বার জোরে ধমকে বলাতে তুহি তাড়াতাড়ি নিল সেই লোকমাটা।জোরে ধমক দেওয়ায় ওর কান্না চলে এলো টলমলে চোখে খাবার চিবুচ্ছে শেষে আর কান্না আটকাতে না পারে জোরে কেঁদে দিল।একেতো বাবা মা কে ছেড়ে এসেছে তার ওপর আরিয়ান এর সাথে এত দিন পরে দেখা হলো ও ধমক দিল সেটা সহ্য করতে পারেনি তুসির ছোট্ট মন।
অভিমানে চোখে জল গড়িয়ে পড়ল আর এক সময় সেটার সাথে সাথে আওয়াজ ও যোগ হলো।

আরিয়ান এর ও খারাপ লাগছে ।ও এভাবে বলতে চায় নি।মেয়েটার সাথে ইচ্ছায় অথবা সব সময়ই খারাপ আচরণ করে ফেলে ও।এবার ও সিদ্ধান্ত নিল আর খারাপ দেখাবেনা তুসির সামনে ওকে।শুধু ভালোবাসবে ওর ভেতরের সব অনুভূতি সব ভালো দিক সব কিছুর সাথে পরিচিত করাবে তুসি কে।

আরিয়ান খাবারের প্লেট রেখে তুসিকে জড়িয়ে ধরল সব বাধা ভুলে।খাঁ খাঁ মুরু ভূমিতে যেন এক পশলা বৃষ্টি ধরা দিল তুসিকে বুকে নেবার পর।
এরপর বলল,আ,আম,,,আমি সরি।বুঝতে পারিনি কখন জোরে বলে ফেলেছি। না খেয়ে এতক্ষণ ছিলে তাই মাথা গরম ছিল।কেদোঁনা আর প্লিজ।সরি বলছিতো।

আরিয়ান এর আদুরে স্বভাবে তুসির আরো যেন গলে গেল ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে ও এতদিনের সব কষ্ট চোখের পানির মাধ্যমে যেন ঝরে যাচ্ছে।তবে আরিয়ান কে ধরে নি ও।কিছুক্ষণ পরে তুসি নিজে থেকেই সরে আসলো ও।
এর পর আরিয়ান আবার খাইয়ে দিতে শুরু করল।
খাবার শেষ করে আরিয়ান বলল,ড্রেস পালটে শুয়ে পড়।আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি এই বলে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুম এ চলে গেলো।

🌸🌸🌸

তাহিয়াকে দেওয়ালের সঙ্গে চেপে ধরে মুখ চেপে রেখেছে তাসিন।ওকে শাসিয়ে বলল,আমি এটা মুখ থেকে হাত সরাচ্ছি চিৎকার করবেনা ওকে?
তাহিয়া মাথা নেড়ে সম্মতি দিল।তারপর তাসিন ওর মুখ থেকে হাত সরিয়ে বলে,তোমার মোবাইল বন্ধ কেন?আর বান্ধবীর বিয়ে খেতে আসবা ভালো কথা আমাকে জানালে কী আমি মানা করতাম?এত দিন মোবাইল বন্ধ থাকে কি করে?

তাহিয়া কিছু না বলে চলে যেতে চাইলে তাসিন আবার ওর কাধ ধরে পূর্বের জায়গায় দাঁড় করিয়ে বলে কি ব্যাপার জবাব দিচ্ছো না কেন?আমাকে কি মনে হয় তোমার ?জানো কত কত জায়গায় খুঁজেছি আমি?পুরো পাগল হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল আমার।বল জবাব দাও না জানিয়ে আসা আর ফোন বন্ধ রাখার কারণ কি?

তাহিয়া বলে ,আমাকে নিয়ে এত ভাবতে হবে না।আমায টা আমি বুঝবো যান নাজের গার্লফ্রেন্ড এর কাছে যান।

তাসিন বলে তোমাকে নিয়ে ভাববোনা তো কাখে নিয়ে ভাববো তুমি আমার বৌ।
দরকার নেই আমার এসব করুণার আমি নিজের জীবন নিজে চালাতে পারবো। এখনো তো ছয় মাস হয় নি হলে খুব শীঘ্রই ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দেবো।
তাসিন জোরে ধমক দিয়ে বলল,চুপ আর একটা কথা ও না।ওর চোখে মুখে যেন আগুন ঝরছে।

তাহিয়ার চুখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লো। তাসিন কে কখনো এত রুঢ় হতে দেখেনি তাহিয়া।

তাহিয়া ক্রন্দন গলায় বলল, এখন আমাকে ধমক ও দিচ্ছেন কই আগেতো দেননি। যেই গার্লফ্রেন্ড আসলো ওমনি আমাকে অসহ্য লাগতে শুরু করল তাই না।এই জন্য এই জন্যই আপনাদের মাঝ থেকে আমি হরে যেতে চাইছি।

তাহিন এইবার পুরো ব্যাপারটা বুঝলো ।ও বুঝলো যে তাহিয়া ওকে ভুল বুঝতে। ও ভাবছে রিটার সাথে তার সম্পর্ক আছে।

সব বুঝে তাসিন তাহিয়াকে জালানোর উদ্দেশ্যে বলে ,আর ইউ জেলাস মিসেস তাসিন?

তাসিন এর এই রকম সম্বোধন শুনে তাহিয়ার অন্য রকম লাগলো।ও উত্তর না দিয়ে অন্য দিকে মুখ ফিরালো।

তাসিন তাহিয়াকে নেক কিস করল।তাহিয়া শিউরে ওঠে তাসিন কে খামচে ধরল।

তাসিন কিছুক্ষণ পর মুখ উঠিয়ে বলল,আমি নিজ ইচ্ছায় তোমাকে বিয়ে করেছি।সো বিয়ে টা না মানার কোনো কারণ নেই।আর কিছুটা সময় দিতে চেয়েছিলাম তোমাকে। কিন্তু তুমিতো দেখছি একদম অধৈর্য।
কিছুক্ষণ থেমে তাসিন বলল,আমার কারো সাথে সম্পর্ক নেই।আর রিটা আমাদের ক্লায়েন্ট ছিল। ওর সাথে তাই রেস্টুরেন্ট এ গিয়েছিলাম।বাকি কথা পরে এখন খাবার নিয়ে আসোতো।চিন্তায় ঠিক করে খেতে পারিনি। তোমাথ জন্য এও রাতে আবার আশরাফ খান এর বাড়িতে আসতে হলো।
তাহিয়া ওর কথা মতোই কাজ করল

🌸🌸🌸

ওয়াশরুম থেকে আরিয়ান বের হয়ে দেখে তুসি শুয়ে পড়েছে।আরিয়ান এর আজ ঘর টা পরিপূর্ণ লাগছে।ও গিয়ে শুয়ে পড়ল। আর পেছন থেকে তুসিকে জড়িয়ে ধরে ওর কানের কাছে গিয়ে ধীর গতিতে গিয়ে বলল,বাসর রাতে তুমি ঘুমিয়ে গেলে বৌ এটা কি ঠিক?যাক গে আজকের জন্য মাপ।এত দিন গম্ভীর আরিয়ান কে দেখেছো এখন এক প্রেমিক আর হাসবেন্ট আরিয়ান কে দেখবে।তো,বৌ তুমি তৈরি তো?বলল শেষে তুসিকে আরো গভীর ভাবে জড়িয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে নিল।

অন্যদিকে তুসি এতক্ষণ জেগে ছিল।আরিয়ান এর সব কথা শুনতে পেয়েছে ও
ওর এইভাবে জড়িয়ে ধরায় কেঁপে ওঠেছে।আরিয়ান টের পাচ্ছে কাপা কে জানে।ওর হার্ট বিট ও ফাস্ট চলছে। আরিয়ান এর কথা গুলো এখনো ওর কানে বাজছে। কি বলল সে,প্রেমিক কে দেখবো আমি???
চলবে,,,,,
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।
(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here