ভালোবাসার রং কালো পর্ব ১২

#ভালোবাসার_রঙ_কালো🖤
#চাঁদনী_নূর_লামিয়া
পর্ব-১২
——————————————–

.
সকালের আবির ডালিয়া ফুলের নতুন কুঁড়িতে উষ্ণতা ছড়িয়ে সুখ বুনছে। আমি নিষ্পলক চোখে সেই অধরা সুখকে দেখছি। নিজেকে এই ডালিয়া ফুলের নব্য কুঁড়ি আর মিহির ভাইকে সোনালী রোদের সেই আবির হিসেবে কল্পনা করছি; যার একটু ছোঁয়াতে আমার ধুঁ ধুঁ মরু প্রান্তর সম জীবনে বারির মতো শীতল সুখের বর্ষণ হবে! সেই সুখের বর্ষণে আমার জীবনের সকল অপূর্ণতা আর জড়তা মুছে গিয়ে সুখ সায়রে রূপান্তরিত হবে! ছাদের এককোণে অনেকটা দূরত্ব বজায় রেখে আমি আর ইকবাল পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছি। ছাদে আসার পরই তিনি তার পরিচয় দিয়েছেন। তাই তার নামটা জানতে পেরেছি। আমি ডালিয়া গাছের দিকে তাকিয়ে থাকলেও ইকবালের দৃষ্টি যে আমাতেই নিবদ্ধ সেটা আমি ঠিক উপলব্ধি করতে পারছি।
“আপনার কী মন খারাপ?
ইকবালের প্রশ্নে আমার উদাসী দৃষ্টি তার পানে নিয়ে গেলাম। ছেলেটা একটু বেশিই ফর্সা, তার উপরে মুখ ভর্তি দাড়ি যার কারণে তাকে আরও সুন্দর লাগছে। আমাকে অপলক চেয়ে থাকতে দেখে ইকবাল মুচকি হাসেন। তার হাসিতে অবজ্ঞা নাকি লুকোচুরি আছে সেটা বুঝতে পারলাম না। ইকবাল পুনরায় তার প্রশ্নবাণ ছুড়তে লাগলেন।
” আমি কিন্তু উত্তর পাইনি এখনো।
আমি আস্তে করে বললাম,
” কিছুটা।
” ভালোবাসেন?
আমি অবাক চোখে তার দিকে তাকালাম। তিনি মুচকি হেসে বলেন,
” মিহির সাহেবকে ভালোবাসেন?
আমি উত্তর না দিয়ে চুপ করে তার দিকে চেয়ে রইলাম। তিনি তার মুখের মুচকি হাসি আরও প্রসারিত করে বললেন,
” বসার ঘরে আপনার দৃষ্টির খেলা সমস্তটাই আমি দেখেছি।
আমি মাথা নিচু করে বললাম,
” হ্যাঁ বাসি।
” ভালোবাসাটা কি এক তরফা?
আমি এবারও অবাক হলাম। তিনি আবারও বললেন,
” মানে আপনি একাই তাকে ভালোবাসেন না কি তার পক্ষ্য থেকেও একই অনুভূতি?
লোকটার সাহস দেখে বার বার অবাক হচ্ছি আমি। চেনা নেই জানা নেই তিনি একেক পর এক আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে প্রশ্ন করে যাচ্ছেন! আমি রাগী সুরে বললাম,
” আপনি আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে প্রশ্ন করছেন, আর তাতে আমি বিরক্ত হচ্ছি সেটা কী আপনি বুঝতে পারছেন না?
” জ্বি বুঝতে পারছি। আর সাথে এটাও বুঝতে পেরেছি আপনি আমাকে বিয়ে করতে রাজী নন।
এবার আর তার কথায় আমি অবাক হলাম না। শান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলাম,
” আমার গায়ের রঙ কালো সেটা কী আপনি জানতেন না?
” জ্বি জানতাম এবং সেটা তো এখন দেখতেই পাচ্ছি।
” তাহলে জেনে শুনে এবং দেখেও এখানে দাঁড়িয়ে আছেন কেন এখনো?
” আপনি কী আমাকে বিদায় করে দিতে চাইছেন?
আমি স্মিত হেসে মলিন সুরে বললাম,
” কাউকে বিদায় করে দেওয়ার ইচ্ছে কিংবা যোগ্যতা কোনোটাই আমার নেই। আমি তো কেবল আপনাকে সাবধান করছি।
ইকবাল শব্দ করে হেসে বলেন,
” আপনি তো দারুণ মজার মানুষ। আমার এখন আফসোস হচ্ছে নিজের জন্য; কেন আরও আগে দেখা হলো না আপনার সাথে।
আমি ইকবালের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বললাম,
” আপনি এতটা সুদর্শন হওয়া সত্ত্বেও আমি কালো জেনেও কেন এসেছেন আমাকে দেখতে?
ইকবাল রহস্য করে বলেন,
” সত্যি বলবো না কি লুকাবো?
” আপনার ইচ্ছে।
তিনি এক পলক আমার দিকে তাকিয়ে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ে বলেন,
” আমার ব্যবসাটা বড় করতে অনেক পুঁজি লাগবে। মুদি দোকানদারের বোনকে ভালো আর প্রতিষ্ঠিত পরিবারের ছেলেরা বিয়ে করতে চায় না। বোনটা আমার সবদিক থেকে যোগ্যতা সম্পন্ন হয়েও শুধুমাত্র মুদি দোকানদারের বোন বলে নিজের যোগ্যতানুযায়ী ওর বিয়ে হচ্ছে না। তাই নতুন ব্যবসা শুরু করেছি। বাবা আর মা মিলে আত্নীয় স্বজনদের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করে জোগাড় করেছেন। কিন্তু সেই টাকা আমার চাহিদা অনুযায়ী অপ্রতুল। টাকার জন্য যখন এর কাছে ওর কাছে আর ব্যাংকে ঋণের জন্য ঘুরছিলাম, তখনি আপনার বাবার সাথে ঘটক চাচার মাধ্যমে পরিচয় হয় আমার। ঘটক চাচাকে আমার বোনের জন্য পাত্র খুঁজতে বলে ছিলাম।
আমি তার কথার মাঝখানে বলে ওঠলাম,
” কিন্তু আপনার বোন তো অনেক ছোট।
আমার কথায় ইকবাল আবারও হেসে বলেন,
” ওর ২২ বছর চলছে, কিন্তু বয়সের তুলনায় ওকে অনেকটা ছোট দেখায়।
আমি মনে মনে নোমানের জন্য আফসোস করতে লাগলাম। ইশ, আমার ভাইটার যাও কোনো মেয়েকে ভালো লেগেছে তাও কি না মেয়ে বয়সের ওর চেয়ে বছর চারেকের বড়! আমি ইকবালকে প্রশ্ন করলাম,
” তাহলে এর সাথে আমাকে বিয়ে করার সম্পর্ক কী?
ইকবাল আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলেন,
” এই প্রশ্নের উত্তর মনে হয় আপনি একটু চিন্তা করলেই পেয়ে যাবেন।
আমি তার কথাটা পুনরায় ভাবতেই পুরো ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম। আব্বা তাকে ব্যবসা করার জন্য টাকা দিবেন বলেছেন! আর তাই তিনি আমি কালো জেনেও আমাকে বিয়ে করতে রাজী হয়েছেন।
আমার চোখ ভিজে ওঠেছে। কান্না চেপে জিজ্ঞেস করলাম,
” আব্বা আপনাকে কত টাকা দিবে বলেছেন?
ইকবাল লজ্জিত ভঙ্গিতে বলেন,
” এই বিষয়ে আমরা আর কথা না বলি। আর তাছাড়া বিয়েটা যেহেতু হচ্ছেই না তখন এইসব অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে আমাদের প্রথম আলাপটা অপ্রীতিকর না করাই ভালো। আমরা বরং নিজেদের প্রথম সাক্ষাতটা এক পশলা বৃষ্টির মতো মনে রাখবো। যার হঠাৎ শুরু আর শেষ হয়ে গেলেও রেশ রয়ে যায় চিরদিন!
আমি আর ইকবাল একে অপরের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলাম। হাসির মাঝেই দুজন দুজনকে ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানালাম।
.
এক সপ্তাহ কেটে গেছে। পাশের বেলকনি থেকে কবুতর দম্পতির গড় গড় আওয়াজ শুনা যাচ্ছে। আমি জানালায় পিঠ ঠেকিয়ে নিঃশব্দে কেঁদে যাচ্ছি। আজ এই বাড়িতে আমাদের শেষ দিন। কাল সকালেই এই বাড়ি ছেড়ে আমরা ভাড়া বাসায় ওঠবো। সেদিন সকালের পর গত এক সপ্তাহ মিহির ভাইয়ের সাথে আর দেখা হয়নি আমার। সেদিন ছাদ থেকে নেমে আসার পর মিহির ভাইকে ড্রইংরুমে দেখতে পাইনি। ইকবাল তার পরিবারকে নিয়ে বিদায় নেওয়ার আগে আমাদের সবাইকে তাদের বাড়িতে যাওয়ার নেমন্ত্রন দিয়ে যান। তারা চলে যেতেই আমি আব্বার সাথে কথা বলি। আমার রুমের দরজা আটকে আব্বা আম্মা আর নোমানকে নিয়ে ঘরোয়া সালিশি বৈঠকে বসি। আব্বা তার শেষ বয়সের আর্থিক সম্বলকে আমার বিয়ের জন্য লুটিয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর বোকামি করতে যাচ্ছিলেন। আর তারজন্য আমি আব্বার সাথে জীবনের প্রথম রাগারাগি করি। আমি সব সময় আব্বার মর্জিকেই নিজের ইচ্ছে বলে মেনে নিয়েছি। কিন্তু অসহায় বাবা- মার শেষ বয়সের অবলম্বন দিয়ে নিজের জন্য সুখ কেনার মতো স্বার্থপর আমি কখনোই ছিলাম না। আমি যখন আম্মা আর আব্বাকে আমাকে না জানিয়ে সাহায্যের নামে অনেক টাকা যৌতুকের বিনিময়ে দেখতে সুদর্শন ছেলের সাথে আমার বিয়ে দেওয়ার পায়তারা করার জন্য জেরা করছিলাম, নোমান তখন মন খারাপ করে মাথা নিচু করে এককোণে উদাসীন হয়ে বসেছিল। ইকবালের বোন যে বয়সে ওর বড় সেটা ও তারা যাওয়ার আগেই জানতে পেরেছিল। আর সত্যটা জেনেই ওর মন খারাপ হয়ে যায়। অনেক কথা এবং নানান যুক্তি দিয়ে বোঝানোর পর অবশেষে আব্বা আমাকে চাকরি করার জন্য অনুমতি দেন। এবং সেই সাথে এক সপ্তাহের মধ্যেই ভাড়া বাসা খুঁজে এখান থেকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিজেদের যখন এখন কিছুটা সামর্থ্য আছে তখন অন্যের বাড়িতে আত্ন-সম্মান বিসর্জ্জন দিয়ে মাথা নিচু করে আশ্রিত হয়ে থাকার কোনো মানে হয় না। আমাদের আলোচনার পুরোটা সময় আম্মা চুপ করে ছিল। আম্মার চুপ থাকার কারণ আঁচ করতে পেরেছিলাম আমি। আবারও আমার বিয়ের কথা পাকা হতে গিয়েও ভেঙে যাওয়ায় আম্মা খুব কষ্ট পেয়েছিল। কিন্তু আব্বাকে দুঃশ্চিন্তা মুক্ত আর আম্মাকে খুশি করার কোনো সামর্থ্য আমার ছিল না। তাই সেদিন হতাশ হয়ে আব্বা আম্মা আর নোমানের চুপসে যাওয়া মুখ দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না আমার।
” আরজুপু।
নিধির ডাকে আমি কান্না বন্ধ করে সামনে তাকালাম। ছলছল চোখে নিধি দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। আমি চোখের পানি মুছে জোর করে হেসে বললাম,
” দরজায় দাঁড়িয়ে আছো কেন? ভেতরে এসো।
নিধি গুটিগুটি পায়ে হেঁটে আমার কাছে এসে দাঁড়ালো। তারপর কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে নরম সুরে বলল,
” আরজুপু।
” হু
” ভাইয়া তোমাকে খুব ভালোবাসে।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে ভেজা কণ্ঠে বললাম,
” আমি জানি।
নিজের অজান্তেই আমার বুক চিড়ে একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসলো।
” জানলে এইভাবে চলে যাচ্ছো কেন?
” থেকেই বা কী করবো? আর তাছাড়া একদিন তো এই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতেই হতো আমাদের।
” এখানে থেকে ভাইয়াকে আপন করে নিবে। তোমার ভালোবাসা ছাড়া ভাইয়া কীভাবে থাকবে সেটা একবার ভেবে দেখেছো?
” ঐসব আমার ভাবার বিষয় না নিধি। সেটা তোমার ভাইয়াই ঠিক করবে।
” তুমি ভাইয়ার ভালোবাসা ছেড়ে গিয়ে থাকতে পারবে?
আমি ওর কথার জবাব না দিয়ে বললাম,
” তুমি তো সবার মনের কথাই বুঝতে পারো, তাহলে কী মিহির ভাইয়ের ব্যাপারেও সবটা জানো?
নিধি আমার ইঙ্গিত বুঝতে পেরে বলল,
” তুমি কোন ব্যাপারে বলতে চাইছো? ভাইয়া আমাদের বড় ভাই এবং এটা ছাড়া আর কিছু জানার কিংবা বোঝার দরকার নেই আমার।
আমি নিধিকে জড়িয়ে ধরে ওর কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে বললাম,
” ভালো থেকো, আর তোমার ভাইয়াকে তোমাদের মতো দেখতে ফর্সা আর সুন্দরী কোনো মেয়ের সাথে বিয়ে দিও। জানো তো, কালো রঙটা তোমার ভাইয়ার জীবনে অভিশাপ!
.
ভোরে ঘুম ভাঙতেই অনেক শব্দ শুনতে পেলাম। দরজা খোলে রুম থেকে বেরোতেই দেখি মিহির ভাই আব্বা আর নোমানের সাথে মালামালগুলো ধরাধরি করে নিচে গাড়িতে নিয়ে রাখতে সাহায্য করছে। আমি একদৃষ্টিতে তাকে দেখতে লাগলাম। আমাকে বিদায় দিতে তার কত তাড়াহুড়ো আর কত আয়োজন!
সকাল সকাল নাস্তা করে আমরা যাওয়ার জন্য তৈরী হয়ে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিলাম। আর কেউ বেশি কিছু না বললেও নিধি আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে। আন্টি ওকে আমার কাছ থেকে ছাড়িয়ে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে দেন। আমি জলে ভেজা চোখে তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে চলে আসার জন্য পা বাড়ালাম। আব্বা, আম্মা আর নোমানকে নিয়ে আগেই নিচে চলে গিয়েছেন। আমি নিধির থেকে বিদায় নিয়ে লিফটের জন্য অপেক্ষা করছি। লিফটের দরজা খুললে আমি ভেতরে ঢুকতেই কোথায় থেকে যেন মিহির ভাইও এসে আমার সাথে লিফটে ঢুকে পড়েন। পুরো লিফট জুড়ে শুধুমাত্র আমরা দুজনই আছি। তাকে দেখে আমি কিছুটা পিছু সরে যেতেই তিনি আমার অনেকটা কাছে চলে আসেন। আমি নিঃসংকোচে তার দিকে তাকালাম। তাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে। মাথার উষ্কখুষ্ক চুলগুলো এলোমেলো হয়ে কয়েকটি চুল এসে তার কপালে পড়ে আছে। পরনের সাদা পাঞ্জাবীটার বুকের সবগুলো বোতাম লাগানো। পাঞ্জাবীর একহাতা কুনুই পর্যন্ত গুটিয়ে রেখেছেন। আর অন্যটি হাতের কবজির নিচে এসে ঝুলছে। তবুও তাকে দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছে। আমি জানি আমার চোখেই তাকে আলাদা সুন্দর লাগছে। কারণ আমি সুন্দর দৃষ্টি দিয়ে তাকে দেখছি। আর জগতের সকল সৌন্দর্যই আমাদের চোখের দৃষ্টিতে লুকায়িত থাকে। আমরা যে নজরে তাকাবো, আমাদের দৃষ্টিতে সেটারই প্রতিফলিত হবে! হুট করে লিফটের দরজা খোলে যেতে দুজনেই চমকে ওঠলাম। এতক্ষন আমরা দুজন দুজনের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম। তাই লিফট থেমে যেতেই দুজনে চমকে ওঠি। আমি লিফট থেকে বেরিয়ে আসতেই মিহির ভাইও আমার পিছনে এসে দাঁড়ালেন। আমি তাকে কিছু না বলেই অনেকটা সামনে চলে এসে হঠাৎ করেই থেমে গেলাম। তারপর পিছনে ফিরে মিহির ভাইয়ের দিকে তাকালাম। তিনি শুকনো চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। তার চোখ দুটিতে যেন খরা চলছে। আমার চলে যাওয়ার পরই বুঝি ঐদুটিতে বর্ষা শুরু হবে! আমি বড় বড় পা ফেলে তার দিকে এগিয়ে গেলাম। আমাকে আবার এগিয়ে আসতে দেখে তিনিও কয়েক কদম হেঁটে আমার কাছে চলে আসলেন। আমি কিছু না বলে তার পাঞ্জাবীর বুকের উপরের তিনটি বোতাম খুলে দিলাম। তারপর তার কানের কাছে মুখ নিয়ে আস্তে করে বললাম,
” আমার “ভালোবাসার রঙ কালো” বলেই আমাকে আজ আপনাকে ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে। আমার ভালোবাসাকে আপনার কাছে আমানত রেখে যাচ্ছি, যতনে রাখবেন।
এতটুকু বলেই আমি পিছনে ফিরে দ্রুত হাঁটতে লাগলাম। আমার দুই চোখ বেয়ে অঝোরে জল গড়িয়ে পড়ছে। আমি জানি মিহির ভাইও পিছনে দাঁড়িয়ে পাঞ্জাবীর হাতায় তার চোখের পানি মুছে ফেলছেন!
.
#চলবে….
.

.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here