ভালোবাসার লুকোচুরি পর্ব -০২

#ভালোবাসার_লুকোচুরি
#লেখনী_আলো_ইসলাম

” ২ ”

–“রোহানের কথায় কেঁপে উঠে রুহি। শুকনো ঢোক গিলে বলে আসলে হয়েছে কি, আমি উনাকে যা বলেছি সব মিথ্যা বলেছি মাথা নিচু করে বলে রুহি। রুহির কথায় ভদ্রলোক অবাক হয়ে বলে মানে। তুমি না কাল আমাকে বললে তুমি আমার ছেলেকে ভালোবাসো তাকে না পেলে সুইসাইড করবে। আচ্ছা তুমি কি ভয় পাচ্ছো তোমার পরিবারের সামনে সত্যিটা বলতে মামনী। ভয় পেয়েও না একদম আমি তো আছি। তুমি সত্যিটা বলো আমি উনাদের সাথে কথা বলব। একটু পর আমার ছেলেও আসবে। ভদ্রলোকের কথায় রোহান রেগে যায় আরো। দাঁতে দাঁত চেপে চুপচাপ সহ্য করে যাচ্ছে সব।

-“” ভদ্রলোকের কথায় রুহি ভয়ার্ত চোখে রোহানের দিকে তাকায়। রোহানের মুখোভঙ্গি দেখে আঁতকে ওঠে রুহি। মনে মনে বলে এই টাকলু নিজেও মরবে সাথে আমাকেও মারবে চুপ কর বাপ আর কিছু বলিস না।

– আচ্ছা রুহিমা তুমি কেনো হঠাৎ উনাকে এই সব কথা বলতে গেলে বলো তো। তুমি কি সত্যি উনার ছেলেকে.. রায়হান শেখের এই কথায় রোহান হাত মুঠো করে ফেলে রাগে তাই রুহি কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলে না না বড়বাবা উনার ছেলেকে আমি চিনি পর্যন্ত না। আসলে বড়বাবা আমরা ফ্রেন্ডরা ডেয়ার খেলছিলাম কলেজে৷ তো অনি ( রুহির বন্ধু অনিতা সবাই অনি বলে ডাকে তাকে) আমাকে ডেয়ার দিয়ে বলেছিলো এই আংকেলকে গিয়ে বলতে আমি উনার ছেলেকে ভালোবাসি বিয়ে করতে চাই কিন্তু আমার পরিবার মেনে নিচ্ছে না শেষের কথাটা আস্তেই বলে রুহি।

– রুহির কথায় সবাই বুঝতে পারে আসলে ব্যাপারটা কি ছিলো। ভদ্রলোকও বুঝে যায় এটা ফেক ছিলো। তবে রুহিকে তার ভীষণ পছন্দ হয়েছে তাই তিনি হাসি মুখে বলে আচ্ছা আমি বুঝতে পেরেছি রুহি মামনী মজার ছলে এমন করেছে। কাল রুহি মামনী এমন ভাবে বলছিলো সব কিছু আমি তো ভেবেছি সত্যি আমার ছেলের সাথে হয়ত রুহি মামনীর সম্পর্ক আছে। তবে আমি কিন্তু খুব খুশি হয়ে ছিলাম জানেন মিষ্টার শেখ। এমন মিষ্টি একটা মেয়ে আমার বাড়ির পুত্রবধূ হবে এতো সৌভাগ্যের ব্যাপার। যদি কিছু মনে না করেন তাহলে কি একটা প্রস্তাব রাখতে পারি মিঃ শেখ রোহানের বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলে ভদ্রলোক। উনার কথায় রোহান এবার দাঁড়িয়ে বলে আর কোনো কথা নয় এখানে৷ রোহান এবার ভদ্রলোকের দিকে তাকিয়ে মুখে জোরপূর্বক হাসি এনে বলে আংকেল আপনি তো বিষয়টা বুঝে গিয়েছেন৷ রুহি যে একটা ছেলেমানুষী করেছে এটা ক্লিয়ার প্লিজ আপনি আসতে পারেন এখন শেষের কথাটা রাগী লুকে বলে রোহান।

– রোহানের এমন বিহেভে ঘাবড়ে যায় ভদ্রলোক।

–” আহ রোহান চুপ করো৷ উনি কি বলতে চাচ্ছে একটি শুনো চুপ করে। বাবার কথায় রোহান তার দিকে তাকিয়ে বলে উনি যা জানতে বা জানাতে এসেছিলেন সেটা তো ক্লিয়ার হয়ে গেছে বাবা তাহলে আর কি কথা থাকতে পারে এখানে।

– না মানে রোহান বাবা আমি বলছিলাম কি আমার তো রুহি মামনীকে ভীষণ পছন্দ। ভুল করে হোক আর যা করে হোক আমি যখন এসেছি আর আমার ছেলে যখন একটা বিয়ে উপযুক্ত আছে তখন আমরা রুহি মামনীর সাথে আর যদি সত্যি বিয়ে.. আংকেল প্লিজ আপনি আসুন চোখ লাল বর্ণ ধারণ করে দাঁতে দাঁত চেপে বলে রোহান৷ রোহানের কথার বিপরীত আর কিছু বলার সাহস পায়না ভদ্রলোক। বাড়ির সবাই ও চুপ করে আছে। কারণ সবাই জানে রোহান এখন ভীষণ রেগে আছে। এই সময় কিছু বললে হীতে বিপরীত হবে। বাড়ির সবাই প্রায় রোহানের রাগকে ভয় পায়৷

– আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখীত মিষ্টার লতিফ ( ভদ্রলোকের নাম)। আসলে রুহিমা এখনো বড্ড ছোট। আর অনেক দুষ্টামিও করে। আপনার সাথেও একটা মিসটেক করে ফেলেছে তার জন্য আমরা সত্যি লজ্জিত অনুশোচনার স্বরে কথা গুলো বলেন রায়হান শেখ। ভদ্রলোক রায়হান শেখের কথায় মুচকি হেসে বলে এমন করে বলবেন না। আমি কিছু মনে করিনি। এই বয়সে একটু দুষ্টামি করবে স্বাভাবিক। তবে আমার প্রস্তাবে রাজি হলে আমাকে জানাবেন দয়া করে। ভদ্রলোকের কথায় রোহান এবার চোখ গরম করে তাকালে ভদ্রলোক আসছি বলে দ্রুত পায়ে চলে যায়।

– রুহি এতখন মাথা নিচু করে সব শুনছিলো। মনে মনে প্রে করছে এখান থেকে একবার যেতে পারলে হয়।

– রুহির বাবা রাশেদ শেখ উঠে এসে রুহির সামনে দাঁড়ায়। তাই দেখে রুহি ভয়ার্ত চোখে তাকায় তার দিকে।।

– আর কত নিচে নামাবে আমাদের বলতে পারো। আর কত লজ্জায় পড়তে হবে আমাদের তোমার জন্য লোকজনের সামনে। তুমি যথেষ্ট বড় হয়েছো সব কিছু বুঝতে শিখেছো তাহলে এই সব করার মানে রাগী কন্ঠে বলেন রাশেদ শেখ। বাবার কথায় রুহি কান্নারত কন্ঠে বলে আমার ভুল হয়ে গেছে বাবা আমি আর.. সম্পুর্ন কথা বলার আগেই রুহির মা ঠাস করে চড় বসিয়ে দেয় রুহির গালে। এতে সবাই চমকে উঠে যেনো। কিন্তু রোহানের কোনো হেলদোল নেই তাতে। তার যেনো রাগ বেড়েই চলেছে রুহির উপর।

– রুহি মার খেয়ে জোরে কান্না করে দেয়। আমিনা বেগম এগিয়ে এসে রুহিকে আগলে নিয়ে বলে এই সব কি হচ্ছে ছোটো। তুই এত বড় মেয়ের গায়ে হাত তুলছিস। ও একটা ভুল করে ফেলেছে তাই বলে এমন করার মানে হয়না।

– তুমি চুপ করো আপা। দিন দিন বড্ড বাড় বেড়ে যাচ্ছে ও। লোক সমাজে আমাদের হাসির পাত্র বানিয়ে ফেলছে। ওর মতো মেয়েকে কেনো যে পেটে ধরতে গেলাম আগে জানলে গলা টিপে মেরে ফেলতাম ওকে আমি। মায়ের কথায় রুহির বুক ফেটে কান্না আসতে চাই।
-চুপ কর। আর কেউ কিছু বলবি না মেয়েটাকে। রুহিমা যা তো ঘরে যা ফ্রেশ হয়ে আয়। এর মধ্যে রোহানের ফোন বেজে ওঠে। রোহান ফোনের দিকে তাকিয়ে বলে আমি ফোন এটেন করে আসছি৷ কেউ যদি এখান থেকে এক পা নড়ে তো খুব খারাপ হয়ে যাবে বলে রোহান বাইরে চলে যায় ফোন নিয়ে। রোহানের কথায় রুহি এবার ভয়ে আরো জোরে কেঁদে বলে ও বড়মা এবার আমার কি হবে তোমার ছেলে আমাকে আজ আস্ত চিবিয়ে খাবে।

– তুই চিন্তা করিস মা রুহিমা৷ আমরা রোহানকে বুঝাচ্ছি তুই ঘরে যা। রায়হান শেখের কথায় রুহি আর এক মুহুর্ত না দাঁড়িয়ে দৌড়ে উপরে চলে যায়। তারপর যখন রোহান এসে রুহিকে পায় না তখন আরো রেগে যায় রুহির উপর। রেগে উপরে যায় রুহির রুমে। রায়হান শেখ আমিনা বেগম পিছু ডেকেও লাভ হয়না। তারপর কি হয়েছে আপনারা তো জানেনই।

– আসুন এবার পরিচয় দিই সবার।

–‘ রায়হান শেখ আর রাশেদ শেখ দুই ভাই। তাদের ছেলে মেয়ে রুহি আর রোহান। রোহান রুহির কাজিন । পুরো নাম শেখ রোহান। যেমন রাগী তেমন জেদি । সব সময় চুপচাপ থাকতে পছন্দ করে রোহান। এক কথায় অলওয়েজ মুডি। রোহান দেখতে মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর। ৬ ফিট উচ্চতা সুঠাম দেহ ফিট ফর্সার অধিকারী । ঠোঁট দুটো লাল বর্ণের হয়ে থাকে সব সময়। সব মিলিয়ে সো হ্যান্ডসাম যাকে বলে। এক দেখায় যে কোনো মেয়ে ফিদা তার উপর। সব সময় ফর্মাল লুকে থাকতে পছন্দ করে রোহান। রোহানের কোনো ভাই বোন নেই। রোহান পড়াশোনা শেষ করে তাদের কোম্পানি সামলাচ্ছে। দেশের টপ দশজন বিজনেসম্যানদের মধ্যে রোহানও একজন। নিজ দক্ষতা আর অভিজ্ঞতা দিয়ে এই বয়সে অনেক এগিয়ে গিয়েছে সে।

–” শেখ পরিবারের আদরের মেয়ে রুহি শেখ। যেমন সুন্দরী তেমন দুষ্টু। শেখ বাড়ি সব সময় মাতিয়ে রাখে সে তার দুষ্টামি পুর্ন কার্যকলাপ দিয়ে। কিন্তু রোহান এই সব একদম পছন্দ করে না। যার জন্য সব সময় ঝার খাই রোহানের কাছে রুহি। রোহানকে ভীষণ ভয় পায় রুহি। ইনফ্যাক্ট শেখ পরিবারের সবাই-ই রোহানকে ভয় পায় বিশেষ করে রোহানের রাগকে।
–” রুহি উচ্চতায় ৫ ফিট ৪ ইঞ্চি। দুধে আলতা গায়ের রঙ। কমলার ন্যায় ঠোঁট। মায়াবী টানা চোখ, ঠোঁটের পাশে একটা তিল যার জন্য আরো সুন্দর দেখায় রুহিকে। রুহির একটা ছোট ভাই আছে যার নাম রাজিন। রুহি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছে। রুহির বাবা রাশেদ শেখ সেই কলেজের ভাইস প্রেসিডেন্ট। আর রোহানের বাবা প্রিন্সিপাল। রুহির একটা গ্যাং আছে কলেজে তার ফ্রেন্ডের নিয়ে। যাদের কাজ অন্যকে সব সময় বিরক্ত করা। জুনিয়রদের র‍্যাগিং এই সব করে মজা পায় তারা। ভাইস প্রেসিডেন্টের মেয়ে আর প্রিন্সিপালের ভাতিজি বলে রুহিকে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। চুপচাপ মেনে নেয় সব কিছু। অনেকে তো রুহিকে দেখে ক্রাশ খেয়ে দিবাস্বপ্নও দেখে।

— রুহি ওই পর্যন্ত ২২টা প্রেম করে। কিন্তু একটা প্রেমও তিনদিনের বেশি টিকে না। হয় ছেলে ফোন অফ করে রাখে নয়ত যোগাযোগই করে না আর৷ আর নয় এসে মাফ চেয়ে বোন বলে পরিচয় দিয়ে যায়। এর কারণ আজো বুঝে উঠতে পারে না রুহি। যদিও রুহির একমাত্র ক্রাশ তার কাজিন রোহান। রোহানকে যেমন ভয় পায় তেমন অনেক ভালো ও লাগে রুহির। রোহানের রাগের জন্য রুহি রোহানকে ডেভিল বলে ডাকে সবার আড়ালে। কারণ এই একমাত্র ব্যক্তি যে সব সময় বকাবকি করে রুহিকে।

–“রুহির দুটি বেস্ট ফ্রেন্ড। অনিতা আর পায়েল। এই তিনজন যদি একসাথে থাকে তাহলে কিছু না কিছু একটা হবেই। তাই এই তিনজনের থেকে সবাই দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করে কলেজে।

–” রুহি ফ্রেস হয়ে রুমে বসে আছে। আমিনা বেগম এর মধ্যে একবার এসে ডেকেও গিয়েছে ব্রেকফাস্ট করার জন্য। কিন্তু রুহির এখন একদম খাওয়া মুড নেই। বিশেষ করে এখন সে রোহানের সামনে যেতে যাচ্ছে না। রুহি তার হাতের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। এখনো খুব জ্বালা করছে তার হাত।

– ইসস হাতটার কি অবস্থা করেছে ওই ডেভিলটা। কোনদিন বউ পাবি না দেখিস তুই। আমার মতো এমন একটা বাচ্চামেয়েকে কষ্ট দেওয়া তো খারুস একটা। এর মধ্যে রুহির মাথায় একটা দুষ্টামি চাপে। ঠোঁটের কোণে হাসি নিয়ে এসে বলে আমাকে বকা তাই না। দেখ এবার আমি কি করি। ওয়েট মিষ্টার ডেভিল৷ এবার দেখবে রুহির কামাল বলে মুচকি হাসে রুহি।

– রোহান রেডি হয়ে নিচে আসে ব্রেকফাস্ট করার জন্য। রুহিকে না দেখে ভ্রু কুচকে তাকায় উপরে।

– রাজিয়া বেগম মন খারাপ করে বসে আছে সোফায়। আমিনা বেগম ব্রেকফাস্ট রেডি করছে টেবিলে। রাজিয়া বেগমকে মন খারাপ করে থাকতে দেখে তার কাছে গিয়ে কাধে হাত রাখে।

– খারাপ লাগছে বুঝি এখন মেয়েকে বকার পর। আমিনা বেগমের কথায় অসহায় ফেস করে তাকায় রাজিয়া বেগম।
– কেনো মেয়েটা কে মারতে গেলি বলতো। জানিসই তো ও একটু দুস্টু। আমিনা বেগমের কথায় রুহির মা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে আমি কি ইচ্ছে করে করেছি এমন বলো আপা। আমরা না হয় ওর আপনজন সব সহ্য করি। কিন্তু বাইরের সবাইকে কেনো করবে। ও রোজ একটা না একটা কান্ড বাধিয়ে আসবে আর সেটা আমাদের ফেস করতে হবে। আজ যেটা করলো উনার সাথে সেটা কি ঠিক করেছে। নেহাতই উনি ভদ্রলোক বলে সব চুপচাপ মেনে নিলেন।

–” বাদ দে। একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে দেখবি। এখন ছোট আছে তাই একটু এমন করে। আমিনা বেগমের কথায় রাজিয়া বেগম মুচকি হেসে বলে তোমরা সত্যি অনেক ভালো আপা। তাই আমার মেয়ের সব কিছু এমন সহ্য করো। সত্যি আমি ভাগ্য করে তোমার মতো একটা বোন পেয়েছি।

– রাজিয়া বেগমের কথা শুনে আমিনা বেগম কপাট রাগ দেখিয়ে বলে মারবো এক চড়। আমরা আর তোরা কি আলাদা নাকি রে। রুহি কি আমার মেয়ে না। আমরা সবাই মিলে একটা পরিবার বুঝেছিস। আর কখনো যেনো এই সব কথা না শুনি তোর মুখে।

– রুহি মা তো এখনো আসলো না। রায়হান শেখের কথায় আমিনা বেগম বলে আমি তো ডেকে আসলাম রুহিকে। মেয়েটা অনেক কষ্ট পেয়েছে আজ।
– তোমার ওর গায়ে হাত তুল ঠিক হয়নি রাজিয়া। ছোট মানুষ বুঝিয়ে বলতে পারতে। রোহানের বাবার কথায় মাথা নিচু করে রাজিয়া বেগম।

– আপা আরেকবার দেখবে মেয়েটাকে। হয়ত আমার উপর রাগ করে নিচে আসছে না।
– আচ্ছা তুই খাবার দে সবাইকে আমি দেখছি বলে রুহির রুমের দিকে যেতে নেয় আমিনা বেগম তখন পেছন থেকে রোহান বলে কেউ যাবে না। তোমরা থাকো আমি দেখছি বলে উঠে গটগটিয়ে চলে যায় রুহির রুমের দিকে। আর সবাই রোহানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।

— জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাইরের দৃশ্য দেখছে রুহি। মনটা তার ভীষণ খারাপ।
— রোহান রুহির ঘরের সামনে এসে দাঁড়ায়। ভেতরে তাকিয়ে দেখে রুহি জানালার পাশে এক হাতে গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে আছে। তখনই রোহানের চোখ যায় রুহির হাতের দিকে। লাল হয়ে আছে রুহির হাতের অংশটুকু।

– দুই মিনিটের মধ্যে নিচে খাবারের টেবিলে দেখতে চাই তোকে। হঠাৎ এমন তিক্ত কন্ঠ শুনে চমকে পিছু তাকায় রুহি। রোহানকে দেখে ঢোক গিলে সে। রোহান কথাটা বলে এক সেকেন্ডও দাঁড়ায় না।

– দুই মিনিটের মধ্যে নিচে দেখতে চাই তোকে ডেভিল একটা মুখ ভেংচি কেটে বলে রুহি। ধুর ভালো লাগে না। একটু নিজ ইচ্ছেতে না খায়ে থাকবো তারও উপায় নেই। এই ডেভিলটা সব সময় ডেভিলগিরি দেখাবে আমার উপর। রুহি আর দেরি না করে নিচে চলে যায়।

— রাত ২ টা সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে আছে৷ রুহিও ঘুমে বিভোর হয়ে আছে এলোমেলো ভাবে শুয়ে। এক জোড়া মায়াবী চোখ যেনো তার তৃষ্ণা মিটাচ্ছে রুহির নিষ্পাপ ঘুমন্ত চেহারা দেখে।

— চলবে…

(❌ কপি করা নিষেধ ❌ ভুলক্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষে বিবেচনা করবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here