ভালোবাসা তুই পর্ব -০১+২

মামনি কোথায় তুমি ? কখন থেকে ডাকছি !! আমি আর নিশি সেই কখন এসেছি । তোমার তো কোনো খবরই নাই ।

” আরে শুভ্রতা , নিশি তোমারা এসেছ ! আমি একটু ছাদে গেছিলাম তাই তোমাদের দেখিনি । শুভ্রতা কেমন আছিস মা । মামনি কে তো ভুলেই গেছিস । এখন আর আগের মতো মামনির কাছে আসিস না ।

মামনিকে জরিয়ে ধরে বললাম ,

” কি যে বল মামনি ? আমি কি আমার কিউট মামনিকে ভুলতে পারি , কয়েক দিন পর পরীক্ষা তো তাই আগের মতো আসতে পারি না। তুমি ও তো আমাদের বাসায় যাও না ।

” কয়েক দিন ধরে শরীরটা ভালো না রে তাই তো তোদের বাসায় যেতে পারি না । তা নিশি কবে আসলো ?

” নিশি তো গতকাল এসেছে। আমি এখানে চলে আসলে নিশির বাসায় একা একা বোরিং লাগবে তাই ওকে ও নিয়ে এলাম।

” ভালোই করেছিস নিয়ে এসে । নিশি মা কেমন আছো?

” এই তো ভালো আন্টি । তুমি কেমন আছো?

” ভালো। শুভ্রতা তোর মা, বাবা , তৃষা আসলো না?

” ওরা সবাই বিকেলে আসবে। হঠাৎ করে এতো তাড়াহুড়ো করলে আসতে বললে কেন ,, আর মামা কোথায় ?

” তোর মামা একটু বাজারে গেছে । আজকে শুভ্র আসছে তাই আসতে বললাম।

” কিহহ ? শুভ্র ভাই আসছে ?

” হ্যাঁ। তোরা রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে । আমি রান্নাঘরে যাচ্ছি

” হুম ।

আমি শুভ্রতা । এবার অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। এতক্ষণ যার সাথে কথা বললাম সে আমার মামনি । নিশি আমার চাচাতো বোন । তৃষা হচ্ছে আমার বড় আপু আর শুভ্র আমার একমাত্র মামাতো ভাই।

মামনি যাওয়ার পর নিশি জিজ্ঞেস করল ,,

“শুভ্রতা তোর মামাতো ভাই না শুভ্র?

” হুম। জানিস আমি সেই ছোটবেলায় শুভ্র ভাই কে দেখেছিলাম তারপর আর দেখিনি?

” কি বলিস এখন ও দেখিস নি ?

“না । আমার জন্য শুভ্র ভাই চট্টগ্রাম চলে গেছে।

” তর জন্য ? কি করেছিস তুই ।

” পরে বলবো এখন রুমে চল ।

“হুম চল ।

দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিকেলে সবাই বসে গল্প করছিলাম। আম্মু , আব্বু , আপু কিছুক্ষণ আগেই এসেছে। এমন সময় কলিংবেল বেজে উঠল।

” মামনি আমাকে বলল ,শুভ্রতা মা দেখ তো কে এসেছে ।

” দেখছি ”

দরজা খুলে সামনে থাকা মানুষটাকে দেখে আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম ….
#ভালোবাসা_তুই
#পর্বঃ২
#লেখিকা_নিদ্রানী_নিদ্রা

[ কপি করা নিষেধ ]

ছেলেটি পকেটে হাত দিয়ে দরজার সামনে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গায়ে একটা কালো কি শার্ট আর কালো জিন্স। ছেলেটি অনেক সুন্দর, শুধু সুন্দর না একটু বেশি সুন্দর। আমাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে বলল

” এই যে মিস এভাবে দেখছেন কেন? জীবনে কি কখনো ছেলে দেখেননি নাকি ?

ছেলেটির কথা শুনে অন্য দিকে তাকিয়ে বললাম ,

” আপনি আমাকে এত গুলো কথা বলার কে ?

” আমি কে মানে? আমাদের বাড়িতে দাঁড়িয়ে আমাকে বলছেন আমি কে ?

” আপনাদের বাড়ি ? আপনি বললেই এটা আপনাদের বাড়ি হয়ে যাবে । আমাকে কি পাগল মনে হয় আপনার ?

আমাদের চেঁচামেচি শুনে আম্মু আর মামনি আসলো। আম্মু ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বলল ,

” শুভ্র তুই চলে এসেছিস বাবা ? কতো দিন পর তোকে দেখলাম । কেমন আছিস।

” ভালো ফুপ্পি । তুমি কেমন আছো?

” ভালো। বাহিরে দাঁড়িয়ে আছিস কেন ভিতরে আয় ।

” ভিতরে যাব কিভাবে এই ঝগড়াতে মেয়েটা আমাকে ভিতরে যেতে দিচ্ছে না । কে এটা ?

” এটা তো শুভ্রতা । শুভ্রতা তুই শুভ্রকে ভিতরে যেতে দিচ্ছিস না কেন । ছেলেটা কতো জার্নি করে এসেছে আর তুই ওকে বাহিরে দাঁড় করিয়ে রাখেছিস ”

শুভ্র ভাইকে দেখে প্রথমে ক্রাশ খেয়েছিলাম কিন্তু শুভ্র ভাইয়ের এই সব কথা শুনে তাকে আমার ক্রাশ লিষ্ট থেকে ডিলিট করে দিলাম। তারপর মামনিকে বললাম …

” মামনি আমি কি তোমার ছেলেকে চিনি নাকি মে ভিতরে যেতে বলবো । দেখ আম্মু কিভাবে বকছে আমাকে । আর শুভ্র ভাই কিভাবে ঝগড়াতে বললো ।

” শুভ্র তুই শুভ্রতাকে ঝগড়াতে কেন বললি ? আমাদের শুভ্রতা একটুও ঝগড়াতে না । অনেক ভালো।

মামনি আমাকে অনেক আদর করে শুভ্র ভাইয়ের থেকে ও বেশি আর আম্মু আমাকে যতটুকু ভালোবাসে তার থেকে অনেক বেশি ভালোবাসে শুভ্র ভাই কে । মনে হয় আমি মামনির মেয়ে আর শুভ্র ভাই আমার আম্মুর ছেলে।

আম্মু বলে উঠলো…

” ছেলেটা আর কতক্ষন বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকবে । শুভ্রতা সামনে থেকে সরে দাঁড়া শুভ্রকে ভিতরে আসতে দে ।

আমি সরে দাঁড়ালাম শুভ্র ভাই ভিতরে গিয়ে সবার সাথে কুশল বিনিময় করলেন । তখন মামনি শুভ্র ভাইকে বললো ….

” শুভ্র তুই রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে । অনেক জার্নি করে এসেছিস ।

“হুম যাচ্ছি।

সন্ধ্যায় আমি আমার রুমে যাচ্ছি এমন সময় কে যেনো হাত দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরে ছাদে নিয়ে গেল । ছাদে গিয়ে মুখ থেকে হাত সরিয়ে দিল । আমি তাকিয়ে দেখি শুভ্র ভাই। উনাকে দেখে আমি বললাম…

” শুভ্র ভাই আপনি আমাকে এখানে কেন নিয়ে আসলেন ?

#চলবে
#চলবে

#ভালোবাসা_তুই
#পর্বঃ১
#লেখিকা_নিদ্রানী_নিদ্রা

[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here