ভালোবাসি নিরালয় পর্ব -০২

#ভালোবাসি_নিরালায় |২|
#লেখনীতেঃ Liza Bhuiyan

ভোরের আবছা আলোয় ঘুম ভাঙ্গে সায়ানের, মাথা হাল্কা ব্যাথা করলেও খাট থেকে নেমে ফ্রেশ হয়ে নেয়। প্রাক্তনের বিয়ে হয়ে যাওয়ার বাহানায় তো আর অফিস যাওয়া বন্ধ করা যাবে না যদিও একদিন তাও ছুটি নিয়ে ফেলেছে মিথ্যে বলে।এ যুগে শরীর খারাপ করলে ছুটি নেয়া যায় কিন্তু মনের অসুখ কি নিছক বাহানা নয়? বস হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলবে মনের ভিমরতি হয়েছে, এসব বাহানাবাজিতে শেষে চাকরীটাও খেয়ে বসবে!
ব্যাগ বাইরে বের হয়ে তালা লাগানোর সময় সায়ান থমকে দাঁড়ালো, সবকিছু ভুলে গেলেও কাল ওর শোবার ঘরে জলজ্যান্ত এক নারী ছিলো তা কি তবে সব মিথ্যে? কিন্তু কল্পনা তো এতো বাস্তব হয়না। ঘরের ভেতর ঢুকে সব আবারো চেক করার পর অফিসের দিকে রওনা দিলো। বড় সন্তানদের উপর সংসার চালানোর দায়ভার আসা মধ্যবিত্ত পরিবারে অতি স্বাভাবিক বিষয় আর ওর ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়!

অফিস শেষে বাড়ি ফিরতে ফিরতে নয়টা বেজে যায় সায়ানের, দীর্ঘ দুবছরের পরিশ্রমের পর ওর প্রোমোশন হয়েছে বলে সবাই ট্রিট দেয়া ছাড়া ছাড়তে চাইলো না। সায়ান অতি খুশিতে মাকে ফোন দিয়ে দুফোঁটা চোখের জলও ফেলেছিলো। সব খুশি, দুঃখক্লিষ্ট সবকিছুতেই মায়ের ছায়াতলে আশ্রয় নেয় সায়ান, ছোটবেলা থেকেই এ যেনো এক অকথ্য নিয়ম! ভাগ্যের উপর নিজের খুব হাসি পেলো সায়ানের, গতকালই তো ফারিয়াকে ফিরিয়ে দিলো ভবিষ্যতের কথা ভেবে আর আজ…
আল্লাহ যা করে ভালোর জন্য করে ভেবে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেললো সায়ান, ওয়াশরুমে গিয়ে গোসল সেরে নিলো। চুল মুছতে মুছতে বের জোরে চিৎকার দিতে গিয়েও থেমে গেলো। খাঁটের উপর বসে আছে সেই নারীমূর্তি, সায়ান দম খিঁচে চোখ বন্ধ করে ফেললো। যতো দোয়া মনে ছিলো সব পড়েও চোখ খুলার একই স্থানে দেখলো তাকে, ওর বুক কেঁপে উঠলো। কাঁপা হাতে ইশারা করে বললো

“ক-কে আপনি? আপনি এই ঘরে ঢুকলেন কি করে বলেন তো?”

মেয়েটি ওর কথায় মন খারাপ করে ফেললো, মুহুর্তেই চোখের কোনে জল ছলছল করতে লাগলো। অভিমানী কন্ঠে বললো

“তুমি এমন অপরিচিত মানুষের মতো কথা বলছো কেনো? নিজের বউকেও এখন চিনতে পারছো না?”

সায়ান বিরক্ত হয়ে দু আঙুল দিয়ে কপাল চেপে ধরলো, বিরক্তি নিয়ে বললো

“সেই কাল থেকে বউ বউ করে যাচ্ছেন, আমি এতোটা পাগল হয়নি যে বিয়ে করে ভুলে যাবো। আপনি কে বলুন তো? এই কি চাই আমার থেকে?”

মেয়ে কান্নারত অবস্থায় বিছানা থেকে নামতেই সায়ান কয়েক কদম পিছিয়ে গেলো, ওয়াশরুমের দরজার সাথে বাড়ি খেতেই ‘আহ’ শব্দ করে বসে পড়লো। মেয়েটি কাছে এসে ধরতে যাবে তখন ভয় কুঁকড়ে গেলো আর হাতের ইশারায় তাকে থামিয়ে দিলো। সায়ানের চোখে ভয় দেখে মেয়েটি কান্নার মাঝেও হেসে দিলো, সায়ানের লাইটের মেয়েটির ছায়া খুঁজার চেষ্টা করলো। বোকার মতো প্রশ্ন করে বসলো

“তুমি কি আসলে জ্বিন?”

মেয়েটি ওর কথায় সাহস পেয়ে বসলো, সায়ান থেকে অদূরে খাঁটের কোনায় বসে বললো

“নাতো! জ্বিন কি এতো সুন্দর হয়? পরী বলুন পরী!”

সায়ানের মা হয়তো ওকে এই অবস্থায় দেখে ওকে নিশ্চিত বলতো

“সায়ান বাবা! আমার মনে হয় তোর উপর জ্বিনে আসর হয়েছে। এটা একমাত্র বিয়ে করলেই ঠিক হবে”

সায়ান মাথা নেড়ে উঠে দাঁড়ালো, মেয়েটির মুখে হাসি দেখে কিছুটা ভরসা পেলো। ধীরে সুস্থে মেয়েটির দিকে এগুতে এগুতে বললো

“তুমি কি সত্যিই আছো নাকি শুধু আমার নিছক কল্পনায় সাজানো কোন নারীমূর্তি? আমি গতরাতের মতো তোমায় ভাবছি নাতো?”

সামনে থাকা নারী মুচকি হাসলো, চোখের পানি মুছে হেলান দিয়ে বসলো, হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো

“ছুঁয়েই দেখুন”

সায়ান দাঁড়ানো অবস্থায় কাঁপা হাতে মেয়েটার হাত চেপে ধরলো, একটা মানুষ যাকে দেখা যায়, স্পর্শ করা যায় সে নিছক কল্পনা কি করে হয়? সায়ান নানা রকম চিন্তা করতে থাকলো। যদি এসব বাস্তব হয় তবে অপরিচিত মেয়েটি সত্যিই ওর ঘরে আছে, সে কোথা থেকে এসে, তার উদ্দ্যেশ্য কি, তার সঙ্গ কতোটা সংক*টময় আর ক্ষ*তিকর সায়ানের জানা নেই! এমনকি মেয়েটার নামও জানে না সায়ান, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ‘ওর একা ফ্লাটে মেয়েটি চাবি ছাড়া ঢুকলো কি করে?’ ভাবনায় মশগুল হয়ে সায়ান হাত আরো শক্ত করে চেপে ধরতেই মেয়েটি কিছুটা ঝুঁকে বসলো। সায়ানের কপালে আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে শ্বাসরুদ্ধ কন্ঠে সুধালো

“তুমি আবারো জোরে জোরে ভাবছো, সবকিছু নিয়ে এতো না ভেবে শুধু আমাকে নিয়ে ভাবো”

সায়ান মেয়েটির দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো তারপর মুহুর্তেই চোখ শক্ত হয়ে আসলো। হেচকা টানে মেয়েটির হাত দুটি চেপে ধরে মেয়েটির শাড়ির আচল দিয়ে বেঁধে ফেললো। মেয়েটি উপায়ন্তর না পেয়ে বিছানার হেডবোর্ডের সাথে হেলান দিয়ে বসে রইলো, চোখে মুখে ক্রো*ধ স্পষ্ট! সায়ান কোমরে হাত দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিলো, মেয়েটির তাকিয়ে বললো

“তুমি আসলেই জল*জ্যান্ত মানুষ, আমার মতো ছেলের ব্যাচেলর ফ্লাটে তোমার মতো জ্বিন স্যরি তোমার ভাষায় পরীকে দেখার সৌভাগ্য কি করে হলো তাই বলো!”

মেয়েটিকে চোখ মুখ শক্ত করে বসে থাকতে দেখে সায়ানের রাগ হলো, সটান হয়ে বললো

“যদি মুখ না খোলো তবে পুলি*শ ডাকতে বাধ্য হবো, আমি বাড়তি ঝামেলা অবশ্যই চাইনা”

মেয়েটি জবাব না দেয়াতে সায়ান সত্যিই ৯৯৯ তে কল দিলো, গলা ঝেড়ে কথা বলতে নিবে তখনই মেয়েটি ইশারায় না করলো, সায়ান মিস্টেক হয়েছে বলে রেখে দিয়ে সোজাসাপ্টাভাবে জিজ্ঞেস করলো

“প্রথমত নাম কি তোমার?”

মেয়েটি মাথা নিচু করে বললো

“রুশি”

সায়ান আবারো বললো

“অর্ধেক নয়, পুরো নাম জানতে চেয়েছি”

মেয়েটি অকপটে বললো

“রুশানি আনাম”

সায়ান কিছুক্ষণ ভেবে বললো

“দেখে তো চোর মনে হয়না, ভদ্র ঘরের মেয়ে মনে হয়। মাঝরাতে একটা ছেলের ঘরে… সে যাইহোক এখানে কি করছো সেটা বলো।”

রুশি এবার মুখ বাঁকিয়ে বললো

“আমি সবটা বলে দেই আর আপনি গিয়ে পুলি*শে ধরিয়ে দিবেন তাইনা? না বাপু অতোটা বোকা আমি নই”

সায়ান চোখ ছোট ছোট করে বললো

“পু*লিশ তো আমি চাইলে এখনো ডাকতে পারি, জে*লে যাওয়ার এতো শখ হলে বলতে পারো। তবে তুমি মুখ খুললে না ডাকার কথা ভাবতে পারি”

রুশি এবার কিছুটা ভয় পেলো, নিজেকে স্বাভাবিক রাখার প্রচেষ্টা করে বললো

“আপনি সত্যি পু*লিশ ডাকবেন না বলছেন?”

সায়ানের ভাবান্তর না দেখে রুশি বললো

“আমি আপনাকে একমাস ধরে ফলো করছিলাম, যেহেতু নীচতলায় থাকেন তাই আপনি যে একা তা বুঝতে সুবিধা হয়েছে। একা থাকেন পুরো ফ্লাটে তারউপর এবাড়িতে সিকিউরিটি বলতেও তেমন কিছু নেই, বাড়িওয়ালাকে কনভিন্স করেছি আমি আপনার আত্মীয় কিন্তু আপনার সাথে যোগাযোগ না থাকায় কল করতে পারছিনা। ওনার আবার চারিত্রিক সমস্যা। পুরো সময় আমাকেই দেখেছে, কি বলেছি মাথায় খুব একটা ঢুকেনি, বাড়িওয়ালার কাছে প্রয়োজনে যে চাবি থাকে সেটা এক চাওয়াতেই পেয়ে গেছি সহজেই আর তাই আমি এখন এখানে”

সায়ান মাথা নেড়ে বললো

“আপনি আমার প্রশ্নের জবাব এখনো দেন নি, মিস.রুশানি! কিভাবে ঘর পর্যন্ত এসেছেন সেটা জানা আমার উদ্দ্যেশ্য নয়। আপনি এখানে কেনো এসেছেন সেটা বলুন, আরো সহজ ভাষায় আমার কাছে আপনি কি চান?”

রুশি মাথা নিচু করে বললো

“টাকা নিতে এসেছি অবশ্যই, আর কি চাইবো আপনার কাছে? কিন্তু এখানে ঢুকার পর বিশেষ কিছু পেলাম না। ব্যাচেলর থাকেন বলে একদমই ফাঁকা ঘর নিয়ে বসে থাকবেন তা ভাবিনি। তাই বলতে পারেন কিছুই না”

সায়ান ভ্রু কুঁচকে বললো

“আমার ব্যাগে কাল রাতে ছ হাজার টাকা ছিলো যার পাঁচ হাজার আমি আজ বাড়ি পাঠিয়েছি, সেই টাকাটা নিলেন না কেনো?”

রুশি জবাব দিলো না, সায়ান নিচের কণ্ঠস্বর নম্র করে বললো

“কাল কিছু নেন নি বলে আজ টাকাটা নিতে এসেছিলেন?”

রুশি মাথা নাড়লো, নিচু কন্ঠে বললো

“নেয়ার হলে টাকাটা কালই নিয়ে যেতাম কিন্তু ইচ্ছে হয়নি। আজ আমি আপনার পরিস্থিতি দেখতে এসেছি, কাল আপনাকে দেখে মনে হয়েছে ভুলভাল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তাই সারারাত আমি আপনার পাশে বসে ছিলাম। আজ ঠিক আছেন কিনা এতোটুকুই জানতে এসেছি, ভেবেছি আজোও ওসব বি*য়ার খেয়ে পড়ে থাকবেন আর এসে দেখে তারপর চলে যাবো কিন্তু…”

রুশি শেষ করতে না দিয়ে সায়ান বাকিটুকু বললো

“কিন্তু ভাবতে পারেন নি আমি এমন সুস্থ মস্তিষ্কে থাকবো, ওয়েল দ্যাট মেক সেন্স। কথা হচ্ছে আপনি এভাবে এই ফ্লাট থেকে বেরিয়ে গেলেন আর কেউ দেখে নি আপনাকে? এখন জ্বিন বললে কিন্তু বিশ্বাস যোগ্য হবে না।”

রুশি কাঁচুমাচু হয়ে বললো

“ফজরের নামাজের সময় সবাই যখন মসজিদে ছিলো তখন বেরিয়ে গিয়েছিলাম, কেউ খেয়াল করেনি হয়তো। ভাগ্য ভালো বলতে পারেন”

সায়ান একটা চেয়ার টেনে বরাবর করে বসলো, কিছুক্ষণ ভেবে বললো

“আমার নাহয় কোন ক্ষতি হয়নি বলে আপনাকে আই*নের হাতে তুলে দিচ্ছিনা, অন্যকারো হাতে পড়লে তারা কিন্তু ছেড়ে কথা বলতো না।এসব কাজ কেনো করেন?”

রুশি মাথা নিচু করে বসে রইলো কতোক্ষন, হয়তো ভাবছে বিষয়টা বলা ঠিক হবে কিনা কিন্তু শেষমেশ বলেই ফেললো,

“আমার পুরো পরিবার ইতালিতে থাকে, ফ্যামিলি ট্রিপ ছাড়া কোথাও যাওয়া হয়নি। কলেজের পাশের রেস্টুরেন্টে কাজ করা বাংলাদেশি প্রবাসীর সাথে পরিচয় হয়, আমি ওকে খুব পছন্দ করে ফেলেছিলাম। বাবা উচ্চাকাঙ্ক্ষী মানুষ, আমাদের সম্পর্ক মেনে নিবে না বলে আমি বাসা থেকে পালিয়ে এসেছি। আমাকে সাথে নিয়ে ও বাংলাদেশে ছুটিতে আসে, আমাকে একটা বাসা ভাড়া করে রাখে আর ও নিজের বাড়িতে ফিরে যায়। একমাস পর আমার সাথে দেখা করতে আসলে আমি বুঝতে পারি সেই ছেলে বিবাহিত, আমাদের প্রচুর তর্কাতর্কি আর হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে ও আমার পাস*পোর্ট আর ভি*সা নিয়ে চলে যায় আর হুম*কি দেয় বেশি বাড়াবাড়ি করলে ফেরত দিবে না। আমি তাকে রিকুয়েস্ট করেছিলাম যে আমি কাউকে কিছু না বলে নিজের মতো ফিরে যাবো কিন্তু সে আমায় বিশ্বাস করেনি।”

রুশির দুঃখীভাব থাকা চেহারায় হাসি ফুঁটে উঠলো, আরাম করে বসে বললো

“অবশ্য ও যেটা ভয় পাচ্ছিলো আমি ঠিক তাই করতাম, ওর বউয়েরও তো জানার অধিকার আছে তার আদরের স্বামী কতো বিশ্বস্ত! ও ভেবেছে আমায় এই দেশে আটকে রাখবে, দেশ ছেড়ে যাওয়ার ঠিক সব বলে যাবো”

রুশি তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলো। সায়ান কিছু না ভেবেই বললো,

“এই পেশায় জড়ালে কিভাবে?”

রুশি নিয়ে কয়েকদফা পারাপারি করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো

“ভাগ্য বলতে পারেন? ব্যাচেলার সবাই ভাড়া দেয়না আর মেয়ে হলে তো কথাই নেই তাই সেই ছেলে জেনেবুঝেই খুব ভেতরের একটা বাসা ভাড়া নিয়ে দিয়েছিলো আমায়, আশেপাশের পরিবেশ খারাপ ছিলো। প্রথম প্রথম বিকেলের পর দরজা লাগিয়ে বসে থাকতাম, সে যাইহোক ওখানেই স্যামের সাথে পরিচয়। ওরা এই রাস্তায় বহুদিন ধরে কাজ করছে, প্রথমে এড়িয়ে চলতাম কিন্তু পরে পকেট ক্রমশ ফাঁকা হচ্ছে আর চাকরী সম্মানের সহিত পাচ্ছিলাম না বলে এই পথ বেঁছে নেয়া। ওরা সাহায্য করেছে আমায় খুব, বেশ কিছু টাকাও জমিয়েছি কিন্তু আপনার কাছে এসেই থমকে গেলাম। মায়া জিনিসটা বড্ড খারাপ বুঝলেন, কারো প্রতি মায়া দেখাতে নেই। এই আপনার খবর জানতে এসেই দেখুন না অলমোস্ট জে*লে পৌঁছে যাচ্ছিলাম।”

সায়ান কি বলবে ভেবে পেলো না, একবার ভাবলো মেয়েটাকে চলে যেতে বলবে পরক্ষণেই কেনো যেনো মায়া হলো মেয়েটির উপর।
রুশানি নামক মেয়েটা আর ওর মধ্যে বিস্তর ফারাক। রুশি তার পছন্দের মানুষের জন্য নিজের পরিচিত পরিবেশ ছেড়ে অন্যদেশে পাড়ি জমিয়েছে অথচ ও সাহস করে নিজের ভালোবাসাকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে পারলো না। প্রোমোশন হওয়ার পর কি ওদের সংসার ভালোভাবে চলতো না? অবশ্যই চলতো কিন্তু নিজের প্রতি ভরসাটাই তো পেলো না। সায়ান কিছু না ভেবেই বললো

“আমার এখানে একটা রুম ফাঁকা থাকে, আপনি থাকতে পারেন এখানে। ওই অসুস্থ পরিবেশে না ফিরে যাওয়ার দরকার নেই শুধু বাড়িওয়ালী থেকে একটু সাবধানে থাকবেন আরকি!”

পরক্ষণেই মনে হলো কাজটা কি ঠিক হলো? একটা অপরিচিত মেয়ে যে কিনা অসৎ কাজের সাথে জড়িত তাকে থাকতে দিলে ঝামেলায় পড়বে না? কিন্তু ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গিয়েছিলো। রুশি ঠোঁটের প্রশস্ত হাসি দেখে মেয়েটাকে ফেরাতে ইচ্ছে হয়নি, পরিস্থিতির এই ঝোপ জঞ্জালে কেউ তার সুখ খুঁজে পাক!

#চলবে…

(যেহেতু গল্পটি কারো পছন্দ হয়নি তাই এই পুর্বেই শেষ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু সম্ভব হয়নি। আর পর্ব হয়তো বাকি আছে। সবাই ভালো থাকবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here