#ভালোবাসি_হয়নি_বলা
#লেখকঃmahin_al_islam
#পর্বঃ২৪
বদমাশ টিকটিকি বানর হনুমান গরু ছাগল হাতি
নিজের মুখ দিয়ে একবার খাওয়ার কথা বলল না
মন চাচ্ছে একবারে মেরে ফেলি
মাহিনঃ কি হলো, এই ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আসো কেন???
আমিঃ আপনি তো বললেন আপনার সামনে থেকে যেন সরে না যাই কোথাও আবার এখন আপনি এসব কি বলতেছেন আমি আপনার দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছি
মাহিনঃ এমন ভাবে তাকিয়ে আছো যেনো আমাকে আস্ত গিলে ফেলবে
আমিঃ আপনার না মাথা ব্যথা করে তাহলে সব সময় আমার সাথে ঝগড়া করতে খুব ইচ্ছা করে তাই না… আপনার ফোন কোথায়
মাহিনঃ আমার ফোনটা মনে হয় হারিয়ে গেছে
আমিঃ আচ্ছা এখন কি আমি আপনাকে কয়েকটা প্রশ্ন করতে পারি যেগুলোর উত্তর আপনি আমাকে কোন প্রকার প্রশ্ন না করে দিয়ে দিবেন
মাহিনঃ আচ্ছা দেব তার আগে খাওয়া টা শেষ করি আর তুমি আমার এখানে আমার পাশে বসে পরো খাবারটা খেয়ে নাও
আমিঃ না আমি খাব না আমার খিদে নেই
মাহিনঃ দেখো তোমার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে তোমার অনেক খিদে পেয়েছে প্লিজ খাবারের উপর রাগ করে থাকতে নেই কিছু খেয়ে নাও না হলে রাতে অসুস্থ হয়ে যাবা
আমিঃ আমি অসুস্থ হয়ে গেলে তাতে কার কি আসে যায়
মাহিনঃ কার কি আসে যায় সেটা আমি জানিনা কিন্তু আমি শুধু এটাই জানি এখন তুমি আমার সাথে খাবার খাবে আর অন্য কোন কথা হচ্ছে না
আমিঃ না আমার খিদে নেই আমি খাব না
আমার কোন কথা না শুনে উনি আমার হাত ধরে একটানে ওনার কোলে বসিয়ে নিলেন
আমিঃ এসব কি হচ্ছে যেকোনো সময়ে ছুটকি চলে আসতে পারেন দরজা খোলা আছে
আমার কোন কথার উত্তর দিচ্ছ না
উনি এক লোকমা ভাত আমার মুখের সামনে ধরল
আমি মুখ বন্ধ করে আছি দেখে উনি চোখ গরম করে আমার দিকে তাকালেন
উনার চোখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে যদি আমি ভাত না খাই তাহলে নিহাদ আমার কপালে দুঃখ আছে
তাই আমি চুপচাপ লোকমা টা খেয়ে নিলাম
উনি আর খাচ্ছে না আমাকে শুধু খাওয়ায় দিচ্ছে
আর আমি চুপচাপ খেয়ে যাচ্ছে বেশ মজাই লাগতাছে বরের হাতে খাইতে
আমি ভাবতাম উনি সব সময় আমার উপর রাগ দেখাইবে কখনো আদর সোহাগ করবে না কিন্তু এখন দেখতেছি পুরাই উল্টা
উনি আমাকে খাওয়ায় দিচ্ছে আর আমি খেয়ে যাচ্ছি
শেষের লোকমার সময় জেই আমার মুখে খাবার তুলে দিলেন আমি ইচ্ছাকৃতভাবে ওনার আঙ্গুলে কামড় বসিয়ে দিলাম
মাহিন: অহহহহহহহহ
উনি আংগুল ধরে ওনার মুখের ভিতর প্রবেশ করিয়ে নিলাম এবং নিজের মুখের লালা আঙুলটা তে দিতে লাগলেন বুঝতে পারলাম অনেকটা লেগে গেছে হয়তো
মাহিনঃ আসলে এই জন্যই লোকে বলে যেন্ত মানুষের উপকার করতে নেই এতগুলো ভাত খেয়ে নিলা আর তখন থেকে বলে যাচ্ছ যে খিদে নেই খিদে নেই তাহলে এই ভাতগুলো কি বিড়ালের পেটে গেল
আমিঃ এই যে মিস্টার নিজের মুখটা সামলে সবসময় কথা বলবেন বিড়ালকে হ্যাঁ বিড়ালকে
মাহিনঃ এখনি যে বলল যে খিদে নেই আর একটুপর দেখলাম আমার খাবারটা নিজেই সাবাড় করে দিলো সেই বিড়াল
আমিঃ খাইয়ে দিয়ে এখন আবার কথা শোনানো হচ্ছে তাই না ইচ্ছা করতেছে খাট থেকে ফেলে দিয়ে একদম কোমরটা ভেঙে ফেলে দেখি
মাহিনঃ ভেবে দেখো শেষে কিন্তু তোমাকেই সেবা করতে হবে তুমি যেটা ইচ্ছা করতে পারো
আমিঃ আপনার কোমর ভেঙে ফেলে দিয়ে আমি অন্য একজনের সাথে বিয়ে করব গিয়ে তখন দেখব কে সেবা করে
মাহিনঃ কি বললে আর একবার বল শুনি তোমার মিষ্টি মুখ থেকেও তেতো কথাটা আরেকবার শুনতে চাই আমি
আমিঃ ওরে বাবা আমার মুখ আবার কখন মিষ্টি হয়ে গেল কই আমিতো স্বাদ নিতে পারতেছিনা
মাহিনঃ মিষ্টি নিজেই নিজের স্বাদ গ্রহণ করতে পারে না
আমিঃ চুপ করুন নিজের অবস্থা টা আগে দেখে নিন তারপর আমার মিষ্টি খাইতে আসেন বুঝছেন
মাহিনঃ আচ্ছা এখন অনেক ঝগড়া হইসে রাতে অনেক গল্প করতে পারবেন আমার ঘুম পাচ্ছে এখন আমি ঘুমাই একটু,, আর হ্যাঁ আপনার আম্মুকে ফোন করে বলে দেন সারাদিন তো মনে হয় বাসায় ছিলেন না বাসায় একটা ফোন দেন নাই হয়তো আপনাকে নিয়ে অনেক টেনশন করতেছে
ওরে আল্লাহ আমার তো স্মরণে ছিল না এখন কি হবে এখন যদি আম্মুকে ফোন দেই তাহলে একগাদা বকা শুনতে হবে এখন
আম্মুর কথা মনে পড়তেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো সারাদিন আম্মুর সাথে কথা হয়নি আম্মু হতো আমাকে নিয়ে অনেক টেনশন করতেছে
মাহিন: এইভাবে মন খারাপ করে না থেকে ছুটকির কাছে ফোনটা নিয়ে আপনার আম্মুকে ফোন করেন তারপর বলে দেন যে আপনি আপনার বান্ধবীর বাসায় আছেন বলতে পারেন যে স্বামীর বাসায় আছেন আমি ভয় করিনা
আমিঃ এখন তো বলবেন ভয় করিনা চোরের মত পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে নিলেন চোরের মুখে এখন বড় বড় কথা তাই না
মাহিনঃ আর কয়েকটা দিন ধৈর্য ধরো এত ধৈর্য হারা হলে হবে আর কয়েকটা দিন ধৈর্য ধরো ভালোভাবে তোমাকে তুলে নিয়ে আসি
আমিঃ আমি দূরে কোথাও হারিয়ে যাবো তাও আর আপনার মত বদমাশ ছেলে কে আমি বিয়ে করতেছি না
মাহিনঃ দেখো একদম বাজে কথা বলবে না চুপচাপ যাও তোমার আম্মুকে ফোন করে আসো
আমিঃ আমার বয়ে গেছে আবারো আপনার রুম আস্তে আমি ছুটকি কাছেই থেকে যাব
আমরা দুজন কথা বলতেছি এর মাঝেও ছুটকি আমাদের রুমে চলে আসলো
ছুটকিঃ কি ভাভি স্বামীকে পেয়ে দেখি আমাকে পুরোই ভুইলা গেছো বুঝতে পারতাছিনা
আমিঃ আরে তেমন কিছু না তোমার বদমাশ ভাই আছে না নরতে পারতেছে না তাই ওনাকে একটু হেল্প করলাম
ছুটকিঃ থাক আর বাহানা করতে হবে না এখন কি আমার সাথে একটু আড্ডা দেওয়া যাবে নাকি আমি এখানে আড্ডা দেবো কোনটা
আমি’: ওকে চ
মাহিনঃ আরে তুই এখানে বসে আড্ডা দে বাহিরে যাওয়ার কী আছে এখানে বসে আড্ডা দে আমিও তোদের সাথে আড্ডা দেই
আমি যেই বলতে যাবো চলো বাইরে যাই গিয়ে আড্ডা দেই তার আগেই উনি কথাটা বলে দিলেন
বুঝতে পারলাম এখন আমাদের সাথে আড্ডা দিলে হয়তো ওনার মনটা ভাল হয়ে যাবে কারণ কয়েকদিন হয়তো অনেক টেনশনে ছিল
তাই আমি আর কিছু না বলে ছুটকি কে আমার পাশে বসিয়ে নিলাম
ছুটকিঃ চলো ভাবি আমরা তিনজন মিলে একটা গেম খেলি
আমিঃ তিনজন মিলে কি গেম খেলা যায়
ছুটকিঃ চলো লুডু খেলব বাজি
মাহিনঃ দেখ লুডু খেলবি আমি জানি তোরা যে কোনো প্রকারে আমাকে হারায় দিবি আর আমার পকেট থেকে টাকা মেরে নেবি তাই বলতেছে কি লুডু খেলব ফোনে
ছুটকিঃ তোর ফোনে লুডু গেম আছে
মাহিনঃ আমার ফোন হারিয়ে গেছে তোর ফোন টা নিয়ে আয়
ছুটকিঃ আমার ফোনের চার্জ শেষ তাই এখন ফটে খেলতে হবে
ও তার মানে দুজনের ধান্দা আমার পকেট থেকে টাকা মেরে নেবে তাইতো ওকে দেখা যাক আমিও কম কিসের
চলবে…….