ভালোবাসি হয়নি বলা পর্ব ৮

#ভালোবাসি হয়নি বলা
#সাদিয়া নওরিন

পর্ব— ৮

বেরুতেই ইফ্ফাতের সাথে দেখা আমার.. সে মডেলের মতো দাড়ায় সেল্ফি তুলছে.. কালো সাদা জরজেট পড়েছে সে.. চুলগুলো খোলা.. কোমড়ে আছড়ে পড়েছে চুলগুলো. শাড়ির একপাশে লম্বা আচল আর তা হাত দিয়ে ধরে রেখেছে.. এই একটা কাজ আমি পারি না. পুরো শাড়িতে দুডজন সেফটিপিন লাগিয়েছি আমি.. তবুও মনে হচ্ছে খুলে পড়ে গিয়ে আমার ইজ্জতের আচার বানাবে.. আচলটাকেও সেফটিপিন দিয়ে আটকে দিয়েছি আর তারপর কুচি ধরে ধরে হাটছি আমি!!! আর এই ম্যাডাম!! মায়াবিনী লাগছে ওকে..কিন্তু আপাতত আমার মন ওকে চেতানোর জন্য আকুপাকু করছে.. ওর সামনে গিয়ে বললাম— ইফ্ফাত তোকে পুরো কালো পরির মতো লাগছে..
সে ব্রু কুঁচকে বলল– দুনিয়ায় এতো পরী থাকতে কালো পরী কেন??
আমি দাতকেলিয়ে বললাম— বিয়ে বাড়িতে কালো পড়ছিস তাই.. এখানে কি কারো শোক সভা চলছে.. ও কন্ফিউস্ট হয়ে তাকালো আমার দিকে.. আর আমার মুখে বিশ্ব জয়ের হাসি !তখন মুনিরা এসে আবার খুশির মাঝে এক মুঠু লবন দিয়ে বলল– কেন ঐযে ইষা আপুর স্বপ্নগুলো!! যেগুলো ধ্বংস হচ্ছে.. সেই শোকে ও কালো পড়েছে.. ইফ্ফাত হাসি মুখে মুনিরার সাথে ক্ল্যাপ করলো.. আমি হতাশাজনক লুক দিয়ে বললাম— তোর বুদ্ধি ও কি এই গাধার সাথে হাটুতে গেছে.. তখন সানিয়া কোমড় দোলাতে দোলাতে এসে বলল– তোমরা সবকয়টা ব্যাকডেটেট.. আর না হয় বাসন্তী কালার ছাড়া কি কেউ হলুদে এইসব কালারের শাড়ি পড়ে?? যেমন আমি.. আর ইস্পা আপু..
আমি সামনের দিকে তাকালাম… ইস্পা, সিনান আরো ওদের বাকি কাজিনরা বাসন্তী শাড়ি পড়েছে.. তারপর ভাইগুলোর দিকে খেয়াল হলো আমার..সবকয়টা লাল পান্জাবী আর সাদা ধুতিপায়জামা পড়েছে.. ডিজাইন হালকা ভিন্ন হলেও কালার সেইম.. আমার এসব দেখে নিজেদের বোকামির ওপর রাগ লাগলো!! শুধু আমরা গাধা আহাম্মক গুলো একেকটা একেক কালার পড়ে বসে আছি.. হঠাৎ মুনিরা আর ওর সমান কাজিনগুলোর দিকে তাকালাম.সাথে সাথে মুখদিয়ে বেরিয়ে গেল…
. —লে হালুয়া, ইফ্ফাত আমি কোমায় গেলে আমারে তুলিস না..
ইফ্ফাত — কেন??
— ভালো করি দেখ. ওরা লাল সাদা ডালা শাড়ি পড়েছে.. আর আমরা.. বাকি গুলারে খুজি দেখ ওদের কি অবস্হা..
ইফ্ফাত দুঃখী মুখ করে বলল– তোমার টা ও তো মিলে যায়.. খয়েরী তো লালের মতোন ই.. কিন্তু আমাকে দেখ আমি মদন কালো পড়ে বসে আছি.. এর পর আপুদের দেখলাম.. ওবাবা আমাদের বোনগুলো তো লাল নীল পরী সেজেছে.. নীল, মেজেন্ডা কিন্তু দুঃখের কথা হলো ওদের সংঙ্গীরাও বৌ এর সাথে ম্যাচ করে পড়েছে..
এখন আমরা দুই গরিব কি করব…না আছে কোন মিতা না সংঙ্গী.. যদি দুইজন একরকম পড়তাম একটা ঠিক কিন্তু দুইটা দুই রকমের জোকার সেজে বসে আছি..
হঠাৎ ইফতী ভাইয়ের দিকে চোখ গেল.. সে কালো সাদা পড়ে এসেছে.. আমি ইফ্ফাতকে হালকা ঝাকিয়ে বললাম— ঐ দেখ.. তোর ম্যাচিং হয়ে গেল.. আর মুড অফ করিস না.. সে মৃদু হেসে দিল.. এই হাসিটাকি ম্যাচিং হয়েছে তারজন্য নাকি ম্যাচিং টা ইফতীভাইয়ের সাথে হলো তার জন্য কিছুই বোধগম্য হলো না…

আমি ইফতীভাইয়ের কাচে গিয়ে বললাম— আপনাদের তো লাল পড়ার কথা ছিল.. হঠাৎ এতো ড্রেস রেখে কালো?? আর এই ড্রেস হয়তো আপনার ও না..
সে মৃদু হেসে বলল– হাসনাত আর তোমার মাঝে অনেক মিল. একেবারে চিলের নজর.. হুম এইটা আমার না. আমার ছোট ভাই ইভানের.. ও মাত্র ২ বছরের ছোট.. তাই ওর ড্রেস হয় আমার.. আর..
আমি কথা শেষ করতে না দিয়ে বললাম— আর আপনি বারান্দা দিয়ে ইফ্ফাতকে দেখেছেন তাই ওর মতো কালোই পড়ে এসেছেন তা না..
তিনি লাজুক হাসি হেসে তাকালো.. তখন হঠাৎ কারো রাগী ভয়েস শোনা গেল আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি হাসনাত ভাই..
এই পোলা দিনদিন এতো কিউট কেন হচ্ছে.. লাল পান্জাবী আর সাদা ধুতিপায়জামায় তাকে প্রভাসের মতো লাগছে. আর প্রতিবারের মতো আমি তার ওপর আরেক দফা ক্রাশিত হচ্ছি.. কিন্তু ওনি আমার দিকে না তাকিয়েই বলল– ইফতি সিড়ির সামনে থেকে সরে গল্প কর.. মানুষকে হাটার জায়গা দে।। এই বলে সে সিড়ি বেয়েওপরে ওঠে গেল.. আর আমি হাবলার মতো সেইদিকে তাকিয়ে রইলাম..আমি কি স্বপ্ন দেখছি না বাস্তবে…
হঠাৎ ইফতীভাই অবাক হয়ে বলল– হাসনাতভাই তোমারে কিছু না বলি চলে গেল!!
আমি মুখ বাকিয়ে বললাম— তো??আপনার কি.. এইবলে আমিও এক দফা তাকে মুখ ভেঙ্গিয়ে প্রস্হান করলাম..আর সে হাবলার মতো তাকিয়ে রইলো আমার যাওয়ার পানে…

ছাদর ওপর এলাহি কান্ড.. খুব সুন্দর ভাবে সাজানো আর সবাই সেজে গুঁজে সুন্দর করে তাকিয়ে আছে স্টেজের দিকে.. কোন ক্যামরাম্যান আনতে মানা করে দিয়েছে মামা.. কারন এইটা বলে সুন্নতি বিয়ে আর এই বিয়ে বেশি হয়হুল্লো হবে না.. পরশু বরযাত্রী ও নানুর বাড়িতেই আসবে.. তবে ভাইয়া না ও আসতে পারে…
এখন কথা হলো.. বিয়ে আবার সুন্নতি কেমনে হয়.. তাহলে বাকিদের বিয়ে কি নফলি হয়েছে?? অবশ্য এইসব ভাবনা অতি আমার নিজস্ব. অন্যকাউকে বলতে গেলে.. মাইর একটাও মাটিতে ফেলবে না.. তাই নিজেকে নিজে অল ইস ওয়েল শুনিয়ে হাসনাত ভাইকে খোজায় মন দিলাম…
হঠাৎ সুনান ভাই সামনে এসে বলল– তোরে কতো সুন্দর লাগছে..আমি তো ক্রাশ খেয়ে ফেললাম!! আমি মুখে মেকি হাসি ঝুলিয়ে তার দিকে তাকালাম। তাকে ধন্যবাদ দিতেই বাকি কয়েকটা ভাই এসে একই ভাবে প্রশংসা করতে লাগলো.. কিন্তু আপাতত কোন প্রশংসা আমার কান দিয়ে ডুকছে না. কারন হাসনাত ভাই আমারে কিছুই বলল না.. কমছেকম আমারে হাতি তো বলতো,, অথবা বলতো খারাপ লাগছে.. তাও একটা শান্তি লাগতো কিন্তু সে এইভাবে ঘোমট হয়ে কেন বসে আছে..
হঠাৎ তাকে দেখলাম আমি পেন্ডেলের এক পাশে বসে সবকিছু উপভোগ করছে আর ফোন টিপছে.. আমি তার চোখের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম..সে এমন ভাবে তাকালো যেন সে আমাকে দেখতেই পারছে না..
আজব আমি কি অদৃশ্য হয়ে গিয়েছি?? নাকি হাসনাত ভাইয়ের চোখে পড়ছিনা..অবশ্য আমি এতো বড় একটা মেয়ে তার চোখে পড়লে ও তো সে ব্যাথায় পাবে..
এইসব ভাবতে ভাবতে কাকলি আপুর পায়ের ওপর সজোরে পাড়া দিয়ে দিলাম!!
তিনি চিৎকার করে ওঠলেন.. তারপর বলল– কিরে চোখ কি হাতে নিয়ে ঘুরতেছিস তুই??
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে বললাম— তার মানে তুমি আমাকে দেখছ?? আমি অদৃশ্য হয় নি..
আপু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে বলল– দেশি গাজা ফুকা শুরু করছোস কখন থেকে ইটস বেড হেভিড..
আমি হতাশাজনক লুক দিয়ে ভাবলাম– ঐসব ছাই পাশ খায়না আমি তবে মনে হচ্ছে অতিস্তত্তর খেতে হবে আমাকে..
আমি হাসনাত ভাইয়ের গা ঘেসে ধুপ করে বসে পড়লাম.. আর অনুষ্টানে মন দিলাম..
জয় ভাই আপুর হাত ধরে স্টেজে ওঠলো.. তাদের মধ্যে মিষ্টি খুনশুটি চলছে সেইখানে.. কাকলি আপু ভাইয়াকে খুঁচিয়ে বলল– জয় ভাই থেকে শিখ কিছু.. কতোটা রোমান্টিক ওনি.. আর তুমি এইবলে মুখ ভেঙ্গালেন আপু. ভাইয়া নিরিহ গোবেচারার মতো করে বলল– আরে আমিও তো চায় তোমার সাথে রোমান্স করি তোমাকে কোলে করে স্টেজে তুলি.. কিন্তু কি করবো বল.. তোমাকেতো আলগাতে পারবো না আমি আমার কলিজার ছিলকা…
আপু রেগেমেগে এমন এক লুক দিল. ভাইয়া চুপশে গেল…আপুর লুক দেখে মনে হচ্ছে আপু লবন মরিচ ছাড়ায় ভাইয়া কে খেয়ে ফেলতে চায়.. তবে আমি ভাবলাম আপুকে বলতে যে ভাইয়াকে খেলে লবন মরিচ দিয়েই খেতে না হয় মজা পাবে না…
আমি এইসব ভাবতে ভাবতে আমার পাশের জনের দিকে তাকালাম– মহাশয় ফোনে লুডুস্টার খেলছে..
আমার জিবনটা সাপলুডুর সিড়িতে আটকিয়ে তুমি লুডু খেল!! আমি তার ফোনে আবার উকিঁ দিতেই সে তার ফোনটায় আমাকে দিয়ে দিল..
আজব হাসনাত ভাইকি কথা না বলার কসম খেয়েছে আজকে.. নাকি আমাকে এতোটা খারাপ লাগছে যে তাকাতেই ইচ্ছে হচ্ছে না তার.. আমি তারফোনটা তার হাতে দিয়ে ধুপধুপিয়ে নিচে চলে এলাম…
সবকটা পিন খোলো শাড়িটাকেই আছাড় দিলাম কয়েকটা.. যার জন্য সাজলাম সেই তাকালো না.. হাসনাত ভাইয়ের ওল্টাপাল্টা কথার চেয়ে কথা না বলে থাকাটা কতো বড় যন্ত্রনাদায়ক সেইটা এখন মনে হচ্ছে আমার..
আমি লাল গাউনটা পড়লাম.. চুলগুলো ফ্রান্সবেনী.. হাতে ঝুমকো চুড়ি যাতে আমি হাটলে এতো জোরে শব্দ হয় যে তার চোখ শুধু আমার দিকেই পড়ে.. আর এরপর গরু ডাকলেও আমি কষ্ট পাবো না.. ঠোটে লাল লিপিস্টিক দিলাম আমি..আর চোখে হালকা সাজ..যদিও মুনিরা সাজিয়ে দিয়েছে আমাকে.. কারন এইসব পারি না আমি.. পায়ে নুপুর দিয়ে আবার ছাদে চলে এলাম..
রুনুঝুনু আওয়াজে সবাই আমার দিকে তাকালো.সুনান ভাই তো হা হয়ে তাকিয়ে আছে.. আমার তাকে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে সুনান ভাই আপনি কি জানে মাছি আপনার মুখকে ঘর বাসা ভেবে ফেলেছে..
সবাই আমাকে আরেক দফা প্রশংসা করতে লাগলো.. সুনান ভাইতো হাসতে হাসতে বলল– তোর ওপর আমি জোরে সোড়ে ক্রাশ খেলাম আবারও.. আমারএবার কি হবে..
আবার কয়েকজন তো আরো এগিয়ে.. ওরা তো আরো কিসব ওল্টাপাল্টা কথা বলতে লাগলো.. আমার বিষয়টা একদমই ভালো লাগছে না.. যার জন্য এতো কিছু সেই শুধু চুপ.. এইসব ভাবতে ভাবতে স্টেজে ওঠলাম..সাথে বাকি সবাইও..
ইফতি ভাই আর ইফ্ফাতকে হাসাহাসি করতে দেখলাম.. জিবনটা আসলেই আমার ফুচকার মতো বেদনাময়.. বাইরে সব ঠিক!! ভিতরে খালি. হঠাৎ হাসনাত ভাইকে দেখলাম একপাশে বসি সিগারেট টানতেছে.. বোঝায় যাচ্ছে সে এইসব খেতে অভ্যস্ত নয়.. কিন্তু তাহলে খাচ্ছে কেন সে..
চোখ দুটি লাল হয়ে আছে তার.. মনে হচ্ছে কান্না করেছে.. কিন্তু কেন?? বুকের ভিতর মোচড় দিচ্ছে আমার..ওনার এই হাল মেনে নেওয়ার সাধ্য নেয় আমার.. যেই তার কাছে যাব সে ওঠে চলে গেল..

স্টেজে কেক খাইয়ে নামার সাথে সাথে কাকলি আপুর চার বছরের পিচ্চিটা বলল– আন্টি নানু নিচে ডাকছে তোমায়।। আমি অবাক হয়ে তাকালাম.. আম্মার আবার কি হলো এখন কিসের ডাকাডাকি.. তবুও মন খারাপ করে নিচে নেমে যেই এদিক ওদিক তাকাতে লাগলাম।। একটা শক্ত হাত টেনে আমাকে মামির রুমে নিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল.. আমি ভয়ে চিৎকার দেওয়ার আগে সে আমার মুখ চেপে ধরে লাইট জ্বালিয়ে দিল..
আমি অবাক হয়ে সামনে তাকালাম– হাসনাত ভাই!!
লাল লাল চোখে তাকে অনেক কিউট লাগছে.. সে আস্তে আস্তে মুখ থেকে হাত সরিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে বলল..
এইসব পাল্টা তুই.. আর এইটা পড় বলে আমার নিল একটা ত্রিপিস আমার দিকে এগিয়ে দিল..
আমি ফ্যালফ্যালিয়ে তাকিয়ে বললাম— এইটা কোথায় পেলেন??
সে অন্যদিকে তাকিয়ে বলল– তোর ব্যাগ থেকে.. আর সব ড্রেস থেকে তোর বাজে গন্ধটা আসে.. তুই পারফিউম লাগাস না কেন…

আমি বুকের ওপর আড়াআড়িভাবে হাত গুজে বললাম— তো আপনি আমার ড্রেস ধরার কষ্ট করতে গেলেন কেন?? আর নাকের কাছে বা নিতে গেলেন কেন..
তিনি অন্যদিকে তাকিয়ে ঘাড়ে হাত দিয়ে বলল– কিসব পড়ে ঘুরতেছিস.. কোরবানির গরুর মতো লাগছে তোরে.. আর তাই আমার দ্বায়িত্বের মধ্যে পড়ে তোকে ভালো ড্রেস পড়ানোর..
আমার হাসি পেল তার এইসব কথায়!! এইসব কথা এতোখন শুনি নি দেখেয় মনে হচ্ছিল যে আমি ভিনগ্রহে আছি.. সে আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বলল– হাসছিস কেন??
আমি মৃদু মাথা ঝাকিয়ে বললাম— নাহ কি হবে..
তারপর সে আমার হাতের চুড়িগুলো খুলতে খুলতে বলল– এই গরুর ঘন্টাগুলো না পড়তে মানা করছি তোরে.. তাও কেন পড়িস.. আর নুপুরও কেন পড়বি তুই.. সব খোল.. আর এইটা পড়ে আয়..
তারপর নিজের দিকে দেখিয়ে বলল– দেখ,, তোর বলে ম্যাচিং পড়ার শখ.. আমি নিল একটা পড়েছি.. পান্জাবী..
আমি অবাক হয়ে বললাম— আপনি জানলেন কিভাবে যে আমি ম্যাচিং পড়বো?? আর আমি শাড়িটা ও তো খুলে ফেলেছি..
সে মুখ ভেঙ্গিয়ে বলল– ভালো খুলে ফেলেছিস..তোকে বান্দরের মতো লাগছিল.. তাও আবার লেজছাড়া।।
আমি কোমড়ে হাত গুঁজে বললাম— কি.. নিজেকে কেমন লাগছে দেখেছেন শালা নিল কুমির..
সে মুখ ভেঙ্গিয়ে বলল– হু আমি তো হ্যান্ডসামই.. যায় সুন্দর কোন মেয়ে পায় কিনা দেখি তুই আয়.
এইবলে সে বেরিয়ে গেল আর আমি বিরবিরিয়ে বলে ওঠলাম— শালা তোর গায়ে বিছুটি পাতা চিটিয়ে যদি তোরে জোম্বা ডান্স না করাই তো আমার নাম ও রোদেলা না..

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here