মিশে_আছো_আমার_অস্তিত্বে❤️ পর্ব ১২+১৩

#মিশে_আছো_আমার_অস্তিত্বে❤️
#মেঘ পরী🍀🍀
#Part-১২💞
.
.
রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে তৃষা একহাত দিয়ে নিজের চোখের জল মুছছে আর ভাবছে আকাশ তাকে এতটা অবিশ্বাস কি করে করতে পারলো,,এতদিন ওর সাথে থেকেও আকাশ ওকে বুঝলো না।না আর সে থাকবে না আকাশ নামক মানুষের জীবনে,,সারা জীবনের জন্য চলে যাবে তার জীবন থেকে সে।উপরের আকাশের দিকে তাকিয়ে ছল ছল চোখে বলে উঠলো-;

-:মা আমাকে ক্ষমা করে দিও,,তোমার ছেলের কাছে আমার হয়তো আর থাকা হবে না,,যেখানে তোমার ছেলের মনে আমার প্রতি একবিন্দুও বিশ্বাস নেই সেখানে কি করে তার সাথে সংসার করবো??আমি তোমার ছেলের জীবন থেকে চলে যাবো সারাজীবনের জন্য কিন্তু তার আগে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করাটা অত্যন্ত জরুরি। চিন্তা করো না যাওয়ার আগে তোমার ছেলের জীবন থেকে রিনা নামক অভিশাপকে দূর করে তবেই যাবো।আমি জানি তুমি আমাকে বুঝবে।

এইভাবে অনেকক্ষণ মায়ের সাথে কথা বলে।যে করেই হোক রিনার পর্দা ফাঁস করতেই হবে তাকে কিন্তু তার আগে একজনের সাথে দেখা করাটা অত্যন্ত জরুরী,,কিছু পুরানো হিসেব মেলাতে হবে।

আকাশ এখনো বুঝতে পারছে না তৃষা এটা কি করে করতে পারে।রিনা আকাশের পাশে বসে বলে উঠলো-;

-:আকাশ ওমন মেয়ের কথা ভেবে কষ্ট পেও না।

-:রিনা আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না,,তৃষা এমন মেয়ে নয় রিনা তাহলে ও কি করে এটা করতে পারে??আচ্ছা এটা কোনো চাল নয় তো??

-:কি বলছো আকাশ!!আমি নিজের চোখে তৃষাকে ওই ছেলের বাহুতে দেখেছি।বিশ্বাস করো প্রথমে আমিও এটা মেনে নিতে পারিনি কিন্তু এটা সত্যি আকাশ।আচ্ছা আকাশ আমরা আবার পারি না এক হতে??আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি আকাশ খুব ভালোবাসি।আমি জানি তোমার মনে তৃষা কে নিয়ে কিছুটা দুর্বলতা আছে কিনা সেটা শুধুমাত্র মায়া এ ছাড়া আর কিছুই নয়। তুমি ওকে খুব তাড়াতাড়ি ডিভোর্স দিয়ে আমাকে বিয়ে করে নাও।

রিনার কথায় আকাশ কিছুই বলল না শুধু নিরবতা পালন করলো সে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না যে তৃষা এমন করতে পারে,,বেশ অনেকটাই জায়গা দখল করে ফেলেছে তৃষা আকাশের মনে তাই সে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।রিনা চলে গেলেও তার এতটা খারাপ লাগেনি যতটা আজ লাগছে তৃষা চলে যাওয়ায়।

এদিকে রিনার মাথা বিশাল গরম হয়ে যাচ্ছে,, এক্ষুনি তার ইচ্ছা করছে আকাশের গালে ঠাঁটিয়ে দুটো চড় বসাতে কিন্তু আফসোস তার হাত পা বাঁধা সে কিছুই করতে পারবে না।

বিশাল বড় এক চকচকে সাদা বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছে তৃষা,,চোখে পানিতে টলমল করছে।কিছু বছর আগে এ বাড়িটা তার বাবা ছিল কিন্তু এখন!!ভাবতেই ভিতর থেকে এক দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল।পুরানো গেটম্যান চাচা এখনো আছে,,তাই তিনি তৃষাকে চিন্তে পেরে বলে উঠলো-;

-:আরে মামনি কেমন আছো তুমি?? কতদিন পর দেখলাম তোমায়??বড়ো স্যার আর বড়ো মেমসাহেব কেমন আছেন??আর ছোটো সাহেব,,সে কেমন আছে??

তৃষা একটা মলিন হেসে বলে উঠল-;

-:সবাই ভালো আছে চাচা। তুমি কেমন আছো??

-:আমি ভালো আছি মামনি।তুমি এখানে বসো আমি ছোটো সাহেবকে এক্ষুনি ডেকে আনছি।

-:না না চাচা তার দরকার নেই,,আমি নিজে গিয়ে দেখা করে আসছি।

-:আচ্ছা ঠিক আছে,,এসো।

বিশাল বড়ো গেটটা ঠেলে তৃষা প্রবেশ করলো শ্বেত পদ্মে,,তৃষা শখ করে এই বাসার রং এর সাথে মিল দিয়ে বাসার নাম রেখে ছিলেন “শ্বেত পদ্ম”,, এতদিন হয়ে গেলেও নেম প্লেট বদলানো হয়নি।নিজের বাবার শখ করে বানানো বাসাটা এখন তার চাচার।

বিকালে একটু তাড়াতাড়িই বাসায় ফিরেছেন নাঈম শেখ।আর ফিরবে নাই কেন?তার মে কিছুক্ষণ আগেই এক চরম সু সংবাদ দিল। অবশেষে তার সমস্ত পথের কাঁটাকে সে দূর করতে পেরেছে এটা ভেবেই নিজের মনের আনন্দকে উজাড় করে দিতে মন চাইছে বারবার কিন্তু এখন সেটা সঠিক সময় নয় আগে আকাশ আর রিনার বিয়ে হোক তারপর আকাশের সমস্ত পপার্টি নিজের হাতের মুঠোয় চলে এলেই সে বিশাল বড়ো এক পার্টি দেবে।এসব ভাবতে বেশ অনেকটাই মগ্ন ছিলেন তাই তৃষার আগমন তাকে বুঝতে দিল না।তৃষা চাচার সামনে দাঁড়িয়ে বলে উঠলো-;

-:কেমন আছো চাচা??

তৃষার কথাই নাঈম সাহেব বেশ চমকে গেলেন,,নিজের ভাতিজিকে এইসময় অন্তত নিজের বাসায় তিনি আসা করেন নি,,তাই কিছুটা তুতলিয়ে বলে উঠলেন-;

-:আ..আরে তৃষা তুই??কেমন আছিস মা??

-: তুমি আর তোমার মেয়ে যেমন রেখেছো চাচা।

-:মানে!!

-:মানে টা খুব পরিষ্কার চাচা।আপুকে যে তুমি তোমার শিক্ষায় খুব ভালো ভাবেই মানুষ করেছো,, তা আজ আপুকে না দেখলে বুঝতাম না।ক্ষমতার লোভ তোমাদের চোখকে পুড়োপুড়ি অন্ধ করে দিয়েছে।এখনো সময় আছে চাচা তুমি আর আপু দুজনে ভালো হয়ে যাও ন‌ইলে আল্লাহ্ তোমাদের কোনোদিন‌ও ক্ষমা করবেনা।এমনিতেও আমার বাবাকে তো জোর করে পথের ভিখারি বানিয়েই দিয়েছো,,এবার অন্তত বাপ-মা হারা ছেলেটার জিবন নষ্ট করো না।

-:তৃষা!!বেশ অনেকক্ষণ ধরে তোর বিয়াদবি সহ্য করছি কিন্তু আর নয় এক্ষুনি বেড়িয়ে যা আমার বাসা থেকে।

তৃষা তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে বলে উঠলো-;

-: তোমার বাসা?চাচা তোমার তো লজ্জা বলতে কিছুই নেই,, নিজের ভাইয়ের দুঃসময়ে তাকে ঠকিয়ে এই বাসাটা নিজের নামে করতে একটুও তোমার বিবেকে বাঁধেনি? এমনিতেই আমি এই বাসায় বেশিক্ষন থাকবো না কারণ এই বাসাটা আমার বাবার অসহায়ত্ব আর তোমার জলুমের কথা বারবার মনে করিয়ে দেয় আমাকে।আর একটা কথা আমার বাবার যে ক্ষতি করেছো সেই ক্ষতিটা আমি আকাশের জিবনে আসতে দেব না,,অন্তত আমি বেঁচে থাকতে এটা কখনোই দেব না।

এই বলে তৃষা বেড়িয়ে গেল সেখান থেকে,,নাঈম সাহেব রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে নিজের ফোন বের করে,,পরিচিত নাম্বারে ডায়েল করলো।
কিছুক্ষণ পর নাঈম সাহেব বলে উঠলেন-;

-: কোথায় তুমি??

-:……

-:তাড়াতাড়ি বাসায় এসো,,দরকারি কিছু কথা আছে,,হারি আপ।

-:……

-:রিনা!!ইউ হেভ ওনলি ওয়ান আওয়ার,,হারি আপ।(রেগে চিৎকার করে)

-:ওকে বাপি।

নাঈম সাহেব ফোনটা রেখে দিলেন কিছুতেই তিনি তার প্ল্যানকে ফ্লপ হতে দেবেন না।

-:ওকে বাপি।
.
.
.

নাঈম সাহেবের রুমে বসে আছে রিনা,,, কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে উঠলো-;

-:আব্বু তুমি টেনশন করো না।সব আমাদের প্ল্যান মতোন হচ্ছে।আকাশকে অনেক কষ্টে তৃষার বিরুদ্ধে নিয়ে এসেছি,,কিন্তু আকাশ তৃষাকে ডিভোর্স দেওয়ার ব্যাপারে কিছু ক্লিয়ার করে বলছে না এখনো।

-: তুমি তৃষার থেকে দূরে থাকবে আর আকাশকে যত তাড়াতাড়ি পারো কনভেন্স করো বিয়ের জন্য।

-:জি আব্বু।

-:আর হ্যা হোটেলের ছেলেটাকে বেশি বেশি টাকা দিয়ে এই শহর থেকে দূরে কোথাও পাঠিয়ে দাও,,ও এখানে থাকলে সমস্যা হতে পারে।আকাশ কিংবা তৃষার নজরে পরলে আমাদের সব প্ল্যান মাটি হয়ে যাবে।

-:ওকে আব্বু।আমি ওর সাথে কথা বলবো বাট কিছুদিন পর।

-:কেন??

-:আ..আসলে রাসেলের সাথে দেখা করতে যাবো আব্বু।

-:উফ্ কতবার বলেছি রাসেলের সাথে এমন হুটহাট করে দেখা করবে না বাই এনি চান্স আকাশ যদি জানতে পারে,,তাহলে আমরা শেষ।

-:আব্বু কিচ্ছু হবে না,,এতদিন যখন আকাশ জানতে পারে নি তাহলে এবার‌ও জানতে পারবে না।

-: কিন্তু এখন তোমার আকাশের পাশে থাকা জরুরি ন‌ইলে ও তোমার জালে আটকাবে না।

-: চিন্তা করো না আব্বু আকাশ কিছুদিন একা থাকতে চাই,,সে নাকি একটু সময় চাই তৃষাকে ভোলার,,যত্তসব ন্যাকামি‌।ওকে আব্বু আমি আসছি।

-: হুম যাও।

নাঈম সাহেব কিছুটা হলেও শান্তি পেলেন।এবার দেখা যাক ভবিষ্যতে তাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে।
.
.#মিশে_আছো_আমার_অস্তিত্বে❤️
#মেঘ পরী🍀🍀
#Part-১৩💞
.
.

তৃষা চুপচাপ শুয়ে ভাবছে সে কি করতে পারে?তৃষা বাসায় আসার পর তার বাবা-মাকে সব কিছু বুঝিয়ে বলে,,সব কিছু শোনার পর তৃষার বাবা প্রচুর ভেঙ্গে পড়েন,,তৃষার মা তৃষার কথা ভেবে একহাতে নিজের মুখে শাড়ির আঁচল চেপে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়,,তৃষা তাদের অনেক বুঝিয়ে শান্ত করতে পেরেছে।তৃষার এখন একটাই লক্ষ্য যে করেই হোক নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করা আর আকাশকে সেফ করা।মাঝে কেটে গেছে একটা দিন,,পরেরদিন সকালে তৃষা বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ল,,প্রথমে তাকে হোটেল ব্লু ম্যানশানে যেতে হবে তাকে,,হয়তো কোনো প্রমান পেয়ে যাবে।

তৃষা হোটেল রিসেপশনে দাঁড়িয়ে আছে।একজন মহিলা,,খুব সম্ভবত হোটেলের রিসেপশনিস্ট,,তৃষাকে জিজ্ঞাসা করল-;

-:ম্যাম আমরা আপনাকে কী সাহায্য করতে পারি?

-: আপু বলছি আপনি কি আমাকে একটা তথ্য জানাতে পারবেন।

-:কী তথ্য?

-:বলছি ১৭ ই আগষ্ট আমি এই হোটেলের ২০৭ নম্বর রুমে এসেছিলাম সেই রুমটা কার নামে বুক করা ছিল একটু বলতে পারবেন?

মহিলাটি তড়িৎ গতিতে বলে উঠলো-;

-:সরি ম্যাম পারশেনাল ডিটেলস আমারা কাউকে দিই না।

-:আপু প্লিজ আমাকে এই সাহায্য টা করুন,,আমি খুব বিপদে পড়েছি।

মহিলাটি কিছুক্ষণ ভেবে বলল-;

-:আচ্ছা ঠিক আছে। কিন্তু আপনি কাউকে কিছু জানাবেন না ন‌ইলে আমার চাকরি চলে যাবে।

-:ওকে আপু।
.
.
.
-:আই লাভ ইউ বেবি।

-:…..

-:বেবি তুমি কথা বলছো না কেন??

-:ডোন্ট টক টু মি রিনা।একেই তো তুমি আমার সাথে ঠিক মতোন দেখা করতে আসো না তার ওপর কাল আমি তোমাকে কতবার কল করেছি জানো?? কিন্তু তুমি আমার ফোন রিসিভ পর্যন্ত করলে না।

-:বেবুউউ তুমি আমার উপর রেগে আছো?কি করবো বলো আকাশকে হ্যান্ডেল করতে হচ্ছিল,,আর কাল আব্বুও প্রচুর রেগে ছিল।

-:উফ্ আকাশ আকাশ আকাশ,,,আই এম টায়ার্ড ওফ দিস রিনা।কবে এই আকাশের চ্যাপটার ক্লোস হবে??

-:প্লিজ রাগ করো না।আগের বার তোমার সাথে একমাস থেকে ছিলাম তো বলো।আর আকাশকে বিয়ে করে ওর সমস্ত পপার্টি নিজের নামে করে নিই তারপর ওকে ডিভোর্স দিয়ে আমরা বিয়ে করে নেব বেবি।

-:রিনা আমি তোমাকে অন্য কোনো ছেলের সাথে কিছুতেই সহ্য করতে পারবো না।

-:উফ্ রাসেল বেবি আকাশকে আমি আমার গায়ে টাচ পর্যন্ত করতে দেব না আর এমনিতেই আমাকে সর্ব প্রথম তুমিই স্পর্শ করেছো আর কেউ করেনি।আর আকাশ!!সে তো এত বছরের রিলেশনশিপে আমাকে টাচ করাতো দূর আমার হাতটা পর্যন্ত ধরেনি।আমার মন বলছে আকাশ এখনও তৃষাকে ভালোবাসে তাই তুমি চিন্তা করো না বিয়ে হয়ে গেলেও ও আমাকে স্পর্শ করবে না।

-:হুম

-:প্লিস বেবি মন খারাপ করো না। তোমার জন্য একটা গুড নিউজ আছে আমি তোমার সাথে দু’দিন থাকবো।

-:আকাশ জানতে পারলে।

-:আরে বাবা আকাশ আমাকে কিছু দিন তার কাছে যেতে বারণ করেছে,, তৃষা কে ভুলতে তার নাকি সময় চাই।হাহাহা এবার তো হাসো বেবি প্লিজ।

-: হুম।
.
.
.
তৃষা হোটেল থেকে বেরিয়ে আকাশের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিল। এক্ষুনি আকাশকে জানাতে হবে যে তৃষা তাকে মিথ্যা বলেনি।আকাশের বাসার সামনে দাঁড়াতেই দাড়োয়ান চাচা বলে উঠলো-;

-:ভাবি আপনি?

-:হুম আকাশ আছে??

-:না সাহেব তো অফিসে গিয়েছে।

-:ওও

তৃষা আকাশের অফিসের উদ্দেশ্যে যাবে বলে ঘুরতেই কি যেন মনে করে চাচাকে জিজ্ঞাসা করলো-;

-:আচ্ছা পরশুদিন বিকালে যে ম্যাডাম এসেছিলেন তিনি কি আমি চলে যাওয়ার পর আর এসেছিলেন?

-:না ভাবি।আপনি যেদিন চলে যান ওইদিন উনি একটু রাত পর্যন্ত এখানে ছিলেন তারপর চলে গিয়েছিলেন।আর আসেন নি।

-:ও ঠিক আছে আমি যে এখানে এসেছিলাম সেটা আকাশকে জানাবে না।

-:আচ্ছা ভাবি।

তৃষার মনে একটু সন্দেহ হলো কারণ তৃষাকে বের করে দেওয়ার পর রিনার এখন আকাশের সাথে থাকা উচিত নইলে রিনার রাস্তা পরিষ্কার হবে না,, সেই জায়গায় সে আকাশের সাথে নেই এটা শোনার পর মনে একটা খটকা লাগলো।তাই সে রিনাদের বাসায় এলো কিন্তু ভিতরে ঢুকলো না।দাড়োয়ান চাচাকে জিজ্ঞেস করলো-;

-:আচ্ছা রিনা আপু আছে??

-:না রিনা মামনি তো বাইরে গেছে??

-:কোথায় গেছে জানো?

-:না তো।

তৃষা চাচার সাথে কথা বলছিল এমন সময় রহিম (ড্রাইভার) বাসা থেকে বাইরে এলো,,রহিম কে দেখে চাচা বলে উঠলো-;

-:আরে রহিম তুই রিনা মামনিকে নিয়ে গিয়েছিলি না।

-:হ্যা কিন্তু কেন??

তৃষা বলে উঠলো-;

-:প্লিজ একটু বলুন রিনাপু কোথায় গিয়েছে?আসলে আপুর সাথে খুব দরকারি কথা আছে।

-:আচ্ছা তুই মামনিকে রিনা মামনি যেখানে আছে সেখানে ছেড়ে আয় না।(চাচা)

-: কিন্তু স্যার যদি কিছু বলে??(রহিম)

-:আরে তুই জানিস মামনি কে?ছোটো সাহেবের ভাইয়ের মেয়ে,,এই বাসার ছোটো মেয়ে আর তুই বলছিস সাহেব বকবে?

-:প্লিস আমাকে একটু নিয়ে চলুন আপুর কাছে।

-:আচ্ছা চলুন।

তৃষা যেন হাতে চাঁদ পেল,,মনের কোনে এক আশার কিরণ উঁকি দিল,,হয়তো কোনো প্রুফ পেয়ে যেতে পারে।
.
.
.
আকাশ কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না বারবার শুধু তৃষার কথা মনে পড়ছে,,অফিসের কোনো কাজে মন লাগাতে পারছে না।একবার ভাবছে তৃষা এমন কাজ করতে পারে না আবার পরক্ষণেই মনে হচ্ছে তাহলে রিনার আনা ছবিগুলো কি সবই মিথ্যে।ইস্ যদি একবার তৃষা নির্দোষ এটা প্রমাণ হতো তাহলে আকাশের থেকে খুশি বোধহয় আর কেউ হত না।

রহিম তৃষাকে একটা বাংলোর কাছে নামিয়ে দিয়ে বলে উঠলো-;

-:রিনা মেম সাহেব এখানে নেমেছে।এর আগেও বেশ কয়েকবার রিনা মেম সাহেব এখানে এসেছিল।

তৃষা ভ্রু কুঁচকে বলে উঠলো-;

-:রিনাপু এর আগেও এখানে এসেছিল??

-:হ্যাঁ অনেকবার এসেছিল।মেম সাহেব এখানে এসে কদিন করে থাকে,, তারপর আমাকে আবার ফোন করে আমি এসে নিয়ে যায়।

-:ও এখানে কি আপুর কোন আত্মীয় থাকে??

-:সেটা তো জানিনা কিন্তু একটা ছেলেকে এর আগে অনেকবার দেখেছি এই বাসাটায়।আগের বারে এসে তো একমাস ছিলেন এখানে।

-:কি!!!

-:হ্যাঁ

-:আচ্ছা ঠিক আছে,,তুমি চলে যাও।

-:আপনি যেতে পারবেন একা।

-:হ্যাঁ আমি পারবো।

-:আচ্ছা ঠিক আছে।

-:আর শোনো কাউকে বলতে হবেনা আমি এখানে এসেছি।

-:আচ্ছা ঠিক আছে মেম সাহেব।

এই বলে রহিম চলে গেল।
.
.
.
.
[বাকিটা নেক্সট পর্বে]
.
.
.
“”ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।ভেবেছিলাম আজ শেষ করে দেব কিন্তু বড়ো হয়ে যাচ্ছে দেখে শেষ করলাম না।কাল যদি শেষ করতে পারি তাহলে শেষ পর্ব দিয়ে দেবো।
.
[বাকিটা নেক্সট পর্বে]
.
.
.
“”ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।আগামী কাল লাস্ট পর্ব,, আশাকরি সবাই অপেক্ষা করবেন।””

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here