মেঘের অন্তরালে পর্ব ১৫

#মেঘের_অন্তরালে
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা
পর্বঃ ১৫

আজ কুয়াশার আনাগোনা সকাল থেকেই কম, পাহাড়ের আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছে লাল টকটকে একটা সূর্য। রক্তিম চোখে রক্তিম সূর্যের দিকে তাকিয়ে আছে ইসরা। সারারাত ঘুমাতে পারেনি, চোখের জলধারা সারারাতে একটুর জন্যও বন্ধ হয়নি। সে তো চলেই এসেছিলো নিহানের জীবন থেকে, তাহলে কেনো তারা ইসরার জীবন থেকে তার বাবাকে কেঁড়ে নিলো। তার বাবা তো নিহানকে কথা দিয়েছিলো আর কখনো ইসরার মুখ তাকে দেখতে হবে না, তবে কেনো এমন করলো তারা। আবার চোখ থেকে টপটপ পানি পড়ছে ইসরার।

নিহান আর নীলার বিয়ের প্রায় মাস খানেক পর নিহান তার শশুরের অফিসে গিয়েছিলো কোনো কাজে। সেখানে গিয়ে দেখা হয়ে যায় ইখতিয়ার আহমেদের সাথে। নীলার বাবা ইখতিয়ার আহমেদের বস ছিলো। ইখতিয়ার আহমেদকে দেখে নিহান সেখানেই দাঁড়িয়ে যায়। নীলার বাবা নিহানকে জিজ্ঞেস করে সে ইখতিয়ার আহমেদকে চিনে কিনা। নিহানও তখন বলে দেয় উনিই ইসরার বাবা। অফিসে সবাই শুধু জানতো ইখতিয়ার আহমেদের মেয়ের বিয়ে নিয়ে কোনো ঝামেলা হয়েছিলো, তবে পুরোটা অফিসের কেউ জানতো না। নীলার বাবা সব জানার পরে পুরো অফিসের সামনে ইখতিয়ার আহমেদকে অনেক কথাই শোনায়। যারা ইখতিয়ার আহমেদকে সম্মান করতো তারাও বাঁকা চোখে তাকায় তার দিকে। জীবনের এতোটা সময় ব্যয় করে অফিসে নিজের সততা আর নিষ্ঠা দিয়ে এতটা সম্মান অর্জন করেছিলো। সব চোখের সামনে এক নিমিষে শেষ হয়ে গেলো। ইখতিয়ার আহমেদ সহ্য করতে পারেননি। বাড়ি ফিরে সেদিন রাতেই আবার হার্ট অ্যাটাক করে আর সবাইকে ছেড়ে পারি দেয় না ফেরার দেশে। ইসরার জীবনে নেমে আসে আরো একটা কালো অধ্যায়। বড় মেয়ে হওয়ায় নিজেকে শক্ত রেখে মা আর ভাইকে সামলেছে। ডাক্তারি পড়ার জন্য অনেকটা যুদ্ধই করতে হয়েছে তাকে। মামা আর বড় চাচা পাশে দাঁড়িয়েছিলো বলে আজ এখানে আসতে পরেছে। বাবাকে হারিয়ে আরো অনুভূতিহীন পুতুল হয়ে গেছে ইসরা। ইসরা চোখের পানি মোছার বৃথা চেষ্টা করলো, পুনরায় একাই ভড়ে উঠলো চোখ দুটো।

আপনি হঠাৎ এমন অদ্ভুত আচরণ কেনো করছেন আমি বুঝতে পারছি না।

আয়মানের আওয়াজ কানে যেতেই চোখ মুখ শক্ত হয়ে গেলো ইসরার। অতীত যতই এড়িয়ে যেতে চায় কিন্তু অতীত ছায়ার মতো পিছু করতে থাকে।

আর আপনি আমার পরিবার সম্পর্কে জানলেন কীভাবে ?

ইসরা চোখ মুছে গম্ভীর গলায় বললো, নিজের কালো অতীতকে চিনতে কখনো কারো ভুল হয় না। আমিও অন্য সবার থেকে ব্যতিক্রম নই।

আয়মান অবাক হয়ে বললো, অতীত মানে ?

নিজের পরিবারের থেকে জেনে নিয়েন, সেটাই ভালো হবে।

ইসরা চলে যেতে নিলে আয়মান তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো, কোনো পরিবারের থেকে জানবো ? যাদের সাথে আমার যোগাযোগ নেই আজ প্রায় যুগ পেরিয়ে গেছে।

ইসরা থমকে দাঁড়ালো নিজের জায়গায়। মনে পরে গেলো নিশান নামটা সাত বছর আগেই ঐ বাড়িতে ছিলো বিলুপ্ত প্রায়। কারো মুখে নামটা পর্যন্ত শোনা যেতো না।

ইসরা থমথমে গলায় বললো, মানে ?

আয়মান বিষাদময় কণ্ঠে বললো, সে বাড়িতে আমার মতো ইনডিসিপ্লিন মানুষের জায়গা হয়নি। সকাল আটটায় ঘুম থেকে উঠো, ব্রেকফাস্ট করো, যার যার কাজে যাও আর রাত হলে এসে ঘুমিয়ে যাও। আমার এমন বিরক্তিকর লাইফ ভালো লাগতো না ছোটবেলা থেকে। আমি ছিলাম মুক্ত পাখির মতো, যাকে খাঁচায় বন্দী করা যায় না।

অনিচ্ছা সত্ত্বেও ইসরা দাঁড়িয়ে শুনতে লাগলো আয়মানের কথা। আয়মানের কথায় ছিলো বিষাদের ছায়া।

ছোটবেলা থেকে বাড়ি নিয়ম ভাঙার জন্য বকা খেতে হতো সবার কাছে। নিহান ছিলো আমার দু বছরের বড়।

নিহান নামটা কানে যেতেই মনটা যেনো বিষিয়ে উঠলো ইসরার। চোখ বন্ধ করে নিজেকে সামলে নিলো। আয়মান আবার বলতে শুরু করলো।

নিহানের নামের সাথে মিল রেখে বাড়িতে সবাই নিশান নামেই ডাকতো আমাকে। যেটা আরো বেশী বিরক্ত করতো আমাকে কারণ নিহানের সাথে আমার তফাত ছিলো আকাশ পাতাল। নিহান তেমন ছেলে, যেমনটা রেজওয়ান পরিবার চায় আর আমি ঠিক তার বিপরীত। স্কুল থেকে এসে প্রতিদিন নিহান আমার নামে কিছু না কিছু বিচার দিতো আর মায়ের হাতে মার খেতে হতো আমাকে। এভাবেই বড় হতে থাকি সময়ের সাথে আর নিহানের সাথে আমার দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে। বড় ছিলো কিন্তু ভাইয়া ডাকতাম না তা নিয়েও বকা খেতে হতো। ছোটবেলায় আমাদের বাড়ির দারোয়ান কাকা একবার নিহানকে ভয় দেখিয়েছিলো তারপর থেকে কালো মানুষ দুচোখে দেখতে পারে না নিহান। আমি কালো না, তবে ওর মতো ফর্সাও না, তাই আমার সাথে ওর এতো শত্রুতা। একদিন সীমা ছাড়িয়ে ফেলে নিহান। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে চলে গিয়েছিলাম আবার ঠিক সময় বাড়িতেও চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু নিহান বাড়িতে সব বলে দেয় আর সেদিন বাবা বেল্ট দিয়ে অনেক মেরেছিলো। সেই রাগে নিহানকে মেরে হসপিটালে পাঠিয়েছিলাম। ছোটবেলা থেকেই ওর থেকে লম্বা আর স্বাস্থ্য ভালো ছিলো ,তাই ও পেরে উঠেনি আমার সাথে। সেদিন বাবা আবার মারে আমাকে, আর বাড়ির সবাই কথা বন্ধ করে দিয়েছিলো আমার সাথে। নিহান অনেকটাই আহত হয়েছিলো, সুস্থ হতে বেশ সময় লেগে যায়। কিন্তু সুস্থ হওয়ার পর বাড়ি এসে বলে আমি বাড়িতে থাকলে ও এই বাড়িতে থাকবে না। বাড়ির আদর্শ ছেলেকে তো আর বাড়ি থেকে যেতে দেওয়া যায় না। তাই বাবা আমাকেই ইউএস পাঠিয়ে দিলো আমার ফুপির কাছে৷ সেই থেকে আমি পরিবার থেকে আলাদা, কেউ যোগাযোগ রাখেনি। আমার সাথে কথা বলতো না, ফুপির থেকেই খোঁজ নিতো। প্রথম দিকে খুব কষ্ট হতো কিন্তু আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে গেছে। বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কারো সাথে কোনো যোগাযোগ করিনি আমি। নিহানের বিয়ের সময় আমার জন্য ফুপিও আসেনি বাংলাদেশে। এই একজন মানুষ যে আমাকে অনেক ভালোবাসে। তার সাপোর্টে নিজের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে আজ আমি এতদূর। আমার জীবনে বাবা-মা, ভাইবোন, পরিবার সব থেকেও নেই। আমার পৃথিবী আমার ফুপির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বাংলাদেশে এসেছি প্রায় মাস হতে চললো কিন্তু রেজওয়ান বাড়ির কেউ জানেই না আমি বাংলাদেশে আছি এখন।

শেষের কথাটা আয়মান চাপা কষ্ট নিয়ে বললো। ইসরা আয়মানের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে চলে গেলো। আয়মান সেখানেই দাঁড়িয়ে রইলো।

২৫.
আরো দুটো দিন কেটে গেলো, আয়মান অনেকটাই সুস্থ আর ইসরাদের এখানে থাকার মেয়াদও শেষ হয়ে আসছে। দু’দিনে ইসরা আয়মানকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে গেছে। আয়মান আজ চলে যাবে ভেবেছে, তবে কাউকে জানায়নি। প্রতিদিনের মতো আজও ইসরা ফজরের নামাজ পড়ে লেকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে আর আয়মান গিয়ে পাশে দাঁড়ালো। এই দুদিন আয়মানকে দেখতেই ইসরা চলে আসতো, আয়মান ডাকলেও শুনতো না। আজও ইসরা যেতে নিলে আয়মান ইসরার হাত টেনে ধরে। আয়মান এই প্রথম ইচ্ছে করে ইসরাকে স্পর্শ করলো, ঠান্ডা হাতের স্পর্শে কেঁপে উঠলো ইসরা। অনেকটা বিষ্ময় নিয়ে ইসরা ঘুরে তাকালো আয়মানের দিকে।

আপনি আমার হাত,,,

ইসরাকে শেষ করতে না দিয়ে আয়মান বললো, হ্যাঁ ধরেছি।

আপনার সাহস হলো কীভাবে আমার হাত ধরার ?

আয়মান ইসরার হাত ধরে নিজের দিকে টেনে আনলো। মাত্র কয়েক ইঞ্চি দুরত্ব দুজনের মাঝে, ইসরা চমকে উঠলো আয়মানের কাজে।

আয়মান ইসরার দিকে ঝুঁকে বললো, আমার সাহস সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই তোমার।

আরো একটা ধাক্কা খেলো ইসরা, বড় বড় চোখে তাকিয়ে বললো, তুমি ?

আয়মান ভাব নিয়ে বললো, তুমি আমার থেকে কম হলেও ছয় সাত বছরের ছোট হবে। তাই তুমি বলায় অবাক হওয়ার কিছু নেই।

ইসরা রাগী গলায় বললো, সমস্যা কী আপনার ?

আয়মান অসহায় গলায় বললো, সমস্যা আমার নয় তোমার ? আমি বুঝতে পারছি রেজওয়ান পরিবারের সাথে তোমার কোনো অতীত জড়িয়ে আছে। কিন্তু এতে আমার দোষ কোথায় বলো ? তাদের সাথে আমার কোনো সম্পর্কই নেই।

ইসরা কঠিন গলায় বললো, শরীরে তো একই রক্ত বইছে।

সেটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই আমার, তবে তাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক থাকলেও মনের সম্পর্কটা নেই। তাদের ভুলের শাস্তি আমি কেনো পাচ্ছি ?

ইসরা ভ্রু কুঁচকে বললো, আমি কোথায় আপনাকে শাস্তি দিচ্ছি ? আমি তো আপনার সাথে কথাই বলিনি প্রয়োজন ছাড়া।

সেটাই তো আমার জন্য সবচেয়ে বড় শাস্তি।

ইসরা এবার অবাকের চরম পর্যায়ে। ভাবছে লোকটা মাথা ঠিক আছে তো নাকি, আবোল তাবোল বকে যাচ্ছে।

ইসরা কিছু না বলে কপাল কুঁচকে তাকিয়ে রইলো আয়মানের দিকে। আয়মান এখনো ইসরার হাত ছাড়েনি আর তাদের মাঝের দূরত্বটাও আগের মতোই আছে। দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে। একজনের চোখে বিরক্তি আর অন্যজনের চোখের ভাষা অন্য কিছু বলছে।

আয়মান ইসরার চোখে চোখ রেখে বললো, ভালোবাসি।

ইসরার বিরক্ত মাখা মুখটায় অবিশ্বাস ভড় করলো। ইসরা নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। ভুল শুনেছে ভেবে চোখ বন্ধ করে ফেললো।

জানি না কখন আর কীভাবে তোমার প্রতি এমন অনুভূতির শুরু হয়েছে। কিন্তু দুদিন তোমার এড়িয়ে চলা আমাকে হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিয়েছে আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি। তোমাকে ছেড়ে দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

ইসরা আর এক মুহূর্ত দেরি না করে এক ঝটকায় নিজের হাত ছাড়িয়ে নিলো। রক্ত লাল চোখে তাকালো আয়মানের দিকে। তবে আয়মানের মধ্যে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেলো না। সে এখনো ইসরার দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে।

ইসরা কর্কশ গলায় বললো, কল্পনায় বাস করছেন আপনি, তাড়াতাড়ি বাস্তবে ফিরে আসুন। নাহলে এর থেকেও খারাপ পরিস্থিতিতে পরে যাবেন। নিজের পরিবারের থেকে আমার অতীতটা জেনে আসুন, ভালোবাসা উবে যাবে।

আমি জানতে চাই তোমার অতীত, তবে আমার পরিবার থেকে নয় তোমার নিজের মুখ থেকে। যেদিন সেচ্ছায় তুমি নিজের মুখে বলবে সেদিন শুনবো।

ইসরা কিছু না বলে চলে আসতে নিলে আয়মান পেছন থেকে বললো, আজ বিকেলে চলে যাচ্ছি আমি। আজ সারাদিন সময় দিলাম তোমাকে, যাওয়ার আগে আমার উত্তরটা যেনো পাই আর হ্যাঁ ভেবো না এখান থেকে চলে গেলে আর খোঁজে পাবো না তোমাকে। তোমার পুরো বায়ো ডাটা আছে আমার কাছে।

ইসরা না দাঁড়িয়ে চলতে চলতেই আয়মানের সব কথা শুনতে পেলো৷ রাগে সারা শরীর জ্বলে যাচ্ছে ইসরার। এতো বছর পর কেনো অতীত তার সামনে আসলো, যে পরিবারকে জীবনে আর কোনোদিন নিজের চলার পথে আশা করেনি, ঘুরে ফিরে সেই পরিবারের সাথে দেখা হচ্ছে। সারাদিনে ইসরা কোনো কাজে মন বসাতে পারলো না। বারবার আয়মানের কথাগুলো মনে পড়ছে আর রাগ লাগছে। আয়মানও ঘুরে ফিরে বারবার ইসরার সামনেই আসছে কোনো না কোনো বাহানায়। দেখতে দেখতে পুরোটা দিন কেটেই গেলো। আয়মানের যাওয়ার সময় হয়ে গেছে কিন্তু ইসরার দেখা নেই কোথায়ও। অনেকটা সময় অপেক্ষা করেও যখন ইসরার দেখা মিললো না, আয়মান হতাশ হয়ে সবার থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো।

একবার পিছু ফিরে সবার মাঝে কাংখিত মানুষটাকে খোঁজে দেখলো, না নেই সে।

ভেবো না এতো সহজে তুমি ছাড়া পেয়ে যাবে। আয়মানের যেটা চাই সেটা সে আদায় করে নিতে জানে, ভয় নেই জোর করে নয়। মন জয় করে তোমার থেকে তোমাকে আদায় করে নিবো।

ইসরা ক্যাম্প থেকে অনেকটা দূরে চলে গিয়েছিলো আয়মানকে এড়িয়ে চলার জন্য। কিন্তু যখন মনে হলো ফেরা উচিত তখন দেখলো সে পথ হারিয়ে ফেলেছে। এই কয়েকদিন ক্যাম্প থেকে একেবারের জন্যও বের হয়নি তাই কিছু চেনে না। ইসরা নিজেকে গালি দিতে লাগলো, কেনো একা বের হতে গেলো ভেবে। ইসরা যেদিকেই যাচ্ছে তার মনে হচ্ছে সে ঘুরে ফিরে একই জায়গায় আসছে।

২৬.
নিহান নিশিতাকে স্কুল থেকে নিতে এসেছে আজ, নিশিতাকে বাসায় রেখে লান্স করে আবার অফিসে চলে যাবে। স্কুলে গিয়ে দেখলো অনেকক্ষণ আগে ছুটি হয়ে গেছে, প্রায় সব বাচ্চাই চলে গেছে। নিশিতাও নাকি অনেক আগেই চলে গেছে এক মহিলার সাথে। নিহান বাড়িতে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করলো নিহানের মা এসে নিয়ে গেছে কিনা। কিন্তু নিহানের মা যখন বললো সে নিশিতাকে নিয়ে যায়নি, নিহানের পায়ের তলার মাটি সরে গেলো। মেয়েটাই বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন তার, মেয়েটার কিছু হলে নিহান শেষ হয়ে যাবে৷ দারোয়ানের কাছে ভালো করে জিজ্ঞেস করে পাগলের মতো খোঁজতে লাগলো নিশিতাকে।

চলবে,,,
(অসুস্থ তারপরও যতটুকু পেরেছি চেষ্টা করেছি। গল্প ঠিক গুছিয়ে উঠতে পারছি না। আজকে হয়তো একটু এলোমেলো হয়েছে, তার জন্য সরি।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here