মেঘের আড়ালে চাঁদ পর্ব ২০

#মেঘের আড়ালে চাঁদ
#writer: মহসিনা মুক্তি
#পর্বঃ বিশ

হঠাৎ করে অনাকাঙ্ক্ষিত বা ভাবনার বাইরে এমন কিছু ঘটলে মানুষ চমকে উঠে, নিজেকে সামলে নিতেও সময় লাগে। তুলতুলেরও এখন সেই অবস্থা। আজকে রাফসানের কাজে আর কথায় সে শুধু অবাক না চরম অবাক হয়েছে। রাফসান এমন করতে পারে তার ভাবনার বাইরে ছিল। গুন্ডা, পান্ডা মানুষ যে তুলতুলকে দেখতেই পারে না সে তুলতুলকে বেবি বলছে, বিউটিফুল বলছে? সাংঘাতিক! তুলতুলের কাছে রাফসানকে হাতে রিভলবার আর তার থ্রেটগুলোতেই মানায়। যদিও তা ভয়ানক। তারপরেও আজকের কথা আর কাজ গুলো থেকে কম। তুলতুল তাওহীকে নিয়ে কোনোরকমে ঘোরের ভেতরই বাড়িতে পৌছালো। বাড়ি এসে সোজা নিজের রুমে যাওয়ার সময় পেছন থেকে তার মা আফসা বেগম ডাক দেয়, কিন্তু তুলতুল তা খেয়াল করে না। সে রুমে এসেই ধপাস করে বিছানার ওপর বসে পড়ে আর সাথে সাথে কারো চিৎকার শুনে। তুলতুল হকচকিয়ে উঠে বিছানার দিকে তাকালো। দিয়া বিছানায় বালিশের সাথে হেলান দিয়ে আধশোয়া হয়ে আছে। তুলতুল অবাক হলো। এ সময় দিয়া এখানে? তারপর আবার একা রুমে শুয়ে আছে। তুলতুল দিয়ার দিকে তাকালো, দেখে দিয়া রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে। তুলতুলকে কিছু জিজ্ঞেস করতে না দিয়ে দিয়া বলে

-“তুই কি কানা? চোখে দেখিস না? আমার ব্যাথা পায়ে আরো ব্যাথা দিচ্ছিস। ভাই একটা দেখেও না দেখার ভান করে অন্য দিকে তাকায় আর বোন পুরো কানা। আমার মেজাজ খারাপ করে দিছে। হুহ।”

তুলতুল কিছু বুঝতে না পেরে দিয়ার মুখের দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থেকে বললো

-“কি হয়েছে? আমি কি করেছি?”

-” বেদ্দপ! এখনো বুঝতে পারছিস না? আমার পায়ে ব্যান্ডেজ দেখেও তো তোর বুঝে যাওয়া উচিত। আমি পায়ে ব্যাথা পেয়েছি। কিছু জায়গায় কেটে,ছিলে গেছে। কতদিন হাঁটতে পারবো না জানিস?” দিয়া কাঁদো কাঁদো ভাবে বললো। তার ভাব দেখে মনে হচ্ছে এখনি কান্না করে দিবে।

-“তুই ব্যাথা পেয়েছিস কি করে? আর তুই এসময় এখানেই বা কিভাবে এলি? তুই না বললি মার্কেটে যাবি?” তুলতুল বললো। পরবর্তীতে দিয়া তুলতুলকে সব বললো কিভাবে পড়ে গিয়েছে। তুলতুল শুনে বললো

-“যাক ভালোই হয়েছে ভাইয়ার কোলে উঠতে পেরেছিস। এমনিতে তো কখনো নিবে না। ব্যাথা পেয়ে ভালোই হয়েছে তোর একটা ইচ্ছে পূরণ হয়েছে।। ” তুলতুল দিয়ার গাল টেনে দিয়ে বললো। দিয়া হেসে বললো

-“তা তো হয়েছেই। তোর খারুস ভাইকে তো এবার আমি জ্বালিয়ে মারবো। আমাকে এতোদিন অনেক কষ্ট দিয়েছে। পা ঠিক না হওয়া পযন্ত আমি এখানে থাকবো। বাড়িতে বলে দিয়েছি। সে এখন আমাকে রাগ করতে পারবে না। এখন বুঝবে তোর ভাইয়া। হা হা হা।”

-” ভালোই হবে তুই আমার সাথে থাকলে। কিন্তু ভাইয়াকে একটু কম প্যারা দিস। এতো কিছুর পর তোর জ্বালানো সহ্য করতে পারবে তো? নাকি দুইটা থাপ্পড় দিয়ে তোকে চুপ করায় রাখবে?”

-“হুহ! বললেই হলো নাকি যে থাপ্পড় দিবে? আমিও দেখে নেব কিভাবে আমাকে মারে।”

-“কি ফাজিল মহিলা। আমার সামনেই আমার ভাইকে দেখে নেবে বলে।” তুলতুল মজা করে বললো

-“হুহ! আরো বলবো। এবার বল তুই কোথায় ছিলি?”

-” আমি বাইরে… ” তুলতুলের বলার আগেই তিয়াস রুমে প্রবেশ করে। এজন্য তুলতুল আর কিছু বলে না। তিয়াস রুমে ঢুকে সরাসরি বারান্দায় চলে গেলো। বারান্দার কেঁচি গেটে বড় একটা তালা লাগিয়ে দেয়৷ রাতের বেলা এই তালা যদি কেউ ভাঙতে যায় তো শব্দ হবে। আগের বার তালা ছোট ছিল তাই হয়তো দুয়েক বারি দিয়ে কেউ ভেঙে ফেলেছে। আর তুলতুল ঘুমের ভেতর থাকায় অতটা বুঝতে পারে নি। এবার আর তা হবে না। সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। চারদিকে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হতে শুরু করেছে। তিয়াস রুমে এসে আগেই বারান্দার দরজা লাগিয়ে দিল। কারন মাঝে মাঝে তুলতুল দরজা দিতে ভুলে যায়। তিয়াস গিয়ে তুলতুলের পাশে দাঁড়িয়ে মাথায় হাত রেখে বললো

-“ভয় পাস না। কেউ এখন আর আসতে পারবে না। গেটে বড় তালা লাগিয়েছি। কেউ ভাঙতে চেষ্টা করলে শব্দ পাবো। তুই চিন্তা করিস না। আর কোথায় গিয়েছিলি?”

-“একটু মাঠের দিকে গিয়েছিলাম। তাওহী ছিল সাথে।”

-“আচ্ছা।” তারপর দিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো

-“তোর পায়ের কি অবস্থা এখন? ব্যাথা করছে অনেক এখনো?”

-“হুম। অনেক ব্যাথা পায়ে। মনে হয় আমি অনেক দিন হাঁটতে পারবো না।। কারো কোলে চড়ে বেরাতে হবে।” দিয়া পা ধরে এমন ভাবে বললো যেন সে ব্যাথায় এখনি জ্ঞান হারাবে।

-“তুই যদি আমাকে দিয়ে এটা করানোর কথা ভাবিস তো ভুলে যা। আমি আর কিছু করছি না। বুঝেছিস?” তিয়াস চোখ গরম করে বললো।

-“সে দেখা যাবে।” বলে দিয়া আর তুলতুল মিটমিট করে হাসতে লাগলো।

তিয়াস সন্দেহের দৃষ্টিতে ওদের দুজনের দিকে তাকিয়ে বলে-” কি ব্যাপার তোরা এমন হাসছিস কেনো? উল্টা পাল্টা কিছু করার চিন্তা করলে থাপড়িয়ে দাঁত ফেলে দেব। মনে থাকে যেনো। আর তুলতুল তুই বাইরে থেকে এসেছিস হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়।” বলে তিয়াস বেরিয়ে যায়। আর দুই বান্ধবী তাদের গল্প চালিয়ে নিয়ে যায়।

.

সকালে তুলতুল রেডি হয়ে দ্রুত বের হয়। দিয়ার পা ব্যাথা সেজন্য তুলতুলকে একাই যেতে হবে। তার উদ্দেশ্য দোকানে গিয়ে আগে বাবার সাথে দেখা করবে, তারপর কলেজে যাবে সে। বাবার কাছ থেকে সেদিনের ঘটনার কারন জানতে হবে। তুলতুল দোকানে যাওয়ার সময় সেদিনের সেই ভাঙাচোরা দোকান গুলো দেখে। ওভাবেই পড়ে আছে কিছু আবার কতগুলো জায়গায় একদম পরিষ্কার করে ফেলেছে। কোন চিহ্নও নেই। তুলতুল একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে তাদের দোকানের ভেতরে যায়। গিয়ে কাঁধের ব্যাগটা একপাশে রেখে বাবার কাছে বসে। তফিজ আহমেদ মেয়েকে দেখে মৃদু হাসেন। তারপর মেয়েকে জিজ্ঞেস করে

-” কি হয়েছে মা? কলেজে না গিয়ে দোকানে এসেছিস যে?”

-” হুহ”

-” তুই কি কিছু বলবি? মনে তো হচ্ছে তাই।”

-“তুমি কি করে বুঝলে বাবা যে আমি তোমাকে কিছু বলবো? অন্য কিছুও তো হতে পারে। ” তুলতুল চোখ ছোট করে জিজ্ঞেস করে। কিভাবে যেনো তার বাবা তার মুখ দেখলেই সব বুঝে যায়। মেয়ের কথায় আলতো হাসে তফিজ আহমেদ।

-” উহুম! অন্য কিছু হতে পারে না। তোর চোখ মুখ দেখেই আমি স্পষ্ট ভাবে বলে দিতে পারি তুই কি বলবি। এইযে এখন যেমন কিছু বলবি, তাই কেমন উসখুস করছিস, তোকে অস্থির লাগছে। এটা দেখে যে কেউ বলে দিতে পারবে তোর ভেতর কি চলছে। আর আমি তো তোর বাবা। আমার থেকে তোকে ভালো কে জানে?”

-” হ্যাঁ বাবাজান বুঝেছি।” তুলতুল হেসে বললো।

-” এখন বল কি বলবি?”

-” আব! বাবা ঐদিন রাফসানের লোকজন আমাদের দোকান ভাঙেনি কেনো? আমাদের পাশের দোকানটা তো ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু এখন দেখলাম আরো অনেক দোকানই রয়েছে যেগুলো ভাঙা হয়নি। তাহলে শুধু শুধু ওই দোকান গুলো ভাঙলো কেন?

তফিজ আহমেদ সরু চোখে তাকিয়ে বললো

-“এগুলো জেনে তুই কি করবি?”

-” বাবা! বলো না। ” তুলতুল বায়না করে। তুলতুলের কথা শুনে তফিজ আহমেদ ছোট নিঃশ্বাস ফেলে বলে

-” ওদের দোকান গুলো এমনি এমনি রাফসান ভাঙে নি। ওদেরকে আগেও ওয়ার্নিং দিয়েছিল রাফসানের লোকজন ওরা শুনেনি৷ তাই রাফসান নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ভেঙে দিয়েছে।”

-” উফ বাবা! তুমি ডিটেইলস বলছো না কেন? কেন রাফসানের লোকজন তাদেরকে ওয়ার্নিং দিবে?”

-” তোকে নিয়ে আর পারি না। শোন, যে দোকান গুলো ভাঙা হয়েছে এগুলো যারা চালাতো তারা দোকানের মালিক ছিল না। দোকানের আসল মালিক যে সে কোনো সমস্যায় পড়ে এলাকার প্রভাবশালী লোকের কাছ শর্ত সাপেক্ষ দোকান বন্ধক রেখে টাকা নেয়। সময়ের আগে যদি টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়,তাহলে দোকান গুলো ঐ প্রভাবশালী লোকের হয়ে যাবে। তো যখন তারা ঋণকৃত টাকা ফেরত দিয়ে দোকানের মালিকানার দলিলপত্র আনতে যায়, তখন সেই টাকা প্রদানকারী লোক তা গ্রহনে অস্বীকৃতি জানায় বা কোনো ব্যস্ততার বাহানায় দেখা করে না। এতে শর্তে দেওয়া সময় শেষ হয়ে যায়। আর দোকানের মালিকানা তাদের হাতে চলে যায়। এরপর তারা ঐ দোকানগুলোকে ভাড়া দিয়ে দেয়। এটা রাফসানের কানে যাওয়ার পরে সে তার লোকজন পাঠিয়ে ওদেরকে টাকা নিয়ে দোকান ফেরত দিতে বলে কিন্তু তারা তা করেনি। রাফসানের লোকজন দুইবার এসে ওয়ার্নিং দিয়েছে। কাজ না হওয়ায় রাফসান সেদিন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে লোকজন দিয়ে সব ভেঙে ফেলেছে। আর আমাদের দোকানের সাথে এসব কোনো ঝামেলা নেই দেখে তারা আমাদের টা ভাঙে নি। এবার বুঝেছিস?

-” ওওও।” তুলতুল মাথা নাড়ায় যে সে বুঝেছে। কিন্তু সে শুধু খণ্ডাংশ বুঝেছে, যে দোকান গুলো খারাপ ভাবে দখল করা ছিল। আর রাফসান কোনো খারাপ কাজ করছিল না। বরং অন্যদের সাহায্যে করছিল। আসল দোকান মালিকদের ন্যায্য অধিকার তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। আর সে কিনা রাফসানকে ওইদিন কতো কথা শুনালো না জেনে। উফফ, তুলতুল তুই সবসময়ই না জেনে ভুল করিস। আর রাফসানকে খারাপ ভেবে উল্টো পাল্টা বলিস, এইজন্যই রাফসান তোকে দেখতে পারে না। তুলতুল নিজেকেই শ্বাসাতে লাগলো।

-” হুম। এই তুই কলেজ যাবি কখন? দেরি হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত উঠ। আর এটা কাছে রাখ।” বলে তফিজ আহমেদ মেয়ের হাতে টাকা দিলেন। তুলতুল টাকা নিয়ে বাবাকে আসছি বলে কলেজের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়ে।
.

তুলতুল ক্লাসে বসে রয়েছে। আনিস স্যার ক্লাস নিচ্ছেন। যে একটু এদিক ওদিক হলেই সপাসপ বেতের বারি লাগান। কিন্তু তারপরেও তুলতুলের ক্লাসে মন নেই। সে না চাইতেও রাফসানের কথা, রাফসান সম্পর্কে তার বাবার কথা গুলো ভাবছে। সবসময় সে রাফসানকে তার কৃত কাজগুলোর জন্য খারাপ ভাবে। সবসময় চোখের দেখা ঠিক হয় না, ভুলও হয়। কিন্তু রাফসানের কাজগুলো বাদেও তুলতুল তাকে খুন করতে দেখেছে। ওগুলোর কি হবে। তুলতুলের এতো গভীর ভাবতে আর ভালো লাগছে না। তাই সে আপাতত ভাবনা বন্ধ করে স্যারের দিকে তাকাতেই দেখে স্যার রাগী চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে। তুলতুল আশেপাশে তাকায় দেখে সবাই ভয়ে ভয়ে তার দিকেই তাকিয়ে আছে। সে ঢোক গিলে স্যারের দিকে তাকায়। আর তখনই আনিস স্যার একটা ধমক দিয়ে বলে

-“ক্লাসে মন কোন দিকে থাকে? কয়বার ডাক দিয়েছি আমি তোমায়? দাঁড়াও! ”

আনিস স্যারের এতো জোরে কথা বলায় তুলতুল ভয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। আজকে তার রক্ষা নেই। স্যার আবারও বলে

-“আমি কোথায় পড়াচ্ছিলাম বল?” কিন্তু তুলতুল কিছুই বলতে পারে না। পারবেই বা কিভাবে সে তো গুন্ডা রাফসানের চিন্তায় মগ্ন ছিল। তুলতুলের চুপ থাকা দেখে স্যার বলে

-“পারবে না তো। জানতাম! কিভাবে পারবে অন্য দিকে মন থাকলে? আমি যে এত কষ্ট করে লেকচার গুলো দিচ্ছি, কেন দিচ্ছি? তোমাদের জন্য। তোমরাই যদি না শোনো তাহলে তো আমার এই কষ্ট করার কোনো মানেই হয় না। হাত পাতো, হারি আপ। আর যেন ক্লাসে অমনোযোগী না হও সেজন্য আজকে মার খাওয়া অনেক জরুরী। হাত দেও।”

তুলতুল কাঁপা কাঁপা এক হাত বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু স্যার স্কেলের বারি দেওয়ার আগেই সরিয়ে নিয়ে জোরে কান্না দেয়। এতে আনিস স্যার বিরক্ত হয়। আবার হাত দিতে বললে তুলতুল হাত দেয় কিন্তু ভয়ে আবার সরিয়ে ফেলে। আনিস স্যার রাগে তুলতুলকে কানে ধরে ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে বলে। তুলতুল এমনি দাঁড়িয়ে আছে। যখন স্যার আসে সে দ্রুত কানে হাত দেয়, আবার চলে গেলে নামিয়ে ফেলে। সে বেঁচে গিয়েছে অন্যান্য সব ক্লাসে ক্লাস চলছে বিধায় বাইরে কেউ নেই। নাহলে তাকে অনেক লজ্জা পেতে হতো। তুলতুল মনে মনে রাফসানের ওপর অনেক রাগ ঝাড়ে। ব্যাটা গুন্ডার কথা ভাবার জন্য তাকে আজ এই শাস্তি পেতে হচ্ছে। একদম ভালো না লোকটা। স্যার বাইরে আসলে তুলতুল দ্রুত কানে হাত দেয়। চলে গেলে হাত নামাতে যাবে তখনই তার চোখ পড়ে গাড়িতে বসে তার দিকে তাকিয়ে থাকা ব্যক্তির ওপর।

তুলতুলের হেঁচকি ওঠে কয়েকবার। সে নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। যাকে নিয়ে ভাবার জন্য সে শাস্তি পাচ্ছে সেই তার দিকে তাকিয়ে আছে। দূরে গাড়িতে বসে রাফসান তুলতুলের দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে। তুলতুলের এটা দেখে রাগ হলো। ব্যাটা বজ্জাত তোর জন্যই আমার এই অবস্থা। রাফসান গাড়ি থেকে নেমে এদিকেই এগিয়ে আসে। তুলতুল ভড়কে যায়। এখানে আবার কি করতে এসেছে রাফসান? রাফসান একহাতের হাতা কনুই পযন্ত গুটাতে গুটাতে সামনে আগাচ্ছে। তুলতুল রাফসানকে প্রথম যেদিন দেখেছিল সাদা শার্ট পরা, শার্টের সাথে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ আজকেও ঠিক তেমন রয়েছে। শার্টে রক্তের দাগ, কোথায় আবার কাকে মেরে আসলো? তুলতুল রাফসানকে দেখে ওভাবেই থম মেরে দাঁড়িয়ে আছে। সে কান থেকে হাত সরাতেও ভুলে গিয়েছে।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here