যেখানে পথচলা শুরু পর্ব -০২

#যেখানে_পথচলা_শুরু |০২|
#সাদিয়া_মেহরুজ

তুষার ঝড় থেমে গেছে। নিষ্ঠুর ঠান্ডার প্রকোপটা কিছুটা কম এখন। মেঘমেদুর আকাশ ধীরে ধীরে শুভ্র রঙে রাঙায়িত করছে। ঘড়ির কাটা বারোতে পৌঁছাতেই দেয়াল ঘড়িটা বিকট শব্দ করলো। কান এঁটো করা আওয়াজ লহমায় ভেঙে দিলো তীরু এবং সাদিফের মধ্যকার নীরবতা। মিনিট দুয়েক হলো সাদিফ এসে তীরুর সামনে বসেছে। উচ্চারণ করেনি একটি শব্দও। ঘোরে মজে থাকা তীরু এবার হলো চঞ্চল। সাদিফের পানে প্রশ্ন ছুড়ল,

-” আপনি কি এমন স্ট্যাচুর মতো বসে থাকবেন নাকি কিছু বলবেন? ”

সাদিফ অস্বস্তিতে গাঁট হয়ে বসে রয়েছে। অতিরিক্ত অপরাধবোধ তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে এই মূর্হতে। অতীতে নিজের করা এক মস্তবড় ভুল তাকে এখন পীড়া দিচ্ছে ভীষণ। মেঝে থেকে দৃষ্টি হটাল ও। চোখ তুলে তাকিয়ে শুধাল,

-” কোথা থেকে শুরু করব বুঝতে পারছি না। ”

তীরু গম্ভীর গলায় জবাব দিল, ” শুরু থেকেই বলা আরম্ভ করুন। আমি সবটা জানতে চাই। ”

সাদিফ তীরুর মাঝে দূরত্ব অনেকখানি। তাই দূরত্ব ঘুচিয়ে কিয়ৎ নিকটে এলো সাদিফ। বসল গিয়ে তীরুর পাশের সিঙ্গেল সোফায়। গলা ঝেড়ে নম্র গলায় বলে উঠলো,

-” তখন আমার চারবছর বয়স মাত্র। একমাসের ব্যাবধানে বাবা – মা দু’জনেই মা রা যান। এতিম হয়ে যাই আমি। আমার ঠাঁই হয় দাদির কাছে। দাদি বাদে আর কোনো আত্নীয় স্বজন ছিল না। বাবা একমাত্র সন্তান। মায়ের ভাইবোন থাকলেও মা বাবাকে পালিয়ে বিয়ে করায় ত্যাজ্য করা হয় আমার মাকে তার পরিবার হতে। শুরুতে ভালোই কাটছিলো দিনকাল দাদির কাছে। স্কুলে যেতাম পড়াশোনা করতাম দিনশেষে ভালই ছিলাম। কিন্তু এই ভালো থাকার সমাপ্তি ঘটে যখন আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি। হটাৎ করে বলা নেই কওয়া নেই দাদি আমার পড়াশোনা বন্ধ করে দেন। কারণটা তিনি নাকি আমার পড়াশোনার খরচ আর চালাতে পারছেন না। অথচ আমি পড়তাম সরকারি স্কুলে। মাস শেষে বেতন ছিল মাত্র দশ টাকা। দাদির মাসিক আয় ছিলো সেখানে দশ হাজার। আমার স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেয়ার পর দাদি আমাকে ঘর বন্দী করে ফেলেন। ঘর থেকে বের হলেই প্রচুর মা র- ধর করতেন। এমনকি কি একদিন তিনি আমাকে দেখাশোনার জন্য এক লোক আনেন। দেখাশোনা বললে ভুল হবে আমাকে মা র দেয়ার জন্য! আমি ছেলে হলেও আমার মাঝে ছিল মেয়েলি স্বভাব। কোনো প্রতিবাদ না করে ভীতুর মতো আমি দিনের পর দিন দাদির অ ত্যা চা র সহ্য করেছি। এভাবে সময় পেড়িয়ে আমার বয়স গিয়ে ঠেকে পঁচিশের কোঠায়। পরিপূর্ণ একজন পুরুষ তবুও বোধহয় পুরুষ নই। তখন আমি সম্পূর্ণরূপে একজন মানষিক রো গী। এতোদিন ঘরবন্দী থাকার পর আমি পাগল হয়ে গেলাম। আমাকে সাহায্য করার মতো কেওই ছিলনা। পরিপূর্ণ যুবক হলেও আমার মাঝে থাকা মেয়েলি স্বভাবটা আমাকে প্রতিবাদ করতে দেয়নি। বোধকরি একজন মেয়ের থেকেও অপদার্থ ছিলাম আমি। ”

তীরু আচানক চেঁচাল, ” যদি আমি ভুল না হই। তবে আপনি কি.., ‘

সাদিফ মৃদু গলায় বলল,

-” ঠিক ধরেছেন। আমি পরিপূর্ণ রূপে একজন পুরুষ নই। আমার মাঝে মেয়েলি স্বভাব রয়েছে। সহজ করে বললে আপনি আমায় তৃতীয় লিঙ্গের কাতারে ফেলতে পারেন। ”

তীরু থমকাল! উত্তেজনায় মুখ চেপে ধরল নিজের। চোখজোড়া বড়সড় হয়ে তার। টের পাচ্ছে ও নিজ দেহের কাঁপুনি, হৃদপিণ্ডের অস্বাভাবিক স্পন্দন!

তীরুর বেহাল দশা দেখে সাদিফ তপ্তশ্বাস ছাড়ল। বলল,

-” ভয় পাবেন না। আমাদের বিয়ে হয়নি। ”

-” কি? কিভাবে? রেজিস্ট্রি পেপারে তো আমাদের দুজনের সাইন ছিল। ” তীরুর বিষ্মিত কন্ঠ!

-” ঐটা ফেইক পেপার ছিল। ”

তীরু চটপট বলল, ” বিস্তারিত বলুন। ”

-” রাদিফের দেখা পেয়েছেন নিশ্চয়ই? এই বিয়েটা না হওয়ার পেছনে মূলত রাদিফের হাত আছে সাথে আমার মানষিকভাবে পরিপূর্ণ সুস্থ হওয়ার ক্রেডিট ও ওর। পঁচিশ বছরটা যখন কে টে গেল তখন হুট করে আমাদের বাসার কাজের লোক আমায় তার ফোনটা দিয়ে বলল আমার ভাই কথা বলতে চায় আমার সাথে। সেই ভাই ছিল রাদিফ। কাজের লোকটা ভাল ছিল খুব। আমায় স্নেহ করত কিন্তু দিনশেষে টাকার কাছে সে নিজেও একজন পরাজিত সৈনিক। তাই চাইতেও আমায় তেমন কোনো সাহায্য করতে পারছিল না। রাদিফের সাথে সেদিনের পর থেকে আমার নিয়মিত কথা শুরু হয়। আমি এবং রাদিফ দু’জনেই সমবয়সী। বাংলাদেশে থাকতেই আমার মানষিক অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন আসতে শুরু করে রাদিফের জন্য। রাদিফের সাথে কানেকশনটা তৈরি করে দিয়েছিল মূলত সেই কাজের লোকটাই, সালাম চাচা। রাদিফকে তিনি সবকিছু খুলে বলেন আমার ব্যাপারে। দেশে আসার জন্য সকল প্রকার কার্যক্রম সম্পন্ন করে রাখছিল রাদিফ আর ঠিক তখনি দাদি আমার বিয়ের প্রসঙ্গ তুলেন। আমি ছিলাম তখন উন্মাদ। এক কথায় আমায় যা বলা হতো তাই করতাম সেটা হোক ভালো কি মন্দ! দাদি যখন বিয়ের প্রসঙ্গে কথা বললেন আমি হ্যা বলে দেই কারণ তখন আমার মনের মাঝে একটা ভীতি ছিল আমি যদি না করি তাহলে দাদি আমায় আবার ও মা র বে ন। যদিওবা আমার ওপর করা শারীরিক অ ত্যা চা র বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আঠারোতেই। দাদি বিয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকেন তার মাঝে সালাম চাচা আমাকে জানায় আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে আপনার সাথে। প্রতিক্রিয়াহীন ছিলাম! বিয়েটা যে কি জিনিস তখন তাও আমি বুঝতে পারছিলাম না। এতোটা অধঃপতন হয়েছিল আমার মানষিক অবস্থার। তারপর সবকিছু খুব দ্রুত ঘটে যায়। বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসে সাথে রাদিফও দেশে ফিরে আসে। রাদিফ দাদিকে বোঝানোর চেষ্টা করে আর এটাই ছিল ওর করা মস্তবড় ভুল। লোক দিয়ে রাদিফকে মে রে র ক্তা ক্ত করে গ্রামের বাহিরে ফেলে আসা হয়। এরমাঝে সাহায্য করেন সালাম চাচা। রাদিফ কে তখন হাসপাতালে ভর্তি করে তিনি পুলিশের কাছে যেতে গিয়ে ফিরে আসে বিয়েটা ঠেকাতে। আপনার জীবনটা ন ষ্ট হয়ে যেত নাহলে তখনি তিনি না এলে। তিনি উকিলের সাথে কথা বলে একটা নকল পেপার তৈরি করে টাকা খাইয়ে। দাদির অগোচরে আসল পেপার সরিয়ে নকলটা দেয়া হয়। সাইন হয় নকল কাগজে। তারপর রাদিফ ফিরে আসে রাতেই। এসে থানায় কেস করতে চাইলে সালাম চাচা বাধা দিয়ে এদিকটা তিনি দেখে নিবেন বলে আমাকে নিয়ে চলে যেতে বলেন। রাদিফ তার কথা মেনে সেদিন রাতেই বাংলাদেশ ছেড়ে আমাকে প্যারিসে নিয়ে আসে। পাসপোর্ট, ভিসা আগে থেকেই ম্যানেজ করা ছিল আমার। আসার পূর্বে নকল কাগজ সাথে বিস্তারিত লিখে একটা চিঠিও দিয়ে আসে কিন্তু ঐ কাগজটা কেন যে আপনার কাছে পৌঁছাল না। সে রাতের পর থেকে সালাম চাচাও লাপাত্তা! সালাম চাচা উধাও হওয়ার পর বাংলাদেশে তখন কি হচ্ছে, কি না হচ্ছে তা আর জানা যায়নি। রাদিফ পুরো ব্যাপারটা ভুলে তখন আমাকে সুস্থ করতে লেগে পড়ে। ”

তীরু হতবিহ্বল, নির্বাক। স্বরণ করার চেষ্টা করল সে সাদিফের দাদি ডালিয়া বেগমের মুখোশ্রী। অমন সরল সহজ দেখতে মানুষটা এতোটা নি কৃ ষ্ট মনের অধিকারী তা তীরুর মানতে কষ্ট হলো! ও প্রশ্ন করলো,

-” আপনার দাদী আপনার সাথে এমনটা কেনো করতেন? সঠিক কারণটা জানা আছে আপনার? আর উনি যে আপনার ওপর এতোটা অ ত্যা চা র করলেন, আপনার রাগ হয়না উনার প্রতি? এতটা নরমালি কথা বলছেন কি করে? ”

সাদিফ দীর্ঘশ্বাস ফেলল, ” সঠিক কারণটা তো জানা নেই তবে আন্দাজ করলে আমার জেন্ডার’গত সমস্যার কারণে বোধহয় এমনটা করতেন। দাদী সেকেলে মানুষ তার ওপর ঐটা ছিল গ্রাম। আমার সমস্যাটা জানলে নিশ্চিত পাড়া প্রতিবেশী তাকে খোঁচা দিত যা তিনি চাচ্ছিলেন না। তিনি ঠাটঁ, জৌলুশ বজায় রেখে চলা মানুষ। আর রইল শেষ প্রশ্নের উত্তর, দাদি মারা গিয়েছেন তীরু। মৃ ত্য মানুষের ওপর কি রেগে থাকা শোভা পায়? তবে আমি ওনার আকস্মিক মৃ ত্যু টা মেনে নিতে পারছি না। উনি আমার অনেক প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই চলে গেলেন। ওনার মৃ ত্যু টাও অস্বাভাবিক। ”

কিয়ৎক্ষণের মৌনতা। মিনিট ছয়েক পর মৌনতায় ধস নামাল সাদিফ। করুণ গলায় শুধাল,

-” আমি অত্যান্ত দুঃখিত তীরু। মানষিকভাবে সুস্থ হয়েছি আমি মাত্র দুই সপ্তাহ হলো। সুস্থ হওয়ার পর উচিত ছিল বাংলাদেশে আপনার পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কিত খোঁজ নেয়া। কিন্তু আমি তা করিনি। মাফ করবেন আমায়! আপনি এতদিন আমার প্রতিক্ষায় ছিলেন। ”

‘ প্রতিক্ষা ‘ শব্দটা সুচের মতো গায়ে এসে লাগল তীরুর। নিজের রূপে ফিরল ও৷ মুখোবয়বে কাঠিন্যতা টেনে বলল,

-” আমি অবশ্যই আপনার প্রতিক্ষায় ছিলাম না। আমার জীবন থেমেও ছিল না। বরং আমি এখন অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি। সত্যি বলতে আপনি উধাও হওয়ার পর আপনাকে কাপুরুষ বলেই আমি সম্মোধন করতাম। তখনকার ধারনানুযায়ী আমি একচুয়েলি আপনার দেখা পেতে চাচ্ছিলাম প্রশ্নের জবাবের জন্য। দ্যাট’স ইট! যাইহোক ভালো থাকবেন। আমাদের আর কোনোদিন দেখা না হোক এটাই চাওয়া। ”

তীরু বেড়িয়ে এলো। বাহিরে কেবল তখন শুভ্রতার রাজ। বাতাসে কি নিদারুণ প্রশান্তি উড়ছে। দু-হাত দুদিকে মেলে বুকভরে শ্বাস টানল তীরু। স্বাধীনতা এতো সুন্দর বুঝি? এতোটা আদুরে, প্রশান্তিদায়ক? আজ হতে সে স্বাধীন! পূর্ণরূপে। এতদিন না চাইতেও তার জীবনটা বিয়ে নামক অধ্যায়ে আঁটকে ছিল। আজ সব আঁটকে থাকার মুক্তি।

বাংলো থেকে বেড়িয়ে যেতে যেতে তীরুর দেখা মিলে রাদিফের সাথে। গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে রাদিফ এগিয়ে আসছে ধীর পায়ে। তীরুকে দেখে তার গুনগুন করা বন্ধ হলো। এগিয়ে এলো সে তীরুর নিকটে।

-” চলে যাচ্ছেন? ”

তীরু বিরক্ত হলো! বিরক্তিমাখা গলায় শুধাল,

-” না তো। থেকে যাচ্ছি। এখন বালিশ কাথা আনতে যাচ্ছি পার্মানেন্টলি এখানে থাকার জন্য। ”

রাদিফ থতমত খেলো তবে প্রকাশ করল না। পূর্বের সুরে বলে উঠলো,

-” আরে আমরা এতো গরীব না। বালিশ কাথা নিতে যেতে হবে না। এভাবেই থাকুন। ”

রাদিফকে পাশ কাটিয়ে চলে গেল তীরু। পেছন থেকে তৎক্ষনাৎ চেঁচাল রাদিফ,

-” ম্যাডাম কোথায় থাকেন প্যারিসে? ”

তীরু পেছনে তাকাল, ” তা আপনার জেনে কাজ কি? ”

-” সুন্দরী’রা কোথায় থাকে তা জানা রাদিফ আহসানের একান্তগত দায়িত্ব। ”

তীরু হতবাক! চটজলদি পা চালিয়ে চলে এলো সেখান হতে। রাদিফকে তার ভারী অদ্ভুত লাগে। ছেলেটা নিশ্চয়ই সাদিফের সাথে থাকতে গিয়ে নিজেও পাগল – টাগল হয়ে গেছে।

_

তানহা বিলাপ করে কাঁদছেন। মায়ের কান্না দেখে তীরু তখন মহাবিরক্ত! ও রাগল এবার। চটে গিয়ে বলল,

-” থামো তো মা। এতো কাঁদার কি আছে? যেভাবে কাঁদছ মনে হয় আমি মা রা গিয়েছি। আমি মা রা গেলেও তো মনে হয়না এভাবে কাঁদতে। ”

তানহা কান্নারত অবস্থায় মেয়েকে ধমকালেন,

-” চুপ কর! সবসময় ফাজলামো। কি যে পাপ করেছিলাম আল্লাহ জানেন যেই পাপের শাস্তি তিনি আমার মেয়েকে দিচ্ছেন। তোর নীরা খালাকে কত আপন ভেবেছিলাম। ও আমার চাচাতো বোন হয়ে আমায় এতো বড় ধোঁকা দিল। নীরার ভরসাতেই তো অতটা খোঁজ খবর না নিয়ে তোকে এখানে বিয়ে দিব বলে ঠিক করলাম। দুনিয়াতে কারো ওপর আস্থা রাখতে নেই। আজ তোর বাবা নেই বলে এই দিন দেখতে হচ্ছে। কাছের আত্নীয় স্বজনও তো নেই নীরা দুঃসম্পর্কের বোন। ওর ওপর কেন যে ভরসা করতে গেলাম আমি আল্লাহ! ”

তীরু হাই তুলল, ” বলেছিলাম আমি। আর এইসব আত্নীয় স্বজনের নাম জীবনেও যদি মুখে নিয়েছো তুমি। আত্নীয় স্বজন নেই ভালো হয়েছে। তোমার আর বাবার সম্পত্তি আমি একা বসে বসে খাবো। ”

তানহা কাঁদছেন। তীরু মায়ের কান্না দেখতে দেখতে চোখ মুদে নিল। এইযে এসব ঘটনা, তার কিছুটা অবগত ছিল সে। সাদিফ মানসিক রোগী তা তীরু জানত। খবর নিয়ে জানতে পেরেছিল। মা’কে বলে লাভ হয়নি। কারণ এর পূর্বে উল্টোপাল্টা বলে তিন – তিনটা বিয়ে ভেঙেছে সে। তানহা তা জানতে পেরে চতুর্থবার তাকে আর বিশ্বাস করেনি। তীরু সাদিফ এর সত্যতা তানহার নিকট টেনে হিঁচড়ে এনে পেশ করতেও পারেনি। কারণ বিয়ের দিন সকালে তাকে তানহা অবগত করেছিল আজ তার বিয়ে। অবশ্য সবটা পরে জাদুর মতো ঘটে যায়। বিয়েটা তো শেষে হলোই না।

_

ঘটনার দেড়মাস।
ভোরবেলা। তীরু সবে মাত্র ঘুম থেকে উঠেছে। হুট করে কল এলো তার ফোনে। তীরু রিসিভ করা মাত্র অপাশ হতে তানহা চটজলদি বলল,

-” চটপট কবুল বলে ফেল তো তীরু। ছেলে কবুল বলে দিয়েছে। এবার তুই কবুল বললেই বিয়েটা সম্পন্ন হবে। ”

ঘুম ঘুম ভাবটা চট করে উবে গেল। তানহা অনবরত তাড়া দিচ্ছেন। তীরু তখন দিনের ১ম আশ্চর্যজনক ঘটনাটা হজম করতে ব্যাস্ত। মানে তানহা মাত্র তাকে কি বলল? বিয়ে কি এভাবে হয় নাকি? আশ্চর্য!

চলবে~

| বিশাল পর্ব! আপনাদের সকলের গঠনমূলক মন্তব্য দেখার জন্য ব্যাকুল মনে বসে আমি। সবাই একটু রেসপন্স করবেন। |

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here