তুমি বললে আজ ২ পর্ব -৩৭

#তুমি_বললে_আজ_২
লেখনীতেঃ #রিধিমা_জান্নাত_রূপা
পর্বঃ ৩৭.

.
চারদিকে হৈ-হুল্লোড় হাসি মজায় সবাই মেতে থাকলেও আমার মনে ভীষণ কালো মেঘ। ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটিয়ে রাখলেও মনটা বিষন্নতায় ঘেরা। আজকে তাসফি ভাই ও আমার হলুদ। ভালোবাসার মানুষকে আপন করে পাবার তীব্র উত্তেজনা কাজ করার কথা থাকলেও তার কোনটাই আমার মাঝে নেই। শুধু জমা হয়ে আছে একরাশ অভিযোগ।
হ্যাঁ! সেদিন রাতে ওনার সাথে কথা বলার পর আবারও নতুন ভাবে অভিযোগের খাতা খুলে গেছে ওনার প্রতি। আমাদের অনাগত সন্তানের দায়িত্ব পালন করলেও আমার দ্বায়িত্ব থেকে বেড়িয়ে যেতে চান উনি। তাহলে ওনার জীবনে আমার আগমন শুধুমাত্র বাচ্চাটার জন্যই? কিন্তু আমি তো সেটা চাই নি। ওনার সাথে ভালোবাসাময় ছোট্ট একটা সংসার শুরু করার বাসনা ছিলো। কিন্তু সবকিছুই যেন এলোমেলো হয়ে গেল।

আমার এতকিছু ভাবনার মাঝেই রিমি আপু রিফাপু সহ অনেকেই এলো আমাকে নিয়ে যেতে। সবার সাথে হাসিমুখে আমিও মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে গেলাম। সেদিন রাতে আমাকে কথাগুলো বলেই বেরিয়ে যান তাসফি ভাই। সবাইকে গিয়ে বলেন, উনি বিয়েটা করতে চান, আর সেটাও এক সপ্তাহের মধ্যে। তখন ওনার কথাটা মেনে নেয় সবাই, এক সপ্তাহের জায়গায় দুই সপ্তাহের মাঝেই সমস্ত আয়োজন করে ফেলেন। তাসফি ভাইয়ের কথাগুলো শোনার পর এই বিয়েটা করার ইচ্ছেটা কোন কালেই ছিলো না আমার। কিন্তু পরিবারের সবার হাসিমুখ আর এত এত আয়োজন দেখে না করতে পারি নি। নতুন সদস্য আসার আগমনে সবার মুখে অন্য রকম এক তৃপ্তির হাসিটা নষ্ট করতে চাই নি।

সবার হাসি মজার মাঝেই হলুদের অনুষ্ঠান কেটে গেল। কাজিন মহলের সবাই তাসফি ভাইকে নিয়ে নানান কথায় মজা নিতে লাগলো আমার। অন্য সময় ওদের কাথায় রাগ আর লজ্জা পেলেও আজকে তার কোনটাই অনুভূত হলো না। মন ও মস্তিষ্কে সারাক্ষণ শুধু একটা কথায় ঘুরতে লাগলো, এর পর কি হবে? আমাদের অনাগত সন্তানের জন্য আমার দ্বায়িত্ব পালন করলেও, আমার প্রতি ওনার সেই আগের অনুভূতিটা ফিরে আসবে? না-কি ওনার কথা মতোই মিলিয়ে যাবে আমার প্রতি ওনার সমস্ত অনুভূতি?

.
“সাইনটা করে দে বনু, এতটা ভয় পাচ্ছিস কেন?”

হালকা মাথা তুলে তাকালাম রিফাপুর দিকে। চোখের ইশারায় বলতে চাইলাম ‘এর পর কি হবে রিফাপু? সত্যি কি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে?’
আমার হাতটা চেপে ধরলো রিফাপু। আমাকে শান্ত করার চেষ্টা করে বোঝালো, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। রিফাপুর মতোই সবাই বলতে লাগলো কাবিন নামায় সাইন করে দিতে। চোখ বন্ধ করে জোরে একটা নিশ্বাস ছেড়ে কাঁপা কাঁপা হাতে সাইটা করে দিলাম। সাথে সাথে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো চোখ থেকে। আবারও তিন বার কবুল বলে নিজেকে নতুন ভাবে জুড়ে নিলাম তাসফি নামক মানুষটির সাথে।
একটু সময় নিয়ে সবাই রুম ছেড়ে চলে গেল। রিফাপু একই ভাবে আমার হাতটা ধরে সাথে রইলে। রুমটা ফাঁকা হতেই জড়িয়ে ধরলাম রিফাপুকে, ফুপিয়ে কেঁদে উঠলাম। আমাকে শান্ত করার চেষ্টা করলো রিফাপু।

“তাসফি ভাই তোকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে রূপা। সামান্য একটা ভুল বোঝাবুঝি তে সেটা কখনোই শেষ হয়ে যাবে না। তাসফি ভাই তোর প্রতি রেগে আছে, কিন্তু তোর প্রতি তাসফি ভাইয়ের অনুভূতি গুলো কখনোই হারিয়ে যাবে না। কারণ তোর প্রতি তাসফি ভাইয়ের সমস্ত অনুভূতির সাক্ষী আমি নিজেই। সেগুলো কখনোই মিথ্যে হতে পারে না রূপা।”

“উনি তো এই বিয়েটাও করতে চায় নি রিফাপু, শুধু মাত্র বাচ্চাটার জন্য….”

“বাচ্চাটা তো একটা উসিলা মাত্র। তাসফি ভাই তোকে কখনোই নিজের থেকে দূরে যেতে দিতো না। বাচ্চাটার জন্য শুধু তাড়াতাড়ি এক হয়েছিস সেটাই শুধু।”

“কিন্তু উনি….”

“রিফা কি রূপা কে নিয়ে নিচে আয়, সবাই অপেক্ষা করছে ওর জন্য।”

সামিরা ফুপি এসে কথাটা বলেই চলে গেল। আমিও রিফাপুকে ছেড়ে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করলাম। আলতো করে গালের ভিজে থাকা পানি গুলো মুছে দিলো রিফাপু। বললো,

“একদম চিন্তা করিস না বনু, এখন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে দেখিস। দুজনে একসাথে থাক, সময় কাটা, সংসারটা গুছিয়ে নে, দেখবি সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে। তাসফি ভাইও সব অভিমান ভুলে আবারও তার রুপু কে কাছে টেনে নিবে।”

আরও একবার চেষ্টা করতে হবে আমাকে। ওনার কাছে গিয়ে ওনার অভিমানগুলো ভেঙে দিতে হবে আমার। মাথা ঝাঁকালাম আমি। হালকা হাসলো রিফাপু। তারপর আমাকে নিয়ে বেরিয়ে এলো রুম ছেড়ে।

.
একমাত্র ফুপির বাড়িতে এর আগেও অসংখ্য বার আগমন হলেও আজকের দিনটার সাথে রয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন। দুরুদুরু বুকে অসংখ্য অনুভূতির সাথে পরিচিত হয়ে নতুন রুপে প্রবেশ করলাম আজকে। আমাদের বিয়েটা অনেক আগে হলেও আজকের অনুভূতিটা একেবারেই ভিন্ন। বউ রুপে এত এত আত্মীয় স্বজনের মাঝে অদ্ভুত এক অনুভূতির সাথে পরিচিত হয়ে প্রবেশ করলাম বাসায়। বিভিন্ন নিয়ম পালন করেই আমাকে ভেতরে ঢুকালো ফুপি। আলতো করে জড়িয়ে ধরে বললো,

“আজ থেকে আমার দ্বায়িত্বের অবসান। তোর সংসারে দ্বায়িত্ব এবার তুই বুঝে নে।”

ফুপির কথায় বুকের টিপটিপ শব্দের প্রতিধ্বনি দ্বিগুণ হয়ে উঠলো যেন। ধরে থাকা রিফাপুর হাতটা আর চেপে ধরলাম। পাশে তাসফি ভাইয়ের থাকার কথা থাকলেও সেই মানুষটা নেই। আসার পর এক ঝলক দেখা দিয়েই চলে গেছেন উনি।
নতুন বউ হিসেবে হাজারো উত্তেজনা কাজ করার কথা থাকলেও তার কোনটাই আমার মাঝে হচ্ছে না। শুধু মন ও মস্তিষ্কে এসে জমা হচ্ছে একরাশ চিন্তা। সত্যিই কি রিফাপুর বলা কথাগুলো সত্যি হবে? উনি কি সবকিছু ভুলে আবারও আমাকে আগের মতো ভালোবেসে কাছে টেনে নিবেন?

.
মধ্যরাত পেরিয়ে ঠিক কতটা সময় হয়েছে জানা নেই আমার। গুটিশুটি হয়ে বসে আছি তাসফি ভাইয়ের বিছানায়। ঘুমে দু’ চোখ জর্জরিত হয়ে পড়েছে। হঠাৎ বেশ বন্ধ করে দরজা খোলার আওয়াজে চমকে উঠলাম কিছুটা। দ্রুতই নিজেকে স্বাভাবিক করে নিলাম। বুঝতে পারলাম ঠিক কে হতে পারে। ক্লান্ত শরীরে তাসফি ভাই রুমে ঢুকেই ফুল দিয়ে সাজানো বিছানায় আমার দিকে একবার তাকালেন। চোখ ফিরিয়ে নিয়ে সোজা ওয়াশরুমে চলে গেলেন। বেশ কিছুটা সময় নিয়ে বেরিয়ে এলেন ওয়াশরুম থেকে। এবারও তাকালেন আমার দিকে। উনি রুমে প্রবেশ করার পর চোখের ঘুমটা হঠাৎই গায়েব হয়ে গেছে। চোখ সরিয়ে অন্যদিকে তাকালাম। উনি গায়ের শার্ট পাল্টে টি-শার্ট পড়ে বারান্দায় চলে গেলেন। একটা বাক্যও ব্যায় করলেন না আমার সাথে।
হতাশার নিশ্বাস ছাড়লাম আমি। আজকের রাতটা তো এমন হওয়ার কথা ছিলো না। প্রতিটি বিবাহিত দম্পত্তির এই দিন, এই মুহুর্ত নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা থাকে। রিফাপুর বিয়ের সময় আমারও হাজারো আকাঙ্খা ছিলো আজকের দিনটা নিয়ে। কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে সবকিছুই যেন এলোমেলো হয়ে গেল।

প্রায় আধা ঘন্টা পেরিয়ে যাবার পর রুমে আসলেন তাসফি ভাই। আমাকে একই ভাবে বসে থাকতে দেখে কপাল কুঁচকে তাকালেন। রুমে কিছুটা সময় নিয়ে পায়চারী করতে লাগলেন। একটু সময় নিয়ে এগিয়ে এলেন খাটের কাছে। ধমকে উঠে বললেন,

“না ঘুমিয়ে এভাবে বসে আছিস কেন? বেয়াদব! তোর ঘুমানোর প্রয়োজন না হতে পারে কিন্তু আমার বাচ্চা…. আমার বাচ্চার ঘুমানোর প্রয়োজন।”

কেঁপে উঠলাম কিছুটা। মাথা তুলে ছলছল চোখে তাকালাম ওনার দিকে। একটু থেকে জোরে শ্বাস টেনে নিলেন। সেকেন্ডের মতো সময় নিয়ে আবারও বললেন,

“তোর জন্য যদি আমার আমার বাচ্চার কোন ক্ষতি হয় তাহলে কিন্তু আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না।”

“আজকে অন্তত সবকিছু ভুলে যান, আমাকে ক্ষমা করে দিন। প্লিজ!”

“এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করিস না রূপা, ঘুমিয়ে পর।”

বলেই আর দাঁড়ালেন না উনি। পাশ কেটে বিছানায় এসে শুয়ে পড়লেন। ছলছল করা চোখ থেকে টুপ করে জল গড়িয়ে পড়লো। আঁটকে রাখা কান্নাগুলে বেরিয়ে আসলো হঠাৎই। দু’হাতে মুখ ঢেকে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলাম। মিনিট দুয়েক অতিক্রম হবার পর নড়েচড়ে উঠলেন তাসফি ভাই। গম্ভীর গলায় বললেন,

“এতরাতে কান্নাকাটি করে কি প্রমাণ করতে চাইছিস? বললাম না ঘুমিয়ে পড়তে।”

.
বিষন্ন মনে উদাসীনতায় ঘিরে বসে আছি বারান্দায়। জনমানবহীন এই ফাঁকা বাসায় কয়েক মাস কাটিয়ে দেবার পর নিজের অস্তিত্বটাও যেন ভারী আসবাবপত্রের সাথে মিশে গেছে। আমাদের বিয়ের প্রায় এক মাস পরিয়ে যেতেই যখন তাসফি ভাইয়ের দেখা পেলাম না, তখনই বাসায় এক প্রকার জেদ দেখিয়ে ঢাকায় চলে আসি। ফুপা ফুপি আসলেও বেশ কিছুদিন থেকে চলে যেতে হয়। একলা বাসা তে সাবিনা আন্টি বাসার সমস্ত কাজ করে আমাকে সময় নিয়ে গেছেন সন্ধ্যা পর্যন্ত। ঢাকায় আসার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও তাসফি ভাইয়ের সাথে আমার সম্পর্কের কোন উন্নতির রেশ পর্যন্ত দেখা দেয় নি। অভিমান ভাঙাতে পারি নি ওনার। সেই সুযোগটাই উনি দেন নি আমাকে। প্রয়োজন ব্যাতীত কোন কথায় বলেন নি আমার সাথে, কিন্তু বাচ্চার জন্য পুরো দমে কেয়ার করে গেছেন আমার। ওনার এত শত অবহেলায় এবার ভীষণ হাঁপিয়ে উঠেছি আমি।
ছয় মাসে অনেকটা ফুলে ফেঁপে উঠছে পেটটা। হাঁটা চলায় কিছুটা কষ্ট হলেও মা হবার আনন্দটা তীব্রভাবে অনুভব হতে শুরু করেছে। বারংবার মনে উঁকি দেয়, এই তো আর তিন চার মাস সময়। তারপরই আমার কোলে ছোট ছোট হাত পা নিয়ে কেউ দখল করে রাখবে। ভেবেই সব কষ্টগুলো নিমিষেই বিলীন হয়ে যায়।

নিচ থেকে কারোর কণ্ঠস্বর ভেসে আসতেই নিজের করা ভাবনা থেকে বেড়িয়ে এলাম। কিছুটা কৌতুহল নিয়ে বেরিয়ে এলাম রুম ছেড়ে। সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতেই স্পষ্ট হলো ফুপির গলা। নিচে নেমে ড্রয়িং রুমে আসতেই ফুপা ফুপি ও তাসফি ভাইকে চোখে পড়লো। বেশ অবাক হলেও ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম ফুপিকে। এতদিন পর আপন জনের দেখা পেয়ে সামলাতে পারলাম না নিজেকে। ফুপিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলাম। ফুপিও আলতো করে জড়িয়ে ধরলো। বললো,

“আরে আরে… কাঁদছিস কেন মা? আমাকে দেখে কি খুশি হোস নি?”

“এত…এতদিন পর আমার কথা মনে পড়লো তোমাদের? জানো, এখানে একা একা আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। সাবিনা আন্টি ছাড়া কথা বলার মতো কাউকেই পাই না।”

“কেন মা? আমার ছেলেটা আছে তো। তাসফি থাকতে তোর কথা বলার মানুষের অভাব হবে কেন?”

“তোমার ছেলে অনেক খারাপ ফুপি, অনেক খারাপ। উনি আমার সাথে…. ”

চুপ হয়ে গেলাম হঠাৎই। নিজেকে সামলে নিয়ে ফুপিকে ছেড়ে সরে দাঁড়ালাম। আড় চোখে তাসফি ভাইয়ের দিকে তাকালাম। গম্ভীর চোখে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে। দু’হাতে আলতো করে চোখের পানি গুলো মুছে দিলো ফুপি। বললো,

“হয়ছে হয়ছে, আর কান্না করতে হবে না। এত কান্না করলে শরীর খারাপ করবে তো। আমি তো আমি চলে এসেছি মা, এবার তো একটু হাস।”

মাথা ঝাঁকিয়ে সায় দিলাম। ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে আনলাম ফুপির কথায়। আস্তে করে বললাম,

“তোমরা যে আজকে আসবে, আমাকে জানাও কি কেন?”

“কেন? তাসফি তোকে কিছু বলে নি? ও তো জানতো আমাদের আসবার কথা। কি রে তাসফি, রূপা কে কিছু বলিস নি?”

মাথা তুলে তাকালাম ওনার দিকে। ফুপিদের আসবার কথা আমাকে জানান নি, এতে মোটেও অবাক হলাম না। উনি ফুপির দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলেন,
“আসলে আম্মু, আমি তো ওকে….”

“অবশ্য ভালোই করেছিস, এই সুযোগে রূপাকে সারপ্রাইজ তো দিতে পারলাম। কি রে মা, সারপ্রাইজড হোস নি?”

“হুম! ভীষণ হয়েছি।”

আলতো করে হেঁসে বললাম ফুপিকে। এতক্ষণে রুমে চলে গেছেন ফুপা। তাসফি ভাইও ‘ফ্রেশ হয়ে আসছি’ বলে চলে গেলেন উপরে। আরও দু’একটা কথা বলে ফুপিও চলে গেল নিজের রুমে। যাবার আগে আমাকে বলে গেল উপরে যেতে, ওনার হয়তো কিছু লাগবে। ফুপি রুমে যাবার পরও আমি একই ভাবে সোফায় বসে রইলাম। উপরে গেলেও আমার কোন কাজ থাকবে না সেটা নিশ্চিত।

হতাশার নিশ্বাস ছাড়লাম। মাসের পর মাস ওনার করা এই অবহেলা আর সহ্য করতে পারছি না যেন। না… আর সম্ভবও নয়। ওনাকে মানানোর, ওনার অভিমান ভাঙার চেষ্টাও আর করবো না আমি। অনেক হয়েছে, আর না। উনি আমেরিকা যাবার পর গত চার বছরে ওনার থেকে যেভাবে নিজেকে আড়াল করে রেখেছিলাম, ঠিক সেভাবেই পূনরায় ওনার থেকে নিজেকে আড়াল করে নিবো। চলে যাবো এখান থেকে। উনি যখন আমাকে ভালোবাসতে পারবেন না, ভালোবেসে আমার অধিকার দিতে পারবেন না, তখন আমিও থাকবো না ওনার সাথে। আমার বাচ্চার দ্বায়িত্ব আমি একই নিতে পারবো। হ্যাঁ! আজ বা কালকেই ফুপা ফুপির সাথে কথা বলতে হবে আমার। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে যাবো এখান থেকে।

.
.
চলবে…..

2 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here